দামুড়হুদা পেট্রোল পাম্পে পাওনাদারদের অবস্থান; সেনাবাহিনী ও পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত

দামুড়হুদায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের হস্তক্ষেপে দীর্ঘ ২ বছরেরও বেশী সময়ের সমস্যা নিরসন করা হয়েছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ পেয়ে আজ শুক্রবার দুপুর ৩টার দিকে সেনাবাহিনীর একটি দল ও দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আলমগীর কবির এর মধ্যস্থতাই সমস্যার সমাধান হয়।

জানাগেছে, দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে দামুড়হুদা উপজেলা সদরের দশমী পাড়ার আনসার আলীর ছেলে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শরিফুল আলম, আব্দুল মান্নান এর ছেলে মোঃ সেলিম উদ্দিন, আবুল হোসেন এর ছেলে মোঃ মজিবর রহমান এবং ঝিনাইদাহ জেলার শৈলকূপা থানা অন্তর্গত সমিরুদ্দিন বিশ্বাস এর ছেলে মোঃ আব্দুল খালেক দামুড়হুদা ফিলিং স্টেশনের স্বত্বাধিকারী মোঃ শাহজাহান আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে এই মর্মে যে, দামুড়হুদা ফিলিং স্টেশনটি শরিফুল আলম লিজ নেয়। কিন্তু শরিফুল আলম এ ব্যবসা না বোঝার কারনে শাহজাহান বলে আমি ব্যবসা করে দিচ্ছি, তোমরা মুলধন দিয়ে ব্যবসা চালু করে দাও। সে মোতাবেক ভুক্তভোগী চারজনের কাছ থেকে বিভিন্ন কৌশলে পাম্প মালিক শাহজাহান প্রায় দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। প্রাপ্ত টাকার পরিমান শরিফুল আলম ৬০ লক্ষ, আব্দুল খালেক ২৯ লক্ষ, সেলিম উদ্দিন দামুড়হুদা ফিলিং স্টেশনের জমির অর্ধেক অংশের মালিক, মজিবর রহমান ৪৫ লক্ষ। এতো টাকা ইনভেস্ট করে ব্যবসা ভালোই চলে কিন্তু শাহজাহান ব্যবসার কোন লভ্যাংশ কাউকে দেয়না। এক শাহজাহান এর কারনে চার জনই আর্থিক সমস্যায় পড়েন। এক পর্যায়ে পাওনাদাররা টাকা ফেরত চাইলে শাহজাহান বিভিন্ন ভাবে ঘোরাতে থাকে।

পাওনাদার তাদের টাকা দেয়ার জন্য আজ শুক্রবার সকাল থেকে পাম্পের অবস্থান নেয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার আসংখ্যা হতে পারে। এমন সংবাদ পেয়ে সেখানে দামুড়হুদা থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী উপস্থিত হয়। পরে উভয় পক্ষের অভিযোগ পর্যালোচনা করে আগামী ৩১ অক্টোবর উল্লেখিত টাকা পরিশোধ করার অঙ্গীকার করে লিখিত দেয় পাম্প মালিক শাহজাহান। অন্যথায় শাহাজাহান তার দামুড়হুদা ফিলিং স্টেশন (তেল পাম্প) মোঃ শরিফুল আলম কে দিয়ে দেবে মর্মে অঙ্গিকার করে রেহায় পায়।




দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সহসভাপতি-সম্পাদক কে বন্ধু মহলের শুভেচ্ছা

ঐতিহ্যবাহী দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটির সহসভাপতি মিরাজুল ইসলাম মিরাজ ও সাধারণ সম্পাদক মুরশেদ বীর ফয়সাল (তানজির) কে বন্ধুদের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচছা জানিয়েছেন বন্ধু মহল।

আজ শুক্রবার বিকেল আনুমানিক ৫টার দিকে দামুড়হুদার শিবনগর ডিসি ইকো পার্কে আনুষ্ঠানিক ভাবে ফুলেল শুভেচছা দেয়া হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার মো:ইমরান হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার আক্তার হোসেন, দৈনিক জনতার ইশতেহার প্রত্রিকার সম্পাদক-প্রকাশক মো:আবু হানিফ, ঠিকাদার শাকিল হোসেন, আল জার্জিস, রুবেল প্রমুখ।




আলমডাঙ্গায় ড্রাগন বাগানের বৈদ্যুতিক ফাঁদে আটকে কৃষকের প্রাণহানি

আলমডাঙ্গা উপজেলায় এক ড্রাগন চাষী চুরি ও পশুপাখি ঠেকাতে পাতা বৈদ্যুতিক ফাঁদে আটকা পড়ে শেখ আব্দুল হালিম (৫০) নামে এক কৃষক মারা গেছেন। আজ শুক্রবার সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার খাদেমপুর ইউনিয়নের মাজহাট এলাকার বাইলে মাঠ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত শেখ আব্দুল হালিম ওই এলাকার মৃত শেখ মহিউদ্দীনের ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষে থেকে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা প্রস্তুতি চলছিল। ঘটনায় পর থেকেই ড্রাগন চাষী শাজাহান হোসেন মিরা পলাতক রয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, গত ৪ বছর আগে মাজহাট গ্রামের বাইলে পাড়া মাঠে ড্রাগন চাষ করেন একই এলাকার শাজাহান হোসেন মিরা। চুরি ও পশুপাখি রোধে বাগানের চারিপাশে বৈদ্যুতিক তার বিছিয়ে রাখেন। আজ শুক্রবার সকালে নিহত শেখ আব্দুল হালিমসহ আরও দুজন প্রতিবেশী জিল্লুর রহমানের কলা বাগানে কাজ করতে যান। সকাল ১০টার দিকে হালিম পানি খাওয়ার জন্য ড্রাগন বাগানে যায়। এসময় ছিটিয়ে রাখা বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।

এদিকে কৃষক আব্দুল হালিমের মৃত্যুর ঘটনায় ড্রাগন চাষী শাজাহান হোসেন মিরার বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি তুলেছে এলাকাবাসী।

আব্দুল জব্বার নামের এক কৃষক জানান, কয়েক মাস আগে চুরি ও পশুপাখি রোধে বাগানের চারিদিকে বৈদ্যুতিক তার ছিটিয়ে রেখেছে। সার্বক্ষণিক ওই তারে বিদ্যুৎ থাকে। ড্রাগন মালিক কোন প্রচার কিংবা ব্যানার ফেস্টুন না লাগিয়ে মানুষ মারার ফাঁদ তৈরি করেছে।

আলমডাঙ্গা থানার (ওসি) শেখ গণি মিয়া জানান, আজ শুক্রবার দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে নিহত কৃষকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এঘটনায় তদন্ত চলছে। আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।




ঝিনাইদহের শৈলকুপায় সাড়ে ৮’শ কৃষকের মাঝে কীটনাশক বিতরণ

‘মানুষ-পৃথিবী সমৃদ্ধির লক্ষ্যে আসুন আমরা একতাবদ্ধ হই’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে ঝিনাইদহে সাড়ে ৮’শ কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে কীটনাশক ওষুধ বিতরণ করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার সকালে শৈলকুপা উপজেলার বারইপাড়া-হাবিবপুর গ্রামের মাঠে এ কীটনাশক বিতরণ করা হয়। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সাঈদ, মুগ্ধ ও ইয়াসিনের স্বরণে গঠিত ‘এসএমওয়াই’ ফাইন্ডেশনের পক্ষ থেকে ধানের মাজরা পোকা দমনের জন্য এ কর্মসূচী হাতে নেওয়া হয়। সেসময় ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা রোকনুজ্জামান রোকন, কর্মকর্তা মাওলানা ইউনুস আলীসহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।

আয়োজকরা জানায়, ওই এলাকার কৃষকদের আবাদকৃত ধানের মাজরাপোকা দমনের জন্য সাড়ে ৮ হাজার কৃষকের মাঝে পদ্মা অয়েল কোম্পানির ওষুধ বিতরণ করা হয়। বিতরণকৃত কীটনাশক দিয়ে ওই এলাকার ৫৬ হাজার শতক জমিতে প্রয়োগ করা যাবে বলেও জানান তারা।




অজান্তে তথ্য চুরি করে ফেসবুক-ইউটিউব

আপনি হয়তো নিশ্চিন্ত মনে হাতে থাকা ডিভাইসটি দিয়ে নিজের খুশি অথবা বেদনার কোনো মুহূর্ত ভাগ করে নিচ্ছেন আপনজনদের সঙ্গে। আর এ কাজে আপনার একমাত্র হাতিয়ার বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। অবসরে হয়তো প্রিয় কোনো গায়ক বা অভিনেতা-অভিনেত্রীর নতুন গান বা অন্য কোনো কন্টেন্ট দেখতে বসেছেন ইউটিউবে। আপনি কি জানেন এসবের মাঝেই লুকিয়ে আছে বিশাল এক ফাঁদ।

আপনার পরিচিত ও প্রিয় বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবহারের সময় তারা আপনারই তথ্য সংগ্রহ করে তা বিলিয়ে দিচ্ছে অন্য কারো কাছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ট্রেড কমিশনের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে। সম্প্রতি দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব জানা যায়।

২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব, ডিসকর্ড, রেডিট, অ্যামাজন, স্ন্যাপচ্যাট, টিকটক ও টুইটারের পর্যবেক্ষণ ও তাদের তথ্য সংগ্রহ প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করে আমেরিকার এফটিসি। এ সময় এফটিসি এসব কোম্পানির চরিত্র বিশ্লেষণ করে- কীভাবে কোম্পানিগুলো তার গ্রাহকদের ব্যবহারবিধির ওপর নজরদারি করে এবং সে অনুযায়ী তাদের কাছে কন্টেন্ট ও বিজ্ঞাপন সরবরাহ করে থাকে।

এফটিসির প্রতিবেদনে দেখা যায়, কোম্পানিগুলো ট্র্যাকিং অনুশীলন গভীরতা ও প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোকে গ্রাহকদের ওপর নজরদারিকে বৈধতা দেয়। এর প্রেক্ষিতে এফটিসি মার্কিন কংগ্রেসকে ফেডারেল প্রাইভেসি রেজলুশন পাস করার প্রস্তাব দেয়। যাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত সুরক্ষাকে অবমূল্যায়ন করে এমন স্বীকৃতি আদায়ের জন্য আইনপ্রণেতাদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।

মার্কিন সংস্থার প্রতিবেদনে দেখা যায়, কোম্পানিগুলো তাদের ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য যেমন-বয়স, লিঙ্গ, ভাষাবিষয়ক তথ্য থার্ড পার্টির সঙ্গে শেয়ার করে। এ ছাড়া কিছু কোম্পানি ব্যবহারকারীদের আয়, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও পারিবারিক অবস্থানবিষয়ক তথ্য সংগ্রহ করে থাকে। এমনকি যেসব কোম্পানি স্পষ্টভাবে এসব তথ্য সংগ্রহ করে না তারাও ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত জীবনের বিবরণ বের করতে প্ল্যাটফর্মে ব্যবহারকারীর আচরণ বিশ্লেষণ করে। যেমনটা দেখা যায়, কিছু কোম্পানি ব্যবহারকারীদের আগ্রহের বিষয়গুলোর মধ্যে ‘শিশু, বাচ্চা এবং মাতৃত্ব’ সংক্রান্ত তথ্য খোঁজার আচরণ বিশ্লেষণ করে তাদের পিতৃত্ব বা মাতৃত্বজনিত অবস্থা বের করে। একইভাবে তারা নববিবাহিত বা বিচ্ছেদের তথ্যও বের করে। অনেক কোম্পানি ব্যবহারকারীদের আগ্রহের বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করে তাদের প্ল্যাটফর্মে কীভাবে আরও ব্যবহারকারী যোগ করা যায় তার বাড়াতে পদক্ষেপ নেয়। অনেক ক্ষেত্রে এসব তথ্য তৃতীয় কোনো পক্ষের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া হয় যাতে কোম্পানিগুলো আরও বেশি বিজ্ঞাপন পায়।

সূত্র: কালবেলা




মেহেরপুরে লেদ মেশিন কারখানায় অগ্নিকাণ্ড, ক্ষতি ৩০ লাখ টাকা

মেহেরপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে লেদ মেশিনের একটি কারখানা। এতে প্রায় ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে ওই লেদ মেশিনের মালিকের। এসময় একটি ট্রাক্টর পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছে।

আজ শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালের দিকে মেহেরপুর সদর উপজেলার বামনপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

কারখানা মালিক সদর উপজেলার আমদহ গ্রামের সানোয়ার হোসেন জানান, বামনপাড়ার মোড়ে আমার লেদ মেশিনের কারখানা। প্রতিদিনের মতো কাজ সেরে বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি চলে যাই।

সকাল নয়টার দিকে হঠাৎ করে সেখানে আগুন লাগে। আগুনে লেদ মেশিনের ভিতর রাখা একটি ট্রাক্টরসহ অন্যান্য জিনিস পুড়ে যায়। খবর পেয়ে মেহেরপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে লেদ মালিক সানোয়ার জানান।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা জানান, গ্যাসের কোন লিকেজ অথবা বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। তারা জানান,লেদ মেশিনের কারখানায় অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা রাখার কথা থাকলেও বারবার বলা সত্ত্বেও এখানে অগ্নি নির্বাপনে কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি। অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা থাকলে ক্ষতির সম্ভাবনা কম হতো বলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা জানান।




“দেড় ডর্জন মাদক মামলার আসামিসহ আটক ২, ফেনসিডিল উদ্ধার”

মেহেরপুরে গাংনীতে যৌথবাহিনীর অভিযানে দেড় ডর্জন মাদক মামলার আসামি আবুল কালামসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী আটক ও ১০০ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল উদ্ধার হয়েছে।

আজ শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮ টার দিকে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় তেরাইল গ্রামের বাগানপাড়া এলাকায় এই অভিযান চালান যৌথবাহিনির একটি টিম।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট আবীর হোসেন ও মেহেরপুর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এসআই আবুল হাসেমসহ সঙ্গীয় ফোর্স।

বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে মেহেরপুর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এসআই আবুল হাসেম সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

আটকরা হলেন, গাংনী উপজেলার তেরাইল গ্রামের অলিনগরপাড়ার সুলতান মাহমুদের ছেলে ২০ টি মাদক মামলার আসামি এলাকার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী আবুল কালাম আজাদ (৪০) ও সীমান্তবর্তি সহড়াতলা গ্রামের নওয়াব আলীর ছেলে একাধিক মাদক মামলার আসামি এরশাদ আলী (৩০)।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এসআই আবুল হাসেম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে যৌথবাহিনীর সহযোগিতায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি টিম সকাল ৮ টার দিকে তেরাইল গ্রামের বাগানপাড়া এলাকায় অবস্থান নিই। এসময় সীমান্তবর্তি সহড়াতলা এলাকা থেকে একটি সিএনজি তেরাইল গ্রামের দিকে আসছিলো আমাদের অবস্থান টের পেয়ে সিএনজি নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যাচ্ছিলো সিএনজিটি।
পরে যৌথবাহিনীর টিম ওই সিএনজির গতিরোধ করলে সিএনজির চালক পালিয়ে যায়।

এসময় সিএনজি থেকে ১০০ বোতল নিষিদ্ধ ভারতীয় ফেনসিডিলসহ এরশাদ আলীকে আটক করেন। পরে এরশাদ আলীর দেওয়া তথ্য মতে, তেরাইল গ্রামের অলিনগরপাড়ায় মাদক ব্যবসায়ী আবুল কালাম আজাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আবুল কালাম আজাদকে আটক করা হয়।

তিনি আরও জানান, আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে গাংনী থানায় মাদক বিক্রির আভিযোগ প্রায় ২০ টি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। তাকে, গাংনী থানা পুলিশ, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি, র‌্যাব, সেনবাহিনীর টিম তার বাড়িতে একাধিকবার অভিযান চালিয়ে ফেনসিডিল, গাঁজাসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেছে। এসময় র‌্যাব অভিযান চালিয়ে তার কাছ থেকে নাইম এমএম পিস্তল গুলি উদ্ধার করেছে। সে বছরে নয় মাস বিভিন্ন মামলায় কারাগারে অবস্থান করেন। জেলখানা থেকে বের হয়েই আবার মাদকান্ডে জড়িয়ে পড়েন।

এছাড়া অপর আসামি এরশাদ আলীও একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। আজ আসামিদের গাংনী থানায় প্রেরণ করা হবে এবং মামলার কাজ প্রক্রিয়াধীন ও জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।




একাধিক জনবল নেবে সিটি ব্যাংক

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বেসরকারি সিটি ব্যাংক পিএলসি। প্রতিষ্ঠানটির কল সেন্টার বিভাগ কাস্টমার সার্ভিস এক্সিকিউটিভ পদে একাধিক জনবল নিয়োগের জন্য এ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে।

গতকাল বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) থেকেই আবেদন নেওয়া শুরু হয়েছে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত প্রার্থীরা মাসিক বেতন ছাড়াও প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী আরও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম : সিটি ব্যাংক পিএলসি পদের নাম : কাস্টমার সার্ভিস এক্সিকিউটিভ বিভাগ : কল সেন্টার পদসংখ্যা : নির্ধারিত নয়

শিক্ষাগত যোগ্যতা : যে কোনো বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অন্যান্য যোগ্যতা : কম্পিউটারে ভালো দক্ষতা অভিজ্ঞতা : কমপক্ষে ০১ বছর

চাকরির ধরন : চুক্তিভিত্তিক কর্মক্ষেত্র : অফিসে প্রার্থীর ধরন : নারী-পুরুষ (উভয়) বয়সসীমা : উল্লেখ নেই

কর্মস্থল : ঢাকা বেতন : আলোচনা সাপেক্ষে অন্যান্য সুবিধা : ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী

আবেদন যেভাবে : আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন। আবেদনের শেষ সময় : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সূত্র: কালবেলা




সাবেক মন্ত্রী ফরহাদের সুপারিশেই মাদার গ্রেফতার হয়নি

সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের সুপারিশ থাকায় অনলাইন জুয়ার গডফাদার মাদার আলী ওরফে মাদার মাস্টারকে পুলিশ তুলে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও গ্রেফতার করতে পারেনি। ফরহাদ হোসেন ও তার স্ত্রী মোনালিসা হোসেন সরাসরি অনলইন জুয়াড়ীদের সাথে সখ্যতা বজায় রেখে মোটা অঙ্কের আর্থিক সুবিধা নিতেন বলে তিনি অনেককেই গ্রেফতার থেকে বাঁচিয়েছেন। তার অন্যতম মাদার আলী। মেহেরপুর প্রতিদিনে তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ হলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই সময় তাকে শোকজ করেছিলেন। কিন্তু এখনও তিনি বীরদর্পে সাহেবনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চাকরি করে যাচ্ছেন।

এনিয়ে ওই সময় পুলিশের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করলেও তা মুখ বুজে মেনে নিয়েছেন অনেক কর্মকর্তা। পুলিশের এক কর্মকর্তা অনলাইন জুয়ার দুর্গে অভিযান চালানোর ওই সময় মেহেরপুর প্রতিদিনকে এমনটি জানিয়েছিলেন। জেলা পুলিশের ওই কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী সরাসরি পুলিশ সুপারকে ফোন করে মাদার মাস্টারকে গ্রেফতার না করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। যে কারণে পুলিশের কাছে দেওয়া অনলাইন জুয়ার এজেন্টের জবানবন্দীতে মাদার মাস্টারের নাম থাকলেও পরে সে নাম কেটে দেওয়া হয়। কারণ হিসেবে তিনি আরও বলেছিলেন, মাদার আলী মহাজনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলুর ঘনিষ্ঠ ছিলেন। আমাম হোসেন মিলু মুলত অনলাইন জুয়ার মূল পৃষ্টপোষক ছিলেন এবং তিনি ছিলেন সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রীর ফরহাদ হোসেনের ডান হাত। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অনুষ্ঠান করতে মাদার আলী মিলুকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগীতা করতেন। সবসময় মিলুর পাশাপাশি থাকতেন। এরকম বেশ কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হতেও দেখা গেছে। এমনকি সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন পাশে দাড়িয়েও অনেক ছবি তাকে ফেসবুকে দিতে দেখা গিয়েছে।

আরও পড়ুন  ধরাছোঁয়ার বাইরে অনলাইন জুয়ার অন্যতম চার হোতা মুকুল-জামান-নুরুল-মাদার

মাদার আলীকে পুলিশ গ্রেফতার না করলেও তার ছেলে দেশের অনলাইন জুয়ার সেকেন্ড ম্যান খ্যাত মোস্তাক নাহিদ অনিককে দুই সহযোগীসহ পুলিশ ২০২৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি আটক করে।

অনিককে আটকের পর পুলিশ জানিয়েছিল, অনিকের কাছে থেকে দুটি এবং হাসিবের কাছে থেকে একটি অনলাইন জুয়ার চ্যানেলসহ হাতেনাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। অনিকের কাছে দুটি অনলাইন চ্যানেলের মধ্যে একটি তার নামে এবং অপরটি তার পিতা মাদারের নামে রয়েছে। প্রতিটি চ্যানেলে গড়ে প্রতিদিন আয় হয় ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা। পুলিশ আরো জানায়, মোস্তাক নাহিদ অনিক বাংলাদেশের অনলাইন জুয়া কার্যক্রমের সেকেণ্ড ম্যান হিসেবে সকল কর্মকাণ্ড পরিচালিত করে আসছিলো। অনিক ওয়ান এক্স বেট, মেল বেট ও লাইন বেটের সকল চ্যানেল নিয়ন্ত্রণ করেন। তার কাছে থেকে অনিক নাগাদ, লিনিয়া মাদার নামের দুটি মূল চ্যানেল, এবং হাসিবের কাছে থেকে সাজিব বিকাশ নামের একটি চ্যানেল সহ ব্যবহৃত মোবাইল ও সিম উদ্ধার করেছে।

এর আগে ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বও মেহেরপুর প্রতিদিন ‘মাদার-নুরুল-জামান-মুকুল অনলাইন জুয়ার গডফাদার’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে। সংবাদের পরপরই মাদার আলী মেহেরপুর প্রতিদিন কার্যালয়ে ছুটে আসেন। প্রথমদিকে অনলাইন জুয়ার কথা অস্বীকার করলেও এক পর্যায়ে স্বীকার করেন তিনি অনলাইন জুয়ার সাথে জড়িত ছিলেন।

কে এই মাদার আলী
মাদার আলী ওরফে মাদার মাস্টার। তিনি কোমরপুরের স্থায়ী বাসিন্দা হলেও সদর উপজেলার সাহেবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের লাইব্রেরিয়ান হিসেবে কর্মরত। সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের ডান হাত মুজিবনগর উপজেলার অপসারিত চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলুর ঘনিষ্ট সহচর ছিলেন মাদার আলী। ছোট একটা চাকরি করলেও কোটি টাকা খরচ করে ২তলা বিশিষ্ট রাজপ্রাসাদ বানিয়েছেন তিনি।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ১০ থেকে ১২টি লাইনবেট সাইটের এজেন্ট তিনি। তিনি নিজেও এই লেনদেনের সাথে জড়িত এবং তার ছেলে অনিক ঢাকা থেকে তার এসকল লেনদেন করে থাকেন বলে তার ছেলে পুলিশের কাছে আটক হওয়ার স্বীকারোক্তি দিয়েছিলো।

পড়ুন  অনলাইন জুয়ার সেকেণ্ড ম্যান অনিক ও তার দুই সহযোগী আটক

দুই বছর আগে অনলাইন জুয়ার সংবাদ প্রকাশ ও পুলিশের অভিযান শুরু হওয়ার পর মেহেরপুর প্রতিদিনের সাথে যোগাযোগ করেন ক্ষতিগ্রস্থ এক অনলাইন জুয়ার এজেন্ট। তিনি মেহেরপুর প্রতিদিনকে দেওয়া ভিডিও সাক্ষাৎকারে দুর্লভ কিছু স্বীকারোক্তি দেন। স্বীকারোক্তিতে যাদের নাম জানান, তাদের মধ্যে ২০২০ সালে করোনাকালীন সময়ে মূলত কয়েকজন অনলাইন জুয়ায় জড়িয়ে পড়েন। তারা হলেন- কোমরপুর গ্রামের মুকুল ইসলাম, নুরুজ্জামান ওরফে জামান মাস্টার, নুরুল ইসলাম ওরফে লালন মাস্টার, মাদার আলী ওরফে মাদার মাস্টার এদের অন্যতম। প্রায় অর্ধশত অনলাইন জুয়ার এজেন্ট পুলিশ গ্রেফতার করলেও এই চারজনের কাউকেই এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করেনি।

তাদের মাধ্যমে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে অনলাইন জুয়ার দূর্গ। তারাও হয়েছেন কোটিপতি। এদের রয়েছে প্রায় দু’ডজন এজেন্ট। যারা এই চারজনের চ্যানেল নিয়ে নিয়মিত অবৈধ ট্র্যানজেকশন করে চলেছেন।

পুলিশ সুপারের নামে স্থানীয় অনলাইন এজেন্টদের কাছে টাকা তোলার অভিযোগ ছিলো মাদার আলীর বিরুদ্ধে। তৎকালীন পুলিশ সুপার রাফিউল আলম অনলাইন জুয়ার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষনা দিয়ে তার বাহিনীকে মাঠে নামিয়েছিলেন।

মুজিবনগর থানার ওসি সাইফুল আলমের সাথে সম্প্রতি যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অনলাইন জুয়ার সাথে জড়িতদের ব্যাপারে পুলিশ তৎপর রয়েছে। যারা অনলাইন জুয়ার সাথে জড়িত তাদের তথ্য অনুসন্ধানের কাজ চলছে। যে কোন সময় তাদের গ্রেফতার চালানো হবে।




গাংনীতে নার্সদের প্রতিবাদ সমাবেশ

নার্সদের সমস্ত প্রশাসনিক দপ্তরে ও বিএনএমসির দপ্তরের যোগ্যতার ভিত্তিতে পদায়ন ও নার্সদের নিয়ে সাবেক মহাপরিচালক মাকসুরা নুর কর্তৃক কটুক্তির প্রতিবাদে গাংনীতে নার্সদের প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টার সময় গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চত্তরে এই কর্মসূচি পালিত হয়। কর্মসূচিত সকাল ৯ টা থেকে শুরু হয়ে বেলা ১২ টা পর্যন্ত চালান। এসময় হাসপাতালের সেবা কর্যক্রম বন্ধ রাখা হয়।

কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র ষ্টাফ নার্স নুরুন্নাহার খাতুন, নার্সিং সুপারভাইজার মোছাঃ আমেনা খাতুন, মোছাঃ রোকেয়া খানম, সিনিয়র স্টাফ নার্স মোছাঃ রাফিজা খাতুন, শাহিনা খাতুন, সাহারা খাতুন, মিডওয়াইফ বেলিয়ারা ,সুমি খাতুন।

এসময় গাংনী সন্ধানী নার্সিং ইনস্টিটিউটের ছাত্র ছাত্রীরা অংশ নেন।

উল্লেখ্য, সদ্য পদত্যাগির নার্সিং মহাপরিচালক মাকসুরা নুর নার্সদের প্রসঙ্গে বলেছিলেন, আপনারা ছোট চাকরি করেন। শেখ হাসিনা সেকেন্ড ক্লাস দিয়ে ভুল করেছেন। বদলির আবেদনে এইরূপ কটুক্তিতে আন্দোলনের শুরু হয়।

এক পর্যায়ে আন্দোলনের মুখে তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। এখন সমস্ত দপ্তরে যোগ্য নার্সদের পদায়ন চান তারা।