ড. ইউনূসের পক্ষে দেয়া বিবৃতি প্রত্যাহারের দাবি নোবিপ্রবির ২৫৬ শিক্ষকের

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রমআইনে বিচারাধীন মামলা স্থগিত চেয়ে ১৬০ ব্যক্তির বিবৃতি বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার উপর অসাংবিধানিক হস্তক্ষেপ বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নীলদলের ২৫৬ জন শিক্ষক।

নোবিপ্রবি নীলদলের সভাপতি ড. এমডি মাসুদ রহমান ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনসহ ২৫৬ জন সদস্যের সকলেই স্বাক্ষর করেন।

প্রতিবাদলিপিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের সংবিধানের ২২ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, বাংলাদেশের বিচার বিভাগ নির্বাহী বিভাগ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা এবং স্বাধীন একটি প্রতিষ্ঠান। যেখানে বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে তার সমস্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেন। বাংলাদেশে আইনের শাসন বিদ্যমান এবং আইন সবার জন্য সমান হওয়ায় এখানে দেশীয় বা বহিরাষ্ট্রীয় কারো হস্তক্ষেপ করার সুযোগ নেই।

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান মামলার বিষয়ে অযাচিত এবং অপ্রয়োজনীয় বিবৃতি বা চিঠি প্রদান করা বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার উপর অসাংবিধানিক হস্তক্ষেপ এবং ড. ইউনূসের ব্যক্তিস্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে শ্রমিকদের স্বার্থের বিরুদ্ধে এ ধরনের বিবৃতি অত্যন্ত অমানবিক বলে মনে করেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫৬ জন শিক্ষক।

পাশাপাশি উল্লেখ করা হয়, উদ্বেগের সাথে লক্ষণীয় যে উক্ত বিবৃতিতে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের গণতন্ত্র, রাজনীতি ও নির্বাচন সংক্রান্ত বিরূপ মন্তব্যও করা হয়েছে। যা একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের ওপর সরাসরি হস্তক্ষেপের শামিল। লাখো শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণ এই ধরনের অযাচিত, অবমাননাকর ও বেআইনি হস্তক্ষেপের প্রচেষ্টাকে নিন্দাভরে প্রত্যাখ্যান করে।

এ ছাড়াও আরো বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সুনাম ও সমৃদ্ধি যখন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে তখন একথা স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে উক্ত বিবৃতি দেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র ও রাজনৈতিক দূরভিসন্ধিমূলক।

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নীলদল এই ১৬০ কর্তাব্যক্তির বিবৃতির প্রতিবাদ ও প্রত্যাহারের দাবি জানায়।

উল্লেখ্য, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রমআইনে চলমান মামলা স্থগিত চেয়ে কিছু নোবেলজয়ী, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ীসহ ১৬০ জন ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একটি খোলা চিঠি দেয়।




চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগের উঠান বৈঠক ও গণসংযোগ

চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগের পক্ষ থেকে আলমডাঙ্গা উপজেলার আইলহাস ইউনিয়নের খাসকররায় মুসলিমা খাতুন এর বাড়িতে উঠান বৈঠক ও গণসংযোগ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শুক্রবার বিকাল সাড়ে চারটার সময় চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি আফরোজ পারভিন এর নেতৃত্ব মুসলিমা খাতুন এর বাড়িতে এই উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে নৌকায় মনোনয়ন প্রত্যাশি চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি আফরোজা পারভিন এর নেতৃত্ব এই উঠান বৈঠক ও গণসংযোগ করা হয়। এ সময় তিনি উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য আবারো নৌকা মার্কায় ভোট চান এবং তিনি নৌকার মনোনয়ন পেলে চুয়াডাঙ্গা জেলা বাসীর উন্নয়নের জন্য কাজ করবেন ও শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্যও কাজ করবেন বলে জানান তিনি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগের সহ-সভপতি পূর্ণিমা হালদার,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলিজা খাতুন ,সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি-কাজলী আক্তার , সাংগঠনিক সম্পাদক সপ্না খাতুন চিনি, দামুড়হুদা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহেদা খাতুন ,আলমডাঙ্গা উপজেলার যুব মহিলা লীগের সভাপতি মনিরা খাতুন,সাধারণ সম্পাদক জাহানারা খাতুন, চুয়াডাঙ্গা পৌর ৯নং ওয়ার্ড সভাপতি-আরজিনা খাতুন, সাধারণ সম্পাদক বেবি, সাংগাঠনিক সম্পাদক মিতা রানী, ৬ নং ওয়ার্ড সভাপতি রুপালি, সাধারণ সম্পাদক ফাহিমা, ২নং ওয়ার্ড কমিটির অর্থ সম্পাদক শিউলি খাতুন, আওয়ামী লীগ কর্মী সহ চুয়াডাঙ্গা জেলা ও আলমডাঙ্গা উপজেলা যুব মহিলা লীগের নেতৃবৃন্দ




জি-২০ সম্মেলনে ‘ভুল বুঝাবুঝি’ দূর হওয়ার আশা

জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকেই দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার দিল্লি সফরে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রতিবেশি দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাই সাউথ ব্লক বা হায়দরাবাদ হাউসে নয়, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ৭, লোককল্যাণ মার্গেই এই বৈঠক হয়। আন্তরিকতার বার্তা দিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে গৃহ অভ্যর্থনার আয়োজন করেন নরেন্দ্র মোদি।

বাংলাদেশ জি-২০-র সদস্য নয়, তবে সভাপতিত্বের দায়িত্ব পাওয়ার পরই ভারতের পক্ষে প্রতিবেশী দেশ হিসাবে বাংলাদেশকে সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশই এই সম্মেলনে আমন্ত্রণ পেয়েছে। অন্য দেশগুলো হলো মিশর, মরিশাস, নেদারল্যান্ডস, নাইজেরিয়া, ওমান, সিঙ্গাপুর, স্পেন এবং আরব আমিরাত। এর মধ্যে জি-২০ সংক্রান্ত সব সভাতেই বাংলাদেশ অংশ নিয়েছে।

ভারতের কাছে বাংলাদেশ খুব গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র। বাংলাদেশকে অতিথি হিসেবে ভারতের আমন্ত্রণে দেশটি তার নিকটতম প্রতিবেশীকে ‘বেস্ট ফ্রেন্ড’ হিসেবে উচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে। ভারতের সাথে বাংলাদেশের এই বন্ধুত্ব সর্বজনস্বীকৃত। অশান্তিপূর্ণ উত্তর-পূর্ব ভারতে শান্তি এনে দিয়েছে বাংলাদেশ। এর ফলে নিরাপত্তা ইস্যুতে বাংলাদেশ ভারতের কাছে অপরিহার্য অংশীদার হয়ে উঠেছে।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর, রাজনৈতিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা। অনেকেরই ধারণা, নির্বাচন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের চাপের বিপরীতে ভারতকে সক্রিয় করতে সক্ষম হবেন শেখ হাসিনা। কারণ জি-২০ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রভাবশালী দেশের নেতারা আসবেন, যেখানে ‘বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে ভুল বুঝাবুঝি থাকলে সেটিরও অবসান হবে-এমন প্রত্যাশাকে উড়িয়ে দেয়া যায় না’।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহা. রুহুল আমীন জানান, বাংলাদেশের জন্যও এ সামিটে অংশ নেয়ার সুযোগটা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এখানে আলোচনা কিংবা দরকষাকষির মাধ্যমে কারও সাথে দূরত্ব তৈরি থাকলে সেটি কমিয়ে আনার সুযোগ পাবে বাংলাদেশ।

আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্ল্যাহ বলেন, “আজকে যার সঙ্গে ভুল বুঝাবুঝি, কে জানে কাল হয়তো তার অবসানও হতে পারে।”

সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক জানিয়েছেন, দক্ষিণ এশিয়া থেকে শুধু বাংলাদেশকেই সামিটে আমন্ত্রণ করা হয়েছে যেটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং এই সুযোগে বাংলাদেশ সাইড লাইনে প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে নিজেদের বিষয়ে কথা বলার সুযোগ তৈরি করে নিতে পারবে। অর্থনৈতিক সংকট উত্তরণে বিশ্ব নেতারা কী ভাবছেন, সেটি যেমন জানার সুযোগ আসবে, তেমনি রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলার সুযোগ হবে আনুষ্ঠানিক কিংবা অনানুষ্ঠানিক আলোচনায়। বাংলাদেশের জন্য এগুলো খবুই গুরুত্বপূর্ণ।

এছাড়া বর্তমান বৈশ্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ইন্দো প্যাসিফিক বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আর গুরুত্বপূর্ণ এই অঞ্চলে আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির লক্ষ্যে যে কজন নেতৃত্ব প্রশংসিত হচ্ছেন তার মধ্যে শেখ হাসিনা অন্যতম।

২০২১-২২ সালে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। মহামারি সত্ত্বেও দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ২০১৯ সালের ৯ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ২০২১ সালে ১৪ শতাংশ হারে বেড়েছে। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক অংশীদারত্ব বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির একটি হিসেবে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে ভারতের জন্য আরো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে জিওনাল কানেক্টিভিটি বাড়াতে বাংলাদেশ মোংলা ও চট্টগ্রাম পোর্ট থেকে শুরু করে দুই দেশের বাণিজ্যের জন্য বেশ কিছু নতুন পোর্ট অব কল এবং প্রোটোকল রুটে যুক্ত করা হয়েছে। সড়ক, রেল, সমুদ্র সব রুটেই ভারতের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ বৃদ্ধিতে ট্রানজিট দিয়েছে বাংলাদেশ।

জি-২০ সম্মেলনে অংশ নেওয়া বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক নীতিকে প্রভাবিত করার একটি বিশেষ সুযোগ হিসেবে দেখছে আন্তজার্তিক বিশ্লেষকরা। এই সম্মেলন উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির সাথে সাক্ষাতে আলোচনায় উঠে এসেছে তিস্তা ইস্যু। যা বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে ভারতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে। ভারতীয় মুদ্রায় জ্বালানি তেলের মূল্য পরিশোধ, খাদ্য পণ্যের আমদানিতে কোটা নির্ধারণ, ভারতীয় লাইন অব ক্রেডিটের (এলওসি) অর্থায়নের প্রকল্পে শর্ত জটিলতা নিরসন প্রসঙ্গে আলোচনা হয়েছে।

এই সম্মেলনে ভারত ছাড়াও আর্জেন্টিনা, কানাডা, কোরিয়া, সংযুক্ত আবর আমিরাত, সৌদি আরবের সরকার প্রধানের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাইডলাইনে আলোচনা হতে পারে। এসব দেশের সাথে আলোচনায় বিনিয়োগ, রপ্তানি, জনশক্তি রপ্তানি, খাদ্য, জ্বালানি, সার, পর্যটন ও সংস্কৃতি, নারী নেতৃত্ব উন্নয়ন এবং প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে।

সৌদি প্রতিষ্ঠান এসিডব্লিউএ পাওয়ার কোম্পানি ৩০০ মেগাওয়াটের সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ৪৩০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে চায়। গত ৬-৭ বছরে সৌদি আবরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ৩০ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু নানান জটিলতায় সৌদি বিনিয়োগ নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে জি-২০ সম্মেলনে সৌদি আরবের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বিনিয়োগের বিষয়টি গুরুত্ব পাবে। তাছাড়া সৌদি আরবে জনশক্তি রপ্তানি, জ্বালানি তেল কেনা, হজ ব্যবস্থাপনা সহজ করার বিষয়ে আলোচনা হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। জনশক্তি রপ্তানি ইস্যুতে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হতে পারে সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং কোরিয়ার সঙ্গে।

বাংলাদেশে কানাডিয়ান বিনিয়োগকারী আকৃষ্ট করতে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) দেশটিতে কান্ট্রি ডেস্ক চালু করেছে। বাংলাদেশের শুল্কমুক্ত বিনিয়োগ সুবিধা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশে কানাডার বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। এছাড়াও বৈশ্বিক রাজনীতিতে বাংলাদশের করণীয় কি হতে পারে সে বিষয়েও কথা বলার সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে এই সম্মেলন।




চুয়াডাঙ্গায় আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা 

পরিবর্তনশীল ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে সাক্ষরতা প্রসার এই প্রতিপাদ্য চুয়াডাঙ্গায় আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটার সময় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি বাহির হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শারমিন আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা।

এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, শিক্ষা জাতীর মেরুদণ্ড। শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতীর অগ্রগতি অসম্ভব। নিরক্ষরতা একটি জাতির জন্য অভিশাপ। এগিয়ে যাওয়ার পথে অন্তরায়। নিরক্ষরতা অবশ্যই একটি সমস্যা কিন্তু তা চিরস্থায়ী নয়। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অল্প সময়ের ব্যবধানে এ সমস্যা কাটিয়ে উঠা সম্ভব। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী সকলের জন্য শিক্ষা বাস্তবায়ন করতে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা প্রকল্প গ্রহণ করেছে। ঝরে পরা শিশুদের প্রশিক্ষিত করতে সরকার এ প্রকল্পের আওতায় ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ সময় তিনি অভিভাবকদের আরও বেশি সচেতন হওয়ার জন্য অনুরোধ জানান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) রিয়াজুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও প্রফেসর সিদ্দিকুর রহমান,চুয়াডাঙ্গা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা তৈয়বুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডক্টর আব্দুর রশিদ, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের এনডিসি সাদাত হোসেন, সহকারী কমিশনার শহিদুল আলম সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে আগত প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




মেহেরপুর জেলা যুব মহিলা লীগের সমাবেশ

শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা পৌছে দিতে ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে মেহেরপুর জেলা যুব মহিলা লীগের সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

শুক্রবার বিকেলে মেহেরপুর সদর উপজেলা আমদহ ইউনিয়ন যুব মহিলা লীগের উদ্যোগে আমদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

আমদহ ইউনিয়ন যুব মহিলা লীগের সভাপতি রেহানা খাতুনের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ মেহেরপুর শাখার সাধারণ সম্পাদিকা সম্পাদিকা রুথ শোভা মন্ডলের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ যুব মহিলা লিগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য সৈয়দা মোনালিসা ইসলাম, আমদহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. কাজী শহিদুল হক, আমদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রওশন আলী।

আমাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি লুৎফুন্নেছা লতা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক বারিকুল ইসলাম লিজন, আমদহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের  যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আতিয়ার রহমান হিরা, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপদেষ্টা ও আমদহ ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রুস্তম আলী, মেহেরপুর জেলা ইয়াং বাংলা ফিউচার লিডার্সের সহ-সভাপতি ও মেহেরপুর সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন আহমেদ সহ বিভিন্ন নেত্রী ও কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




ঝিনাইদহে গৃহকর্মীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত গ্রেফতার

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বাড়ির গৃহকর্মী ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত মশিয়ার মাতব্বর নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) ভোরে হরিণাকুন্ড উপজেলার কাচারি বিন্নি এলাকার জিন্দার মোড় থেকে মশিয়ারকে গ্রেফতার করা হয়।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর ছেলে বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে ভুক্তভোগী হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

অভিযুক্ত মশিয়ার মাতব্বর কাঁকলাশ গ্রামের সাদেক আলী মাতব্বরের ছেলে।

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুবুরর রহমান জানান, গত ৩ সেপ্টেম্বর উপজেলার কাঁকলাশ গ্রামের মসিয়ার মাতব্বরের বাড়িতে দুপুরে কাজ করতে যায় ওই নারী। এসময় বাড়িতে কেউ না থাকায় তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর বিষয়টি জানাজানি হলে আত্মগোপনে চলে যায় মশিয়ার। পরে অসুস্থ অবস্থায় ভুক্তভোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।




চুয়াডাঙ্গায় বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত-১

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী একটি বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে মোটরসাইকেল আরোহী তরুণ নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটার সময় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পদ্মবিলা ইউনিয়নের ডিঙ্গেদহ বাজারের অদূরে পাঁচমাইল বাজার এলাকায় মেহেরপুর-ঢাকা মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।

বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত তরুণের নাম মো. আলামিন হোসেন (২৫)। তিনি সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের মানিকদিহি গ্রামের মো. জবেদ আলীর ছেলে। দৈনন্দিন জীবন নিহত তরুণ ডিঙ্গেহদ বাজারে পিঁয়াজু চপ ফুচকা ও চটপটি বিক্রেতা ছিলেন।

পাঁচমাইল বাজার এলাকার বাসিন্দা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায় আলামিন সদর উপজেলার সরোজগঞ্জ হাট থেকে মোটরসাইকেলে করে গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন। পাঁচমাইল বাজারের মসজিদের কাছাকাছি পৌঁছালে চুয়াডাঙ্গা থেকে ঢাকাগামী পরিবহন রয়েল এক্সপ্রেস নামের একটি বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। তার শরীরের প্রধান অংশ মাথা ও বুক ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহাব্বুর রহমান কাজল বলেন, ঘটনার পর বাস নিয়ে পালিয়ে গেছেন চালক। তাঁকে ধরার চেষ্টা চলছে। আর নিহত তরুণের লাশ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।




গাংনীতে প্রতারণা মামলায় আদম ব্যবসায়ি গ্রেপ্তার

প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আদম ব্যবসায়ি মাহাতী হাসান ওরফে বাবর ওরফে ডিকো(৩৫) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গতকাল বৃহষ্পতিবার দিবাগত রাতে গাংনী থানা পুলিশের একটি টীম কুষ্টিয়া থানা পুলিশের সহায়তায় শহরের চৌড়হাস মোড় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

আজ শুক্রবার সকালে মাহাতী হাসান ওরফে বাবর ওরফে ডিকোকে মেহেরপুর আদালতে প্রেরণ করলে বিজ্ঞ আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠান।

মাহাতী হাসান ওরফে বাবর ওরফে ডিকো গাংনী উপজেলার হাড়াভাঙ্গা পশ্চিম পাড়ার নাসির উদ্দীনের ছেলে।
মামলার বাদী গাংনীর বড়বামন্দী গ্রামের শাহিন আলী জানান, মাহাতী হাসান ওরফে বাবর ওরফে ডিকো তার পিতা মিকাইল হোসেনকে সৌদি আরবে একটি কোম্পানীতে ভাল বেতনে চাকরী দেয়ার কথা বলে ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা গ্রহণ করেন ও ২০০ টাকা মূল্যের ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে চুক্তিবদ্ধ হন।

এ ছাড়াও বাদীর কাছ থেকে ব্লাংক চেক নেয় আদম ব্যবসায়ি ডিকো। পরে মিকাইল হোসেনকে সৌদি আরবে প্রেরণ করা হলেও চুক্তি অনুযায়ী কাজ দেয়া হয়নি। দীর্ঘদিন মরুভ’মির মধ্যে কাজ করানো হলেও তাকে বেতন দেয়া হয়নি। পরে একটি শ্যাম্প কারখানাতে কাজ করানো হচ্ছে। এখানে শুধু খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।

বিষয়টি মাহাতী হাসান ওরফে বাবর ওরফে ডিকোকে জানানো হলেও তিনি কোন ব্যবস্থা না নিয়ে বরং বাদীকে নানা ভাবে হুমকী ধামকী দেন ও উল্টো দুই লাখ ৮০ হাজার টাকা দাবী করেন। একাধিবার একাধিক জনকে বিষয়টি জানিয়েও কোন ফল না হওয়ায় মোকাম বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করেন শাহিন আলী। আদালত মামলাটি এফআইআরের আদেশ দেন আদালত।

গাংনী থানাতে মামলাটি রেকর্ড হবার পর এসআই জাহাঙ্গীর ও সঙ্গীয় ফোর্স কুষ্টিয়াতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।




গাংনীতে প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ তিনজন আহত

বাড়ির উঠানের বেড়া পড়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ তিনজন আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার সকালে গাংনী উপজেলার মিনাপাড়া গ্রামে।

আহতরা হলেন আবু বকরের ছেলে আকতারুল(৪০) ও তার মা সোহাগী (৬০) এবং ছেলে বাহারুল(১৩)।
আহতদেরকে প্রথমে গাংনী ও পরে কুষ্টিয়া মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় গাংনী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন আহত আকতারুল।

জানা গেছে, আকতারুল ও তার সৎভাই মতিয়ার পাশাপাশি বাস করেন। মাঝখানে রয়েছে একটি বেড়া। হঠাৎ করে ওই বেড়াটি কাত হয়ে পড়ে গেলে মতিয়ার ও তার বাড়ির লোকজন আকতারুলের উপর সন্দেহ করে গালাগালি দেয়। এর প্রতিবাদ করায় মতিয়ারও তার ছেলে বউ মিলে আকতারুলের বাড়িতে হামলা চালায়। এতে আকতারুল তার মা সোহাগী এবং ছেলে বাহারুল আহত হয়।

স্থানীয়রা আহতদেরকে প্রথমে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে কুষ্টিয়া মেডিকেলে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় গাংনী থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন আকতারুল।




মেহেরপুর জেলা ছাত্রদলের নতুন কমিটি; সেনজির সভাপতি, বিপ্লব সম্পাদক

আকিব জাভেদ সেনজিরকে সভাপতি ও সাজেদুর রহমান বিপ্লবকে সাধারণ সম্পাদক করে মেহেরপুর জেলা ছাত্রদলের ১৫ সদস্যের আংশিক কমিটি অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি।

গতকাল বৃহস্পতিবার (০৭ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল এ কমিটি অনুমোদন দেন। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- সিনিয়র সহসভাপতি আলমগীর হোসেন, সহসভাপতি তৌফিক এলাহি শাকিল, নাহিদ মাহবুব সানি, নাজমুল হক শান্ত, জুয়েল রানা, রেজওয়ানুল হক ইমন, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম রাজন, যুগ্ম সম্পাদক আমির হাসান হিমেল ও সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সাঈদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক রিপন হোসেন, রাসেল আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক লিজন আলী, প্রচার সম্পাদক রাব্বী হোসেন।

আগামী এক মাসের মধ্যে পুর্ণাঙ্গ কমিটি তৈরি করে কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।