মেহেরপুরে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের শোক দিবসের আলোচনা সভা
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মেহেরপুরে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নবগঠিত জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটির উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আলোচনা সভা শেষে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের মেহেরপুর জেলা মহিলা আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়, যা কেন্দ্র থেকে চুড়ান্ত অনুমোদনের পর আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশ করা হবে।
আজ শনিবার (২৬ আগষ্ট) বেলা সাড়ে ১২টায় মেহেরপুর জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মেহেরপুরে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের আলোচনা সভা ও জেলা মহিলা আহ্বায়ক কমিটি গঠনের অনুষ্ঠান দুটি অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতারা মেহেরপুর জেলার সকল নেতাকর্মীকে নিজেদের মধ্যেকার ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।
বিশ্বনাথ সাহার সভাপতিত্বে এবং অশোক চন্দ্র বিশ্বাস ও সুব্রত সাহা বাপ্পার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এড. গ্লোরিয়া ঝর্না সরকার এমপি, বিশেষ অতিথি হিসেবে মহিলা ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক দীপালী চক্রবর্তী, মেহেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এড. এম এ সালাম, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এড. মিয়া জান আলী, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি ডাঃ মার্টিন হীরক চৌধুরী, সনজিদ পাল বাপ্পি এবং এড. সুজন কুমার মন্ডল বক্তব্য রাখেন ।
আলোচনা সভায় আলোচকরা বলেন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোররাতে সেনাবাহিনীর কয়েকজন বিপথগামী সদস্য ধানমন্ডির বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল।
পৃথিবীর এই জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নীপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছেলে আরিফ, মেয়ে বেবি ও সুকান্তবাবু, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মনি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন। সে সময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান।