দামুড়হুদার দর্শনা সার্কেল অফিস পরিদর্শনে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার

দর্শনায় দামুড়হুদা সার্কেল অফিস বার্ষিক পরিদর্শন করেছে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন দর্শনা সার্কেল অফিস পরিদর্শন করেছে।

গতকাল বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে দর্শনা বাসস্ট্যান্ড রশিক শাহার মাজার সংলগ্ন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জাকিয়া সুলতানার (দামূড়হুদা, দর্শনা, জীবননগর) সার্কেল অফিস বার্ষিক পরিদর্শন করেন।

এসময় পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন মাসের সকল রেজিস্টার রক্ষণাবেক্ষণ ও দাপ্তরিক কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। উপস্থিত অন্যান্য পুলিশ অফিসার ও সদস্যদের কর্মপরিবেশ, আবাসন, লজিস্টিক কল্যাণের পাশাপাশি নিজেদের উপর অর্পিত সরকারি দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করার জন্য প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।

এ সময় পুলিশ সুপার দামূড়হুদা ও দর্শনা এলাকার জনসাধারণ, ব্যবসায়ী ও দোকানদারদের সাথে সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ করেন। জনগণের সাথে পুলিশের দূরত্ব কমিয়ে তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী পুলিশি সেবা নিশ্চিত করার মানসে তিনি এ উদ্যোগ গ্রহণ করেন। সকল শ্রেণী পেশা মানুষের মাঝে অবস্থান করে তাদেরকে সাথে নিয়ে স্ব স্ব থানা এলাকার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। পাশাপাশি যে কোন আইনি প্রয়োজনে ক্যাম্প, ফাড়ি, তদন্ত কেন্দ্র, থানা, সার্কেল অফিস ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে যেতে পরামর্শ প্রদান করেন। তাছাড়া সেবাগ্রহীতাদের সাথে সর্বদা ভালো ব্যবহার ও সহযোগিতা প্রদানের জন্য তিনি থানার অফিসার ইনচার্জসহ সকল পুলিশ সদস্যকে নির্দেশনা প্রদান করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন দামূড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আলমগীর কবির, দর্শনা থানার তদন্ত ওসি আমানুল্লাহ, জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এস এম জাবীদ হাসান দর্শনা, থানার সেকেন্ড অফিসার খান রহমান,দামুড়হুদা এবং জীবননগর সার্কেল অফিসের কর্মরত অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।




ঐতিহ্যবাহি লাঠি খেলার আনন্দে মাতোয়ারা পল্লি জনপদের মানুষ

ঢাক ঢোল -খোল ঝুমুর কাশি-লাঠিখেলা ভালবাসি দর্শনায় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহি লাঠি খেলার আনন্দে পল্লি জনপদের মানুষ।

গতকাল বুধবার ২ আগষ্ট দিন ব্যাপি হয়ে গেল গ্রাম বাংলার প্রায় হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহি লাঠি খেলা।

চুয়াডাঙ্গা জেলার এক মাত্র লোকজ সাংস্কৃতিক সংগঠন দর্শনা বাউল পরিষদের আয়োজনে লাঠি খেলোয়াড়েরা তাদের শারিরীক বিভিন্ন কসরত প্রদর্শন করে।ঢোল খোল ঝুমুর কাশি– আর চড়বড়ি বাদ্যের তালে তালে নেচে নেচে গ্রাম জনপদের সাধারন ও সব বয়সি মানুষের আনন্দের জোয়ারে ভাসিয়ে তোলেন। সাথে উপস্থিত সাধারন ও উৎসুক জনতাও হাতে তালি দিয়ে খেলোয়াড়দেরকে উৎসাহ যোগায়। দর্শনা এলাকার শৈলমারি, উজলপুর, উজলপুর মাঠপাড়া, আকন্দবাড়িয়া, সিংহনগর রাঙিয়ারপোতা গ্রামের চৌরাস্তামোড়,হাটমোড় বড় উঠানে খেলোয়াড়েরা লাঠি খেলা দেখায়। লাঠি খেলা দলের ওস্তাদ পিন্টু ফকির ও খোকা বিশ্বাস জানায় প্রতিবছর শ্রাবন মাসের এই দিনে গুড়ি গুড়ি বৃস্টি উপেক্ষা করে ঐতিহ্যবাহি সংগঠন বাউল পরিষদের সদস্যরা এ অন্চলের মানুষদের বিনোদন দিতে লাঠিখেলা করে থাকেন,যে খেলাটি মানুষের খুবই আনন্দের খোরাক যুগিয়ে থাকে।

দামুড়হুদা আঃ ওদুদ শাহ্ ডিগ্রী কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক মিজানুর রহমান মন্ডল ও চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত অধ্যাক্ষ মুন্সি আবু সাইফ জানান জেলার একমাত্র লোকজ সাংস্কৃতিক সংগঠন “বাউল পরিষদের কর্মি খেলোয়াড়েরা শুধুমাত্র লাঠি খেলা দেখিয়ে এলাকায় বেশ সুনাম অর্জন করেছে।

বাউল পরিষদের সভাপতি ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের লোকসংগীত শিল্পী ধীরু বাউল জানালেন সংগঠনটি প্রায় দু যুগ (২৪ বছর) সময় ধরে গ্রামবাংলার হারিয়ে যাওয়া লাঠি খেলা, জারিগান,ঝাপানগান, লালন, বাউল ভাব বিচ্ছেদ সহ লোকসংস্কৃতির বিভিন্ন ধারা নিয়ে সুনামের সাথে চর্চা প্রচার ও প্রসার করে চলেছে।

চুয়াডাঙ্গা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারন সম্পাদক মুন্সি আঃ মান্নান জানান সংগঠনটিকে সহযোগিতা ও বাচিঁয়ে রাখতে আমাদের সকলেরই এগিয়ে আসা দরকার, তিনি বলেন ১৯৯৯ সালে স্হাপিত ” মুক্তি যুদ্ধের চেতনায় অবিকল অবিচল” শ্লোগান নিয়ে লোকজ সংগঠন বাউল পরিষদের পথচলা। এখানে সরকারি সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়ানো হলে সংগঠনটি বাংলার আদি সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস।




আলমডাঙ্গায় বাড়ি করতে গিয়ে হয়রানির শিকার হয়ে সংবাদিক সম্মেলন

আলমডাঙ্গা থানাপাড়ায় ক্রয়কৃত সম্পত্তির ওপর বাড়ি করতে গিয়ে কতিপয় প্রতিবেশীর হয়রানীর শিকার হওয়ার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আসাদুল হক।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আসাদুল হক বলেন, তার স্ত্রী মোছাঃ রাশেদা খানমের নামে আনুমানিক ২৫ বছর আগে রওশন আলী ও বাবুর কাছ থেকে থানাপাড়ায় দুই দাগে একতলা বাড়িসহ ৮ শতক ৫৬ পয়েন্ট জমি ক্রয় করি।
৭২ নং গোবিন্দপুর মৌজায় ১ নং ওয়ার্ডের থানাপাড়ায় অবস্থিত সিএস ১৮১০ এবং ৪৭৩৭ দাগে ৬ শতক ওই ৩৮৩১ দাগে ২ শতক ৫৬ পয়েন্টসহ দুই দাগে মোট ৮ শতক ৫৬ পয়েন্ট জমি। জমিসহ ক্রয়কৃত বাড়িতে আমরা পঁচিশ বছর ধরে বসবাস করে আসছি। সম্প্রতি একতলা ভেঙে জমিটিতে ৬ তলা বিশিষ্ট একটি বাড়ি নির্মান কাজ শুরু করেছি। এ লক্ষে আলমডাঙ্গা পৌরসভায় বাড়ির নকশা অনুমোদনের আবেদন করেছি।

তিনি জানান, বাড়ি নির্মাণ কাজ শুরু করার পরপরই সরকারি জমিতে বসবাস করতে থাকা আমার প্রতিবেশী মিজানুর রহমান ও রিজু আহমেদ আমার ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় মিথ্যারচার ছড়িয়ে বেড়াতে শুরু করে। তারা বলে বেড়ায় আমি সরকারি জমিতে নাকি বাড়ি নির্মাণ করছি।

তিনি আরো জানান, যে জমির বিষয়ে তারা অভিযোগ করছে সেটি আমার বাড়ির পিছনে । ১১ শতক ৩১ পয়েন্ট সরকারী এপি সেই সম্পত্তির মধ্যে মিজানুর রহমান ৫ শতক ৩১ পয়েন্ট, রিজু আহমেদ ৫ শতক ও আমার স্ত্রী রাশেদার খানমের নামে ১ শতক লীজ নেওয়া। তারা সরকারি ওই এপি সম্পত্তি অনেক আগে থেকেই ভোগদখল করে আসছেন। আমার ক্রয়কৃত নিজ বাড়ির পূর্বদিকে ১ শতক সরকারি এপি সম্পত্তিতে বাগান রয়েছে। আমি এপি সম্পত্তিতে বাড়ি নির্মাণ করছি না।

আসাদুল হক বলেন, কেবলমাত্র হিংসার বশবতি হয়ে একটি কুচক্রিমহল আমাকে ও আমার পরিবারকে সামাজিকভাবে হয়রানি করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। এ অবস্থায় প্রতিপক্ষরা আলমডাঙ্গা ভুমি অফিসে অভিযোগ দেয়। ভুমি অফিসের কর্মকর্তারা একাধিকবার সার্ভেয়ারসহ ঘটনাস্থল মাপজোক করে প্রতিপক্ষদের এপি সম্পত্তি বুঝিয়ে দিয়ে যান। উল্লেখিত ১১৩১ দাগের জমিতে আমি কোন বসতবাড়ি করছি না।

আসাদুল হক জানান, আমি আমার নিজ উদ্যোগে চার দফা আমিন ডেকে মাপজোক করে আমার জমি বুঝে নেই। তৃতীয় দফায় এসপি মহোদয়, পৌর মেয়র মহোদয় ও ওসি মহোদয়ের অনুমতিক্রমে খুলনা থেকে আমিন এনে মাপজোক করে প্রতিপক্ষদের জমি বুঝিয়ে দেন। এপি’র ১১ শতক ৩১ পয়েন্ট দাগের সম্পত্তির দলিল ও রেকর্ড থাকা সত্বেও ভুলক্রমে আমার ৬ শতক জমির মধ্যে ম্যাপ কাটা পড়ে। ওই ম্যাপে আনুমানিক ১ শতক ১০ পয়েন্ট জমি ম্যাপে ওঠে। আমি আমার ম্যাপ সংশোধনের জন্য আদালতে আবেদন করেছি। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। বাড়ির একতলার ঢালাই সম্পন্ন হওয়ার পরও বিতর্ক এড়াতে এসি ল্যান্ড মহোদয়ের নির্দেশে বাড়ির কাজ আপাতত বন্ধ রেখেছি।

তিনি সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনের নিকট ন্যায় বিচার প্রার্থনা করেছেন।




বারাদী বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কাউছার আহমেদের ইন্তেকাল

মেহেরপুর সদর উপজেলা বারাদী বাজারের বিশিষ্ট সার ব্যবসায়ী বিসিআইসির সার ডিলার ও খোকা এগ্রো ফার্ম এর স্বত্বাধিকারী কাউছার আহমেদ ইন্তেকাল করেছেন।

গতকাল বুধবার রাত ৮.১০ মিনিটের সময় বারাদী বাজারস্ত নিজ বাস ভবনে ইন্তেকাল করেন। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ মরণঘাতী ব্যাধি ক্যান্সারে ভুগছিলেন। ভারত থেকে চিকিৎসা নিয়ে তিনি নিজ বাসভবনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বুধবার রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

কাওছার আহমেদের মৃত্যু সংবাদে এক পলক দেখার জন্য বারাদী বাজারের ব্যবসায়ীসহ আশেপাশে গ্রামের সুধীজন তাকে দেখতে বারাদী বাজারস্থ বাসভবনের সামনে ভিড় জমান। পরে তার লাশ তার শ্বশুর গ্রাম সিংহাটিতে নেওয়া হয়।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে তার নিজ গ্রাম গাংনী থানাধীন সানঘাটে জানাজা নামাজ শেষে দাফন করা হবে বলে জানা যায়। মরহুম কাওছার আহম্মেদ সিংহাটি পশ্চিম পাড়ার বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও সমাজ সেবক অলি মহাম্মদের বড় জামাতা।




চুয়াডাঙ্গায় বিষপানের ১৩ দিনের মাথায় কিশোর হাসান আলীর মৃত্যু

চুয়াডাঙ্গায় বিষপানের ১৩ দিনের মাথায় যুবক হাসান আলী মন্ডল (১৭) নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।

গতকাল বুধবার বিকালে নিজ বাড়িতে মৃত্যু বরণ করেন। সে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের বাগানপাড়ার বাসিন্দা ও সাইদুর মন্ডলের ছেলে।

জানাগেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের বাগনপাড়ার সাইদুর মন্ডলের ছেলে হাসান আলী মন্ডল (১৭) পারিবারিক কলহের জেরধরে গত ২০ জুলাই আগাছানাশক (বিষ) পান করে। সে অসুস্থ হয়ে পড়লে বাড়ির লোকজন তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।

এ চিকিৎসার একপর্যায় তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন এবং সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে গত ২৩ জুলাই নিজ বাড়ীতে নিয়ে আসেন। গতকাল বুধবার বিকাল ৫ টার দিকে নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন।




দামুড়হুদায় জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে প্রস্তুতি মূলক সভা

দামুড়হুদায় ১৫ আগষ্ট স্বাধীনতার মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৮ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০২৩ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের লক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার সময় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে পরিষদের সম্মেলন কক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজল কুমার দাস এর সভাপতিত্বে প্রস্তুতিমূলক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাহিদা খাতুন, উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন আক্তার, দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি অপারেশন শফিউল আলম, দর্শনা থানার ওসি অপারেশন নিরব, দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মো: শহিদুল ইসলাম, উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুর রসিদ, উপজেলা সমবায় অফিসার হারুন অর রশীদ, উপজেলা পাট অফিসার রিয়াজুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হোসনে জাহান, উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা ফয়জুল ইসলাম, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস, কুড়ালগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন, নাটুদাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, দর্শনা সরকারি কলেজের প্রভাষক নজরুল ইসলাম, দশমী বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলেয়া বিলকিস, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন, উজিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুন্নাহার, বীর মুক্তিযোদ্ধা সহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা বৃন্দ, উপজেলার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক বৃন্দ, সুধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




গাংনীর মাদক ব্যবসায়ীর ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড

মেহেরপুরে একটি মাদক মামলায় অপরাধ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় জাহাঙ্গীর আলম নামের এক মাদক ব্যাবসায়ীকে ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
গতকাল বুধবার মেহেরপুরের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আবু বকর সিদ্দিক এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে আসামীর ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদাণ করেছেন।
দণ্ডিত জাহাঙ্গীর আলম (৪৩) গাংনীর রামকৃষ্ণপুর ধলা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।




হোটেল আটলান্টিকা কান্ডের মামলার বাদীকে হুমকী, থানায় জিডি

মেহেরপুরের বহুল আলোচিত হোটেল আটলান্টিকা কাণ্ড মামলার বাদীকে আদালতে হাজির হতে বাধা প্রদান ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়াতে মেহেরপুর সদর থানায় সাধারন ডায়রি (জিডি)করেছেন বাদী মোঃ মনোয়ার হোসেন।

গতকাল বুধবার বেলা ১১ টার দিকে মনোয়ার হোসেন সদর থানায় এ জিডি করেন। যার নম্বর-৯৯।

জিডিতে বাদী জানান, হোটেল আটলান্টিকা কান্ডে মেহেরপুর সদর থানার জিআর মামলা নং-৪২৯/২০২২ এর হাজিরা দিতে আসলে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভবনের মূল গেটের সামনে মামলাটির চার্জশিট ভুক্ত ১ নং আসামী নাজনিন খান প্রিয়াসহ অজ্ঞাত আরও ৪/৫ জন তার গতিরোধ করে আদালতে হাজিরা দিতে নিষেধ করাসহ হোটেল আটলান্টিকা কান্ড মামলাটি প্রত্যাহার করে নিতে বলে। অন্যথায় মিথ্যা মামলায় জড়ানো সহ প্রাণনাশেরও হুমকি প্রদান করে ।

মনোয়ার হোসেন মেহেরপুর প্রতিদিনকে জানান, তিনি নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার স্বার্থে বিষয়টি সদর থানায় অবহিত করে একটি সাধারন ডায়েরী (জিডি)করেছেন।




গাংনীর বিভিন্ন গ্রামে এম এ খালেকের গণসংযোগ

বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের উন্নয়ন,অগ্রগতি, দেশ পরিচালনায় দক্ষতা ও সাফল্য এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধিতে গণসংযোগ করেছেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ খালেক।

বুধবার বিকেলে বিভিন্ন এলাকার তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে গণসংযোগ করেন। গণসংযোগের সময় সঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলে গাংনী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসিফ ইকবাল অনিক, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইমরান হাবিব, স্বেচ্ছাসেবক লীগের আশিকুজ্জামান পিন্টুসহ অনেকে।

এমএ খালেক প্রথমে গাংনী উপজেলার ভাটপাড়া বাজার, নওপাড়া বাজার ও পরে সাহারবাটী বাজারের জনগুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন জায়গায় জনসংযোগ করেন। ওই সকল জায়গার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে চায়ের দোকানসহ বিভিন্ন দোকানে গিয়ে সরকারের সাফল্য তুলে ধরেন।

এসময় এমএ খালেক বলেন, বর্তমান সরকার জনগনের সকল চাহিদা পুরুন করে প্রসংশিত হয়েছে। গৃহহীন পরিবারকে করে দিয়েছেন পাকা বাড়ি, ভুমিহীনকে দিয়েছেন মাথা গোজার ঠাঁই। যা কোন সরকারের আমলেই সম্ভব হয়নি। বড়বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করে দেশকে পৌঁছে দিয়েছে উন্নয়নের শিখরে। লাখোলাখো অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে বহিঃবিশ্বে মানবতার মা হিসেবে খ্যাতি পেয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। নিম্ন আয়ের বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশের রূপান্তরিত করার প্রত্যয়ে কাজ করে চলেছে। বড়বড় মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে সকল শ্রেনী পেশার মানুষের মাঝে জায়গা করে নিয়েছে৷ আওয়ামিলীগ সরকার। এসকল উন্নয়ন অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে হলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে নৌকা মার্কায় ভোট দিতে হবে। আবারো নৌকাকে বিজয়ী করতে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের একযোগে কাজ করার আহবান জানান মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ খালেক। সরকারের সাফল্য তুলে ধরতে জেলার গ্রামে গ্রামে গণসংযোগ অব্যাহত রাখবেন বলে জানান তিনি।




কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের মতবিনিময় সভা

দামুড়হুদা উপজেলা কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে  বুধবার বিকাল ৫ ঘটিকার সময় দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনসুর বাবু।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজীর আহমেদ, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুর রহমান মুকুল, মোখলেছুর রহমান রিপন, দামুড়হুদা উপজেলার আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি শহিদুল হক, ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী, ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ইলিয়াস মালিতা,৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল সর্দার, ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজ কচি, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান,২ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মো মুকুল, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সানাউল কবির শিরিন সহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ সহ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন দ্রুত কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় মেরামতের ব্যবস্থা করা হবে বলে আশ্বাস দেন আরও বলেন এলাকায় যেসমস্ত রাস্তায় জলাবদ্ধতা আছে সেগুলো দ্রুত নিরসন করা হবে জানা যায়।