সংবাদ পরিবেশনের ধরন পাল্টাচ্ছে ‘এক্স’

সম্প্রতি সংবাদের লিংক পোস্ট করার পর হেডলাইন লুকিয়ে ফেলার ডিজাইন করার ঘোষণা দিয়েছে প্রতির্ষ্ঠানটি। অর্থাৎ কোনো সংবাদের লিংক দেওয়া হলে তার শিরোনাম দেখা যাবে না। নতুন এই পরিবর্তনের ফলে এক্সের লে আউট আরও আকর্ষণীয় হবে বলে জানিয়েছে মাস্ক।

এখন কোনো নিউজ লিংক দেওয়া হলে সংবাদের শিরোনাম, বর্ণনামূলক অংশ ও একটি ছবি দেখা যায়। কিন্তু এখন কোনো লিংক দেওয়া হলে শুধু ছবি আর লিংকটি দেখা যাবে। একটি সূত্র জানাচ্ছে, এভাবে পোস্টের আকার ছোট করা হচ্ছে ও স্ক্রিনে একসঙ্গে অনেকগুলো পোস্ট এটে দেওয়ার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাই ব্যবহারকারীরা এখন ওই লিংকে সরাসরি প্রবেশ করেই সংবাদটি দেখতে পারবে।

কদিন আগে ইলন মাস্ক নিজেও বলেছেন, সংবাদপত্র যেন স্বাভাবিকভাবে বেশি ভিজিটর পায় ও তাদের আয় বাড়ে সেজন্য তারা নতুন লে আউটের চিন্তা করছে। সম্প্রতি এক্স নতুন বেশকিছু নিয়মও চালু করছে। তারমধ্যে ব্লক ফিচার বন্ধ করা একটি।

সূত্র: ইত্তেফার্ক




গাংনীতে চুরি ও মারামারি মামলার ৩ আসামি গ্রেফতার

পৃথক দুটি স্থানে অভিযান চালিয়ে মারামারি ও চুরির মামলায় ৩ জন আসামিকে আটক গাংনী থানা পুলিশ।

এরা হলেন, গাংনী মহিলা কলেজপাড়া এলাকার আবু জাহিদ (৫০) ও তার ছেলে জুনাইদ হোসেন (২০)। এছাড়া একটি চুরির মামলায় মানিক মিয়া (৪০) কে আটক করেছে। মানিক মিয়া কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার ধলসা গ্রামের মজনু মিয়ার ছেলে।

মজনু মিয়াকে গত রাতে এবং পিতা পত্রকে আজ সকালে আটক করেছে পুলিশ।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষ হলে মহিবুল ইসলাম ওহিদ পিতা পুত্রকে আসামি করে একটি মারামারি মামলা দায়ের করেন মামলা নং ২৬, তারিখ ২৩/০৮/২৩ ইং। ওই মামলায় অভিযান চালিয়ে পিতা পুত্রকে আটক করে পুলিশ। এদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গাংনী বাজারে মোটরসাইকেল চুরি করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক হন মানিক মিয়া। পরে তাকে উত্তম মধ্যম দিয়ে পুলিশে তুলে দেন জনতা। এই মানিক মিয়াকে একটি চুরি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

আজ বুধবার (২৩ আগস্ট) বেলা ১১ টার দিকে আটককৃত আসামিদের আদালতের মাধ্যমে মেহেরপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।




আলমডাঙ্গায় দিনব্যাপি ব্যস্ত সময় কাটালেন জেলা প্রশাসক

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা আলমডাঙ্গা উপজেলায় পরিচিতি ও মতবিনিময় গতকাল মঙ্গলবার তিনি উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, সকল দপ্তরের কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের সাথে মতবিনিময় করেন। এর আগে তিনি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজরিত আলমডাঙ্গা বধ্যভূমিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেন।

মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন,আজকের এই মতবিনিময় সভায় আলমডাঙ্গার সার্বিক চিত্র দেখতে পেলাম এখন। সমস্যা সমাধানে সবাই যে এটি নিয়ে ভাবেন। আলমডাঙ্গার মাটি এবং মানুষ নিয়ে যে আপনাদের চিন্তা ভাবনা, এটি আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। এজন্য আপনাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। অনেক বিষয় আছে যেগুলো হয়তো রাস্ট্রীয় ভাবে উদ্যোগ নেওয়া জরুরী। কিন্তু কিছু বিষয আছে যেগুলো আমরা স্থানীয়ভাবে উদ্যোগ নিতে পারি। যেমন অতিগুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো মাদক। আমার বিশ্বাস মাদকের বিরুদ্ধে আপনারা সবাই সোচ্চার। আপনারা বলেছেন সিমান্তের ওপার থেকে মাদকের আগমন হতে পারে। আমার বিশ্বাস সিমান্তে বড়ারগার্ড বিজিবি অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে কাজ করছে। আমি তাদের সাথে এ বিষয়ে আলোচনা করবো। তবে লোকালই যদি মাদকের চাহিদা কমাতে না পারি তাহলে তরুন সমাজের জন্য ভয়ঙ্কর বিপদের কারণ হয়ে উঠতে পারে। সে জন্য মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে ত্লুতে হবে। যারা জনপ্রতিনিধি আছেন,তাদের নেতৃত্বে ইউনিয়ন পর্যায়ে মাদকের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলা। এবং মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স শুরু করা।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্রিগ্ধা দাসের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আইয়ৃব হোসেন, আলমডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র হাসান কাদির গনু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট সালমুন আহম্মেদ ডন, সহকারী কমিশনার ভূমি রেজওয়ানা নাহিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট আব্দুর রশীদ, কৃষি কর্মকর্তা রেহেনা পারভীন, উপজেলা প্রকৌশলী আরিফুদ্দৌলা, কালিদাসপুর ইউপি চেয়ারম্যান আশাদুল হক মিকা, হারদী ইউপি চেয়ারম্যান আশিকুজ্জামান ওল্টু, জেহালা ইউপি চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান শিলন, নাগদাহ ইউপি চেয়ারম্যান বিপুল জোয়ার্দ্দার, বাড়াদি ইউপি চেয়ারম্যান তবারক হোসেন, চিৎলা ইউপি চেয়ারম্যান সরোয়ার হোসেন প্রমুখ।

এছাড়াও জেলা প্রশাসক আলমডাঙ্গা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আলমডাঙ্গা থানা, কালিদাসপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিস, আলমডাঙ্গা পৌরসভা পরিদর্শন করেন ও হাটবোয়ালিয়া আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি উপকারভোগীদের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন।




চুয়াডাঙ্গায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আনন্দ মিছিল

সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা বিল- ২০২৩ জাতীয় সংসদে পাশ হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে আনন্দ মিছিল করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ।

আজ মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা শিল্পকলা একাডেমী চত্বর থেকে আনন্দ মিছিলটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদিক্ষণ শেষে বড় বাজার শহীদ হাসান চত্বরে এসে শেষ হয়। পরে শহীদ হাসান চত্বরে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা করে সংগঠনটি।

কর্মসূচীতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সৈয়দ ফরিদ আহম্মেদ।

চুয়াডাঙ্গা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান হাফিজের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর মাফিজুর রহমান মাফি।

কর্মসূচীতে আরও বক্তব্য রাখেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, আবু তাহের, আতিউর রহমান বিপ্লব, মামুনুল হাসান, আব্দুস সামাদ, আসাদুজ্জামান সবুজ, আব্দুল আলিম, জাতীয় শ্রমিক লীগ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুক্তার হোসেন মিলন, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জুয়েল রানা, চুয়াডাঙ্গা পৌর কৃষকলীগের আহ্বায়ক রাকিবুর রহমান রাকু, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আব্দুল হালিম ভুলন, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ইমরান আহম্মেদ, সাবেক সদস্য আল ইমরান বিপ্লব, কুতুবপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আক্তার হোসেন, দামুড়হুদা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রানা, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ওয়াসিম আলী, সাধারণ সম্পাদক মামুন, ২নং ওয়ার্ডের সভাপতি ফারুক, ৩নং ওয়ার্ডের সভাপতি নাজমুল, সাধারণ সম্পাদক টোকন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিসান, ৪নং ওয়ার্ডের সভাপতি পিন্টু, সাধারণ সম্পাদক রবিন, ৫নং ওয়ার্ডের সভাপতি উজ্জল, ৭ নং ওয়ার্ডের সভাপতি সজিব, সাধারণ সম্পাদক কাশেম, ৮নং ওয়ার্ডের সভাপতি ইমদাদ, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর, ৯নং ওয়ার্ডের সভাপতি খান ফয়সালসহ চুয়াডাঙ্গার প্রতিটা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা।

আনন্দ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে উন্নত দেশ গঠনে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি দেশের জনগণের কথা চিন্তা করেন। আজকে দেশের জনগণও উন্নত জীবনযাপনের স্বপ্ন দেখেন।আমরা প্রধানমন্ত্রীর এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের জন্য অভিনন্দন জানাই।

বক্তারা আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের গরিব-দুঃখী সর্বসাধারণের কথা চিন্তা করে এমন একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছেন। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের ধনী গরিবের যে বৈষম্য রয়েছে সেটা দূর হবে। মানুষ যাতে ভালো থাকে সেজন্য এই সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।




চুয়াডাঙ্গায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযান আটক-১

চুয়াডাঙ্গায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযান ১ জনকে আটক করছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।

আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে এগারোটা সময় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম ভুঁইয়া ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক নাজমুল হোসেন খান ও উপ পরিদর্শক সাহারা ইয়াসমিন ও আকবর হোসেন এর নেতৃত্বে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয় চুয়াডাঙ্গা, সদর থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় অভিযান করে আসামি মো:ইকবাল (৪৪), পিতা :মো: ফজলু মাষ্টার গ্রাম: সাদেক আলী মল্লিক পাড়া, থানা ও জেলা চুয়াডাঙ্গা কে চুয়াডাঙ্গা সদর থানাধীন সাদেক আলী মল্লিক পাড়াস্থ নিজ দখলীয় বসতঘর হইতে ৩ কেজি গাঁজা সহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়, উক্ত গ্রেফতারকৃত আসামীকে বিজ্ঞ নির্বাহী উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেট ১ বছর ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১০০ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।




দর্শনা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে নবাগত ওসির মতবিনিময়

দর্শনা থানার নবাগত ওসি বিপ্লব কুমার শাহার সঙ্গে দর্শনা প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক সমিতির সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে দর্শনা প্রেসক্লাবের সভাপতি জাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব মামুনের সঞ্চালনায় মতবিনিয় সভায় বক্তব্যে রাখেন দর্শনা থানার নবাগত ওসি বিপ্লব কুমার শাহা বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ । পুলিশ ও সাংবাদিক কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করলে সমাজ থেকে মাদক, সন্ত্রাস, ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, বাল্যবিবাহ, চাঁদাবাজিসহ সব ধরণের অপরাধ কমে যাবে।

এ সময় তিনি থানার সকল প্রকার অপরাধমূলক কর্মকান্ড দমন করতে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নের লক্ষ্যে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন।

এ মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন দর্শনা থানার সেকেন্ড অফিসার খান আব্দুর রহমান, দর্শনা প্রেসক্লাবের সম্পাদক হানিফ মন্ডল, এসময় উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক আওয়াল হোসেন, মনিরুজ্জামান ধীরু, এফ এ আলমগীর, নজরুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান সুমন, চঞ্চল মেহমুদ, হাসমত আলী, আব্দুল আলিম, ওয়াসিম রয়েল, আব্দুল হান্নান, মাহমুদ হাসান রনি, আব্দুর রহমান, মাসুদ বিল্লা, আব্দুল হান্নান, রিফাত, সুকমল চন্দ্রদাস বাঁধন প্রমুখ।




আলমডাঙ্গায় যৌতুকের টাকা চেয়ে স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ

আলমডাঙ্গা উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদফতরে কর্মরত (হিসাব রক্ষক) হাছিবুল আলম শিপনের বিরুদ্ধে যৌতুক ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছে তারই স্ত্রী ফরিদা পারভিন। গত রবিবার সকালে ভুক্তভোগী ফরিদা খাতুন বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। নির্যাতনের শিকার ওই নারী হলেন দর্শনা থানার আনোয়ারপুর গ্রামের ফজলু হকের মেয়ে।

অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, গত ২০ বছর আগে দর্শনা থানার আনোয়ারপুর হঠাৎপাড়া এলাকার ফজলু হকের মেয়ে ফরিদা পারভিনের সঙ্গে আলমডাঙ্গা উপজেলার হাটবোয়ালিয়া বাজারপাড়া এলাকার আবু তাহেরে ছেলে হাছিবুল আলম শিপনের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের সংসার জীবনে এক পূত্রসন্তান রয়েছে। তাদের ছেলেটি একটি হাফেজিয়া মাদ্রাসায় অধ্যায়নরত রয়েছে।

ভুক্তভোগী ফরিদা পারভিন জানান, ইতোপূর্বে হাছিবুল আলম শিপন চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদফতরে হিসাব রক্ষক পদে কর্মরত ছিলেন। চাকুরির সুবাদে ওই এলাকায় বসবাস করা হয়। সে বিভিন্ন দুষ্ট প্রকৃতির লোকের সঙ্গে মিশে এক মেয়ের সাথে পরকীয়া প্রেমে আসক্ত হয়ে পড়ে। বিভিন্ন সময় যৌতুকের টাকা দাবি করে তাকে নির্যাতন করে।

নির্যাতন থেকে বাঁচতে পর্যায়ক্রমে বাবার বাড়ি থেকে তার স্বামীকে নগত ৭ লাখ টাকা এনে দেন স্ত্রী ফরিদা খাতুন। এছাড়াও বিয়ের সময় দেওয়া ৭ ভরি স্বর্ণের গহনা ও ৩ লাখ টাকার আসবাবপত্র হাছিবুল আলম শিপন বিক্রয় করে দেয়।

এতে হাফেজিয়া মাদ্রাসা পড়ুয়া ছেলেকে নিয়ে বিপাকে পড়েন স্ত্রী ফরিদা পারভিন। এর পরও তার স্বামী হাছিবুল আলম শিপন , শ্বশুর আবু তাহের, শাশুড়ি মরিয়ম বেগম নাহি, ননদ তানিয়া আক্তার তনু ও তার স্বামী (ননদাই) রাশেদ হাসান যৌতুকের জন্য তাকে আরও বেশি মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন শুরু করে।

গত ২০ আগস্ট সকালে ফের এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। তাদের নির্যাতন ও অত্যাচার সইতে না পেরে, তার বাবার বাড়িতে চলে যেতে বাধ্য হয় ফরিদা পারভিন। পরে তার বাবা ফজলু রহমান স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন ফরিদা পারভিনকে।

বিচারের দাবিতে, ফরিদা পারভিন বাদি হয়ে রবিবার সকালে আলমডাঙ্গা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

নির্যাতনের শিকার ফরিদার বাবা ফজলু রহমান জানান, বিভিন্ন সময় যৌতুক নিয়েও ক্ষান্ত হয়নি মেয়ের জামাই হাছিবুল আলম শিপন। সরকারি চাকুরির অজুহাতে অন্য মেয়ের সাথে অবৈধ সম্পর্কে আমার মেয়ের উপর নির্মম নির্যাতন ও যৌতুক দাবি করে। বিচারের দাবিতে মেয়ে বাদি হয়ে থানায় অভিযোগ করেছে। এখন আমার মেয়ে তার ছেলেকে নিয়ে কোথায় দাঁড়াবে।

সত্যতা স্বীকার করে চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মাসুম আহমেদ বলেন, অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগে গত প্রায় ৩ মাস পূর্বে জীবননগর থেকে আলমডাঙ্গা উপজেলায় বদলি করা হয়েছে। অভিযুক্ত শিপনের স্ত্রী আমাদের নিকট লিখিত অভিযোগ করলে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অভিযুক্ত আলমডাঙ্গা উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদফতরে কর্মরত (হিসাব রক্ষক) হাছিবুল আলম শিপন জানান, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে, সেগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যে। পরকীয়ার বিষয়ে তার নিকট জানতে চাইলে ফোন কেটে দেয়। একাধিকবার তার সাথে যোগাযোগ করার চেস্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি।




গাংনীতে জনতার হাতে মোটরসাইকেল চোর আটক; পুলিশে সোপর্দ

গাংনী বাজার বাসস্ট্যান্ডে থেকে মোটরসাইকেল চুরির সময় মানিক মিয়া নামের এক চোরকে হাতেনাতে আটক করেছে স্থানীয় জনতা। মানিক মিয়া( ৪০) কুষ্টিয়া মিরপুরের ছাতিয়ান ইউনিয়নের ধলসা গ্রামের মজনু মিয়ার ছেলে।

মঙ্গলবার রাত ৮ টার সময় এঘটনা ঘটে। মানিক মিয়াকে গণধোলায় শেষে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।

বাজার কমিটির সভাপতি সালাউদ্দিন শাওন জানান,গাংনী বাজারের আশরাফুল ইসলাম তার একটি মোটরসাইকেল আমিরুল ইসলাম মার্কেটের সামনে মোটরসাইকেল রেখে বাজার করছিল। এসময় তার মোটরসাইকেলটি মানিক মোটরসাইকেলটি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় মোটরসাইকেল চোর সন্দেহে মানিককে আটক করে গণধোলাইয়ের পর গাংনী থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করে।

গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, মোটরসাইকেল চোর সন্দেহ একজনকে পুলিশে সোপর্দ করেছে বাজারের লোকজন। তাকে চুরির মামলায় দিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হবে।




পাতা দিয়েই জন্মাবে গাছ

শৌখিনতা থেকে অনেকে আজকাল ঘরের ভেতর বাগান করার চেষ্টা করেন। বাগান করার মাধ্যমে ঘরের পরিবেশের নির্মলতা নিশ্চিতকরণের প্রচেষ্টাও থাকে। অনেকে নিজেই ঘরের ভেতর গাছ বীজ থেকে চারা বানানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু ভালো বীজ সংগ্রহ ও বীজ থেকে চারা গজানোর প্রক্রিয়াটি সহজ নয়। কিন্তু সব গাছের ক্ষেত্রে বীজের প্রয়োজন হয় না। কিছু গাছ পাতা দিয়েই জন্মানো সম্ভব। ইনডোর প্লান্টের ক্ষেত্রে যেসব গাছের বীজ প্রয়োজন হয় না সেসব গাছ নিয়েই আজকের আলোচনা।

অ্যালোভেরা
কটি অ্যালোভেরার পাতা নিন ও কিছু সময় শুকানোর জন্য ছায়ায় রাখুন। এরপরে কাটা পাতার নীচের অংশ শুকিয়ে গেলে টবে রোপণ করুন। প্রতিদিন এর ওপর অল্প অল্প পানি দিতে থাকুন। কিছুদিনের মধ্যেই দেখবেন নতুন পাতা উঁকি দিচ্ছে। অ্যালোভেরার ওষুধি গুণ রয়েছে। আর সেটি আপনার জন্যও অনেক ভালো। বাড়িতেই অ্যালোভেরা চাষ করতে পারা ভালো একটি সুবিধা।

রাবার গাছ
টবে মাটি দিয়ে ভর্তি করে নিন। তারপর রাবার গাছের পাতা টবে রোপণ করুন ও পানি ছিটিয়ে দিন। এরপর টবটিকে রৌদ্রোজ্জ্বল জায়গা থেকে দূরে রাখুন যেখানে প্রচুর আলো রয়েছে। ১৫-২০ দিনের মধ্যে গাছ বড় হতে শুরু করবে। রাবার গাছ বাড়ির ভেতর লাগালে সুবিধা কি? ঘরের বাতাস পরিশোধনের কাজটি করে রাবার গাছ।

বেলি ফুল
একটু পরিচিত প্লান্টের দিকে এবার তাহলে তাকানো যাক। বেলির সুঘ্রাণ তো সবারই পছন্দ। একটি মাঝারি আকারের টবে কম্পোস্ট মিশ্রিত মাটি দিয়ে ভরাট করুন। এরপর তাতে পুরনো বেলি ফুল গাছ থেকে একটি ডাল নিন। তারপর এই ডাল টবে রোপণ করে পানি দিন। পাত্রটি এমন জায়গায় রাখুন যেখানে গাছটি হালকা সূর্যের আলো ও বাতাস পাবে। মাসখানেকের মধ্যে নতুন গাছ গজাবে।

স্নেক প্লান্ট
ইনডোর প্লান্টের মধ্যে স্নেক প্ল্যান্ট ব্যাপক জনপ্রিয়। এই গাছ গজানোর জন্য আসলে কোনো বীজের প্রয়োজন হয় না। স্নেক প্ল্যান্টের একটি বড় পাতা নিতে হবে। এরপর পাতাটিকে দুই ভাগে কেটে নিন। টবে রাখা মাটিতে রোপণ করুন। এরপর পানি ছিটিয়ে দিন। এক মাসের মধ্যেই নতুন স্নেক প্ল্যান্ট তৈরি হয়ে যাবে।

সূত্র: ইত্তেফাক




মুজিবনগরে চার বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ

মুজিবনগরে ৪ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তারই নানা সম্পর্কের প্রতিবেশি ভ্যান চালক তসলেম উদ্দীনের (৫০) বিরুদ্ধে। ওই শিশুটি বর্তমানের মেহেরপুর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) বেলা দেড়টার মুজিবনগর উপজেলার ভবেরপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ধর্ষক ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে।

ধর্ষিতার মা জেসমিন আক্তার জানান, মঙ্গলবার দুপুরে দেড় টার সময় আমার মেয়েকে তসলেম উদ্দীন ঘাড়ে করে তুলে নিয়ে গিয়ে তার বোনের ঘাসের জমিতে ধর্ষণ করে। পরে মেয়ে বাড়িতে এসে আমাকে বিষয়টি জানায়। আমি বাড়িতে তার পায়জামা চেক করে দেখি পায়জামাতে রক্ত জড়িয়ে আছে। প্রথমে মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে মেহেরপুর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন চিকিৎসক।

মেহেরপুর ২৫০ বিশিষ্ট মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আমিনা খাতুন বলেন, আমি ধর্ষিতাকে প্রাথমিকভাবে দেখে’প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি । এখন সিভিল সার্জনসহ বোর্ড বসিয়ে তাকে ডাক্তারি পরিক্ষা করে বোঝা যাবে সে ধর্ষিত হয়েছে কিনা।

মুজিবনগর থানার ওসি মেহেদী রাসেল বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনা শোনার সাথে সাখে আমরা ঘটনাস্থলে পৌছেছি। শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত আসামীকে আটকের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।