আলমডাঙ্গার গোকুলখালিতে ট্রাক-আলমসাধুর মুখোমুখি সংঘর্ষে যুবক নিহত

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় ট্রাক-আলমসাধুর মুখোমুখি সংঘর্ষে সুজিত মাঝি (৩২) নামের এক যুবক নিহত হয়েছে। দুর্ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা আহত ব্যাক্তিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

রবিবার সকাল সাড়ে ৯ টায় চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের উপজেলার গোকুলখালি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সুজিত মাঝি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হাজরাহাটি গ্রামের মৃত রতন মাঝির ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, রবিবার সকালে সুজিত আলমসাধু যোগে মেহেরপুরে মুদি দোকানের মালামাল নিয়ে যাচ্ছিলো। পথেই গোকুলখালি বাজার প্রাঙ্গণে পৌছালে বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাকে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। নিহত সুজিত আলমসাধু গাড়ি থেকে ছিটতে রাস্তায় পড়ে গুরুত্বর আহত হয়। চুয়াডাঙ্গা সদর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে হাসপাতালে নিলে পথেই তিনি মারা যান।

নিহত সুজিত মাঝির মা বলেন, আমার ছেলে পেশায় আলমসাধু চালক। রবিবার সকালে এক ব্যক্তির সঙ্গে মুদি মালামাল নিয়ে মেহেরপুরে যাচ্ছিল। বাড়ি থেকে যাওয়ার ঘন্টা-খানেক পর শুনতে পাই, ছেলে আর বেঁচে নেই।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. নুরজাহান খাতুন বলেন, পরিক্ষা-নিরিক্ষার পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। সুজিতের মাথাসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছিল। হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, ঘটনার পর চালক ট্রাকটি নিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা আহত অবস্থায় সুজিতকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরবর্তী আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।




কনটেন্ট ‘বর্ণ বৈষম্যের’ দায় থেকে অব্যাহতি ইউটিউবের

ইউটিউবের কনটেন্ট সরানো বা সীমিত করার প্রক্রিয়ার পেছনে কাজ করে কৃষ্ণাঙ্গ ও লাতিন কনটেন্ট নির্মাতাদের বিরুদ্ধে যে বর্ণবৈষম্যের অভিযোগ তুলে মামলা করা হয়েছিল, তা নাকচ করে দিয়েছে মার্কিন আদালত।

বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রানসিস্কো আদালতের বিচারক ভিন্স চাবরিয়া বলেন, ইউটিউবের অ্যালগরিদম ‘গাত্রবর্ণের ভিত্তিতে’ বৈষম্য করতে পারে, এমন সম্ভাবনা থাকলেও মামলার বাদীপক্ষের দাবিতে কোনো ‘বৈষম্যের ছাপ’ খুঁজে পাওয়া যায়নি। অশ্বেতাঙ্গ ইউটিউব ব্যবহারকারীদের পক্ষে এই ক্লাস অ্যাকশন মামলা দায়ের করা হয়েছিল ২০২০ সালের জুনে। এর এক মাস আগে মিনিয়াপলিস অঙ্গরাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যার ঘটনাটি ঘটলে সে সময় গোটা যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণবৈষম্যের অভিযোগে বিক্ষোভ হয়েছিল।

বাদীপক্ষের ৯ জন বলেন, একই ধরনের কনটেন্ট আপলোড করার পরও শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় তাদের ভিডিওতে বেশি নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছিল ইউটিউব। আর তা প্ল্যাটফরমের কনটেন্ট মডারেশন ব্যবস্থার ‘বর্ণ নিরপেক্ষতা’ সংশ্লিষ্ট নীতিমালা লঙ্ঘন করেছে। তবে বিচারক বলেন, ইউটিউব প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে, তাদের অ্যালগরিদম পরিচয়ের ভিত্তিতে বৈষম্য করবে না। তবে, তার মানে এই নয়, অ্যালগরিদম তাদের একেবারে ছাড় দিয়ে দেবে।

তিনি আরো যোগ করেন, বাদীপক্ষ যেসব ভিডিও নমুনার ওপর ভিত্তি করে মামলা করেছে, তা খুবই নগণ্য। বরং এগুলো তাদের মামলাকে দুর্বল করেছে। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, মামলার এক বাদীর দেখানো ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেহারা তৈরির ‘মেকআপ টিউটোরিয়াল’-এ ইউটিউবের সীমাবদ্ধতা দেওয়ার কারণ, এতে বাদীপক্ষ শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদী দল ‘কু ক্লাক্স ক্লান’-এর কথা উল্লেখ করেছেন ও মেকআপের হালকা রংকে সাদা চামড়ার আধিপত্যের রং হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন।

তিনি আরো বলেন, এতে বাদীপক্ষ ‘নিশ্চিতভাবে শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদীদের নিয়ে রসিকতা করার চেষ্টা করেছেন। তবে ইউটিউবের অ্যালগরিদম সেটা বৈষম্য হিসেবেই দেখবে। চাবারিয়া আরো বলেন, ‘ইউটিউবের কমিউনিটি গাইডলাইনের সাম্প্রতিক আপডেটে বাদীপক্ষের কয়েকটি অভিযোগের নিষ্পত্তি করা হয়েছে। আর ইউটিউবের বিরুদ্ধে এমন প্রতিশ্রুতি ভাঙার অভিযোগ তোলা যাবে না, যে প্রতিশ্রুতি তারা দেয়নি’।

এই প্রসঙ্গে বাদীপক্ষের আইনজীবীদের মন্তব্য চেয়েছিল; কিন্তু তারা সাড়া দেননি। এর পাশাপাশি ইউটিউব ও তাদের আইনজীবীদের কাছ থেকেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। মামলাটি খারিজ করে একে চূড়ান্ত রায় হিসেবে ঘোষণা দেন চাবারিয়া। এর মানে, এ মামলায় আপিলের সুযোগ নেই। এর আগেও পাঁচবার আপিল করেছিল বাদীপক্ষ।




নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে আরব আমিরাতের ইতিহাস

টেস্ট না খেলা দেশের কাছে না হারার রেকর্ড নিজেদের দখলে রেখেছিল নিউজিল্যান্ড। তবে তাদের সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়ে নিজেদের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ইতিহাস গড়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। জিম্বাবুয়ে, আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ডের বাইরে আইসিসির পূর্ণ সদস্য কোন দলের বিপক্ষে প্রথম জয়ের স্বাদ পেয়েছে আরব আমিরাত। এই জয়ের তিন ম্যাচের সিরিজে ১-১ সমতাও আনলো আরব আমিরাত। প্রথম ম্যাচে ১৯ রানে জয় পেয়েছিলো নিউজিল্যান্ড।

গতরাতে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ে নামে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ব্যাট করতে নেমে আরব আমিরাতের বাঁহাতি স্পিনার আয়ান আফজাল খানের ঘূর্ণিতে ৩৮ রানেই ৪ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। চ্যাড বোয়েস ২১, মিচেল স্যান্টনার ১ ও ড্যান ক্লেভার শূন্যতে আফজালের শিকার হন।

পঞ্চম উইকেটে ২৭ রান যোগ করে শুরুর ধাক্কা সামলে ওঠার চেষ্টা করেন মার্ক চাপম্যান ও কোলি ম্যাকোঞ্চি। দলীয় ৬৫ রানে চাপম্যান ও ম্যাককঞ্চির জুটি ভাঙ্গেন স্পিনার মোহাম্মদ ফারাজউদ্দিন। ৯ রান করে আউট হন ম্যাককঞ্চি। ষষ্ঠ উইকেটে ৩২ বলে ৫৩ রান তুলে নিউজিল্যান্ডকে লড়াইয়ে ফেরান চাপম্যান ও জেমস নিশাম। দলীয় ১১৮ রানে নিশামকে ব্যক্তিগত ২১ রানে থামিয়ে আরব আমিরাতকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন পেসার আলি নাসের।

ইনিংসের শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে টি-টোয়েন্টিতে ষষ্ঠ হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন চাপম্যান। ৪৬ বলে ৬৩ রান করেন তিনি। চাপম্যানের হাফসেঞ্চুরিতে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৪২ রানের সংগ্রহ পায় নিউজিল্যান্ড। ৪ ওভারে ২০ রানে ৩ উইকেট নেন ১৭ বছর বয়সী আফজাল।

১৪৩ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় আরব আমিরাত। আরিয়ানাশ শর্মাকে খালি হাতে সাজঘরে ফেরান নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক টিম সাউদি। দ্বিতীয় উইকেটে ৪০ রানের জুটি গড়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন আরব আমিরাতের অধিনায়ক মোহাম্মদ ওয়াসিম ও বৃত্তিয়া অরবিন্দ। ২১ বলে ২৫ রান করা অরবিন্দকে আউট করে জুটি ভাঙ্গেন পেসার কাইল জেমিসন।

৪০ রানে দ্বিতীয় উইকেট পতনের পর নিউজিল্যান্ডের বোলারদের উপর চড়াও হন ওয়াসিম ও আসিফ খান। মাত্র ৩১ বল খেলে ৫৬ রান যোগ করে দলকে লড়াইয়ে রাখেন তারা। ২৭ বল খেলে অষ্টম হাফসেঞ্চুরির তুলে নেন ওয়াসিম। তবে হাফ-সেঞ্চুরি করার ১ বল পরই আউট হন তিনি। ২৯ বলে ৫৫ রান করেন ওয়াসিম।

দলীয় ৯৬ রানে ওয়াসিম ফেরার পরও নিউজিল্যান্ডের বোলারদের উপর মারমুখী মেজাজেই ছিলেন আসিফ। চতুর্থ উইকেটে বাসিল হামিদের সঙ্গে ২৮ বলে অবিচ্ছিন্ন ৪৮ রান তুলে ২৬ বল হাতে রেখে আরব আমিরাতের জয় নিশ্চিত করেন আসিফ। ২৯ বলে অপরাজিত ৪৮ রান করেন আসিফ। ১২ বলে ১২ রানে অপরাজিত থাকেন বাসিল।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে ভেজাল মবিল উদ্ধার, মামলা

মেহেরপুর শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ডের নিমতলায়আর এ পরিবহন কাউন্টারে অভিযান চালিয়ে ৫ কার্টুন ভেজাল বোতলজাত মবিলসহ হেলাল উদ্দিন(৩২) নামের এক যুবককে আটক করেছে মেহেরপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আটক হেলাল উদ্দিনের বাড়ি মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি ইউনিয়নের খোকসা গ্রামে।

১৯ আগস্ট দিবাগত রবিবার রাত নয়টার দিকে গোপন সংবাদ পেয়ে ডিবি’র ওসি সাইফুল আলমের নেতৃত্বে মেহেরপুর পুরাতন বাসস্ট্যান্ডের নিমতলায় খুলনা থেকে মেহেরপুর রুটে চলাচলকারী আর এ পরিবহনের কাউন্টারে অভিজান চালিয়ে (৫ টিকার্টুন) ১৭৯ বোতল ভেজাল মবিল উদ্ধার করেন।

পরে পণ্যের গুণগতমান পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ভেজাল নিশ্চিতহওয়ার পর আজ রবিবার (২০ আগস্ট) তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়।

মেহেরপুর গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ সাইফুলআলম বলেন, ‘ভেজাল মবিল পরিবহন, সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণের অপরাধে হেলাল উদ্দিনের বিরুদ্ধেঅত্যাবশকীয় পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৬ ধারাতে একটি মামলা দায়ের করে আদালতে প্রেরণ করাহয়েছে। হেলাল উদ্দিনের সাথে যদি আর কেউ জড়িত থাকে তবেতাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে।’




মেহেরপুরে বিসিক ম্যানেজারের মরদেহ উদ্ধার

মেহেরপুরে বিসিকের উপব্যবস্থাপক শামসুজ্জামান মিঠুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আজ রবিবার (২০ আগস্ট) সকাল ৮ টার সময় বিসিক কার্যালয়ের পাশের একটি আম গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শামসুজ্জামান মিঠু ঝিনাইদহ জেলার বাসিন্দা।

মেহেরপুর বিসিকের সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ফয়সাল হাসনাত বলেন, কি কারণে দুর্ঘটনা এখন পর্যন্ত কিছুই বুঝতে পারছি না।

মেহেরপুর সদর থানার এসআই সঞ্জিব কুমার জানান, বিসিক কর্মকতার্র মরদেহ একটি রশিবাধা অবস্থায় বিসিক ক্ষুদ্র শিল্প এলাকার একটি আম গাছে ঝুলছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা ময়না তদন্ত শেষে জানা যাবে।




২১ আগস্ট উপলক্ষে দামুড়হুদায় প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত

২১আগস্ট গেনেড হামলায় নিহত সকল শহীদদের স্মরণে যথাযোগ্য মর্যাদায় স্মরণ সভা ও কর্মসূচি বাস্তবায়নে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে এই প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দামুড়হুদা গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ চত্বরে প্রস্তুতিমূলক সভায় সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মাহাফুজুর রহমান মঞ্জু। দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী সহিদুল ইসলামের সণ্চালনায় এসময় অতিথি ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দর্শনা পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলি মুনছুর বাবু, দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন, এসএএম জাকারিয়া আলম, আজিজুল হক আজিজ, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহসভাপতি চেয়ারম্যান হযরত আলী, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল কবীর ইউসুফ, উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি হাজী আব্দুল কাদির, কার্পাসডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন নতিপোতা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল হক মোমিন, নাটুদাহ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, হাউলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ খোকন, জুড়ানপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব, আওয়ামীলীগনেতা হাজী আমজাদ হোসেন, নুর আলম লাবলু, আবুল হাশেম, সিরাজুল ইসলাম, জোনাব আলী, শমশের আলী, ইমতিয়াজ হোসেন, ইউসুফ আলী ইছা, মোজাফফর হোসেন, কলম উদ্দীন, ইউপি সদস্য হাসান আলী, সামসুল ইসলাম, দামুড়হুদা উপজেলা যুবলীগ নেতা নিশান তরফদার, জামিরুল ইসলাম, রকিবুল হাসান, হেকমত আলী, শেখ হাফিজুর, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাজু আহমেদ রিংকু, কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক শাহীন মোল্লা, হাউলী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রাসেল আহমেদ প্রমুখ।




আলমডাঙ্গায় টিনের চালা কেটে চুরির মূল হোতা আরাফাত গ্রেপ্তার

টিন কেটে চুরি সিন্ডিকেটের মূল হোতা কিশোর আরাফাতকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার পৌর এলাকার কাছারি বাজার প্রাঙ্গণে এক মাদ্রাসার ভ্যানের ব্যাটারি চুরির সময় সে গণধোলাই শিকার হয়। একপর্যায়ে ওই কিশোরকে পুলিশে তুলে দেয় স্থানীয়রা।
কিশোর আরাফাত হোসেন (১৯) কালিদাসপুর ইউনিয়নের আসাননগর গ্রামের হাসান শেখের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিন যাবৎ আবারো আলমডাঙ্গার বিভিন্ন অঞ্চলে টিনের চালা কেটে চুরির ঘটনা ঘটছে। এমন ঘটনায় অনেকে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন ঘরের টিনের চালা কেটে চুরির ঘটনা সংগঠিত হয়নি। হঠাৎ এমন চুরির রহস্যের সৃষ্টি হয়।

ইতোপূর্বে গত ২ মাস পূর্বে টিন কেটে চুরির চোর চক্রের মূল হোতা আরাফাত দামুড়হুদা থানার এক উপ-পরিদর্শক (এসআই)র বাড়ি থেকে বাগানের লিচু বিক্রির টাকা চুরি করে হঠাৎ নিরুদ্দেশ হয়। তারপর থেকেই আলমডাঙ্গায় টিন কেটে চুরির তৎপরতা কমলেও কিশোর আরাফাতের মা পুলিশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তোলেন।

চোর চক্রের মূল হোতা আরাফাতের তথ্য মতে , গত কয়েক মাস যাবৎ কুষ্টিয়া পোড়াদহ স্টেশন থাকা শুরু করে আরাফাত। ওখানেই বিভিন্ন অঞ্চলের কিশোরদের যোগসাজশে আরো বড় চোর চক্রের সিন্ডিকেট গড়ে তোলে। সন্ধ্যার ট্রেনে আলমডাঙ্গা আসে চোরচক্রের সদস্যরা। দীর্ঘ সময় স্টেশনের অদূরে সিগনালের নিকট অবস্থান করে। রাত হলেই বেরিয়ে পড়ে চুরি করতে। রাত-ভোর চুরি করে আবারো মাঝ রাত কিংবা সকালের গোয়ালন্দ ট্রেন যোগে পোড়াদহ স্টেশনে পৌছাই তারা।

গতকাল শনিবার সকালে আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার কাছারি বাজার প্রাঙ্গণের দারুস সুন্নাহ নুরানি মাদ্রাসা থেকে তিনটি পাখি ভ্যানের ব্যাটারি চুরি করে। ব্যাটারি তিনটি নিয়ে যাবার সময় স্থানীয়রা তাকে ধরে গণধোলাই শেষে পুলিশে সোর্পদ করে। এলাকাবাসীর উপস্থিতি টের পেয়ে আরাফাতের সঙ্গীরা পালিয়ে যায়। তার বিরুদ্ধে চুরি আইনে মামলা করেছে আলমডাঙ্গা থানাপুলিশ।




চুয়াডাঙ্গা সদর কোর্ট বার্ষিক পরিদর্শনে অতিরিক্ত ডিআইজি

চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের সদর কোর্ট বার্ষিক পরিদর্শন করেছেন খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি পিপিএম অ্যাডিশনাল ডিআইজি (অপারেশনস) মোঃ হাসানুজ্জামান। গতকাল শনিবার বিকাল সাড়ে চারটার সময় জেলা পুলিশের সদর কোর্ট বার্ষিক পরিদর্শন করেন তিনি।

পরিদর্শনকালে কোর্টে কর্মরত পুলিশ পরিদর্শকসহ উপস্থিত অন্যান্য পুলিশ অফিসার ও সদস্যদের কর্মপরিবেশ, হাজতখানা, মালখানা, আবাসন, লজিস্টিক, কল্যাণের পাশাপাশি নিজেদের উপর অর্পিত সরকারী দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন এবং কোর্টের রেজিস্টার সমূহ যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য সকলকে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।

উক্ত পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন, চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহাব্বুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মোঃ নাসির উদ্দিন মৃধা, পুলিশ পরিদর্শক সদর কোর্ট মোঃ মারুফ হোসেন চুয়াডাঙ্গাসহ পুলিশ কোর্টের অফিসার ও ফোর্সগণ।




দর্শনায় বিএনপির ৮ নেতাকর্মী আটক

দর্শনায় পুলিশের অভিযানে বহুল আলোচিত নাসিম সহ বিএনপির ৮ সক্রিয় নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার রাতে দর্শনা থানাধীন এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে।

আটককৃত আসামীরা হলেন জেলার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা পৌর এলাকার মেমনগর গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে জেলা মৎস্যজীবী দলের যুগ্ন আহব্বায়ক ও দর্শনা পৌর বিএনপির সমন্বয় কমিটির সদস্য এবং দর্শনা সরকারী কলেজ ছাত্রদলের সাবেক ক্রীয়া সম্পাদক লুৎফর রহমান (৫১), দর্শনা মোবারকপাড়ার নজির আহম্মেদের ছেলে বিএনপির সক্রিয় সদস্য এবং তথ্য সরবরাহকারী নাসিম আহম্মেদ (৪০), দর্শনা ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত আকবর আলীর ছেলে বিএনপির সক্রিয় সদস্য আমজাদ হোসেন (৫০), দর্শনা পুরাতন বাজারের মৃত তাঁরা চাঁদ মন্ডলের ছেলে পৌর যুবদলের আহব্বায়ক কমিটির সদস্য ইস্রাফিল হোসেন (৪৬), বলদিয়া গ্রামের মৃত সৈয়দ আলীর ছেলে বিএনপির সক্রিয় সদস্য আব্দুল মোতালেব (৪৮), চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দর্শনা থানাধীন বেগমপুর ইউনিয়নের কুন্দিপুর গ্রামের মৃত আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে ৫নং বেগমপুর ইউনিয়ন বিএনপির ৩নং ওয়ার্ডের সেক্রেটারী ইস্রাফিল (৫৯), একই গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে বিএনপির সক্রিয় সদস্য মোজাম্মেল হোসেন (৩৫), হিজলগাড়ি গ্রামের হাজী মীর লিয়াকত আলীর ছেলে বিএনপির সক্রিয় সদস্য মানিক মিয়াকে (৪২) দর্শনা থানা পুলিশ তাদের নিজ,নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেন। তাদের বিরুদ্ধে থানার ১৫(৩)/২৫ডি বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪; তৎসহ ৪/৬ বিস্ফোরক পদার্থ আইন ১৯০৮ ধারার সন্ধিগ্ধ আসামী হিসাবে গ্রেফতার করা হয়। যার মামলা নং-২৫।




দর্শনার গ্রীসনগরে বিয়ের গীত শুনতে নারী পুরুষের ঢল

চুয়াডাঙ্গা সদরের দর্শনা থানার তিতুদহ ইউনিয়নের গ্রীসনগর গ্রামে বিয়ের গীত শুনতে নারী পুরুষের ঢল নেমেছে।

জানাযায় গতকাল শনিবার দর্শনা থানার তিতুদহ ইউনিয়নের গ্রীসনগর গ্রামে একটি বিয়েরগীত শুনতে নারী পুরুষ সহ সব বয়সি মানুষের ব্যাপক উপস্হিতি লক্ষ করা গেছে। গ্রাম বাসিরা জানালেন আগেরদিন শুক্রবার গ্রীসনগর গ্রামের আসাদুল হকের ছেলে রুবেল হোসেন এর শুভ বিবাহ সম্পন্ন হয়। শুভ বিবাহ আরো আনন্দময় করতে শনিবার তার নিজ বাড়িতে আয়োজন করা হয়।

বিয়েরগীত পরিবেশনকারি চুয়াডাঙার সরোজগন্জের মহিদুল বৈয়াতি ও তার একটি দল। ছোট ছোট পুরুষ ছেলেরা মেয়েদের সাজে সজ্জিত হয়ে বাজনার তালে তালে নেচে গেয়ে বিয়েরগীত পরিবেশন করে ও বর কনেকে ফুল মালা মিস্টি মুখে দিয়ে আনন্দ উৎসবের সাথে বরণ করার কাজটি করেন। আসাদুল ইসলামের বাড়ি ভিন্ন ধর্মি অনুষ্ঠান দেখতে এলাকার সব বয়সি মানুষের ঢল নামে বলে বাড়ির লোকজন জানালেন। এ বিষয়ে অত্র ইউনিয়নের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ তসলিম উদ্দিন সাগর জানান মাটির গানের কদর যুগে যুগে ছিল আছে থাকবে।

দামুড়হুদা আঃ ওদুদ শাহ ডিগ্রী কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক মিজানুর রহমান মন্ডল বল্লেন বাংলা সংস্কৃতির একটি বড় অংশ আমাদের অন্চলের বিয়েরগীত, আগে বেশ দেখা যেত,, এখন নানা মত পথের কারনে প্রায় বিলুপ্ত। তাও এ ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন হলে গ্রামের সব বয়সি মানুষ দল বেধে শুনতে ও দেখতে আসে। বাংলাদেশ টেলিভিশনের লোকসংগীত শিল্পী ধীরু বাউল জানালেন আমাদের দেশের এ সব গীত ও গান লোকসংস্কৃতির শেকড় ও আদি অংশ।যে সংস্কৃতি গুলো সরকারি পৃষ্ঠপোশকতাার মাধ্যমে সংরক্ষন করা খ্বুই জরুরী,, তা না হলে বাংলা সংস্কৃতির মুল শ্রতধারা ধরে রাখা সম্ভব হবেনা।