বিভিন্ন জেলায় নিয়োগ দেবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স

জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। প্রতিষ্ঠানটিতে কাস্টমার সার্ভিস অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

পদসংখ্যা

৫০

পদের নাম

কাস্টমার সার্ভিস এসিস্টেন্ট (লোডার)।

শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা

প্রার্থীকে এসএসসি পাস হতে হবে। বয়স ১৮ থেকে ২৪ বছর। বয়সঃ সর্বনিম্ন ১৮ বছর, সর্বোচ্চ ২৪ বছর। উচ্চতাঃ সর্বনিম্ন ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি। শারীরিকভাবে সুঠাম দেহের অধিকারী। প্রার্থীর দৃষ্টিশক্তি ৬/৬ হতে হবে। চশমা গ্রহণযোগ্য নয়। প্রার্থীদের অবশ্যই জাতীয় পরিচয় পত্র থাকতে হবে। এয়ারপোর্টের কাছাকাছি ৫ কিলোমিটারের মধ্যে থাকার ব্যবস্থা থাকতে হবে। যেকোনো প্রতিষ্ঠানে লোডার হিসেবে অভিজ্ঞ প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

কর্মস্থল

কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ঢাকা, নীলফামারী, বরিশাল, যশোর, রাজশাহী, সিলেট।

বেতন

জয়েনিং : ১৪,৫০০-১৬,০০০/- প্রতি মাস।

কোম্পানির সুযোগ সুবিধাদি

প্রভিডেন্ট ফান্ড, মেডিকেল ইন্স্যুরেন্স, সাপ্তাহিক দুইদিন ছুটি। ডিউটি শিডিউল অনুযায়ী সকালের নাস্তা/দুপুরের খাবার/রাতের খাবার প্রদান করা হবে। যেখানে খাবার দেওয়া হবে না সেখানে ১,৫০০/- টাকা করে প্রদান করা হবে খাবার ভাতা বাবদ। উৎসব ভাতাঃ প্রবেশন পিরিয়ড শেষে বাৎসরিক দুইটি উৎসব ভাতা প্রদান করা হবে। এছাড়া কোম্পানির নিয়ম অনুযায়ী অন্যান্য সুবিধা প্রদান করা হবে।

আবেদন প্রক্রিয়া

আগ্রহী প্রার্থীরা বিডিজবস অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ তারিখ

৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ।

সূত্র : বিডিজবস




শুরু হচ্ছে ‘মিস এভারগ্রিন বাংলাদেশ’

খুব শিগগিরই শুরু হতে চলেছে ‘মিস এভারগ্রিন বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতা। এরই মধ্যে নিবন্ধন প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে তরুণীরা এতে অংশ নিতে পারবেন।

সংবাদ মাধ্যম অনুযায়ী, প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হতে হবে ১৮ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে এবং অবিবাহিত। উচ্চতা কমপক্ষে ৫ ফুট ২ ইঞ্চি। শিক্ষাগত যোগ্যতা কমপক্ষে উচ্চ মাধ্যমিক কিংবা ও-লেভেল পাস। আবেদনের শেষ তারিখ ৩১ আগস্ট।

নিবন্ধন করা যাবে বিনা মূল্যে। বিস্তারিত জানা ও আবেদনপত্র পাওয়া যাবে ফেইসবুক লিংকে। প্রতিযোগিতার মূল উদ্যোক্তা ও ফ্যাশন ডিজাইনার মেসবাহ্-উল-আলম সাজু বলেন, এর আগে দেশে নানা ধরনের সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ হয়েছে। তবে আমরা সেসব ধারার বাইরে কিছু করার চিন্তা করছি।

সে লক্ষেই এ প্রতিযোগিতার আয়োজন। আশা করি এর মাধ্যমে নতুন কিছু মেধাবী মুখ অন্বেষণ করতে পারব, যারা দেশ-বিদেশে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন।

সূত্র: ইত্তেফাক




মুজিবনগরে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ-২০২৩ উদযাপন

মুজিবনগর বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উদযাপন করা হয়েছে। গতকাল রবিবার দুপুরে মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হল রুম গুড নেইবারস বাংলাদেশ ও মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সম্মেলিতভাবে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উপলক্ষে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করে।

আলোচনা সভায় গুড নেইবারস বাংলাদেশ মেহেরপুর সিডিপি ম্যানেজার বিভব দেওয়ানের সভাপতিত্বে, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: তৌফিক আহমেদ।

গুডনেইবারর্স এর হেলথ অফিসার আহসানুল হক এর সঞ্চালনায় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা: আহসান হাবিব, ডা: মেহেদী হাসান।

সভায় বক্তারা বলেন,কর্মজীবি মা’দের জন্য কর্মস্থলে মাতৃদুগ্ধ কর্নার খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এবং মাতৃদুগ্ধ শুধু শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য না, বরং মা ও পরিবেশের জন্যও উপকারি।

এছাড়া বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উদযাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অত্র হসপিটালের সকল বিভাগের চিকিৎসকবৃন্দ এবং কমিউনিটি হেল্প ওয়ার্কার, নার্স, মিডওয়াইফ নার্স ও হাসপাতালের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।




আমি বাজের মতই এক ক্রুদ্ধ গর্জন শুনেছিলাম—গো অন, চার্জ

‘রাত ১০টা থেকেই গোলাগুলি শুরু হয়ে গেল। দূর থেকে তখন গুলির শব্দ ভেসে আসছিল। দেখলাম প্রতিটি শব্দ-তরঙ্গের সাথে সাথে শেখ সাহেব সমস্ত ঘরটার মাঝে পাইচারী করছিলেন। অস্ফুটভাবে তিনি (বঙ্গবন্ধু) বলছিলেন- এভাবে বাঙালীকে মারা যাবে না। বাংলা মরবে না। রাত ১২টার পর থেকেই গুলির শব্দ এগিয়ে এলো। ছেলেমেয়েদের জানালা বন্ধ করতে যেয়ে দেখতে পেলাম পাশের বাড়ীতে সৈন্যরা ঢুকে পগেছে। স্পস্ট মনে আছে এ সময় আমি বাজের মতই এক ক্রুদ্ধ গর্জন শুনেছিলাম— গো অন, চার্জ —।’

 

১৯৭২ সালের ২৬শে মার্চ দৈনিক বাংলায় এক স্মৃতিচারণমূলক সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব এ কথা বলেন। সাক্ষাৎকারে সে রাতের অনেক কথাই উঠে এসেছে। এসব কথা ইতিহাসের বস্তুনিষ্ঠ তথ্য। নতুন প্রজন্ম এ থেকে জানতে পারবে ৩২ নম্বরে সে রাতে কি ঘটেছিল। দৈনিক বাংলা সাক্ষাৎকারটির শিরোনাম দিয়েছিল ‘প্রথম থেকেই ইয়াহিয়া পশুটাকে আমি বিশ্বাস করতাম না: বেগম মুজিব’। সাক্ষাৎকারটি হুবহু তুলে ধরা হলো:

“গত বছরের এই দিনের স্মৃতিচারণ করতে গেলে প্রথমেই আমার মন কেঁদে ওঠে। সেই ভয়াল ২৫শে মার্চের কালো রাত থেকে ১৬ই ডিসেম্বর পযর্ন্ত এ দেশের পরিজন-হারা লাখো লাখো পরিবারের কথা ভেবে অশান্ত হয়ে ওঠে মন। তাই পৃথক করে হিংস্র ঐ রাতের কোন কথা বলতে বা ভাবতে আমার মন সায় দেয় না। বললেন শেখ ফজিলতুন্নেসা মুজিব। কথা বলছিলাম ৩২ নং রোডের সেই। একটা বছর আগের একরাশ স্মৃতির ছায়ায় বসে বেগম মুজিব বলছিলেন অবিস্মরণীয় সেই ২৫শে মার্চের রাত ও তারও আগেকার দিনগুলোর কথা।

অসহযোগ আন্দোলনের সেই অনন্য দিনগুলো। ধনী-দরিদ্র শিক্ষিত- অশিক্ষিত বাংলার মানুষ এক হয়ে গেছে। ঠিক এমনি মুহুর্তে আলোচনার প্রস্তাব নিয়ে ইয়াহিয়া ঢাকা বাংলায় এলো। প্রথম থেকেই পাকিস্তানী নৃশংস এই পশুটাকে আমি বিশ্বাস করতে পারতাম না। আলোচনা বৈঠকের প্রথম থেকেই এক অশুভ কালো ছায়াকে আমি যেনো দেখতে পেয়েছিলাম সেদিনের জাগ্রত বাংলার অঙ্গনে। শেখ সাহেবকেও আমি বলেছিলাম যারা তাঁকে আগরতলা মামলায় জড়িয়েছে, তারা ভালোভাবেই জানে যে শেখ সাহেব বাংলাদেশ আর বাঙালীদের চিন্তা-ভাবনাই করেন- পাকিস্তান প্রশ্নে তার আগ্রই নেই। পাকিস্তানের ক্ষমতা তারা শেখ সাহেবকে দেবে না। কাজেই আলোচনা আরম্ভ করে তারা অন্য কোন নতুন কৌশল বের করার সুযোগ খুঁজছে মাত্র। আমার কথা শেখ সাহেব শুনলেন। মুখে কিছুই বললেন না। তিনি দলীয় নেতাদের বৈঠক ছাড়া বাইরে তেমন কিছু বলতেন না তখন।

গত বছর ২৫শে মার্চের সকাল থেকে বাড়ির অবস্থা ভার ভার লাগছিল। দুপুর তখন প্রায় সাড়ে বারোটা। আমাদের বাসার সামনে দিয়ে সৈন্য বোঝাই দুটো ট্রাক চলে গেল। দোতলা থেকেই ট্রাকগুলো দেখে আমি নীচে নেমে এলাম। শেখ সাহেব তখনো আগত লোকদের সাথে কথাবার্তায় ব্যস্ত। তাঁকে ভেতরে ডেকে মিলিটারি বোঝাই গাড়ী সম্বন্ধে বলতেই দেখলাম পলকের তরে মুখটা খুব গম্ভীর হয়ে গেল। পরক্ষণেই তিনি বেরিয়ে গেলেন। সমস্ত দিনটা কেটে গেল থমথমে ভাবে। এলো রাত। সেই অশুভ রাত। রাত সাড়ে আটটায় তিনি সাংবাদিকদের বিদায় দিলেন। আওয়ামী লীগ সহকর্মীদেরও কিছু কিছু নির্দেশ দিয়ে দ্রুত বিদায় দিলেন।

রাত প্রায় ১০টার কাছাকাছি। বাগান থেকে এক ভদ্রলোক এসে শেখ সাহেবের সামনে একেবারে আছড়ে পড়লেন। তার মুখে শুধু এক কথা-আপনি পালান। বঙ্গবন্ধু পালান। ভেতর থেকে তার কথা শুনে শঙ্কিত হয়ে উঠলো আমারও মন। বড় মেয়েকে তার ছোট বোনটাসহ তার স্বামীর বাড়িতে পাঠিয়ে দিলাম। যাবার মুহুর্তে কি ভেবে যেনো ছোট মেয়েটা আমাকে আর তার আব্বাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদলো। শেখ সাহেব তার মাথায় হাত বুলিয়ে শুধু বললেন-বিপদে কাঁদতে নেই মা।

তখন চারিদিকে সৈন্যরা নেমে পড়েছে। ট্যাঙ্ক বের করেছে পথে। তখন অনেকেই ছুটে এসেছিল ৩২ নং রোডের এই বাড়ীতে। বলছিল-বঙ্গবন্ধু আপনি সরে যান। উত্তরে দৃঢ়ভাবে মাথা নেড়েছিলেন তিনি-না কোথাও আমি যাব না।

রাত ১০টা থেকেই গোলাগুলি শুরু হয়ে গেল। দূর থেকে তখন গুলির শব্দ ভেসে আসছিল। দেখলাম প্রতিটি শব্দ-তরঙ্গের সাথে সাথে শেখ সাহেব সমস্ত ঘরটার মাঝে পাইচারী করছিলেন। অস্ফুটভাবে তিনি বলছিলেন- এভাবে বাঙালীকে মারা যাবে না। বাংলা মরবে না। রাত ১২টার পর থেকেই গুলির শব্দ এগিয়ে এলো। ছেলেমেয়েদের জানালা বন্ধ করতে যেয়ে দেখতে পেলাম পাশের বাড়ীতে সৈন্যরা ঢুকে পগেছে। স্পস্ট মনে আছে এ সময় আমি বাজের মতই এক ক্রুদ্ধ গর্জন শুনেছিলাম— গো অন, চার্জ —-

সেই সাথে সাথেই শুরু তলে অঝোরে গোলাবর্ষণ। এই তীব্র গোলাগুলির শব্দের মধ্যেও অনুভব করলাম – সৈন্যরা এবার আমার বাড়ীতে ঢুকেছে। নিরুপায় হয়ে বসেছিলাম আমার শোবার ঘরটাতে। বাইরে থেকে, মুসলধারে গোলাবর্ষন হতে থাকলো এই বাড়ীটা লক্ষ্য করে। ওরা হয়ত এই ঘরটার মাঝেই এমনিভাবে গোলাবর্ষণ করে হত্যা করতে ছেয়েছিল আমাদেরকে। এমনভাবে গোলাবর্ষিত হচ্ছিল যে মনে হচ্ছিল সমস্ত বাড়ীটা বোধহয় ধ্বসে পড়বে। বারুদের গন্ধে মুখচোখ জ্বলছিল। আর ঠিক সেই দুরন্ত মুহুর্তটাতে দেখছিলাম ক্রুদ্ধ সিংহের মত সমস্ত ঘরটার মাঝে অবিশ্বাস্যভাবে পায়চারী করছিলেন শেখ সাহেব। তাঁকে ঐভাবে রেগে যেতে কখনও আর দেখিনি।

রাত প্রায় সাড়ে ১২টার দিকে ওরা গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে উপরে উঠে এলো। এতক্ষণ শেখ সাহেব, ওদের কিছু বলেননি। কিন্তু এবার অস্থিরভাবে বেরিয়ে গেলেন তিনি ওদের সামনে। পরে শুনেছি সৈন্যরা সেই সময়ই তাঁকে হত্যা করে ফেলতো যদি না কর্ণেল দু’হাত দিয়ে তাঁকে আড়াল করতো । ধীর স্বরে শেখ সাহেব হুকুম দিলেন গুলি থামাবার জন্য । তারপর মাথাটা উঁচু রেখেই নেমে গেলেন তিনি নীচের তলায়। মাত্র কয়েক মুহুর্ত। আবার তিনি উঠে এলেন উপরে। মেজ ছেলে জামাল এগিয়ে দিল তার হাতঘড়ি ও মানিব্যাগ। স্বল্প কাপড় গোছানো সুটকেস আর বেডিংটা তুলে নিল সৈন্যরা যাবার মুহুতে একবার শুধু তিনি তাকালেন আমাদের দিকে । পাইপ আর তামাক হাতে নিয়েই বেরিয়ে গেলেন তিনি ওদের সাথে। সোফার নীচ থেকে, খাটের নীচ থেকে, আলমারীর পাশ থেকে বেরিয়ে এলো কয়েকজন দল কর্মী। রো আস্তে আস্তে বললো-মাগো আমরা আছি। আমরা আছি। ওদের সকলের মাঝে দাঁড়িয়ে সে রাতে কেঁদে ফেলেছিলেন বেগম মুজিব। বলেছিলেন—খোদার কাছে হাজার শোকর তোদের অন্তত: ফেরত পেয়েছি। তোরা অন্তত ধরা পড়িসনি। এ পর্যন্ত বলেই তিনি শেষ করলেন সেই রাত্রের কথা।”

সংকলক: উপপ্রধান তথ্য অফিসার, আঞ্চলিক তথ্য অফিস, ময়মনসিংহ




মেহেরপুরে পুলিশের অভিযানে ১০ জন গ্রেফতার

মেহেরপুর সদর ও গাংনী থানা পুলিশের ১২ ঘন্টার নিয়মিত অভিযানে আদালতের পরোয়ানাভূক্ত ১০ আসামি গ্রেফতার হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে সদর থানা পুলিশের অভিযানে আদালতের পরোয়ানাভূক্ত জিআর ও সিআর মামলায় ৮ জন ও গাংনী থানা পুলিশের অভিযানে আদালতের পরোয়ানাভূক্ত জিআর মামলার ২ আসামি রয়েছে।

গতকাল রবিবার দিবাগত রাতের বিভিন্ন সময়ে আজ সোমবার (৭ আগষ্ট) ভোররাত পর্যন্ত দুটি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের পুলিশের পৃথক টিম অভিযান চালিয়ে এসব আসামি গ্রেফতার করেন।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম ও গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আজ সোমবার (৭ আগষ্ট) বেলা ১১ টার দিকে গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে মেহেরপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।




বড় চমক রেখে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ দল ঘোষণা

ভারতের মাটিতে ক্রিকেট বিশ্বকাপের আসর বসতে এখনও বাকি মাস দুয়েক মতো। এরই মধ্যে বড় চমক রেখেই বিশ্বকাপের জন্য প্রাথমিক স্কোয়াড ঘোষণা করে দিলো পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। অভিজ্ঞতা আর তারুণ্যের মিশেলে দল সাজিয়েছে অজিরা।১৮ সদস্যের প্রাথমিক স্কোয়াডে রয়েছে এখন জাতীয় দলের জার্সি গায়ে না চাপানো ক্রিকেটারও।

তবে অস্ট্রেলিয়ার ঘোষিত বিশ্বকাপ স্কোয়াডের সবচেয়ে বড় চমক হয়ে এসেছে মার্নাস ল্যাবুশানের না থাকা। সাম্প্রতিক সময়ে ফর্ম খুব একটা ভালো না থাকাতেই ল্যাবুশানেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ুয়ার নির্বাচক প্যানেল।

বিশ্বকাপের আগে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারত সফরেও এই ১৮ সদস্যের স্কোয়াডই খেলবে অজিদের হয়ে। এই দুই সিরিজের পর বিশ্বকাপের আগে ১৫ সদস্যের চূড়ান্ত স্কোয়াড দেবে অস্ট্রেলিয়া।

বিশ্বকাপের জন্য ঘোষিত দলে জায়গা পেয়েছে এখন অজিদের হয়ে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা দুই ক্রিকেটার তানভীর সাঙ্গা ও অ্যারন হার্ডি। বিশেষজ্ঞ লেগ স্পিনার হিসেবে দলে জায়গা পেয়েছেন তানভীর আর অলরাউন্ডার হিসেবে রয়েছেন হার্ডি।

অস্ট্রেলিয়ার ঘোষিত ১৮ সদস্যের প্রাথমিক স্কোয়াড: প্যাট কামিন্স, ডেভিড ওয়ার্নার, জশ ইংলিশ, স্টিভ স্মিথ, ট্রাভিস হেড, মিচেল মার্শ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, শন অ্যাবট, অ্যাস্টন অ্যাগার, অ্যালেক্স ক্যারি, ন্যাথান এলিস, ক্যামেরন গ্রিন, মার্কাস স্টোয়নিস, অ্যারন হার্ডি, জশ হ্যাজেলউড, মিচেল স্টার্ক, অ্যাডাম জাম্পা, তানভীর সাঙ্গা,।

সূত্র: ইত্তেফাক




বাতিল নয়, পরিবর্তিত হচ্ছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮

বহুল আলোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ পরিবর্তনের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার (৭ আগস্ট) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এটি ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩’ নামে প্রতিস্থাপিত হবে বলে জানা গেছে।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, আইনটি ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩’ নামে প্রতিস্থাপিত হবে।

২০১৮ সালে প্রণীত বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি বাতিলে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি ওঠে। বিশেষ করে এর ৫৭ ধারা দেশে-বিদেশে সমালোচিত হয়। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মুক্তচিন্তা ও মতপ্রকাশের অধিকার সমুন্নত রাখা, সর্বোপরি মানুষের মৌলিক অধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিতে আইনটি বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা।

সূত্র: ইত্তেফাক




মুজিবনগরে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টায় ২ যুবক আটক

মুজিবনগর সীমান্তে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)’র হাতে দুই বাংলাদেশী যুবক আটক হয়েছেন।

আটকরা হলেন, মুজিবনগর উপজেলার সোনাপুর মাঝপাড়া গ্রামের মৃতু আয়ূব হোসেনের ছেলে এনামুল হোসেন (২৫) ও একই গ্রামের জামাল আলীর ছেলে হাবিবুল ইসলাম (২৩)।

গতকাল রবিবার দিবাগত রাতে মুজিবনগর উপজেলার আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার ১০৪ এর কাছে বাংলাদেশের ১০ হজ অভ্যন্তরে আনন্দবাস গ্রামের কাকডাঙ্গা মাঠের মধ্যে থেকে তাদের আটক করা হয়।

৬ বিজিবির আনন্দবাস বিওপি’র ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার আলাউদ্দীন বিশ্বাসের নেতৃত্বে বিজিবি’র একটি টহল টিম তাদের আটক করেন।

মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী রাসেল এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এঘটনায় রাতেই দুই যুবকের নামে পাসপোর্ট আইনের ১১(গ) ধারায় মামলা দেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার (৭ আগষ্ট) বেলা ১১ টার দিকে আটক দুই যুবককে আদালতের মাধ্যমে মেহেরপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।




গাংনী পৌর ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক গ্রেফতার

গাংনী পৌর ছাত্র দলের সাবেক আহবায়ক রেজওয়ানুল হক ইমনকে (৩০) নাশকতার মামলায় গ্রেফতার করেছে গাংনী থানা পুলিশ।

রেজওয়ানুল হক ইমন গাংনী পৌরসভার চৌগাছা গ্রামের জুলফিকার আলীর ছেলে।
গতকাল রবিবার দিবাগত মধ্যরাতে গাংনী থানা পুলিশের একটি টিম তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, রেজওয়ানুল হক ইমনের নামে নাশকতার অভিযোগে গাংনী থানায় একটি মামলা রয়েছে। মামলা নং ৪(৮)২৩।
গ্রেফতারকৃত ইমনকে আজ সোমবার (৭ আগষ্ট) বেলা ১১ টার দিকে আদালতের মাধ্যমে মেহেরপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।




দামুড়হুদায় ১৮০ পিচ বুপ্রেনরফাইন ইনজেকশনসহ গ্রেফতার ১

দামুড়হুদায় চুয়াডাঙ্গা জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মাদক বিরোধী সফল অভিযানে ১৮০ পিচ বুপ্রেনরফাইন ইনজেকশন উদ্ধার সহ ১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল রবিবার বেলা আড়াইটার দিকে জয়রামপুর গাতির পাড়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত হলো দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের জয়রামপুর গাতির পাড়ার মৃত: মফিজ উদ্দিন মন্ডল এর ছেলে মো: কলম আলী মন্ডল ওরফে কল্লোল (৪৩)।

গতকাল বেলা আড়াইটার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে উপ পরিদর্শক আকবর হোসেন এর নেতৃত্বে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয় ও বিভাগীয় স্টাফদের সমন্বয়ে দামুড়হুদা থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এসময় দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর গাতির পাড়ার মো: কলম আলী মন্ডল ওরফে কল্লোল কে জয়রামপুর গাতির পাড়া গ্রামস্থ নিজ দখলীয় বসতঘর হইতে ১৮০ পিচ বুপ্রেনরফাইন ইনজেকশন উদ্ধার পূর্বক তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে আসামীকে দামুড়হুদা মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়। জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ পরিদর্শক আকবর হোসেন মামলার বাদী হয়ে উক্ত আসামির বিরুদ্ধে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেন।

এবিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আলমগীর কবির বলেন, আসামীকে আজ বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হবে।