দামুড়হুদায় ডেঙ্গু সচেতনতা মূলক র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ডেঙ্গু সহ মশাবাহিত অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ বিষয়ক র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল বুধবার বেলা ১২ টার দিকে উপজেলার পরিষদ চত্ত্বরে থেকে উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতা মূলক র‌্যালী বের হয়ে প্রধান সড়ক পদক্ষিণ করে পূনরায় একই স্থানে এসে শেষ হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা’র সভাপতিত্বে ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজল কুমার দাস, উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা হেলেনা আক্তার নিপা, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মাহবুবা আক্তার তাবিয়া, উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন আক্তার, নতিপোতা ইউপি চেয়ারম্যান ইয়ামিন আলী, কার্পাসডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আঃ করিম বিশ্বাস, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হোসনে জাহান, যুবউন্নন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন, আইসিটি কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম, উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা ফয়জুল ইসলাম, দামুড়হুদা মডেল থানার এস আই আরমান, দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ড বাজার কমিটির সভাপতি মাকসুদুল ইসলাম রতনসহ গণমাধ্যম কর্মী, বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক শিক্ষাকা ও ছাত্রছাত্রী বৃন্দ। সভায় বক্তারা মশার জীবন চক্র ও মশা বাহিত বিভিন্ন রোগের উপর বিশদ আলোচনা করেন। ডেঙ্গু মশা চিহ্নিত করণ, ডেঙ্গু মশার প্রজনন ক্ষেত্র, ডেঙ্গু মশা প্রতিরোধে কী কী করণীয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

আলোচনা সভা শেষে মশা নিধোনের জন্য ধোঁয়া স্পে করার দৃশ্য চোখে পড়লে দেখা গেছে, যিনি স্প্রে করছেন তার মুখ ও নাক সম্পূর্ণ উম্মুক্ত।এখানে লক্ষ্যনীয় হচ্ছে,মশা নিধনে যে ধোঁয়া স্প্রে করা হচ্ছিলেন ওই দৃশ্য দেখতে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীরা পিছু পিছু ছুটে যাওয়ার দৃশ্য মেলেন । শক্তিশালী বিষ আর অকটেন মিশ্রিত ধোঁয়া মানবদেহের জন্য কতটা ক্ষতিকর তা সাধারণ জনগণ ও কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীরা কিন্তুু জানেন না।
ফলে এ বিষয়েও সর্বস্তরের জনসাধারণের মধ্যে প্রচারণা চালানো উচিত বলে উপস্থিতিতে এদিকে ,উপজেলার সচেতনমহলের অভিযোগ, উপজেলার প্রায় সকল এলাকায় ড্রেনগুলোতে ময়লা মাটি জমে থাকা , আশপাশের ঝোপঝাড় নিয়মিতভাবে পরিস্কার না করা সহ উপজেলার সদর ইউনিয়নের মাথাভাঙ্গা নদীর পাড় ,হাউলি ইউনিয়নের দর্শনা পৌরসভার বে রেলগেট সংলগ্ন চুয়াডাঙ্গা টু যশোর আঞ্চলিক মহাসড়কের ধারে, বাসাবাড়ি ,ক্লিনিক, সেলুন সহ বাজারের সব ধরনের ময়লা আবর্জনা স্তূপ জমার পাশাপাশি গরু-ছাগলের বজ্র অবাধে ফেলা হচ্ছে।যে কারণে উল্লেখিত সড়ক পথ ধরে পথচারীদের গন্তব্যে পৌঁছতে পোয়াতে হচ্ছে জনদুর্ভোগ।এ কারণে উল্লেখিত স্থান গুলোতে ডাবের খোসা ,মাটির হাঁড়ি সহ বিভিন্ন পাত্রে জমে থাকা পাত্রে ডেঙ্গু মশার লার্ভা তৈরির আশঙ্কা রয়েছেন।কাজেই তাদের দাবি মহামারি ডেঙ্গু প্রতিরোধে শুধূ সভা সমাবেশ করলেই হবে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।




মোনাখালী ফুটবল টুর্নামেন্টে প্রথম সেমিফাইনাল পরিত্যক্ত ঘোষণার দাবী

মোনাখালি ফুটবল টুর্নামেন্টে রেফারি, লাইন্সম্যান ও কমিটির পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে এবং পুনরায় প্রথম সেমিফাইনাল ম্যাচ খেলানোর দাবীতে ‘শালিকা প্রবাসী ফুটবল একাডেমি’র সংবাদ সম্মেলন।

গতকাল বুধবার ২৩ আগষ্ট রাত সাড়ে দশটায় মেহেরপুর জেলা পরিষদের মূল ফটকের সামনে শালিকা প্রবাসী ফুটবল একাডেমির পক্ষ থেকে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা অভিযোগ করেন ম্যাচের একমাত্র গোলটি হয়েছে অফসাইড থেকে, এ নিয়ে ফুটবল টুর্নামেন্ট কমিটি রিভিউ দেখে ম্যাচের সমন্বয় করার প্রতিশ্রুতি দিলেও পরবর্তীতে তা অস্বীকার করে। সংবাদ সম্মেলনে শালিকা প্রবাসী ফুটবল একাডেমীর সদস্যরা ভিডিওতে অফসাইডের গোলটি প্রদর্শন করে দাবি করে টুর্নামেন্ট কমিটি ভিডিওটি দেখে যদি বৈধ গোল বলে ঘোষনা দেয় তবে তারা সেটা মেনে নেবে। কিন্তু যদি অফসাইড প্রমাণিত হয় তাহলে তাদের দাবি ম্যাচটা পুনরায় আয়োজন করার। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার তারা জেলা প্রশাসক মেহেরপুর এবং জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনে স্মারকলিপি জমা দেবে বলে তারা জানায়।




মেহেরপুর জেলা ইয়ং বাংলা ফিউচার লিডার্সের উদ্যোগে পবিত্র কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল

মেহেরপুর জেলা ইয়ং বাংলা ফিউচার লিডার্সের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ ১৫ আগস্ট সকল শহীদদের স্মরণে পবিত্র কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

বুধবার বিকেলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপির নিজ বাসভবনে পবিত্র কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

পবিত্র কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা ইয়াং বাংলা ফিউচার লিডার্সের সহ-সভাপতি ও মেহেরপুর সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম আলী, মেহেরপুর সদর উপজেলা ইয়ং বাংলা ফিউচার লিডার্সের সভাপতি সানোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, পৌর শাখার সভাপতি  রুবেল সাধারণ সম্পাদক রাতুল, সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের  সাংগঠনিক সম্পাদক  ইমরান মোহাম্মদ অনিক, কুতুবপুর ইউনিয়ন  সাধারণ সম্পাদিকা সুমাইয়া আক্তার রিয়া, বুড়িপোতা ইয়ং বাংলার সাধারণ সম্পাদিকা নাহিদা আক্তার সাথী,  মেহেরপুর সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদিকা অমী পারভীন সহ মেহেরপুর জেলা ইয়ং বাংলা ফিউচার লিডার্সের বিভিন্ন নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




মোনাখালী ফুটবল টুর্নামেন্টে বিশ্বনাথপুর একাদশ ফাইনালে

মুজিবনগরের মোনাখালী ইউনিয়নে শহীদ ওলিউল বারী আনসার ক্লাব ও মোনাখালী গ্রামবাসির আয়োজনে ফুটবল টুর্নামেন্টে প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয় বিশ্বনাথপুর যুব ক্লাব একাদশ এবং শালিকা প্রবাসী একাদশ দেশী বিদেশী খেলোয়াড়দের সমন্বয়ে গঠিত দুটি দল চমকপ্রদ খেলা উপহার দেয় দর্শকদের।

উত্তেজনাপূর্ণ খেলায় বিশ্বনাথপুর যুব ক্লাব একাদশ ১-০ গোলে জয় লাভ করেন।

খেলার প্রথমার্ধ গোলশূন্য ড্র করে বিরতিতে যাই দুই দল দ্বিতীয় অর্ধের শুরুতেই গোল করে এগিয়ে যায় বিশ্বনাথপুর একাদশ। মুহু মুহু আক্রমণ চালিয়ে গোল শোধ করতে ব্যর্থ হয় শালিকা প্রবাসী ফুটবল একাদশ। ১ গোলের জয় নিয়ে ফাইনালে উত্তীর্ণ হয় বিশ্বনাথপুর যুব ক্লাব একাদশ।

খেলা শুরুতেই জাতীয় সংগীত বাজানো হয় এ সময় খেলোয়ারদের সাথে পরিচিত হন মোনাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আয়োজক কমিটির সভাপতি মফিজুর রহমান, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সেলিম রেজা, উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর রহমান মানিক, মোনাখালী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমানসহ কমিটির সদস্যবৃন্দ।

খেলাটি পরিচালনা করেন খেলা পরিচালনায়: ম্যাচ রেফারি ছিলেন এম. এস রিয়ান চুয়াডাঙ্গা, সহকারী রেফারি ফারাহ হোসেন লিটন আমঝুপি,সহকারী রেফারি আব্বাস আলী গাংনী, ৪র্থ রেফারি সোহেল রানা মুজিবনগর।

খেলায় ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হয়েছেন বিশ্বনাথপুর একাদশের তাইবুর।




মেহেরপুরের আমঝুপিতে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

মেহেরপুর সদর উপজেলা আমঝুপিতে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয় বিকাল ৪ টায় অনুষ্ঠানের নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর সদর উপজেলার কৃষি অফিসার আলমগীর হোসেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারন অফিসার জাহিদ হাসান , অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন উপ সহকারি কর্মকর্তা আশরাফুল আলম।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যই বলেন নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে কৃটনাশক ঔষধ ব্যবহার থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন তার বিকল্প পথ হল ফেরোমন ফাঁদ তৈরি করে সবজি খেতে টাঙ্গানোর জন্য বলেন।

বিশেষ অতিথি বলেন রাসায়নিক সার অল্প ব্যবহার করেন এবং জৈব সার ব্যবহারে অধিক গুরুত্ব দেন এবং কৃষকভাইয়েরা অধিক ফলন পাবেন কৃষক প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শহিদুল ইসলাম তার বক্তব্যে তিনি বলেন বর্তমানে লাউ চাষ করে সফলতা পেয়েছি এবং জৈব সার ব্যবহার করে অধিক ফলন পেয়েছি কৃষি কর্মকর্তাদের সহযোগিতা নিয়ে ফেরোমনফাঁদ তৈরি করে কৃটনাশক সবজি বাজারে রপ্তানি করেছি।বর্তমানে শহিদুল ইসলামের ৫ একর লাউ ক্ষেত আছে এবং সে ১৫ লক্ষ টাকার আশাবাদি।




ডেঙ্গুতে মৃত্যু ৫০০ ছাড়াল

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৫০৬ জনে।

এই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ৭০ জন। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১ লাখ ৬ হাজার ৪২৯জন।

বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ৭ হাজার ৮২৫ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৩ হাজার ৫৮০ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৪ হাজার ২৪৫ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।

চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৬ হাজার ৪২৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৫১ হাজার ২৭ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ৫৫ হাজার ৪০২ জন।

সূত্র: যুগান্তর




হলিউডে এই প্রথম বাংলাদেশি গোয়েন্দা

কাজী আনোয়ার হোসেনের কালজয়ী স্পাই থ্রিলার মাসুদ রানা ‘ধ্বংসপাহাড়’ অবলম্বনে নির্মিত ‘এমআর-৯: ডু অর ডাই’ , সিনেমা নিয়ে দর্শকের আগ্রহ দিন দিন বেড়েই চলেছে। শুক্রবার (২৫ আগস্ট) পৃক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে চলেছে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নির্মাতা আসিফ আকবরের বহুল আলোচিত সিনেমা ‘এমআর-৯: ডু অর ডাই’। হলিউড ধাঁচে নির্মিত সিনেমাটি মুক্তি উপলক্ষে সম্প্রতি রাজধানীতে একটি হোটেলে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল টিম এমআর-৯।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন হলিউড, চাইনিজ ও বাংলাদেশী তারকারা। জানা যায়, দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বাজেটের সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে প্রায় ৮৩ কোটি টাকা ব্যয়ে। কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য সহ, বাংলা, হিন্দি, ইংরেজি সহ বেশ কয়েকটি ভাষায় মুক্তি পাবে সিনেমাটি।

এসময় পরিচালক আসিফ আকবর বলেন, “বাংলাদেশের সব দর্শকের মাঝে মাসুদ রানা সিরিজ একটা আবেগের জায়গা। সেখান থেকে এটা নিয়ে সিনেমা বানাতে চেয়েছিলাম। বলা চলে- অনেকটা দায়িত্ববোধের জায়গা থেকেই প্রায় ৬ বছর ধরে ‘এমআর-৯: ডু অর ডাই’ বানিয়েছি। স্ক্রিপ্টের পেছনে আমরা তিন বছরের বেশি সময় দিয়েছি। ২৬টি ড্রাপ্টের পরে আমরা শুটিং স্ক্রিপ্ট ফাইনাল করেছি। এটার জন্য অনেক রিসার্চ করেছি। শুধু বইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকিনি। আমরা বিশ্বের সব দেশের দর্শকদের নিয়ে রিসার্চ করেছি। সুতরাং সিনেমাটি নির্মাণে আমরা চেষ্টার কোনো ঘাটতি রাখিনি।”

তিনি আরও বলেন, “আজ থেকে ৬০ বছর আগে বাংলাদেশের পাঠক ‘মাসুদ রানা’ বইগুলো গ্রহণ করেছিল। শুধু তাই নয়, এই বইয়ের মাধ্যমে উঠে এসেছিল পুরো দুনিয়ার বেশকিছু ঘটনা। আমি মনে করি এই সিনেমাটি পুরো বিশ্বের দর্শকের কাছে যেতে পারবে। ‘মাসুদ রানা’ সহ আরও যে চরিত্রগুলো ছিল সেগুলোও আমরা দারুণভাবে তুলে ধরতে পেরেছি। এই সিনেমায় ধংস পাহাড়সহ বিদেশের কিছু চরিত্র আমরা যোগ করেছি। এখানে যুক্তরাষ্ট্রের সিআইএ, চীনের এমএসএস এজেন্সি, ভারতের র এজেন্ট এই সিনেমায় বিদ্যমান। এগুলোর সঙ্গে তো বাংলাদেশের মূল জায়গাটি আছেই।”

এই সিনেমার সফলতা পেলে হলিউড অভিনেতাদের সঙ্গে বাংলাদেশের অভিনেতাদের নিয়ে আরও কাজ করতে চান বলে নির্মাতা জানান। তার কথায়, ‘হলিউডে প্রথমবারের মত বাংলাদেশি কোন গোয়েন্দা হিরো পরিচয় করাতে পারছি। এটা দুই দেশের জন্য ঐতিহাসিক বিষয় হতে যাচ্ছে। আমাদের পরিকল্পনা আছে- দর্শকরা যদি এটা গ্রহণ করেন হলিউডের সঙ্গে আমরা কাজ চলমান রাখব।’

এদিকে ‘এমআর-৯’ সিনেমা মিউজিকে অস্কার পাবে বলে মন্তব্য করেছেন অভিনেতা শহীদুল আলম সাচ্চু।

‘এমআর-৯: ডু অর ডাই’ সিনেমায় এবিএম সুমনের সঙ্গে অভিনয় করেছেন ভারতের অভিনেত্রী সাক্ষী প্রধান। এছাড়া ঢাকা থেকে আরও আছেন শহীদুল আলম সাচ্চু, আনিসুর রহমান মিলন, জেসিয়া ইসলাম ও টাইগার রবি। এছাড়া মার্কিন অভিনয়শিল্পী হিসেবে কাজ করেছেন মাইকেল জেই হোয়াইট, নিকো ফাস্টার, ম্যাট পাসমোর, ওলেগ প্রাডিউস, কেলি গ্রেসন প্রমুখ।

সিনেমার চিত্রনাট্য করেছেন পরিচালক আসিফ আকবর, আব্দুল আজিজ ও নাজিম উদ দৌলা। প্রযোজনায় জাজ মাল্টিমিডিয়া ও আল ব্রাভো ফিল্মস (যুক্তরাষ্ট্র)।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরের আমঝুপিতে “ওয়াচ গ্রুপের ত্রৈমাসিক সভা অনুষ্ঠিত”

‘‘সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষা, ও শিক্ষায় বৈষম্য দূর করতে সামাজিক প্লাটফরম কমিউনিটি এডুকেশন ওয়াচ গ্রুপের ত্রৈমাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বুধবার (২৩ আগস্ট) সকাল ১০ টার দিকে মউক এর হলরুমে গনসাক্ষরতা অভিযান এর সহায়তায় মানক উন্নয়ন কেন্দ্র (মউক) আয়োজিত কমিউনিটি এডুকেশন ওয়াচ গ্রুপের এই ত্রৈমাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মেহেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক সাইদুর রহমান এর সভাপতিত্বে ওয়াচ গ্রুপের বর্তমান ও আগামী পরিকল্পনা নিয়ে স্বাগত বক্তব্য দেন মউকের নির্বাহী প্রধান আশাদুজ্জামান সেলিম।

অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আমদহ ইউনিয়নের ওয়াচ গ্রুপের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম কিবরিয়া, মেহেরপুর পৌর কাউন্সিলর আব্দুর রহিম, ওয়াচ সদস্য রেশমা খাতুন, সমাজসেবক আব্দুর রকিব ও মীর ফারুক হোসেন।

সভায় সকল শিশুকে বিদ্যালয়ে ভর্তি, শিক্ষায় বৈষম্য দূর সহ প্রান্তিক জনগোষ্ঠির শিশুদের বিষয়ে জোর দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন প্রোগ্রাম ম্যানেজার কাজল রেখা।




সমস্যায় জর্জরিত গাংনী উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরী

নানা সমস্যায় জর্জরিত মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরী। লাইব্রেরীয়ানের ১৫ বছর বেতন বকেয়া, অবকাঠামো সংস্কার, আসবাবপত্র ও বই সংকটের কারণে ঝিমিয়ে পড়েছে লাইব্রেরীটির কার্যক্রম। অবস্থা দৃষ্টে মনে হয় এর কোন অভিভাবক নেই। তবে, উপজেলা চেয়ারম্যান বলছেন লাইব্রেরী চালুর উদ্যোগ নেয়া হবে।

১৯৮৪ সালে গাংনী উপজেলা পরিষদ চত্ত¦রের একটি কক্ষে গাংনী উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরীটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। লাইব্রেরীটি পরিচালনার জন্য ১৯৮৭ সালে গোলাম রহমান নামের একজন চুক্তিভিত্তিক লাইব্রেরীয়ান নিয়োগ দেয়া হয়। প্রতিষ্ঠার সময়ে পাঠকদের পদভারে মুখর থাকলেও বই সংকট সহ নানা সমস্যায় দিনদিন পাঠক সংখ্যা কমতে থাকে।

এদিকে গত ১৪ বছর বেতন ভাতা না পেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন লাইব্রেরীয়ান গোলাম রহমান।

লাইব্রেরীতে পর্যাপ্ত পরিমাণ নতুন বই সংযোজন করা হয় না। রয়েছে চেয়ার, টেবিল ও আলমারীর সংকট। গত কয়েক বছর লাইব্রেরী বন্ধ থাকায় মূল্যেবান বই সহ আসবাবপত্র এখন অনেকটাই নষ্ট হয়ে পড়েছে।

স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বড়রাও অবসর সময়ে বই ও পত্রিকা পড়ার জন্য লাইব্রেরীতে আসলেও বছরের পর বছর বন্ধ থাকে একারনে জ্ঞান চার্চা থেকে পিছিয়ে পড়ছেন তারা। অবকাঠামো সংস্কার ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী।

সন্ধানী স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেনীর ছাত্র সজল আহমেদ বলেন লাইব্রেরীটি সব সময় তালাবদ্ধ থাকে। যে কারনে বই পুস্তক নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এখানে অনেক শিক্ষার্থীরা বই পড়তে এসে ফিরে যায়।

পাঠক আলাউদ্দীন আহম্মেদ, রজব আলী বলেন, যখনই লাইব্রেরীতে আসি তখনই বন্ধ পাওয়া যায়। লাইব্রেরীটা খোলা হলে বই পড়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারতাম। লাইব্রেরীর অবস্থা দেখে মনে হয় জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুর রকিব বলেন, পাবলিক লাইব্রেরী মানুষের জ্ঞানার্জনের জন্য একটি উৎকৃষ্ট যায়গা। এখানে তরুন বয়সে বই, পত্রিকা পড়তে আসবে। তবেই তো আমাদের ছেলে মেয়েরা মেধাবী হয়ে গড়ে উঠবে। উপজেলার মত একটা যায়গায় লাইব্রেরী রয়েছে। অথচ, দীর্ঘদিন যাবৎ এটি বন্ধ থাকে। আমাদের ছেলে মেয়েরা জ্ঞানার্জনের জন্য যাবে কোথায়। এজন্য আমরা আমাদের মেধাবী ছেলে মেয়েদের হারাচ্ছি। বই পড়ার সুযোগ না পেয়ে তারা মাদকে ঝুঁকছে। আমি নিজেও বই পত্রিকা পড়ার জন্য আসতাম। কিন্তু বছরের পর বছর লাইব্রেরীটা বন্ধ থাকায় সেই সুযোগ থেকে বঞ্জিত হচ্ছি। লাইব্রেরীটা দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ রয়েছে। অবসর সময়ে বই পড়তাম। বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন তারা

গাংনী উপজেলা নুরুল ইসলাম রিন্টু বলেন, আমি এক সময় গাংনী উপজেলা পরিষদের এই লাইব্রেরীর নিয়মিত পাঠক ছিলাম। লাইব্রেরীটি দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে। লাইব্রেরীটি চালু হওয়া উচিৎ।

লাইব্রেরীয়ান গোলাম রহমান বলেন, ১৪ বছর বিনা বেতন দায়ীত্ব পালন করেছি। এখানে দায়ীত্ব পালন করতে গিয়ে সংসার পরিজন নিয়ে অনেক দেনায় পড়ে রয়েছি। লাইব্রেরীতে এক সময় জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকা দিয়ে ৪/৫ টি পত্রিকা আসতো। পর্যাপ্ত পরিমান বই রয়েছে। প্রতিদিন প্রচুর পরিমান পাঠক আসতো এখানে। অথচ, সেই জমজমাট লাইব্রেরীটি বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছি। আমার ও লাইব্রেরীর খোঁজ খবর রাখার মত কেউ নেই।

গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ খালেক বলেন, করোনার কারনে প্রায় তিন বছর বন্ধ ছিলো। নতুন উদ্যোমে লাইব্রেরীটি চালু করার জন্য উদ্যোগ নেয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে বসে সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




এখন স্বপ্ন বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপ: সাকিব

ক্লান্তি যেন ছুঁতে পারে না বিশ্বসেরা টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে। গেল মাসে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ শেষ করেই উড়াল দিয়েছিলেন কানাডার উদ্দেশে। সেখানে গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে সরাসরি যান লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগে সেটা শেষ করে আবার পাড়ি জমান দু্বাইয়ে এক স্বর্ণের দোকার উদ্বোধনের উদ্দেশ্যে। সব শেষ করে গত পরশু দেশে ফিরেছেন টাইগার এই অধিনায়ক। তবে দেশে ফিরেও থেমে নেই। বলা যায় বিশ্রামে থাকতেই পারেন না সাকিব। তবে তা তার কাছে নতুন নয়। জাতীয় দলের খেলা না থাকলে এইটা তার নিত্য রুটিন।

মঙ্গলবার সকালে চলে যান সাকিব চলে যান বরিশালের গৌরনদী উপজেলার সুন্দরদী গ্রামের একটি হাসপাতালের চিকিত্সা কার্যক্রমে অংশ নেন সাকিব। সকাল ১০টায় হেলিকপ্টারে সেখানে পৌঁছান তিনি। পরে দুপুর সাড়ে ১২টায় হেলিকপ্টারযোগে ফের ঢাকা ফিরে আসেন তিনি। এখানে এসেও যোগ দিয়েছেন একটি মুঠোফোন কোম্পানির শুটিং। সোমবার ঢাকায় ফিরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি না হলেও এদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন সাকিব। বরিশালে তিনি তার বর্তমান চিন্তাভাবনা সম্পর্কে জানান, ‘এখন স্বপ্ন বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপ (জয়)। বাকিটা পরে দেখা যাবে।’

এছাড়া মঙ্গলবার বিকালে ঢাকায় গণমাধ্যমে সাকিব জানান এ ব্যস্ত সূচি তিনি উপভোগ করছেন। বলেন, ‘পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে আমাদের এগুলো ম্যানেজ করেই চলতে হয়। যেহেতু সময় এত বেশি নেই। এই অল্প সময়ে সবকিছু ম্যানেজ করার একটা ওয়ে তো বের করাই লাগে। একটু ব্যস্ততা থাকে। কিন্তু ভালোই লাগে ব্যস্ততা।’ এদিকে গত বিশ্বকাপে টাইগারদের হয়ে দারুণ পারফর্ম করেছিলেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। ব্যাট হাতে ৬০৬ রানের সঙ্গে বল হাতে নেন ১০ উইকেট। এবারের বিশ্বকাপে এমন কিছু পরিকল্পনা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওরকম কোনো কিক নেই। শুধু চেষ্টা করতেছি যতটা ফিট থাকা যায়। যেহেতু সামনে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট বা সিরিজ আছে। প্রচুর খেলা আছে, ইনজুরি হওয়ার সম্ভাবনাটা বেশি।’

এর আগে এদিন বরিশালে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে টাইগার অধিনায়ক বলেন, ‘এখানে এসে খুবই ভালো লাগছে। এরকম তো আসলে মানুষের সঙ্গে মেশার সুযোগ হয় না। একটা মহৎ উদ্যোগের সঙ্গে থাকতে পেরে নিজের খুব ভালো অনুভূতি হচ্ছে। একই সঙ্গে যেহেতু বরিশালে খুব একটা আসা হয় না, ক্রিকেটে আন্তর্জাতিক ম্যাচ যেহেতু হয় না। স্বাভাবিকভাবে আসার সম্ভাবনাটা খুবই কম থাকে। এভাবে আসতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। আশা করি শুধু বরিশাল না, পুরো বাংলাদেশের সবাই আমাদের সবসময় সমর্থন দেয়। বরিশালবাসীও অনেক বেশি সাপোর্ট করবে। সামনে যে বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপ আছে ওখানে আমরা ভালো করব।’

জানা গেছে, আজ বিশ্রামে কাটিয়ে আগামীকাল থেকেই যোগ দিবে মিরপুরে চলমান এশিয়া কাপ স্কোয়াডের অনুশীলন ক্যাম্পে। দল দেশ ছাড়ার আগে এই ক্যাম্প চলবে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত, তাই বলা যায় দলের সঙ্গে অধিনায়ক অনুশীলন করবে মাত্র দুই দিন। পরে ২৬ আগস্ট দল উড়াল দেবে শ্রীলঙ্কায়।

সূত্র: ইত্তেফাক