মুজিবনগরে কৃষকদের মাসকলাইের বীজ বিতরণের উদ্বোধন

মুজিবনগরে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে খরিপ-২ মৌসুমে মাসকলাই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রণোদনা কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষে বীজ বিতরণের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।

আজ বুধবার সকালে উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে, উপজেলার ৪ শত কৃষকের মাঝে এই বীজ বিতরণের উদ্বোধন করা হয়।

বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাইরুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বীজ বিতরণের উদ্বোধন করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষি প্রশিক্ষণ অফিসার শামসুল আলম, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি নাজমুস সাদাত রত্ন, উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল মোমিন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মাশরুবা আলম।

২০২৪-২৫ অর্থ বছরে খরিপ-২ মৌসুমে মাসকলাই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় উপজেলার ৪ শত কৃষকের মাঝে ৫ কেজি মাসকলাই বীজ ১০ কেজি ডিএপি ৫ কেজি এমওপি সার বিতরণ করা হবে।




মুজিবনগরে বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

মুজিবনগরে টানা তিনদিনের বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে উপজেলা প্রশাসন।

আজ বুধবার সকাল থেকে সারাদিনব্যাপী অসহায় পরিবারগুলোর বাসায় যেয়ে নিজ হাতে খাবার সামগ্রী তুলে দিয়ে আসছেন মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার খায়রুল ইসলাম এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মাশরুবা আলম।

এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার খায়রুল ইসলাম অসহায় মানুষদের সরকারিভাবে বিভিন্ন সহযোগিতা করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন।

তিনি বলেন ,প্রথম পর্যায়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিপদগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সাময়িকভাবে ১০ কেজি করে চাউল দেওয়া হচ্ছে। পরবর্তীতে তাদের সরকারিভাবে আরও সহযোগিতা করা হবে।




শিক্ষকদের উপর হামলার প্রতিবাদে ঝিনাইদহে মানববন্ধন

সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উপর হামলার প্রতিবাদে ঝিনাইদহ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা মানববন্ধন করেছে। আজ বুধবার দুপুরে নিজ বিদ্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসুচী পালন করে।

এসময় বক্তব্য রাখেন ঝিনাইদহ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ শহীদুল ইসলাম, সিনিয়র শিক্ষক মোঃ রবিউল ইসলাম, সমীর কুমার বৈদ্য, মোঃ সুলতান কবির, মোঃ সাহিদুর রহমান, সহকারী শিক্ষক মোঃ মনজুরুল ইসলাম, মোঃ ইমরান আলী, মোঃ ইসরাফিল হোসেন, মোঃ রবিউল ইসলাম।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সহকারী ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মুহাঃ গোলাম ছারওয়ার, গোবিন্দ প্রসাদ দেবনাথ, সিনিয়র শিক্ষক সুশীল কুমার বিশ্বাস, মোঃ সিরাজুল কবির, মোঃ মনজুর হোসেন, সঞ্জিত কুমার ঘোষ, আবু তাহের, প্রদীপ কুমার আর্ঘ, মোহাঃ রবিউল ইসলাম, সহকারী শিক্ষক বাসুদেব লস্কার, দীপক কুমার ব্যানার্জী, মোঃ রফিকুল ইসলাম, চিন্ময় কুমার কুন্ডু, মোঃ জাহাঙ্গীর, মনোয়ার হোসেন, মোঃ আল আরাফাত, মোঃ তোহিদুর রহমান, জুবায়ের, শ্রাবনী পারভেজ, এম,এম বখতিয়ার ও শাহিন পারভেজ।

শিক্ষকরা বলেন ১৭ সেপ্টম্বর ঢাকায় প্রজেক্ট থেকে আগত উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা আমাদের শিক্ষকদের উপর হামলা করেন। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই। প্রয়োজনে কঠোর কর্মসুচী দেওয়া হবে বলে তারা জানান।




চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর করার প্রস্তাব মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর এবং অবসরের বয়সসীমা ৬৫ বছরে উন্নীতকরণের প্রস্তাব দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সাধারণ অধিশাখা সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. সাজ্‌জাদুল হাসান স্বাক্ষরিত একটি চিঠি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে পাঠানো হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর এবং অবসরের বয়সসীমা ৬৫ বছরে উন্নীতকরণের বিষয়ের সঙ্গে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মপরিধির সম্পৃক্ততা থাকায় সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

জানা যায়, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে বেশ কয়েক বছর ধরে আন্দোলন করে আসছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। এরই ধারবাহিকতায় এবার চাকরির বয়স ৩৫ বছর করার প্রস্তাব করল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

সূত্র: কালের কণ্ঠ




ঝিনাইদহ ইটভাটা মালিক সমিতির কমিটি গঠন সভাপতি এম.এ মজিদ ও সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস

ঝিনাইদহ ইটভাটা মালিক সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা ও কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শহরে জোহান ড্রীম ভ্যালী পার্ক মিলনায়তনে সংগঠনটির এ সভা ও কমিটি গঠন অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি এ্যাড. এম এ মজিদ, সহ-সভাপতি রহুল কুদ্দুস, মোয়াজ্জেম হোসেন, খলিলুর রহমান, উসমান আলীসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করার আহবান জানান। সাথে ইটভাটা ব্যবসায়ে কয়লা সিন্ডিকেট রোধ, অযথা হয়রানি, লাইসেন্স প্রাপ্তি ও নবায়নে হয়রানি বন্ধের আহবান জানান।

ইটভাটা মালিক সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা শেষে সকলের সম্মতিক্রমে এ্যাডভোকেট এমএ মজিদকে সভাপতি ও রুহুল কুদ্দুসকে সাধারণ সম্পাদক করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ঠ কমিটি গঠন করা হয়।




জ্যাকসন ৫ পপ ব্যান্ডের সদস্য টিটো জ্যাকসন মারা গেছেন

প্রয়াত মাইকেল জ্যাকসনের ভাই ও জ্যাকসন ৫ পপ ব্যান্ডের মূল সদস্য টিটো জ্যাকসন ৭০ বছর বয়সে মারা গেছেন। তার মৃত্যুর কারণ এখনও জানা যায়নি। খবর বিবিসির।

টিটো তার বাকি চার ভাই- জ্যাকি, জার্মেইন, মারলন এবং মাইকেল জ্যাকসনের সঙ্গে অসংখ্য শো’তে পারফর্ম করেছেন। সম্প্রতি ব্যান্ডের একটি পারফরম্যান্সের জন্য তিনি মিউনিখে ছিলেন।

জ্যাকসনের দীর্ঘদিনের পারিবারিক বন্ধু স্টিভ ম্যানিং এন্টারটেইনমেন্ট টুনাইটকে জানান, জ্যাকসন সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) মারা গেছেন।

জ্যাকসনের তিন ছেলে, তাজ, টেরিল এবং টিজে জ্যাকসনের একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টে খবরটি নিশ্চিত করা হয়েছে।

পোস্টে তারা লিখেছেন, ‌‘ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আমরা ঘোষণা করছি যে আমাদের প্রিয় বাবা, রক অ্যান্ড রোল হল অব ফেমার টিটো জ্যাকসন আর আমাদের মধ্যে নেই। আমরা ব্যথিত ও মর্মাহত। আমাদের বাবা একজন অবিশ্বাস্য ব্যক্তিত্ব ছিলেন, যিনি সবার মঙ্গলের কথা ভাবতেন।’

তারা বলেছেন, ‘আপনাদের মধ্যে কেউ কেউ তাকে কিংবদন্তি জ্যাকসন ৫ এর টিটো জ্যাকসন হিসেবে চেনেন, কেউ কেউ তাকে চেনেন ‘কোচ টিটো’ নামে, কেউবা আবার তাকে ‘পপ্পা টি’ নামে চেনেন। তবে তিনি চিরকাল আমাদের কাছে ‘টিটো টাইম’ হয়ে থাকবেন।’

তারা আরও বলেন, ‘দয়া করে মনে রাখবেন যে আমাদের বাবা সবসময় যা প্রচার করতেন ‘একে অপরকে ভালবাসুন’। আমরা আপনাকে ভালোবাসি পপস।’

জ্যাকসন ৫ ব্যান্ডের হিট গানগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘এবিসি’, ‘দ্য লাভ ইউ সেভ’, ‘আই ওয়ান্ট ইউ ব্যাক’ প্রভৃতি। ১৯৬৪ সালে ব্যান্ডটি গঠিত হয়, টিটো ছিলেন ব্যান্ডের গিটারিস্ট এবং ব্যাকগ্রাউন্ড ভোকাল।

১৯৮০ সালে জ্যাকসন ভাইবোনদের হলিউড ওয়াক অব ফেমে একটি তারকা দিয়ে সম্মানিত করা হয় এবং ১৯৯৭ সালে রক অ্যান্ড রোল হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

১৯৫৩ সালের ১৫ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করা টোরিয়ানো আদারিল ‘টিটো’ জ্যাকসন ছিলেন বাবা-মায়ের ৯ সন্তানের মধ্যে তৃতীয়।

২০০৯ সালের জুনে ৫০ বছর বয়সে মারা যাওয়া মাইকেল ছাড়া তার বাকি ভাইবোনেরা এখনও বেঁচে আছেন।

সূত্র: ইত্তেফাক




শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মেহেরপুরে মানববন্ধন

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে শিক্ষকদের উপর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও সহযোগীদের দ্বারা হামলার প্রতিবাদে কর্মবিরতি ও মানববন্ধন করেছে মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ।

বৈষম্য বিরোধী সরকারী মাধ্যমিক শিক্ষা পরিষদের আয়োজনে আজ বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজলুল হক ও মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শরিফুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মাধ্যমিক শিক্ষকরা মাধ্যমিক শিক্ষা প্রশাসনে আসতে পারবেন না। অথচ মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়, NCTB, NAEM, শিক্ষাবোর্ডসহ সকল শিক্ষা প্রশাসনে শিক্ষকরাই কৃতিত্বের সাথে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করে আসছেন কিন্তু তারা চর দখলের মতো এই পদগুলো অনৈতিকভাবে দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন এবং মাধ্যমিক শিক্ষাকে নিজেদের স্বার্থে ফ্যাসিবাদি কায়দায় পিছিয়ে দেওয়ার গভীর ষড়যন্ত্র করছেন।

সরকারি মাধ্যমিকের ২০২১ সালের নিয়োগবিধি অনুযায়ী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও সহকারি মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের ৫০% পদ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষকদের জন্য সংরক্ষিত ইতোমধ্যে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার পদে পদায়নের জন্য মাউশি দরখাস্ত আহবান করেছেন এবং পদায়নের কাজ চলামান রয়েছে। অথচ একটি মীমাংসিত বিষয়কে ফ্যাসিবাদি কায়দায় কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে মাধ্যমিক শিক্ষকদের বঞ্ছিত করে বিধি বহির্ভূত ভাবে জেলা শিক্ষা অফিসার ও সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার পদে পদায়নের গভীর ষড়যন্ত্র করছেন।

তারা আরো বলেন, ১৭/০৯/২০২৪ তারিখে ন্যাক্কারজনক সন্ত্রাসী হামলার দোষীদের নিরপেক্ষ তদন্তপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। বিধি বহির্ভূত কর্মকান্ডের সাথে জড়িতদের বিভাগীয় শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় সরকারি মাধ্যমিকের শিক্ষকরা কঠোর থেকে কঠোরতর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।

এসময় মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান, মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, নাসির উদ্দিন আহমেদ, মোঃ এমরান হোসেন,  এ.এস.এম. সাইফুল ইসলাম, মোঃ বাছাদ আলী, মোহা: রফিকুল ইসলাম, মোঃ মামুন আলী মীর, মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে সিনিয়র শিক্ষক মোঃ সেকেন্দার আলী, মোঃ হাসান ফেরদৌস, মোঃ সোহরাব হোসেন, মোঃ আব্দুল মান্নান, মুহা: সিরাজ উদ্দিন, কে. এম খসরু পারভেজ, মোঃ আলিমুজ্জামান, মোঃ আব্দুল হক, মোঃ লিয়াকত আলী, মোঃ সাইদুর রহমান, মোঃ আব্দুল হামিদ, রেবেকা সুলতানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।




টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণায় বাংলাদেশের চমক

আসন্ন নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ দল। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিসিবির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে ক্রিকেটারদের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। বিশ্বকাপের দল ঘোষণায় চমক রেখেছে বিসিবি। মূলত দেশের বাইরে থাকা প্রবাসীদের দিয়ে বিশ্বকাপ দলে থাকা ক্রিকেটারদের নাম প্রকাশ করেছে তারা।

সাধারণত সংবাদ সম্মেলন করে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করে থাকে বিসিবি। তবে এবার চমক দেখিয়েছে তারা। প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাহায্যে এক ভিডিওর মাধ্যমে ১৫ সদস্যের বিশ্বকাপের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বিসিবি।

ভিডিওর শুরুতে বাংলাদেশ ক্রিকেটের নারী বিভাগের প্রধান হাবিবুল বাশার সুমন বলেন, ‘নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের খুব একটা দেরি নেই। আমাদের মেয়ে ক্রিকেটাররা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে এবারের বিশ্বকাপে তাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে।’

১৫ সদস্যের বিশ্বকাপ দলে চমক হিসেবে আছেন কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ না খেলা তাজ নেহার। ২৬ বছর বয়সী এই নারী ক্রিকেটার শ্রীলঙ্কা সফরে বাংলাদেশ ‘এ’ দলে ছিলেন। এ ছাড়া অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা অলরাউন্ডার দিশা বিশ্বাসও আছেন দল। বিশ্বকাপে টাইগ্রেসদের নেতৃত্ব দেবেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার নিগার সুলতানা জ্যোতি।

আগামী ৩ অক্টোবর পর্দা উঠবে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের। এবারের আসরটি বাংলাদেশে হওয়ার কথা থাকলেও রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের কারণে আইসিসি টুর্নামেন্টটি সংযুক্ত আরব আমিরাতে সরিয়ে নেয়। তবে আয়োজক হিসেবে বাংলাদেশের নামই রয়েছে। উদ্বোধনী দিনে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ স্কটল্যান্ড।

৩ অক্টোবর থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে টুর্নামেন্টটি। দুবাই ও শারজাহর দুটি স্টেডিয়ামে মোট ২৩টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। এবারের আসরে গ্রুপ ‘বি’ তে রয়েছে বাংলাদেশ। এই গ্রুপে টাইগ্রেসদের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও স্কটল্যান্ড। গ্রুপ ‘এ’ তে রয়েছে পাকিস্তান, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা।

নারী টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাংলাদেশ দল: নিগার সুলতানা (অধিনায়ক), নাহিদা আক্তার, মুরশিদা খাতুন, স্বর্ণা আক্তার, রিতু মনি, সোবহানা মোস্তারী, রাবেয়া খান, সুলতানা খাতুন, ফাহিমা খাতুন, মারুফা আক্তার, জাহানারা আলম, দিলারা আক্তার, তাজ নেহার, সাথী রানি, দিশা বিশ্বাস।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে বৃক্ষরোপণ ও চারা বিতরণ কর্মসূচি

আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুস্থ রাখতে বৃক্ষরোপণের বিকল্প নেই। বর্তমান সময়ে আমাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে বৃক্ষরোপণ অপরিহার্য।

বৃক্ষরোপণের উপকারিতা ও বৃক্ষরোপণে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করতে বৃক্ষরোপণ ও বৃক্ষের চারা বিতরণ করেছে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং,বাংলাদেশ (আইডিইবি) মেহেরপুর জেলা শাখা।

আজ বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে মেহেরপুর সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের উজলপুর গ্রামের ভৈরব মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় এ বৃক্ষরোপণ ও চারা বিতরণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

এসময় ২ শতটি ফলদ, বনজ, ঔষধি বৃক্ষ ও ফুলগাছের চারা বিতরণ করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে কাঁঠাল, জলপাই, বহেরা, কদবেল, পেয়ারা, কৃষ্ণচূড়া, পলাশ, শিউলি, বকুল, জারুল ইত্যাদি।

এ সময় এক সংক্ষিপ্ত আলোচনাও অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, মেহেরপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ মোঃ আরিফ হোসেন তালুকদার।

এ সময় তিনি বলেন, এ ধরণিতে নিঃস্বার্থ, প্রকৃত ও উপকারী বন্ধু হলো বৃক্ষ। বৃক্ষের ছায়াতলেই গড়ে উঠেছে মানবসভ্যতা। তাই বৃক্ষ ছাড়া মানুষের অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না। এক কথায় বৃক্ষ মানুষের জীবন ও জীবিকার সঙ্গে জড়িত।

ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং, বাংলাদেশ (আইডিইবি) মেহেরপুর জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আব্দুল আলিমের সার্বিক পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভৈরব মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নাজমা সালেহীন।

এছাড়াও এসময় ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং,বাংলাদেশ (আইডিইবি) মেহেরপুর জেলা শাখার উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক মোঃ আব্দুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক মনিরুজ্জামান, নির্বাহী সদস্য সোহেল রানা, মোঃ মাসুদ পারভেজ, মোঃ আলমগীর হোসেন, মেহেরপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ইন্সট্রাক্টর মোঃ শফিকুল ইসলাম, মোঃ ফারুক হোসেন, প্রশিক্ষক আবু হুরায়রা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।




গাংনীতে শিক্ষক সমাজের সংবাদ সম্মেলনে নানা অভিযোগ

গাংনীতে উপজেলা শিক্ষা অফিসার নাছির উদ্দীনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদে শিক্ষক সমাজের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে গাংনী উপজেলা পরিষদ চত্বরে শিক্ষক সমাজের আয়োজনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে এক শ্রেনীর শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন শিক্ষক সেলিম রেজা। এসময় শিক্ষক নেতা আক্তারুজ্জামান, সেলিম আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, নাহারুল ইসলাম, রাশেদুল ইসলাম, ফিরোজ আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, রজব আলী, আজমাইন হোসেন, ইব্রাহিম খলিল, আফ্ফান আলী, আব্দুল হাকিম, জালাল উদ্দিন, হাসান আলীসহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ -১৫ ইং সালে প্রাক প্রাথমিক সজ্জিতকরণ বাবদ প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত টাকা উত্তোলন করে ওই শিক্ষক মহল ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়েছেন।

২০১৭ সালে নব্য জাতীয়করণ প্রধান শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মামলা করার নামে সকল শিক্ষকের নিকট থেকে ১ হাজার টাকা করে মোট ৩ লাখ ৫৫ হাজার টাকা আদায় করেছে ওই মহলটি। অথচ, ওই টাকা দিয়ে কোন মামলা না করে পকেটস্থ করেছেন তারা। সেই টাকা কোনো শিক্ষককে ফেরত দেয়নি। ২০১৮-১৯ সালে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন ক্রয়ে করেন ওই মহলটি। তারা সিন্ডিকেড গড়ে তুলে হাতিয়ে নেন প্রায় ৮ লাখ টাকা। তারা প্রতি মাসিক মিটিং এ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক অসুস্থ হলে তাদের চিকিৎসা বাবদ জনপ্রতি ২ শ’ টাকা করে উত্তোলন করেন। উত্তোলিত সেই অর্থ রোগীদের না দিয়ে তারা ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

বিগত সরকারের সময় শেখ মুজিবেব বই কেনার নামে হাজার টাকা উত্তোলন হাতিয়ে নিয়েছে ঐ চক্রটি।
লিখিত বক্তব্যে তারা আরও বলেন, বর্তমান অন্তর্বতীকালীন সরকারের সময় বিগত দিনের অনিয়ম দুর্নীতি বন্ধ করে নিয়মের মধ্যে আনতে চাওয়ায় ওই মহলটি শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তৈরী করেছেন।

তারা শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে কাল্পনিক অনিয়ম দুর্নীতির নাটক সাজাচ্ছেন। ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়েছে।

তারা অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর যাবত ক্ষমতাশীল রাজনৈতিক দলের পরিচয়ে স্কুলে হাজিরা দেয়নি অনেক শিক্ষক। এখনও তারা ঠিকমত স্কুলে যায়না ,এমনকি ক্লাসও করে না।

তারা বলেন, গাংনী উপজেলার মুন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম ফারুক , মোমিনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (চলতি দায়িত্ব) নুরুল আমিন এবং বাহাগুন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাসুদ পারভেজ স্কুলে প্রায় অনুপস্থিত থাকেন। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা অফিসার কারন দর্শানো নোটিশ দিলে তারা শিক্ষা অফিসারকে নানাভাবে অপমানিত ও লাঞ্ছিত করেছে। এসব শিক্ষক মানসিক রোগী বলেও আখ্যায়িত করেছেন তারা। এই চক্রের সাথে জড়িতদের নামও উল্লেখ করেন। তারা হলেন, শিক্ষক মাঝহারুল ইসলাম, দানেচুর রহমান, মুক্তি, পারভেজ সাজ্জাদ রাজা, নুরুজ্জামান, তারিকুজ্জামান, আমানুল্লাহ, মাহবুবসহ আরও অনেকে। দীর্ঘ ১৬ বছর যাবত দায়িত্ব প্রাপ্ত শিক্ষা অফিসারদের রাজনৈতিকভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে নানা অপকর্ম ও নামে বেনামে টাকা উত্তোলন করে ভাগ বাটোয়ারা করেছে বলে অভিযোগ করেন তারা।

বর্তমানে তাদের কথামত কাজ না করায় শিক্ষা অফিসারদের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের দিয়ে হেনস্তা করছে এবং বিভিন্ন দপ্তরে শিক্ষা অফিসারদের বিরুদ্ধে দরখাস্ত করছে। বিগত সময়ে দায়িত্বরত শিক্ষা অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ফারুক হোসেন, আকবর আলী, মো. সামসুজ্জামান, আতাউর রহমান, আলঅউদ্দীন এবং বর্তমান শিক্ষা অফিসার নাছিরউদ্দীনকেও বলির পাঠা বানিয়ে নানাভাবে হেনস্তা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তারা।

অভিযোগে আরও জানান, মোমিনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (চলতি দায়িত্ব) নুরুল আমিন বিনা অনুমতিতে অনুপস্থিত সহ নানা অনিয়ম তুলে স্থানীয় অভিভাবকদের অভিযোগের ভিত্তিতে ২৪/০৯/২০২২ ২৯/০৯/২০২২, ২১/০৩/২০২৩, ২৫/০১/২০২৪ এবং ০৪/০২/২০২৪ খ্রী: অনুপস্থিত থাকার কারনে কারন দর্শানো নোটিশ দেয়া হয়। তিনি নোটিশের কোন জবাব দেননি। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আরিফ হাসান স্কুল পরিদর্শনে গেলে ২১/০৩/২০২৩ ও ০৪/০৪/২০২৩ তারিখে তাকে অনুপস্থিত পাওয়া গেলে কারন দর্শানো নোটিশ দেয়া হয়। ২০২৩ সালে তিনি মুভমেন্ট রেজিস্টার ব্যবহার ও হালনাগাদ করেননি। নৈমিত্তিক ছুটির রেজিষ্টারও হালনাগাদ করেননি।তিনি ১৭/০১/২০২৪ ও ১৮/০১/২০২৪ তারিখে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছিলেন।

এব্যাপারে ক্লাষ্টার অফিসার ২১/০১/২০২৪ তারিখে পরিদর্শনে গেলে তাকে অনুপস্থিত পাওয়া যায়। একইভাবে ক্লাষ্টার অফিসার আরিফ হাসান স্কুল পরিদর্শনে গেলে ১ থেকে ৩ সেপ্টেম্বর, ২৪ তারিখেও অনুপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও তিনি সরকারিভারে প্রদানকৃত ল্যাপটপ বিক্রি করে দিয়েছিলেন।পরে শিক্ষা অফিসার ব্যবস্থা নেয়ার কারনে পরবর্তীতে ল্যাপটপ ফেরত দেয়।

এসব অভিযুক্তদের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আইনের আওতায় নিলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে এবং তাদের শাস্তি নিশিচত হলে শিক্ষার পরিবেশ ফিরে আসবে বলে জানান এসব শিক্ষকবৃন্দ।