বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি) এর রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকল সমূহকে লাভজনক ও যুগোপযোগী করতে চিনি শিল্পের কৃষি বিভাগ কে রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্ত করার দাবীতে স্মারকলিপি পেশ করা হয়েছে। বাংলাদেশ অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডঃ মোহাম্মদ ইউনুস বরাবর স্বারকলিপি পেশ করেছে চিনি শিল্প কতৃপক্ষ।
আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক কার্যলয়ে পেশ কৃত স্বারকলিপিতে বলা হয়েছে, চিনিশিল্পের কৃষি বিভাগ ও বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন কে সংস্কার ও ঢেলে সাজানো এবং লাভজনক করার দাবিতে চিনিশিল্প স্বারক লিপি পেশ করেছে ১৫ টি চিনিকলের কৃষি বিভাগ।
১৯৭২ সালের মহামান্য রাষ্ট্রপতির ২৭ নম্বর আদেশবলে বাংলাদেশ চিনিকল করপোরেশন গঠিত হয়। পরে ১ জুলাই ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ চিনিকল করপোরেশন ও বাংলাদেশ ফুড এন্ড অ্যালাইড ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনকে একীভূত করে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন গঠন করা হয়। এর অধীনে ১৫টি রাষ্ট্রায়ত্ব চিনিকল পরিচালিত হতো। কিন্তু বিগত সরকার লোকসানের অযুহাতে ডিসেম্বর ২০২০ সালে ৬ চিনিকল বন্ধ করে দেয়। বর্তমানে যে চিনিকলের মিল চালু আছে, তাতেও সরকারের বিনিয়োগ ও সহযোগিতা যথার্থ নয়।
চিনিশিল্পে প্রায় ১৬ হাজার শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তার কর্মসংস্থান। আখচাষের ওপর নির্ভর দেশের উত্তর ও দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় পাঁচ লক্ষ চাষী এবং এর সাথে ৫০ লক্ষ মানুষের জীবন জীবিকা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। আখ একটি লাভজনক অর্থকরী ফসল এবং চিনি ও শুড় তৈরির প্রধান কাঁচামাল। কৃষি উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, সৃষ্টি, অবকাঠামো, শিক্ষা ও সংস্কৃতিক উন্নয়ন পরিবেশ সুরক্ষা, পুষ্টি চাহিদা পূরণ, শিশু খাদ্য ও মেডিসিন তৈরিতে এবং বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ে আখের অবদান অনস্বীকার্য।
আখ একমাত্র ফসল যা কৃষক সরাসরি সরকার নির্ধারিত মূল্যে কৃষিভিত্তিক শিল্পে সরবরাহ করতে পারে। এই গুরুত্বপূর্ণ কৃষিক্ষেত্রে ও আখ উৎপাদনে, চিনিশিল্পের কৃষি বিভাগ সরাসরি মাঠ পর্যায়ে কাজ করে থাকে। উৎপাদন ফলন বৃদ্ধি ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণে আমরা কৃষিবিভাগ কৃষি ও কৃষকের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
কৃষি বিভাগে অনেক কৃষিবিদ, ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ও বিজ্ঞান বিভাগ হতে জনবল সরাসরি কৃষকের সাথে নিবিড় যোগাযোগের মাধ্যমে আখ উৎপাদ’ন ও আখের সাথে সাথীফসল হিসেবে আলু, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, হলুদ, মসুর, মুগ, মাসকালাই, মরিচ, সরিষা, ভুট্টাসহ আরো বিভিন্ন রকমের শাকসবজি উৎপাদনে জড়িত ও কৃষকের উন্নয়নে কাজ করে থাকে। আমরা বাংলার কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে মাঠ পর্যায়ে কাজ করি বিধায় চিনিকলগুলো এখনো টিকে আছে। বাংলাদেশ খাদ্য শিল্প করপোরেশনের কৃষি বিভাগের ইক্ষু উন্নয়নের সহকারি সিডিএ আব্দুল্লাহ আল মাসুদের পক্ষে স্মারকলিপি পেশ করে।
এ সময় স্বারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন,কেরুজ চিনিকলের কৃষি বিভাগের সিডিএ হারিজুল ইসলাম,এ.এস.এম.কবির, এইচ এম সাকী মাহমুদ, মাঈনউদ্দিন আহমেদ, একরামুল হক খলিল, সাইফুল্লাহ, মুকুল হোসেন, শহিদুল হক,সিআইসি জুলফিকার আলী,প্রমুখ।