১৯ সেপ্টেম্বর দেশে আবারও সাইবার হামলার সঙ্কা

আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর দেশের সাইবার স্পেসে ফের সাইবার হামলার হুমকি দিয়েছে ‘ইন্ডিয়ান সাইবার ফোর্স’ নামের একটি হ্যাকার গ্রুপ।

বাংলাদেশ ছাড়াও ২৬ নভেম্বর চীন এবং পাকিস্তান, ১১ ডিসেম্বর ইন্দোনেশিয়া এবং পাকিস্তান এবং ২৬ জানুয়ারি ২০২৪ একসাথে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া এবং চীনে হামলার তালিকা প্রকাশ করেছে।

এ বিষয়ে বিজিডি ই-গভ সার্টের প্রজেক্ট পরিচালক ইঞ্জি. সাইফুল আলম খান জানিয়েছেন, বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে আমরা এরইমধ্যে সিআইআই ভুক্ত প্রতিষ্ঠান ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্কতা মূলক চিঠি পাঠানো হয়েছে।

এর আগে ১৫ আগস্ট গ্রুপটি বাংলাদেশে সাইবার হামলার হুমকি দিয়েছিল। সরকারি হিসাবে সেদিন ১০টির বেশি ওয়েবসাইটে ডিডস হামলা চালায় হ্যাকাররা। সে সময় বিভিন্ন ব্যাংক সহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তথ্য বেহাতের দাবি জানায় গ্রুপটি।

সূত্র: ইত্তেফাক




চুয়াডাঙ্গায় ড্রাইভার শ্রমিকদের মানবন্ধন

ড্রাইভিং লাইসেন্স জন্মতারিখ সংশোধনের দাবিতে কয়েক জেলার ভুক্তভোগি ড্রাইভার শ্রমিকদের নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় মানবন্ধন করেছে।

আজ রোববার সকাল সাড়ে দশটার সময় চুয়াডাঙ্গা বড়বাজার শহীদ হাসান চত্বরে এই মানবন্ধন হয়। মানবন্ধনে বিভিন্ন দাবি নিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা সড়ক পরিবহন ও জেলার সকল শ্রমিক ইউনিয়নের আয়োজনে এই মানবন্ধনে অংশগ্রহণ করেন জেলার সকল শ্রমিকের ইউনিয়নের নেতা কর্মিরা ও পেশাদার গাড়ি চালকরা।

মানবন্ধনে তাদের দাবি ছিল , ভোটার আইডি কার্ড অনুযায়ি ড্রায়ভিং লাইন্সেস জন্মতারিখ সংশোধন করতে হবে। ড্রাইভিং লাইন্সেস এর নথিভুক্ত ও ছাড়পত্রের কার্যক্রম দ্রুত কার্যকর করতে হবে। শ্রেণি সংযোজন ড্রাইভিং লাইন্সেস বারকোর্ড লার্নারের পরিক্ষার তিন ফিঙ্গারের সময় পূর্বের ড্রাইভিং লাইন্সেস সংযোজন করে ছবি তোলার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ভোটার আইডি কার্ডে মোহাম্মদ, ফুলস্টপ ড্রাইভিং লাইসেন্সে মোহাম্মদেও পরে স্পেস এই কারণে টাকা দেওয়ার সমস্যা। ড্রাইভিং লাইন্সেস এর শ্রেণি পরিবর্তনের সময় কার্যক্রম দ্রুত করতে হবে।

এসময় মানবন্ধনে উপস্থিত বক্তারা বলেন, ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নের আবেদন ফাইল বিআরটিএ অফিসে কয়েক বৎসর ধরে পড়ে থাকা আবেদন পত্রের নবায়নের কোন সুরাহা হচ্ছে না। জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী জন্ম তারিখ সংশোধন করে ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করার জন্য বিগত ৪ (চার) মাস আগে একটি মানববন্ধন করা হয়েছে। একজন পেশাদার ড্রাইভার ৪/৫ বার নবায়ন করা স্মার্ট কার্ড পাওয়ার পরে বর্তমানে জন্ম তারিখ ভুলের কারণে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর নবায়ন হচ্ছে না। এদের অধিকাংশ ড্রাইভারেরই স্মার্ট কার্ড ২/৩ বার নবায়ন হয়েছে এবং ৪৭৭ নং স্মারকে ২০০১ সালে জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য একটি প্রজ্ঞাপন হয়েছিল। এই প্রজ্ঞাপনের পরে জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য আরো একটি প্রজ্ঞাপন ২০১৬ সালে জানা মতে হয়েছিল। বর্তমান প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ভলিউম সঠিক থাকা ড্রাইভারদের জন্ম তারিখ সংশোধন পূর্বক নবায়নের সুযোগ এবং নন-স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স-এ সিথিলতা করে দ্রুত স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করার ব্যবস্থা করা একান্ত প্রয়োজন। অনেক ড্রাইভারদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়ার পরও জন্ম তারিখের জটিলতার কারণে তারা লাইসেন্স পাচ্ছে না।

বক্ত্যারা আরো বলেন, সারা দেশে বৈধ ড্রাইভারদের সংখ্যা অনুযায়ী গাড়ীর সংখ্যা অনেক বেশি। এই অবস্থায় জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য সারা বাংলাদেশে ৪০/৫০ হাজার পেশাদার/অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল হলে এই সকল ড্রাইভারদের পরিবারের পরিজনদেরকে নিয়ে রাস্তা বসা ছাড়া কোন উপায় থাকবে না। ড্রাইভাররা তাদের পূর্বের লাইসেন্স ও নবায়নের স্লিপ নিয়ে ২/৩ বৎসর যাবৎ রাস্তায় গাড়ি চালাতে পারছে না। রাস্তায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্মকর্তারা স্লিপ এবং পূর্বের লাইসেন্স মানতে রাজি হচ্ছে না। ড্রাইভারদের জরিমানা প্রদানের জন্য এবং মামলা নিষ্পত্তির জন্য বিভিন্ন দূরের জেলায় যেতে হচ্ছে। এদিকে গাড়ির মালিকরা ড্রাইভারদের ছুটি দিতে কোন মতেই রাজি হচ্ছে না। আমাদের বাংলাদেশে বৈধ ড্রাইভারের থেকে গাড়ীর সংখ্যা বেশি। তারপরও যদি জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য ৪০/৫০ হাজার ড্রাইভারদের লাইসেন্স বাতিল হয়ে যায়। এই কারণে লাইসেন্স বাতিল হয় তাহলে অবৈধ ড্রাইভারদের সংখ্যা আরো বেড়ে যাবে। যাদের বৈধ রেকর্ড ও ভলিউম আছে তাদের জন্য একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে জন্ম তারিখ দ্রুত সংশোধনের ব্যবস্থা গ্রহণ করিলে উক্ত ৪০/৫০ হাজার ড্রাইভারদের লাইসেন্স প্রাপ্ত ও পরিবার বেঁচে যাবে। দেশের সাথে থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা সফল ও স্বার্থক করিবার উদ্দেশ্যে এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নের জন্ম তারিখ সংশোধন হওয়া একান্ত আবশ্যক বলে মনে করেন মানবন্ধনের বক্তারা।

এসময় মানবন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা বাস মিনিবাস মাইক্রবাস সড়ক পরিবহনের সভাপতি এম.জেনারেল ও সাধারণ সম্পাদক রিপন মন্ডল, আন্তজেলা ট্রাক ট্র্যাংকুলারি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মামুন অর-রশিদ, আন্তজেলা ট্রাক ট্র্যাংকুলারি কার্ভাডভ্যানের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, জেলার মাইক্রবাসের সভাপতি মিল্টু জমিদার, প্রমুখ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলার পেশাদার সকল গাড়ি চালকরা।




কে এগিয়ে; ফরহাদ নাকি ইমন ?

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে মেহেরপুর-১ (সদর ও মুজিবনগর) আসনের সংসদীয় এলাকায় শুরু হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা। দ্বাদশ নির্বাচনে কে পাচ্ছেন মেহেরপুর-১ আসনের নৌকার বৈঠা। এখন কেন্দ্র থেকে জেলা সর্বত্রই এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।

মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে কে শতভাগ দলের অনুগত সৈনিক হিসেবে বেশি পরীক্ষিত? এই প্রশ্নটিও সামনে চলে আসছে।

দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত বিনা প্রশ্নে কে সব সময় শতভাগ মেনে চলেন? কে এক-এগারোর সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দলের কর্মকাণ্ডে বেশি সক্রিয় ছিলেন? গত ১০ বছরেরও বেশি সময়ে কে বেশি মূল্যায়ন পেয়েছেন?

নির্বাচনের ৩ মাস বাকি থাকলেও মেহেরপুরের সাধারণ ভোটাররা প্রার্থী বাছাইয়ে এখন থেকেই নেমেছে চুল চেরা বিশ্লেষনে। প্রার্থীদের অতীত, বর্তমান, বেঁড়ে ওঠা, ছাত্র জীবন সব কিছু নিয়েই এখন ভোটারদের বিশ্লেষণ। সেক্ষেত্রে মেহেরপুর-১ আসনের যাদের নাম ঘুরে ফিরে আসছে তাদের মধ্যে রয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা এমএএস ইমন। এই দুই নেতাকে নিয়ে মেহেরপুরের সর্বত্রে চলছে আলোচনা সমালোচনা। শিক্ষা- দীক্ষা ও আচরণে কে এগিয়ে আছে এনিয়েও চলছে বিশ্লেষণ। তবে এ দু নেতার বাইরেও প্রায় দশ জন নেতা মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে গণসংযোগ অব্যহত রেখেছেন।

জানা গেছে, বর্তমান এমপি ফরহাদ হোসেন ১৯৮৭ সালে খুলনার মুহসিন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। ১৯৮৯ সালে সরকারি ব্রজলাল (বিএল) মহাবিদ্যালয় থেকে এইসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হন। পরে ঢাকার সিটি কলেজ থেকে ব্যাচেলার অব আর্টস বিভাগে ১৯৯১ সালে বিএ পাশ করেন। পরে ইংলিশ ভাষার উপর ১৯৯৪ সালে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় বিভাগে প্রিলিমিনারিসহ মাস্টার অব আর্টস ডিগ্রি অর্জন করেন। কর্মজীবনে তিনি ঢাকা সিটি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে অধ্যাপনা করছেন।

শিক্ষা জীবনে রাজনীতির সাথে সরাসরি জড়িত না থাকলেও তার বাবার রাজনৈতিক কারনে সর্বশেষ তিনি স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে এমপি নির্বাচিত হন। এমপি নির্বাচিত হওয়ার পরে ২০১৫ সালে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠিত হলে সরাসরি তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে মনোনীত হন। পরবর্তিতে ২০২২ সালের সম্মেলনেও ফরহাদ হোসেন দ্বিতীয় বারের মত সভাপতি মনোনীত হন। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে ফরহাদ হোসেন তার পিতার রাজনৈতিক উত্তরসরি এবং স্ত্রীর পক্ষ থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তৎকালিন প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বোন জামাই হিসেবেই রাজনীতিতে বেশি সুবিধা পেয়েছেন।

অপরদিকে, আব্দুস শুকুর ইমন (এম এ এস ইমন) মেহেরপুর জেলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মানবিক বিভাগে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। ওই বছরে এমএএস ইমন জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ ফলাফল অর্জন করেন। ১৯৯৩ সালে মেহেরপুর কলেজ থেকে মানবিক বিভাগে এইচএসসিতে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজ বিজ্ঞান বিভাগে বিএসএস (সম্মান) ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৯১ সালে মেহেরপুর সরকারি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক অধ্যায়ন অবস্থায় তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন। পরবর্তিতে ১৯৯৫ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের এস এম হল ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক, ১৯৯৮ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সমাজ সেবা সম্পাদক এবং ২০০৫ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে ছাত্ররাজনীতির ইতি টানেন। পরে ২০১৫ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত কেন্দ্রীয় উপপ্রচার কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় কমিটির উপসম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তার ৩২ বছরের রাজনৈতিক জীবনে ছাত্র জীবনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সরাসরি জড়িত। পেশাগত জীবনে তিনি প্রিন্টিং প্রেস ব্যবসার সাথে জড়িত। তার মালিকানাধীন আনিশা প্রিন্টিং প্রেস থেকে সরকার ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কাজ সম্পাদন করা হয়। তিনি পেট্রোবাংলার অধিনস্ত রুপান্তরিত গ্যাস কোম্পানী লি. এর পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি মেহেরপুর প্রতিদিনের প্রকাশক, আইপি টিভি রাজধানী টিভির চেয়ারম্যান হিসেবে বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন।

রাজনীতির পাশাপাশি এম এ এস ইমন মেহেরপুর স্থল বন্দরের বাস্তবায়ন আন্দোলনে মুখপাত্র হিসেবে স্থলবন্দর বাস্তবায়নে মূখ্যভুমিকা পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজ করে যা্েচ্ছন।
একটি সূত্র জানায়, বিগত সময়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের এই নেতা (এমএএস ইমন) আন্দোলন, সংগ্রামে পরিচিত মুখ। বিশেষ করে বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের জুলুম নির্যাতন ও এক-এগারোর সময়ে দলের দুঃসময়ে এই নেতা সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে সব আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে মাঠে ছিলেন।

মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র বলছে, পৈতৃক সূত্র ধরে ফরহাদ হোসেনকে কেন্দ্র যথেষ্ট মূল্যায়ন করেছে। এর জন্য তৃণমূলের নেতাকর্মীরা দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের ওপরে খুশি। কিন্তু একাধিকবার এমপি নির্বাচিত হওয়ায় পর আওয়ামী লীগ নেতাদের অবমুল্যায়নে তারা দল থেকে অনেকটাই ছিটকে পড়েছেন। নেতারা জানান, দীর্ঘদিন জেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব পাওয়া যেমন ফরহাদ হোসেনের জন্য বড় পাওয়া। পাশাপাশি তাঁকে ১০ বছরের বেশি সময় মেহেরপুর-১ আসনের এমপি’র পদও দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছে। তবে, তাকে নিয়ে এখন আড়ালে-আবডালে শোনা যাচ্ছে নানা কথা।

আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে প্রায় ৮ বছর কাটিয়ে দেওয়া ফরহাদ হোসেন দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে পারেননি। বরং নিজেই জড়িয়ে পড়েছেন গ্রুপিংয়ে। একটি পক্ষের নেতা হিসেবে কম যোগ্যদের নেতৃত্বের কাতারে উঠিয়ে আনার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে আছে। এসব কারনে তার পরিবারের মধ্যেকার লোক ছাড়া এখন আর কাউকে তার পাশেও পাওয়া যাচ্ছেনা।

সূত্রগুলো জানায়, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করা এমএএস ইমনকে মেহেরপুর-১ আসনের এমপি পদে চাইছেন জেলার স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা। এমএএস ইমনকে অধিকতর কর্মীবান্ধব মনে করেন দলের বেশিরভাগ নেতাকর্মী। আর এসব বিবেচনায় তাঁকেই বেছে নেওয়ার অনুরোধ মেহেরপুর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের।




শেষ পৃষ্ঠা




তৃতীয় পৃষ্ঠা




দ্বিতীয় পৃষ্ঠা




প্রথম পৃষ্ঠা




দুদিনের সফরে ঢাকায় আসছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রো

নির্বাচনী ডামাডোল শুরুর আগে আগে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সবচেয়ে প্রভাবশালী দেশ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রো ঢাকায় আসছেন। তার ঢাকা আসাকে কেন্দ্র করে বেশকিছু নতুন আগ্রহের জায়গা উন্মোচিত হতে চলেছে।

গত তিন দশকের মধ্যে এই প্রথমবার বাংলাদেশ সফরে আসছেন ফ্রান্সের কোন প্রেসিডেন্ট। ভারতে অনুষ্ঠিতব্য দু’দিনের জি—২০ সম্মেলনে অংশগ্রহণ শেষে ১০ সেপ্টেম্বর তিনি বাংলাদেশে আসবেন। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের সফরসঙ্গী হিসেবে বাংলাদেশে আসছেন ফ্রান্সের ইউরোপ ও ফরেন এফেয়ার্স মিনিস্টার ক্যাথেরিন কলোনা।

এরই মধ্যে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের দপ্তর থেকে বাংলাদেশ সফরের বিষয়ে বিবৃতিও দেওয়া হয়। যেখানে বলা হয়েছে, “বাংলাদেশ এমন একটি দেশ, যেটি দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং তার অংশীদারিত্বে বৈচিত্র্য আনতে চাইছে।“ এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ও ফ্রান্স দু’দেশই বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দারুণ একতা দেখায়। বিশেষ করে, প্যারিস এজেন্ডা ফর পিপলস অ্যান্ড দ্য প্ল্যানেট—এর পরিকাঠামোর মধ্যে এই ঐক্য প্রতিফলিত হয়।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোর আসন্ন বাংলাদেশ সফরকালে মহাকাশে আরও একটি নতুন স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের চুক্তি সই হবে। ফ্রান্সের সহায়তায় এবার যে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হবে তার নাম বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট—২। এটি একটি ‘আর্থ অবজারভেটরি’ ভূ—উপগ্রহ কেন্দ্র। এর মাধ্যমে পৃথিবী তথা বাংলাদেশের স্থলভাগ ও জলভাগ পর্যবেক্ষণ করা হবে।

এখন প্রশ্ন হলো, ফ্রান্স কেন বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের আগ মুহূর্তের এই সফর কূটনীতিতে বাংলাদেশ সরকারকে এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। কারণ ফ্রান্সের কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক প্রভাব বৈশ্বিক বিষয়গুলো গতিপথকে প্রভাবিত করে।

এদিকে ফ্রান্স বিশ্ব রাজনীতি ও অর্থনীতিতে প্রধানতম খেলোয়াড়দের একটি, যারা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য ইউরোপীয় ইউনিয়নে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে। আন্তর্জাতিক কূটনীতি ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় ফ্রান্স উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে। এছাড়া বাংলাদেশের রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাকের বড় অংশ যায় ফ্রান্সে। বাংলাদেশেল পোশাক রপ্তানির অন্যতম ভালো বাজার ফ্রান্স। যেখানে বার্ষিক রপ্তানি প্রায় আড়াই বিলিয়ন ডলারের বেশি। ২০২১—২২ এর তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রায় ১.৩৮০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি করেছে ফ্রান্সে, বিপরীতে ফ্রান্স থেকে আমদানী হয়েছে প্রায় ১০৯ মিলিয়ন ডলারের পণ্য।

বাংলাদেশ এবং ফ্রান্স উভয়ই জলবায়ু পরিবর্তন সমস্যা মোকাবিলায় সক্রিয়ভাবে জড়িত। ফ্রান্স নবায়নযোগ্য শক্তি এবং জলবায়ু অভিযোজন—সম্পর্কিত প্রকল্পসহ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশের কিছু প্রচেষ্টাকে সমর্থন করেছে।

আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সংকট বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায়, আগামীতে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক সংকটের ঝুঁকিতে রয়েছে ফ্রান্স। তাই ফ্রান্সের দরকার নতুন ব্যবসায়িক গন্তব্য। আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, জি—২০ সম্মেলনে ফ্রান্সের যোগ দেওয়ার মূল উদ্দেশ্য হলো, এ অঞ্চলে বাণিজ্যের বিস্তার ঘটানো। ফলে, ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলে পশ্চিমাদের প্রভাব বৃদ্ধির জন্য আরো অনেক দেশের মতো ফ্রান্সও বাংলাদেশকে বাণিজ্যিক বন্ধু হিসাবে বিবেচনা করছে। প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম থেকে শুরু করে সামরিক অস্ত্রের জন্য ফ্রান্স বাংলাদেশকে ক্রেতা হিসাবে পেতে চাইবে।

তিন দশক পরে সর্বোচ্চ পর্যায়ের বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের এই সফর দীর্ঘমেয়াদি সম্ভাবনার নতুন নতুন ক্ষেত্র উন্মোচন করবে। এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা।




বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের এক দাবির মাঝে যুক্ত হচ্ছে লেজ

সরকার পতনের এক দফা দাবিতে যুগপৎ কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে গণমিছিল করেছে বিএনপি। সরকারের পদত্যাগসহ নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার এক দফা দাবি আদায়ের কথা বললেও বিএনপি প্রায়শ একটা দুটো দাবি লেজ আকারে জুড়ে দিচ্ছে। বিএনপির সব নেতার সাথে বসে সিদ্ধান্ত না নিয়ে হুট করে নতুন দাবি তোলা দলটির অভ্যন্তরীণ মন কাষাকষির কারণে হচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে শরিক দলগুলোর একাধিক দায়িত্বশীল নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ২৯ জুলাই ঢাকার চার প্রবেশমুখে বিএনপির সমন্বয়হীন অবস্থান কর্মসূচি নিয়ে বারবার নিজেদের মধ্যে কথা হচ্ছে। ২৮ জুলাইয়ের কর্মসূচিতে হুট করে ঘোষণা করে দেওয়া হয় এই কর্মসূচি। এই আন্দোলন নিয়ে আগাম কোনো আলাপ আলোচনা যুগপৎ এর মধ্যে হয়নি। এধরনের সমন্বয়হীনতার বিষয় বিএনপির নেতারা বারবারই করছেন। যুগপৎ এর নেতারা বলছেন, বিএনপি এরকম করছে এবং সামনের দিনে এ বিষয়ে সতর্ক হওয়ার আশ্বাস দেন। এ ছাড়া শরিক দলগুলোর কোনো কোনোটির কাছ থেকে ভবিষ্যতে আন্দোলনের বিশেষ মুহূর্তে কর্মসূচির সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ শরিকদের যুক্ত করা বা সময়মতো অবহিত করার পরামর্শ এসেছে।

সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনে যায় বিএনপিসহ ৩৬ রাজনৈতিক দল। গত জুলাই মাসে এসব দলে যারা যুক্ত হয় তাদের অধিকাংশ বিএনপির সমমনা দল। যুক্ত হয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ও গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য। এর পরেই এক দফা আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

সেসময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গণমাধ্যমকে বলেন, ‘শিগগিরই আমরা এক দফা আন্দোলন শুরু করব। অর্থাৎ বিএনপির ১০ দফা ও যুগপৎ আন্দোলনে থাকা অন্যান্য রাজনৈতিক দলের দফাগুলো মিলিয়ে এক দফা করা হয়েছে। অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং বর্তমান নির্বাচন কমিশন বাতিল করে নতুন কমিশনের অধীনে নির্বাচন। এখন এসব দাবি নিয়ে একটা জায়গায় আমরা এসেছি। সেটা মূলতই এই অবৈধ সরকারের পদত্যাগের দাবি’।

সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন, যদি সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একদফা দাবিতেই লাগে তাহলে বিএনপি একেক সময় একেকটি দাবি যুগপৎ এর কর্মসূচিতে কীভাবে যুক্ত করে? যুগপৎ আন্দোলনের শরিক বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, “আমরা এখন যারা যুগপৎ আন্দোলনে আছি তারা লিয়াজো কমিটির মাধ্যমে কাজ করছি। বিক্ষোভ, অবরোধ, ঘেরাও ও হরতালসহ সব কর্মসূচিই আমাদের বিবেচনায় আছে। আমাদের দাবি একটা। এর সাথে পৃথক দাবি যার যার দলের থাকতে পারে। যুগপৎ কর্মসূচির বাইরেও আমাদের নিজস্ব কর্মসূচি থাকবে।” যদিও বিএনপি নেতা রিজভী বারবারই যুগপৎ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করতে গিয়ে একাধিক দাবি ঘোষণা দিয়ে দেন।

আরেকটি বিষয়েও যুগপৎ এর সঙ্গে তথ্যগত লুকোচুরি করছে বিএনপি। যুগপৎকে না জানিয়ে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার অভিযোগ উঠেছে বিএনপির বিরুদ্ধে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জামায়াতে ইসলামীর এক সিনিয়র নেতা জানান, ‘আমরা সাথে আছি বলছি না। কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত চূড়ান্ত আন্দোলনে নেতাকর্মীদের মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশনা দেওয়া আছে। সবগুলো দল নামনে তখন আমরাও মাঠে থাকবো।




আলমডাঙ্গায় বধ্যভূমি পার্ক উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনে এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার

চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন আলমডাঙ্গা বধ্যভূমি পার্কের উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করেন।

তিনি আজ শনিবার বেলা ১১ টার দিকে বধ্যভূমিতে এসে কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন। পরে তিনি দলীয় নেতা কর্মিদের সাথে মত বিনিময় করেন। মত বিনিময়কালে এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার বলেন,মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতেই বধ্যভূমির এই পার্ক নির্মিত হচ্ছে। স্বাধীনতা বিরোধীরা ক্ষতমা দখল করে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করতে চেয়েছে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর জাতির নিকট সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে কাজ করছে। ৭১ স্মৃতিস্তম্ভ গুলো সংররক্ষণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এই দেশ আজ বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এসব দেখে বিএনপি -জামায়াত দিশেহারা হয়ে পড়েছে। ক্ষমতার মসনদে বসার জন্য বিদেশীদের কাছে ধর্না দিচ্ছে। কোন লাভ হবেনা। কেউ আপনাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দিতে পারবে না। নির্বাচনে আসেন জনগণ ভোট দিলে ক্ষমতায় যাবেন। দলের নেতাকর্মিরা ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

মতবিনিময়কালে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, মাসুদুজ্জামান লিটু, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম খান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু মুছা, সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাস্টার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবাসায়ী আলহাজ্ব লিয়াকত আলী লিপু মোল্লা, পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান ফারুক, যুগ্ম সম্পাদক সাইফুর রহমান পিন্টু, পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আলম হোসেন, সাবেক প্রচার সম্পাদক মাসুদ রানা তুহিন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এডভোকেট খন্দকার সালমান আহমেদ ডন, পৌর আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক মাসুদ সালেহীন উৎপল, কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আশরাফুল ইসলাম, সাবেক প্রচার সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল হোসাইন বাদশা, কুমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ পিন্টু, হারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশিকুজ্জামান ওল্টু, বেলগাছি ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান চঞ্চল, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মালেক, কুমারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, আওয়ামীলীগ নেতা জয়নাল আবেদীন, কামরুজ্জামান শামীম, বীর মুক্তিযোদ্ধা দিদার আলী, আমিনুল ইসলাম অপু মোল্লা, উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক আহসানউল্লাহ, কুমারী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান টুটুল, সাবেক যুবলীগের সভাপতি আবু সিদ্দিক টগর, যুবলীগ নেতা সৈকত খান, ছাত্রলীগ নেতা সজীব, দিপু,সাদী সিফাত, শোয়েব রকি, শাকিব, সজিব, অটল, প্রমুখ।