মেহেরপুরে হারানো ৭১ টি মোবাইল উদ্ধার করে দিলো পুলিশ

মেহেরপুরে হারিয়ে যাওয়া ৭১ টি মোবাইল উদ্ধারের পর প্রকৃত মালিকের কাছে ফিরিয়ে দিলো পুলিশ।

আজ বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বেলা ১২টার দিকে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সভাকক্ষে মালিকদের হাতে মোবাইল তুলে দেন পুলিশ সুপার মাকসুদা আকতার খানম।

প্রেস ব্রিফিংয়ে জানায়, জেলার তিন থানায় করা সাধারণ ডায়েরির ভিত্তিতে মোবাইলগুলো উদ্ধার করা হয়। পুলিশের সাইবার ক্রাইম সেলের সহযোগিতায় উদ্ধার করা মোবাইলগুলো আসল মালিকের হাতে তুলে দেওয়া হয়। হারানো মোবাইলগুলোর মধ্যে সদর থানার ১৭টি, গাংনী থানার ৩১টি এবং মুজিবনগর থানার ২৩টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
এ সময় তিনি সকলে আরো সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল আহসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) আব্দুল করিম, ইন্সপেক্টর বাদল, সদর ট্রাফিক টিআই ইসমাইল হোসেন, সাব ইন্সপেক্টর মনিরুজ্জামান মিলন, কনস্টেবল তাহের, মোঃ আব্দুল জাব্বার সহ পুলিশ কর্মকর্তারা।




পিরোজপুরে দুই পরিবারের ৮ জন নিহত

পিরোজপুর সদরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রাইভেটকার খালে পড়ে দুটি পরিবারের চার শিশুসহ ৮ জন নিহত হয়েছেন।

গতকাল বুধবার (১০ অক্টোবর) রাত সোয়া ২টার দিকে সদর উপজেলার নাজিরপুর সড়কের নূরানী গেট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতদের মধ্যে এক পরিবারের চারজন হলেন- শেরপুরের দিঘিপাড়া রঘুনাথপুর নিজামুদ্দিনের ছেলে মোতাহার (৪৫), তার স্ত্রী সাবিনা (৩৬), তাদের কন্যা সন্তান মুক্তা (১০) ও ছেলে শোয়াইব (২)। আরেক পরিবারের চারজন হলেন- নাজিরপুরের হোগাবুনিয়া এলাকার মৃত আসাদ মৃধার ছেলে শাওন (৩২), তার স্ত্রী আমেনা বেগম (২৫), শিশু সন্তান শাহাদাত (১০) ও আব্দুল্লাহ (৩)।

ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসীম বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গতকাল বুধবার রাত সোয়া ২টায় খালে গাড়ি পড়ে যাওয়ার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। এরপর পিরোজপুর ফায়ার স্টেশনের একটি ইউনিট রাত আড়াইটার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করে। কিছুক্ষণের মধ্যে আরও একটি ইউনিট সেখানে গিয়ে যুক্ত হয়। গাড়িতে থাকা মোট ৮টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, সবাই মারা গেছেন।

পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুকিত হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে গাড়িতে থাকা আটজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে গাড়িতে থাকা আব্দুল মোতালেব নামে একজনের জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে। সেই সূত্র ধরে অন্যদের ঠিকানা খোঁজা হচ্ছে। নিহত মোতালেব সেনাবাহিনীর সিভিল স্টাফ ছিলেন।

তিনি আরও বলেন, নিহতদের মরদেহ পিরোজপুর সদর হাসপাতালে রাখা হয়েছে। প্রাইভেটকারটি কোথা থেকে এসেছিল এবং কোথায় যাচ্ছিল সেই তথ্য এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

সূত্র: ইত্তেফাক




যুবলীগ নেতা জেমস স্বপন মল্লিক বাবু কারাগারে

ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালীন ১৯ জুলাই কবি নজরুল সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ইকরাম হোসেন কাউসার ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থী ওমর ফারুক হত্যা মামলায় জেমস স্বপন মল্লিক বাবুকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

গতকাল বুধবার রাজধানীর চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আসামী জেমস স্বপন মল্লিক বাবু কিডনি প্রতিস্থাপনের রোগী হওয়ায় তাকে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য জেল সুপারকে নির্দেশ দেন। জেমস স্বপন মল্লিক বাবু মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান গ্রামের ব্রজেন মল্লিকের ছেলে। তিনি কেন্দ্রীয় যুবলীগ সদস্য। এর আগে গত সোমবার সুত্রাপুর থানা পুলিশের একটি টিম সদও ঘাট এলাকা থেকে জেমস স্বপন মল্লিককে আটক করে।

গত ২০ আগস্ট নাসরিন খাতুন নামের এক নারী বাদী হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ আওয়ামী লীগ নেতা ও পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাসহ ১৩ জনকে নামিয় এবং অজ্ঞাত ২৫০ জনকে আসামী করে সুত্রাপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় জেমস স্বপন মল্লিক বাবুকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে পুলিশ।

এদিকে, বাবাকে নির্দোষ দাবী করে জেমস স্বপন মল্লিক বাবুর দুই শিশুকন্যা সোশ্যাল মিডিয়ায় মুক্তির দাবি জানিয়েছে সরকারের কাছে। তাদেও দাবীর সাথে অনেকের সহমত প্রকাশ করে মুক্তি চেয়েছেন।

মামলার এজাহারে জানা গেছে, আসামীদের প্রত্যক্ষ মদদে ও পরিকল্পনায় পিওএম-এ হতে নিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা ও আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্চাসেবক লীগ, মহিলা লীগ ও তাহাদের অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা আন্দোলনকারীদের উপর অতর্কিতভাবে ধারালো অস্ত্র-শস্ত্র, চাপাতি, দা ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়া আক্রমণ শুরু করিলে ঘটনাস্থলে পথচারী ও সাধারণ লোকজন হতভম্ব হইয়া দিগি¦দিক দৌড়াইতে থাকে এবং হামলাকারীরা ঐসময় এলোপাথারী গুলি করিতে থাকিলে অনেকেই গুলিবিদ্ধ হয়, অনেকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রক্তাক্ত জখমপ্রাপ্ত হইয়া আহত হয়। উক্ত সময় হামলাকারীদের গুলিতে কবি নজরুল সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ইকরাম হোসেন কাউসার মাথায় গুলিবিদ্ধ হইয়া ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করে এবং ওমর ফারুক শহীদ সোহরাওয়ার্দী সরকারী কলেজের শিক্ষার্থী বুকের ডান পাশে গুলিবিদ্ধ হয় এবং তাহাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা যান।

যেহেতু ছাত্র-জনতার ন্যায্য ও যৌক্তিক দাবীতে শাড়িপূর্ণ আন্দোলনে কোনরূপ উস্কানী ছাড়াই আজিতে বর্ণিত আসামীদের নির্দেশে ও মদদে অজ্ঞাতনামা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা লীগ ও তাহাদেও অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী ও পিওএম-এ হতে নিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা প্রকাশ্যে লোকারণ্য রাস্তার উপর অতর্কিতভাবে ধারালো অস্ত্র-শস্ত্র, চাপাতি, দা দিয়া আক্রমণ করিয়া ও আগ্নেয়াস্ত্র যারা গুলি ফরিয়া ইকরাম হোসেন কাউসার ও ওমর ফারুককে হত্যা করিয়াছে।




দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার নিলেন মিঠুন চক্রবর্তী

বছরের শুরুতেই পদ্মবিভূষণ সম্মান পেয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তী। আর এবার বর্ষীয়ান অভিনেতাকে ভারতীয় চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ সম্মান দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারে সম্মানিত করল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দিল্লির বিজ্ঞানভবনে ৭০তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে অভিনেতার হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।

এ পুরস্কার গ্রহণ করে বর্ষীয়ান এ অভিনেতা বলেন, ‘মানুষ বলত, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কালো রং চলবে না। এখানে কী করছ? ফিরে যাও, রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে লোকে কালিয়া বলত? আমি ভাবতাম, কী করব? ভগবানকে বলতাম, কী করব, এই রং তো পাল্টাতে পারব না? ভাবতাম যে আমি নাচতে জানি, পা দিয়ে এমন নাচব, যাতে লোকে আমার গায়ের রং না দেখে আমার পায়ের দিকে দেখে। পা থামতে দেয়নি। লোকে তখন আমার রং ভুলে গেল, আমি হয়ে গেলাম সেক্সি, ডাস্কি বাঙালি বাবু।’

এদিন শর্মিলা ঠাকুর থেকে শুরু করে মণি রত্নম, মনোজ বাজপেয়ী, এ আর রহমান, প্রীতম, ঋষভ শেঠি কিংবা মিঠুন চক্রবর্তী, সারা ভারতের চলচ্চিত্র জগতের প্রতিভাবানদের পাওয়া গেল পুরষ্কারপর্ব অনুষ্ঠানে। সেখানে ভারতীয় চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ সম্মান গ্রহণ করেন মিঠুন চক্রবর্তী।

হিন্দুস্তান টাইমসহ ভারতের কয়েকটি গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সম্মানিত মিঠুন এদিন একদম বাঙালি বাবুর বেশেই ধরা দিলেন। ধুতি-পাঞ্জাবিতে আলো ছড়ান এই বাঙালি অভিনেতা।

এদিকে চলতি এডিশনে সেরা বাংলা ছবির সম্মান পেয়েছে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের কাবেরী অন্তর্ধান। জাতীয় পুরস্কারের মঞ্চে সেরা রূপটানশিল্পী নির্বাচিত হয়েছেন সোমনাথ কুণ্ডু। ‘অভিযাত্রিক’ ছবির জন্য এই সম্মান পেলেন তিনি। ধুতি-পাঞ্জাবিতে সেজে এদিন রাষ্ট্রপতির হাত থেকে সম্মান নিলেন সোমনাথ কুণ্ডু। অন্যদিকে অনীক দত্তর এই ছবির ঝুলিতেই গেছে সেরা প্রোডাকশন ডিজাইনের পুরস্কার। ২০২২ সালের চলচ্চিত্র ‘পোন্নিয়িন সেলভান-পার্ট ১’-এ ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোরের জন্য নিজের সপ্তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার গ্রহণ করেন এ আর রহমান।

সূত্র: ইত্তেফাক




মৃদুলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ছোট ভাই মেহেরপুর জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শহীদ শরফরাজ হোসেন মৃদুলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।

গত মঙ্গলবার মেহেরপুরের সাব জজ-২ আদালতের বিচারক এস এম কবির হোসেন এ আদেশ দেন। এবং এর আগে আদালত তার বিরুদ্ধে চার্জ গঠণ করেন। আগামী ২৮ নভেম্বর সাক্ষীর শুনানি ধার্য করা হয়েছে।

গত বছর সরফরাজ হোসেন মৃদুলের ব্যবসায়ীক পার্টনাল দেবাশীষ বাগচি আদালতে এক কোটি ৮০ লাখ টাকার চেক ডিজঅনারের একটি মামলা করেন।যার মামলা নম্বর-৯০৭/২৩ (মেহেরপুর)।

মামলার এজহারে জানা গেছে, পারিবারিক সূত্রে বহু বছর যাবৎ ঠিকাদারি ব্যবসা করে আসছি। সে ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালে শহীদ সরফরাজ হোসেন মৃদুলের সঙ্গে যৌথভাবে ঠিকাদারি ব্যবসা শুরু করি। ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত গণপূর্ত, জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা প্রকৌশলী, এলজিইডিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৩০ থেকে ৩৫টা নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ করেছি। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ২৫ থেকে ২৭ কোটি টাকা। ২০২১ সালের প্রথম দিকে যৌথ ঠিকাদারি ব্যবসা পরিসমাপ্তি ঘটালে তার সঙ্গে আমার মূলধন ও লভ্যাংশসহ আনুমানিক দুই কোটি ৫০ লাখ টাকার বেশি পাওনা হয়। প্রাপ্য টাকা না পেয়ে আমি, আমার ও তার পরিবারের লোকজনসহ জেলা যুবলীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে অবহিত করি। এক সময় সবার হস্তক্ষেপে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে আমার সঙ্গে হিসাব করতে রাজি হয়। আমি হিসাবে বসতে বললে বিভিন্ন অজুহাতে সময় ক্ষেপণ করে একপর্যায়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললে তখন সে মৌখিকভাবে এক কোটি ৮০ লাখ টাকা দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মীমাংসা করে এবং আমাকে চলতি বছরের জুলাই মাসের ১৬ তারিখে ঢাকায় যেতে বলে। ঢাকার আদাবরে তার বাসার সামনে গেলে রিংরোড সাহাবুদ্দিন প্লাজার ওসিস কফিশপে বসে আমাকে ২৪ জুলাই তারিখ দিয়ে রূপালি ব্যাংক মেহেরপুর শাখার এক কোটি ৮০ লাখ টাকার একটি চেক প্রদান করেন বাদী।

আমি চেকে দেওয়া তারিখ অনুযায়ী ২৪ জুলাই টাকা উত্তোলনের জন্য অগ্রণী ব্যাংকে চেক জমা করি। এক সপ্তাহ পর ব্যাংক থেকে চেক ডিজঅনার দেখিয়ে সার্টিফিকেট প্রদান করে। যেখানে লেখা আছে, গত ৪ এপ্রিল ২০২১ তারিখে অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে। ১ আগস্ট ২০২৩ তারিখে ব্যাংক চেক ডিজাঅনার সার্টিফিকেট দেয়। আমি বিষয়টি আসামীকে জানালে সে আমাকে আজকাল করে ঘুরিয়ে নিয়ে বেড়াতে থাকে। অতঃপর আমি বিজ্ঞ এ্যাডভোকেট সাহেবের মাধ্যমে গত ৩০ আগস্ট আসামী বরাবর এন আই এক্ট ১৮৮১ এর বিধান মতে ডাকযোগে নোটিশ প্রদান করিয়া চেকে উল্লেখিত এক কোটি আশি লক্ষ টাকা পরিশোধ করিয় চেকটি ফেরত অথবা বাতিল করার অনুরোধ করি।

চেক ডিজঅনারের মামলায় করায় মন্ত্রীর ক্ষমতায় মৃদুল উল্টো দেবাশীষ বাগচীর বিরুদ্ধে চেক চুরির মামলা করে। পরে ওই মামলায় পুলিশ চেক উদ্ধারের জন্য দেবাশীষের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে হয়রানি করে।

ওই ঘটনার পরে গতবছরের ৫ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১১টায় মেহেরপুরের সোডাপ মিলনায়তনে জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শহীদ সরফরাজ হোসেন মৃদুলের বিরুদ্ধে করা সংবাদ সম্মেলনে পাওনা টাকা ও ন্যায়বিচার না পেলে পরিবারসহ আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছিলেন মেহেরপুর জেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য দেবাশীষ কুমার বাগচি মনু।




ঝিনাইদহে ২ দিন ব্যাপী কারাতে প্রশিক্ষণের সমাপনী ও বেল্ট প্রদান

‘নারীদের আত্ম রক্ষার্থে কারাতে হোক অন্যতম হাতিয়ার’ এ শ্লোগানে ঝিনাইদহে ২ দিন ব্যাপী কারাতে প্রশিক্ষণের সমাপনী ও ২৬ তম বেল্ট প্রদান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বুধবার (৯ অক্টোবর) বিকালে উপ-শহর পাড়ার সোতোকান কারাতে দো’র প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এ প্রশিক্ষণের পরীক্ষা এবং বেল্ট প্রদান করা হয়।

সোতোকান কারাতে দো’র প্রতিষ্ঠতা পরিচালক কাজী আলী আহাম্মেদ লিকু’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সোতোকান কারাতে দো’র প্রথান উপদেষ্টা সাবেক অধ্যক্ষ মহাব্বত হোসেন টিপু, সহকারী অধ্যাপক শাহানুর আলম, প্রভাষক কাজী মোহাম্মদ আলী পিকু। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সোতোকান কারাতে দো’র পরিচালক মাহফুজুর রহমান বিপ্লব।

আলোচনা সভা শেষে পরীক্ষায় উর্ত্তীণদেও মাঝে সনদপত্র ও বেল্ট প্রদান করা হয়। ২ দিন ব্যাপী এই প্রশিক্ষণে শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অর্ধশত শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ প্রদাণ কারানো হয়। প্রশিক্ষণ প্রদান করেণ জাতীয় কারাতে প্রশিক্ষক মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন।




আলমডাঙ্গা পৌরসভার সার্ভেয়ার মোর্শেদুর নাহার নিশির সংবাদ সম্মেলন

আলমডাঙ্গা পৌরসভার সার্ভেয়ার মোর্শেদুর নাহার নিশির বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন।

আজ বুধবার সন্ধ্যায় আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেন।

লিখিত সংবাদ সম্মেলনে সার্ভেয়ার মোর্শেদুর নাহার নিশি বলেন, আমি একজন স্বামী পরিত্যক্তা নারী। গত তিন বছর আগে আলমডাঙ্গা পৌরসভায় নিয়মতান্ত্রিক ভাবে সরকারি আইনুযায়ী সার্ভেয়ার পদে নিয়োগ পায়। সার্ভেয়ার পদে চাকুরী পেলেও পৌর কতৃপক্ষ নির্ধারিত কাজ না দিয়ে অফিসে বসিয়ে রেখেছেন। সম্প্রতি আমার বিরুদ্ধে জাল সনদে চাকুরী পাওয়ার যে অভিযোগ করা হয়েছে সেটি মোটেও সঠিক নয়। আমি আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজে থেকে অনার্স শেষ করেছেন। তিনি বগুড়ার সিট ফাউন্ডেশন থেকে ২ বছর আমিন সিট কোর্স সম্পূর্ণ করে সনদ লাভ করেছে। যা সকল কাগজপত্র পৌরকতৃপক্ষ ও আমার কাছে সংরক্ষিত আছে। কেউ দেখতে চাইলে আমি দেখাতে প্রস্তুত আছি। এছাড়া আমার নামে ঘুষ নেবার যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে সেটাও সঠিক নয়। যেহেতু আমার নিয়োগ অনুযায়ী সার্ভেয়ার কাজ দেওয়া হয়নি। সেকারণে ঘুষ নেবার সুযোগ নেই। এছাড়া আমার মা বেবী খাতুনের বিরুদ্ধে অফিস না করে বছরের পর বছর বাড়িতে বসে বেতন তোলেন বলে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যে। আমাকে একের পর এক মিথ্যে অভিযোগ তুলে যেভাবে হয়রানী করা হচ্ছে, আমি একজন স্বামী পরিত্যক্তা অসহায় নারী হিসেবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সচেতন নাগরিক ও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাচ্ছি।




মেহেরপুরে জাতীয় তামাক মুক্ত দিবস উপলক্ষে অবস্থান কর্মসূচি পালন

জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাক ব্যবসা থেকে সরকারের অংশীদারিত্ব প্রত্যাহার করা হোক”এই স্লোগানকে সামনে রেখে মেহেরপুরে পালিত হয়েছে জাতীয় তামাকমুক্ত দিবস অবস্থান কর্মসূচি ও লিফলেট ক্যাম্পেইন।

আজ বুধবার (৯ অক্টোবর) সকাল ১১ টায় মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এই অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। অবস্থান কর্মসূচি শেষে প্রধান  সড়কে গিয়ে লিফলেট বিতরণ করা হয়।

এই অবস্থান কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন আমঝুপি সুবাহ সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা নির্বাহী পরিচালক মঈন উল আলম।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন গাংনী শ্মশান ঘাটপল্লী উন্নয়ন সংস্থা নির্বাহী পরিচালক  আবু আবিদ, আমঝুপি এস পি এইচ আরের  নির্বাহী পরিচালক মহিদুল আলম ওহিদ প্রমুখ।




দর্শনায় ব্যুরো বাংলাদেশ এনজিও অফিসে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে চাঁদাদাবি, বোমা উদ্ধার

চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় ব্যুরো বাংলাদেশ এনজিও অফিসে দিনে সকালে মাথায় অস্ত্র ও বোমা রেখে ডাকাতির চেষ্টা করেছে ৭/৮ জনের সংঘবদ্ধ ডাকাত দল।

আজ বুধবার (৯অক্টোবর ) সকাল পৌনে ১১ টার দিকে দর্শনা বাসস্ট্যান্ড মাস্টার পাড়া ব্যুরো বাংলাদেশ এনজিও অফিসে এ ডাকাতি ও চাঁদাদবির ঘটনা ঘটে।

ঘটনার বর্ননা সুত্রে জানাযায়, দর্শনা বাস স্ট্যান্ড মাস্টারপাড়ার ফজলু ড্রাইভারের বাড়ি ৮ বছর আগে ব্যুরো বাংলাদেশ এনজিও অফিস ভাড়া নেয়। এ অফিসে ২ মাস আগে বদলী হয়ে আসে হিসাব রক্ষক ফেরদৌস আলম। আজ বুধবার ৭/৮ জনের অস্ত্রধারী ডাকাত দল ভিতরে প্রবেশ করে। ডাকাতদল ভিতরে প্রেবেশ করে অফিসের হিসাব রক্ষক ফেরদৌস আলমকে চেয়ারে বসতে বলে। এ সময় অস্ত্রধারী একজন ফেরদৌসের সামনের চেয়ারে বসে। এ সময় গেন্জি প্যান্ট ও হেলমেট পরা যুবক মুখে মাক্স পরা অবস্থায় তার বুকে ও মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে বলে যা কিছু আছে দিয়ে দে। পরে হিসাব রক্ষক ফেরদৌস ভয়ে ভিতু হয়ে বলে আমার কাছে বর্তমান কোন টাকা পয়সা নাই।সে সময় হিসাব রক্ষক ফেরদৌসের সাথে বাকবিতণ্ড হলে এক পর্যায়ে তাকে দরজার সামনে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়।

সে সময় অস্ত্রধারী বলে তোর অফিসের টেবিলের নিচে টাইম বোমা রেখে গেলাম। টাকা না দিলে তোকে হত্যা করা হবে।পরে অস্ত্রধারী যুবক অফিসের দরজার বাইরে থেকে সিটকিনি দিয়ে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায়। পরে অফিসের ভিতর হিসাব রক্ষক চিৎকার করলে কাজের বোয়া সিটকিনি খুলে দেয়। হিসাব রক্ষক ফেরদৌস বের হয়ে আশেপাশের লোকজনকে খবর দিলে ঐ এলাকায় হইচই পড়ে যায়। সাথে সাথে দর্শনা থানা পুলিকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহীদ তিতুমীর। ঘটনাস্থলে এসে দেখে ব্যুরো বাংলাদেশ এনজিও অফিসের টেবিলের নিচে টাইম বোমাটি রেখে যাওয়া বোমাটি  দেখতে পায়। পুলিশ সাথে সাথে ঐই বাড়ির লোকজনকে সরিয়ে অন্যত্র চলে যেতে বলে।

পরে চুয়াডাঙ্গা সেনাবাহিনীর ৫৫ পদাতিক ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীর হোসেনের নেতৃত্বে সেনা বাহীনীর ৪ প্লাটন সেনা মোতায়েন করা হয়। এরপর চুয়াডাঙ্গা জেলার এ এসপি জাকিয়া সুলতানা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বোমাটি দেখতে পায়। এ ছাড়াও  ডিবির ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ, দামুড়হুদা ফায়ার ষ্টেশন অফিসার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান কুষ্টিয়া র‍্যাবের ডিএডি হেলাল উদ্দীন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

এ ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা জেলার এএসপি জাকিয়া সুলতানা জানান বোমা উদ্ধারের জন্য যশোর ক্যান্টনমেন্ট থেকে বোমা নিষ্ক্রিয় একটি দল এসে বোমাটি উদ্ধার করবে।

তবে বোমাটি উদ্ধার করতে রাত ১১ টা বাজতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় এলাবাসি ভীত সশস্ত্র হযে পড়ে আতংক বিরাজ করছে।




গাংনীতে পিএসকেএসের উদ্যোগে সমন্বয় ও পরিকল্পনা সভা

মেহেরপুরের গাংনীতে সৃন্বিত কৃষি ইউনিটের কৃষিখাতের আওতায় উপজেলা সমন্বয় ও পরিকল্প সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বুধবার সকাল ১১ টার সময় পিএসকেএস এর প্রধান কার্যালয়ে সম্মেলন কক্ষে এ পরিকল্পনা সভা বাস্তবায়ন করে বে- সরকারি সংস্থা পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি পিএসকেএস।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংস্থার পরিচালক মো: কামরুজ্জামান।

সমন্বয় ও পরিকল্পনা সভায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন গাংনী উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি অফিসার মোঃ রাসেল রানা,প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো: আরিফুল ইসলাম, সহকারি মৎস্য কর্মকর্তা মো: জাকির হোসেন । পরিকল্পনা সভায় প্রাণী, মৎস্য ও কৃষির উন্নয়ন, উৎপাদন, বাজারজাতকরণ বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)-এর আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন মোহাঃ কামরুজ্জামান পরিচালক (কর্মসূচি) ও ফোকাল পারসন (সমন্বিত কৃষি ইউনিট)।

আলোচনা সভায় সমন্বিত কৃষি ইউনিটের আওতায় ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বরাদ্ধকৃত প্রদর্শনীর বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি বিগত সময়ে বাস্তবায়িত বিভিন্ন প্রদর্শনীর বাস্তবায়ন কৈাশল, অর্জন এবং মাঠ পর্যায়ের প্রভাব নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করা হয়।

পরিশেষে সমন্বিত কৃষি ইউনিটের কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়নের স্বার্থে সবার সহযোগিতা চেয়ে পরিচালক সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

কর্ম পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন পিএসকেএস এর কৃষি কর্মকর্তা মো: জুয়েল রানা, প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মো: ছরোয়ার হোসেন, মৎস্য সহকারি কর্মকর্তা মো : খালেদ কবীর ও ভেটেরিনারি কর্মকর্তা মোঃ সামসুদ্দিন আহম্মেদ।