সুমনকে দেখতে হাসপাতালে মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি

সড়ক দুর্ঘটনায় আহত সাংবাদিক সুমনের  জন্য উপহার সামগ্রী নিয়ে সনোল্যাব নার্সিং হোমে গেলেন মেহেরপুর জেলা প্রশাসক শামীম হাসানের প্রতিনিধি।

শনিবার ৫ আগষ্ট বেলা ১ টায় আহত সাংবাদিক সুমনকে দেখতে যান জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি মোঃ জহিরুল ইসলাম। এসময় তিনি সুমনের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন এবং তার সাথে কিছু সময় অতিবাহিত করেন।




মিস ভেনেজুয়েলা আরিয়ানা মারা গেছেন

গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকার কয়েক সপ্তাহ পর মারা গেলেন মিস ভেনেজুয়েলা আরিয়ানা ভিয়েরা। মাত্র ২৬ বছর বয়সেই না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন এই সুন্দরী।

নিউ ইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, ১৩ জুলাই অরল্যান্ডোতে একটি ট্রাকের সঙ্গে মিস ভিয়েরার গাড়ির সংঘর্ষ হয়। তখনই লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হন তিনি। তখন থেকেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

দুর্ঘটনার ১০ দিন পর মিস ভেনেজুয়েলার মা ভিভিয়ান ওচোয়া একটি আন্তর্জাতিক টেলিভিশনকে জানান, গাড়ি চালানোর সময় ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েন আরিয়ানা। এরপর একটি লেকের ধারে তার গাড়ির সঙ্গে লরির সংঘর্ষ হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা আরিয়ানাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করালেও আর সুস্থ হয়ে ফেরা হলো না তার।আগামী অক্টোবরে ডোমিনিকান রিপাবলিকের ২০২৩ এর মিস লাতিন আমেরিকায় নিজের দেশের প্রতিনিধিত্ব করার কথা ছিল আরিয়ানার কিন্তু তার আগেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন তিনি।

পেশাগত জীবনে রিয়েল এস্টেট সেক্টরে কাজ করতেন ভিয়েরা। এ ছাড়া মিস ভেনেজুয়েলা তার প্রতিদিনের জীবনযাপনের ব্লগ শেয়ার করতেন সামাজিক মাধ্যমে।




১০ ব্যক্তি ও ২ প্রতিষ্ঠান পেলেন শেখ কামাল ক্রীড়া পুরস্কার

বাংলাদেশের আধুনিক ফুটবলের অন্যতম পথিকৃৎ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪তম জন্ম বার্ষিকী আজ। এ উপলক্ষ্যে আজ প্রদান করা হয় ক্রীড়াক্ষেত্রে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদক শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার ২০২৩।

এই নিয়ে তৃতীয়বারের মতো প্রদান করা হলো শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার সম্মাননা। জাতীয় ক্রীড়া প্রষদ কর্তৃক প্রদান করা এই পুরস্কার মাঝে বেশ কয়েক বছর বন্ধ থাকলেও গত দুই বছর আগে শেখ কামালের নামে পুনরায় চালু করা হয়।

আজ শনিবার (৫ আগস্ট) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ১০ জন ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব ও ২টি প্রতিষ্ঠানের হাতে শেখ কামাল জাতীয় ক্রইড়া পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি।

এবার আজীবন সম্মাননা পুরস্কার পেয়েছেন বর্ষীয়ান হকি খেলোয়াড় ও ক্রীড়া সংগঠক আবদুস সাদেক। পশ্চিম পাকিস্তানের নানা বৈষম্যের মধ্যেও সেসময় পূর্ব পাকিস্তান থেকে পাকিস্তান হকি দলে জায়গা করে নিয়েছিলেন আব্দুস সাদেক। এছাড়া আবাহনীর প্রথম ফুটবল অধিনায়কও ছিলেন তিনি। ক্রীড়াক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্যই এি কিংবদন্তীকে দেওয়া হয় আজীবন সম্মাননা।

এবছর খেলোয়ার হিসেবে সম্মাননা পেয়েছেন বাংলাদেশের পেস তারয়াক তাসকিন আহমেদম, সাফজয়ী নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন ও ভারোত্তোলক জিয়ারুল ইসলাম।

নতুন সংযোজযন হিসেবে এবছর ক্রীড়া ধারাভাষ্যকারের পুরস্কার পেয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার আতাহার আলী খান।

ক্রীড়া সংগঠক কোটায় হকি অঙ্গনে ওস্তাদ ফজলু নামে কোচ ফজলুর রহমান এবং নারী ফুটবলার তৈরির কারিগর, সংগঠক ও কোচ মালা রানী সরকার পেয়েছেন এই পুরস্কার।

উদীয়মান খেলোয়াড় হিসেবে টেবিল টেনিসের হৃদয় ও আরিফুল ইসলাম পেয়েছেন এবারের শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার।

ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে এবার পুরস্কার পেয়েছেন হকি অঙ্গনে ওস্তাদ ফজলু নামে পরিচিত কোচ ফজলুর রহমান এবং নারী ফুটবলের অন্যতম সংগঠক ও কোচ মালা রানী সরকার।

ক্রীড়া সাংবাদিকতায় এবছর সম্মাননা পেয়েছেন ফটোগ্রাফার বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার তারেক নুরুল্লাহ। এছাড়া সংগঠন হিসেবে এবছর সম্মাননা পেয়েছে বাংলাদেশ আরচারি ফেডারেশন ও বাংলাদেশ ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন।

এক নজরে যারা পেলে শহীদ শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার ২০২৩:

আজীবন সম্মাননা: আবদুস সাদেক

খেলোয়াড়/ক্রীড়াবিদ: সাবিনা খাতুন , তাসকিন আহমেদ ও জিয়ারুল ইসলাম

উদীয়মান খেলোয়াড়/ক্রীড়াবিদ: মুহতাসিন আহমেদ হৃদয় ও আমিরুল ইসলাম

ক্রীড়া সংগঠক: মালা রানী সরকার, ফজলুল ইসলাম

ক্রীড়া অ্যাসোসিয়েশন/ফেডারেশন/ক্রীড়া সংস্থা: বাংলাদেশ আরচ্যারী ফেডারেশন

ক্রীড়া পৃষ্ঠপোষক/স্পন্সর: বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি)

ক্রীড়া সাংবাদিক: খন্দকার তারেক মোঃ নুরুল্লাহ

ক্রীড়া ধারাভাষ্যকার : আতাহার আলী খান

সূত্র: ইত্তেফাক




সাংবাদিক সুমনকে দেখতে হাসপাতালে মেহেরপুর প্রতিদিনের সম্পাদক

বৃহস্পতিবার ৩ আগস্ট পেশাগত কাজ শেষে রিক্সা যোগে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত সাংবাদিক সুমনকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছেন মেহেরপুর প্রতিদিনের সম্পাদক এবং কালের কণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি ইয়াদুল মোমিন।

শনিবার ৫ আগষ্ট বেলা সাড়ে ১২টায় মেহেরপুর সনো ল্যাব নার্সিং হোমে আহত সাংবাদিক সুমনকে দেখতে যান তিনি।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার বিকালে মেহেরপুর শহরে এক সড়ক দুর্ঘটনায় এম এ হাসান সুমন আহত হয়েছেন।

মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর ৩ আগষ্ট সন্ধ্যায় সুমনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকায় রেফার্ড করেন। এ সময় সুমনের শুভাকাঙ্ক্ষীরা বিভিন্ন মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে মেহেরপুর সনো ল্যাব নার্সিং হোমে ঢাকা থেকে আগত অর্থোপেডিক ও ট্রমা সার্জন সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোঃ সফিকুল ইসলামের মেহেরপুরে উপস্থিত । তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি সুমনকে সনোল্যাব নার্সিং হোমে ভর্তি করে রাতেই অস্ত্রোপচার করেন।




গাংনীতে সুজনের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

গাংনীতে সুশাসনের জন্য নাগরিক “সুজন” এর উদ্যােগে রাজনৈতিক দলসমূহের মধ্যে সংলাপ ও সমঝোতার আহবানে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার সকাল ১১ টার সময় মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের গাংনী উপজেলা পরিষদের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর জেলা “সুজন” এর সাধারণ সম্পাদক ও লুৎফুন্নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ জাকির হোসেন।

এসময় বক্তব্য রাখেন “সুজন ” এর গাংনী উপজেলা শাখার সভাপতি ও গাংনী সরকারী ডিগ্রী কলেজের সাবেক সহকারি অধ্যাপক আব্দুর রশীদ, উপজেলা সুজন এর সাধারণ সস্পাদক এবং করমদী কলেজের প্রভাষক আবু সায়েম পল্টু, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কমরেড আব্দুল মাবুদ, রাজনৈতিক বিশ্লেষক রফিকুল ইসলাম পথিক, দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-বাংলাদেশ এর গাংনী এরিয়া সমন্বয়কারী হেলাল উদ্দীন প্রমুখ।

আয়োজনটি সঞ্চালনা করেন-গাংনী উপজেলা “সুজন”এর সদস্য ও রাইপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন , কোনো হানাহানি না করে রাজনৈতিকদলগুলােকে সমঝোতার মাধ্যমে একটি সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে।




গাংনীতে শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী পালন

নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে গাংনীতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪ তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে।

দিবসটি উপলক্ষে শনিবার সকাল দশটার সময় গাংনী উপজেলা সভা কক্ষে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন,উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) নাদির হোসেন শামীম। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ খালেক।

বিশেষ অতিথি ছিলেন, গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক, যুবলীগ সভাপতি মোশারফ হোসেন, আওয়ামীলীগ নেতা মনিরুজ্জামান আতুসহ সরকারি কর্মকর্তা রাজনৈতিক ও জনপ্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




মুজিবনগরে শেখ কামালে ৭৪ তম জন্মবার্ষিকী পালন

মেহেরপুরের মুজিবনগরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জোষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপটেন শেখ কামালের ৭৪ তম জন্মবার্ষিকী যথাযথ মর্যাদার সহিত পালন করা হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসনের দিন ব্যাপি আয়োজনে, আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৯ টার সময় উপজেলা পরিষদ চত্তরে স্থাপিত শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন করা হয়। শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস, মুজিবনগর থানা ইনচার্য (ওসি) মেহেদি রাসেল, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম তোতা,সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী আহসান আলী খাঁন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর আরএমও ডা: তৌফিকুর রহমান, উপজেলা ফায়ার ব্রিগেড ও সিভিল ডিফেন্স এর ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার শাহজাহান আলী, উপজেলা আনসার ভিডিপি প্রশিক্ষিকা ফেরদৌসী আরা, উপজেলা পল্লী বিদ্যুত সাব জোনাল অফিসের এজিএম মুহাইমিনুন ইসলাম, বাগোয়ান ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ওয়ার্ড সদস্য বাবুল মল্লিক, উপজেলা ইয়ং বাংলা ফিউচার লিডার এর সভাপতি হাসানুজ্জামান লাল্টু।

এ সময় সুশিল সমাজ,বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ,সরকারী বেসরকারী বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পন করেন।শ্রদ্ধাঞ্জলী শেষে জাতির জনকের পরিবারের মাগফিরাত ও শান্তি কামনায় দোয়া করা হয়।

দোয়া মাহফিল শেষে উপজেলা অডিটরিয়ামে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপটেন শেখ কামালের ৭৪ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা পরিষদের দিন ব্যাপি আয়োজনের মধ্য বাদ জোহর মসজিদে মসজিদে কোরান খতম ও দোয়া মাহফিল অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্তৃক গাছের চারা বিতরণ।




চুয়াডাঙ্গার দোস্ত গ্রামে বিরোধপূর্ণ জমি দখল পেয়েও পতিপক্ষের হুমকী-ধামকী

চুয়াডাঙ্গার দোস্তে বিরোধপূর্ণ জমি দখল পেয়েও পতিপক্ষের হুমকী-ধামকী অব্যাহত রয়েছে। এ হুমকি-ধামকির ফলে চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে পাওনাদার জমির মালিক বিধবা সহ তার পরিবারের লোকজন।

অভিযোগসুত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দর্শনা থানাধীন নবগঠিত নেহালপুর ইউনিয়নের দোস্ত গ্রামের বসুতিপাড়ার মৃত দিদার মন্ডলের ছেলে মৃত খোকাই মন্ডলের একই এলাকার ১৫নং মৌজার ২৪৮নং আরএস খতিয়ান ১৩৯৮ দাগে ২০ শতক জমি, আরএস খতিয়ান ১০২ এসএ দাগ ৬৮০ আরএস দাগ নং ১০৫৭ মোট ৬০ শতক জমির মধ্যে ৪৮ শতক জমি জোরপূর্বকভাবে ভোগদখল করে আসছিলো একইপাড়ার মৃত গোলাম রশিদের ছেলে প্রভাবশালী আব্দুল বারী (৩৮), মৃত আব্দুর রউফের ছেলে আব্দুস সালাম শান্তি (৪৫), মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে বাবলু (৬০) ও এনায়েত কবির নান্নু (৫০)।

এ জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলাকালীন সময় মামলার বাদি খোকাই মন্ডল মৃত্যুবরণ করলে এ মামলা পরিচালনা করে আসছেন মৃত খোকাই মন্ডলের স্ত্রী রাহিনা বেগম।

প্রায় ৪০ বছর ধরে আদালতে মামলা চলার পর ২০০৮ সালে চুয়াডাঙ্গা আমলী আদালত প্রাথমিক ডিগ্রী দেয় খোকাই মন্ডলের পক্ষে। তারপর আদালত ২০১২ সালে চুড়ান্ত ডিগ্রী দেয় খোকাই মন্ডলের পক্ষে। আদালতের রায় উপেক্ষা করে গায়ের জোরে জমি ভোগদখল করতে থাকে একইপাড়ার মৃত গোলাম রশিদের ছেলে প্রভাবশালী আব্দুল বারী, মৃত আব্দুর রউফের ছেলে আব্দুস সালাম শান্তি, মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে বাবলু ও এনায়েত কবির নান্নু। এভাবে চলতে থাকলে ২০১৬ সালে খোকাই মন্ডল জমির শোকে ধুকে ধুকে মারা যায়। অসহায় হয়ে পড়ে রাহিনা বেগম ও তার ৩ ছেলে। স্ত্রী রাহিনা বেগম ধরনা দিতে থাকে গ্রামের মন্ডল মাতব্বারদের কাছে। সেখানেও কোন ফল না পেয়ে অভিযোগ করে দর্শনা থানা পুলিশের কাছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জমির কাগজপত্র দেখে দুই পক্ষের লোকজনকে থানায় ডেকে সালিস বৈঠক করে। এতে জমি দিতে স্বীকৃতি জানায়। ফলে একপর্যায় জমির রায় পাই মৃত খোকাই মন্ডলের পরিবার। এ রায়ের পরেও বিবাদীগণ জমি অবৈধ উপায়ে ভোগ দখল করতে থাকে।

তার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে থানা পুলিশ অভিযোগকারী ও অভিযুক্ত ব্যাক্তিরা সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের নিয়ে এক বৈঠকে জমির সমাধান করা হয়। তাতে জমির প্রকৃত মালিকের নিকট তা বুঝিয়েও দেওয়া হয়। এ জমি বুঝে পাওয়ার পর তা জমির মালিক খোকাই মন্ডলের পরিবার তাঁরকাটার বেড়া দিয়ে ঘিরে নেয়। এ জমি নিয়ে নেওয়ার পর থেকে অভিযুক্ত প্রভাবশালী আব্দুল বারী (৩৮), আব্দুস সালাম শান্তি (৪৫), বাবলু (৬০) ও এনায়েত কবির নান্নু (৫০) তার বাড়ি অনাধিকার প্রবেশ করে জমির দখল ছাড়তে খুন জখমের ভয়ভীতি প্রদান করা সহ নানাধরনের হুমকি ধামকি প্রদান করে আসছে। এ বিষয়ে আব্দুল বারি বলেন আমি ইউসুফ আলীর কাছ থেকে জমি কিনে বিপদে পড়েছি।তবে আমি এ জমি সংক্রান্ত একটি মামলা করেছি।আমরা কোন হুমকি ধামকি দিচ্ছি না সম্পর্ন মিথ্যা কথা।এ ঘটনায় রাহিনা বেগম বলেন আমাদের সব সময় হুমকি-ধামকির উপরে রেখেছে।আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।




মেহেরপুরের উজলপুর ও মনোহরপুরে আ.লীগ নেতা মান্নানের গণসংযোগ

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মেহেরপুর সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের উজলপুর ও মনোহরপুর গ্রামে গণসংযোগ করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল মান্নান।

গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে এ গণসংযোগ করেন। এসময় তিনি আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। গনসংযোগকালে শ্রমিক লীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল উপস্থিত ছিলেন।




দর্শনা কেরুজ ডিষ্টিলারীতে ৪৩৮ কোটি টাকার মদ বিক্রির রেকর্ড

কেরুজ কম্পেলেক্সের ৪ ইউনিটের মধ্যে চিনিতে লোকসান হলেও লাভ করেছে বাকি তিনটিতে। কেরুজ ডিষ্টিলারীতে মদ বিক্রিতে রেকর্ড। মদ উৎপাদন বৃদ্ধিতে স্থাপন করা হয়েছে অটো মেশিন। এ অটো মেশিনে অল্প কয়েকদিনের মধ্যে উৎপাদন শুরু করবে। এতে করে বৃদ্ধি পাবে উৎপাদন। যে কারণে দেশের মদ বিক্রি কেন্দ্র গুলোতে মদের চাহিদা পূরণ করে দ্বিগুনেরো বেশি মুনাফা অর্জনে সক্ষম হবে প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানটি বরাবরের মত এবারো মদ বিক্রিতে ইতিহাসের সর্বোচ্চ রেকর্ড করেছে।

২০২২-২৩ অর্থ বছরে প্রতিষ্ঠানটি ৪৩৮ কোটি ৯১ লাখ টাকার মদ বিক্রি করেছে। প্রতিষ্ঠানটি শুধুমাত্র মদ বিক্রি থেকে লাভ করেছে ১৫৫ কোটি টাকা। বিক্রির ১৪৫ কোটি টাকা সরকারি রাজস্ব দিয়েও চিনি কারখানায় প্রায় সাড়ে ৬৮ কোটি টাকা লোকসান পুষিয়ে মূল মুনাফা প্রায় সাড়ে ৮০ কোটি টাকা প্রতিষ্ঠানের খাতায় জমা হয়েছে। যা কোম্পানির ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিক্রির রেকর্ড।

কেরু এ্যান্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোশাররফ হোসেন এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে শুধু ডিস্টিলারি ইউনিট থেকে কোম্পানি সর্বোচ্চ এ্যালকোহল (মদ) বিক্রি করেছে। যা ৫৭ লাখ ৭৩ হাজার প্রুফ লিটার মদ বিক্রি হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ প্রুফ লিটার বেশি। ২০২১-২২ অর্থ বছরে হঠাৎ চাহিদা বাড়ায় সেই বছর ১০ লাখ প্রুফ লিটারের বেশি মদ বিক্রি করে কোম্পানিটি।

তিনি জানান, এ বছর ডিস্টিলারি বিভাগ থেকে ৫৯ লাখ ৬৭ হাজার লিটার মদ উৎপাদন হয়েছে। এরমধ্য ১৬ লাখ ৪২ হাজার ৬১৯ লিটার বিলেতি মদ ও ৩২ লাখ ৮০ হাজার ২২০ লিটার বাংলা মদ উৎপাদন হয়।

কেরু এ্যান্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোশাররফ হোসেন যোগদানের পর থেকে এ মিলটি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আগামীতে আখের মৃল্য বৃদ্ধি করার ফলে আগামীতে আখ চাষ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। ১৯৩৮ সালে চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনায় প্রতিষ্ঠিত হয় কেরু এ্যান্ড কোম্পানি। বর্তমানে ছয়টি ইউনিটে চিনি, ডিষ্টিলারি, ফার্মাসিউটিক্যালস, বাণিজ্যিক খামার, আকন্দবাড়িয়া খামার (পরীক্ষামূলক) এবং জৈব সার উৎপাদন করছে প্রতিষ্ঠানটি। এরমধ্যে শুধু ডিস্টিলারি (মদ) ইউনিটই লাভজনক।

সূত্র জানায়, ২০২১-২২ অর্থ বছরে ৪২৯ কোটি ৩৫ লাখ টাকা বিক্রি করে প্রতিষ্ঠানটি। ওই বছর রাজস্ব আদায় ও কোম্পানি পরিচালনাসহ সব খরচ বা ৪৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা লাভ করে। ২০২০-২১ অর্থ বছরে ৩১৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকার মদ বিক্রি করে কোম্পানি। ওই বছর লাখ হয় ১৪ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।