আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জে গাঁজাসহ ৪ মাদক সেবী গ্রেপ্তার

আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জে তিন’শ গ্রাম গাঁজাসহ ৪ মাদক সেবীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার বিকেলে উপজেলার জেহালা ইউনিয়নের পশুহাট-বেতবাড়িয়া সড়কের বালুর পুকুর নামক এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আটককৃতরা হলেন- উপজেলা জেহালা ইউনিয়নের গড়াগড়ি গ্রামের শ্রী গোড়া চাঁদ পাত্রের ছেলে শ্রী রনি পাত্র (৩৫), সোনাতনপুর গ্রামের শ্রী মনোরঞ্জন বিশ্বাসের ছেলে শ্রী চিত্ত রঞ্জণ বিশ্বাস(৫২), এছাড়াও ডাউকি ইউনিয়নের বাদেমাজু গ্রামের কাজল আলীর ছেলে আশিক হাসান (২০), ডাউকি গ্রামের মৃত রজব আলীর ছেলে আব্দুল লতিফ (৪৫)।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বেতবাড়িয়া-পশুহাট সড়কে মাদক ব্যবসায়ী ও সেবীদের আনাগোনা বেড়েছে। ওই অঞ্চলে মাদক সেবনের জন্য ৪ জন অবস্থান করছে, এমন সংবাদ পায় পুলিশ। গতকাল বুধবার বিকেলে মুন্সিগঞ্জ ফাঁড়িপুলিশের একদল টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদক বিরোধী অভিযান চালায়। এসময় বালুর পুকুর নামক এলাকা থেকে ৪ জনকে সন্দেহজনক জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তাদের শরীর তল্লাশী করে ৩’শ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করে পুলিশ সদস্যরা।

এ ঘটনায় মুন্সিগঞ্জ ফাঁড়ির আইসি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইউসুফ আলি বাদী হয়ে গতকাল বুধবার রাতে তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।

আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৪ মাদক সেবীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।তাদের বিরুদ্ধে থানায় মাদক মামলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট মামলায় তাদের জেল হাজতে পাঠানো হবে।




মেহেরপুরে শহিদুল ইসলাম পেরেশানের গণসংযোগ

শেখ হাসিনা কে আবারো ক্ষমতায় রাখতে ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে মেহেরপুর জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শহিদুল ইসলাম পেরেশানের গণসংযোগের আয়োজন করা হয়।

আজ বুধবার বিকেলে মেহেরপুর সদর উপজেলা ৮নং ওয়ার্ড সুবিদপুর আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে গণসংযোগের আয়োজন করা হয়।

মেহেরপুর জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আতিক স্বপনের সঞ্চালনায়  উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি এর সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রসুল, মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক এম এ এস ইমন, মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি কামরুল হাসান চাদু, সদর থানা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক সাজেদুর রহমান সাজু কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সেক্রেটারির রায়হান উদ্দিন মন্টু
সহ বিভিন্ন নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।




রিজার্ভের পরিমাণ সন্তোষজনক, চলবে সাড়ে চার মাসের বেশি

করোনাভাইরাস মহামারী এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের যে ধাক্কা দেশের রিজার্ভে লেগেছিল, সরকারের নানামুখী পদক্ষেপে তা অনেকটাই কাটিয়ে উঠা সম্ভব হয়েছে।

বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে অর্থনীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর সূচক বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতেই আমদানিকে নিরূৎসাহিত করা হয়েছিল, যার সুফলও মিলতে শুরু করেছে।

গত বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) অর্থনীতির প্রধান সূচকগুলো নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, ‘গ্রস’ হিসাবে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২৯ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার। আর বিপিএম৬ পদ্ধতিতে রিজার্ভ ছিল ২৩ দশমিক ০৬ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, বর্তমানে যে রিজার্ভ আছে তাতে উদ্বেগের কিছু নেই। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শেষ সময়ে ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে বৈদশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল মাত্র তিন দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, সরকারের নানামুখি পদক্ষেপের কারণে এরইমধ্যে রিজার্ভের উন্নতি হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রথমে কোভিড মহামারী এবং তার ধকল কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্বের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে টালমাটাল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। অনেক দেশই পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে। সে তুলনায় বাংলাদেশের অর্থনীতি ভালোভাবেই সচল রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নানামুখি পদক্ষেপের কারণে দেশের কৃষি অর্থনীতিও অনেক ভালো অবস্থায় আছে। যদিও ডলার সংকট মোকাবেলায় সরকার আমদানি নির্ভরতা কমাতে জোর দিয়েছে। এতে পরিস্থিতি দারুণভাবে সামাল দেওয়া যাচ্ছে।

বৈদশিক মুদ্রার রিজার্ভ সম্পর্ক বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক এসব তথ্য জানিয়ে বলেন, “রিজার্ভ কমছে বলে যে তথ্য প্রচার করা হচ্ছে সেটি সঠিক নয়। ২০০৬ সালের তুলনায় বর্তমানে রিজার্ভের পরিমাণ সন্তোষজনক। এখন যে পরিমাণ রিজার্ভ আছে তাতে সাড়ে চার মাসের বেশি চলবে।”

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে বিভিন্ন পণ্য আমদানির জন্য ৪৩৭ কোটি ২৪ লাখ (৪.৩৭ বিলিয়ন) ডলারের ঋণপত্র বা এলসি খুলেছেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা। যদিও এই অঙ্ক গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৩১ দশমিক ১৯ শতাংশ কম।

২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই মাসে ৬৩৫ কোটি ৪০ লাখ (৬.৩৫ বিলিয়ন) ডলারের এলসি খোলা হয়েছিল। অন্যদিকে এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে ২০ দশমিক ১৪ শতাংশ। গত জুলাইয়ে ৭৪৯ কোটি ১৮ লাখ (৭.৪৯ বিলিয়ন) ডলারের এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে। গত বছরের জুলাই মাসে ৫৯৮ কোটি ৩০ লাখ (৫.৯৮ বিলিয়ন) ডলারের এলসি নিষ্পত্তি হয়েছিল।

যদিও ডলার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক বিলাসবহুল ও অপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির লাগাম টেনে ধরতে নানা পদক্ষেপ নেয়। এ কারণে গত অর্থবছরের ধারাবাহিকতায় চলতি অর্থবছরের শুরুতে এলসি খোলার পরিমাণ কিছুটা কমেছে। তবে এটা খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের পুরো সময়ে (২০২২ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের জুন) বিভিন্ন পণ্য আমদানির জন্য সবমিলিয়ে সাত হাজার ২১৯ কোটি ৮০ লাখ (৭২.২০ বিলিয়ন) ডলারের এলসি খুলেছিলেন ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা। যা ছিল আগের অর্থবছরের (২০২১-২২) চেয়ে প্রায় ২৬ শতাংশ কম।

গত ১২ জুলাই থেকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কথামতো রিজার্ভের তথ্য প্রকাশ শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই দিন থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘গ্রস’ হিসাবের পাশাপাশি বিপিএম৬ পদ্ধতি অনুসরণ করেও রিজার্ভের তথ্য প্রকাশ করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এটাকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন অর্থনীতিবিদরা।

ওই দিন (১২ জুলাই) ‘গ্রস’ রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২৯ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার। আর বিপিএম৬ পদ্ধতিতে রিজার্ভ ছিল ২৩ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলার।

অবশ্য গত দেড় মাসে ‘গ্রস’ হিসাবে রিজার্ভ কমেছে ৬৫ কোটি ডলার। আর বিপিএম৬ পদ্ধতির হিসাবে কমেছে ৪১ কোটি ডলার।

আমদানি কমায় এবং প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স ও রপ্তানি আয় বাড়ায় ২০২১ সালের আগস্টে এই রিজার্ভ বাড়তে বাড়তে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে ৪৮ বিলিয়ন ডলারের গ্রস রিজার্ভ (তখন বিপিএম৬ পদ্ধতিতে হিসাব করা হত না) মাইলফলক অতিক্রম করেছিল।

এরপর আমদানি বাড়ায় এবং রপ্তানি আয় ও রেমিটেন্স কিছুটা কম যাওয়ায় হোঁচট খাওয়ায় রিজার্ভও কিছুটা কমতে থাকে। এ কারণে অর্থনীতিতে কিছুটা চাপ বাড়তে থাকে। এ কারণে গত বছরের এপ্রিল থেকে আমদানি ব্যয়ের লাগাম টেনে ধরে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বিলাসবহুল ও অপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি নিরুৎসাহিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়। এর ফলে আমদানি খরচ বেশ কমে এসেছে।

অবশ্য সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) জুলাই-আগস্ট মেয়াদের আমদানি বিল পরিশোধ করতে হবে। তখন রিজার্ভ আরেকটু কমে আসবে বলে জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংকাররা।

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের আমদানি সংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায়, জুলাই মাসে খাদ্য (চাল ও গম) আমদানির এলসি কমেছে ২১ দশমিক শূন্য এক শতাংশ; নিষ্পত্তি কমেছে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ।

নতুন শিল্প স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় ক্যাপিটাল মেশিনারি (মূলধনি যন্ত্রপাতি) আমদানির এলসি কমেছে সবচেয়ে ২২ দশমিক ১৭ শতাংশ; নিষ্পত্তি কমেছে ১ দশমিক ৮৭ শতাংশ।

শিল্পের মধ্যবর্তী পণ্য (ইন্টারমেডিয়েট গুডস) আমদানির এলসি কমেছে ৩০ দশমিক ৬৫ শতাংশ; নিস্পত্তি কমেছে ১৭ শতাংশ। জ্বালানি তেলের এলসি কমেছে ৫০ দশমিক ১২ শতাংশ; নিষ্পত্তি বেড়েছে ৩৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ।

শিল্পের কাঁচামাল আমদানির এলসি কমেছে ৩৬ দশমিক ১২ শতাংশ; নিষ্পত্তি কমেছে ২৪ দশমিক ৩১ শতাংশ।

এছাড়া নতুন অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে অন্যান্য পণ্য আমদানির এলসি কমেছে ১৮ দশমিক ৬২ শতাংশ; নিষ্পত্তি কমেছে ১১ দশমিক ২১ শতাংশ।

২০২২-২৩ অর্থবছরে পণ্য আমদানিতে মোট ৬৯ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে বাংলাদেশ। যা ছিল আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ কম।

দেড় বছর ধরে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও ডলারের সংকট দেখা দিয়েছে। গত বছরের মার্চে দেশে মার্কিন ডলারের যে সংকট শুরু হয়েছিল, তা এখনো পুরোপুরি কাটিয়ে উঠা যায়নি। তেমনি রিজার্ভ থেকে বিভিন্ন ব্যাংকে ডলার বিক্রিও বন্ধ হয়ে যায়নি। এটা নিয়মিত চলছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, প্রয়োজনীয় আমদানি অব্যাহত রাখতে দুই বছরের বেশি সময় ধরে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করে চলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চলতি অর্থবছরের জুলাই মাসে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করা হয়েছে এক হাজার ১৪৭ মিলিয়ন। গত অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করেছে ১৩ দশমিক ৫৮ মিলিয়ন।

২০২১-২২ অর্থবছরে ৭ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হয়েছিল। আর চলতি অর্থবছরের বৃহস্পতিবার পর্যন্ত (প্রায় দুই মাস) বিক্রি করা হয়েছে দেড় বিলিয়ন ডলারের মত। তবে সব ব্যাংকের কাছে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে না বাংলাদেশ ব্যাংক। শুধু সরকারের প্রয়োজনীয় কেনাকাটা সারতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করা হচ্ছে।

বৈদশিক মুদ্রার রিজার্ভসহ সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, “ডলার কেনাবেচা হচ্ছে। তবে সবাই যে ডলার বিক্রি করবে তাতো নাও হতে পারে। কারণ অনেকের কাছে ডলার নাও থাকতে পারে। যার কাছে নেই সে কেনাবেচা করতে পারবে না এটাই স্বাভাবিক। যাদের কাছে আছে তারাই বিক্রি করবেন।”




মেহেরপুরে শ্রী কৃষ্ণের জন্মাষ্টমীতে আলোচনা সভা ও প্রার্থনা অনুষ্ঠিত

মেহেরপুরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের যুগবতার ভগবান শ্রী কৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার  সকাল ১১ টায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধিনস্ত হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট মেহেরপুর জেলা শাখার আয়োজনে মেহেরপুর শহরের মল্লিক পাড়ায় মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম, মেহেরপুরের সহকারী পরিচালকের কার্যালয়ে এই প্রার্থণা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এড. শম্ভুনাথ রায়ের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ শামিম হোসেন। জয়ন্ত কুমার সাহার সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুজা উৎযাপন কমিটি মেহেরপুর জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ এবং মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম, মেহেরপুরের সাথে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোঃ শামিম হোসেন বলেন, ‘আমাদের দেশে আগে হিন্দু মুসলিম সম্প্রীতির যে দৃঢ় বন্ধন ছিলো মাঝে কিছু কারণে সে বন্ধনের দৃঢ়তা কমে গিয়েছিল, শেখ হাসিনার নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপে এই বন্ধন আবার দৃঢ় হচ্ছে। আমাদের সন্তানদের জাত পাত ও ধর্মীয় বিভেদের উর্ধ্বে রেখে মানুষ হিসেবে গড়ে তেলার দ্বায়িত্ব আমাদেরই। ‘

পরে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে গীতাপাঠ, পুজার্চনাসহ ধর্মীয় রীতিতে প্রার্থনা করা হয়।




মেহেরপুর পৌরসভার উদ্যোগে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন অভিযান

ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে এডিস মসার লাভা নির্মুল ও মেহেরপুর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল চত্ত্বর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করতে উদ্যোগ নিয়েছেন মেহেরপুর পৌর সভার মেয়র।

আজ বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে হাসপাতাল চত্ত্বর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ও এডিস মশার লাভা ধ্বংশ করতে বিষ ছিটানো হয়।

মেহেরপুর পৌর সভার ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আল মামুন ও ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোস্তাক আহম্মেদের নেতৃত্বে মেহেরপুর পৌর সভার পরিচ্ছন্ন কর্মীরা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমে অংশ নেন।

২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আলম মামুন বলেন, বর্তমানে ডেঙ্গু পরিস্থিতি বেড়ে যাওয়ায় মেহেরপুর পৌর সভার পক্ষ থেকে হাসপাতাল চত্ত্বর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। এখন থেকে প্রতিদিনই মেহেরপুর পৌর এলাকার বিভিন্ন এলাকায় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম চলবে। পাশাপাশি এডিস মশার বংশ নির্মুল করতে এডিস মশার লাভা বিষ প্রয়োগ করা করা হবে।
এসময় পৌরসভার পরিচ্ছন্ন কর্মী ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।




ক্যাপাসিটি চার্জ কী বোঝা, নাকি সক্ষমতার ভিত্তি?

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সংসদে বিদ্যুৎ বিষয়ক প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিয়ে কিছু তথ্য উপস্থাপন করেন। তাতে দেখা যায় বর্তমান সরকার তিন মেয়াদের ১৪ বছরে কুইক রেন্টালের ভাড়া এবং ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ ১ লক্ষ ৫ হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করেছে। এনিয়ে দেশের দুই গণমাধ্যমে যে ভাবে সংবাদ ছেপেছে তাতে মনে হচ্ছে সরকারী বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো অলস বসে থেকে ক্যাপাসিটি চার্জের নামে রাষ্ট্রের অর্থের অপচয় করেছে সরকার। তথ্যের খেলায় পাঠকদের বিশেষ দিকে ধাবিত করার অপচেষ্টা।

কিছু গণমাধ্যমে যেভাবে উপস্থাপন
মঙ্গলবার সংসদে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। সেই তথ্য দিয়ে বুধবার প্রথম আলো প্রধান খবর হিসেবে প্রকাশ করেছে। শিরোনাম দেওয়া হয়েছে- “বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভাড়া কারা কতো পেলো”। আর ডেইলি স্টারের শিরোনাম ”ক্যাপাসিটি চার্জের বোঝা, চিন্তার চেয়েও বেশি। এছাড়া বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সংসদে উপস্থাপিত তথ্যকে এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যেনো প্রাইভেট বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে বসিয়ে বসিয়ে টাকা দিচ্ছে সরকার। কেন কুইক রেন্টালগুলোকে বসিয়ে বসিয়ে টাকা দিচ্ছে এই নিয়ে কোথাও কোন ব্যাখা বা তথ্য দেয়া হয়নি।

কুইক রেন্টাল কেন এলো
৩০ বছর আগেই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য জ্বালানি হিসাবে বিবেচনা করা হতো তেল আর গ্যাসকে। তার আগে হতো জলবিদ্যুৎ। ২০০০ সালের আগে পরে তেলের দাম কম থাকতে তেল নির্ভর বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলোতে ইনভেস্টমেন্ট করতে শুরু করে বড় প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানগুলো। তখন ১/২ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ সমৃদ্ধ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে বিদ্যুৎকেন্দ্র করবার সক্ষমতা ছিল না। আর ২০০৯ সালে ৩২৬৮ মেগাওয়াট সক্ষমতা নিয়ে দেশে প্রয়োজন ছিল চটজলদি বিদ্যুৎ আর সঞ্চালন লাইন, সাবস্টেশন নির্মাণসহ ভবিষ্যতের বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা। দিনে ১৫/১৬ ঘণ্টার লোডশেডিং ও বিদ্যুতের কারণে শিল্পের উৎপাদন হ্রাস থেকে চটজলদি বিদ্যুৎ এর জন্য কুইক রেন্টালের কোন বিকল্প ছিল না সেই সময়ে।

ক্যাপাসিটি চার্জ কী
প্রাইভেট কুইক রেন্টাল থেকে সরকার নগদ টাকায় বিদ্যুৎ কিনে নেয় নির্দিষ্ট সময়ের জন্য। কিন্তু প্রাইভেট এই ইনভেস্টরদের ইনভেস্টমেন্ট রিটার্ন এর কথাটা মাথায় রাখা আবশ্যক ছিল। কেউ ১/২ হাজার কোটি টাকা ইনভেস্ট করে একটা বিদ্যুৎকেন্দ্র বানাচ্ছে, এখন সরকারের যদি বিদ্যুতের অল্টারনেটিভ সোর্স তৈরি হয়ে যায় আর বিদ্যুৎ না কেনে ওই সকল কেন্দ্র থেকে তাহলে কি হবে? এতো ইনভেস্টমেন্ট তো মাঠে মারা যাবে। তখন আসে ক্যাপাসিটি চার্জ বিষয়টা।

মানে সরকার যদি বিদ্যুৎ নাও কেনে, একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত মিনিমাম একটা এমাউন্ট ওই বিদ্যুৎ কোম্পানিকে দিতে হবে, যতদিন সেই প্রকল্পে বিনিয়োগকৃত মূলধন, খরচ আর লাভ উঠে না আসে। কোন কোন বিদ্যুৎ প্রকল্পের ক্ষেত্রে এর সময়টা ১৫ থেকে ২৫ বছরের একটা চুক্তি। আবার প্রাথমিক চুক্তির মেয়াদ শেষ হলেও যদি সরকারের বিদ্যুৎ প্রয়োজন থাকে তাহলে ৩/৪ বছরের জন্য চুক্তি নবায়ন করতে পারবে।

আপনি হলে কী করতেন
একটা বিশেষ পণ্যের ব্যবসা শুরু করলেন যেটা শুধু সরকার কিনতে পারবে। সেই পণ্য উৎপাদনের জন্য আপনি ৫০ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ নিয়ে কারখানা বানালেন। এখন দুই বছর পরে হুট্ করে যদি সরকার বলে তারা আপনার কাছ থেকে আর পণ্য কিনবে না কারণ আরেকটা কারখানা থেকে তারা আও সহজেই পণ্য কিনতে পারছে, তখন আপনি কি করবেন? আপনি অবশ্যই আপনার লাভসহ বিনিয়োগ উঠে আসার নিশ্চয়তা চাইবেন, এই নিশ্চয়তা থেকেই এসেছে ক্যাপাসিটি চার্জ বিষয়টা। অর্থাৎ চুক্তির নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত যদি সেই সকল কুইক রেন্টাল থেকে বিদ্যুৎ না কেনে, তাহলে প্রতিমাসে নির্দিষ্ট একটা চার্জ দিতে হবে কুইক রেন্টালগুলোকে, যেটা “ক্যাপাসিটি চার্জ” হিসাবে পরিচিত।

ক্যাপাসিটি চার্জ কেন নিরাপদ সিদ্ধান্ত
২০১৪/১৫ থেকে সম্ভবত সরকার কয়লা বিদ্যুতের দিকে গেছে, যেখানে সরকার নিজেই বিনিয়োগ করে বা সহজ শর্তে বৈদেশিক ঋণ নিয়ে, বা যৌথ অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বিদ্যুৎকেন্দ্র বানাচ্ছে। এখন এই সকল কয়লা আর এলএনজি নির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কিনলে বেশি দাম দিয়ে তেল নির্ভর প্রাইভেট প্রকল্প থেকে বিদ্যুৎ কেনার প্রয়োজন নেই। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তেল ভিত্তিক ভাড়ার বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কেনাটা অনেক দাম পরে যাচ্ছে, কারণ ২০০০ সালে যেই তেলের দাম ছিল ১২ টাকা লিটার, বর্তমানে সেই তেলের দাম ১০৯ টাকা লিটার। তাই বেশি দামে বিদ্যুৎ কিনলে সরকারের যা খরচ হবে, তারচেয়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ ক্যাপাসিটি চার্জ দিয়ে দিলে খরচ কম হবে, এই চিন্তা থেকে ক্যাপাসিটি চার্জ দিয়ে দেয়াটাই নিরাপদ সিন্ধান্ত।

বর্তমানে ১০২ টি বেসরকারি বিদ্যুতকেন্দ্রের মধ্যে ৮টি কুইক রেন্টালের সাথে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও সরকার চুক্তি নবায়ন করেনি। কারণ ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি ও নিজস্ব সক্ষমতা বৃদ্ধির কারণে, সরকারের আর প্রয়োজন নেই সেই সকল কুইক রেন্টাল থেকে বিদ্যুৎ কেনার। কিছু কুইক রেন্টাল থেকে চুক্তির বাধ্যবাধকাতার কারণে বিদ্যুৎ এখনও কিনতে হচ্ছে সরকারকে, বা ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হচ্ছে। কারণ বর্তমানে মোট প্রয়োজনের মাত্র ৪৪ শতাংশ সরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে উৎপাদন করতে পারছে। এখনও ৪৩ শতাংশ বিদ্যুতের জন্য বেসরকারি রেন্টালের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে সরকারকে।

এখন ২০২৩ এ বসে সেই চুক্তি আর ক্যাপাসিটি চার্জকে অনর্থক মনে হতেই পারে। কিন্তু ৯৬/৯৭/৯৮ সালে ওই প্রাইভেট কোম্পানির শর্তে রাজি না হলে কোন বিদ্যুৎ উৎপাদনই সম্ভব হতো না তখন। শিল্পের উৎপাদন আর লোডশেডিং থেকে নিস্তারের জন্য বসে থাকতে হতো আরও ৭/৮ বছর।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার অংশ হিসাবে গত ১৪ বছরে সরকারি বিনিয়োগে বিদ্যুতের বড় বড় প্রকল্পের সাথে সাথে সরকার বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন বাড়িয়েছে প্রায় দ্বিগুণ। বেড়েছে আধুনিক টেকনোলজি সম্পন্ন সাবস্টেশনের সংখ্যা। বিদ্যুৎ গ্রাহকের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৩ গুণ।




মুজিবনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বহি:স্কার, কমিটি বিলুপ্ত

মুজিবনগর উপজেলা ছাত্রলীগ সম্পাদকের মাদক গ্রহনের ছবি ভাইরাল এবং সংগঠন পরিপন্থী কার্যকলাপের কারনে শেখ সাকিবকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে। সেই সাথে স্থায়ীভাবে বহি:স্কারের জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ বরাবর সুপারিশ করা হয়েছে। এদিকে একই বিজ্ঞপ্তিতে মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় মুজিবনগর উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুস সালাম বাঁধন ও সাধারণ সম্পাদক মুনতাছির জামান মৃদুল স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

জানা গেছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মুজিবনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ সাকিবের মাদক গ্রহনের ছবি ভেসে বেড়াচ্ছে । জনগনের বন্ধু নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে গত ১১ আগষ্ট সাকিবের ইয়াবা সেবনের একটি ছবি পোষ্ট করা হয়। পরে মূহুর্তেই ছড়িয়ে পড়ে ছবিটি। পরে গত ২ সেপ্টেম্বর গাঁজা সেবনের আরও একটি ছবি একই আইডি থেকে পোষ্ট করা হয়। সেই সাথে তাকে বহিষ্কারের দাবি জানায় ওই ফেসবুক আইডিটি। এছাড়াও ছাত্রলীগের মহাসমাবেশে না গিয়ে বিএনপি নেতা কর্মীদের সাথে বসে আড্ডা দেওয়ারও ছবি পোষ্ট করে জনগনের বন্ধু নামের ওই ফেসবুক আইডিটি। এতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে মেহেরপুর জেলার বিভিন্ন ইউনিটের ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা। এরকম মাদকাশক্ত একজন ছাত্রনেতার অবিলম্বে বহিষ্কারের দাবি জানায় ছাত্রলীগ নেতারা।

মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুস সালাম বাঁধন ও সাধারণ সম্পাদক মুনতাছির জামান মৃদুল বলেন, সংগঠণ বিরোধী, শৃংখলা পরিপন্থি, অপরাধমুলক এবং সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুন্ন হয় এমন কার্যকলাপের সাথে জড়িত থাকার অপরাধে মুজিবনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ সাকিব কে সাময়ীক বহি:স্কার করা হয়েছে। এছাড়া মুজিবনগর উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় কমিটির সকল কার্যক্রম বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

মেহেরপুর ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা কর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমরা দেখেছি তার মাদক গ্রহনের ছবি। এতে ছাত্রলীগের মান ক্ষুন্ন হয়েছে। মুজিবনগর উপজেলার মহাজনপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা কর্মী জানায়, মুজিবনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বির্তকীত কাজ করে ছাত্রলীগকে কলঙ্কিত করছে। অবিলম্বে এমন ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ারও জোর দাবি জানান তারা। এছাড়াও মুজিবনগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদে থেকে সে বিয়েও করেছে। ইতিমধ্যে তার একটি কন্যা সন্তানও আছে। ২০১৭ সালের ২৯ নভেম্বর চার সদস্যের মুজিবনগর ছাত্রলীগের কমিটির অনুমোদন দেই জেলা ছাত্রলীগ। পরে তিন মাসের মধ্যে পূর্নাঙ্গ কমিটি করার নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু ৬ বছরেও হয়নি পূর্নাঙ্গ কমিটি।




মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক এমএ খালেক অসুস্থ্য

মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ খালেক অসুস্থ্য হয়ে মেহেরপুর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে এমএ খালেক হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে মেহেরপুর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তিনি কোল্ড এনার্জি ও হাইপ্রেসারে ভুগছিলেন। বর্তমানে তার অবস্থা উন্নতির দিকে বলে জানান তিনি।

এমএ খালেক জানান,গতকাল সোমবার সন্ধ্যার দিকে ব্যক্তিগত অফিসে বসে নেতাকর্মীদের সাথে রাজনৈতিক আলাপচারিতায় ছিলাম। হঠাৎ অসুস্থ্য হয়ে পড়লে দ্রুত মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে পরিবারের লোকজন।

তিনি বলেন, কোল্ড এনার্জি থেকে এ্যাজমায় রুপ নিয়েছে। বর্তমানে হাইপ্রেসার, অক্সিজেন ও রক্তের লেবেল নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এক সপ্তাহ পর্যন্ত বিছানায় বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক।




নিয়োগ দেবে বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটিতে ট্রেইনি অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে পারেন।

পদের নাম

ট্রেইনি অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার (জেনারেল)।

শিক্ষাগত যোগ্যতা

যেকোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে (চার) বছরের অনার্স সহ স্নাতকোত্তর পাস হতে হবে।

যেকোনো স্বীকৃত ইউজিসি অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসএসসি ইঞ্জিনিয়ারিংয় ডিগ্রি থাকতে হবে। স্নাতক বা স্নাতকোত্তর সিজিপিএ ৪.০০ এর মধ্যে ৩.০০ বা সমমানের ফলাফল। এসএসসি/এইচএসসিতে জিপিএ ৫.০০ এর মধ্যে ৪.০০। কোনো তৃতীয় বিভাগ/ শ্রেণি বা সম মানের ফলাফল অনুমোদিত নয়।

কর্মস্থল

বাংলাদেশের যে কোনো স্থানে।

বেতন

আলোচনা সাপেক্ষে।

আবেদন প্রক্রিয়া

আগ্রহী প্রার্থীরা বিডিজবস অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ তারিখ

১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩।

সূত্র : বিডিজবস




মেহেরপুরে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ৩

মেহেরপুর সদর থানা ও গাংনী থানা পুলিশের নিয়মিত অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৩ জন আসামি গ্রেফতার হয়েছে।

সদর থানা পুলিশের অভিযানে চুরির মামলার আসামি সদর উপজেলার কোমপুর গ্রামের জুলমত আলীর ছেলে আবুল কালাম আজাদ, গাংনী থানা পুলিশের অভিযানে মকবুল হোসেন ও শরিফুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে দুটি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করেন।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ও গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে এসব আসামিদের গ্রেফতার করে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতদের আজ বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে আদালতের মাধ্যমে মেহেরপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।