মেহেরপুরে অপহরণের সপ্তাহ পার হলেও উদ্ধার হয়নি স্কুল ছাত্রী

মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ায় অপহরণকারীসহ তার পরিবারের ৫ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন মেয়ের পিতা মন্টু মোল্লা। এক সপ্তাহ পার হলেও উদ্ধার হয়নি স্কুল ছাত্রী বৈশাখী খাতুন।

মন্টু মোল্লা মেহেরপুর সদর উপজেলার আশরাফপুর গ্রামের মৃত দারেজ মোল্লার ছেলে।

অপহরনের দায়ে অভিযুক্তরা হলেন একই গ্রামের আলী হোসেন, তার স্ত্রী আলতা খাতুন, ছেলে সুমন, মেয়ে জান্নাতুল খাতুন ও রিপন হোসেন।

ঘটনার বিবরনে জানা গেছে, মেহেরপুর সদর উপজেলার আশরাফপুর গ্রামের মন্টু মোল্লার মেয়ে অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী বৈশাখী খাতুনকে আলী হোসেনের ছেলে সুমন (২১) প্রায় দুই মাস যাবৎ আমার মেয়েকে উত্যেক্তা করে আসছে। বৈশাখি খাতুন বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে অপহরনকারী সুমন বিভিন্ন খারাপ অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে তাকে উত্ত্যেক্তাসহ কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। তার সেই কুপ্রস্তাবে বৈশাখী খাতুন সাড়া না দিলে বিগত ১৭ আগস্ট বেলা ১ টার দিকে আশরাফপুর বাউনঘাট এলাকায় অভিযুক্তরা সবাই তার পথ আটকে বৈশাখীকে তুলে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। এখন পর্যন্ত তার কোনো খোঁজ খবর পাইনি।

এঘটনায় অপহরণকারী সুমন ও তার পরিবারের ৫ জনের বিরুদ্ধে মেহেরপুর সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভূক্তভোগী পিতা মন্টু মোল্লা।

তিনি বলেন, আমার ছোট নাবালিকা মেয়েকে তারা জোরপুর্বক অপহরণ করে নিয়ে গেছে। প্রায় এক সপ্তাহ হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত পুলিশ তাদের কোনো খোঁজ পাইনি। এব্যাপারে থানায় মামলা করার পর সাহেবপুর পুলিশ ফাঁড়ি থেকে মাত্র একদিন সুমনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সুমনের মায়ের মোবাইল ফোন নিয়ে এসেছিল। তার কয়েক দিন পর সেই মোবাইল ফোন ফেরৎ দিয়ে এসেছে।

সাহেবপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) বিকাশ চন্দ্র মজুমদার বলেন, ওই ছাত্রীকে উদ্ধার প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়া স্থানীয়ভাবেও কথা বার্তা চলছে উদ্ধারের। মেয়েটি এর আগেও একই ছেলের সাথে দুই বার চলে গেছিল। সেখান থেকে পুলিশ উদ্ধার করে নিয়ে এসেছে।




মেহেরপুরে নির্যাতিত নারীর পাশে মউক প্রতিনিধি দল

মেহেরপুর সদর উপজেলার বুড়িপোতা ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামের প্রতিবেশি কর্তৃক নিযার্তিত অসহায় নারী আরজিনা খাতুনের (৩২) সাথে দেখা করেছে ৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল।

 আজ বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে মেহেরপুর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে আর্জিনার সাথে দেখা করেন তারা। এসময় মউক প্রতিনিধি নির্যাতিত আর্জিনার শারিরীক অবস্থার খোঁজ খবর নেন ও ঔষুধ পত্র দেওয়ার পাশাপাশি আইনগত সহায়তার আশ্বাস প্রদান করেন।

প্রতিনিধি দলে ছিলেন মউকের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোছাঃ ফাহিমা খাতুন ও প্রোগ্রাম অফিসার মোঃ আবুল কালাম ও অন্যজন।

জানা গেছে, প্রতিবেশি আঃ কুদ্দুসের নেতৃত্বে তার ছেলেরা গত ১৫ই আগষ্ট আর্জিনা খাতুনকে শারীরিক নির্যাতন করেন। পরে তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।

স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠন মউকের ৩ সদস্য বিশিষ্ঠ একটি প্রতিনিধি দল নির্যাতনের বিস্তারিত বিবরণী জানতে পারে।

উক্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে মেহেরপুর বিজ্ঞ সিনিয়র ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে একটি মামলা করানো হয়েছে। যার মামলা নং সি আর ৬৩১/২৩।




ভারতে খেলতে আসবেন নেইমার

সম্প্রতি ইউরোপ ছেড়ে সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলালে যোগ দিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার। সেই সুবাদে ভারতে খেলতে আসছেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা। এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ড্রতে ভারতের মুম্বাই সিটি এফসির গ্রুপে পড়েছে সৌদি ক্লাব আল হিলাল। বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) এএফসি’র সদর দপ্তর মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে টুর্নামেন্টের ড্র ও সূচি চূড়ান্ত হয়েছে।

গত আইএসএলের লিগ শিল্ড জেতার জন্য এবার সরাসরি এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার সুযোগ পেয়েছে মুম্বাই। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গ্রুপ ডি-তে পড়েছে ভারতের ক্লাব মুম্বাই, সৌদির আল হিলাল, ইরানের ক্লাব নাসাজি মাসান্দারান এবং উজবেকিস্তানের ক্লাব নবখর।

পুনের বালেওয়াড়ি স্টেডিয়ামে মুম্বাই বনাম আল হিলাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা আছে। স্টেডিয়ামে দর্শকের ধারণ ক্ষমতা ১১ হাজারের কিছু বেশি। তার জন্য খুব বেশি মানুষ নেইমারকে দেখার সুযোগ পাবেন না।

কিছুদিন আগেই সৌদি ক্লাব আল হিলালে নেইমার ছাড়াও যোগ দিয়েছেন কাতার বিশ্বকাপে নজরকাড়া মরক্কোর গোলরক্ষক ইয়াসিন বোনো।

সূত্র: ইত্তেফাক




ঝিনাইদহে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও হত্যার হুমকীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

ঝিনাইদহের মহেশপুরে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে মিথ্যা মামলা, ফসল বিনষ্ট, বাড়ি-ঘর ভাংচুর লুটপাট ও হত্যার হুমকী প্রদর্শণের অভিযোগ উঠেছে। এসব ঘটনার বিরুদ্ধে এবং মিথ্যা ও হয়রানী মূলক মামলা প্রত্যাহার করে প্রকৃত দোষীদের নামে মামলার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগীরা।

আজ বৃহস্পতিবার (২৪আগস্ট) দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করে মহেশপুর উপজেলার আলামপুর গ্রামের ইউপি সদস্য আব্দুল মালেক ও ভুক্তভোগীরা।

সে সময় তারা অভিযোগ করে বলেন, গত ২১ জুলাই আলামপুর গ্রামে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দর্শকদের মাঝে সংঘর্ষে হানিফ নামের এক যুবলীগ কর্মী নিহত হয়। এ ঘটনাকে পুঁজি করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মতিয়ার রহমান বর্তমান ইউপি সদস্য আব্দুল মালেকসহ ৬ জনের নামে মামলা করেছে। সংঘর্ষের সময় তারা ছিলো না যা ভিডিও ক্লীপে দেখা যাচ্ছে। হত্যা মামলাকে পুঁজি করে বাড়ি ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করছে। তাই এসব মিথ্য মামলা প্রত্যাহার করে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবী জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে ইউপি সদস্য আব্দুল মালেক বলেন, আমাদের মাঠের ফসল, পাঁকা ধান, কয়েক বিঘা জমির ড্রাগন, কলাসহ বিভিন্ন ফসল মাঠেই নষ্ট হচ্ছে। জমিতে আমাদের যেতে দেওয়া হচ্চে না। ঘটনার সময় করা ভিডিওতে দেখা যায় যাদের নামে মামলা করা হয়েছে তাদের একজনও সেখানে উপস্থিত নেই। শুধু আমাদের ফাঁসাতে এ মামলা করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে ইউপি সদস্য আব্দুল মালেক, রাসেল হোসেন, সাইদুর রহমানসহ ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।




এক্সেলে আসছে পাইথন

মাইক্রোসফট সম্প্রতি ডাটা এনালিসিস ও ভিজুয়ালাইজেশনে জোর দিচ্ছে। আর তার অংশ হিসেবেই তারা পাইথন ও মাইক্রোসফট এক্সেলের মধ্যে সংযোগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতোমধ্যে তারা এটির পাবলিক প্রিভিউ উন্মুক্ত করেছে। নতুন এই পদ্ধতিতে এক্সেল ব্যবহারকারীরা পাইথনের ডাটা পরিবর্তন ও বিশ্লেষণ করতে পারবে।

মডার্ন ওয়ার্ক এট মাইক্রোসফটের জেনারেল ম্যানেজার স্তেফান কিনেস্ট্র্যান্ড জানিয়েছেন, ‘আপনি এখন এক্সেলে পাইথনের ডাটা ম্যানিপুলেট ও এনালাইজ করতে পারবেন। এক্সেলের ফরমুলা, চার্ট, পিভট টেবিল ব্যবহারের মাধ্যমে আপনার পরিকল্পনাকে আরও সুদূরপ্রসারী লক্ষ্যের দিকে নিয়ে যেতে পারবেন। এখন আপনারা অ্যাডভান্স ডাটা এনালিটিক্সের মাধ্যমে এক্সেলের পরিচিত পরিবেশে পাইথন সরাসরি ব্যবহার করতে পারবেন। এজন্য আপনাদের শুধু এক্সেল রিবনের সাহায্য নিতে হবে।’

এক্সেলে পাইথনের এই নতুন ব্যবহারের জন্য নতুন কোনো সফটওয়ার ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই। বরং এক্সেলে এটি আগে থেকেই ইন্টিগ্রেট হয়ে থাকবে। মাইক্রোসফট নতুন পাই ফাংশনও যুক্ত করবে। এভাবে পাইথনের ডাটা এক্সেল স্প্রেডশিটে সহজে দেখা যাবে। এনাকোন্ডার মত পাইথন রেপজিটরির সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে পাণ্ডা, স্ট্যাটসমডেল, ম্যাটপ্লটলিবের মতো পাইথন লাইব্রেরি এখন তারা সহজেই এক্সেস করতে পারবে।

মাইক্রোসফট ক্লাউডে পাইথন ক্যালকুলেশন রান করা হবে ও ফলাফল এক্সেলের স্প্রেডশিটে চলে আসবে। এক্সেল ব্যবহারকারীরা এখন সহজেই ফরমুলা, পিভট টেবল ও পাইথন ডাটা-নির্ভর চার্ট তৈরি করতে পারবে। পাইথনের উদ্যোক্তা গুইডো ভ্যান রোসাম জানিয়েছেন, ‘নতুন এই ফিচারটি নিয়ে আমার আগ্রহের শেষ নেই। আশা করি পাইথন ও এক্সেল ব্যবহারকারীরা নতুনভাবে এই দুটো বিষয়কে ব্যবহারের সুযোগ খুঁজে পাবে ও এসবের সম্ভাবনাকে আরও ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারবে। অন্তত কয়েক বছর আগেও আমরা এমন সুবিধা পাওয়ার কথা কল্পনাও করতে পারতাম না।’




মায়ের বিয়ে দিলেন ছেলে

সুখের কথা চিন্তা করে মায়ের দ্বিতীয়বার বিয়ে দিলেন মারাঠি অভিনেতা সিদ্ধার্থ চন্দ্রশেখর। বুধবার (২৩ আগস্ট) তার মা সীমা চন্দ্রশেখরের দ্বিতীয় বিয়ের ছবি পোস্ট করে খবরটি নিজেই জানান সিদ্ধার্থ। তারপর থেকে নেটিজেনদের প্রশংসায় ভাসছেন এই অভিনেতা।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিদ্ধার্থ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মায়ের বিয়ের ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখেন, ‘হ্যাপি সেকেন্ড ইনিংস মা। আমার কখনো মনে হয়নি, তোমারও কাউকে দরকার। তোমার যে সন্তানদের বাদ দিয়ে জীবন আছে, সে কথা টের পাইনি। তোমারও তো নিজের একটা জগত থাকা উচিত। আর কত দিন তুমি একা থাকবে? তুমি এতদিন সকলের জন্য ভেবেছো। এখন থেকে তুমি নিজের কথাও ভাববে; তোমার নতুন সঙ্গীর কথাও ভাববে। তোমার সন্তানরা সব সময় তোমার পাশে থাকবে।’

নিজের বিয়ের কথা স্মরণ করে সিদ্ধার্থ আরো লেখেন, ‘বিশাল আয়োজন করে তুমি আমার বিয়ে দিয়েছিলে। এবার আমার পালা তোমার জন্য একই কাজ করার। আমার জীবনের সবচেয়ে আনন্দদায়ক বিয়ের ঘটনা হলো, আমার মায়ের বিয়ে। আই লাভ ইউ মা। হ্যাপি ম্যারিড লাইফ।’




ব্রিটিশ হাইকমিশনে চাকরি,বেতন ১ লাখ ৬৯ হাজার টাকা

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ঢাকায় অবস্থিত যুক্তরাজ্য হাইকমিশন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের প্রধান কূটনৈতিক মিশন। প্রতিষ্ঠানটিতে রিজিওনাল সাপোর্ট ম্যানেজার পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম

রিজিওনাল সাপোর্ট ম্যানেজার-হোম অফিস ইন্টারন্যাশনাল অপারেশনস, গ্রেড-এইচইও, ঢাকা।

কর্মস্থল

ঢাকা

গ্রেড

উচ্চতর নির্বাহী কর্মকর্তা

কাজের ধরণ

স্থায়ী

কর্মঘণ্টা

৩৬ ঘণ্টা (প্রতি সপ্তাহ)

বেতন

১,৬৯,৯৯৫ টাকা (প্রতি মাসে)

আবেদনের শেষ তারিখ

৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩।

চাকরি শুরু

১ নভেম্বর ২০২৩।




মুজিবনগরের শিশু ধর্ষক তসলেম উদ্দীন গ্রেফতার

মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার ভবেরপাড়া গ্রামের শিশু ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার আসামি তসলেম উদ্দীনকে গ্রেফতার করেছে মুজিবনগর থানা পুলিশ।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২ টার সময় চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা থানার বড়বোলদিয়া বাজারে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করেন।

তসলেম উদ্দীন মুজিবনগর উপজেলার ভবেরপাড়া গ্রামের বিলাত মিস্ত্রীর ছেলে।

মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী রাসেল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ধর্ষক তসলেম উদ্দীন ঘটনার পরপরই গা ঢাকা দেন। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তার লোকেশন নিশ্চিত হয়ে ডিবি পুলিশের একটি টিম দর্শনা থানার বড়বোলদিয়া বাজারে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করেন।

মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী রাসেলের নেতৃত্বে ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আব্দুল আলীম, এসআই মো: আশরাফুল ইসলাম, এসআই মো: ইস্রাফিল, এসআই উত্তম কুমার, এসআই খালিদুর আশিক অভিযানে অংশ নেন।

উল্লেখ্য, গত ২২ আগস্ট দুপুর দেড়টার দিকে তসলেম প্রতিবেশী ৪ বছর বয়সি শিশুকে ঘাড়ে করে তুলে নিয়ে গিয়ে একটি ঘাসের জমিতে ধর্ষণ করে। পরে মেয়েটি তার বাড়িতে এসে বললে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে নেন। এঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে ধর্ষণের অভিযোগ এনে নারী ও শিশু দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০২০) ধারায় মুজিবনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ২২, তারিখ ২২/০৮/২৩ ইং।

এদিকে ধর্ষক তসলেম উদ্দীনের বিচার দাবী করে থানার সামনে শত শত লোক বিক্ষোভ মিছিল করেন।




মেহেরপুরে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার-৪

মেহেরপুর পুলিশের ২৪ ঘন্টার নিয়মিত অভিযানে মারামারি মামলা ও আদালতের পরোয়ানাভূক্ত ৪ আসামি গ্রেফতার হয়েছেন।

এদের মধ্যে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশের অভিযানে আদালতের পরোয়ানাভূক্ত জিআর মামলার ২ জন, গাংনী থানা পুলিশের অভিযানে মারামারি মামলায় ১ ও মুজিবনগর থানা পুলিশের অভিযানে আদালতের পরোয়ানাভূক্ত জিআর মামলার ১ আসামি রয়েছে।

বুধবার দিবাগত রাতভর থেকে আজ বৃহস্পতিবার ভোররাত পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে পুলিশের পৃথক অভিযানে এসব আসামি গ্রেফতার করেন।

সদর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম, গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক ও মুজিবগর থানার ওসি মেহেদী রাসেলের নেতৃত্বে পুলিশের পৃথক টিম এই অভিযানে অংশ নেন। সংশ্লিষ্ট থানাগুলো এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

আজ বৃহস্পতিবার সকালের দিকে গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে মেহেরপুর জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন।




২৪ লাখ টাকার বায়োমেট্রিক মেশিনের প্রায় সবই বিকল

গাংনী উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থাপন করা ডিজিটাল হাজিরা ডিভাইসগুলো বেশিরভাগই এখন বিকল হয়ে আছে। কিছু মেশিন সচল থাকলেও হচ্ছে না এর সঠিক ব্যবহার। প্রায় সাড়ে ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে কেনা ডিভাইসগুলো এখন পড়ে আছে অযত্ন আর অবহেলায়।

ডিজিটাল বায়োমেট্রিক শিক্ষক হাজিরা ডিভাইস ক্রয়ে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও মোটা অংকের অর্থ কেলেঙ্কারীর কারনে অল্পদিনেই এগুলো অকেজো হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ। এই অকেজো ডিভাইসগুলো এখন শিক্ষকদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বায়োমেট্রিক হাজিরার অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের প্রথম পর্বে থাকছে গাংনী উপজেলা নিয়ে। পরবর্তিতে মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর উপজেলার চিত্রও তুলে ধরা হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক উপস্থিতি শতভাগ নিশ্চিত করতে ২০১৯ সালে বায়োমেট্রিক হাজিরা চালুর সিদ্ধান্ত নেয়। ওই বছরই স্থাপন করা হয় গাংনী উপজেলার ১৬২ টি বিদ্যালয়ে বায়োমেট্রিক হাজিরা ডিভাইস। যার খরচ হয়েছে ২৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা। বায়োমেট্রিক হাজিরা ডিভাইস কেনা হয় ১২ হাজার টাকা ও অনলাইন করতে খরচ হয় প্রতিটি মেসিনে ৩ হাজার টাকা।

ডিজিটাল হাজিরা ডিভাইসটি যন্ত্রটি স্থাপনের উদ্দেশ্য ছিল বিদ্যালয়ে সঠিক সময়ে উপস্থিত ও ছুটির সময় শিক্ষকরা হাজিরা মেশিনে আঙুলের ছাপ দেবেন। শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিত করতেই সরকার এ পদক্ষেপ নিয়েছিল। কিন্তু, বছর না ঘুরতেই জেলার প্রায় ৯০ ভাগ ডিভাইস বিকল হয়ে গেছে। বাকিগুলোর নেই কোনো ব্যবহার।

অভিযোগ আছে, অনেক শিক্ষকই চান না ডিজিটাল হাজিরা মেশিন চালু থাকুক। কারণ প্রায় প্রতিদিনই শিক্ষা অফিসের নাম ভাঙিয়ে অনেক শিক্ষক রাজনৈতিক, সামাজিক অনুষ্ঠান ও ব্যক্তিদের সঙ্গে সময় কাটান। ফলে তাদের মধ্যে অনেকেই এসব মেশিন ইচ্ছেকৃতভাবে অকেজো করে রেখেছেন। এছাড়া কর্তৃপক্ষের উদাসিনতা ও সঠিক তত্ত্বাবধানের কারণেও দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে পড়ে আছে বায়োমেট্রিক হাজিরা যন্ত্রগুলো।

করোনার অজুহাত দেখিয়ে শিক্ষকরা বলছেন, করোনায় বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় ডিভাইসগুলো ব্যবহার হয়নি। একই সঙ্গে সফটওয়্যার আপডেট না থাকায় এখন আর ব্যবহার হচ্ছে না।

নাম প্রকাশ না কারার শর্তে একাধিক শিক্ষক বলেন, ‘২০১৯ সালে আমরা স্লিপ ফান্ডের টাকা দিয়ে হাজিরা মেশিন কিনেছিলাম। করোনায় স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আর ব্যবহার করা হয়নি। নতুন করে কোনো নির্দেশনা না দেওয়ায় এখন ব্যবহার হচ্ছে না বায়োমেট্রিক হাজিরা। এরমধ্যে যেসব মেশিন সচল রয়েছে সেগুলোতে ডাটা আপডেট না করায় এবং সার্ভারের সঙ্গে ঠিকঠাক কানেকশন না থাকায় অকার্যকর পড়ে আছে। ফলে বাধ্য হয়ে অনেক স্কুলকে এখন ম্যানুয়াল হাজিরা খাতা ব্যবহার করতে হচ্ছে।

গাংনী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পারভেজ সাজ্জাদ রাজা বলেন, ‘যাচাই-বাছাই করেই বায়োমেট্রিক হাজিরা যন্ত্রগুলো কেনা হয়েছে। করোনার কারণে মেশিন চালু করা সম্ভব হয়নি। এরইমধ্যে সামনের ডিসেম্বর মাসে সার্ভিসের মেয়াদও শেষ হবে। তিনি বলেন, এখনো অনেক বিদ্যালয়ে এটি চালু রয়েছে। আমার বিদ্যালয়েও ডিজিটাল ডিভাইস চালু রয়েছে।

এ বিষয়ে গাংনী উপজেলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির একাংশের সভাপতি মহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিক হাফিজুর রহমান বকুল বলেন, ‘শিক্ষার মানোন্নয়নে সরকারের এটি একটি ভালো উদ্যোগ ছিল। এই উদ্যোগের ফলে সঠিক সময়ে শিক্ষকরা হাজির হবেন। এতে লেখা পড়ার মানোন্নয়নও হতো।

সাবেক শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বায়োমেট্রিক হাজিরা চালু সরকারের প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এতে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন ও শিক্ষার মানোন্নয়নে ভূমিকা পালন করবে।’ এ শিক্ষকের মতে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যে বায়োমেট্রিক হাজিরা চালু করা হয়েছে এটি যেন লোকদেখানো না হয়ে বাস্তব্যে রূপ দেওয়া হয়। এতে শুধু শিক্ষক হাজিরা নয় বাড়বে শিক্ষার মান। একই সঙ্গে কমবে শিক্ষক অনুপস্থিতির মানসিকতা।’

গাংনী উপজেলা সরকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাসির উদ্দীন বলেন, ডিজিটাল ডিভাইসগুলো অধিকাংশই বিকল হয়ে রয়েছে। আমি শিক্ষকদের ডেকে বলেছি তারা যাদের মাধ্যমে এগুলো লাগিয়েছে তাদের ডেকে ঠিক ঠাক করে দিতে। কিন্তু আজও সেটি হয়নি। তিনি আরও বলেন, আমি কোম্পানীর লোককেও ডেকেছিলাম। তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ঠিক করে দেওয়ার কিন্তু ঠিক করে দেইনি।

ডিজিটাল এ যন্ত্রটির সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন ও শিক্ষার মান উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্টজনরা। তবে নিম্নমানের যন্ত্র ও সঠিক তদারকির অভাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এ উদ্যোগ মুখ থুবড়ে পড়েছে। তাই মেশিনগুলো ঠিক করে পুনরায় চালুর দাবি তাদের।