দামুড়হুদায় নশকতা মামলায় জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক গ্রেফতার

দামুড়হুদা মডেল থানার পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে নশকতা মামলায় উপজেলা জামায়েতের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফুরকে গ্রেফতার করেছে। আটকৃত আব্দুল গফুর (৫০) কার্পাসডাঙ্গা গ্রামের মৃত ফরজ মল্লিকের ছেলে।

গতকাল বুধবার পনে ১ টার দিকে তার নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়।

জানাযায়, দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি সাইফুল ইসলাম এর নির্দেশে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে কার্পাসডাঙ্গা গ্রামের মৃত ফরজ মল্লিকের ছেলে দামুড়হুদা উপজেলা জামায়েত ইসলামির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফুরকে আটক করেন।যার মামলা নং-১, তাং-১০/২/২০২৩।গতকালই তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।




দামুড়হুদার খলিশাগাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমির সীমানা নির্ধারণ নিয়ে বিরোধ

দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদহ ইউনিয়নের খলিশাগাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমির সীমানা নির্ধারণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে পার্শ্ববর্তী মালিক আজাদের সাথে।

স্থানীয়রা জানান, আনুমানিক ১৯৮৬ সালে জগন্নাথপুর মৌজায় ৩৭২৬ দাগে মুজিবনগর উপজেলার আনন্দবাস গ্রামের আবেদ আলীর স্ত্রী আনোয়ারা খাতুনের কাছে ২২শতক জমি ক্রয় করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সে সময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দ্বায়িত্ব পালন করেন সাবেক শিক্ষক মোঃ শাহাবুদ্দিন। একই দাগে জমির অপর অংশীদার হালিমা খাতুনের জামাই আনন্দবাস গ্রামের আজাদ হোসেন বাড়ী নির্মান করে সেখানে বসবাস শুরু করেন। কিন্তু স্কুলের প্রাচীর থাকার কারণে তার বাড়ী যাতায়াতের সমস্যা হওয়ায় আজাদ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে রাস্তার দাবী করেন এবং তার জমি বুঝিয়ে দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন।

বিষয়টি দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)সজল কুমার দাসকে জানান বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গতকাল বুধবার বিকাল ৪টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন দামুড়ুহুদা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজল কুমার দাস।

এসময় তিনি উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধ মিমাংসা করার জন্য আগামী ৩১জুলাই সোমবার আমিন দিয়ে জমির সীমানা নির্ধারন করার পরামর্শ দেন। মিমাংসা না হওয়া পর্যন্ত উক্ত জমিতে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করা যাবে না বলে নির্দেশ দেন বলে জানা গেছে।




চুয়াডাঙ্গা গড়াইটুপিতে ইয়াবাসহ রহিম বাদশা গ্রেফতার

চুয়াডাঙ্গা সদরের ইয়াবা ট্যাবলেট সহ গড়াইটুপির রহিম বাদশাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে তিতুদহ গ্রামের ডিগ্রীর মাঠ হতে ৩৩ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট সহ গ্রেফতার করে পুলিশ। সে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দর্শনা থানাধীন গড়াইটুপি ইউনিয়নের গবরগাড়ার জহির উদ্দিনের ছেলে।

পুলিশ জানায়, গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদের নেতৃত্বে দর্শনা থানাধীন তিতুদহ পুলিশ ক্যাম্পের এসআই ফকির ফেরদৌস সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করেন তিতুদহ ইউনিয়নের তিতুদহ গ্রামের ডিগ্রীর মাঠের জনৈক সেলিম রেজার মৎস ঘের সংলগ্ন পানির পাম্পের দক্ষিন পাশে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। এসময় তিতুদহ হতে গোবরগাড়াগামী মেঠো কাঁচা রাস্তার উপর হতে ৩৩ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট সহ রহিম বাদশা (১৯) নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। উদ্ধারকৃত মাদকের আনুমানিক
বাজার মূল্য ৯ হাজার ৯ শত টাকা মূলে জব্দ তালিকা মোতাবেক জব্দ করে।

গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী রহিম বাদশা চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দর্শনা থানাধীন গড়াইটুপি ইউনিয়নের গবরগাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও জহির উদ্দিনের ছেলে।

গ্রেফতারকৃত আসামিদ্বয়ের বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।




দর্শনার আকন্দবাড়ীয়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে বৃদ্ধামহিলাসহ ১০টি ছাগলের মৃত্যু

চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার দর্শনা থানার আকন্দবাড়ীয়ার কেরু এ্যান্ড কোম্পানী চিনিকলের জৈব সারখানার পিছনে ছোটপুল নামকস্থানে ছাগল চরাতে গিয়ে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা রূপসা আন্তঃনগর ট্রেনে কাটা পড়ে নুরজাহান বেগমসহ (৬৫) ১০টি ছাগল মারা গেছে। মৃত নুরজাহান বেগম আকন্দবাড়ীয়া ফার্মপাড়ার কালামের স্ত্রী।

দর্শনা হল্ট রেলস্টেশনের জিআরপি ফাঁড়ী ইনচার্জ এসআই আতাউর রহমান প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানান, গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা রূপসা আন্তঃনগর ট্রেনটি ছোটপুল নামকস্হানে পৌঁছুলে ছাগলগুলো ট্রেনের নিচে পড়ে যায়। সে সময় নুরজাহান বেগম ছাগলগুলো বাঁচাতে গেলে ওই ট্রেনে কাটা পড়ে তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

তিনি আরো বলেন, ছাগল চরাতে গিয়ে ওই বৃদ্ধা দূর্ঘটনার শিকার হন। ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা জিআরপি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষ করে লাশ দাফনের জন্য স্বজনদের কাছে দিয়ে দেয়া হবে।

গতকাল বুধবার রাত ৮ টার দিকে তার মৃতদেহের ময়না তদন্ত শেষে রাত ৯টার দিকে গ্রামের কবরস্থানে জানাযা শেষে দাফনকার্য সম্পন্ন করা হয়েছে। এ মর্মান্তিক ঘটনায় গ্রামজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।




আলমডাঙ্গায় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি-সেক্রেটারি সহ গ্রেফতার ১১

আলমডাঙ্গায় বিএনপির ১১ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার বিএনপির মহা-সমাবেশকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে অভিযোগ দলটির। তবে পুলিশ বলছে, পূর্বের সুনির্দিষ্ট মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব শরিফুজ্জামান শরিফ অভিযোগ করে বলেন, আজ বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় বিএনপির মহাবেশকে ঘিরে পুলিশ ধরপাকড় শুরু করেছে। এ জেলা থেকে নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে যেতে না পারে, সেকারণেই মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি অভিযান চালিয়েছে। এ সময় দুই ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি-সেক্রেটারি সহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেফতার নেতাকর্মীদের মধ্যে বাড়াদী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আসাদুজ্জামান বকুল (৫৩), সহ-সভাপতি ফারুক হোসেন (৪০) , ভাঙবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সেক্রেটারি আতাউল হুদা (৪৫) , বাড়াদী ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য ওবাইদুল ইসলাম ঝন্টু (৪৩) , লুৎফর রহমান টিটু (৫০) , ইউনিয়ন বিএনপি নেতা ও চিকিৎসক এ কে এম নাজমুস সালেহীন লিপন (৪১) , জেহালা ইউনিয়ন বিএনপি সদস্য সমসের আলী ছমে (৪৭), জামজামি ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মজিবর রহমান (৫৫), খাসকররা ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য ফতে আলী (৬০), ভাঙবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য বাদশা আলম (৬০), আলমডাঙ্গা পৌর ছাত্রদলের সদস্য জনি (২৮)।
আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম রোকন বলেন , মহাসমাবেশ বাঁধাগ্রস্ত করতে অপকৌশল নিয়েছে সরকার। তারা দলীয় নেতাকর্মীদের বাড়িতে পুলিশ দিয়ে অভিযান চালাচ্ছে। মিথ্যে মামলায় ১১ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ।

আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক ওসি (তদন্ত) একরামুল হোসেন বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। যাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মামলায় আটকৃতদের গতকাল বুধবার দুপুরে কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।




চুয়াডাঙ্গার দর্শনা ও দামুড়হুদায় পুলিশের অভিযান ৮ জামায়াত নেতাকর্মী আটক

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা দামুড়হুদা থানা পুলিশ বিভিন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৮ জন জামায়াতের নেতাকর্মিকে আটক করেছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৭টি বােমা সাদৃশ্য উদ্ধার দাবী করে পুলিশ, গতকাল বুধবার সকাল থেকেই জামায়াতের নেতা কর্মীদের সন্ধানে তাদের বাড়ী ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পুলিশ তল্লাশী চালায় বলে অভিযোগ করে জামায়াতের নেতাকর্মীরা।

এদিকে গতকাল বুধবার বিকালে আটককৃতদের বােমাসহ কোর্টে চালান দেওয়া হয়েছে।

দর্শনা থানা পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্সসহ গতকাল বুধবার ও আগরদিন গভীর রাতে দর্শনা থানা এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রামে অভিযান চালানোহয়। এর মধ্যে দর্শনা পৌর এলাকার দক্ষিণচাঁদপুর গ্রাম থেকে দর্শনা পৌর জামায়াতের সেক্রটারী মােঃ আমজাদ হােসেন, জামায়াত নেতা তানজিল হোসেন, তিতুদহ গ্রাম থেকে নাজমুল হক ও হাফিজুল ইসলাম, নেহালপুর গ্রাম থেকে মসজিদের ইমাম হাফেজ লোকমান হোসেন ও আরাফাত রহমান এবং বেগমপুর ইউনিয়নের জামায়াতের সভাপতি মোশারফ হোসেনকে আটক করা হয় ও তাদের কাছ থেকে ৭টি বোমা সাদৃশ্য উদ্ধার করা হয় বলে দাবী করে পুলিশ।

অপর দিকে দামুড়হুদা থানা পুলিশ দুপুরের দিকে নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে দামুড়হুদা উপজেলা জামায়াতের সেক্রটারী মাওলানা আব্দুল গফুরকে আটক করে।

দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, আটককৃতদের কাছ থেকে ৭টি বোমা সাদৃশ্য উদ্ধার করা হয়েছে,যা নাশকতার কাজ লাগানো হতে পারে বলে খবর ছিল। আটককৃতদের গতকাল বুধবার বিকালে নাশকতা ও বিষ্ফােরক দ্রব্যর মামলায় চুয়াডাঙ্গা কোর্ট হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।

আটককৃতদের পরিবারের সদস্যরা জানায়, তারা প্রত্যকে নিজ নিজ বাড়ীত ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় পুলিশ তুলে নিয়ে গিয়ে বিষ্ফারকর মামলা সাজিয়েছে। এছাড়াও গতকাল দিনভর পুলিশ জামায়াত ও বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়ী ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আটকের উদ্দশ্য অভিযান চালিয়েছে।




মেহেরপুরে প্রফেসর আবদুল মান্নান গণসংযোগ অব্যহত

বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সাংসদ প্রফেসর আবদুল মান্নান বিভিন্ন গ্রামে গনোসংযোগ অব্যহত রেখেছেন।

গতকাল বুধবার মেহেরপুর সদর উপজেলার আমদহ, সিংগাড়া মোর,আশরাফপুর, ভবানন্দপুর, সাহেবপুর, ইসলামপুর, ব্রীজমোড়, কমরপুর, রায়পুর গণসংযোগ করেন বিভিন্ন স্থানে গনোসংযোগ করেন।

উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগ সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালেদুজ্জামান খান ডালিম মির্জা গালিব উজ্জ্বল, রাশেদুজ্জামান সুজন, আবু তালহা বিন হাবিব জুয়েল, মোঃ ইয়ারুল ইসলাম-, সাজেদুর রহমান সাজু, নয়ন আহামেদ, মিরাজুল ইসলাম, শেরেফুল ইসলাম, শেখ কায়সার হামিদ বুলবুল, রবিউল ইসলাম, মতিয়ার, বাবু, আসাব, রাজু আহমেদ, মঈন, বকুল প্রমুখ ।




মেহেরপুরে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর পক্ষে উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের লিফলেট বিতরণ

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপির পক্ষ থেকে মেহেরপুর জেলার সর্বস্তরের মানুষের মাঝে মেহেরপুর জেলার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার বিকালে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপির বাসভবন থেকে লিফলেট বিতরণ শুরু করে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কাথুলি রোড তেল পাম্পের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

লিফলেট বিতরণে ছাত্রলীগ, যুব মহিলা লীগ, ইয়াং বাংলা ফিউচার লিডারস এর সদস্যরা সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা সক্রিয় ভাবে অংশ গ্রহণ করে।




৯৯৯ এ কল, বিবাদমান জমির উপর নির্মিত ভবনের কাজ বন্ধ করলো পুলিশ

৯৯৯ এর কল পেয়ে বিবাদমান জমির উপর নির্মিত ভবনের কাজ বন্ধ করলেন মহেশপুর থানা পুলিশ। গতকাল বুধবার সকালে ওই কাজ বন্ধ করেন পুলিশ।

জানা যায়,মহেশপুরের আলমপুর বাজার সংলগ্ন প্রগতি টেডার্সের ভবনের ৮ শতক জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলে আসছে মাহবুবুর রহমান ও ইউনুচ আলীর সঙ্গে।

এরমধ্যে ইউনুচ আলী পৈত্রিক সুত্রে ওই জমির মালিকানা দাবী করছেন। যা নিয়ে আদালতে চলমান রয়েছে মামলা। গতকাল বুধবার সকালে ওই জমির উপর নির্মিত ভবনের কাজ করছিলেন মাহবুবুর রহমানের ছেলে আব্দুল্লা আল মামুন (মিনু)। খবর পেয়ে ইউনুচ আলী পুলিশের টোল ফ্রি নাম্বার ৯৯৯ এ কল করেন। এ খবরে পুলিশ আইন শৃংখলা রক্ষার্থে কাজ বন্ধ করে দেন।

বিষয়টি নিয়ে জমির মালিক ইউনুস আলী বলেন, জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। এরপরও তারা আদালত অবমাননা করে ওই জমির উপর নির্মিত ভবনে কাজ করছিল। আমি বাধ্য হয়ে ৯৯৯ এ কল করেছিলাম,পুলিশ এসে কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আলামপুর মৌজার সাবেক ৪৩ দাগ,বর্তমান ৬৮ দাগের জমি এটি। মাহবুর রহমান ওই জমি ক্রয় সুত্রে মালিক। তবে তিনি জমির একপাশ কিনে, ভোগ দখল করছেন,অন্য পাশের জমি। আর এটা নিয়ে বিবাদ।

অন্যদিকে মাহবুবুর রহমানের ছেলে আব্দুল্লা আল মামুন( মিনু) বলেন,২০১৩ সালে আলমপুর মৌজার ৬৮ দাগ থেকে ৮ শতক জমি কিনেন আমার পিতা। সে থেকে ভোগ দখল করে আসছি।

ভবনও নির্মান করা হয়েছে ওই জমির উপর। এখন তারা ভবনের জায়গা,তাদের বলে দাবী করছেন। হয়রানি করছেন বিভিন্ন ভাবে। মামলা ও করেছেন বেশ কয়েকটি।

তবে আদালতে কোন প্রমান দিতে না পারায়, ইতোমধ্যে সব মামলা আদালত খারিজ করে দিয়েছেন। আর একটা মামলা আছে। ওই মামলাটিও রয়েছে শুনানি পর্যায়ে। যা শুনানি হলে, ওই মামলাও খারিজ হবে বলে আশা করছি।

বিষয়টি নিয়ে মহেশপুর থানায় সহউপপরিদর্শক (এএসআই) আজমল হোসেন বলেন,ওই জমিতে মামলা চলমান রয়েছে। এরপরও একপক্ষ কাজ করছিল। অন্যপক্ষ ৯৯৯ এ কল করেন। এরপেক্ষিতে ওসি স্যার আমাকে পাঠিয়েছিলেন। আমি এসে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। যাতে করে কোন প্রকার আইন শৃংখলার অবনতি না ঘটে।




জয়বাংলা মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হলেন মিঠুন

জয়বাংলা মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগ এর কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হলেন মেহেরপুরের সন্তান মিঠুন ডিআইসিকে। তিনি মেহেরপুর সদরের রাজনগর বেলে পাড়ার মনিরুল ইসলামের ছেলে।

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর বিস্বস্ত আস্থাভাজন অঙ্গ সংগঠন জয় বাংলা মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগ এর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হওয়াই, মিঠুন ডিআইসিকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দলের নেতৃবৃন্দ।

সংগঠনটির সভাপতি আকরাম হোসেন বাদল এবং উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে তাকে এই পদে আসীন করা হয়। ৭১’র চেতনায় মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিচারণে উদ্ভাসিত হয়ে কাজ করে যাচ্ছে সংগঠনটি।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পূর্বের ন্যায় আওয়ামীলীগ এর হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যেই এগিয়ে যাবে বলে সংগঠনের সভাপতি আকরাম হোসেন বাদল এই উদ্যোগ নিয়েছেন। মিঠুন ডিআইসিকে ২০০৮ সালে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে রাজনৈতিক যাত্রা শুরু করেন কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে। ২০১২ সালে আওয়ামীলীগ সদস্য স্বীকৃতি পায়।

তারপর অঙ্গ সংগঠন হিসাবে ২০১৭ সালে জয়বাংলা মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগ এর সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পায়।
২০১৯ সালে যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক দায়িত্ব পায় একই সংগঠনে।

তারপর ২০২০ সালে “কোটি হ্নদয়ে জয় বাংলা” বাস্তবায়ন ৪১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির নির্বাহী পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পায় যা চলমান।

সে জয় বাংলা মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগ মেহেরপুর জেলা শাখা কমিটির প্রতিষ্ঠাতা।