মেহেরপুরে ট্রাফিক পুলিশের সচেতনতা মূলক ক্যাম্পেইন

“আইন মেনে চালাবো গাড়ি, নিরাপদে ফিরবো বাড়ি” এই প্রতিপাদ্যে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ এবং জনসাধারণকে হেলমেট ব্যবহারে উদ্বুদ্ধকরণে মেহেরপুরে লিফলেট ও হেলমেট করেছে ট্রাফিক পুলিশ।

মেহেরপুর জেলা ট্রাফিক বিভাগের আয়োজনে আজ বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে মেহেরপুর শহরের কলেজ মোড়ে এ উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে নিজ হাতে লিফলেট ও হেলমেট বিতরণ করেন পুলিশ সুপার মাকসুদা আকতার খানম।

এ সময় তিনি মোটরসাইকেল চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ গাড়ির বৈধ কাগজপত্র পরীক্ষা করেন এবং তাদেরকে বিনামূল্যে হেলমেট দেন।

এসময় তিনি জনসাধারণকে বলেন, মোটরসাইকেল যাত্রী যারা হেলমেট ছাড়া রাস্তায় চলাচল করে তাদের দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে। হেলমেট পরিধান করলে এই মৃত্যু ঝুঁকি অনেকটা হ্রাস পাবে।

এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ কামরুল আহসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবদুল করিম, জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আহসান হাবীব সোনা, সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান, সাংবাদিক রফিকুল আলম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এছাড়াও এসময় ট্রাফিক ইন্সপেক্টর ইসমাইল হোসেন, মোঃ আব্দুল হান্নান, ট্রাফিক সাব ইন্সপেক্টর মোঃ মেহেদী হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।




মেহেরপুরে জাতীয় স্যানিটেশন মাস উদযাপন

“স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পরিষ্কার হাত সর্বদা গুরুত্বপূর্ণ” এই প্রতিপাদ্য মেহেরপুরে জাতীয় স্যানিটেশন মাস ২০২৪ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালির আয়োজন করা হয়েছে।

মেহেরপুর পৌরসভার আয়োজনে বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে পৌর সভা চত্বর হতে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়‌। র‌্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে শেষ হয়।

প্রতিপাদ্য বিষয়ের উপর গুরুত্বারোপ করে স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক ও পৌর প্রশাসক মোঃ শামীম হোসেন প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।

তিনি বলেন, সুস্থ জীবনযাপন করতে, নিজেকে রোগমুক্ত রাখতে আমাদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। পরিচ্ছন্নতা খুবই জরুরী এবং এর বিকল্প নেই।

এছাড়াও এসময় সমাজ উন্নয়ন কর্মকর্তা খন্দকার জাহিদুল হক, পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা জি. এম ওবায়দুল্লাহ, নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল আজিজ খান, সহকারি প্রকৌশলী আবু হেনা মোস্তফা কালাম, হিসাব রক্ষক কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, প্রকল্প অফিসার গুলশান আরা মেরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।




ইয়াশিন ট্রফি জিতে এমি মার্টিনেজের রেকর্ড

ক্লাব ও আন্তর্জাতিক ফুটবলে দাপুটে পারফরম্যান্স উপহার দিয়ে এবারও তার স্বীকৃতি পেলেন অ্যাস্টন ভিলার আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। প্রথম গোলরক্ষক হিসেবে টানা দুইবার ইয়াশিন ট্রফি জয়ের রেকর্ড গড়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দিবাগত রাতে প্যারিসের থিয়েটার দু শাতলেতে জমকালো ব্যালন ডি’অর অনুষ্ঠানে মার্টিনেজের হাতে তুলে দেওয়া হয় সেরা গোলরক্ষকের স্বীকৃতি ‘লেভ ইয়াশিন ট্রফি’। পুরস্কারটি তুলে দেন তারই জাতীয় দলের সতীর্থ ও ইন্টার মিলান স্ট্রাইকার লাউতারো মার্টিনেজ।

সোভিয়েত ইউনিয়নের কিংবদন্তি গোলরক্ষক লেভ ইয়াশিনের নামে ২০১৯ সাল থেকে বর্ষসেরা গোলরক্ষককে এই পুরস্কার দিয়ে আসছে ফ্রেঞ্চ ফুটবল। প্রথম ফুটবলার হিসেবে দুবার এই পুরস্কার জিতে যেন বিশ্বাসই হচ্ছে না মার্টিনেজের। তিনি বলেন ‘এটা একবার জেতাই তো অনেক সম্মানের, সেখানে পরপর দুইবার জিততে পারা! আমার বিশ্বাসই হচ্ছে না!’

বিশ্বকাপজয়ী এই গোলরক্ষক আরও বলেন, ‘এটি আমার জন‍্য অনেক বড় ব্যাপার। জাতীয় দলের হয়ে সবসময়ই আমি খেলার স্বপ্ন দেখে এসেছি। এরপর এতে কম বয়সে ইংল‍্যান্ডে আসা এবং অ‍্যাস্টন ভিলা ও আর্জেন্টিনার জার্সিতে খেলা!’

বর্ষসেরা গোলরক্ষকের স্বীকৃতি পাওয়ার পরও নিজেকে সেরা মানতে নারাজ ৩২ বছর বয়সী এই ফুটবলার। তিনি বলেন ‘নিজেকে আমি সেরা হিসেবে দেখি না। অনেক ভালো গোলরক্ষক আছে যাদের প্রতি সপ্তাহেই আমি দেখছি। আমি কেবল দলীয় প্রচেষ্টাকেই গুরুত্ব দেই আর নিজের উন্নতি করতে চাই। অ‍্যাস্টন ভিলার হয়ে উন্নতির ধারাটি ধরে রাখতে চাই।’

সেরা হওয়ার লড়াইয়ে এবার তিনি পেছনে ফেলেছেন রিয়াল মাদ্রিদের আন্দ্রিই লুনিন, স্পেন ও অ্যাথলেতিক বিলবাওয়ের উনাই সিমোন এবং ফ্রান্স ও পিএসজির জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মার মতো তারকা গোলরক্ষকদের।

সূত্র: ইত্তেফাক




গাংনী মহিলা ডিগ্রী কলেজের এডহক কমিটির সভাপতি হলেন শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক

গাংনী পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক, গাংনী সরকারি ডিগ্রী কলেজের খন্ডকালিন অধ্যক্ষ, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠাণ ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠণের সৃষ্টা আব্দুর রাজ্জাক গাংনী মহিলা ডিগ্রী কলেজের এ্যাডহক কমিটির সভাপতি মনোনীত হয়েছেন।

গত ২৩ অক্টোবর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক আব্দুল হাই সিদ্দিক সরকার স্বাক্ষরিত অনুমোদনপত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এডহক কমিটির অনুমোদনপত্রে বলা হয়েছে, এ কমিটি অনুমোদনের তারিখ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত মেয়াদ থাকবে। এ সময়ের মধ্যে নিয়মিত গভর্নিং বডি গঠনের কার্যক্রম অবশ্যই সম্পন্ন করতে হবে।

জানা গেছে, এডহক কমিটির আকার হবে ৫ সদস্য বিশিষ্ট। আইন ও বিধি অনুযায়ী সভাপতি ও বিদ্যোৎসাহী সদস্য নিয়োগ দিয়ে থাকেন ভাইস চ্যান্সেলর। বাকি তিন জনের মধ্যে অধ্যক্ষ পদাধিকার বলে সদস্য সচিব। প্রতিষ্ঠাতা একজন। প্রতিষ্ঠাতা সদস্য না থাকলে দাতা ও হিতৌষিদের মধ্য দিকে একজনকে সদস্য হিসেবে সভাপতি মনোনীত করতে পারবেন। এছাড়াও শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে একজন থাকবেন। প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে শিক্ষকদের মধ্য থেকে একজনকে সদস্য নির্বাচিত করতে হবে।

এদিকে বিএনপি নেতৃবৃন্দের মধ্য থেকে সভাপতি ও বিদ্যোৎসাহী সদস্য করে কমিটি অনুমোদনের বিষয়ে স্বাগত জানিয়েছেন গাংনী উপজেলার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ।

এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিএনপি নেতা জাফর আকবরকে এডহক কমিটির সভাপতি করে অনুমোদন দিয়েছিল।
কমিটির ঘোষণার সাথে সাথে গাংনী মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ খোরশেদ আলী ও এডহক কমিটির সভাপতি জাফর আকবরের পদত্যাগের দাবিতে ফুঁসে ওঠে গাংনীর মানুষ। এনিয়ে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের গাংনী উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

পৌর বিএনপির নেতা শাজাহান সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সিনিয়র শিক্ষক অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বেদারুল আলম ও সহকারি অধ্যাপক সাজেদুর রহমান বুলু। কলেজের শিক্ষক সাজেদুর রহমান বুলু বলেন, ঐতিহ্যবাহী মহিলা ডিগ্রি কলেজের ম্যানেজিং সভাপতি করার জন্য এলাকার সর্বজন শ্রদ্ধেয়, গ্রহণযোগ্য ও শিক্ষীত ব্যাক্তির নাম প্রস্তাব করেন। কিন্তু দুনীর্তিবাজ অধ্যক্ষ খোরশেদ আলী ও কলেজের কয়েকজন শিক্ষক সেই দাবীকে পাশ কাটিয়ে এলাকার বিতর্কিত ব্যক্তি জাফর আকবরকে গভর্নিং বডির এডহক কমিটির গঠনের লক্ষ্যে সভাপতি ও বালিয়াঘাট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সদ্য অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাহাব উদ্দীনকে বিদ্যুৎসাহী সদস্য নিয়োগ দেওয়ার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর বরাবর সুপারিশ পাঠান। বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ার পর পরই ফুঁসে ওঠে স্থানীয়রা। এ সময় গাংনী পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী মাধ্যমিক বিদ্যালয় এন্ড কলেজের শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান, গাংনী উপজেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক সুলেরী আলভী, বিএনপি নেতা ইনামুল হকসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।




অসুস্থ মাকে দেখে বাড়ি ফেরা হলো না ছেলের

মেহেরপুরে হাসপাতালে অসুস্থ মাকে দেখে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় আব্দুল হালিম (৪৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

এঘটনায় আহত হয়েছেন তার ছোট বোন পলি খাতুন (২৫)। সে বর্তমানে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

নিহত আব্দুল হালিম মেহেরপুর সদর উপজেলার ইসলামনগর গ্রামের শিশিরপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে।

আজ বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ৮ টার দিকে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

পারিবারিক সূত্রের বরাত দিয়ে মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমানুল্লাহ আল বারী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গত ২৯ অক্টোবর সন্ধ্যার দিকে মেহেরপুরের একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন মাকে দেখে ভাই বোন মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলেন। আমঝুপি উত্তরপাড়ার সেকেন্দার আলীর গোডাউনের সামনে পৌছানো মাত্র পেছন থেকে পশু খাদ্যের বস্তাসহ আসা অপর একটি মোটরসাইকেল ওভারটেক করে। এসময় বস্তায় বেঁধে নিহত হালিমের মোটরসাইকেলটি পাকা রাস্তার উপর ছিটকে পড়ে। এতে আব্দুল হালিম ও তার ছোট বোন পলি খাতুন (২৫) গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেন।

সেখানে আব্দুল হালিমের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল রেফার্ড করেন চিকিৎসক। আজ সকালের দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। নিহত আব্দুল হালিম তিন কন্যা সন্তানের জনক।




গাংনীতে আওয়ামী লীগ নেতা এম এ খালেক ও এ্যাড. শফিকুল আলম আটক

মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট একেএম শফিকুল আলমকে আটক করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১২)।

গতকাল মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দিবাগত রাতে র‌্যাবের পৃথক টিম তাঁদের বাড়িতে আলাদা আলাদা অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করেন।

গাংনী থানা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক গাংনী উপজেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান এবং অ্যাডভোকেট একেএম শফিকুল আলম ২০০৯ সালে গাংনী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।

র‌্যাব-১২ সিপিসি-৩ মেহেরপুর ক্যাম্প সুত্রে জানা গেছে, বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য আইন শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি এবং ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ করার জন্য তারা দুজন নিজ নিজ বাড়িতে আওয়ামী সমর্থীত লোকজন নিয়ে ষড়যন্ত্র করছিলেন।

গোপন সুত্রে খবর পেয়ে তাদের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এসময় অন্যান্যরা পালিয়ে গেলেও তাঁদের দুজনকে আটক করা হয়। এই দুজনকে আদালতে সোপর্দ করার লক্ষ্যে গাংনী থানায় প্রেরণ করা হয়েছে।

গাংনী থানার সূত্র জানান, তাদের ১৬১ ধারায় আটক দেখিয়ে আদালতে নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ খালেক গাঁ ঢাকা দিলেও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান একে এম শফিকুল আলম বাড়িতেই ছিলেন।




গাংনী সরকারি ডিগ্রী কলেজর অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আব্দুর রশিদ আর নেই

গাংনী সরকারি ডিগ্রী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক (অবসরপ্রাপ্ত), প্রফেসর আব্দুর রশিদ ঢাকা ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বুধবার (৩০ অক্টোবর) ভোর ৪ টার সময় ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিউন)।

তাঁর স্ত্রী, এক ছেলে এক মেয়ে, আত্মীয় স্বজন, বন্ধু বান্ধব, সহকর্মীসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রয়েছে।

অধ্যাপক আব্দুর রশিদের একমাত্র ছেলে সাহেদ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বাবা ঢাকাতে আমার বোনের বাসাতে বছর খানেক অবস্থান করছিলেন। সেখানেই বেশ কয়েকদিন যাবৎ অসুস্থ ছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার থেকে লাইফ সাপোর্ট ছিলেন তিনি। আজ ভোররাত ৪ টার সময় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

আজ বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিকাল ৪ টার সময় গাংনী উপজেলার নিজ গ্রাম বানিয়াপুকুরে নামাজে জানাযা শেষে কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হবে।

অধ্যাপক আব্দুর রশিদ গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গন্ডি পেরিয়ে আলমডাঙ্গার ঐতিহ্যবাহি হাটবোয়ালি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও পরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স শেষ করেন।
অধ্যাপক আব্দুর রশিদ গাংনী সরকারি ডিগ্রী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। শিক্ষকতার জীবনেও তিনি সফল ছিলেন।

অধ্যাপক আব্দুর রশিদ সম সাময়িক বিষয় নিয়ে ছড়া, কবিতা, গল্প লিখতেন। তাঁর লেখা “অগ্নি যুগের অগ্নি সেনা, বিপ্লবীদের বীর গাঁথা” গ্রন্থটি পাঠক সমাজে বেশ সমাদূত ছিল। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজনের গাংনী উপজেলা শাখার সভাপতিসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠণের সাথে জড়িত ছিলেন।

তাঁর মৃত্যুতে গাংনীবাসি একজন ন্যায়পরায়ণ গুণী মানুষকে হারালেন উল্লেখ করে শোক জানিয়েছেন, সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজনের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, মেহেরপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন, গাংনী সরকারি ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মনিরুল ইসলাম, গাংনী পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক, বিশিষ্ট সাংস্কৃতি সংগঠক সিরাজুল ইসলাম, সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজনের মেহেরপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও লুৎফুন্নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ জাকির হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও কবি মোজাম্মেল হক, করমদী ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক আবু সাদাদ মোহাম্মদ সায়েম পল্টু, সাংবাদিক জুলফিকার আলী কানন, সাহাজুল সাজু, দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের গাংনী এরিয়া সমন্বয়কারী হেলাল উদ্দীনসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠণের নেতৃবৃন্দ।




আলমডাঙ্গায় প্রণোদনার সার-বীজ পেল সাড়ে ৪ হাজার কৃষক

আলমডাঙ্গা উপজেলায় ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে রবি মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ৪ হাজার ৫২০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে রাসায়নিক সার ও ভুট্রা ও সরিষার বীজ বিতরণ করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর প্রাঙ্গণে রাসায়নিক সার ও বীজ বিতরণ করা হয়।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ মেহেদি ইসলাম।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রেহানা পারভিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা মাহমুদুল হক আলম, উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) তৌহিদুল ইসলাম, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জিয়াউল হক, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এনামুল হক, মহিলা তথ্য আপা স্নিগ্ধা দাস।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ মেহেদি ইসলাম জানান, ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে সরকার রবি মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে ৪ হাজার ৫২০ জন কৃষকের মধ্যে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ২০২৪-২৫ মৌসুমে ভুট্রা উৎপাদনের লক্ষ্যে প্রতি কৃষককে বিঘা প্রতি ২ কেজি ভুট্রা বীজ ও ২০ কেজি রাসায়নিক ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার প্রদান করা হয়। এছাড়া প্রতি বিঘা সরিষা চাষের জন্য ১ কেজি সরিষা বীজ ও ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার বিতরণ করা হয়েছে।




গাংনীতে মৎস্য চাষে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

গাংনীতে সমন্বিত কৃষি ইউনিটভূক্ত মৎস্যখাত এর আওতায় ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কর্ম এলাকার বামুন্দি শাখার নওদাপাড়া গ্রামে অনুপুষ্ঠিসম্পন্ন দেশীয় ছোট প্রজাতির মাছ (এসঅইএস) চাষ সম্পর্কিত মাঠ দিবসে উপস্থিত ছিলেন পিএসকেএস এর সহকারী পরিচালক (প্রশিক্ষক) মোঃ সাইফুল ইসলাম, মৎস্য ইউনিটের সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা কৃষি ইউনিটের সহকারী কৃষি কর্মকর্তা খালেদ কবির।

মাঠ দিবসে এলাকার মৎস্য চাষি বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




গাংনীতে নিরাপদ সবজি উৎপাদন হাব ক্লাস্টার” বিষয়ক সদস্য প্রশিক্ষণ

মেহেরপুরের গাংনীর পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি (পিএসকেএস)-এর সমন্বিত কৃষি ইউনিট এর কৃষি খাতের আওতায় “নিরাপদ সবজি উৎপাদন হাব ক্লাস্টার” বিষয়ক সদস্য প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উক্ত প্রশিক্ষণে উপস্থিত উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ ইমরান হোসেন, উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা মোঃ রাসেল রানা। বর্তমান সময়ে নিরাপদ সবজির অবস্থা আন্ত পরিচর্যা এবং প্রাকৃতিক জৈব বালাইনাশক তৈরি প্রয়োগ সম্পর্কে আলোচনা করেন।

এসময় বিভিন্ন ফসল সম্পর্কে আলোচনা করা হয়, আলোচনা উপকারভোগীদেরকে পরামর্শ প্রদানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যসহ কিভাবে এর রক্ষণাবেক্ষন করতে হবে সে সম্পর্কে দিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পিএসকেএসের সহকারী পরিচালক (প্রশিক্ষণ) মোঃ সাইফুল ইসলামি এবং সমন্বিত কৃষি ইউনিটের সকল কর্মকর্তাগণ ।