চুয়াডাঙ্গায় দূর্গাপূজা উদযাপন কমিটির সাথে পুলিশ সুপারের মতবিনিময় সভা
শারদীয় দুর্গাপূজা সুষ্ঠুভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে পূজা উদযাপন কমিটির সাথে পুলিশ সুপারের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা সুষ্ঠুভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে জেলা পুলিশের আয়োজনে পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে আজ শনিবার সাড়ে দশটাই চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা, বিপিএম- সেবা সভাপতিত্বে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের পূজা উদযাপন সনাতন ধর্মালম্বী নেতৃবৃন্দের সাথে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সভাপতির বক্তব্য চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার বলেন,চুয়াডাঙ্গা জেলায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে নিজ নিজ ধর্ম সুষ্ঠুভাবে পালনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বদা সতর্ক রয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে ও আনন্দমূখর পরিবেশে পূজা উদযান করার জন্য পুলিশ পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালনসহ যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ তৎপর রয়েছে। প্রতিটি পূজা মন্ডপে নিজস্ব সেচ্ছাসেবক ছাড়াও পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক উপস্থিত থাকবেন। তাছাড়াও সাদা পোশাকে ডিবি, ডিএসবি মাঠে কাজ করবে। প্রতিটি পূজা মন্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, নিজেস্ব ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পূজা উদযাপন কমিটিকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
উক্ত আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত রিয়াজুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান, সহকারি পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জেলা ও উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটি ও হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন; সভাপতি পলাশ,সম্পাদক তানজিল
দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের আয়োজনে দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে সভাপতিত্ব করেন আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক শামসুজ্জোহা পলাশ।
এসময় নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালন করেন সিনিয়র সাংবাদিক তাছির আহমেদ, আঃসালাম ও হাফিজুর রহমান কাজল। কোনো পদের বিপক্ষে প্রার্থী না থাকলেও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্ধীতা হয়। সাধারণ সম্পাদক পদে একের অধিক প্রার্থী হওয়ায় গোপন ব্যালটে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এপদে প্রতিদ্বন্ধীতা করেন আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব মুরশেদ বীন ফয়সাল(তানজির) ও সদস্য মোজাম্মেল শিশির।
বৈধ ২২ভোটের বিপরীতে গোপন ব্যালটে ভোটগ্রহণ শেষে ১৭ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী হয় মুরশেদ বীন ফয়সাল(তানজির), একমাত্র প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী মোজাম্মেল শিশির পেয়েছে মাত্র ৪ভোট।
এদিকে বিনাপ্রতিদন্ধীতায় বিজয়ী হয়েছেন সভাপতি পদে শামসুজ্জোহা পলাশ, সহসভাপতি পদে মিরাজুল ইসলাম মিরাজ, সহ সাধারণ সম্পাদক পদে সাজিদ হাসান সোহাগ, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রকিবুল হাসান তোতা, কোষাধ্যক্ষ পদে শমশের আলী, দফতর সম্পাদক পদে এসএম সুজন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সালেকিন মিয়া সাগর, নির্বাহী সদস্য পদে তাছির আহমেদ, আঃসালাম, হাবিবুর রহমান, মেহেদী হাসান মিলন, আরিফুল ইসলাম মিলন।
এসএসসি পাসেই চাকরির সুযোগ
জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে এসএমসি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি ইটিপি অপারেটর পদে একাধিক জনবল নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত প্রার্থীরা মাসিক বেতন ছাড়াও প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী আরও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
প্রতিষ্ঠানের নাম: এসএমসি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড
পদের নাম: ইটিপি অপারেটর
পদসংখ্যা: ০১টি
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং/ ট্রেড কোর্স/ এসএসসি
অন্যান্য যোগ্যতা: ইটিপি মেশিন পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণে দক্ষতা
অভিজ্ঞতা: কমপক্ষে ৫ বছর
চাকরির ধরন: ফুলটাইম
কর্মক্ষেত্র: অফিসে
প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ (উভয়)
বয়সসীমা: সর্বোচ্চ ৪০ বছর
কর্মস্থল: গাজীপুর
বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে
অন্যান্য সুবিধা: প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী
আবেদনের শেষ সময়: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
প্রিয় মানুষটি প্রিয়তর হোক!
রাজ্যের সব হিসাব কিতাব মাথায় থাকে, সবার প্রতি দায়িত্ববোধ সজাগ থাকে অথচ প্রিয় মানুষের জন্মতিথি স্মরণে থাকে না, পছন্দ-রুচি হাজির করেন না কিংবা ঘুরতে যাওয়ার সময় বের করতে পারেন না- এমন হলে সুখ তবে ঘরে ফিরবে না। বরং অসুখ আপনায় তাড়িয়ে বেড়াবে। সম্পর্ককে সময় না দিলে যে দূরত্ব তৈরি হবে তা ঘুচানোর কাজটা সহজ নয়। তাঁর সাথে সব কথা দু’মিনিটে ফুরিয়ে গেলে দশ গ্লাস দুঃখ পান করতেই হবে। যদি যত্ন না থাকে, শ্রদ্ধা না বাড়ে তবে সম্পর্কে সম্মান জন্মে না। জীবনের নাগপাশে সুখ-প্রশান্তি ঘোরাঘুরি করে বিদায় নিলো অথচ দেখা পেলেন না- সে আক্ষেপ আজীবন বয়ে বেড়াতে হবে। প্রিয় মানুষকে প্রাধান্য দিলে তবেই সম্পর্ক টেকসই হয়। শখের দেশে হাজির করলে তবেই অভিযোগ কমে। মান-অভিমান ভাঙানোর জেদ থাকলে তবেই মনকে মনের মনে পড়ে।
অনুপস্থিতির সময়টাতে জুড়ে থাকার যে ব্যাপারটা সেটুকুতেই প্রেম। প্রেম দেখানোর চেয়ে বোঝানো জরুরি। যে মানুষটা সবার মাঝে থেকেও সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য প্রত্যাশা করে সেই মানুষটিকে উপেক্ষা করলে- সম্পর্ক পারদ পাতলা হতে শুরু করে। অভিমান না ভাঙানোর মাঝে যে জমাট ব্যথা তা তাকেই ভোগায় যার অভিমান মনের মধ্যে ব্যথার পাহাড় গড়ে। দু’টো কথা শুনে যে আনন্দ পায়, একটু স্পর্শে যার কোলে রাজ্যের সুখ নামে তাকে অধিকার বঞ্চিত করা ঠিক নয়। এই জীবনটা সুখের জন্য সামনে বাড়ে। সেই প্রত্যাশা ও প্রশান্তির পথে যে হাল ধরে সে সুখের অন্যরকম মধূর সংজ্ঞা তৈরি করে। যে সুখী করতে জানে সে সুখী হয়। সুখ তাকে ঘিরে রাখে। সবার জন্য সবকিছুর করার মাঝে তৃপ্তি নিশ্চয়ই আছে তবে যার অধিকার সর্বাগ্রে সে যাতে তালিকার তলানিতে না পড়ে।
মান-অভিমান কিংবা অভাব-অনুযোগ জীবনের বিচ্ছিন্ন বিষয় নয়। তবে এসব ভাঙানোর এবং শখ পূরণ করার যে চেষ্টা এবং প্রতিশ্রুতি রক্ষার জন্য যে দায়িত্ববোধ- এসবই মানুষকে প্রিয় করে তোলে। প্রিয়জন যদি প্রয়োজনের রেখা অতিক্রম করে আপন হয় তবে এক মানুষেই একজীবন পূর্ণ হতে পারে। দু’টো হাত, ভরসার কাঁধ এবং বিশ্বস্ত হৃদয়ের চেয়ে প্রশান্তির আবাস দুনিয়া দু’টো নাই। পাখি এদিক-সেদিক উড়তে পারে, ইচ্ছেমতো ঘুরতে পারে তবে বেলা শেষে যে নীড়ে ফিরতে হবে- সেখানে কেউ অপেক্ষা করুক, সেখানে দু’চামচ শান্তির জন্য রসদ থাকুক- সেই চেষ্টায় সর্বোচ্চ সময় রাখতে হবে। দু’জনে মুখোমুখি বসিবার, চোখে চোখ রাখিবার দুর্নিবার আকাক্সক্ষা একজীবনের সবটুকু সময় যেনো প্রফুল্লচিত্তেই থাকে। হাত ধরা মানুষটি যাতে কোন শ্রোতেই হারাতে না পারে।
দুঃখ যদি হাজির হয় তবে তা মোকাবেলায় যুগপৎ সংগ্রাম যাতে অবিরাম থাকে। যাকে বিশ্বাস করা যায় অনায়াসে তাকে নিয়ে বন্ধুর পথ পাড়ি দিতেও ক্লান্তি নাই। যে রাখে ওয়াদা, যার কাছে জমা থাকে বিশ্বাস- সে প্রকৃত মানুষ হলে কোন বাঁধাই জীবনকে এলোমেলো করে দিতে পারে না। তবে কখনো যদি মানসিকতার দূরত্ব হয়, ভাঙনের ঢেউ খেলে এবং তাতে পাল দেয় লোভ তবে সে সম্পর্কের দেয়াল ইস্পাত-দৃঢ় হলেও টিকবে না। দেহের নাগালে থাকলেও মানুষ মেলে না! এই শরীরে মূল্য এবং প্রয়োজন ক্ষণিকের। অবিরাম থাকতে হয় মনে মন গেঁথে। অথচ অবিশ্বাসের পারদ চড়া হলে, সন্দেহ জীবনের দিকে তেড়ে এলে এবং প্রিয় মানুষকে উপেক্ষা-অবজ্ঞায় ঠেলে দিলে এই জীবনের রঙ-রস শুকিয়ে যাবে। যে সম্পর্কের সুভাষ নষ্ট হয়ে যায় সে সম্পর্কের টানটা মরে যায় আরম্ভিক প্রান্তে।
বাঁচার জন্য কেউ অপরিহার্য নয় তবে সুখে বাঁচার জন্য একজন বিশ্বস্ত মানুষের উপস্থিতি অনিবার্য। দুঃখের দিনে পাশে থাকলে, মন খারাপের দিনগুলোতে ভরসা দিলে, বিশ্বাসের হাত মাথায় রাখলে- সে জীবন উপভোগ্য হয়ে ওঠে। বিচ্ছেদের তীব্র ঢেউয়ের মাঝে একসাথে বাঁচার মাঝে, একাকাশে ওড়ার মাঝে এবং দিন-দুনিয়ায় ঘোরার মাঝে সর্ব সুখ লুকিয়ে থাকে। জমানো কথা যার কাছে অনায়াসে বলা যায়, যার পরশে বুকের ব্যথা হালকা হয় কিংবা যার ঘ্রাণে মন ভালো হয় যায়- সে বিশেষ কেউ। এই মানুষের জন্য একটা জীবন লগ্নি হলে দুঃখের অগ্নি স্পর্শ করতে পারে না। আরেকটু বাড়তি সুখের জন্য চেষ্টায় সচেষ্ট হলে সুখের বর্ষণে হৃদয় প্রশান্তিময় হবে। সব সুখে ভোগের মধ্যে থাকে না। কারো স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে, কারো ইচ্ছা পূর্ণ করে এবং কারো জীবনে সুখের ধূপগুড়ি ছড়িয়ে দিলে জীবন সুশোভিত আলোকের মঙ্গলে ছেয়ে যায়। প্রিয় মানুষ প্রিয়তর হয়ে উঠুক- সুদিনের প্রত্যাশায়।
লেখক: প্রাবন্ধিক, ইমেইল-raju69alive@gmail.com
দর্শনায় জামায়াতের উদ্যোগে উলামা সমাবেশ অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানা ও দামুড়হুদা উপজেলার শাখার উলামা বিভাগের উদ্যোগে উলামা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টায় দর্শনা অডিটরিয়ামে অনুষ্টিত সভায় দর্শনা থানা উলামা বিভাগের সভাপতি মাওলানা আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে ও দামুড়হুদা উপজেলা উলামা বিভাগের সভাপতি হাফেজ মাওলানা আব্দুল খালেকের পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য চুয়াডাঙ্গা জেলা আমীর ও বিশিষ্ট আয়কর আইনজীবি মোঃ রুহুল আমিন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা আমীর মোঃ রুহুল আমিন বলেন, আজকে আমাদের আলেম সমাজ কওমী ও আলিয়া দু’ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। একপক্ষ নিয়েছে রাসুলের সুরত আর আরেক পক্ষ নিয়েছে সীরাত। ফলে আমরা অসম্পূর্ন হয়ে গেলাম। অথচ আমাদের রাসুলের সুরতও দরকার সীরাতও দরকার। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে ইসলাম বিদায় করা হয়েছে। ফলে আমাদের সন্তানেরা ইসলাম সর্ম্পকে অজ্ঞ থেকে যাচ্ছে। তিনি আলেম সমাজকে সচেতন হবার আহবান জানিয়ে বলেন- নিজের ঘুমিয়ে থাকা চেতনাকে জাগ্রত করে সকলে মিলে এক আল্লাহর পথে চলতে হবে। আমরা আমাদের খুতবার মাধ্যমে ঘুম পাড়ানো ইসলাম আর শেখাবো না বরং সমাজকে জাগ্রত করার ইসলাম শেখাবো। আমরা সকলে একসাথে এগিয়ে গেলে হারিয়ে যাওয়া ইসলাম পুনরুদ্ধার হবে ইনশাআল্লাহ।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা আজিজুর রহমান, জেলা সহকারী সেক্রেটারী ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের, জেলা ওলামা বিভাগের সভাপতি মাওলানা লোকমান হোসেন, সেক্রেটারী মাওলানা হাফিজুর রহমান, মোজলিসুল মোফাচ্ছেরিনের জেলা সভাপতি মাওলানা আবু জার গিফারী, জামায়াতের দামুড়হুদা থানা আমীর মোঃ নায়েব আলী, সেক্রেটারী মাওলানা আব্দুল গফুর ও মাওলানা মাজাহারুল ইসলাম প্রমুখ।
কোন মুখে কেমন চশমা
চশমার ফ্রেম বাছাই করতে বিপাকে পড়েননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। এত এত চশমার ফ্রেমের মধ্যে নিজের জন্য পারফেক্ট ফ্রেম সিলেক্ট করা আমাদের কাছে যেন একটি চ্যালেঞ্জ। তাই ফ্রেম বাছাইয়ে মুখের শেপের সঙ্গে সঙ্গে ব্যক্তিগত স্টাইল এবং স্বাচ্ছন্দ্যকেও বিবেচনা করা উচিত।
লম্বা চেহারা
এ চেহারায় অ্যাভিয়েটর ফ্রেমের চশমা বেশি মানানসই। এতে চেহারায় লম্বাটে ভাব কমে আসবে। কিছুটা চওড়াও লাগবে।
ডায়মন্ডকাট ফেস
ডায়মন্ড আকৃতির চেহারায় চোখের পাশে ও চোয়ালের কাছে সংকীর্ণ হয়। এই চেহারায় গাল হয় চওড়া। এ রকম চেহারায় চোখগুলো তুলে ধরাই চশমা পরার মূল লক্ষ্য। এক্ষেত্রে চশমার ওপরের দিকে নকশা থাকলে দেখতে ভালো লাগবে। ওভাল অথবা ক্যাট আই আকারের চশমাও মানাবে।
স্কয়ার ফেস
চারকোনা চেহারায় কপাল ও চোয়াল চওড়া হয়। প্রস্থে কম এমন ওভাল ও গোল ফ্রেমের চশমা বেছে নেওয়া উচিত এক্ষেত্রে। ভুল করে যদি চারকোনা ফ্রেমের চশমা বেছে নেন, তাহলেই হিতে বিপরীত হয়ে যাবে।
চশমা
হার্ট শেপ বা ট্রায়াঙ্গাল ফেস
অনেকে বলে পান পাতার মত চেহারা। এই চেহারার প্রশস্ত কপাল ও চওড়া চিকবোন থুতনির কাছে গিয়ে চাপা হয়ে যায়। চশমা বাছার ক্ষেত্রে খেয়াল রাখুন, ফ্রেমের নিচের অংশটি যেন চওড়া হয়। কিন্তু চশমাটির রং ও উপকরণ যেন হালকা হয়।
রাউন্ড ফেস
প্রশস্ত কপাল, ভরাট গাল গোলাকার চেহারার জন্য আয়তাকার ফ্রেমের চশমা প্রয়োজন। এতে চেহারায় কিছুটা শুকনো ও লম্বাটে ভাব চলে আসবে।
ওভাল ফেস
এই আকারের চেহারার মানুষদের মুখ হয় ডিম্বাকার । কারণ, এ ধরনের চেহারায় প্রায় সব ফ্রেমের চশমাই মানিয়ে যায়। চওড়া আকারের ফ্রেমের পাশাপাশি বড় সাইজের চশমাও পড়তে পারেন।
ছোট ও বড় ফেসের জন্য
চেহারা যদি ছোট হয় তাহলে সরু এবং ছোট ফ্রেমের রাউন্ডেড চশমা পরবেন।আর বড় আকৃতির চেহারায় মোটা ফ্রেমের ওভার-সাইজের চশমা পরবেন।
সূত্র: ইত্তেফাক
মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলার প্রতিবাদে কোটচাঁদপুরে মানববন্ধন
মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলার প্রতিবাদে কোটচাঁদপুরের এড়ান্দাহ গ্রামে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগীরা। শুক্রবার বিকেলে এ মানববন্ধন করেন তারা।
জানা যায়, কোটচাঁদপুরের এড়ান্দা গ্রামের আছিয়া খাতুন। তিনি বীর শ্রেষ্ট হামিদুর রহমানের বোন। এর প্রভাব খাটিয়ে এলাকার মানুষকে বিভিন্ন ভাবে মারপিট ও হয়রানি করে আসছে। সম্প্রতি তিনি বাদি হয়ে ওই গ্রামের গণমাধ্যম কর্মী শামীম হোসেন সহ কয়েক জনের নামে আদালতে মামলা করেছেন। এ মামলার প্রতিবাদে গতকাল শুক্রবার বিকেলে কোটচাঁদপুরের এড়ান্দা গ্রামবাসী মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, গণমাধ্যম কর্মী শামীম হোসেন, মুহিদুল ইসলাম,সাবিনা খাতুন সহ আরো অনেকে। তারা বলেন,বীর শ্রেষ্ট হামিদুর রহমানের বোন আছিয়া খাতুন আর ভাগ্নে বকুল হোসেন। এ দাপটে তারা আমাদের কে বিভিন্ন সময় শারীরিক ও মানুষিক ভাবে হয়রানি করে আসছে।
সম্প্রতি তারা আদালতে মিথ্যা মামলা করেছেন আমাদের নামে। যার সঙ্গে আমরা কেউ জড়িত নই। এরপরও এ ধরনে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদেরকে হয়রানি করছেন।
মানববন্ধন থেকে ভুক্তভোগীরা অবিলম্বে এ ধরনে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।
আমি যতবার মা হব, সৃজিত ততবার বাবা: স্বস্তিকা
প্রকাশ পেয়েছে পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় নতুন সিনেমা ‘টেক্কা’র টিজার। সেখানে দেখা মিলেছে ওপার বাংলার জনপ্রিয় তারকা দেবের। টিজারে এসিপি অফিসারের চরিত্রে দেখা যায় রুক্মিনীকে।
অন্যদিকে মায়ের চরিত্রে হাজির ছিলেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। টিজার প্রকাশের অনুষ্ঠানে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা যায় স্বস্তিকাকে। সংবাদ সম্মেলনে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘এই ছবিতে আরও একবার আমাকে ‘মা’ বানিয়েছে সৃজিত। চিত্রনাট্য নিয়ে আমার কাছে যখন আসে, তখনই স্পষ্ট জানাই এ বছর অনেকগুলো মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছি, আর করব না। কিন্তু সৃজিতের ছবি বলে কথা, আর অসম্ভব সুন্দর গল্প। তাই ছবিটা যদি সৃজিতের সন্তান মনে করি, তাহলে বলব- আমি যতবার মা হব, সৃজিত ততবার বাবা।’
সিনেমায় লড়াকু মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন স্বস্তিকা। সিনামার চরিত্র প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই ছবিতে আমাকে দেখা যাবে এক লড়াকু মায়ের চরিত্রে। পৃথিবীতে যত রকম মা রয়েছেন প্রত্যেকের নিদর্শন হয়ে উঠছি আমি। এই ছবিতেও বেশ অন্যরকমভাবে সৃজিত আমার চরিত্রটা তৈরি করেছে। আশা করি দর্শকের পছন্দ হবে।’
সূত্র: ইত্তেফাক
বাফুফে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন সালাউদ্দিন
আসন্ন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি নির্বাচন করবেন না কাজী সালাউদ্দিন। কিছু দিন আগেও নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি। তবে পারিবারিক কারণে আসন্ন নির্বাচনে লড়বেন না। বিকাল ৪টায় সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন বলে জানা গেছে।
টানা ৪ বার বাফুফে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন কাজী সালাউদ্দিন। এবারও নির্বাচন করার কথা জানিয়েছিলন সাবেক এই ফুটবলার। সম্প্রতি আল্ট্রাস নামে বাংলাদেশ ফুটবল সমর্থকদের একটি সংগঠন থেকে সালাউদ্দিনের পদত্যাগের দাবি করা হয়।
তবে হুমকির মুখে পদত্যাগ করবেন না জানিয়ে বাফুফে সভাপতি বলেছিলেন, ‘প্রথমত, বাংলাদেশ ফুটবল আল্টার্সের কী ভূমিকা ফুটবলে? আমি ঘোষণা দিয়েছি ২৬ অক্টোবর বাফুফে নির্বাচন হবে। আমি নির্বাচন করতে পারব কিনা তারা বলার কে? তাদের কে অধিকার দিয়েছে আমাকে হুমকি দেওয়ার?’
আসন্ন নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়ে তিনি আরও বলেছিলেন, ‘আমি পদত্যাগ করছি না। আমি আরও আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। আমি কোন হুমকির মুখে ফুটবল ছাড়ব না।’
সূত্র: ইত্তেফাক