আলমডাঙ্গার ১১ টি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে মিলবে সুপেয় পানি

আলমডাঙ্গা উপজেলার ১১ টি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে সুপেয় পানির ফিল্টার বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ এ পানির ফিল্টার বিতরণ করেন। এমন উদ্যোগে আনন্দিত বিভিন্ন ইউনিয়নের ভূমি কর্মকর্তা ও সহকারীরা।

জানা গেছে, সবার জন্য নিরাপদ ও সুপেয় খাবার পানি নিশ্চিত করার লক্ষে উপজেলা সহকারী কমিশার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদের উদ্যোগে উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ওয়াটার ফিল্টার স্থাপন করা হয়। এতে বিভিন্ন ইউনিয়নে ভূমি সুবিধা নিতে সাধারণ মানুষ সুপেয় পানির তৃষ্না মিটবে সহজেই। এ সকল ওয়াটার ফিল্টার থেকে শতভাগ পানিই নিরাপদ। পানি পান করার জন্য রাখা হয়েছে অনটাইম গ্লাস।

কালিদাসপুর ভূমি অফিসে সেবা নিতে আসা আজিবর রহমান বলেন, ‘এখানে খাবার পানির ব্যবস্থা করায় অনেক সুবিধা হয়েছে।’
আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক শেখ শফিউজ্জামান বলেন, ‘সামাজিক উন্নয়নের চিত্র এমন কাজেই বহিঃপ্রকাশ পাই। ভূমি সেবার পাশাপাশি সুপেয় পানির সরবরাহ সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।’

উপজেলা সরকারি কমিশনার ভূমি রেজওয়ানা নাহিদ বলেন, ‘জনস্বার্থে নিরাপদ খাবার পানি পান নিশ্চিত করতে উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ওয়াটার ফিল্টার চালু করা হয়েছে।’




আলমডাঙ্গার বিভিন্ন ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দের সাথে চেয়ারম্যানের মতবিনিময়

আলমডাঙ্গা উপজেলার জামজামি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের সাথে বিভিন্ন ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  সোমবার বিকেল সাড়ে ৪ টায় ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মতবিনিময় সভায় চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে দলের জন্য কাজ করতে হবে। আমাদদের নিজেদের মধ্যে কোন ভুল বোঝাবুঝি থাকলে তা নিরসন করে সবাই এক সাথে কাজ করার মানসিকতা তৈরী করতে হবে। আগামী দিন আবারও নৌকাকে বিজয়ী করে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে হবে।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন জামজামি ইউনিয়ন , আওয়ামীলীগ নেতা রিপন শাহ, ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আলি আকবার কয়েল ও সাধারণ সম্পাদক ইছাহক আলি, ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক রইচ মোল্লা, ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ইজাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান, ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি হামেদ আলি, ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান, ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মাসুদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল হক, ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আরোজ আলি ও সাধারণ সম্পাদক নুর ইসলাম, ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি লাল্টু রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমান প্রমুখ।




কুষ্টিয়ায় দুই বেকারিকে ৩০হাজার টাকা জরিমানা

কুষ্টিয়ার মানুষ বেশ ভোজনরসিক। এছাড়াও জনপ্রিয় বেকারির তৈরি নানান খাবার সমুহ। প্রায় প্রতিটি দোকানে পাওয়া যায় কেক, হরেকরকমের বিস্কুট, চানাচুর, পাউরুটি, বাটারবন, মিষ্টি, সন্দেশ ইত্যাদি। এসব পণ্য জনপ্রিয় হলেও এর মান নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন।
অভিযোগ রয়েছে, এসব বিভিন্ন বেকারির কারখানায় এসব খাবার তৈরি হয় অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে। বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়াও এগুলো বাজারজাত করা হয়। সরেজমিন বেকারির কারখানাগুলোতে দেখা গেছে, অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশ। প্রতিটি কারখানার ভেতরে স্যাঁতসেঁতে। নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে বিস্কুট, চানাচুর, পাউরুটি, বাটারবন, মিষ্টি, সন্দেশসহ বিভিন্ন বেকারির পণ্য।

কারখানার ভেতরে যেখানে তৈরি করা খাবার রাখা আছে, সেখানেই ময়দা ও আটার গোডাউন। পাশে রাখা আছে জ্বালানির কাঠও। সঙ্গে রয়েছে মানবদেহের ক্ষতিকারক কেমিক্যাল এবং পামওয়েল তেলের ড্রাম। এর পাশেই ছড়ানো ছিটানো আছে নানা প্রকার তৈরি সব খাদ্যপণ্য।

 জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কুষ্টিয়ার সহকারী পরিচালক সুচন্দন মন্ডল অভিযান চালিয়ে দুইটি প্রতিষ্ঠানকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে। এসব খাদ্যদ্রব্য তৈরির জন্য আটা-ময়দা প্রক্রিয়াজাত করানো কড়াইগুলোও নোংরা। যেসব কর্মচারী এসব পণ্য তৈরি করছেন, তাঁদের শরীর থেকে ঝরছে ঘাম।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জগতি এলাকায় বাজার তদারকি করা হয়। এসময় জগতি ৩ নং কলোনি এলাকায় গিয়ে দেখা যায় সেখানে সুমনা বেকারি এবং আইমান বেকারিতে নোংরা এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রাসায়নিক রঙ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল সল্ট এবং সাল্টু মিশিয়ে খাদ্যপণ্য তৈরি করা হচ্ছে। যা মানব স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৪২ ধারা মোতাবেক সুমনা বেকারিকে ২০০০০/- এবং আইমান বেকারিকে ১০০০০/- জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।

সদর উপজেলার জগতি বাজারের ৩ নং কলোনি এলাকায় গিয়ে দেখা যায় সেখানে সুমনা বেকারি এবং আইমান বেকারিতে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যপণ্য তৈরি করছে। রাসায়নিক রঙ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল সল্ট এবং সাল্টু মিশিয়ে খাদ্যপণ্য তৈরি করা হচ্ছে। যা মানব স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৪২ ধারা মোতাবেক সুমনা বেকারিকে ২০হাজার টাকা এবং আইমান বেকারিকে ১০ হাজার জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়। সার্বিক সহযোগিতা করেন জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর জনাব মোঃ আরাফাত আলী। ভেজাল খাবার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তারপরও জনস্বার্থে এ অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই দুই বেকারির খাবার খেয়ে অনেক মানুষ আমাশয়সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। বিভিন্ন খাদ্যের সঙ্গে কীটপতঙ্গ থাকতে দেখা গেছে। আইন না মেনে শিশুদের দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে বিভিন্ন বেকারির খাবার। কোনো খাদ্যের প্যাকেটে মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ ও বিএসটিআই অনুমোদিত স্টিকার নেই।

স্থানীয় চা দোকানীরা বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। ফুটপাথে চা-পান বিক্রি করে কোনোমতে সংসার চালাই। বেকারির তৈরি এসব খাবার উৎপাদনের তারিখ দেখার সময় নাই। আর ক্রেতারা তো আর এসব জিজ্ঞেস করে না।’




দামুড়হুদায় সংবাদ প্রকাশের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি; দুই কথিত সাংবাদিক আটক

দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা গার্লস স্কুল রোডে ভূমিহীন পাড়ার জিয়ার ছেলে মামুনের ফার্মেসীতে সংবাদ প্রকাশের ভয় দেখিয়ে বুম হাতে করে চ্যানেল ২৪ ও আমরাই বাংলাদেশ পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ১৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে কথিত সাংবাদিক চুয়াডাঙ্গা গুলশান পাড়ার আশাদুল হকের ছেলে ওয়াশিকুর রহমান ও কোর্ট পাড়ার পিরু বক্সের ছেলে নান্টু।

এসময় মামুন বলে কেন টাকা দিবো এমন কথা কাটাকাটির পর্যায়ে স্থানীয় অনেকে জড়ো হয়। এসময় স্থানীয়দের রোষানলে পড়ে তারা। তাদের ১ ঘন্টা আটকে রেখে কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেই স্থানীয়রা। পরে তাদের কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ক্যাম্পে নিয়ে যায় ও দুপক্ষের বক্তব্য শুনে তাদের সতর্ক করে ছেড়ে দেয়।

স্থানীয়রা জানান এ দুজন প্রায় সময় কার্পাসডাঙ্গা এলাকায় আসে ও বিভিন্ন পুকুর,বেকারী,বালু ব্যাবসায়ীর কাছে টাকা চাঁদা দাবী করে। এতে করে প্রকৃত সাংবাদিকদের চরম সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে। এসব কথিত সাংবাদিক পরিচয় চাঁদাবাজ দের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক কঠোর আইনগত ব্যাবস্থা নিতে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী সহ সচেতন মহল।




আলমডাঙ্গা প্রেমিক জুটি আটক

প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে পালানোর সময় প্রেমিক জুটিকে আটক করেছে এলাকাবাসী । আজ সোমবার বিকেল ৩ টার দিকে আলমডাঙ্গার খাসকররা ইউনিয়নের নন্দপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। অবশেষে ওই গৃহবধূর স্বামী রিপনের বড় ভাই মিল্টনের নিকট প্রেমিক জুটিকে জিম্মায় দেয় স্থানীয়রা। ঘটনাটি এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়লে চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার খাসকররা ইউনিয়নের সৌদি প্রবাসী রিপনের স্ত্রীর সাথে পার্শবর্তী আইলহাঁস ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামের ফকির মোহাম্মদের ছেলে সেলিম ওই গৃহবধূর সাথে পরকীয়া প্রেমসম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রবাসী রিপনের বাড়ির সামনেই খোকনের ফার্নিচার কারখানায় কাজ করতো সেলিম।

ওই কারখানায় কাজের সূত্রেই তাদের দুজনের প্রেম সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এবিষয় গত ৫ মাসপূর্বে স্থানীয়দের মাঝে জানাজানি হয়। আজ সোমবার বিকেলে প্রেমিক জুটি পালানোর চেষ্টা করে। ঘটনার সময় দুজনই খাসকররা নন্দপুর মোড়ে পৌঁছালে স্থানীয়রা তাদের আটক করে। পরে প্রবাসী রিপনের বড় ভাই মিল্টন দুজনকে তার জিম্মায় নেয়। ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।




আলমডাঙ্গায় অধিকারী মিষ্টান্ন ভান্ডারে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

বিভিন্ন অভিযোগে আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার অধিকারী মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জেলা ভোক্তা অধিদফতর। এ ছাড়া নোংরা পাত্রে মিষ্টি রাখা ও কারখানায় অপরিচ্ছন্নতার অভিযোগে ৭ দিন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত ।

সোমবার দুপুরে শহরের চারতলা মোড়ে এ অভিযান পরিচালনা করেন জেলা ভোক্তা অধিদফতরের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানান, পৌর শহরের চারতলা মোড়ে অধিকার মিষ্টিন্ন ভান্ডারের কারখানায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অস্বাস্থ্যকর নোংরা ও দুর্গন্ধযুক্ত পরিবেশে দই মিষ্টি ও খাবার তৈরি করে। কারখানার মধ্যে নোংরা টয়লেট ও কর্মচারীদের হাত ধোঁয়ার কোন সুব্যবস্থা নেই। এছাড়াও বাসি রস মিষ্টিতে মরা মাছি পড়ে ছিলো। দই তৈরির পাতিলে ৫/৬ শত গ্রাম ওজনে গ্রাহক ঠকানোর অভিযোগ ওঠে। নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পাত্রে মিষ্টি রাখায় অধিকারী মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিক হারান অধিকারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় পোকামাকড় মিশ্রিত বাসি রস-মিষ্টি ফেলে নষ্ট করা হয় এবং প্রতিষ্ঠানের কারখানাটি পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ও পরিবেশ উন্নয়নের জন্য ০৭টি বন্ধের নির্দেশ দেয় ভোক্তা অধিদফতর।




মেহেরপুর জেলা হরিজন সম্প্রদায়ের কমিটি গঠন

বাংলাদেশ হরিজন মানব অধিকার ফাউন্ডেশন মেহেরপুর জেলার হরিজন সম্প্রদায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সোমবার সন্ধ্যার সময় মেহেরপুর পৌর কমিউনিটি সেন্টারে মেহেরপুর জেলার হরিজন সম্প্রদায়ের কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানের সভাপতি বিপ্লব বাশফোড়ের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র শাহিনুর রহমান রিটন।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হরিজন মানবাধিকার ফাউন্ডেশন চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি শ্রী দয়াল সদ্দার, মেহেরপুর পৌরসভা ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সদর থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, মনোরঞ্জন মজুমদার, আশিক কুমার সিংহ, মিঠু বাশফোড়, পার্থ বাশফোড় সহ মেহেরপুর জেলার হরিজন সম্প্রদায়ের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।




গাংনীতে মাঠের পানি নিস্কাশনে সুফল দেবে মুন্দা খালে নির্মিত বক্স কালভার্ট

আশে পাশের কয়েকটি গ্রামের মাঠের পানি নিস্কাশনের দুঃখ ঘোচাবে গাংনী উপজেলার মুন্দা খালের উপর নির্মিত বক্স কালভার্টটি। বক্র কালভার্টটি নির্মিত হলে সুফল বয়ে আনবে এলাকার মানুষের।

এদিকে কাজের গুনগত মান ভাল দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন, বিএডিসির দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী প্রকৌশলী শাহরিয়ার আহাম্মেদ।
বিএডিসির উপ সহকারী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম বলেন, সিডিউল মোতাবেক সঠিক ভাবে কাজ করিয়ে নিতে সার্বক্ষনিক তদারকি করা হয়।

জানা গেছে, মুজিবনগর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতাধীন প্রায় ২২ লাখ টাকা ব্যয়ে মুন্দা খালের উপর বক্স কালভার্টটি নির্মান করছেন মের্সাস বিশ্বাস ট্রেডিং ঠিকাদার মোঃ মামুন রশিদ।

সরেজমিন পরিদর্শনে জানা গেছে, মুন্দা গ্রামের পশ্চিম পাশ দিয়ে মাঠ থেকে খালটি প্রবেশ করে সেউটিয়া খালে গিয়ে মিশেছে। যা এই মাঠের পানি নিষ্কাসনের জন্য অতীব প্রয়োজনী একটি খাল। বামন্দীর দিক থেকে মুন্দা গ্রামের প্রবেশের কাছাকাছি এই খালের উপরে নির্মান হচ্ছে একটি বক্স কালভার্ট।

ইতোমধ্যে কালভার্টের ঢালাই কাজ শেষ হয়েছে। উপস্থিত ছিলেন বিএডিসি ক্ষুদ্র সেচের গাংনী অফিসের উপ সহকারি প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম ও মেহেরপুর বিএডিসির সহকারী প্রকৌশলী মোঃ শাহরিয়ার আহাম্মদ। ঢালাইয়ে কাজে ব্যবহার করা হয়েছে সিডিউল অনুযায়ী রড সিমেন্টসহ অন্যান্য উপকরণ।

কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএডিসি ক্ষুদ্র সেচের গাংনী অফিসের উপ সহকারি প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম ও মেহেরপুর বিএডিসির সহকারী প্রকৌশলী মোঃ শাহরিয়ার আহাম্মদ বলেন, সিডিউল মোতাবেক কাজ করা হচ্ছে। তবে তিনি বলেন, আগে যে মালামাল গুলো এসেছিলো সেগুলোর মধ্যে কিছু নিম্নমানের উপকরণ থাকায় সেগুলো ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুনরায় মালের গুনগত মান বিবেচনা করে নতুন করে কাজ শুরু করা হয়েছে। সিডিউল মত সঠিক ভাবে কাজ করা হচ্ছে।




মেহেরপুর জেলা রোভারের ডে ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ স্কাউটস মেহেরপুর জেলা রোভার উদ্যোগে ডে ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রবিবার দুপুরে মেহেরপুর সরকারি কলেজ শিক্ষক মিলনায়তনে রোভার স্কাউটস সদস্যদের অংশগ্রহণের মধ্যে দিয়ে দিনব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

রোভার পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জেলা রোভারের কমিশনার ও মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর রফিকুল ইসলাম।

জেলা রোভারের কোষাধ্যক্ষ রফিকুল আলম বকুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক সহযোগি অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল আমিন ধুমকেতু, মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাসানুজ্জামান ডাবলু, রোভার লিডার প্রতিনিধি ও সাবেক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, সহকারী কমিশনার জাহির হোসেন চঞ্চল প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা রোভারের সম্পাদক ফররুখ আহমদ উজ্জ্বল।

অনুষ্ঠানে রোভার লিডার মনোয়ার হোসেনসহ বিভিন্ন ইউনিটের আরএসএল, সিনিয়র রোভার মেট বাদশা খান, খুলনা বিভাগীয় সিনিয়র রোভার মেট প্রতিনিধি সাব্বির হোসেন জয় ,রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র রোভার মেট ইন্দ্রজিত চন্দ্র, সিনিয়র রোভার মেট অনিক হাসান ও সিনিয়র রোভার মেট নাফিউল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের রোভার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। জেলা রোভারের সম্পাদক ফররুখ আহমদ উজ্জ্বল রোভার সদস্যদের করণীয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রফেসর রফিকুল ইসলাম রোভার সদস্যদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন দিক নির্দেশনামুলক ও তাদের উজ্জীবিত করতে বক্তব্য রাখেন। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে রোভার সদস্যদের যোগ্য ও স্মাট হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার আহবান জানান।

তিনি বলেন, তোমরা এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য হিসেবে দেশ গড়ার কাজে নিবেদিত প্রাণ কর্মী হিসেবে কাজ করবে এবং মানুষের সেবায় আত্মনিয়োগ করবে। একজন আদর্শ নাগরিক হিসেবে তোমাদের দায়িত্ব নিয়ে দেশের কল্যাণে কাজ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে শেষে প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে ভাষা উপস্থাপনায় সারাদেশের মধ্যে দ্বিতীয় হওয়ায় সিনিয়র রোভার মেট বাদশা খান কে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। এছাড়া ১২ জন জেলা রোভারের কর্মকর্তা ও ৩৮ জন রোভার সদস্যকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।




কোটচাঁদপুর জনসচেতনতা মূলক আলোচনা সভা

নকল ভেজাল ঔষধ সংক্রান্ত জনসচেতনতা মূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার কোটচাঁদপুর মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে এ সভা করা হয়।

কোটচাঁদপুর উপজেলার কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিষ্টস সমিতির সভাপতি সোহরাব হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহের ঔষধ তত্বাবধায়ক সিরাজুম মনিরা।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিষ্টের কেন্দ্রীয় পরিচালক আক্তারুজ্জামান আক্তার,সংগঠনের ঝিনাইদহ জেলার সভাপতি রফিকুল ইসলাম সোম,ঝিনাইদহের সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তাকিবুর রহমান ঝন্টু,সমিতির কোটচাঁদপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক মালিক তবিবুর রহমান।

সভায় নকল ভেজাল ঔষধ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি। সভায় উপজেলার দুই শতাধিক কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিষ্ট সমিতির সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

সভা শেষে মহ্নাহ ভোজে যোগ দেন সবায়। সার্বিক অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন, কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিষ্ট সমিতির সহসভাপতি হাসানুজ্জামান ডাবলু।