দ্বিতীয় পৃষ্ঠা
প্রথম পাতা
মেহেরপুরে সৈয়দা মোনালিসা ইসলামের উঠান বৈঠক
শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা পৌঁছে দিতে মেহেরপুর জেলা মহিলা লীগের উদ্যোগে উঠান বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
গতকাল বুধবার বিকেলে হালদার পাড়ার ভৈরব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উঠান বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ মেহেরপুর শাখার সাধারণ সম্পাদিকা রুথ শোভা মন্ডলের সঞ্চালনায় মেহেরপুর পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড যুব মহিলা লীগের সভাপতি নুরনাহার বেগমের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপির পত্নী এবং মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সৈয়দা মোনালিসা ইসলাম।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলার সভানেত্রী সামিউল বাসিরা পলি, মেহেরপুর পৌরসভার সভা নেত্রী রোকসানা কামাল রনু, ৭নং ওয়ার্ড সভাপতি চম্পা, মুজিবনগর উপজেলার সভানেত্রী তহমিনা খাতুন সহ বিভিন্ন নেত্রী ও কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জিয়ার ‘হ্যাঁ-না’ ভোট: নির্বাচন ব্যবস্থা সর্বনাশের সূত্রপাত
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বাংলাদেশের শাসন ক্ষমতা বৈধ গণতান্ত্রিক কর্তৃপক্ষের হাত থেকে অবৈধ ক্ষমতা দখলদার সেনা শাসকদের হাতে চলে যায়। তারা নেতৃত্বের দায়িত্ব দেয় সে সময়ের আর্মি চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানের উপর। জিয়ার তখন মূল অ্যসাইন্টমেন্ট খুনিদের বাঁচানো। এর জন্যে দরকার ছিল ক্ষমতা টিকিয়ে রাখা। এজন্য তিনি ক্ষমতায় থেকে দল গঠন এবং একের পর এক নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতা বৈধ করার চেষ্টা করতে থাকেন। এর যেসব রাজনৈতিক অস্ত্র ব্যবহার করতে থাকেন তার নির্বাচন ছিল অন্যতম। চলুন পাঠন আমরা দেখে নেই কেমন ছিল সেই নির্বাচনগুলো।
হ্যাঁ / না ভোট আয়োজন, ১৯৭৭ সাল
জিয়াউর রহমান তখন একইসাথে দেশের রাষ্ট্রপতি,সেনা প্রধান এবং প্রধান সামরিক আইন শাসক। সেনাবাহিনীতে তাঁকে চ্যালেঞ্জ করার কেউ নেই। দেশের ভেতরে রাজনৈতিক বিরোধীরা বিচ্ছিন্ন এবং দিশেহারা। তারপরেও জিয়াউর রহমানকে প্রমাণ করতে হবে, তার জনসমর্থন আছে। শুধু বন্দুকের জোরে তিনি ক্ষমতায় বসেননি। তাই ১৯৭৭ সালের ৩০ মে তার রাষ্ট্রপতি নিয়োগের বৈধতার জন্য প্রথমেই আয়োজন করে হ্যাঁ/না ভোটের। মূলত এই হ্যাঁ/না ভোটের মাধ্যমেই বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা প্রশ্নবিদ্ধ হওয়া শুরু হয়। এতে ভোটার উপস্থিতি ২ শতাংশের নিচে হলেও দেখানো হয়েছিল ৮৮ শতাং শ। আর প্রদত্ত ভোটের ৯৮ শতাংশই দেখানো হয় জিয়ার পক্ষে।
১৯৭৮এ অনিয়মে ভরা রাষ্ট্রপতি নির্বাচন
২১ এপ্রিল,১৯৭৮ তারিখে জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করলেন। নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ হয় ৩ জুন, ১৯৭৮। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জিয়া ছিলেন জাতীয়তাবাদী জোটের প্রার্থী। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন গণঐক্য জোটের প্রার্থী অবসর প্রাপ্ত জেনারেল এম এ জি ওসমানী। অথচ বাংলাদেশের আর্মি অ্যক্টের ২৯২,২৯৩ বিধিতে ছিল , সামরিক বাহিনীর কোন সদস্য তার চাকরির মেয়াদ শেষ না করে নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না । এছাড়া রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অধ্যাদেশ অনুযায়ী কোন সরকারি চাকরিজীবী ও সরকারি বেতন গ্রহিতার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী হবার সুযোগ ছিল না। কিন্তু জিয়া সব আইন ভঙ্গ করে ১৯৭৮ সালের ৩জুন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে।
সেসময়কার গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী সেনাবাহিনী, পুলিশ এবং সরকারি চাকরিজীবীদের জিয়ার পক্ষ নিতে বাধ্য করা হয়। সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে ছাপানো জিয়ার নির্বাচনী পোস্টারে পুরো দেশ ছেয়ে যায়। সরকারি গণমাধ্যমে ঢাকঢোল পিটিয়ে তার নির্বাচনী সমাবেশের খবর প্রচার করে।
অপর প্রার্থী ওসমানী অভিযোগ করেন, গণমাধ্যমে তার বক্তব্য বিকৃতভাবে হয়। তাকে নিয়ে একের পর এক ভিত্তিহীন রিপোর্ট প্রকাশ হয় সরকার নিয়ন্ত্রিত পত্রিকায়। এই নির্বাচনে গণঐক্য জোটের ৪০জন কর্মীকে হত্যার অভিযোগ ওঠে। সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হামলা তথ্য পাওয়া যায় ২০০টির বেশি কেন্দ্রে। পোলিং এজেন্ট আর নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদের বের করে দেয় সংবাদ ছাপা হয় দেশি পত্র-পত্রিকায়।
নির্বাচন কাভার করতে আসা নিউইয়র্ক টাইমসের সাংবাদিক উইলিয়াম বর্ডার ১৯৭৮ সালের ৪ জুন প্রকাশিত রিপোর্টে প্রচুর জাল ভোট আর প্রতিপক্ষ এজেন্টদের নির্বাচনী কেন্দ্র থেকে বের করে দেবার খবর এবং ছবি ছাপে। তার পরেও শতকরা ৭৬ ভাগ ভোট দেখিয়ে রাষ্ট্রপতি হন জিয়া।
প্রশ্নবিদ্ধ ১৯৭৯ সালের নির্বাচন
১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর জিয়াউর রহমান তার একক নেতৃত্বে রাজনৈতিক দল বিএনপি গঠন করেছিলেন। তার সামরিক ক্ষমতা বেসামরিক মোড়ক পরিয়ে পাকাপোক্তভাবে পরিচালনা করার জন্য ১৯৭৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা দেন জিয়াউর রহমান। আবদুল মালেক উকিলের নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনে ছিল তার প্রধান প্রতিপক্ষ।
১৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়। নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি ও দুর্নীতির অভিযোগ ওই সময়ের কোন কোন গণমাধ্যম প্রকাশ করে। অভিযোগ আসে গুণ্ডা বাহিনীর কেন্দ্র দখলের। পাশাপাশি সেনাবাহিনীসহ সরকারি কর্মকর্তাদের প্রমাণ পাওয়া যায়। আওয়ামী লীগ প্রার্থী এবং নেতা কর্মীদের উপর চালানো হয় অত্যাচর ।
সংবিধান লঙ্ঘন করে মুসলিম লীগ, জামায়াতে ইসলাম, পিডিবি এবং নেজামে ইসলামের যুদ্ধাপরাধীদের নতুন জোট ইসলামিক ডেমোক্রেটিক লীগকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ দেয়া হয়। কারচুপির সুযোগ দিয়ে তাদেরকেও ২০টি আসনে জয়ী দেখানো হয়। জিয়ার বিএনপিকে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে ২০৭টি আসনে বিজয়ী ঘোষণা করে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে যে সাম্প্রদায়িক ধর্মভিত্তিক রাজনীতিকে কবর দেয়া হয়েছিল, জিয়া তা কবর থেকে তুলে এনে নতুন জীবন দিয়েছিলেন। বিএনপির মনোনয়নে বিপুল সংখ্যক দালাল ও স্বাধীনতা বিরোধীকে বিজয়ী করে জাতীয় সংসদে আনা হয়। রাজাকারদের পবিত্র সংসদে ঢোকার সুযোগ করে দেন জিয়া।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করা এবং পাকিস্তানের পক্ষে বিশ্বজনমত সৃষ্টির জন্য জাতিসংঘে ছুটে যাওয়া শাহ আজিজুর রহমান এবং রাজিয়া ফয়েজের মত কুখ্যাত রাজাকারদের জিয়াউর রহমান ভোটকারচুপির মাধ্যমে জিতিয়ে এনেছিলেন সে নির্বাচনে।
চারু শিল্পি তারিনের আত্মহত্যা না কী হত্যা ?
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বেতবাড়িয়া গ্রামের সেই চারু তারিণের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে তার কুষ্টিয়ার ভাড়াবাসা থেকে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
তারিন গাংনী উপজেলার বেতবাড়িয়া গ্রামের মশিউর রহমান ওরফে হাসান আলীর মেয়ে। তার স্বামী নবীন এর বাড়ি কুমিল্লাতে। ব্যবসায়ীক সূত্রে কুষ্টিয়া শহরে বসবাস করেন। তারিণের দুই বছর আগে বিয়ে হয়। বর্তমানে তার একটি শিশু রয়েছে।
তবে, তার ফেসবুকের দুটি স্ট্যাটাস মানষের মনে সন্দেহের উদে্র্যক দেখা দিয়েছে। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা এ নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা কল্পনা।
তবে, তারিনের ছোট চাচা মাসুদ জানিয়েছেন, এটি আত্মহত্যা নয়। স্বামী নবীন ও তার প্রথম স্ত্রী তাকে হত্যা করে আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করছে।এছাড়া তার স্বামী ও প্রথম স্ত্রী মিলেই তারিনের মোবাইল ফোন থেকে ফেসবুকে নানা ধরনের স্ট্যাটাস দিয়েছে। এটা একটা সাজানো নাটক। সুষ্ঠ তদন্ত করে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানো হবে তার স্বামীকে।
এঘটনায় কুষ্টিয়াতে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারিনের পরিবার।
উল্লেখ্য, তারিনের ফেসবুকে স্ট্যাটাস ছিল ভালোবাসি তোমাকে দাদি, আমি ছুটি পেয়েছি এবার তোমার কাছে আসছি।
উল্লেখ্য, তারিন বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ছবি একে টেলিভিশন, প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়াতে সাড়া ফেলেছেন। তাকে বিভিন্ন সংস্থা থেকেও বিভিন্ন ভাবে এ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তার সম্পাদনায় কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছে। এলাকায় তাকে চারু তারিন নামেই চেনে।
এদিকে, তারিনকে নির্যাতনকারী স্বামী নবিনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন ও তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন মেহেরপুর প্রতিদিনের প্রকাশক এম এ এস ইমন, সম্পাদক ইয়াদুল মোমিন, সঙ্গীত শিল্পি শাফিনাজ আরা ইরানি, শামিম জাহাঙ্গীর সেন্টু, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি তোজাম্মেল আযম, সম্পাদক মাহাবুব চান্দু, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মাহবুবুল হক মন্টু, সাহিত্যিক ও প্রবন্ধকার সহযোগী অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল আমিন ধুমকেতু. জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক কালু, অরণি থিয়েটারের সভাপতি নিশান সাবের, সম্পাদক আতিক স্বপন, সাহিত্য পরিষদের সভাপতি নুরুল আহমেদ, প্রবীণ চারুশিল্পী গোলাম মোস্তফা, চারুশিল্পী বাকা বিল্লাহ, সাংস্কৃতিক কর্মী অনল,সুমন, চমক,বাবু, অঞ্চল প্রমূখ।
দর্শনায় শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মাষ্টমী পালিত
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দেবতা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মতিথি ও শাস্ত্রমতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ জন্মগ্রহন করেছিলেন ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের আষ্টমী তিথিতে। তার জন্মতিথিকে ঘিরে চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন স্থানে জাঁকজমক পূর্ণভাবে শ্রী কৃষ্ণের ৫২৪৯ তম জন্মদিনে শুভ জন্মাষ্টমী ২০২৩ পালিত হয়েছে।
দেশের হিন্দু সম্পদায় ভাব গাম্ভীর্য ও ঢাক ঢোল পিটিয়ে উৎসবের মধ্যে দিয়ে এই উপলক্ষে সনাতন ধর্মলম্বীরা শান্তিপূর্ণভাবে শোভাযাত্রা বের করে দর্শনার বিভিন্ন শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে । চুয়াডাঙ্গা, আলমডাঙ্গ, দর্শনা,গড়াই টুপি সহ বিভিন্ন স্থানে এই শোভাযাত্রা র্যালি হয়।
আজ বুধবার সকাল ১০ টার দিকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা পুরাতন বাজার মন্দির কমিটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলি মুনসর বাবু, চুয়াডাঙ্গা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জাকিয়া সুলতানা, দর্শনা পৌর মেয়র মোঃ আতিয়ার রহমান হাবু, দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা, দর্শনা নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব মোঃ গোলাম ফারুক আরিফ, দামুড়হুদা উপজেলার সম্মেলন কমিটির আহবায়ক উত্তম কুমার দেবনাথ,পুরাতন বাজার পূজা মন্দির কমিটির সভাপতি প্রন্ত কুমার দেবনাথ,সাধারণ সম্পাদক মিল্টন কুমার শাহা,বাংলাদেশ হিন্দু বোদ্ধৃ খিষ্টান ঐক্য পরিষদের দর্শনা থানার সাধারন সম্পাদক অন্তত কুমার শান্তারা মঙ্গল প্রমুখ।
এ র্যালিতে শত শত হিন্দু সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষ কিশোর-কিশোরী শিশুরা শোভাযাত্রায় অংশ গ্রহণ করেন।
সারা বাংলা ৮৮ চুয়াডাঙ্গা জেলার আয়োজনে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা
শিক্ষা ও সেবামূলক কাজে দেশ বিদেশে চুয়াডাঙ্গা জেলা শ্রেষ্ঠ জেলার মর্যদা পাওয়ায় বন্ধু আনন্দ-সংযোগ এবং এসএসসি উত্তীর্ণ বন্ধু সন্তান কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধণা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বুধবার বেলা ১২টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ মিলনায়তনে সারা বাংলা ৮৮ চুয়াডাঙ্গা জেলা কো- অর্ডিনেটর বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. সায়ীদ মেহবুব উল কাদিরের সভাপতিত্বে ও শিক্ষক মহসিন আলীর সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলওয়াত করেন হামিদুল ইসলাম সেন্টু।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় এডমিন প্যানেলের মডারেটর প্রভাষক লাবন্য মারু, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্যানেলের পক্ষ থেকে শামস গোলাম হোসেন আবীর, ডা.ওয়ালিউর রহমান নয়ন, হাবিবুল করিম চঞ্চল, সাংবাদিক বখতিয়ার হোসেন বকুল, হাসানুজ্জামান পলাশ, শিক্ষক কামরুল হাসান হিরো, শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ, আজিম উদ্দিন, শিক্ষক মোজাম্মেল হক, শাহজাহান ঝন্টু, রাশেদুল ইসলাম, শাহ মোহাম্মদ তারিকুজ্জামান, প্রভাষক ইসমাঈল হোসেন, শারমিন দিলারা লুনা, শাহীন পারভেজ, সব্যসাচী সাহা রাজু, আখতার হোসেন ও আব্দুল মজিদ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ৮৮ ব্যাচের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রিফাত রহমান, জাহাঙ্গীর আলম, জহুরুল ইসলাম, মহিদুল ইসলাম সুমন, লিপু, চঞ্চল, সজল, বিপ্লব, উজিরপুর গ্রামের একরামুল হক, সাজ্জাদ হোসেন, বনানী, রকিব, মোমিন, ইমরান হোসেন দুদু, হাকিমুল বাশার, আমীর খসরু, কামাল, ফারুক, মুজিবুর রহমান, শংকর কুমার দেসহ অন্যান্যরা।
কৃতি শিক্ষার্থীদের জন্য সম্মাননা ক্রেস্টসহ উপহার দেয়া হয় সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর, জায়নামাজ, বই, খাতা ও কলম। ১৯৮৮ ব্যাচের একজন ১৯৮৮ সালে অকৃতকার্য হলেও এবার উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরীক্ষা দিয়ে এসএসসি উত্তীর্ণ হয়েছে। তাকেও বন্ধুদের পক্ষ থেকে বরণ করে নেয়া হয় এবং সংবর্ধনা দেয়া হয়। এছাড়াও এক বন্ধুর মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তী হওয়ার সুযোগ পাওয়ায় তাকে শুভেচ্ছা জানানো হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলার ৫ টি থানা থেকে প্রায় ৭০ জন এসএসসি ১৯৮৮ ব্যাচের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, এসএসসি ৮৮ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠান সারাবাংলা ৮৮ প্যানেল ৬৪ টি জেলাসহ ৬২ টি দেশে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
আলমডাঙ্গায় শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে শোভাযাত্রা-আলোচনা সভা
আলমডাঙ্গায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বুধবার অনুষ্ঠিত উপজেলা ও পৌর পূজা উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু, উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিদ্ধা দাস,থানার ওসি বিপ্লব কুমার নাথসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দের উপস্থিতিতে জন্মাষ্টমির এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সত্যনারায়ন মন্দির প্রাঙ্গণ থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
শোভাযাত্রা শেষে রথতলা মন্দির প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন পৌর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি পরিমল কুমার কালু ঘোষ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র হাসান কাদের গনু।
বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার সালমুন আহমেদ ডন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু, থানার ওসি (তদন্ত) একরামুল হোসাইন, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি কিশোর আগরওয়ালা, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রশান্ত অধিকারী, সহ-সভাপতি সুশীল কুমার ভৌতিকা,জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার কুন্ডু, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিন্দ্রনাথ দত্ত, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান ফারুক।
পৌর হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পলাশ কুমার আচার্য সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক নয়ন সরকার, উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ডাক্তার অমল কুমার বিশ্বাস, পৌর কাউন্সিলর জরুল ইসলাম স্বপন, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ সাধুখা, পৌর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি রিপন কুমার বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক জয় কুমার বিশ্বাস, উপজেলা হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের প্রতিনিধি বাবু অসীম কুমার সাহা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী রবিউল হক প্রমুখ। পরে অতিথিবৃন্দ পুরস্কার বিতরণ করেন।
কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ক্যাম্পের অভিযানে গাজাসহ গ্রেফতার ১
দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা সুবলপুর রোডে দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি আলমগীর কবিরের নির্দেশে একটি মাদকবিরোধী অভিযান চালায় কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ক্যাম্পের এসএই ইমরান হোসেন ও এ এস আই মোসলেম উদ্দিন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সুবলপুর রোডে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায়।
এই অভিযানের সময় মেহেদী পিতা কায়ছার আলী ক্রোকারিজের দোকানের সামনে পাটাচোরা টু সুবলপুর রোডে পাকা রাস্তার উপর হইতে আজ বুধবার সন্ধা ৬ টা ৩০ মিনিটে একটি পফর ও এক কেজি গাজা সহ আবুল কালাম (৩৮) পিতা আকমান’কে গ্রেফতার করেন ।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে দামুড়হুদা মডেল থানায় আজই সোপর্দ করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে আসামির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ।