৫০ জনকে নিয়োগ দেবে মীনা বাজার

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে মীনা বাজার। প্রতিষ্ঠানটিতে সেলসম্যান/ ক্যাশিয়ার (মিরপুর) পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম

সেলসম্যান/ ক্যাশিয়ার (মিরপুর)।

পদসংখ্যা

এই পদে ৫০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।

যোগ্যতা

প্রার্থীকে এসএসসি পাস হতে হবে। বয়স ১৮ থেকে ২৮ বছর। পুরুষ এবং নারী প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। ক্যাশিয়ার পদে আগ্রহী প্রার্থীদের ক্যাশ কাউন্টার পরিচালনা জ্ঞান থাকতে হবে।

কর্মস্থল

(মিরপুর)

বেতন

৮০০০ – ১০০০০ (মাসিক )

আবেদন প্রক্রিয়া

আগ্রহী প্রার্থীরা বিডিজবস অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ তারিখ

৩১ আগষ্ট, ২০২৩।

সূত্র : বিডিজবস




নিলামে উঠলো টাইটানিকের নায়িকার পোশাক

বিশ্ববিখ্যাত টাইটানিক সিনেমার সেই আসাধারন জুটি জ্যাক-রোজ চরিত্র দুটি আজও দর্শক হৃদয়ে রোমান্সের শীর্ষে রয়েছে। হলিউডের বিখ্যাত অভিনেতা-অভিনেত্রী কেট উইনস্লেট ও লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও এই দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তা সবারই জানা। ১৯১২ সালের ১৩ এপ্রিল ডুবে যায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাহাজ টাইটানিক। আর তা নিয়ে সিনেমা নির্মাণ হয়েছিল ১৯৯৭ সালে। এখনও টাইটানিক সিনেমাটি দর্শকের সামনে এলে তা উপেক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়ে। সম্প্রতি সেই টাইটানিকের নায়িকা রোজ অর্থাৎ কেট উইন্সলেটের পরা একটি ওভারকোট নিলামে তোলা হয়েছে।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, টাইটানিক সিনেমায় অভিনেত্রী কেট উইন্সলেট অন-স্ক্রিন চরিত্র ‘রোজ’-এর ভূমিকায় অভিনয়ের সময় পড়া একটি ওভারকোট আমেরিকার নিউ জার্সির নিলামকারী সংস্থা গোল্ডিন অনলাইনে নিলাম করতে চলেছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও কেন গোল্ডিন জানিয়েছেন, ওভারকোটটির দাম একশো হাজার ডলার অতিক্রম করে যাবে।

জানা যায়, ওভারকোটে গোলাপি উলের উপর কালো এমব্রয়ডারি করা হয়েছে। যা ডিজাইন করেছিলেন ডেবোরা লিন স্কট। স্কটের ডিজাইনের উপর ভিত্তি করে জে পিটারম্যান কোম্পানি এই কোটটি তৈরি করেন। টাইটানিকের জন্য পোশাক ডিজাইন করে স্কট একাডেমি পুরস্কারও পান।

শুক্রবার রাতে নিলাম শুরু হওয়ার পরই পাঁচজন এতে অংশ নিয়েছেন। এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ দাম উঠেছে ৩৪ হাজার ডলার। ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে নিলাম। যে বেশি দাম দিতে পারবেন, তারই সংগ্রহে যাবে এই ওভারকোট।

টাইটানিক প্রথম সিনেমা যা কিনা প্রথম বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিত্রম করেছিল। যা বক্স অফিসে ১.৮৪ বিলিয়ন ডলার আয় করেছিল। সিনেমাটি ১৪টি বিভাগে অ্যাকাডেমি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিল। এবং সেরা ছবি, সেরা পরিচালক এবং সেরা পোশাক ডিজাইনের জন্য অস্কারও পান।




গাংনীতে হেরোইনসহ যুবক আটক

৫ গ্রাম হেরোইনসহ ইমরান (২২) নামের এক যুবককে আটক করেছে গাংনী থানা পুলিশ। আটক ইমরান গাংনী উপজেলার কাজিপুর গ্রামের আজিমুদ্দীনের ছেলে।

গাংনী থানা পুলিশের একটি টিম তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে হেরোইনসহ আটক করেছে।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিত্বে ইমরানের বাড়িতে পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে তাকে হেরোইনসহ তাকে আটক করেন।

হেরোইন উদ্ধারের ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে আটক ইমরানকে মেহেরপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।




ক্রিকেটেও আসছে লাল কার্ড

ফুটবলে খুবই পরিচিত দৃশ্য লাল কার্ড। রেফারি লাল কার্ড দেখানো সঙ্গে সঙ্গে মাঠ ছেড়ে বেড়িয়ে যায় ফুটবলার। আর এবার ক্রিকেটেও চালু হচ্ছে লাল কার্ড। আসন্ন ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল) এর নতুন আসরে মন্থর ওভার রেটের জন্য রাখা হয়েছে অভিনব এক শাস্তি। এই টুর্নামেন্টে স্লো ওভার রেটের কারণে অধিনায়ককে দেখানো হবে লাল কার্ড, যে কারণে মাঠ থেকে বের হয়ে যেতে হবে একজন ক্রিকেটারকে।

মন্থর ওভার রেটের কারণে সাধারণত জরিমানা করা হয়। তবে জরিমানা করেও খুব একটা লাভ হচ্ছে না। আর তাই এমন এক উদ্যোগ নিয়েছে সিপিএল কর্তৃপক্ষ।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সাধারণত প্রতি ইনিংস শেষ করতে হয় ৮৫ মিনিটের মধ্যে। ইনিংসের ১৭ ওভার শেষ করার নির্ধারিত সময় ৭২ মিনিট ১৫ সেকেন্ড, ১৮তম ওভার ৭৬ মিনিট ৩০ সেকেন্ড। ১৯ ওভার ৮০ মিনিট ৪৫ সেকেন্ড শেষ করতে হবে, সব মিলিয়ে শেষ করতে হয় ৮৫ মিনিটের মধ্যে। নির্ধারিত সময়ে প্রতি ওভার শেষ হচ্ছে কি না সেটা এবার ভালো করে তদারকি করবে ম্যাচ অফিশিয়ালরা।

সিপিএলে এবারের আসরে ফিল্ডিং দল যদি ১৮তম ওভার নির্ধারিত সময়ে শুরু করতে না পারে, তাহলে একজন অতিরিক্ত ফিল্ডারকে ৩০ গজের বৃত্তের মধ্যে রাখতে হবে। অর্থাৎ তখন বৃত্তে থাকবে ৫ জন ফিল্ডার। ১৯তম ওভার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শুরু করতে না পারলে ফিল্ডার ৩০ গজের বৃত্তে ঢোকাতে হবে আরও একজন। অর্থাৎ তখন বৃত্তের মধ্যে থাকবে ৬ জন।

আর ২০ তম ওভার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শুরু না করলে শাস্তি আরও বড়। তখন একজন ফিল্ডারকে যেতে হবে মাঠের বাইরে। সেই ফিল্ডার কে হবে সেটা ঠিক করবেন অধিনায়ক। তখনো ৬ জন ফিল্ডারকে থাকতে হবে বৃত্তের মধ্যে। ব্যাটাররাও একই ভুল করলে আছে শাস্তি। আম্পায়ারদের প্রথম ও ফাইনাল ওয়ার্নিংয়ের পর সময় নষ্ট করলে প্রতি ঘটনায় কাটা হবে ৫ রান করে।

সিপিএলের টুর্নামেন্ট অপারেশন পরিচালক মাইকেল হল বলেন, ‘আমরা হতাশ, আমাদের টি-টোয়েন্টি খেলাগুলোও প্রতি বছর দীর্ঘ হয়ে যাচ্ছে। এই ট্রেন্ড বন্ধ করার জন্য, আমরা যা করার তা করতে চাই। খেলাটা চলমান রাখার দায়িত্ব ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট সবার। আমরা টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ফ্র্যাঞ্চাইজি ও ম্যাচ অফিশিয়াল সবাইকে তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে অবহিত করেছি। আশা করছি খেলায় শাস্তির ব্যবহার করতে হবে না।’

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে সেবিকা হত্যা মামলায় দুই জনের ফাঁসির আদেশ

মেহেরপুরে সেবিকা নার্গিছ খাতুন হত্যা শেষে লাশ গুমের মামলায় দুই জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ রবিবার দুপুর ১২ টায় মেহেরপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রিপতি কুমার বিশ্বাস এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে আসামীদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির আরো কয়েকটি ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামিদের একাধিক সাজা দেওয়া হয়েছে।

সন্দেহাতীতভাবে সকল অপরাধ প্রমাণ হওয়ায় তাদের প্রত্যেককে দন্ডবিধির ৩৬৪ ধারায় ১০ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড এবং সেই সাথে ১০,০০০/- (দশ হাজার টাকা) করে অর্থদত্ত অনাসায়ে আরো ০৬ (ছয়) মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড, দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় মৃত্যু দন্ড এবং সেই সাথে ২৫,০০০/- (পঁচিশ হাজার টাকা) করে অর্থদন্ড, দণ্ডবিধির ৩৭৯ ধারার ২ (দুই) বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড, দণ্ডবিধির ২০১ ধারায় ৩ (তিন) বছর করে সশ্রম কারাদন্ড এবং সেই সাথে ৫০০০/- (পাঁচ হাজার টাকা) করে অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ০৩ (তিন) মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করে আদালত।

দণ্ডিতরা হলেন- গাংনী উপজেলার সাহেবনগর গ্রামের ফোরকান আলীর ছেলে বাশারুল ইসলাম ও জামির হোসেনের ছেলে ফজর আলী। মামলার অপর আসামি ইয়াকুব হোসেন মৃত্যুবরণ করায় তাকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। দণ্ডিত দুইজনই পলাতক রয়েছেন।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, গাংনী উপজেলার সাহেবনগর গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের স্ত্রী নারগিছ খাতুন বামন্দি মাহী ক্লিনিকের সেবিকা হিসেবে চাকরি করতেন। ২০১৮ সালের ৫ আগষ্ট তিনি চাকরি ছেড়ে দিয়ে বামন্দির আল ফালাহ ক্লিনিকে যোগদান করেন। ওই দিন তিনি বাড়িতে ফিরতে দেরি করায় তার মেয়ে তসলিমা খাতুনকে জানান, বামন্দির কবরি ক্লিনিকের সামনে আছেন বাড়ি আসতে দেরি হবে। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ থাকায় তার মেয়ে তসলিমা খাতুন গাংনী থানায় একটি জিডি করেন। এর পর থেকে নারগিছ খাতুন নিখোঁজ থাকেন। পরবর্তিতে ১৮ সেপ্টেম্বর অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামী কওে তসলিামা খাতুন একটি অপহরণ মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই বিশ্বজিৎ কুমার তদন্তকালে সাহেবনগর গ্রামের বাশারুল ও ফজর আলীকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেওয়া তথ্য মতে ২০১৯ সালের ২৪ জানুয়ারি বাশারুলের বাড়ির সেফটি ট্যাংক থেকে নারগিছের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার প্রাথমিক তদন্ত শেষে দণ্ডবিধির ৩০২/৩৬৪/৩৭৯/২০১ ধারায় বাশারুল ইসলাম, ফজর আলী ও ইয়াকুব হোসেনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর কাজী শহিদুল হক এবং আসামী পক্ষে কামরুল হাসান ও আতাউর রহমান আইনজীবীর দায়িত্ব পালন করেন।

মামলায় রায়ে সন্তোস প্রকাশ করে নার্গিছ খাতুনের মেয়ে তসলিমা খাতুন বলেন, আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তি কার্যকর করা হোক।




মেহেরপুরে ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর মশারি বিতরণ

মেহেরপুরে ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশারি বিতরণ করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি।
রবিবার দুপুরে মেহেরপুর পৌর কমিউনিটি সেন্টার মিলনায়তে ১ হাজার জনের মাঝে মশারি বিতরণ করা হয়।

এসময় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, শুধূ বাংলাদেশেই নয়, এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশের বিভিন্ন দেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। এ বছর বৃষ্টি শুরু হয়েছে দেরিতে। যে কারণে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। মশার কামড় থেকে ডেঙ্গু রোগ হয়। তাই মশার কামড় থেকে যাতে আমরা বাঁচতে পারি সেজন্য মশারি ব্যবহার করতে হবে। আজ অসহায় এক হাজার মানুষের মাঝে এ মশারি বিতরণ করা হচ্ছে। আপনার সকলেই অলসতা না করে মশারি ব্যবহার করবেন।

মেহেরপুর সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন আহমেদের সঞ্চালনায় মশারি বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুস সালাম বাঁধন, জেলা ইয়ং বাংলার সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম আলী, সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি লুৎফুন্নেছা লতা ও সাধারণ সম্পাদিকা রোজিনা খাতুন, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার জুলকার নাইম বাইজিদ, সদর উপজেলা ইয়ং বাংলা ফিউচার লিডারশিপের সভাপতি সানোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, মুজিবনগর উপজেলা ইয়ং বাংলা ফিউচার লিডারশিপের সভাপতি মতিউর রহমান মতিন, সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান লাল্টু।




ফেঁসে যাচ্ছেন শীর্ষ এজেন্ট জামান-নুরুলসহ অনেকে

শামিম রেজা ওরফে শেখ বিজয়কে আটকের পর নতুন করে আবারও আলোচনায় অনলাইন জুয়া। শেখ বিজয়ের দেওয়া স্বীকারোক্তিতে আবার ফেঁসে যাচ্ছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকা জামান মাষ্টার, নরুল মাস্টারসহ ৬ শীর্ষ এজেন্ট। শেখ বিজয়ের আটকের পর পুলিশের এজাহার থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। গত ১১ আগষ্ট মুজিবনগর থানায় এস আই খালিদুর আশিক বাদি হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩০(২)/৩৫ ধারায় শেখ বিজয়সহ অজ্ঞাত ৬/৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। যার নম্বর-১০।

মামলার এজাহারে জানা গেছে, মোবাইল ব্যাংকিং সেবার কতিপয় অসাধু সেলস্ রিপ্রেজেন্টেটিভের জোগসাজোশে অনলাইন জুয়া ওয়ান এক্স বেট, গেস মেলবেট সাব- এজেন্টরা ভূয়া তথ্য দিয়ে বিভিন্ন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে ব্যবসায়ীক এজেন্ট সিম নিবন্ধন করে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি ব্যতিত অবৈধ ই-ট্রান্সজেকশন করছে।

মুজিবনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামের অনলাইন জুয়ার এজেন্ট শামীম রেজা ওরফে শেখ বিজয় তার তিনতলা বিল্ডিংয়ের উপরে অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে অবৈধভাবে সংগৃহিত বিকাশ এজেন্ট নাম্বার ০১৪০৩-৪১৮৯৬২ এর মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা অবৈধ ই-ট্রান্সজেকশন করছে এমন খবরের ভিত্তিতে পুলিশ সেখানে অভিযান পরিচালনা করে। সেখানে থেকে তিনটি এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন, অনলাইন জুয়ার এজেন্ট সীম উদ্ধারসহ শেখ বিজয়কে আটক করা হয়। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে শেখ বিজয় জানায়, সে একজন অনলাইন জুয়ার এজেন্ট। বিগত ২/৩ বছর যাবৎ সে অনলাইন জুয়ার এজেন্ট হিসেবে কাজ করিতেছে।

তার সহযোগী অনলাইন জুয়ার ব্যবসায়ীক পার্টনার হিসেবে রশিকপুর গ্রামের মোঃ তরিকুল ইসলাম (২৭) তার স্টেনলি মেইন বিকাশ নামের চ্যানেলটি বিগত ১ বছর আগে কোমরপুর গ্রামের জামান মাস্টার এর নিকট থেকে ৫৭ লাখ টাকায় ক্রয় করে।

শেখ বিজয়ের নিকট থেকে জব্দকৃত ফোনে ব্যবহৃত টেলিগ্রাম, স্কাইপি, ই-মেইল এবং ফোনের গ্যালারি পর্যালোচনা করে আসামীর অনলাইন জুয়ার চ্যানেলে বিভিন্ন সময়ে ক্রিপ্টোকারেন্সি ক্রয়ের তথ্য পাওয়া যায় এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি পরবর্তীতে ইউএসডিটি’র রুপান্তরের তথ্য পাওয়া যায়। এছাড়া আসামীর নিকট থেকে জব্দকৃত ভিভো ভি২৭ই মডেলের মোবাইল ফোনে ব্যবহৃত রেড্ডি এ্যান্সে এবং ক্রোম ব্রাউজারের তথ্য পর্যালোচনা কওে ওয়ান এক্স বেট, গেস মেইল বেট এর অর্থ পরিচালনাকারী ওয়েবসাইট এ প্রবেশের তথ্য পাওয়া যায় এবং মেলবেট এ ইউএস ডলার জমাদানের তথ্য পাওয়া যায়।

এজাহাওে আলো উল্লেখ আছে, আসামী শখ বিজয় কে আরও জিজ্ঞাসাবাদে সে পুলিশকে জানায় যে, মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার কোমরপুর গ্রামের জামান মাস্টার, গোপালপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম ওরফে লালন মাস্টার, কোমরপুরের মিঠু, সাহেবপুরের আরিফ, কোমরপুরের মুকুল, শিবপুরের লিপু গাজীসহ অনেকে অনলাইন জুয়া ওয়ান এক্স বেট গেস মেলবেটসহ রাশিয়া ভিত্তিক বিভিন্ন জুয়ার সাইটের এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে।

ফিরে দেখা

গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর মেহেরপুর প্রতিদিনে “ধরাছোঁয়ার বাইরে অনলাইন জুয়ার অন্যতম চার হোতা মুকুল-জামান-নুরুল-মাদার” শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছিলো। ওই প্রতিবেদনের পরে জামান, নুরুল, মুকুল বিভিন্ন মাধ্যমকে ম্যানেজ করে চলছিলো। পাঠকদের জন্য ওই প্রতিবেদনটি আবারো প্রকাশ করা হলো।

অনলাইন জুয়ার সংবাদ প্রকাশ ও পুলিশের অভিযান শুরু হওয়ার পর মেহেরপুর প্রতিদিনের সাথে যোগাযোগ করেন ক্ষতিগ্রস্থ এক অনলাইন জুয়ার এজেন্ট। তিনি মেহেরপুর প্রতিদিনকে দেওয়া ভিডিও সাক্ষাৎকারে দুর্লভ কিছু স্বীকারোক্তি দেন। স্বীকারোক্তিতে যাদের নাম জানান, তাদের নাম এখনো পর্যন্ত কোন সংবাদে কিংবা পুলিশের তালিকায় উঠে আসেনি। ওইসকল নামগুলো যাচাই বাছাইয়ে মেহেরপুর প্রতিদিনের অনুসন্ধান চলছে। অনলাইন জুয়ার এ সকল মাস্টারমাইণ্ডরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে দেদারছে বুকফুলিয়ে জুয়া চালিয়ে যাচ্ছেন।

তার স্বীকারোক্তী থেকে জানা গেছে, ২০২০ সালে করোনাকালীন সময়ে মূলত কয়েকজন অনলাইন জুয়ায় জড়িয়ে পড়েন। তারা হলেন- কোমরপুর গ্রামের মুকুল ইসলাম, নুরুজ্জামান ওরফে জামান মাস্টার, নুরুল ইসলাম ওরফে লালন মাস্টার, মাদার আলী ওরফে মাদার মাস্টার এদের অন্যতম। তাদের মাধ্যমে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে অনলাইন জুয়ার দূর্গ। তারাও হয়েছেন কোটিপতি। এদের রয়েছে প্রায় দু’ডজন এজেন্ট। যারা এই চারজনের চ্যানেল নিয়ে নিয়মিত অবৈধ ট্র্যানজেকশন করে চলেছেন।

চার হোতাদের মধ্যে নুরুজ্জামান ওরফে জামান মাস্টার ও নুরুল ইসলাম মাস্টার দুজনই মুজিবনগর আদর্শ মহিলা কলেজে শিক্ষকতা করেন। কিন্তু কলেজটি এখনো এমপিও ভুক্ত হয়নি। তারা দুজনই মুকুল ইসলামের মাধ্যমে অনলাইন জুয়ায় জড়িয়ে পড়েন। অপরদিকে, মাদার মাস্টার নিজেই এ অনলাইন জুয়ার হোতা হয়ে উঠেছেন।

নুরুজ্জামান মাস্টার ঢাকার একটি গার্মেন্টেসে চাকরি করতেন। চাকরি ছেড়ে তিনি নিজ গ্রামে চলে আসেন। কলেজ শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি নবাব ও মুকুলের মাধ্যমে অনলাইন জুয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এর পর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। কোমরপুর বাজারে ডাচ বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট নিয়ে ব্যাংকিং ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। মূলত অনলাইনের লেনদেনগুলো যেন তার ব্যাংকে থেকেই করতে পারেন। পাশাপাশি কেউ যেন সন্দেহ করতেও না পারেন তাকে। কোথায় থেকে এত টাকা মালিক হচ্ছেন। বছর তিনেক আগে মাটির ঘরে বসবাস করলেও বর্তমানে আলিশান বাড়ি তৈরি করেছেন। ব্যবহার করেন দামি মোটরসাইকেলও। কয়েক মাস আগে তাকে পুলিশ তুলে নিয়ে এসেছিলো। অজানা কারণে তাকে ছেড়েও দেওয়া হয়েছে।
তবে মাস খানেক আগে তার ব্যাংকে গিয়ে তার সাথে কথা বলে মেহেরপুর প্রতিদিনের একটি টিম। তিনি বলেন, জুয়া কি জিনিস আমি জানি না। কিভাবে বা কারা এসব খেলে তাও জানিনা। কিন্তু বিভিন্ন জন এই ব্যাংক দেওয়ার পর থেকে আমাকে জুয়ার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ তোলে। এর আগে পুলিশও আমাকে সন্দেহ করে উঠিয়ে নিয়ে গিয়েছিলো বলে তিনি স্বীকারও করেন।

নুরুল ইসলাম মাস্টার গরিব ঘরের সন্তান। তিনি মুজিবনগর আদর্শ কলেজের শিক্ষক। তিনিও জড়িয়ে পড়েন অনলাইন জুয়ায়। শুরু করেন লাইনবেট অনলাইন জুয়ার এজেন্ট হিসেবে। পরবর্তিতে তিনি কেদারগঞ্জ বাজারে সিটি ব্যাংকের এজেন্ট নিয়েছেন। তার পাশে মার্কেন্টাইল ব্যাংক নামের আরেকটি ব্যাংকের এজেন্ট নিয়েছেন। পরবর্তিতে আরো একটি ব্যাংকের এজেন্ট নেন। তিনি স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, কয়েকমাস আগে তিনি একই দাগে প্রায় কয়েক বিঘা জমি কিনেছেন প্রায় কোটি টাকা দিয়ে। দুই তলা বিশিষ্ট বাড়িও করেছের নিজ গ্রামে। আর এ সবকিছুর উৎস অনলাইন জুয়া।

মাদার আলী ওরফে মাদার মাস্টার। তিনি কোমরপুরের স্থায়ী বাসিন্দা হলেও সদর উপজেলার সাহেবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের লাইব্রেরিয়ান হিসেবে কর্মরত। অথচ কোটি টাকা খরচ করে ২তলা বিশিষ্ট রাজপ্রাসাদ বানিয়েছেন তিনি। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ১০ থেকে ১২টি লাইনবেট সাইটের এজেন্ট তিনি। তিনি নিজেও এই লেনদেনের সাথে জড়িত এবং তার ছেলে অনিক ঢাকা থেকে তার এসকল লেনদেন করে থাকেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ছেলে অনিক ঢাকার বাসা ভাড়া থেকে পুলিশের হাতে আটক হয়েছিলো।

এই তিনজনই স্থানীয় প্রভাবশালী এক নেতার সানিধ্য থেকে নিজেদের বড় রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে দাবী করেন। এমনকি সুযোগ পেলেই জনপ্রতিনিধিদের সাথে ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দিয়ে নিজেদের জানান দেন। অভিযোগ রয়েছে তাদের নাম যেন কোন সংবাদে না আসে কয়েকজনকে সাংবাদিককেও মাসোহারা দিয়ে থাকেন।

স্থানীয় কয়েকজন জানান, জামান মাস্টার ও নুরুল মাস্টারের অর্থনৈতিক অবস্থা হঠাৎ করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছের মত হয়ে যাওয়ার মত হয়েছে। এবং মাদার মাস্টারের অবস্থাও খুব বেশি ভালো ছিল না। কিন্তু হঠাৎ করে এই তিনজনের আলাদিনের চেরাগ পাওয়ার মত অবস্থা হয়ে গিয়েছে।

অপরজন, মুকুল ইসলাম। তিনি অনলাইন জুয়ার মূল হোতা। তিনি কোমরপুর গ্রামের ইজারুল ইসলামের ছেলে। তিনি লেখাপড়ার পাশাপাশি ইনকামের নেশায় মাহফুজুর রহমান নবাবের সাথে অনলাইন জুয়া খেলায় জড়িয়ে পড়েন। পরবর্তিতে তার মাধ্যমে অনলাইন জুয়ার এজেন্ট চ্যানেল দিয়ে পুরো এলাকা অনলাইন জুয়ায় ছাপিয়ে দেন। বিভিন্ন জনের কাছে থেকে বিভিন্ন অংকের টাকা নিয়ে তিনি লাইনবেটের এজেন্ট বিক্রি করেন। এবং একই সঙ্গে নিজেও জুয়া খেলেন। অভিযোগ রয়েছে বিভিন্ন জনের কাছে থেকে তিনি চ্যানেল বিক্রির নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন কিন্তু অনেককেই চ্যানেল দিতে পারেননি। তিনি নিজেও জুয়া খেলে চ্যানেল বিক্রির টাকা নস্ট করে সর্বশান্ত হয়েছেন। অন্যান্যরা কোটিপতি হলেও তিনি জুয়ায় হেরে ধীরে ধীরে নি:স্ব হচ্ছেন বলেও খবর পাওয়া গেছে।




দর্শনায় বিএনপি নেতা নাহারুল মাষ্টার গ্রেফতার

দর্শনায় বিএনপি নেতা নাহারুল ইসলাম ওরফে নাহারুল মাষ্টার(৪৬) কে গ্রেফতার করেছে দর্শনা থানা পুলিশ।

আজ শনিবার দুপুর ২ টার দিকে দর্শনা পুরাতন বাজার মোড় থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দল (বিএনপি) দর্শনা পৌর শাখার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌর এলাকার পরানপুর গ্রামের মৃত শামছুদ্দিনের ছেলে।

দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ ইন্সপেক্টর (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা জানান, পুরাতন নাশকতা মামলায় দর্শনা পরানপুর গ্রামের নাহারুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতকে গতকার শনিবার বিকালে চুয়াডাঙ্গা কোর্ট হাজতে প্রেরন করেছে পুলিশ।




দর্শনায় ফেনসিডিল সহ জীবননগরের ইকবাল গ্রেফতার

দর্শনায় মাদক বিরোধী অভিযানে ইকবাল হোসেন (৩৮) নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সকালের দিকে দর্শনা-হিজলগাড়ি সড়কের দর্শনা দক্ষিণ চাঁদপুর গ্রামের হল্ট স্টেশন বাজার সংলগ্ন স্থান থেকে তাকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার সদরপাড়ার (পশ্চিমপাড়া) বাবলু রহমান খোকনের ছেলে।
পুলিশ জানায়, আজ শনিবার বেলা পৌনে ১২ টার দিকে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ ইন্সপেক্টর (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহার নেতৃত্বে থানার এসআই শামিম রেজা সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করেন দর্শনা পৌর এলাকার দক্ষিন চাঁদপুর গ্রামে।

এসময় গ্রামের দর্শনা-হিজলগাড়ি আঞ্চলিক সড়কের রাজুর হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট হোটেলের সামনের পাকা রাস্তার উপর হতে আমদানী নিষিদ্ধ ভারতীয় ১৫ বোতল ফেনসিডিল সহ ইকবাল হোসেন (৩৮) নামের এক মাদক ব্যবাসায়ীকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।




মেহেরপুরের বারাদী সবজী হাটে বৃষ্টি হলেই হাটু পানি

মেহেরপুরের বারাদী সবজী হাটে বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টির ফলে ক্রেতা-বিক্রেতাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। হাটে পানি নিষ্কাষনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা থাকলেও পানি সরবরাহের ড্রেনের মুখটি বন্ধ থাকায় এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, মাস খানিক আগে থেকে বিএডিসি বারাদী খামারে চার হাজার মেট্রিক টন একটি সার গুদামের নিমার্ণ কাজ চলছে। এই গুদামের কাজ চলার কারনে যে ড্রেনটি আছে তার পানি নিষ্কাশনের মুখ আটকে যাওয়ায় এ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

আজ শনিবার ছিল বারাদী হাট। এদিন দুপুরে বৃষ্টির ফলে বাজারের অলিগলিসহ কয়েকটি প্রবেশ রাস্তা পানিতে ডুবে যায়। ফলে হাটে বেচাকেনা করতে আসা হাজারো মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

জনগুরুত্বপূর্ণ এই বাজারটিতে এ রকম জলাবদ্ধতার কারণে মানুষের বাজার করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেওয়া হলে বাজারে আগত ক্রেতা ও বিক্রেতাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হবে।

আজ দুপুর ৩ টার দিকে সামান্য সময়ের বৃষ্টিতে হাঁটু সমান জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। পানির মধ্যে কষ্ট করেই প্রয়োজনীয় কেনাকাটা সারতে হয় ক্রেতাদের। অত্র অঞ্চলের অন্যতম বৃহত্তম বারাদী হাট বর্তমানে একটু বৃষ্টিতেই মাছ,মাংস, সবজি হাটসহ বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে।

হাটের কাঁচামাল ব্যবসায়ী খেদের আলী বলেন, সামান্য বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় এই গলির পথ। ফলে এদিকে ক্রেতা ঠিকমত না আসায় কেনাবেচা কম হচ্ছে। কাঁচামাল বিক্রি করতে না পারলে পঁচে গেলে লস গুনতে হবে।

হাটে ঘুরে দেখা গেছে,মাছবাজার, আশপাশের নানা জায়গায় এক ঘন্টার বৃষ্টিতেই হাঁটু পানি জমে যায়।

একজন সবজি ব্যবসায়ী জানায়, এই আয় দিয়েই চলে আমার সংসার। কিন্তু আজ শনিবার প্রবেশ রাস্তায় হাঁটু পানি থাকায় কোনো ক্রেতাই আসেনি। আমরা নিয়মিত খাজনা দিই, তারপরেও কেন এমন ভোগান্তি। বারাদী হাটের ইজারাদার রফিকুল মিয়া ও বারাদী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোমিনুল ইসলাম মোমিন, জানায় দ্রুত সমস্যা সমাধানে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। আগামী বুধবার হাটের আগেই এই পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।