এশিয়া কাপে এবাদতের জায়গায় নতুন মুখ সাকিব

শেষ হয়ে গেছে এবাদত হোসেনের এশিয়া কাপ। হাঁটুর চোটে এই পেসার ছিটকে গেলে তার জায়গায় কে যুক্ত হচ্ছেন, সেটি ছিল জানার অপেক্ষায়। অবশেষে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এবাদতের বদলির নাম ঘোষণা করেছে। এশিয়া কাপের দলে যোগ হয়েছেন নতুন মুখ তানজিম হাসান সাকিব।

গত ১২ আগস্ট এশিয়া কাপের দল ঘোষণা করেছিল নির্বাচক কমিটি। সেই দলে স্ট্যান্ডবাই তালিকায় ছিলেন তানজিম সাকিব। এবাদতের চোটে এবার মূল দলের দরজা খুলে গেল এই পেসারের। ৩৭ লিস্ট ‘এ’ ম্যাচে তার ৫৭ উইকেট। সম্প্রতি ইমার্জিং এশিয়া কাপের তিন ম্যাচে ৯ উইকেট নিয়ে নজর কাড়েন তানজিম সাকিব।

এদিকে এশিয়া কাপ শুরুর আগেই সব শেষ হয়ে গেল এবাদতের। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে হাঁটুর চোটে পড়েছিলেন। আশা ছিল, এশিয়া কাপের আগেই সেরে উঠবেন। তবে সেটি হয়নি।

এবাদতের চোট নিয়ে বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী বলেছেন, ‘ইনজুরির পর ছয় সপ্তাহ পুনর্বাসনে ছিলেন এবাদত। এই সময়ে অনেক এমআরআই করানো হয়েছে তার। রিপোর্ট বলছে, তার অবস্থা এখনও উদ্বেগজনক এবং আরও চিকিৎসা দরকার। তিনি এশিয়া কাপ খেলতে পারবেন না।’

এশিয়া কাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ৩১ আগস্ট। ক্যান্ডিতে সেদিন শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। পরের ম্যাচ ৩ সেপ্টেম্বর লাহোরে, প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান।

বাংলাদেশ দল: সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, মেহেদী হাসান, হাসান মাহমুদ, নাসুম আহমেদ, শামীম হোসেন, শরিফুল ইসলাম, আফিফ হোসেন, নাঈম শেখ, তানজিম হাসান সাকিব।

সূত্র: ইত্তেফাক




সরকারি চাকুরীতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবীতে ঝিনাইদহে মানববন্ধন

সরকারি চাকুরীতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবীতে ঝিনাইদহে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে শহরের কবি সুকান্ত সড়কের পাবলিক লাইব্রেরীর সামনে এ কর্মসূচীর আয়োজন করে চাকুরী প্রার্থীদের সংগঠন ৩৫ বাস্তবায়ন কমিটি। এতে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে সংগঠনটির নেতাকর্মী ছাড়াও শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।

সেসময় সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় সভাপতি আবুল খায়ের, জেলা শাখার সভাপতি রুবেল হুসাইন, চাকুরী প্রার্থী জনি আহমেদ, মিলি খাতুন, মওদুদ হোসেনসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

এসময় বক্তারা বলেন, ‘চাকরিতে আবেদনের বয়স ৩৫ বছর করার দাবিতে আমরা প্রায় ১২ বছর ধরে আন্দোলন করছি। কিন্তু এখনো সরকার যৌক্তিক এ দাবি মেনে নেয়নি। বয়স নয়, যোগ্যতাই একজন প্রার্থীর একমাত্র মাপকাঠি। ডিজিটাল হওয়া সত্ত্বেও সোনার বাংলাদেশে চাকরিতে আবেদনের বয়স ৩০ বছরে সীমাবদ্ধ। এটা আমরা কোনোভাবেই মানতে পারি না।’ তাই ২০১৮ সালে বর্তমান সরকারের দেওয়া নির্বাচনী ইশতেহার সরকারি চাকুরীর বয়সসীমা ৩০ থেকে বৃদ্ধি করে ৩৫ করার দাবী জানাচ্ছি।




সংগীতশিল্পী আসাদ আব্বাস মারা গেছেন

দীর্ঘদিন ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন কোক স্টুডিও সিজন-৬ এ পারফর্ম করা পাকিস্তানের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আসাদ আব্বাস। মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) রোগের সঙ্গে লড়াই করে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন তার ভাই হায়দার।

দি টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, আসাদ আব্বাস সপ্তাহে চারদিন ডায়ালাইসিস করছিলেন। একটি কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রি, রাজনীতিবিদ এবং ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছে চিকিৎসায় সহযোগিতাও চেয়েছিলেন।

চলতি বছরের শুরুর দিকে আসাদ আব্বাস ডেইলি পাকিস্তানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, গত সাত বছর ধরে তিনি কিডনি রোগের সঙ্গে লড়াই করছেন। তার চিকিৎসার জন্য ইতোমধ্যে প্রায় ৭০ মিলিয়ন রুপি খরচ হয়েছে। থেরাপির জন্য পরিবারকে অর্থ সরবরাহে লাহোর ও ফয়সালাবাদে বাড়ি বিক্রির কথা বলেছিলেন।

তিনি অরও জানান, সংগীত প্রতিযোগিতায় পুরস্কার হিসেবে পাওয়া ১০ মিলিয়ন রুপিও চিকিৎসার জন্য খরচ করেছেন। এমনকি তার মার্সিডিজও বিক্রি করতে হয়েছে। তার এই কঠিন অবস্থা জানতে পেরে মায়ের মৃত্যু হয়েছে।

পাকিস্তানের অভিনেতা আদনান সিদ্দিকী গত জুন মাসে গায়কের চিকিৎসায় সহযোগিতার জন্য ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছে আহ্বান করেছিলেন।

সংগীতশিল্পী ফারিহা পারভেজের সঙ্গে ২০১৩ সালে ‘মাহি গ্যাল’ শিরোনামে গানে কণ্ঠ দিয়ে বেশ প্রশংসা লাভ করেন আসাদ আব্বাস।




নতুন নিয়ম টুইটারের

টুইটার এখন ‘এক্স’। সেখানেই একের পর এক পরিবর্তন আনছেন ইলন মাস্ক। সম্প্রতি নতুন একটি পরিবর্তনের কথা ঘোষণা করলেন তিনি।

টুইটার কিনে নেওয়ার পর থেকে নানা ‘মাইক্রো ব্লগিং সাইট’-এ বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন এনেছেন ইলন মাস্ক। সেই পরিবর্তন নিয়ে বিতর্কের মুখে পড়তে হয়েছে তাকে। কখনও আবার পরিবর্তনের পক্ষেই কথা বলেছেন অনেকে। তবে সাম্প্রতিক যে পরিবর্তনটি এনেছেন ইলন, তাতে ক্ষুব্ধ ও বিরক্ত হয়েছেন অনেকেই। এখন ‘এক্স’ নামে পরিচিত মাইক্রো ব্লগিং সাইটে কাউকে ‘ব্লক’ করার সুবিধা বাতিল করা হচ্ছে বলে ঘোষণা করেছেন ইলন। টুইটারে যারা সক্রিয় থাকেন, এই ঘোষণা প্রকাশ্যে আসতেই তারা বিরক্ত হয়েছেন। ইলন জানিয়েছেন, ব্লক করার সুযোগ রাখার কোনও যৌক্তিকতা নেই।

অনেকের মতে, ব্লক ফিচার তুলে দিলে সমাজ-মাধ্যমে নানা ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন হতে হবে। কটূক্তি, কুরুচিকর মন্তব্য, নানা ধরনের অসামাজিক পোস্টের আধিক্য বাড়বে। যাদের পোস্ট দেখতে চান না অথবা নিজের পোস্টে অন্য কারও অংশগ্রহণ না চাইলে সেই প্রোফাইলগুলি ব্লক করে দেওয়াই শ্রেয়। কিন্তু মাস্কের সাম্প্রতিক ঘোষণায় সেই সুবিধা আর থাকছে না, সেটাই স্পষ্ট হয়েছে।

শুধু টুইটার বলে নয়, সব সামাজিক মাধ্যমে অবাঞ্ছিত আনাগোনা ঠেকাতে এই ব্লক করার সুবিধা রাখা হয়েছিল। অহেতুক বিরক্তির হাত থেকে বাচতে অপছন্দের ব্যক্তিকে ব্লক করে দেওয়া সবচেয়ে সহজ পথ। তবে এখন থেকে টুইটারে সেই সুযোগ থাকছে না। তবে ব্লক করার সুযোগ না থাকলেও ‘মিউট’ করে দেওয়া যাবে। অর্থাৎ, আপনি যদি কারও পোস্ট দেখতে না চান, সে ক্ষেত্রে তাকে মিউট করে রাখতে পারেন টুইটারে। যে প্রোফাইলটি মিউট করবেন, সেই প্রোফাইলের কোনো পোস্টের নোটিফিকেশন আসবে না। তবে টাইমলাইনে থেকে যাবে।

সূত্র: ইত্তেফাক




গাংনীতে শিক্ষক কল্যাণ সমিতির জমি দখলমুক্ত করতে সংঘর্ষ আহত ১৬

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক কল্যাণ সমিতির কার্যালয়ের জমি দখলকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সৃষ্ট সংঘর্ষে ছয় শিক্ষক ও নারীসহ অনন্তত ১৬ জন আহত হয়েছেন।

আহতদের উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার(২২ আগষ্ট) বেলা ১১ টার সময় গাংনী পৌর এলাকার-মেহেরপুর সড়কের বাঁশবাড়িয়া এলাকায় অবস্থিত শিক্ষক কল্যাণ সমিতির কার্যালয়ের সামনে লাঠিশোঠা নিয়ে এক রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহত শিক্ষকরা হলেন- উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও গাংনী পাইলট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আফজাল হোসেন(৫৫) জিলবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেন মিঠু, এইচবি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজু আহমেদ,সাহেবনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদ, রামনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান লিখন, ও গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক রায়হান আলী। শিক্ষকদের ওপর হামলাকারিদের দ্রত গ্রেপ্তারের দাবী জানিয়ে সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষকরা।

অপরদিকে শিক্ষকদের হামলায় কার্যালয়ের জমি দখলকারিদের মধ্যে নারীসহ অন্তত দশজন আহত হয়েছেন। আহতদের গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কুষ্টিয়া মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে।

আহতরা হলো-বাঁশবাড়িয়া গ্রামের নিজাম উদ্দিন-(৪০), মিজান (২৫), মুজাম (৩৫), সোহেলী খাতুন (২৫), সুমাইয়া (২২), হাবিবা খাতুন (৪০) শহিদুল ইসলাম (৫০), শিপন আলী (২০), সোহরাব হোসেন (৩০), ইমরান আলী (২৫), নাজিরা খাতুন (২৫)।
আহতদের মধ্যে মুজাম ও সোহেলীর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদের দুজনকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।

আধা ঘন্টা যাবত সংঘর্ষের সময় গাংনী থানা পুলিশের একটি টীম ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।

গাংনী পৌর মেয়র আহমেদ আলী, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ খালেক ও গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। উভয় পক্ষকে শান্ত করে জমিজমার কাগজপত্র যাচাই করার প্রতিশ্রতি দিলে শিক্ষকরা তাদের কর্মসুচী প্রত্যাহার করেন। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

শিক্ষক কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও গাংনী পাইলট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আফজাল হোসেন জানান, প্রায় দশ বছর আগে আমরা সমিতির নামে ন্যায্য টাকা দিয়ে হাবিুর রহমানের ওয়ারিশদের কাছ থেকে জমি ক্রয় করি। তারপর সেখানে সমিতির কার্যালয় ভবন নির্মাণ করি। সেই কার্যালয়ের সামনে হঠাৎ করে হাবিবুর রহমানের নামের একজন ব্যক্তি রাতের আধারে জমি দখলে নিয়ে বসত শুরু করে। তাদের বার বার তাগাদা দেয়া সত্বেও তারা আমাদের জায়গা খালি করে দেয়নি। আজ সকালে সমিতির সকল সদস্যরা কার্যালয়ের জমি দখল মুক্ত করতে আসে। এসময় বাড়ির ভিতর থেকে ইট পাটকেল মারতে শুরু করে। হাবিবুর রহমানের লোকজনের ইটের আঘাতে আমাদের ছয় শিক্ষক রক্তাক্ত জখম হয়েছে। সমিতির নামে ক্রয়কৃত জমি দখল করতে উপজেলার সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ছুটে এসেছেন।

অন্যদিকে আহত নিজাম ও মুজাম বলেন, শিক্ষকরা যে জমি ক্রয় করেছে সেই জমিতে আমাদের অংশ রয়েছে। আমাদের অংশ বুঝিয়ে না দিয়ে তারা অফিস নির্মাণ করেছেন। হাবিবুর রহমান তার নিজের জমি দাবী করে বসবাস শুরু করেন।
আজ সকালে হঠাৎ কয়েক শো শিক্ষক হাতে বাশের লাঠি নিয়ে রাস্তায় জড়ো হয় এবং জোরপুর্বক ইট ও বালি ফেলতে শুরু করে। আমরা বাধা দিতে গেলে শিক্ষরা তাদের হাতে থাকা বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর শুরু করেন। শিক্ষকদের হামলায় আমাদের পক্ষের নারীসহ মোট ১০জন আহত হয়েছেন।

আহতদের মধ্যে দুজনকে কুষ্টিয়া হাসপাতালে রেফার করেছেন চিকিৎসক। হামলার সময় শিক্ষকরা আমাদের বাড়িঘরের সমস্ত কিছু ভেঙ্গে তছরুপাত করেছেন। এবং ঘরের টিন ও আসবাপত্র যা ছিল তা সব নিয়ে গেছে বলেও দাবী করেন তারা।

গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমি ঘটনা শুনতে পেয়ে দ্রত পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছি। উভয় পক্ষের লোকজন জখম হয়েছে। জখম হওয়া ব্যক্তিরা চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি থমথমে। এখনও কোন পক্ষ থেকে অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।




গাংনীর সহড়াতলায় গ্রেফতার আতঙ্কে গ্রামবাসী

ঘটনার এক দিন পর বিজিবির সদস্যদের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা প্রদানসহ নানা অভিযোগ এনে সহড়াতলা গ্রামের এজাহার নামীয় ১২ ও অজ্ঞাত ৫০/৬০ জনের নামে গাংনী থানায় মামলা হয়েছে।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সহড়াতলা বিওপি ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েব সুবেদার মো: ইসরাইল শেখ বাদী হয়ে ধারা ২৪/৩৩২/৩৫৩/৩৪ দ.বি আইনে গত রবিবার রাতে এই মামলাটি দায়ের করেন। মামলার নং ২৩, তারিখ ২০/০৮/২০২৩ ইং।
এদিকে গ্রামবাসীর দাবি, বিজিবি কোনো উসকানি ছাড়াই গ্রামের আশিক নামের প্রবাস ফেরত একজন ভাল ছেলেকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা ও মারধর করে রক্তাক্ত করার প্রতিবাদ করায় সাধারণ মানুষের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে বিজিবি। এ মামলায় কিছু নাম উল্লেখ করলেও বাকি নামগুলো অজ্ঞাত থাকায় গোটা গ্রামের মানুষের মাঝে বর্তমানে মামলা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বেশির ভাগ মানুষ পুলিশি আতঙ্কে এখন পালাতে শুরু করেছেন।

এদিকে ৪৭ বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি’র) হাত থেকে হ্যান্ডকাফসহ পালিয়ে যাওয়া আশিক (৩০)কে গ্রেফতরা করেছে গাংনী থানা পুলিশ।

গত রবিবার (২০ আগস্ট) দিবাগত রাতে গাংনী উপজেলার করমদী গ্রামের পাগলার ব্রীজের উপর থেকে তাকে হ্যান্ডকাপসহ গ্রেফতার করে পুলিশ।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মামলা হওয়ার পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে হ্যান্ডকাপ পরিহিত অবস্থায় গ্রেফতার করা হয়েছে।

গত শনিবার দিবাগত রাত আনুমানিক সোয়া ৮ টার দিকে বিজিবির একটি টিম সহড়াতলা বাজারের ফকিরের মোড় এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় হাড়াভাঙ্গা গ্রামের সলেমান আলীর ছেলে সৌদী প্রবাস ফেরত আশিক(২৭) কে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যেতে চাই। ক্যাম্পে যেতে না চাইলে তাকে বিজিবি সদস্যরা মারধর করে। এতে সে রক্তাক্ত হয়ে পড়েন আশিক। পরে স্থানীয়রা জানতে চান কেনো তাকে এভাবে মারধর করছেন। এক পর্যায়ে গ্রামবাসি আশিককে বিজিবির হাত থেকে ছিনিয়ে নেন। পরে সে হ্যান্ডকাপ নিয়ে পালিয়ে যান।

স্থানীয় বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বিজিবির সদস্যরা একজন ছেলেকে বাজারের উপর বুট দিয়ে লাথি মেরে রক্তান্ত করে ফেলে রাখায় এলাকার মানুষ তাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওই যুবককে ছাড়িয়ে নেন। এনিয়ে বিজিবির সাথে বাক বিতন্ড হয়েছে। এনিয়ে গ্রামবাসির উপর মিথ্যা মামলা করা হয়েছে।

৫ নং ওয়ার্ড সহড়াতলা গ্রামের ইউপি সদস্য শরিফুল ইসলাম লাটু বলেন, বিজিবি’র মামলার কারনে গ্রামের অনেক লোক এখন পালিয়ে যাচ্ছে। আতংকের মধ্যে রয়েছেন অনেকেই। মামলায় ১২ জনের নাম উল্লেখ থাকলেও অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ৫০/৬০ জনকে। আমরা জনপ্রতিনিধি হিসেবে বিজিবির কাছে আহবান জানাবো এলাকায় শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে মামলা থেকে বিরত থাকতে।

কাজিপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড হাড়াভাঙ্গা গ্রামের ইউপি সদস্য মহিবুল ইসলাম বলেন, বিজিবির মামলা সমন্ধে এখনো আমার কাছে তথ্য নেই। মামলার কথা এই প্রথম শুনলাম। বিষয়টি জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের লোকজন বসে বিষয়টি মিটালে সবাই ভাল থাকবে।

তেঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: নাজমুল হুদা বিশ^াস বলেন, এই ঘটনায় তাৎক্ষনিকভাবে ৫ নং সহড়াতলা ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শরিফুল ইসলাম লাটু, কাজিপুর ইউনিয়নের হাড়াভাঙ্গা গ্রামের ইউপি সদস্য মহিবুল ইসলামসহ গ্রামের কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সহড়াতলা বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা ওই রাতেই জরুরী বৈঠকে বসা হয়। সে সময় হ্যান্ডকাপ উদ্ধার ও আশিককে বিজিবির হাতে তুলে দেওয়ার অনুরোধ জানান বিজিবি। আশিক পলাতক থাকায় তাৎক্ষনিকভাবে কোনো সূরাহা হয়নি।

৪৭ বিজিবির সহড়াতলা বিওপি ক্যাম্পের বর্তমান কমান্ডার হাবিলদার রিয়াজ বলেন, আমি বদলি হয়ে এসেছি। আমার পূর্ব কমান্ডার নায়েব সুবেদার মো: ইসরাইল শেখ বদলি হয়ে চলে গেছেন। আমি নতুন এসেছি। আমি মামলা সমন্ধে কোনো কিছু বলতে পারবোনা।

মিরপুর ৪৭ বিজিবি’র সিও লে. কর্ণেল আরিফ বলেন, সহড়াতলা বিওপি ক্যাম্পে কর্মরত বিজিবি সদস্যদের সেক্টরে তুলে নেওয়া হয়েছে। আসলে সেদিনকার ওই ঘটনায় কি হয়েছিল তদন্তের জন্য। হ্যান্ডকাপ পরানো অবস্থায় আশিককে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি ওইদিনকার ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, বিজিবির টহল দলের কাছে তথ্য ছিল ওই যুবকের কাছে মাদক ছিল। এমন তথ্যের ভিত্তিতে ওই যুবককে ধরে সার্চ করা হয়। তাৎক্ষনিকভাবে তার কাছে কোনো মাদক পাওয়া যায়নি। তবে তার কাছ থেকে একটি রেজিস্ট্রেশন বিহীন মোটরসাইকেল ও অন্যান্য মাল পাওয়া যায়। ওই সময় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ক্যাম্পে নেওয়ার সময় সে বাজারের উপর গিয়ে সিনক্রিয়েট করে। এসময় বাজারের কিছু লোক আমাদের ইউনিফ্রম পরা বিজিবি সদস্যদের দেখার পরেও আসামি ছিনিয়ে নেয়। আসলে এলাকার যারা চোরাচালানি বা এদের সাথে সম্পৃক্ত তাদের আমরা অনেকটাই চিনি। সেভাবেই মামলা দেওয়া হয়েছে।




মেহেরপুরে পুলিশের অভিযানে ৮ আসামি গ্রেফতার

মেহেরপুর পুলিশের ১২ ঘন্টার নিয়মিত অভিযানে আদালতের পরোয়ানাভূক্ত জিআর ও সি আর মামলার ৮ আসামি গ্রেফতার হয়েছেন।

গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশের অভিযানে আদালতের পরোয়ানাভূক্ত জিআর ও সিআর মামলার ৬ আসামি, গাংনী থানা পুলিশের অভিযানে আদালতের পরোয়ানাভূক্ত ১ ও মুজিবনগর থানা পুলিশের অভিযানে সিআর মামলার ১ জন আসামি রয়েছেন।

সোমবার দিবাগত রাতে আজ মঙ্গলবার ভোররাত পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে এসব আসামি গ্রেফতার করেন।

সদর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম, গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক ও মুজিবনগর থানার ওসি মেহেদী রাসেলের নেতৃত্বে পুলিশ এসব অভিযান চালান। সংশ্লিষ্ট থানা সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আজ মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দুপুরের দিকে গ্রেফতারকৃত আসামিদের আদালতের মাধ্যমে মেহেরপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।




দর্শনায় স্ত্রীর বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগে থানায় মামলা, সাংবাদিক সম্মেলন

দর্শনা শৈলমারী গ্রামে এক স্বামীর বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তার স্ত্রীর। এ অভিযোগের ভিত্তিতে বিচারের নামে ডাকা হয় দর্শনা থানায়। এসময় বাদি-বিবাদি সহ গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গকে নিয়ে থানায় হাজির হলে বিবাদি সাহেব আলীকে ধরে থানা কাষ্টরিতে আটকে রাখা হয়। এদিকে বিচার-সালিশের নামে থানায় ডেকে বিবাদিকে আটকে দেওয়ার ঘটনায় দর্শনা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন।

অভিযোগে জানাগেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের দর্শনা থানাধীন শৈলমারী গ্রামের মাঝপাড়ার মৃত আকবার আলীর ছেলে মিজানুর রহমান দর্শনা প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগে বলেন, আমার ছেলে মো: সাহেব আলীর স্ত্রী মোছা: সহিদা ওরফে নূপূরের সহিত সংসার করাকালে বিগত ৪/৫ মাস পূর্বে অন্যথায় পরকীয়ায় লিপ্ত হয়।

এ পরকিয়ার ঘটনা নিয়ে তাদের উভয়ের মধ্যে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে উক্ত বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের উপস্থিতিতে আপোষ মিমাংসা করা হয়। এ আপোষ-মিমাংসার পরেও আমার ছেলের স্ত্রী সহিদা ওরফে নুপুর পূণরায় পরকীয়ায় লিপ্ত হয় এবং ঘটনা সম্পর্কে আমার ছেলে অবগত হওয়ার পর তার স্ত্রীকে মারধর করে।

উপরোক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে আমার ছেলের স্ত্রী সহিদা ওরফে নুপুর কয়েকদিন পূর্বে আমার ছেলে সাহেব আলীর নামে দর্শনা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করে। এ অভিযোগের তদন্তভার দর্শনা থানার এস,আই নিতিশ কুমারের উপর।

এঘটনায় গত ২১ আগষ্ট সোমবার দর্শনা থানার এসআই নিতিশ কুমার উক্ত ঘটনা মিমাংসার জন্য বিকাল সাড়ে ৫ টায় আমার ছেলে ও তার স্ত্রী মোছা: সহিদা ওরফে নুপুরকে দর্শনা থানায় হাজির হতে বলে। পরবর্তীতে আমি সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ বিকাল সাড়ে ৫ টার সময় দর্শনা থানায় উপস্থিত হওয়া মাত্রই দর্শনা থানার এসআই নিতিশ কুমার আমার ছেলেকে ধরে নিয়ে থানার কারাগার বন্দি করে রাখে।

এ আপোষ-মিমাংসায় আমি সহ উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়ন আ.লীগ সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহব্বায়ক ও দর্শনা সরকারী কলেজের সাবেক ভিপি জামাল উদ্দিন, দর্শনা ট্রাক ও ট্রাংকলরী শাখার সভাপতি ইস্রাফিল হোসেন হাবলু, বেগমপুর ইউনিয়ন আ.লীগ সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, মোবারক হোসেন (ড্রাইভার), আলমঙ্গীর হোসেন সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।

তিনি আরও বলেন, সালীসের নামে থানায় ডাকিয়া আনিয়া দর্শনা থানার এসআই নিতিশ কুমার যে কর্মকান্ড ঘটইয়াছে তাহা অপমান জনক ও ক্ষমতার অপব্যবহার বলে মনে করি এবং উক্ত ঘটনায় আমি সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের সম্মানের হানী ঘটে।

এবিষয়ে দর্শনা থানার এসআই নীতিশ কুমার বলেন, সালিস বৈঠকের নামে কাউকে ডাকা হয়নি। তার স্ত্রী তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করলে তাকে আটক করা হয়। দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, তার স্ত্রীকে মেরে হাত ভেঙ্গে দেওয়ার ঘটনায় তার স্ত্রী তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। যা গতকাল সোমবার সন্ধা ৬ টা ৩৫ মিনিটে মামলা রেকর্ড হয়েছে।




ঝিনাইদহ তথ্য অফিসের আয়োজনে নারী সমাবেশ

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ এবং আত্মহত্যা, বাল্যবিবাহ ও মাদকাসক্তি প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে জেলা তথ্য অফিস ঝিনাইদহ এর আয়োজনে হরিণাকুন্ডু উপজেলার সোহাগপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

হরিণাকুন্ডু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুস্মিতা সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ নারী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংরিক্ষত মহিলা আসন-৩২৭ এর জাতীয় সংসদ সদস্য খালেদা খানম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হরিণাকুন্ডু উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর হোসাইন, ঝিনাইদহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আনন্দ কিশোর সাহা, রঘুনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ বশির উদ্দীন ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এস এম আবদুর রহমান। জেলা তথ্য অফিসার মোঃ আবুবকর সিদ্দীক স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের পাশাপাশি বাল্যবিবাহ ও আত্মহত্যা প্রতিরোধের গুরুত্ব তুলে ধরে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় সংসদ সদস্য খালেদা খানম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল বলেই আমরা আজ উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখছি। বঙ্গবন্ধু যে সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন সেটিকে দ্র্বুার গতিতে বাস্তবায়ন করে চলছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদেশের নারী সমাজের সার্বিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নানাবিধ যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। তিনি বক্তব্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারের সাফল্য তুলে ধরেন।

অন্যান্যের মধ্যে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইসমত আরা বক্তব্য প্রদান করেন। এ নারী সমাবেশে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার দেড় শতাধিক নারী অংশগ্রহণ করেন।




কোটচাঁদপুরে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনা সভা

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় কোটচাঁদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান করেছেন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় স্থানীয় দলীয় কার্যালয়ে এ সভা করেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নুরুল ইসলাম খান বাবলু এ সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভা সঞ্চলনা করেন,উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহাজান আলী।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন,ঝিনাইদহ জেলা আঃলীগের সহ সভাপতি ও ঝিনাইদহ -৩ আসনের মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য এ্যাডঃ শফিকুল আজম খান চঞ্চল।

এছাড়া বক্তব্য রাখেন,উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি লুৎফর রহমান, সহ সভাপতি ফারজেল হোসেন মন্ডল, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর,উপজেলা যুবলীগ নেতা মঈনুদ্দিন শেখ হেকিম,উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক জাকির হোসেন লিমন

ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান খান, কুশনা ইউনিয়ন আঃলীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আলামিন,সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রদিপ কুমার হালদার।

বক্তারা বলেন,ওই ঘটনাপ্রবাহের কালো থাবা বাংলাদেশের রাজনীতিকে আরেকবার বিভক্ত করেছেন।
বঙ্গবন্ধু কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আইনের শাসনের যে নজির স্থাপন করেছেন। বাংলাদেশের মানুষ তা যুগে যুগে স্মরণ করবে।

২১ আগস্টে বর্বর গ্রেনেড হামলা ও হত্যাকাণ্ডের পর্দার আড়ালের কুশীলবদের মুখোশ উন্মোচনের জন্য আন্তর্জাতিক ভাবে তদন্ত কমিটি গঠনেরও দাবি জানান নেতারা।

আলোচনা শেষে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট নারকীয় হত্যাকাণ্ডে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আইভি রহমানসহ ২৪ জন নেতাকর্মীর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।