কালীগঞ্জে মেধাবী শিক্ষার্থীদের হিরো উইমেন স্কলারশিপ প্রদান

ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জে গরীব ও মেধাবী নারী শিক্ষার্থীদের জন্য হিরো উইমেন স্কলারশিপ প্রদান করা হয়েছে। বিকশিত বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন, কালীগঞ্জ ইয়ুথ এগেইনস্ট হাঙ্গার এবং বিকশিত নারী ও শিশু কল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে সুনিকেতন সেমিনার কক্ষে এই স্কলারশিপ বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সলিমুন্নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা বিদৌরা আক্তার। আরও উপস্থিত ছিলেন ফাইজুর রহমান ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মশিউর রহমান, শহীদ নুরআলী কলেজের সহকারী অধ্যাপক রওশন কবির, মোস্তবাপুর সম্মিলিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক অশোক কুমার, গোপালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রওশন আফরোজ, হাঙ্গার ফ্রি ওয়ার্ল্ডের প্রোগ্রাম অফিসার শাহজাহান আলী বিপাশ, বিএনএসকেএসের সভানেত্রী মনোয়ারা খাতুন এবং ইয়ুথ এগেইনস্ট হাঙ্গারের সহ-সভাপতি শেখ সাদি ও সম্পাদক তানভীর হোসেন মুন্না।

এই স্কলারশিপের আওতায় কালীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১৮ জন নারী শিক্ষার্থীকে মাসিক ৪০০ টাকা করে তিন মাসের জন্য মোট ১,২০০ টাকা এবং কলেজ পর্যায়ের ২২ জন নারী শিক্ষার্থীকে মাসিক ৫০০ টাকা করে তিন মাসের জন্য মোট ১,৫০০ টাকা প্রদান করা হয়।




ফ্রুটিং ব্যাগে ঝিনাইদহে কলা চাষে নতুন সম্ভাবনা

ঝিনাইদহে প্রচুর পরিমাণে কলা উৎপাদিত হয়। ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে জেলায় কলার আবাদ হয় ৫ হাজার ১০ হেক্টর জমিতে। অন্যান্য আবাদের চেয়ে কলা চাষে কৃষকদের কম পরিশ্রম করতে হয়। ঝড় ও কীটপতঙ্গের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত না হলে কলা একটি লাভজনক আবাদ।

শীতকালে কলার কাধীতে মশা ও অন্যান্য কীটপতঙ্গ বেশি আক্রমণ করে। ফলে কলার গায়ে স্পট তৈরি হয়, পাকলেও কলার মধ্যে শক্ত হয়ে থাকে। কীট পতঙ্গের হাত থেকে রক্ষা করতে নিয়মিত কীটনাশক স্প্রে করতে হয়। যেটা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। সম্প্রতি ঝিনাইদহে রুরাল রিকনস্ট্রাকশন ফাউন্ডেশন (আরআরএফ) ও কেমোনিক্স ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড নামের দুটি এনজিও’র সহায়তায় নিরাপদ কলা আবাদ শুরু হয়েছে। ঝিনাইদহ সদর, কোটচাঁদপুর, মহেশপুর, যশোর সদর ও চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার এক হাজার কৃষককে নিরাপদ কলা চাষের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে উন্নতমানের টিস্যুকালচার চারা। বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে ১০ হাজার ফ্রুটিং ব্যাগ। কলাকে কীট-পতঙ্গ ও মশার আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে কীটনাশকের পরিবর্তে ফ্রুট ব্যাগ ব্যবহার করা হচ্ছে।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কুলবাড়িয়া গ্রামের কৃষক নন্দ দুলাল কবিরাজ এনজিও দুটির সহায়তায় প্রায় দুইবিঘা জমিতে কলার আবাদ করেছেন। তার ক্ষেতে গিয়ে দেখা যায় কাধী আসা কলাতে ফ্রুট ব্যাগ পরানো হয়েছে। তিনি বলেন, ফ্রুট ব্যাগ ব্যবহারের ফলে মশা ও কীটনাশকের আক্রমণ থেকে কলা রক্ষায় কীটনাশক ব্যবহার করতে হচ্ছে না। কলা এমনিতেই একটি স্বাস্থ্যকর খাবার। তারপরেও এই কলা আরও নিরাপদ। দেশের বিভিন্ন সুপারশপেও এই কলার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

নন্দ দুলাল কবিরাজকে দেখে একই গ্রামের পরিমল কবিরাজও কলায় ফ্রুট ব্যাগ ব্যবহার করছেন। তিনি বলেন, এই পদ্ধতিতে খরচ কম ও মানসম্পন্ন কলা উৎপাদন করা সহজ। কলাচাষী শরিফুল ইসলাম বলেন, আরআরএফ থেকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও কলার ফ্রুট ব্যাগ পেয়ে, বর্তমানে আগের তুলনায় বেশি লাভবান হচ্ছি।

প্রকল্পের ফোকাল পার্সন কৃষিবিদ ড. অসিত বরণ মন্ডল বলেন, নিরাপদ কলা উৎপাদন ও বিপণন সম্পর্কিত প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা কলাচাষি ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করে যাচ্ছি যার মাধ্যমে টিস্যু কালচারের চারার ব্যবহার, সুষম সার প্রয়োগ, কলার ফ্রুটিং ব্যাগ ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবেশ সুরক্ষিত থাকবে এবং কলাচাষিরাও আর্থিকভাবে লাভবান হবে এবং মান সম্মত কলা ভোক্তাদের নিকট পৌঁছে দিতে সক্ষম হবো।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ নূর এ নবী বলেন, ব্রিটল পোকার আক্রমণ, মশার আক্রমণ ও বাতাশে বিভিন্ন জীবানু থাকে সেটা কলার সাথে মিশে কলা নষ্ট হয়ে যায়। যেকারণে কৃষক কীটনাশক স্প্রে করে। সেক্ষেত্রে ফ্রুটিং ব্যাগ ব্যবহার করলে পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষাসহ কীটনাশক ব্যবহার করা লাগে না। ফলে স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য নিরাপদ কলা উৎপাদিত হয়। বাজারে নিরাপদ কলার প্রচুর চাহিদা রয়েছে। চাষিরা এই পদ্ধতিতে চাষ করলে বেশি লাভবান হবে।




কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় ওষুধ তৈরিতে বিপ্লব

ক্যানসার, হৃদরোগ এবং স্নায়বিক অবক্ষয়সহ বিভিন্ন গুরুতর রোগের চিকিৎসায় যুগান্তকারী পরিবর্তনের পথে হাঁটছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। গুগলের মূল প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেটের সহযোগী প্রতিষ্ঠান আইসোমরফিক ল্যাবস এআই ব্যবহার করে নতুন একটি ওষুধ আবিষ্কার করেছে, যার পরীক্ষামূলক ব্যবহার শুরু হবে এ বছরের শেষ দিকে। সম্প্রতি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা স্যার ডেমিস হাসাবিস।

 

২১ জানুয়ারি সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে এক সাক্ষাৎকারে ডেমিস হাসাবিস বলেন, ‘আমরা ক্যানসার, হৃদরোগ এবং স্নায়বিক অবক্ষয়ের মতো বড় রোগগুলোর দিকে নজর দিচ্ছি। এ বছরের শেষের দিকে আমাদের প্রথম ওষুধ হাতে পাওয়ার আশা করছি।’

আইসোমরফিক ল্যাবসের লক্ষ্য ওষুধ আবিষ্কারের দীর্ঘ প্রক্রিয়াকে সংক্ষিপ্ত করা। সাধারণত একটি ওষুধ তৈরিতে পাঁচ থেকে দশ বছর সময় লাগে। কিন্তু এআই প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এ সময় দশগুণ পর্যন্ত কমিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন হাসাবিস। এটি শুধু সময়ই নয়, ওষুধ তৈরির ব্যয়ও উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে আনতে পারবে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য হবে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন।

এআই-এর হাত ধরে কার্যকারিতা বৃদ্ধি

আইসোমরফিক ল্যাবস মূলত গুগলের এআই গবেষণা শাখা ডিপমাইন্ড থেকে আলাদা হয়ে ২০২১ সালে যাত্রা শুরু করেছিল। তবে এটি এখনো অ্যালফাবেটের মালিকানাধীন একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসাবে কাজ করছে। ওষুধ তৈরির কার্যকারিতা বাড়াতে এবং খরচ কমাতে প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে এলি লিলি এবং নোভার্টিসের মতো বড় ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির সঙ্গে ছয়টি প্রকল্পে কাজ করছে।

 

ডেমিস হাসাবিস আরও জানান, কৃত্রিম সাধারণ বুদ্ধিমত্তা (Artificial general Intelligence-AGI) নির্মাণই ডিপমাইন্ডের চূড়ান্ত লক্ষ্য। এ প্রযুক্তি মানব মস্তিষ্কের মতো সব বৌদ্ধিক সক্ষমতা প্রদর্শনে সক্ষম হবে। যদিও এটি তৈরি হতে আরও পাঁচ থেকে দশ বছর সময় লাগতে পারে। তিনি বলেন, ‘আমরা এমন এক ভবিষ্যতের কল্পনা করছি, যেখানে কয়েক বিলিয়ন এআই এজেন্ট গ্রাহক এবং বিক্রেতার পক্ষ থেকে আলোচনার মাধ্যমে কাজ করবে।’

নিরাপত্তা ও নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তা

তবে এআইয়ের দ্রুত বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে এর সম্ভাব্য ঝুঁকিও সামনে আসছে। হাসাবিস সতর্ক করে বলেন, এআই প্রযুক্তি যদি ভুল মানুষের হাতে পড়ে বা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তবে এটি মানবসভ্যতার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই প্রযুক্তির সঠিক নিয়ন্ত্রণ এবং এর ব্যবহার নিরাপদভাবে নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।

ডেমিস হাসাবিস মনে করেন, এআই প্রযুক্তি বিকাশকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আরও সমন্বয় থাকা প্রয়োজন, বিশেষত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরির ক্ষেত্রে। প্রযুক্তি যেন মানবকল্যাণের জন্য ব্যবহৃত হয়, সেটি নিশ্চিত করাই তাদের প্রধান লক্ষ্য।

স্বাস্থ্য খাতে বিপ্লবের দুয়ার

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে ওষুধ তৈরির সময় এবং ব্যয় কমানোর উদ্যোগ জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে পারে। ডেমিস হাসাবিসের নেতৃত্বে আইসোমরফিক ল্যাবস এমন একটি ভবিষ্যতের দিকে এগোচ্ছে, যেখানে কঠিন রোগগুলোর সমাধান আগের চেয়ে অনেক সহজ এবং কার্যকর হবে। এআই প্রযুক্তির এ ব্যবহার মানবজাতির জন্য এক আশার আলো, যা কোটি কোটি মানুষের জীবন বাঁচাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।

সূত্র: যুগান্তর




মুজিবনগরে ভূমি সেবা বিষয়ক সেমিনার ও কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

মুজিবনগরে তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষ্যে”এসো দেশ বদলাই,পৃথিবী বদলাই”এই স্লোগানে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তরুণ প্রজন্মকে ভূমি সেবার ধারণা প্রদানের জন্য উপজেলা ভূমি অফিসের আয়োজনে,উপজেল পরিষদ মিলনায়তনে ভূমি সেবা বিষয়ক সেমিনার ও কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পলাশ মন্ডল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সেমিনার ও পুলিশ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, মুজিবনগর থানা অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান,উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী খালিদ হাসান, মুজিবনগর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হাসান মোস্তাফিজুর রহমান।

সেমিনার ও কুইজ প্রতিযোগিতায় উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী ও তরুণেরা অংশগ্রহণ করেন।
সেমিনারে তরুণপ্রজন্ম ও ছাত্রছাত্রীদের মাঝে ভূমিসেবা বিষয়ে বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয় এবং ভূমি সেবার উপর কুইজ অনুষ্ঠিত হয়। কুইজে বিজয়ীদেরকে পুরস্কৃত করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভূমি অফিসের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক রোজিনা খাতুন ও তাজুল ইসলাম, কম্পিউটার অপারেটর রবিউল ইসলাম এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ।




মুজিবনগরে ভলিবল, কাবাডি এবং ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট

“এসো দেশ বদলায় পৃথিবী বদলায়” নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ -উদযাপনে মুজিবনগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে, ভলিবল,কাবাডি এবং ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে।

টুর্নামেন্ট উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উপজেলা পরিষদ খেলার মাঠে ভিড় করে উপজেলার চারটি ইউনিয়নের ভলি, কাবাডি এবং ব্যাডমিন্টন দল এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রী শিক্ষক এবং উৎদামি তরুণ ও সাধারণ মানুষ।

টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার পলাশ মন্ডল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মুজিবনগর ইনচার্জ মিজানুর রহমান মুজিবনগর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হাসান মোস্তাফিজুর রহমান, গোপালনগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহুরুল ইসলাম, ছাত্র প্রতিনিধি তুষার সহ উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা বৃন্দ ।

দিন ব্যাপী আয়োজনে টুর্নামেন্টে উপজেলার বাগোয়ান, মোনাখালি, দারিয়াপুর ও মহাজনপুর ইউনিয়নের ইউনিয়ন দল অংশগ্রহণ করেন। কাবাডিতে বাগোয়ান ইউনিয়ন কাবাডি দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে এবং রানার আপ দারিয়াপুর ইউনিয়ন দল । দ্বৈত ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টে দারিয়াপুর ইউনিয়ন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে রানারআপ বাগোয়ান ইউনিয়ন দল এবং ভলিবল টুর্নামেন্টে মোনাখালি ইউনিয়ন দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে এবং রানারআপ হয় দারিয়াপুর ইউনিয়ন দল।

টুর্নামেন্ট শেষে বিকেলে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পলাশ মন্ডল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে টুর্নামেন্টের বিজয়দের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মুজিবনগর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আহসান মোস্তাফিজুর রহমান এবং ছাত্র প্রতিনিধি তুষার।




জনবল নিয়োগ দিচ্ছে যমুনা গ্রুপ, কর্মস্থল ফিউচার পার্ক

যমুনা গ্রুপ জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির যমুনা ফিউচার পার্ক ফুড কোর্টে ম্যানেজার পদে একাধিক জনবল নিয়োগের জন্য এ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। গতকাল ২২ জানুয়ারি থেকেই আবেদন নেওয়া শুরু হয়েছে। আবেদন করা যাবে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত প্রার্থীরা মাসিক বেতন ছাড়াও প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী আরও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম: যমুনা গ্রুপ

পদের নাম: ম্যানেজার

বিভাগ: যমুনা ফিউচার পার্ক ফুড কোর্ট

পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয়

শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিবিএ/ এমবিএ

অন্যান্য যোগ্যতা: ডিজিটাল মার্কেটিং টুল, সিআরএম প্ল্যাটফর্ম এবং এমএস অফিসে দক্ষতা।

অভিজ্ঞতা: কমপক্ষে ৫ বছর

চাকরির ধরন: ফুলটাইম

কর্মক্ষেত্র: অফিসে

প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ (উভয়)

বয়সসীমা: ২৮ থেকে ৩৮ বছর

কর্মস্থল: ঢাকা

বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে প্রতিযোগিতামূলক বেতন

অন্যান্য সুবিধা: প্রতি বছর বেতন পর্যালোচনা, বছরে ২টি উৎসব বোনাস, কর্মক্ষমতা-ভিত্তিক প্রণোদনা।

আবেদন যেভাবে: আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

আবেদনের শেষ সময়: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সূত্র: যুগান্তর




মেহেরপুরে বিএনপি’র আহবায়ক কমিটি পুর্ণবিবেচনার দাবিতে গণ মিছিল

মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটি পুর্ণবিবেচনার দাবিতে গণ মিছিল করেছে সদর উপজেলা বিএনপি।

বৃহস্পতিবার (২৩ শে জানুয়ারি ) বেলা ১২ টার দিকে মেহেরপুর সরকারি কলেজ মোড় প্রাঙ্গণ থেকে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে নেতাকর্মীরা মেহেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি পুর্ণবিবেচনার দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপি’র নির্বাহী সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও পৌর বিএনপি’র সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, জেলা বিএনপির সাবেক সহ সংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আলী ভুট্ট, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সভাপতি জাহিদুল হক জাহিদ, জেলা কৃষকদলের আহবায়ক মাহবুবুর রহমান, শ্রমিক দলের সভাপতি আহসান হাবীব সোনা, গাংনী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আকিব জাভেদ সেনজির, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ রাজিব খান, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি বাবু সাবের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদুর সুজন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবু হাসনাত আফরোজ সহ বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।

এর আগে কলেজ মোড় প্রাঙ্গণে একটি পথসভা হয়। পথসভায় বক্তারা বলেন, ১৬ বছর যারা রাজপথে লড়াই সংগ্রামে ছিল না তারা আজ আহ্বায়ক কমিটি হয়েছে। এই আহবায়ক কমিটি টাকার বিনিময়ে আওয়ামী লীগের দোসরদের কমিটিতে নিয়ে আসছে।
এ কমিটি আমরা মানি না, কমিটি হবে শহীদ শামসুজ্জোহা পার্কে জনগণের সামনে, জনগণের কথায় হবে শেষ কথা।
কেন্দ্রীয় বিএনপি’র নির্বাহী সদস্য ও মেহেরপুর ১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুন প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, আমরা শুক্রবারের রাজনীতি করি না। শুক্রবারে রাজনীতি যারা করে তারা জনগণের সাথে মিশতে পারে না। জনগণই ঠিক করে দেবে আগামী মেহেরপুরে বিএনপির কে হালকে ধরবে।




যে ৪ মানুষের কাছে আমলকী বিষ

আমলকীর গুণমান দেখে অনেকে ফলটিকে সুপার ফুড বলে। ভেষজ জাতীয় এই ছোট্ট ফলে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। আমলকী খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। কিন্তু আমলকী সবার জন্য অতটা উপকারী নয়। নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে ফলটি খাওয়া হয় না বা খুব কম পরিমাণে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে চার ধরণের রোগে ভুগছেন এমন মানুষের জন্য এটি একেবারে এড়িয়ে চলা উচিত।

রক্তের ব্যাধি

যারা রক্তজনিত রোগে ভুগছেন তারা আমলকী না খাওয়াই ভালো। ফলটিতে এমন বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা রক্তকে পাতলা করতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া আমলকী খাওয়া উচিত নয়।

হাইপার অ্যাসিডিটি

যাদের হাইপার অ্যাসিডিটির সমস্যা রয়েছে তাদের ফলটি এড়িয়ে যাওয়া সর্বোত্তম। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ আমলা খেলে এই ধরনের মানুষের পেটে বেশি অ্যাসিড তৈরি হতে থাকে। বহুবার দেখা গেছে আমলা খাওয়ার ফলে হাইপার অ্যাসিডিটি রোগীদের অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে।

অস্ত্রোপচারের আগে

যারা অস্ত্রোপচার করতে যাচ্ছেন তাদের জন্য আমলকী খাওয়াও উপকারী বলে মনে করা হয় না। অস্ত্রোপচারের ২ সপ্তাহ আগে থেকেই ফলটি খাওয়া বন্ধ করা উচিত।

ব্লাড সুগার কম থাকলে

আমলকী রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সহায়ক। এমন পরিস্থিতিতে যাদের রক্তে শর্করার মাত্রা কম তাদের জন্য এর খাওয়া মোটেও উপকারী নয়। ডায়াবেটিক রোগীরা যারা আমলকী খান তারাও তাদের সুগার লেভেল পরীক্ষা করে থাকেন।

সূত্র: যুগান্তর




দলীয় কোন্দলে খুন হন যুবদল নেতা আলমগীর

গাংনীতে যুবদল নেতা আলমগীর হোসেন হত্যাকান্ডটি পাওনা টাকাকে কেন্দ্র করে নয়, যুবদলের দলীয় কোন্দলের কারণে ঘটেছে।

গতকাল বুধবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কনফারেন্স রুমে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন মেহেরপুর পুলিশ সুপার মাকসুদা আখতার খানম।

জেলা পুলিশ সুপার বলেন, গাংনী ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি নিহত আলমগীর হোসেন দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকার কারণে ওয়ার্ডের যুবদলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করতেন প্রধান আসামি মাফিকুল ইসলাম মাফি। গত ৫ আগস্টের পরে নিহত আলমগীর দেশে আসে এবং রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। তার এই সক্রিয়তার কারণে মাফিকুল রাজনীতিতে কোণঠাসা হয়ে পড়ে।
তিনি আরো বলেন, রবিউল ইসলাম বিপ্লব আগামীতে গাংনী পৌর যুবদলের সম্পাদক হওয়ার চেষ্টা করে আসছিল। এ কারণে ১ নং ওয়ার্ড কমিটির সভাপতির সমর্থন প্রয়োজন ছিল। কিন্তু আলমগীর বিপ্লবকে সমর্থন না দিয়ে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন। আলমগীরের জনপ্রিয়তার কারণে তাকে সভাপতি পদ থেকে সরানোও সম্ভব হচ্ছিল না। এ কারণে পথের কাটা আলমগীরকে সরিয়ে যে কোন মূল্যে মাফিকে সভাপতির চেয়ারে বসানোর পরিকল্পনা করে বিপ্লব।

মেহেরপুর পুলিশ সুপার আরো বলেন, হত্যাকান্ডের মাস্টারমাইন্ড রবিউল ইসলাম বিপ্লব ও মাফিকুল ইসলাম মাফি ঘটনার ৮/১০ দিন পূর্ব থেকেই অপরাপর আসামীদের নিয়ে হত্যার পরিকল্পনা করে। হত্যাকান্ডের জন্য তারা গাংনী উপজেলার ষোলটাকা ইউনিয়নের সহড়াবাড়িয়া মাঠের ইয়ারুল কাটা নামক নির্জন স্থান বেছে নেয়। রবিউল ইসলাম বিপ্লব তার সহযোগী আসামী শফিকুল ইসলাম শফিকে ৩,০০০ টাকা জবাই করার জন্য ধারালো ছুরি কেনা ও অন্যান্য খরচ বাবদ দেয়। রবিউল ইসলাম বিপ্লব অপরাপর সহযোগী আসামী মোঃ জনি ইসলাম ও মোঃ হাসিবুল ইসলামকে গাংনী বাজরের একটি দোকান হতে সাদা নাইলনের দড়ি কিনে দেয়। নিহত আলমগরি হোসেন তাদের বন্ধু ও ঘনিষ্ঠজন হওয়ার কারণে গত ১ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখ সন্ধ্যায় পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে মোঃ রবিউল ইসলাময়ে বিপ্লব ও মাফিকুল ইসলাম মাফি সহযোগী আসামী আলমগীর ও শফিকুল শফিকে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায়। পূর্ব হতেই পাহারা দেওয়ার জন্য ঘটনাস্থলে জনি ইসলাম ও হাসিবুল ইসলাম অপেক্ষারত ছিল। ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর সাথে সাথেই আসামীরা ভিকটিম আলমগীরকে জাপটে ধরে পার্শ্ববর্তী কাঁচা রাস্তায় নিয়ে দড়ি দিয়ে হাত বাঁধে, মাফলার দিয়ে মুখ বাঁধে এবং ভিকটিমের গলায় দড়ি পেঁচিয়ে টানাটানি করে। ভিকটিম আলমগীর নিস্তেজ হয়ে পড়লে বিপ্লব মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য গলা কেটে জবাই করার নির্দেশ দেয়। শফিকুল শফি তার নিকট থাকা ধারালো ছুরি বের করে আসামী আলমগীরের হাতে দিলে আসামী আলমগীর জনিকে জবাই করার জন্য বলে। জনি গলা কেটে জবাই করার পর রক্তমাখা ছুরি ঘাসে মুছে শফিকুলকে দিয়ে দেয়। মামলা ভিন্নখাতে প্রবাহের জন্য বিপ্লব তার কাছে থাকা হাতে লেখা চিরকুট লাশের পাশে রেখে দেয়। হত্যাকান্ড শেষে আসামীরা গাংনী ফিরে আসে। শফিফকুল তার কাছে থাকা ছুরি বিপ্লবকে দিয়ে বাড়ি চলে যায়। হত্যাকান্ডের মাস্টারমাইন্ড রবিউল ইসলাম বিপ্লববের দেখানো মতে হত্যার কাজে ব্যবহৃত ধারালো ছুরি এবং মাফিকুল ইসলাম মাফির দেখানো মতে নিহতের মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
এ পর্যন্ত হত্যাকান্ডের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ৬ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে যাদের মধ্যে ৫ জন নৃশংস হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করেছে এবং তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এসময় গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল, সদর থানার ওসি সেখ মেজবাহ উদ্দীন, মুজিবনগর থানার ওসি মিজানুর রহমানসহ জেলা গোয়েন্দা ও সাইেবারক্রাইম টিমের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

হত্যাকান্ডে জড়িত আটক ছয় আসামি হলো- গাংনী পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড চৌগাছা গ্রামের রইচ উদ্দিনের ছেলে মোঃ রবিউল ইসলাম বিপ্লব (৩৬), গাংনী পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড বাশবাড়িয়া পশ্চিমপাড়ার আব্দুল আউয়ালের ছেলে মফিকুল ইসলাম (৩৯), গাংনী উপজেলার কোদাইলকাটি গ্রামের জামাত আলীর ছেলে মোঃ আলমগীর হোসেন (৪০), গাংনী উপজেলার ষোলটাকা ইউনিয়নের মিনাপাড়া গ্রামের মোঃ লোকমান ইসলামের ছেলে হাসিবুল ইসলাম(২১), ও মেহেরপুর সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের ট্যাঙ্গারমাঠ শিশিরপাড়া এলাকার মৃত হযরত আলী ছেলে মোঃ শফিকুল ইসলাম শফি(৪২)।

উল্লেখ্য, গত ২ জানুয়ারি গাংনী উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের উত্তরপাড়া এলাকার মঈন উদ্দীনের ছেলে ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি আলমগীর হোসেনের (৩৮) গলাকাটা মরদেহ সহড়াবাড়িয়া ইছাখালি মাঠের পাশে থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।




জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি, শুক্রবারের কমিটি

মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি মাসুদ অরুন বলেছেন, “বাংলাদেশের অপর নাম জিয়াউর রহমান” বিএনপির ভাইসচেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে এদেশের মানুষ যে সংগ্রাম শুরু করেছিলেন সেই আন্দোলনের চুড়ান্ত রুপ জুলাই আগস্টের রক্তাক্ত গণঅভ্যুথান। ছাত্র জনতা রক্ত দিয়ে এদেশ থেকে সৈরাচার শেখ হাসিনাকে বিদায় করেছে।

গতকাল বুধবার বিকেলে গাংনী উপজেলা শহরের হাসপাতাল বাজার এলাকায় আয়োজিত বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

গাংনী উপজেলা বিএনপি আয়োজিত মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর ৮৯তম জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় গরীব ও দুঃস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ ও বিশাল গণমিছিলে প্রধান অতিথির রাখছিলেন তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাসুদ অরুন আরও বলেন, একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নির্মাণের জন্য গত ১৫ বছর যাবৎ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিএনপির হাজার হাজার নেতা কর্মী মামলা হামলা জেল জুলুম, হুলিয়া মাথায় নিয়ে লড়াই, সংগ্রাম করেছে। আন্দোলন করতে গিয়ে বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী গুম খুনের স্বীকার হয়েছেন, রক্ত দিয়েছেন।

তিনি বলেন, এখন যে লড়াই শুরু হচ্ছে এলড়াই বিএনপিকে বাঁচানোর লড়াই, ধানের শীষ রক্ষা করার লড়াই। এ লড়াই দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে তারেক রহমানকে এদেশে ফিরিয়ে এনে ১৮ কোটি মানুষের কাছে পৌছে দেওয়ার লড়াই।

তিনি বলেন, অনেকেই চাঁদাবাজির মাধ্যমে শেখ হাসিনার দোসরদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিচ্ছেন। আমরা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। যারা হাসিনার দোসরদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে মেহেরপুরে বিএনপির বিভিন্ন স্তরের কমিটি গঠণের ষড়যন্ত্র করছেন তাদের বিরুদ্ধে গণধোলাইয়ের কর্মসূচি দোবো। কেউ রক্ষা পাবেননা, আগামি ১ তারিখ পর্যন্ত অপেক্ষা করবো যোগ করেন তিনি। ।

ইউএনও, ওসিসহ সরকারি সকল কর্মকর্তাদের উদেশ্যে মাসুদ অরুন বলেন, জুলাই আগস্টের রক্তপাতের কথা মনে রেখে ৫ তারিখের আগের সব কথা ভুলে যান। এখন থেকে জনগণের কথা শুনতে হবে। ৫ তারিখে এদেশের মানুষ যে রক্ত দিয়েছে জীবন দিয়েছে, গণঅভ্যুথানের মধ্যদিয়ে নতুন বাংলাদেশ নির্মাণের চেষ্টা চলছে সেই নির্মাণের চেতনা ধারণ করে জনগণের কথা শুনতে হবে। নাহলে এদেশের মানুষ আবারও একত্রিত হয়ে জনবিরোধী কর্মকান্ড রুখে দেবো।

তিনি বলেন, বিএনপিকে বাঁচানোর সংগ্রাম ও নতুন বাংলাদেশ বির্নিমানে এখন থেকে গ্রামে গ্রামে ও ইউনিয়ন পর্যায়ের সমাবেশ হবে। সেখানে সকল শ্রেনীর জেলে, মুজুর, কামার, শ্রমিক সবাইকে যুক্ত করা হবে।

মেহেরপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি সমন্ধে তিনি বলেন, কমিটি হয়েছে শুক্রবারের কমিটি। শুক্রবার আসলে ছুটি থাকে, ঢাকা থেকে আসতে পারেন রাজনীতি করতে। এখন থেকে শুক্রবারের রাজনীতি বন্ধ। শুক্রবার বলে কোনো রাজনীতি এখন আর হবেনা। সাদা কাগজের কালো অক্ষরের কোনো কমিটি মানা হবেনা।

তিনি হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, নতুন কমিটির নামে যারা চাঁদাবাজি করছেন তাদের সেটা বন্ধ করতে হবে। ১ ফেব্রুয়ারির পর আর কোনো অগণতান্ত্রিক কর্মকান্ড হলে আপনাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আমরা বাধ্য হবো।

মাসুদ অরুন বলেন, তারেক রহমান বলেছেন, “দলকে বাঁচাতে হবে, দলকে সংগঠিত করতে হবে, মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে, শ্রমজীবি মানুষের সাথে থাকতে হবে, নতুন প্রজন্মের ছাত্র যুবককের ঐক্যবদ্ধ করতে হবে, মেধাবীদের সামনের কাতারে আনতে হবে।”
প্রধান বক্তা, জেলা বিএনিপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন বলেছেন, বিগত ১৭ বছরে দেখা যায়নি, পাওয়া যায়নি, ৫ তারিখের পর এক শ্রেনীর নেতার উদয় হয়েছে।

তিনি বলেন, রোদে পুড়ে পানিতে ভিজে জেল জুলুম হুলিয়া মাথায় নিয়ে রাজপথে জনগণকে সাথে নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। কখনো জনগণকে ফেলে যায়নি। এই জনগণও আমাদের ছেড়ে যাবেনা।

আমজাদ হোসেন আরও বলেন, দলের জন্য, জেল জুলুম হুলিয়া খেটেছেন তাদেরকে নিয়েই আগামিতে বিভিন্ন স্তরের কমিটি থেকে শুরু করে দলীয় সকল কর্মকান্ড করতে হবে। আন্দোলন সংগ্রাম ও ত্যাগ স্বীকার করে দলের জন্য যারা পরিশ্রম করেছেন, বিএনপির সেসব ত্যাগি রাজনীতিকদের বাদ দিয়ে কমিটি তৈরী করার ক্ষমতা আহবায়ক কমিটির নেই। বিএনপির ত্যাগি নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে কেউ গ্রাম গঞ্জে বিএনপির কোনো কমিটি করতে গেলে তাদের প্রতিহত করতে হবে যোগ করেন তিনি।

আমজাদ হোসেন বলেন, মেহেরপুর জেলায় নিয়মের বাইরে কোনো কমিটি হলে সেটা আমরা মানবনা। ঘরে বসে সাদ কাগজের উপর কালো কলি দিয়ে পকেট কমিটি করবেন সেটাও আমরা মানবোনা।

তিনি বলেন, ষোল বছরের দু:শাসনর অবসান ভারতের মানুষ এসে করে দিয়ে যায়নি। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মানুষ করেছে। শুধু অবসান নয়, সৈরাচারকে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছেন। বিতারিড়ত সৈরাচার আবারও বাংলাদেশে ফিরে এসে মাতববারী করবে করবে এটা মানুষ মেনে নেইনি, ভবিষ্যতেও নেবেনা।

তিনি বলেন, তাদের দোসর হিসেবে ষড়যন্ত্রের যে জাল বিস্তারর করার চেষ্টা করছেন। বিএনপিকে দূর্বল করে রাস্ট্রিয় ক্ষমতায় আসার যে ষড়যন্ত্র করছেন সেটা বাস্তবায়ন হবেনা।

তিনি বলেন, দিল্লীতে বসে ষড়যন্ত্র করে বাংলাদেশে ঢুকে পড়বেন, সে ষড়যন্ত্র বাস্তবায়িত হবেনা।
গাংনী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, মেহেরপুর পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, মেহেরপুর জেলা কৃষক দলের সভাপতি মাহাবুবুর রহমান মাহবুব, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শিল্পপতি সেলিম আহমেদ।

এছাড়া বক্তব্য রাখেন, কাজিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মোল্লা, বামন্দী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি, বীরমুক্তিযোদ্ধা আমিরুল ইসলাম, সাবেক যুবদল নেতা সাজেদুরর রহমান বুলবুল, মেহেরপুর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নাজমুল হুসাইন,। এসময় অন্যান্যদেও মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাহারবাটি ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিএনপি মহিলা দলের নেত্রী আসমা তারা, বিএনপি নেত্রী সামিরন নেছাসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের স্থানীয় নেত্রীবৃন্দ।

সভাপতির বক্তব্যে আসাদুজ্জামান বাবলু বলেন, গাংনীর বিএনপির নেতাকর্মীরা যতদিন আছেন ততদিন আমি আপনাদের মাঝে আছি। বিএনপির ভাইসচেয়ারম্যান তারেক রহমানন নির্দেশনা দিয়েছেন প্রতিটি ওয়ার্ড, প্রতিটি ইউনিয়নে প্রতিটি উপজেলায় দলীয় নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি দেওয়া হবে। সেখানে তারেক রহমানের নির্দেশনা না মেনে সৈরাচারী কায়দায় কমিটি করেছে। যারা এভাবে কমিটি করেছেন তারা বিএনপির দুশমন।

তিনি বলেন, বিগত ১৭ বছর আওয়ামীলীগের দু:শাসন, নির্যাতন, হামলা ও ৩৪ টি মামলার আসামি হয়েছি। বারবার কারাবরণ করেছি। তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের যখন জেল ডাকা হয়েছিল সেইদিন আমার নেতৃত্বে গাংনীতে মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে। সেই মামলায় আমি কারাবরণ করেছি। অথচ, এখন ষড়যন্ত্র করে আমাদের বাদ দিয়ে সৈরাচারী কায়দায় বিএনপির কমিটি গঠণের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা এই সৈরাচারীদের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেবো।

তিনি বলেন, সাদা কাগজে কালো কালি দিয়ে নাম লিখলেই নেতা হওয়া যায়না। নেতা হতে হলে কৃষক, শ্রমিক, কুলি মজুর ও পা ফাটা মানুষের পাশে থাকতে হবে। মানুষের বিপদের সময়ে পাশে থাকতে হবে।

তিনি বলেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বার বার বলেছেন, আগামীতে যে নির্বাচন হবে সেটা অত্যন্ত কঠিন নির্বাচন হবে। জামায়াত ইসলাম আমাদের শরীক দল ছিল। তারা আওয়ামীলীগকে মাফ করে দিয়েছে। তারা মনে করে আওয়ামীলীগের ভোট তাদের বাক্্রে যাবে।

পরে একটি বিশাল গণ মিছিল সমাবেশ স্থল থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে শেষ হয়। এর আগে গাংনী উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী, ধানের শীষ, ব্যানার প্ল্যাকার্ড নিয়ে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্থলে আসেন নেতাকর্মীরা।