কুষ্টিয়ায় বজ্রপাতে ৪ জন নিহত: আহত ৭

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বজ্রপাতের এক নারীসহ ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। বজ্রপাতে আরও ৭ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

আজ বুধবার (৯ অক্টোবর) বিকেল ৪টার দিকে দৌলতপুর উপজেলার হোসনেবাদ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

দৌলতপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুবুর রহমান চার জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহতরা হলেন- দৌলতপুর উপজেলার হোসনেবাদ এলাকার কৃষক নিজাম উদ্দিন (৪৮), তারজুল ইসলাম (২৫) আওলাদ হোসেন (৬০) এবং ফারাকপুর গ্রামের জরুরা খাতুন (৪০)।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুবুর রহমান জানান, হতাহতরা সবাই মাঠের কাজ করছিল। এসময় প্রচণ্ড জোরে বজ্রসহ বৃষ্টি শুরু হলে তারা একটি ছাপড়া (একচালা) ঘরের নিচে গিয়ে আশ্রয় নেয়। এসময় সেখানে বজ্রপাত হলে সবাই আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক চারজনকে মৃত ঘোষণা করেন।




 নিয়োগ দিচ্ছে ড্রাগ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড

ড্রাগ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড ‘মেডিকেল প্রমোশন অফিসার’ পদে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। আবেদন প্রক্রিয়া আজ ০৯ অক্টোবর শুরু হয়েছে। আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। অনলাইনের মাধ্যমে আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত প্রার্থীরা মাসিক বেতন ছাড়াও প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী অন্যান্য সকল সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম : ড্রাগ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড। পদের নাম : মেডিকেল প্রমোশন অফিসার। পদসংখ্যা : নির্ধারিত নয়।

শিক্ষাগত যোগ্যতা : যে কোনো বিষয়ে স্নাতক/স্নাতকোত্তর ডিগ্রি। অন্যান্য যোগ্যতা : সংশ্লিষ্ট কাজের দক্ষতা। অভিজ্ঞতা : প্রয়োজন নেই।

চাকরির ধরন : ফুলটাইম। কর্মক্ষেত্র : অফিসে। প্রার্থীর ধরন : নারী-পুরুষ (উভয়)। বয়সসীমা : সর্বোচ্চ ৩০ বছর।

কর্মস্থল : দেশের যে কোনো জেলায়। বেতন : আলোচনা সাপেক্ষে। অন্যান্য সুবিধা : লাভ শেয়ার, গ্র্যাচুইটি, প্রভিডেন্ট ফান্ড, প্রতি বছর বেতন পর্যালোচনা, দুপুরের খাবারের সুবিধা, উৎসব বোনাস।

আবেদন যেভাবে : আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন। আবেদনের শেষ সময় : ১৫ অক্টোবর ২০২৪

সূত্র: কালবেলা




কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন না করেই ফিরে গেলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট

কুষ্টিয়ায় ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলন চলাকালে ৫ আগস্ট আশরাফুল ইসলাম ও সুরুজ আলী বাবু গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাদের দাফন করা হয়। পরে এ হত্যার ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা করা হলে মরেদহ ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।

আজ বুধবার (৯ অক্টোবর) মরদেহ উত্তোলনে গেলে দুই পরিবারই আপত্তি জানায়। এতে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন না করেই ফিরে যান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ ও সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আদালতের নির্দেশে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত বাবু ও আশরাফুলের মরদেহ উত্তোলনের জন্য কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর কেন্দ্রীয় কবরস্থান যায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, পুলিশ সদস্যরা সহ সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু মরদেহ উত্তোলনে নিহত দুই পরিবারই আপত্তি জানায়। এ অবস্থায় কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করেও মরদেহ উত্তোলন না করেই ফিরে যান জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

নিহত দুই পরিবারের সদস্যরা জানান, বাবু ও আশরাফুল নিহতের দুই মাস পার হয়ে গেছে। তাই তারা লাশ তুলতে দেবেন না।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলন চলাকালে ৫ আগস্ট বিকাল ৩টা ৫০ মিনিটের দিকে কুষ্টিয়া শহরের থানাপাড়ার আড়ংয়ের সামনে রাস্তার উপর আন্দোলনকারী বাবুকে এলোপাথাড়িভাবে মারপিট ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনায় রাইসুল হক বাদী হয়ে ৩৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ৪০/৫০ জনকে। নিহত বাবু কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর গ্রামের শালদহ এলাকার মৃত নওশের আলীর ছেলে। বাবু পেশায় স্বর্ণকার ছিলেন।

দায়িত্বরত কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদ হাসান বলেন, মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আদালতের নির্দেশে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত বাবু ও আশরাফুলের মরদেহ উত্তোলনের জন্য কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে এসেছিলাম। নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়ায় মরদেহ উত্তোলন করা সম্ভব হয়নি।

ছাত্র-জনতা আন্দোলন চলাকালে ৫ আগস্ট দুপুর দেড়টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের বকচত্বরের উত্তর দিকে শতাব্দী ভবনের সামনে আশরাফুল ইসলামকে তলপেটে, বাম পায়ের উরুসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ২০ আগস্ট নিহত আশরাফুল ইসলামের স্ত্রী লাবণী আক্তার ইতি কুষ্টিয়া মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

এ মামলায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকর্মী সহ মোট ২৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ৫০-৬০ জনকে। নিহত আশরাফুল ইসলামকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার শালদহ গ্রামের কফিল উদ্দিনের ছেলে। তিনি রঙ মিস্ত্রির কাজ করতেন।




ঝিনাইদহে বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু

ঝিনাইদহ শহরের পৌর এলাকার ভুটিয়ারগাতী গ্রামে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে হাসান আলী মন্ডল (৩৫) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

আজ বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে ওই গ্রামের উত্তরপাড়ায় এ ঘটনাটি ঘটে। মৃত হাসান আলী মন্ডল একই গ্রামের সেলুন মন্ডলের ছেলে।

স্থানীয় মোফাজ্জেল হোসেন জানান, গ্রামের মতিয়ার মিয়ার বাড়ীর পাশে লম্বা কোটা দিয়ে কড়াইগাছ থেকে খড়ি ভাঙ্গছিলো। সেসময় ওই কোটা মেনলাইনের তারে লেগে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তার গায়ে আগুন ধরে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপালে নিয়ে যায়।

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ নবী নেওয়াজ জানান, বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে হাসান আলী হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়।

ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শাহীন উদ্দীন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, হাসানের পরিবারের লোকজন থানায় আসছে। এ ঘটনায় সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি হয়েছে।




জানা গেল কবে মুক্তি পাচ্ছে ‘দরদ’

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড বাতিল করে চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড গঠিত হওয়ার পর সম্প্রতি সেখান থেকে মুক্তির অনুমতি পেয়েছে শাকিব খান অভিনীত নতুন সিনেমা ‘দরদ’। অবশেষে ১ মিনিট ১৫ সেকেন্ডের টিজার প্রকাশের মাধ্যমে জানা গেল ‘দরদ’ সিনেমা মুক্তির তারিখ।

গতকাল মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) শাকিব খানের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে ‘দরদ’ সিনেমার টিজার প্রকাশ করে ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘অপেক্ষা অবসান। বহুল প্রতীক্ষিত দুলু মিয়া আসছে বিশ্বব্যাপী ১৫ নভেম্বর।’ ছবিটি মুক্তির তারিখ নিশ্চিত করে পরিচালক অনন্য মামুন বললেন, ‘আগামী ১৫ নভেম্বর আমরা প্রেক্ষাগৃহে আসছি। শুধু বাংলাদেশ নয়, একসঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মুক্তি পাবে ছবিটি। আস্তে আস্তে সব জানিয়ে দেওয়া হবে।’

প্রসঙ্গত, ‘দরদ’ ছবিতে শাকিব খানের চরিত্রের নাম দুলু মিয়া। শাকিব খানের ফেসবুক পেজ থেকে পোস্ট হওয়া টিজার এক ঘণ্টায় দুই হাজারের বেশি শেয়ার হয়েছে। রিঅ্যাকশন এসেছে ৬০ হাজারের মতো এবং মন্তব্য করা হয়েছে সাত হাজারের বেশি। ভিউ হয়েছে ৬ লাখের কাছাকাছি।

ছবিটির মুক্তির খবর সবার সামনে আনতে পেরে খুশি পরিচালক অনন্য মামুন। তিনি বললেন, ‘ছবিটি নিয়ে আমাদের ভিন্ন রকম পরিকল্পনা আছে। সেভাবেই এগোচ্ছি আমরা। আমরা কষ্ট করে ছবিটি বানিয়েছি। এখন যাদের জন্য বানানো হয়েছে, ছবিটি তাদের কাছে পৌঁছে দিতে পারলেই আমাদের পরিশ্রম সার্থক।’

এদিকে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি ও চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডের অন্যতম সদস্য কাজী হায়াৎ বলেছেন, ‘কোনো ধরনের কাটাছেঁড়া ছাড়াই ‘দরদ’ পাস করেছে। এটি প্রেমের ছবি, দেখে আমার কাছে ভালো লেগেছে। এটিকে আমি ভালো ছবি বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করব। দায়িত্বশীল পদে থেকে এর বেশি কিছু আমি বলতে পারব না।’

কাজী হায়াতের কথার সঙ্গে মিল পাওয়া গেল খিজির হায়াত খানের কথার সঙ্গেও। তিনি বললেন, ‘এটি পুরোপুরি বাণিজ্যিক ছবি। শাকিব খান বেশ ভালো অভিনয় করেছেন। অনন্য মামুন ও তার টিম যে পরিশ্রম করেছে, তা পর্দায় দৃশ্যমান। ছবিটা দ্রুত প্রেক্ষাগৃহে আসুক। প্রেক্ষাগৃহ চাঙ্গা হোক। আমার বিশ্বাস, প্রেক্ষাগৃহ চাঙ্গা হবে।’
যৌথ প্রযোজনায় তৈরি হয়েছে ‘দরদ’।

নভেম্বর অথবা ডিসেম্বরে ‘দরদ’ প্যান ইন্ডিয়া ছবি হিসেবে বাংলাদেশ, ভারতসহ বিশ্বব্যাপী মুক্তি দিতে চায় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। চলতি বছর পবিত্র ঈদুল আজহায় ‘দরদ’ ছবির টিজার প্রকাশ হয়েছিল। সাইকো-থ্রিলার ধাঁচের গল্পে তৈরি ছবির সেই টিজার নজর কাড়ে। ১ মিনিট ৩০ সেকেন্ডের টিজারে শাকিবের সঙ্গে বলিউড নায়িকা সোনাল চৌহানের রসায়ন নিয়ে আলোচনা হয়। শাকিব-সোনাল ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন পায়েল সরকার, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, রাজেশ শর্মা, এলিনা শাম্মী, ইমতু রাতিশ, রাহুল দেব, অলোক জৈন, সাফা মারিয়া।

সূত্র: ইত্তেফাক




গাংনীতে স্বপ্ন সুপার সপকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

ভূয়া আমদানিকারকের নাম ও ঠিকানা ব্যবহার কওে বিদেশি পণ্য বাজারজাত ও বিক্রয়ের অপরাধে মেহেরপুরের গাংনীর স্বপ্ন সুপার সপকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিদপ্তর।

আজ বুধবার ( ৯ অক্টোবর) দুপুরে মেহেরপুর জেলা ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ এ অভিযান পরিচালনা করে এ জরিমানা করেন।

ভ্রাম্যমাণ অভিযানে সহযোগীতা করে জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মো: রিয়াজ মাহমুদ, গাংনী উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মশিউর রহমান এবং মেহেরপুর পুলিশের একটি টিম।

ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ জানান, গত মঙ্গলবার গাংনী স্বপ্ন সুপার সপে তদারকি করা হয়। তদারকিকালে কিছু বিদেশি পণ্যের আমদানি ও সরবরাহকারক মেসার্স এম এন ট্রেডার্স, ঠিকানা- গুলশান-১, ঢাকা লেখা পাওয়া যায়। পরবর্তীতে এই আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে সন্দেহ সৃষ্টি হলে স্বপ্ন সুপার সপের কাছে তাদের আমদানি ও বাজারজাতকারী হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির নথিপত্র চাওয়া হয়। তারা নথিপত্র দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় ১ দিন সময় দেয়া হয়। কিন্তু বুধবারও তারা বিদেশি পণ্যের আমদানিকারক ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানের স্বপক্ষে কোন নথিপত্র দেখাতে পারেনি। এবং স্বপ্ন সুপার সপ কর্তৃপক্ষ অপরাধ ও ভুল স্বীকার করেন। ভুয়া আমদানিকারকের নাম ঠিকানা ব্যবহার করে বিদেশি পণ্য বাজারজাত ও বিক্রয়ের অপরাধে প্রতিষ্ঠানটিকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪৫ ধারায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং সতর্ক করা হয়।




নতুন উদ্যমে কৃষ্ণা

নেপালে নারী সাফের জন্য অনেক দলই তাদের খেলোয়াড় তালিকা পাঠিয়ে দিয়েছে। চূড়ান্ত করা হয়েছে ২৩ জনের নাম। বাংলাদেশের তালিকা এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি। প্রাথমিক তালিকা প্রেরণ করা হয়েছে। পাঠানো তালিকায় ইনজুরিতে থাকা ফুটবলার কৃষ্ণা রানী সরকার রয়েছেন। পায়ের ইনজুরি কাটিয়ে সাফে খেলার প্রস্তুতি নিয়েছেন।

কৃষ্ণা রানী অভিজ্ঞ ফুটবলার। সাফের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ দলের ট্রফি জয়ের পেছনে কৃষ্ণার অবদান অনেক। পুরো সাফে ৪টা গোল করেছেন। বিশেষ করে ফাইনালে নেপালের বিপক্ষে ৩-১ গোলে জয়ের পেছনে জোড়া গোল রয়েছে কৃষ্ণার। ট্রফি জয়ের পেছনে এ দুটি গোল ছিল গুরুত্বপূর্ণ সময়ে। ফাইনালে নিজের তৃতীয় গোলটা নেপালকে শেষ করে দিয়েছিল ফাইনালে। কৃষ্ণার মতো ফুটবলার এবারও সাফে থাকছেন। তবে তার আফসোস হচ্ছে ইনজুরি কাটিয়ে উঠে আসতে হচ্ছে।

এখন কেমন আছেন কৃষ্ণা? গতকাল নিজের ইনজুরি নিয়ে কৃষ্ণ বলেন, ‘পায়ের ব্যথা নেই। অনেক ভালো আছি।’ কৃষ্ণার পায়ের পাতায় সমস্যা হচ্ছিল। সমস্যাটা ধরতে না পারায় সঠিক চিকিৎসাও পানননি কৃষ্ণা। ভারতের গিয়ে চিকিৎসা করিয়ে এসেছেন। রিহ্যাব করেছেন। এর আগে নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ খেলেছিলেন। এশিয়ান গেমসে খেলতে চীনে গেলেও তার মাঠে নামা হয়নি। পরবর্তী সময়ে পায়ের পাতার সমস্যা বাড়তে থাকায় ভারতের চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হয়।

কৃষ্ণা জানালেন, তিনি প্রায় এক মাস ধরে অনুশীলন করছেন। আগের মতো সমস্যা নেই। সমস্যা না থাকায় আত্মবিশ্বাস পাচ্ছেন কৃষ্ণা। মাঠে নামার সাহস বাড়ছে তার। ২০২২ সালে নেপালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে খেলার সময় কৃষ্ণার শক্তি সামর্থ্য যতটা ছিল এবার ততটা না থাকলেও কৃষ্ণা নিজেও কোথাও কম দেখছেন না। ‘দেখুন ফিটনেস গত সাফের মতো নাই। তবে লড়াই করার মতো মানসিক, শারীরিক সব প্রস্তুতি রয়েছে। আপনি যদি তুলনা করেন, তাহলে বলব এখন যারা দলের সঙ্গে অনুশীলন করছেন তাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নেওয়ার মতোই রয়েছেন বললেন কৃষ্ণা।

তিনি বলেন, ‘আমার ফিটনেস আমি দেখেছি। দলের সঙ্গে অনুশীলন করেছি। কোথাও মনে হয়নি আমি পিছিয়ে রয়েছি। ম্যাচ খেললে কনফিডেন্স লেভেল আরো বেড়ে যাবে।’ সাফে যাওয়ার আগে নারী দলকে কোনো প্রস্তুতি ম্যাচ খেলাতে পারেনি বাফুফে। বড় টুর্নামেন্ট খেলবে। অথচ নিজেদের পরখ করার সুযোগ পাচ্ছেন না সাবিনা খাতুন, সানজিদা, তহুরা খাতুনরা। ম্যাচ খেলার ব্যবস্থা করা গেলে কৃষ্ণার অবস্থানটা আরও ভালো হতো। কারণ কৃষ্ণা এখন দলের সিনিয়র ফুটবলারদের এক জন।

গোলরক্ষক ইয়ারজান, গোলরক্ষক মিলি আক্তার, শাহেদা আক্তার রিপা, কোয়াতি কিসকু, মনুকি ইনজুরি কাটিয়ে এসেছেন, জাপান প্রবাসী সুমাইয়া রয়েছেন পাঠানো তালিকায়। গত সাফে ছিলেন ডিফেন্ডার আঁখি খাতুন নেই, সিরাত জাহান স্বপ্না নেই। তারা নানা অজুহাত দেখিয়ে ক্যাম্প ছেড়ে চলে গিয়েছেন। সংসার জীবনে জড়িয়েছেন। গত সাফে কোচ ছিলেন গোলাম রাব্বানী ছোটন, এখন তিনি সেনাবাহিনীর কোচ। আর বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের বর্তমান হাই প্রোফাইল কোচ ইংল্যান্ডের পিটার বাটলার।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে একজনের যাবজ্জীবন জেল

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কামারখালী গ্রামে এক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে গোলাম রসুল নামের এক বৃদ্ধকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আজ বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে মেহেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো: তৌহিদুল ইসলাম এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে ১০ লাখ জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত গোলাম রসুল গাংনী উপজেলার কামারখালী গ্রামের মৃত দুর্লভ মন্ডলের ছেলে।

আদালত আদেশে বলেছেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর ১৫ ধারার বিধান অনুযায়ী মো: গোলাম রসুলের অর্থদন্ড ক্ষতিপূরণ হিসেবে গণ্য হবে। ক্ষতিপূরণের টাকা আসামির বর্তমান সম্পদ হতে আদায় করা সম্ভব না হলে তিনি ভবিষ্যতে যে সম্পদের মালিক বা অধিকারী হবেন সে সম্পদ হতে আদায়যোগ্য হবে। এবং এ ক্ষেত্রে উক্ত সম্পদের উপর অন্যান্য দাবী অপেক্ষা ক্ষতিপূরণের দাবী প্রাধান্য পাবে। একই আইনের ১৬ ধারার বিধান অনুযায়ী মেহেরপুর কালেক্টরকে আসামির স্থাবর বা অস্থাবর বা উভয় প্রকার সম্পদ নিলামে বিক্রয় করে বিক্রয়লব্ধ অর্থ এই ট্রাইব্যুনালে জমা দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করা হলো। ক্ষতিপূরণের উক্ত অর্থ এই ট্রাইব্যুনালে জমা হওয়া সাপেক্ষ্যে তা ভিকটিমকে প্রদান করা হবে।

আদালত আদেশে আরও বলেন, ভিকটিমের গর্ভজাত পুত্র সন্তান আসামি গোলাম রসুল বা মায়ের কিংবা উভয়ের পরিচয়ে পরিচিত হবেন। পুত্র সন্তানের ২১ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তার ভরণপোষণের ব্যয় রাষ্ট্র বহন করবে। তার ভরণপোষণের জন্য প্রদেয় অর্থ সরকার আসামীর নিকট হতে আদায় করতে পারবে এবং তার বিদ্যমান সম্পদ হতে উক্ত অর্থ আদায় করা সম্ভব না হলে ভবিষ্যতে তিনি যে সম্পদের মালিক হবেন সে সম্পদ হতে তা আদায়যোগ্য হবে। মেহেরপুর জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে গর্ভজাত পুত্র সন্তানের ভরণপোষণের জন্য প্রদেয় অর্থের পরিমান নির্ধারন করবেন এবং তা বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, প্রতিবন্ধী ওই কিশোরী তার মায়ের সাথে কামারখালী গ্রামে বাস করতেন। প্রতিবেশী গোলাম রসুল কিশোরীকে তার জমিতে কচু, মরিচ ও ঘাস উঠানোর জন্য মাঝে মাঝে ডেকে নিয়ে যান। ঘটনার দিন ২০১৫ সালের ২ অক্টোবর সকাল ৭টার সময় কচু ও মরিচের ক্ষেতে ডেকে নিয়ে যান। মাসখানেক পরে প্রতিবন্ধী ওই নারী খাবারের প্রতি অনিহা প্রকাশ করেন, তার মাসিক বন্ধ হয়ে যায় এবং মাঝে মাঝে বমি করতে থাকেন। এবিষয়ে তার মায়ের সন্দেহ হলে তিনি তার মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। প্রতিবন্ধী ওই নারী ইশারা ও আকার-ইঙ্গিতের মাধ্যমে আসামি মোঃ গোলাম রসুলের বাড়ীতে নিয়ে গিয়ে আসামিকে দেখিয়ে দেন এবং কোথায় ও কীভাবে আসামি তার সাথে শারিরীক সম্পর্ক করেছে তা ইশারা-ইঙ্গিতে প্রকাশ করেন। তখন তার মা আসামি মোঃ গোলাম রসুলের ভাই জহুরুল ও তার স্ত্রী ডালিয়াকে ঘটনার বিষয়ে বলেন। তারা একসাথে প্রতিবন্ধীকে স্থানীয় বাওট স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে প্রস্রাব পরীক্ষা করান এবং জানতে পারেন যে, সে প্রায় ০৪ মাসের অন্তসত্ত্বা।

বাদী অভিযোগ করেন তার প্রতিবন্ধীকে মেয়েকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার কারণে সে গর্ভবতী হয়ে পড়েছে। ওই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য আসামি মোঃ গোলাম রসুলের ভাই জহুরুল ও তার স্ত্রী ডালিয়া টাকার লোভ দেখিয়ে গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য বলেন। বাদি গরিব হওয়ায় আসামি মিমাংসার কর্ণপাত করেন না। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে মোঃ গোলাম রসুলকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত মামলার নথি ও সাক্ষীদের সাক্ষ্য পর্যালোচনা করে উক্ত আদেশ দেন।

মামলায় রাষ্ট পক্ষে আসাদুল হক এবং আসামীর পক্ষে মিয়াজান আলী আইনজীবীর দায়িত্ব পালন করেন।




সৃজনশীলতায় টিকটক

ডিজিটাল জগতে নানান প্ল্যাটফর্ম তৈরি হওয়ার সাথে সাথে এসব মাধ্যমে সুযোগ বাড়ছে সৃজনশীলতা প্রকাশের। নিজের সৃজনশীলতা তুলে ধরতে নতুন প্রজন্মের কাছে অন্যতম একটি জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম হলো টিকটক। স্মার্টফোন ব্যবহার করে নিজের মতো কনটেন্ট তৈরি করাকে আরও সহজ করে তুলেছে টিকটক। তাই যে কেউ কনটেন্ট বানাতে বেছে নিচ্ছে এই প্ল্যাটফর্মকে।

টিকটকে ভিডিও তৈরির পদ্ধতি সহজ হওয়ায় প্ল্যাটফর্মের ইউজাররা কনটেন্ট তৈরি করতে উৎসাহিত হয়। টিকটক অ্যাপের বিল্ট-ইন এডিটিং টুলস, ফিল্টার এবং ইফেক্ট এমনভাবেই ডিজাইন করা যা ইউজাররা খুব সহজেই তাদের ভিডিওতে ব্যবহার করতে পারে। তাই তাদের কনটেন্টেও দেখা যায় নতুনত্ব। এমনকি যাদের ভিডিও বানানোর কোনও পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই তারাও এই ফিচারগুলো ব্যবহার করে ভিডিও বানাতে পারছে। টিকটকের “ফর ইউ” পেইজটি ভিউয়ারদের পছন্দের ভিত্তিতে কনটেন্ট দেখায়, ক্রিয়েটরদের ফলোয়ারের সংখ্যার ভিত্তিতে নয়। তাই নতুন বা কম পরিচিত ক্রিয়েটরদের ভিডিও পরিচিত ক্রিয়েটরদের মতোই টিকটকে জনপ্রিয় হওয়ার সম্ভাবনা রাখে।

টিকটকের জনপ্রিয়তার একটি কারণ হলো শর্ট ভিডিও ফরম্যাটে দ্রুত কনটেন্ট তৈরি করার সুবিধা। একইসাথে এতে মিউজিক বা সাউন্ড যুক্ত করার সুযোগ থাকায় টিকটকের কনটেন্টেও হয়ে উঠে আকর্ষণীয়। যেখানে প্ল্যাটফর্ম ইউজাররা কেবল কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই তাদের আইডিয়া, কিংবা কোন মেসেজ এখানে তুলে ধরছে। টিকটকের ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট, আর উদ্ভাবনী এডিটিং ফিচার ব্যবহারের মাধ্যমে কনটেন্টের গল্পগুলো উঠে আসছে নতুন রূপে। টিকটকের এমন একটি অভিনব ফিচার হলো “চ্যালেঞ্জ”।

বাংলাদেশে টিকটকের চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে একটি হলো বাংলা অ্যালফাবেট চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জে প্রায় ৪৯ হাজার ৭ শত ভিডিও বানিয়েছে টিকটক ইউজাররা। মূলত ডিজিটাল স্পেসে বাংলা ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্‌যাপন করতে এই চ্যালেঞ্জটি শুরু হয়। বাংলাদেশে পরিচিত হয়ে ওঠা আরেকটি চ্যালেঞ্জ হলো টেন মিনিটস স্কুলের ‘একশতে একশ’ চ্যালেঞ্জ। গণিত, ইংরেজি বা অন্য যে কোনও বিষয়ে প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যায় এই চ্যালেঞ্জে। এমন চ্যালেঞ্জগুলো একাডেমিক বিষয়বস্তুগুলোকে টিকটকে তুলে ধরতে উৎসাহ দেয়। অন্যদিকে, এই চ্যালেঞ্জগুলো খুবই সহজে অংশগ্রহণ করা যায় বলে ক্রিয়েটর-ভিউয়ার সকলেই যুক্ত হচ্ছে।

টিকটক প্ল্যাটফর্মে বিশ্বের এক প্রান্তের ট্রেন্ড, মিউজিক, অথবা চ্যালেঞ্জ দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে অন্য প্রান্তে। তাই টিকটক কেবল এখন সৃজনশীলতার একটি প্ল্যাটফর্ম নয়; এটি হয়ে উঠেছে সাংস্কৃতিক বিনিময়ের জায়গা। এই বিনিময়কে ত্বরান্বিত করতে টিকটকের সম্প্রতি একটি উদ্যোগ ছিল দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ট্র্যাভেল ক্রিয়েটরদের সাথে হ্যাশট্যাগ #DiscoverWithTikTok ক্যাম্পেইন। এই ক্যাম্পেইনে ক্রিয়েটররা নেপাল, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশের স্থানগুলো এবং সেখানে তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছে টিকটকে।

সংস্কৃতির ধারক হলো নতুন প্রজন্ম। আর এই নতুন প্রজন্মকে উৎসাহিত করার মধ্য দিয়ে ডিজিটাল দুনিয়ায় উঠে আসছে দেশ-বিদেশের সাংস্কৃতিক দিকগুলো। যেখানে #DiscoverWithTikTok হ্যাশট্যাগে ভ্রমণপ্রিয় অনির্বাণ কায়সার তুলে ধরেছে শ্রীলঙ্কার সৌন্দর্য। অন্যদিকে, টুহালাল এর ফুড ভ্লগার জাওয়াদ কাজী শেয়ার করেছে তার নেপাল যাত্রা। এই ধরনের কনটেন্টগুলোর মধ্য দিয়ে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি, নানান দেশের রীতিনীতি এবং ঐতিহ্য সম্পর্কে মানুষ জানতে পারছে। এমনকি বিভিন্ন সমাজের সমস্যা এবং সচেতনতা সম্পর্কেও কথা বলছেন এই ক্রিয়েটররা।

ডিজিটাল জগতে নতুনত্ব যোগ করেছে টিকটক। সৃজনশীলতা, অ্যাক্সেসযোগ্যতা এবং উদ্ভাবনের উপর প্ল্যাটফর্মটি গুরুত্ব দেয়। যার মধ্য দিয়ে টিকটক ইউজাররা সুযোগ পাচ্ছে নিজেদের নতুন করে প্রকাশ করার। গান, নাচ, কমেডি বা শিক্ষা — বিভিন্ন বিষয়ে কনটেন্ট তৈরি হচ্ছে এই প্ল্যাটফর্মে। সম্প্রতি উদ্যোক্তারাও তাদের ব্যবসা এবং কাজগুলো ডিজিটাল মাধ্যমে তুলে ধরতে বেছে নিচ্ছে টিকটক। বাংলাদেশেও এখন যারা ব্যবসা শুরু করছে অথবা কোন স্টার্টআপে যুক্ত হয়েছে, তাদের অনেকে টিকটক ব্যবহার করছে। তেমনই একজন উদ্যোক্তা হলো লাবিবা ইবনাথ যিনি তার গ্রাহকদের জন্য কিভাবে কাস্টমাইজড জুতা তৈরি করেন সেটি তার টিকটক অ্যাকাউন্টে তুলে ধরেন। আরেকজন পেশাদার, চিত্রশিল্পী শ্বেতা তার ফলোয়ারদের সাথে শেয়ার করেন তার আর্ট প্রজেক্ট আর নতুন কাজ। এমন উদ্যোক্তাদের কনটেন্ট আরও তুলে ধরতে টিকটক এখন গুরুত্ব দিচ্ছে এসএমবি (ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা) ব্যবসাগুলোর উপর।

কনটেন্ট বানানোকে টিকটক যেমন সহজ করেছে তেমনি কনটেন্টে সৃজনশীলতা বজায় রাখতেও প্ল্যাটফর্মটি নিয়ে আসছে নিত্যনতুন সব ফিচার। ফলে কনটেন্ট ক্রিয়েটররাও এখন আরও উৎসাহিত হচ্ছে ভিন্ন ধরনের সব বিষয়বস্তু তুলে ধরতে। যা টিকটককে জনপ্রিয় করে তুলছে আরও বড় পরিসরের দর্শকদের কাছে।

সূত্র: ইত্তেফাক




কুষ্টিয়ার কুমারখালিতে লাল্টু বাহিনীর হামলায় আহত-১০

কুষ্টিয়ার কুমারখালি উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে লাল্টু গ্রুপের হামলায় ১০ জন আহত হয়েছে। এসময় মোটরসাইকেল ভাংচুর, বসতবাড়িতে হামলা, গবাদিপশুসহ বাড়ীঘরের মালামাল লুটপাটের ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কুমারখালি উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের বাঁধবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্ব এবং আধিপত্য বিস্তারে বিধ্বস্ত কুমারখালির পাহাড়পুর গ্রামের জনজীবন। এই এলাকার মন্ডল গ্রুপের আমিরুল ইসলাম মারা যাওয়ার পর লাল্টু নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সজীব ও মোমিনসহ তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা মিলে এলাকায় অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাজারে একটি দোকান লিজ নেওয়াকে কেন্দ্র করে শালিসি বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। এসব বিষয় নিয়ে বাঁধবাজার কমিটির নেতাদের সাথে কথা বলতে গেলে লাল্টুর নেতৃত্বে লাল্টু,সজিব, মমিন,মাসুদ, আমিরুল, সজল, মতিয়ার, আতিয়ার, এনামুল, নান্নু, ওসমান দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে বাঁধবাজার এলাকার তালেব বিশ্বাসের ছেলে রিয়াজ আলী (৪২), হাকিম বিশ্বাসের ছেলে রফিক বিশ্বাস (৪৩) একই এলাকার গফফারের ছেলে তারিকুল ইসলাম, নাজিম বিশ্বাসের রাজন, মৃত: সাজ্জাদ আলী শেখের ছেলে মুক্তার হোসেনসহ অন্তত আটজন আহত হন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

পরে পুলিশ ও সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

রাতে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রফিক বিশ্বাসের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, রাজমিস্ত্রীর কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরছিলাম। এসময় বাজারের একটা লীজকৃত দোকান নিয়ে আজকে শালিসি বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বৈঠকের আগেই লাল্টু তার দলবল নিয়ে হামলা চালিয়ে জখম করে। পরে লাল্টু তার লোকজন নিয়ে আমাদের ঘরবাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। আমরা এই ঘটনার সঠিক বিচার চাই।’

তুষার নামের স্থানীয় একজন বলেন, ‘লাল্টু এলাকায় প্রভাব বিস্তার করতে এই হামলা চালিয়েছে। হামলার পর আমার বাড়ি থেকে দুইটা ল্যাপটপ ও একটা কম্পিউটার এবং তিনটা ছাগল লুট করে নিয়ে যায়। এছাড়াও তারিকুলের গোয়ালঘর থেকে আড়াই লাখ টাকার গরু লুট করে যায়। এছাড়াও জাফরের ছেলে সজলের পালসার মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। লাল্টুর কারনে এলাকায় অশান্তি। আমরা এলাকায় শান্তি চাই। কোনো সংঘাত বা মারামারি চাই না।’ এরআগেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে অভিযোগ করেও কোন সুফল পায়নি।

কুমারখালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বাধবাজারে দীর্ঘদিন ধরেই স্থানীয় দলাদলি, আধিপত্য ও জায়গাজমি নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধ ছিল। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাজারে স্থানীয়দের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়েছি। একপর্যায়ে মারামারিতে রুপ নেয়। তিনজনের বাড়ী থেকে গবাদিপশু নিয়ে গেছে। কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখনো থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে পরবর্তী সময়ে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।