বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে কোন প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে পারিনি- জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ বলেছেন ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে পর্যন্ত বিএনপি সরকারে থাকাকালে জনগনকে দেওয়া কোন প্রতিশ্রুত তারা বাস্তবায়ন করতে পারিনি। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার তাদের নিজেদের ভাগ্য উন্নয়নে ব্যস্ত ছিল। তাদের দুঃশাসন জনগন দেখেছে। তাদের শাসনামলে দেশে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের উত্থান হয়েছিল। তারপর ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে মুজিবনগর উপজেলার দারিয়াপুর ইউনিয়ন যুব মহিলা লীগের আয়োজনে উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ফরহাদ হোসেন আরও বলেন, আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে ওই বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আবারো ক্ষমতায় আসার জন্য বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। দেশের মানুষকে জিম্মি করার চেষ্টা করছে। কিন্তু দেশের জনগন তা কখনই হতে দেবে না। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারে। একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত দেশে পরিমান উন্নয়ন হয়েছে তা বিশ্বের বুকে রোল মডেল। তাই এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে আগামী নির্বাচনে আবারো শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনার আহবান জানান ফরহাদ হোসেন।

দারিয়াপুর ইউনিয়ন যুব মহিলা লীগের সভাপতি শাহিনা খাতুনের সভাপতিত্বে উঠান বৈঠকে বিশেষ অথিতি হিসেবে বক্তব্য দেন কেন্ত্রীয় যুব মহিলা লীগের সহ সভাপতি মোনলিসা ইসলাম। উঠান বৈঠকে মেহেরপুর জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক রুতশোভা মন্ডলের সঞ্চালনায় মেহেরপুর সদর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লতিফুন্নেছা লতাসহ যুব মহিলা লীগের নেত্রীবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।




মাওয়া-ভাঙ্গায় প্রথম ট্রেনের হুইসেল: উচ্ছ্বসিত পদ্মাপাড়ের মানুষ

প্রথম বারের মতো মাওয়া-ভাঙ্গায় বাজলো ট্রেনের প্রথম হুইসেল। ‘কু ঝিক ঝিক’ ট্রেনের শব্দে উচ্ছ্বসিত পদ্মাপাড়ের বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে দক্ষিণবঙ্গে চলাচল করছে পরীক্ষামূলক ট্রেন। আগামী ১০ অক্টোবর ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রেন চলাচলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

মাওয়া-ভাঙ্গায় ট্রেন চলাচল দেখে আবেগ আপ্লুত পদ্মা নদীর দুই পাড়ের মানুষ। অনেকে আনন্দে কেঁদেছেন। কেউ আবার নিজের সন্তানকে দেখিয়েছেন ট্রেন চলাচল। এযেন স্বপ্নকে হাতের মুঠোও পাওয়া। ভাঙ্গার তুজারপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান পরিমল চন্দ্র দাস বলেন, আমাদের অনেক দিনের আশা, এই এলাকার মানুষ ট্রেনে চড়ে ঢাকায় যাবেন। অল্প খরচে ও নিরাপদে ঢাকা পৌঁছে দিনের কাজ শেষ করে আবার এলাকায় ফিরে আসবে। শেষ পর্যন্ত আমাদের সেই স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে। এই অঞ্চলের মানুষ প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ।

ভাঙ্গা বাজারের ব্যবসায়ী জাবেদ সরদার নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, জীবনে যা দেখতে পারি নাই, সেটা দেখে গেলাম। এই দৃশ্য জীবনে ভুলবো না। আজকে আমাদের আনন্দের দিন। ভাঙ্গা কলেজ পাড় এলাকার বাসিন্দা নাঈম ভুইয়া বলেন, পরীক্ষামূলক ট্রেনে চড়ে ভিষণ আনন্দিত। বললেন, শেখ হাসিনা যা করে দিয়েছেন তা কোনদিন শোধ করার নয়। আল্লাহ তাকে আরও বহু বছর বাঁচিয়ে রাখুন। আমাদের এলাকা বদলে গেছে।

ভাঙ্গার ঘারোয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সফি উদ্দীন মোল্লা বলেন, আমাদের একটা স্বপ্নের পদ্মা সেতু, সেই সেতুতে রেল সংযোগ দেওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি। তিনি বলেন, এই রেল চালু হওয়ায় আমাদের এলাকার আমুল পরিবর্তন হবে। আমাদের এলাকার কৃষকরা লাভবান হবেন। তাদের উৎপাদিত সবজি সহজেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছে যাবে। নগরবাসী কম দামে টাটকা সবজি খেতে পারবেন।

ঘারোয়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. মনসুর মুন্সি বলেন, আজকে অনেক ভালো লাগছে। এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যাবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। তার কারণেই আজ এ অঞ্চলের মানুষ যোগাযোগের ক্ষেত্রে আধুনিক সুবিধা পেয়েছেন। সড়ক সেতুর পর এখন ট্রেনও চালু হওয়ার পথে। এটা আমাদের বড় প্রাপ্তি। প্রার্থনা করি আল্লাহ প্রধানমন্ত্রীকে দীর্ঘ জীবন দান করুন।

স্থানীয়রা বলেন, পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেন চালুর কারণে যে শুধু মানুষের যাতার্য়াতের সুবিধা হবে তা কিন্তু নয়। এর ফলে এই অঞ্চলের অর্থনীতির চিত্র পাল্টে যাবে। দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পঞ্চিমাঞ্চলের কৃষক এতদিন উৎপাদিত পণ্য নিজের এলাকাতেই বিক্রি করতেন। এখন সেগুলো পৌছে যাবে দেশের এক স্থান থেকে আরেক স্থানে। এতে করে অর্থনৈতিকভাবে মানুষ স্বাবলম্বি হবেন। এ কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তার কারণেই এই অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হতে যাচ্ছে। পদ্মা সেতু চালুর পর মানুষের ভাগ্যের চাকা পাল্টে গেছে। এখন ট্রেন চলাচল শুরু হলে কম খরচে পণ্য পরিবহন করা যাবে।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৭ মিনিটে ঢাকার কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া পরীক্ষামূলক ট্রেনটি দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ভাঙ্গা স্টেশনে পৌঁছে যায়। এ যাত্রায় ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটারের পদ্মা সেতু পাড়ি দিতে ট্রেনটির সময় লাগে মাত্র সাত মিনিট।

কমলাপুর ছাড়ার আগে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন সাংবাদিকদের বলেন, পদ্মা সেতুতে রেল যুক্ত হওয়ায় শুধু দক্ষিণাঞ্চল নয়, সারা দেশের মানুষ এর সুফল পাবে। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনে যুগান্তকারী পরিবর্তন বয়ে আনবে। আমরা যেভাবে রেলের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারিত করছি, এর সুফল দেশের মানুষ পাবে।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণসহ পদ্মা সেতু রেল সংযোগের পুরো প্রকল্পের কাজ ২০২৪ সালে জুনের মধ্যে শেষ হবে। ইতিমধ্যে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। এ কারণে আগামী ১০ অক্টোবর ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এ বিষয়ে পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পর পরিচালক মো. আফজাল হোসেন বলেন, পুরো প্রকল্পের কাজ ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে শেষ হবে। ইতিমধ্যে মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত অংশের কাজ শেষ হয়েছে।

প্রকল্প সূত্র জানা গেছে, পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-যশোর পর্যন্ত তিনটি অংশে রেলপথটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ঢাকা-যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার মেইন লাইন, ঢাকা-গেন্ডারিয়া পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার ডাবল লাইন, লুপ, সাইডিং ও ওয়াই-কানেকশসসহ মোট ২১৫ দশমিক ২২ কিলোমিটার ব্রড গেজ রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে।

গত বছর ২৬ জুন পদ্মা সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের প্রায় তিন মাস পর গত বছর ২০ আগস্ট পদ্মার মূল সেতুর জাজিরা প্রান্তে রেললাইন বসানোর কাজের উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী। মূল এবং দুপাশের ভায়াডাক্ট মিলিয়ে পদ্মা রেলসেতুর দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ৬৮ কিলোমিটার। রেলসেতুতে আটটি মুভমেন্ট জয়েন্ট রয়েছে। বিশেষ তাপমাত্রায় মুভমেন্ট জয়েন্টের ইস্পাতের স্লিপারগুলো চীন থেকে তৈরি করে আনা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পটি ২০১৬ সালের ডিপিপি অনুমোদনের সময় ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩৪ হাজার ৯৮৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। মেয়াদ ধরা হয়েছিল ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। কিন্তু ২০১৯ সালের এপ্রিলে প্রকল্পের ব্যয় আরও ৪ হাজার ২৬৯ কোটি ২৭ লাখ টাকা বৃদ্ধি করে ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ৩৯ হাজার ২৫৮ কোটি ১৩ লাখ টাকা। এছাড়া ২০২৪ সালে জুনে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো প্রস্তাব অনুমোদন দেয় একনেক।
জিটুজি ভিত্তিতে প্রকল্পের অর্থায়নে করছে চায়না এক্সিম ব্যাংক। এর মধ্যে এক্সিম ব্যাংকের ঋণ সহায়তা হচ্ছে ২১ হাজার ৩৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। বাকি ১৮ হাজার ২২১ কোটি ৪৪ টাকা ব্যয় হবে সরকারি তহবিল থেকে। মূল প্রকল্পে ৩৪ হাজার ৯৮৮ কোটি টাকার মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ছিলো ৯ হাজার ৯৫৩ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। প্রকল্পটিতে সরকারি অর্থায়ন ১৮ হাজার ২২১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া চীন সরকার জি-টু-জি পদ্ধতিতে ২১ হাজার ৩৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা অর্থায়ন করতে সম্মত হয়েছে। যা আগে ছিল ২৪ হাজার ৭৪৯ কোটি টাকা। ২০১৮ সালের এপ্রিলে চীনের সঙ্গে চূড়ান্ত ঋণচুক্তি হয়। এর দুই বছর আগে কমার্শিয়াল চুক্তি হয়েছিল। প্রকল্পের নির্মাণ কাজ করছে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিআরইসি।
থাকছে ২০টি স্টেশন

পদ্মারেল সংযোগ প্রকল্পে কমলাপুর থেকে যশোর পর্যন্ত ২০টি স্টেশন নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ১৪টি স্টেশনই হবে নতুন। পুরোনো ছয়টি স্টেশনকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে আধুনিক ও যুগোপযোগী করে। কেরানীগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জের নিমতলায় নতুন দুটি স্টেশন নির্মাণ করা হচ্ছে। এছাড়া মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর ও মাওয়া স্টেশন নির্মাণ প্রায় শেষ পর্যায়ে। মাওয়া স্টেশনের পরে পদ্মা সেতু পার হয়ে শরীয়তপুরের জাজিরায় নির্মিত হচ্ছে ‘পদ্মা স্টেশন’। পদ্মা স্টেশনের পরে শরীয়তপুরে ‘শিবচর স্টেশন’।

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় উন্নত দেশের আদলে নির্মাণ করা হচ্ছে জংশন। ভাঙ্গা থেকে একটি লুপ লাইন ফরিদপুর সদর ও অন্য একটি লুপ লাইন নাগরকান্দা পর্যন্ত যাবে। প্রকল্পের আওতায় নাগরকান্দায় স্টেশন নির্মাণ করা হচ্ছে। এরপরে গোপালগঞ্জের মকসুদপুর ও মহেশপুরে নির্মিত হবে দু’টি রেলস্টেশন। এছাড়া নড়াইলের লোহাগড়া, নড়াইল সদরে একটি করে স্টেশন নির্মাণ করা হবে। যশোরের জামদিয়া ও পদ্মবিলে দুটি নতুন স্টেশন নির্মাণ করা হবে বলে প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে।

প্রকল্পের আওতায় বিদ্যমান ছয়টি রেলস্টেশন ঢেলে সাজানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন। এছাড়া গেন্ডারিয়া ও ফরিদপুরের ভাঙ্গা স্টেশন নান্দনিক করে গড়ে তোলা হচ্ছে। সংস্কার করা হচ্ছে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি, যশোরের সিংগাই ও রূপদিয়া স্টেশন।




‘জাওয়ান’ দেখতে হল ভাড়া করলেন বাংলাদেশি শাহরুখ ভক্তরা

বিশ্বব্যাপী বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) মুক্তি পেয়েছে শাহরুখ খানের জাওয়ান। একই দিন বাংলাদেশে মুক্তির কথা থাকলেও সেন্সর না পাওয়ায় মুক্তি পায়নি সিনেমাটি। জানা গেছে, এখনও নাকি সেন্সর সদস্যরা সিনেমাটি দেখেননি। কবে দেখবেন বা কবে সেন্সর হতে পারে সেটিও নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারেননি।

সেন্সর না হলেও বাংলাদেশের শাহরুখ ভক্তদের উন্মাদনায় একফোঁটাও ভাটা পরেনি। সারা বিশ্বেই শাহরুখের অনুরাগীর সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। বাংলাদেশেও রয়েছে শাহরুখের বড় একটা ফ্যানবেজ। তারা ঠিক করেছেন বাংলাদেশে ‘জাওয়ান’ মুক্তি পেলে প্রথম দিনের প্রথম শো তারা একসঙ্গে দেখবেন। আর এজন্য তারা রাজধানীর ব্লকবাস্টার সিনেমাসে একটি হল ভাড়া করে ফেলেছেন। সিনেমা যেদিন মুক্তি পাবে সেদিন সেখানেই তারা দেখবেন শাহরুখ খানের এই সিনেমার প্রথম শো।

বাংলাদেশের শাহরুখ ভক্তদের ফেসবুক পেজ ‘ট্রু এসআরকিয়ান্স বিডি’র সদস্যরা এই আয়োজন করেছেন। আর এই আয়োজনে উপস্থিত হবেন নির্মাতা তপু খান ও মাবরুর রশীদ বান্নাহ। তাদের উপস্থিতির বিষয়টি এই ফেসবুক পেজে জানানো হয়েছে। অগ্রীম হল বুকিংয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্লকবাস্টার সিনেমাসের অ্যাসিস্ট্যান্ট মার্কেটিং ম্যানেজার মাহবুবুর রহমানও।

জনপ্রিয় নির্মাতা অ্যাটলি কুমার পরিচালিত এই সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন দক্ষিণী নারী সুপারস্টার নয়নতারা, বিজয় থালাপতি প্রমুখ। সিনেমায় অতিথি চরিত্রে দেখা যাবে বলিউড তারকা দীপিকা পাডুকোনকে।

উল্লেখ্য, সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি চুক্তি ‘সাফটা’র আওতায় ‘জাওয়ান’ বাংলাদেশে আমদানি করেছে অ্যাকশন কাট এন্টারটেইনমেন্ট। এর বিপরীতে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি করা হয়েছে শাকিব খানের ‘নবাব এলএলবি’।

সূত্র: ইত্তেফাক




স্পটিফাইয়ে বিজ্ঞাপনের সুবিধা হচ্ছে সীমিত

চলতি মাস থেকে স্পটিফাইয়ে বিজ্ঞাপন থেকে আয়ের সুবিধা সীমিত হতে চলেছে। তারমধ্যে অ্যামবিয়েন্ট হোয়াইট নয়েজ পডকাস্টগুলো বিজ্ঞাপন থেকে আয় করার সুবিধা খোয়াচ্ছে। অ্যাম্বিয়েন্ট হোয়াইট নয়েজ পডকাস্ট মূলত সাধারণ অডিও ফাইল। এসব অডিও মূলত বৃষ্টির ঝিরিঝিরি শব্দ বা অন্য কোনো সুর একটানা শোনায়৷ অনেকে যোগব্যায়াম কিংবা রাতে ঘুমোনোর আগে অ্যাম্বিয়েন্ট সাউন্ড শুনে মন ধ্যানস্থ ও শান্ত করার চেষ্টা করে।

স্পটিফাই থেকে আয়ের একটি বড় উৎস অ্যাম্বাস্যাডর অ্যাড প্রোগ্রাম। স্পটিফাইয়ের কথা আপনার পডকাস্টের মাধ্যমে প্রচার করলে আপনি স্পটিফাই থেকে আয় করতে পারবেন। এতদিন প্রায় সবাই এর সুযোগ-সুবিধা উপভোগ করেছে। কিন্তু ১ অক্টোবর থেকে হোয়াইট নয়েজ পডকাস্ট ক্রিয়েটররা আর আয় করতে পারবেন না। তারা অ্যাম্বাস্যাডর অ্যাড প্রোগ্রামের জন্য যোগ্য বিবেচিত হবেন না আর।

তবে এর মানে এই নয় যে হোয়াইট নয়েজ পডকাস্টারদের আয় একেবারেই বন্ধ। তারা পেইড সাবস্ক্রিপশন, অটোমেটেড বিজ্ঞাপন ব্যবহার করতে পারবে। অটোমেটেড বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ইউটিউবের মতো থার্ড পার্টি লিংক তৈরি করে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আয়ের সুযোগ রয়েছে।

স্পটিফাইয়ের অ্যাম্বাস্যাডর প্রোগ্রাম আয়ের একটি ভালো উৎস। জানুয়ারিতে প্রকাশিত এক সূত্রে জানা গেছে, এই বিজ্ঞাপন পদ্ধতি মূলত ইম্প্রেশনের ভিত্তিতে টাকা দেয়। একজনের ইম্প্রেশন ভালো হলে তিনি ১৮ হাজার মার্কিন ডলারও আয় করতে পারবেন। স্পটিফাই এখন কথা বলে বা পডকাস্টেই জোর দিতে চায়। তাদের ধারণা পডকাস্ট আর অ্যাম্বাস্যাডর বিজ্ঞাপন চলতি বছর তাদের ৩৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের লাভ দিতে পারবে। বিষয়টি নিঃসন্দেহে চমৎকার সন্দেহ নেই।

সূত্র: দ্য ভার্জ




মুজিবনগরে ৪ গ্রাম হেরোইনসহ যুবক আটক

৪ গ্রাম হেরোইনসহ জুয়েল রানা (২৮) নামের এক যুবককে আটক করেছে মুজিবনগর থানা পুলিশ। জুয়েল রানা মুজিবনগর উপজেলার আনন্দবাস গ্রামের পশ্চিমপাড়ার হাছান আলীর ছেলে।

বুধবার দিবাগত রাত ১১ টার দিকে মুজিবনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খালিদুর রহমান সংগীয় ফোর্সসহ তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে জুয়েল রানাকে আটক করেন। এসময় তার কাছ থেকে ৪ গ্রাম হেরোইন জব্দ হয়।

এঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মুজিবনগর থানায় একটি মামলা দেওয়া হয়েছে। আটক জুয়েল রানাকে আজ বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে আদালতের মাধ্যমে মেহেরপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।




মেহেরপুরে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ৭

মেহেরপুরে পুলিশের ১২ ঘন্টার অভিযানে বিভিন্ন মামলা ও আদালতের পরোয়ানাভূক্ত ৭ আসামি গ্রেফতার হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে সদর থানা পুলিশের অভিযানে ১৫১ ধারায় ১ ও আদালতের পরোয়ানাভূক্ত জিআর মামলায় ১ জন, গাংনী থানা পুলিশের অভিযানে আদারস মামলার ৩ আসামি ও মুজিবনগর থানা পুলিশের অভিযানে মাদক মামলার ২ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বুধবার দিবাগত রাতে আজ বৃহস্পতিবার ভোররাত পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে পুলিশের পৃথক অভিযানে এসব আসামি গ্রেফতার হন।
মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক ও

মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী রাসের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে মেহেরপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।




ঝিনাইদহ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. আব্দুর রশিদ আর নেই

ঝিনাইদহ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. আব্দুর রশিদ ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।

বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে ঢাকায় আনোয়ার খান মর্ডান মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ তিনি।

অ্যাড. আব্দুর রশিদ কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা মন্ডলির সদস্য, মরমী কবি পাগলাকানাই একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ঝিনাইদহের সাবেক পিপি ছিলেন। গত ২২আগস্ট থেকে বুকে ব্যাথা এবং শাস কষ্ট নিয়ে হাসপাতলে ভর্তি হয়েছিলেন।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পাগলাকানাই ইউনিয়নের বেড়বাড়ি গ্রামে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে তিনি জন্ম গ্রহন করেন, পিতার নাম মৃত আহম্মদ আলী বিশ্বাস। মৃতকালে তিনি স্ত্রী, একপুত্র এবং তিন কন্যা সন্তানসহ অসংখ্য ভক্ত, অনুসারী ও গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।

তাঁর মৃত্যুতে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাই এমপি, সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু, ঝিন্ইাদহ-২ এর সংসদ সদস্য তাহজিব আলম সিদ্দিকী সমি এমপি, ঝিনাইদহ আদালতের আইনজীবী সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, ঝিনাইদহ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম হিরণ চেয়ারম্যান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া জেরিন, উপজেলা পরিষদ, জেলা জাসদের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল ও ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে শোক জানানো হয়েছে।

এছাড়াও তিনি আব্দুর রউফ ডিগ্রি কলেজ, ফজর আলী গালর্স স্কুল এন্ড কলেজ, বেড়বাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বাড়িবাথান দাখিল মাদ্রাসা, জিয়ানগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি থাকার কারণে এসব প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শোক ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করা হয়েছে।

বিকাল বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় ঝিনাইদহ উজির আলী হাইস্কুল এন্ড কলেজ মাঠের ঈদগাহ ময়দানে মরহুমের জানাজার অনুষ্ঠিত হবে।




গাংনীতে ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে আলোচনা সভা

“নিজ আঙ্গিনা পরিস্কার রাখি, ডেঙ্গু মুক্ত বাংলাদেশ গড়ি, জমা পানি সর্বনাশা,এডিস মশা বাধে বাসা, তিনদিনে একদিন, জমা পানি দিন” এ প্রতিপাদ্যে  ডেঙ্গুসহ  মশাবাহিত অন্যান্য রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতা মুলক র্যালী ও আলোচনা সভা করেছে গাংনী উপজেলা প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজিয়া সিদ্দিকা সেতু।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ খালেক।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গাংনী পৌরসভার মেয়র আহম্মেদ আলী,গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা সুপ্রভা রানী।

আলোচনা সভায় গাংনী উপজেলার বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তা ও সাংবাদিকবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠান শুরুতে একটি র্যালী গাংনী উপজেলা পরিষদ থেকে বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।




মেহেরপুরে প্রায় ৪ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‌্যাব—১২  মেহেরপুর ক্যাম্প অভিযান চালিয়ে ৩ কেজি ৯শ গ্রাম গাঁজাসহ সেলিম সর্দার (৩৮) নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে।

আটক মাদক ব্যবসায়ী সেলিম সর্দার কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার পিপলবাড়িয়া গ্রামের লুৎফর সর্দারের ছেলে।

আজ বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে গাংনী উপজেলার সীমান্তবর্তি কাজিপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে গাঁজাসহ আটক করেন। এসময় তার ব্যবহৃত বিদ্যুৎ চালিত ইজিবাইক ও একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।

র‌্যাব—১২ সিপিসি—৩ এর মেহেরপুর ক্যাম্প কমান্ডার সহকারি পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিবতে কাজিপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে গাঁজাসহ সেলিম সর্দারকে আটক করা হয়েছে। এঘটনায় গাংনী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে সোপর্দ করা হয়েছে।




গাংনীর সহগলপুরে হেরোইনসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক

 মেহেরপুরের গাংনীর উপজেলার সহগলপুরে ৪ গ্রাম হেরোইনসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে ধলা পুলিশ ক্যাম্প।

বুধবার রাতে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধলা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (এসআই) তৈৗহিদুল ইসলাম।

বুধবার রাতে সহগলপুরে ধলা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (এসআই) তৈৗহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে সঙ্গিও ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটক কৃতরা হলেন,গাড়াবাড়ীয়া গ্রামের আঃ রাজ্জাকের ছেলে রাজীব (২৩) ও আমির আলির ছেলে শাওন (১৯) । তারা দুজনেই চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, প্রকাশ্যে হেরোইন বিক্রি করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টাকালে তাকে আটক করে, দেহ তল্লাশি করে ৪ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।

ধলা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (এসআই) তৈৗহিদুল ইসলাম জানান, মাদক বিক্রির সময় হাতে নাতে তাদের আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে গাংনী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।