মেহেরপুরে জেলা বিএনপির জনসমাবেশ

গত ২৯ শে জুলাই ঢাকার প্রবেশপথে বিএনপি ঘোষিত শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের আক্রমণ, হামলা, নির্যাতন ও গণ গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে মেহেরপুরে জেলা বিএনপির জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার  বিকালে মেহেরপুর জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এই জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুনের সভাপতিত্বে ও পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাসের সঞ্চালনায় জনসমাবেশে বক্তব্য রাখেন,জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন, সহ-সভাপতি জাবেদ মাসুদ মিলটন,আব্দুর রহমান, আলমগীর খান ছাতু, জেলা বিএনপি যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক ফয়েজ মোহাম্মদ, মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আমিরুল ইসলাম, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম,জেলা যুবদলের সভাপতি জাহিদুল হক জাহিদ প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে মাসুদ অরুন বলেন, ‘এমপিত্ব চাইনা শেখ হাসিনার পদত্যাগ চাই। এমপি, মন্ত্রী অনেক হয়েছে। এখন সময় এসেছে বিএনপির সকল নেতৃবৃন্দের এক হওয়ার। আমি আহবান জানাই বিএনপির সকল নেতাকর্মী এক হয়ে রাজপথে নামবে।’

ক্ষমতাসীন দলকে উদ্দেশ্য করে মাসুদ অরুন আরো বলেন বলেন, ‘আপনাদের ডিএসবি, এনএসআই, গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে খোঁজ নিয়ে দেখুন দিনের আলোয় ভোট হলে আওয়ামী লীগ শতকরা ১০% ভোটও পাবে না। আজকের এই সমাবেশে আমি আপনাদের ভয় দেখাতে চাই না, কারণ আমি জানি প্রদীপ নিভে যাওয়ার আগে একবার দপ করে জ্বলে ওঠে। আমরা শুধু বলতে চাই ঘরে বসে কমিশনের টাকা খেয়ে যারা বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন, একটা জিনিস শুধু মনে রাখবেন যদি রাস্তায় নামতে বাধ্য করেন, যদি হাজার হাজার মানুষ নিয়ে রাস্তায় নামি, যারা আমার মানুষকে কষ্ট দিচ্ছেন, ষড়যন্ত্র করছেন লুটপাট করেছেন, আমি বলছি তাদের সকলের বাড়ি ঘর ঘেরাও করে সকল অপরাধের হিসাব নেব। আমাদের সকল নেতা আজকে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছি, প্রতিদিন আমাদের ঐক্য বাড়ছে, আর আপনারা হালুয়া রুটি ভাগ করতে যেয়ে দলকে সাত ভাগে ভাগ করে ফেলেছেন।’




বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী পরিষদের মেহেরপুর সদর উপজেলা ও মুজিবনগর উপজেলা কমিটি গঠন

বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী পরিষদের মেহেরপুর সদর উপজেলা ও মুজিবনগর উপজেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আজ সোমবার সন্ধ্যায় স্টেডিয়ামপাড়াস্থ অস্থায়ী জেলা কার্যালয়ে কমিটি গঠন উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী পরিষদের জেলা শাখার সভাপতি রেহেনা মান্নানের সভপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল মান্নান। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন মেহেরপুর জেলা পরিষদের সদস্য ইমতিয়াজ হোসেন মিরন, আজিমুল বারী মুকুল।

আলোচনা শেষে ইমতিয়াজ হোসেন মিরনকে সভাপতি ও নাজমুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে সদর উপজেলা কমিটি এবং আজিমুল বারী মুকুলকে সভাপতি করে মুজিবনগর উপজেলা কমিটি গঠণ করা হয়েছে। নতুন এ কমিটি আগামী তিন বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করবেন। আাগামী এক মাসের মধ্যে পুর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে অনুমোদন নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।




গাংনীতে বাড়ির পথে প্রতিবেশীর বেড়া

জমিজায়গা সংক্রান্ত ঝামেলার কারণে বাড়ির পথে বেড়া দিয়েছেন প্রতিবেশীরা। এতে বেশ কিছু দিন ধরে বিড়ম্বনার শিকার একটি পরিবার। অভিযোগ রয়েছে বাড়ি থেকে রাস্তার পথের দুদিকে শক্ত করে বাঁশ আর পাটকাঠি দিয়ে প্রতিবেশীর বেড়া দেওয়ায় সহোযোগিতা করেছেন স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েকজন। তবে প্রভাবশালীদের দাবি অভিযোগ মিথ্যা।

ঘটনাটি মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজিপুর গ্রামে। দীর্ঘদিন ধরে পৈত্রিক ভিটায় বসবাস করছেন মৃত মজির উদ্দিনের ছেলে মোয়াজ্জেল হক ও তার পরিবার। হঠাৎ করে বাড়ির পথে প্রতিবেশীরা বেড়া দেওয়ায় সীমাহীন সমস্যায় পড়েছেন তিনি।

মোয়াজ্জেল হক বলেন, আমাদের ৫ শরিকের মোট জমি ৩৮ শতক। এক শরিকের ভাগে আমি পাবো সাড়ে ৭ শতক। আমাদের সামনে থাকা আরেক শরিকের জমি ক্রয় করেছিল আবুল কাশেম (এখন মৃত)। মৃত আবুল কাশেমের বাড়ির সামনে দিয়ে আমাদের বাড়ি থেকে রাস্তায় বের হওয়ার গলিপথ। হঠাৎ করেই সেই পথটি আটকে দিয়েছে তারা। যার ফলে আমরা খুব অসুবিধায় পড়েছি। বাঁশ ঝাড়ের পাশ দিয়ে পুকুরের কাঁদা পানির মধ্যে দিয়ে খুব কষ্টে বাড়িতে যেতে হচ্ছে। আমাদের বাড়ির পিছনে তাদের জমি রয়েছে সেই জমিতে যাওয়ার জন্য আমাদের বাড়িঘর ভেঙে তারা এখন অন্যায়ভাবে পথের দাবি করছে।

মোয়াজ্জেল হকের ছেলে পলাশ হোসেন বলেন, এটা আমাদের বাপদাদার সম্পদ। বাইরের একজন এসে এখানে জমি কিনেছে। আমাদের বাড়ির পিছনে আরেকটি জমি কিনে এখন বাড়িঘর ভেঙে পথ চেয়ে বসছে। না দেওয়ায় এখন অন্যায় ভাবে পথ চেয়ে আমাদের পথ আটকে দিয়েছে। বাড়ি থেকে বের হয়ে গরুর ঘাস নিয়ে আসা থেকে শুরু করে সবকাজে খুব অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। আমার নিজের জমিতে পথ অথচ প্রভাবশালীদের ক্ষমতার বলে পথটি আটকে হুমকি দিচ্ছে। আমরা খুব সমস্যার মধ্যে আছি এবং তাদের আইনের বিচার দাবি করছি।

পলাশ হোসেনের মা ও মোয়াজ্জেল হকের স্ত্রী বলেন, আমার শ্বশুরদের জমিতে সাড়ে ৭ শতক কিনে আবুল কাশেম। আবুল কাশেম মারা গেছে আর তার ছেলে ইলিয়াস বিদেশে রয়েছে। কিন্তু নাহিদা (ইলিয়াসের স্ত্রী) তার ভাই এবং এলাকার কিছু প্রভাবশালী লোকদের হাত করে আমাদের ওপর অন্যায় করছে। আমরা বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না। কাজকর্ম করতে পারছি না। বের হওয়ার পথ আটকে দিয়েছে লাঠিয়াল লোকজন নিয়ে এসে।

তবে বিষয়টি নিয়ে পথ আটকানো প্রতিবেশীদের কোন বক্তব্য না থাকলেও তাদের হয়ে স্থানীয় কয়েকজন জানান, মৃত আবুল কাশেমের জমি রয়েছে প্রথমে এবং শেষে। মাঝখানে রয়েছে মোয়াজ্জেল হক। মোয়াজ্জেল হককে সামনে পথ দিতে তাদের শর্ত হচ্ছে পিছনে মৃত আবুল কাশেমের জমিতে যাওয়ার জন্য মোয়াজ্জেল হকের জমির ওপর দিয়ে তাকেও পথ দিতে হবে।

বিষয়টি নিয়ে কাজিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুহা. আলম হুসাইন বলেন, বিষয়টি নিয়ে পরিষদে একটি অভিযোগ আসলে আমি স্থানীয় ইউপি সদস্যকে পাঠায় যাতে ওই পরিবারটির যাতায়াতের পথটি খুলে দেওয়া হয়। কিন্তু প্রতিপক্ষের লোকজন ইউপি সদস্যের সাথে খারাপ আচরণ করেছে। বিষয়টি যাতে সঠিক মিমাংসা হয় সেটি আমি দেখবো।




জীবননগরে যুব উদ্যোক্তাদের মাঝে সম্মাননা স্মারক প্রদান 

সোমবার সকাল ১১ টার সময় জীবননগর ইয়ুথ এসেম্বলির আয়োজনে উপজেলা হলরুমে এই সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মো. আলী আজগার টগর।

ইয়ুথ এসেম্বলির সভাপতি মিথুন মাহমুদের সভাপতিত্বে ও ওয়েভ ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা আব্দুল আলীম সজলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেসিআই এর পরিচালক মুনতাসির আজগার আকাশ।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মো. হাফিজুর রহমান, জীবননগর পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম, সাবেক পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সুলতানা লাকি, জীবননগর প্রেস ক্লাবের সভাপতি মুন্সী মাহবুবর রহমান বাবু, সাধারণ সম্পাদক কাজী শামসুর রহমান চঞ্চল, উথলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান, মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন, রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মির্জা তাহাজ্জত হোসেন, কেডিকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল বাসার শিপলু, সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিল্টন মোল্লা, উথলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোবারক সোহেল আহম্মেদ প্রদীপ, সাংবাদিক মাজেদুল মিল্টন, জামাল হোসেন খোকন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ৩৫০ জন যুব সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে উপজেলার ৫ জন সফল যুব উদ্যোক্তাদের মাঝে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়




মস্তিষ্কের সুরক্ষায় করুন নিয়মিত শরীরচর্চা

দেহ সুস্থ-সবল রাখতে ব্যায়ামের জুড়ি নেই। এর বাইরে নতুন খবর হলো ব্যায়াম করলে মস্তিষ্কের ভেতরের কোষদের মধ্যকার যোগাযোগ বাড়ে। এতে ডিমেনশিয়ার মতো সমস্যা সহজেই প্রতিরোধ করা সম্ভব। বিশেষত নিয়মিত ব্যায়াম করেন এমন বয়স্ক মানুষরা মানসিক ব্যাধিতে কম আক্রান্ত হন।

এ বিষয়ে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত মেমরি অ্যান্ড এজিং সেন্টারে কর্মরত নিউরোলজি বিশেষজ্ঞ প্রফেসর কেইটলিন ক্যাসেলেটো জানান, ‘মানুষের বুদ্ধিবৃত্তিক কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রে সিন্যাপ্স সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমাদের মানসচিন্তা এবং স্মৃতি মূলত এই সিন্যাপসেরই প্রভাবপ্রসূন ফল।’

কেইটলিনের গবেষণা থেকে জানা যায়, শরীরচর্চা আমাদের মস্তিষ্কে ডিমেনশিয়ার আশঙ্কা ৩০ থেকে ৮০ শতাংশ হ্রাস করে। তিনি জানান, ‘মস্তিষ্কের জটিল গঠনের কথা বিবেচনা করে দেখলে, সুস্থ শরীরচর্চা মস্তিষ্কে কিছু স্বাভাবিক সিগন্যাল প্রদান করে। এতে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা এবং সুস্থতা নিশ্চিত হয়।’

এক্ষেত্রে প্রোটিন ব্যবস্থাপনই আসল
মূলত মস্তিষ্ক সিন্যাপসের মাধ্যমে নিউরন থেকে নিউরন এবং দেহের অন্যান্য অংশের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে। তাই ক্রমশ ধুকতে শুরু করা বা ক্ষয়প্রাপ্ত প্রোটিনের প্রতিপূরক জরুরি হয়ে পড়ে। কেইটলিন এক পর্যায়ে জানান, ‘আমাদের মস্তিষ্কে বিভিন্ন ধরনের প্রোটিন পাওয়া যাবে। প্রতিটি প্রোটিনই ভিন্ন ভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে।’

এই প্রক্রিয়াতেই মস্তিষ্ক নিজেকে পুনর্বিন্যস্ত করার সুযোগ পায়। ফলে মস্তিষ্ক সুস্থ থাকে। আলজেইমার কিংবা ডিমেনশিয়ার ক্ষতি হ্রাস করতে শারিরীক কসরতের ভূমিকা অপরিসীম। বিশেষত বয়স্ক যারা তাদের সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট শারিরীক ব্যায়াম বা কার্যক্রমে নিজেকে জড়ানো উচিত। তবে যেকোনো ব্যায়াম করলেই ফলাফল পাওয়া যাবে এমন না। কেইটলিনের গবেষণা জানায়, বয়সের উপর ভিত্তি করে ফলাফল বিভিন্ন হতে পারে। তবে সচরাচর এমন ব্যায়ামই খুঁজে নেয়া উচিত যা আনন্দদায়ক। বিশেষত বয়স্কদের উচিত নতুন কোনো ব্যায়াম শুরু করা। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সাথে প্রথমে পরামর্শ করে নিতে হবে।

এই বিষয় নিয়ে আরো গবেষণা হচ্ছে। তবে ডিমেনশিয়া কিংবা বিভিন্ন মানসিক ব্যাধি প্রতিরোধে শারিরীক কার্যক্রম এবং ভালো লাগার সম্পর্ক জরুরি। একইসঙ্গে খাদ্যতালিকায় প্রোটিনের মাত্রা বৃদ্ধি এবং সুষম বণ্টন নিশ্চিত করতে হবে। এতে যেকোনো বয়সেই (বিশেষত বয়স্কদের) মানসিক ব্যাধি প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।

 সূত্র: ইত্তেফাক




সরকারি খাসজমি উদ্ধারে দামুড়হুদা ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা পান্না মিয়াকে সংবর্ধনা

সরকারি খাসজমি উদ্ধারে বিশেষ অবদান রাখায় দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন (ভূমি) সহকারী কর্মকর্তা পান্না মিয়াকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।

আজ সোমবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা জেলা মাসিক রাজস্ব সভায় তাকে সংবর্ধনা দেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মাসিক রাজস্ব সভায় এসময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ আরাফাত রহমান সহ জেলা রাজস্ব প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ।

উল্লেখ্য, এই কর্মকর্তা ইতোপূর্বেও ভূমিসেবা সপ্তাহ ২০২৩ উপলক্ষে দামুড়হুদা উপজেলার মধ্যে সর্বোচ্চ ভূমি উন্নয়ন কর আদায়কারী হিসেবে ১ম স্থান অধিকার করেন। সে সময় তাকে দামুড়হুদা উপজেলা ভুমি প্রশাসনের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্বারক ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। তিনি গত কয়েকদিন আগে দামুড়হুদা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অধিনে ১.৫৫একর সরকারি খাসজমি উদ্ধার করেছেন।




চুয়াডাঙ্গায় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলার শুভ উদ্বোধন

গাছ লাগিয়ে যত্ন করি, সুস্থ প্রজন্মের দেশ গড়ি প্রতিপাদ্য নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলার শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমাবার সকাল সাড়ে দশটার সময় চুয়াডাঙ্গা সামাজিক বন বিভাগের আয়োজনে এবং চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালি এবং র‍্যালি পরবর্তী আলোচনা সভা জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ড. কিসিঞ্জার চাকমার সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা ১আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার (ছেলুন)।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তারেক( প্রশাসন ও অর্থ),চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর সিদ্দিকুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ইসরাফিল হোসেন,চুয়াডাঙ্গা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সামাজিক বন বিভাগ জি এম মোহাম্মদ কবির, চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা,চুয়াডাঙ্গা জেলা মার্কেটিং অফিসার শহিদুল ইসলাম সহ চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও বন বিভাগ এবং বিভিন্ন দপ্তরের দপ্তর প্রধান গণ উপস্থিত ছিলেন।

এসময় অতিথিবৃন্দ বাড়ির আঙ্গিনা ছাদে এমন কি পতিত জমিতে গাছ লাগানোর জন্য আহবান জানান এবং গাছ লাগিয়ে গাছের উপর সঠিক ভাবে পরিচর্যা করার জন্যও আহবান জনান । অতিথিবৃন্দ জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপণ করেন এবং শিক্ষার্থীদের হাতে গাছের চারা তুলে দেন।




দুই নায়িকার দ্বন্দ্বে প্রযোজকের মাথায় হাত

টলিউডের দুই নায়িকার মধ্যে চলছে মান-অভিমান। আর তার জেড়ে ভুগতে হচ্ছে প্রযোজক রুদ্রনীল ঘোষকে। অভিনেত্রী সোহিনী সরকারের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণে ‘মাতঙ্গী’ ওয়েব সিরিজের শুটিং ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন অভিনেত্রী তৃণা সাহা। তৃণা-সোহিনী দ্বন্দ্বে ‘মাতঙ্গী’র লোকসানের চিন্তায় মাথায় হাত প্রযোজকদের।

দি টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, দুই নায়িকার ঝগড়া এতটাই চূড়ান্ত পর্যায় পৌঁছেছে যে একজন শ্যুটিং সেট ছেড়েই বের হয়ে গিয়েছেন। জানা যায়, মেকআপ আর্টিস্ট আর ভ্যান নিয়ে সোহিনী সরকার ও তৃণা সাহার মধ্যে মনোমালিন্যের সূত্রপাত হয়। বছরখানেক ধরেই সোহিনী সরকারের ব্যক্তিগত যে মেকআপ ও হেয়ার স্টাইলিং টিম, তারা সবখানে অভিনেত্রীর সঙ্গে থাকেন। ‘মাতঙ্গী’র সেটেও হাজির ছিলেন তারা। সেটা দেখেই প্রযোজনা সংস্থার কাছে আলাদা মেকআপ টিমের বায়না ধরেন টেলিপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তৃণা।

শুটিং টিমের একাংশের দাবি, তৃণা নাকি প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে এই প্রসঙ্গে ভালো করে কথা বলেননি। এমনকী পরিচালকদ্বয়ের সঙ্গেও অভিনেত্রী দুর্ব্যবহার করেন। সেটের মধ্যেই নাকি তিনি চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন। অভিনেত্রীর এমন আচরণ নিয়ে কানাঘুষাও হয়! তবে ঝামেলা আরও বাড়ে সোহিনীর একটি মেসেজে।

এদিকে আর্টিস্ট গ্রুপে সোহিনী নাকি কারো নাম না করেই লেখেন, ২০১৮ সাল থেকে নিজের যোগ্যতায় আলাদা স্টাইলিং টিম পেয়ে আসছেন তিনি। তাই অপেক্ষা করলে সময়মতো সকলের জন্যই বন্দোবস্ত হয়। আর সেই কথা চাউর হতেই নাকি অপমানিত বোধ করেন তৃণা সাহা। তারপরই শুটিং ছেড়ে বেরিয়ে যান। তিনি এও দাবি করেন যে, সোহিনীকে ক্ষমা চাইতে হবে, কিন্তু আরেক নায়িকা এতে ঘোর আপত্তি জানান।

এদিকে দুই নায়িকার দ্বন্দ্বের জেরে ঝামেলায় পড়েছে ‘মাতঙ্গী’ টিম। সিরিজটিতে ইতোমধ্যে তৃণা সাহার অর্ধেকেরও বেশি অংশের শুটিং হয়ে গিয়েছে। তাই এই মুহূর্তে নতুন কাউকে নিয়ে কাজ করাও সম্ভব নয়।

যদিও এবিষয়ে তৃণা সাহা বা সোহিনী সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা ফোন তোলেননি। এদিকে ঘটনার জেরে আটকে ‘মাতঙ্গী’ শ্যুটিং। কবে শ্যুটিং ফের শুরু হবে তা এখনও কেউ বলতে পারছেন না।




এসএসসিতে মানবিক বিভাগে সর্বোচ্চ নাম্বার পেলেন গাংনীর ওয়াসিম জাফর

গাংনীর মেধাবী শিক্ষার্থী মো: ওয়াসিম জাফর ২০২৩ সালের অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় গাংনী সন্ধানী স্কুল এন্ড কলেজে মানবিক বিভাগ থেকে অংশগ্রহণ করে ফলাফলে জিপিএ-৫ (গোল্ডেন ) পেয়ে কৃতিত্ব অর্জন করেছে।

মেহেরপুর জেলার মেধা তালিকায় সর্বোচ্চ ১১৮২ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করায় বিভিন্ন মহলে প্রশংসিত হয়েছে। তার কৃতিত্বের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আব্বাস উদ্দীন। তিনি বলেন, মোট ১৩০০ নম্বরের মধ্যে ১১৮২ নম্বর পাওয়া মানে অনেক ভাল ফলাফল। আমিও তার সাফল্য কামনা করি।

মো: ওয়াসিম জাফর গাংনী পৌর সভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা কলেজ পাড়ার সালাহ উদ্দিন প্রফেসর ও মনোয়ারা খাতুনের ছেলে। তিন ভাইবোনের মধ্যে মো: ওয়াসিম জাফর ছোট।

সে প্রথমে গাংনীর ফুলকুড়ি স্কুল ও লাইসিয়াম স্কুলে পড়ালেখা করে। পরে তাকে সন্ধানী স্কুল এন্ড কলেজে ভর্তি করা হয়।

মোঃ ওয়াসিম জাফর জানায়,তার লেখা পড়ায় অনুপ্রেরণা তার মা বাবা ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের। তবে এতো ভাল ফলাফল হয়েছে জেনে তার আগামী দিনের লেখাপড়ার আগ্রহ আরও প্রবল হয়েছে।

মো: ওয়াসিম জাফরের এ কৃতিত্বে সন্ধানী স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষকরাও তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। সেই সাথে মো: ওয়াসিম জাফরের পরিবারের পক্ষ থেকে মেধাবী শিক্ষার্থী ওয়াসিম জাফরের সুস্থতা ও মঙ্গল কামনা এবং মানবিক মানুষ হওয়ার জন্য সকলের কাছে দোয়া কামনা করেছেন।




মেহেরপুরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে মানববন্ধন

মেহেরপুরের বারাদীতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে মানব বন্ধন করেছেন বেসরকারি স্বীকৃতিপ্রাপ্ত তিনটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ।

মেহেরপুর সদর উপজেলার বর্শিবাড়ীয় মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মোমিনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মোমিনপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষিকা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা এই মানববন্ধনে অংশ নেন।

আজ সোমবার (৩১ জুলাই) দুপুর পৌনে বারোটার দিকে মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়কের বারাদী বাজারের উপর এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মোমিনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক তৌহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে দাবী দাওয়া তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন, মোমিনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেহেদী রেজা, সহকারি শিক্ষক তারেক মুসা, নাসিমা ইয়াসমীন, সালমা পারভীন, বর্শিবাড়ীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ইয়ামীন হাসান, আব্দুর সবুর প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, একই কারিকুলামে শিক্ষাদানসহ একই নিয়ম মেনে শিক্ষকতা করা হলেও সরকারী প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা বেতন ভাতা বেশি পান। এ ধরনের বৈষম্যতা দুরীকরণে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় করণের আবেদন জানানো হয়।

শিক্ষককরা, শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর গ্রহণের ৬ মাসের মধ্যে অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের পাওনা পরিশোধসহ কয়েকদফা দাবি তুলে ধরেন তারা। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের জাতীয় বাজেট পাশের পূর্বেই মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের ঘোষণা দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয় মানববন্ধনে।