মেহেরপুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর প্রস্তুতি সভা

আগামি ২৭ জুলাই স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে মেহেরপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়।

গতকাল রবিবার বিকালে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয়ে মেহেরপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়।

মেহেরপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আরিফুল ইসলাম সোবাহানের সভাপতিত্বে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক বারিকুল ইসলাম লিজনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি সোয়েব রহমান, সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক সানোয়ার হোসেন, মেহেরপুর পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সচিব শাহিন ইসলাম তানিম, মেহেরপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শরীফ রেজা পান্না, মুজিবনগর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক মতিয়ার রহমান মতিন, গাংনী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সচিব জীবন আকবার, মেহেরপুর সদর থানা আমঝুপি ইউনিয়নের সভাপতি মিনারুল ইসলাম সহ জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় ২৭ জুলাই স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে মেহেরপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়ে তারই ধারাবাহিকতায় প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়।




দর্শনা প্রতিবন্ধী স্কুল পরিদর্শন করলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব

দর্শনা পৌর এলাকার মেমনগরে বিশেষ শিক্ষা (প্রতিবন্ধী) স্কুল পরিদর্শনে বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব মাহমুদা ইয়াছমিন।

গতকাল রবিবার দুপুর ২টার দিকে বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব মাহমুদা ইয়াছমিন দর্শনা পৌর এলাকার মেমনগরে বিশেষ শিক্ষা (প্রতিবন্ধী) স্কুল পরিদর্শনে আসেন। ২০১৪ সালে একযোগে সারাদেশে প্রতিবন্ধীদের শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে সমাজসেবা অধিদপ্তর দ্বারা পরিচালিত বিশেষ শিক্ষা (প্রতিবন্ধী) বিদ্যালয় সারা দেশে প্রতিষ্ঠিত হয়। তারই অংশ হিসাবে দর্শনায় প্রতিষ্ঠিত বিশেষ শিক্ষা (প্রতিবন্ধী) বিদ্যালয়ে অগ্রগতি,কার্যক্রম দেখতে পরিদর্শনে আসেন।

এসময় স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্র-ছাত্রীরা ফুল দিয়ে তাকে বরণ করে নেন। এরপর তিনি ক্লাসরুমের কার্যক্রম ঘুরে ঘুরে দেখেন এবং ছাত্র ছাত্রীদের সাথে কথা বলে সন্তোষ প্রকাশ করেন। পরে তিনি শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় ও আলোচনা সভা করেন।বিদ্যালয়ের বিভিন্ন অগ্রগতি, সুফল ও সমস্যার কথা শোনেন এবং বিদ্যালয়ের সমস্যা গুলো অতিসত্বর সমাধানের আশ্বাস দেন।

অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম,দর্শনা পৌর বিশেষ শিক্ষা প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মোছাঃ শিরিনা আক্তার, শাহিনুর আক্তার, লিখন আহম্মেদ, আব্দুল কাদের, সুমন হোসেন, মো: লিপ্টন, হাবিবুর রহমান সহ স্কুলের অভিবাবক ও ছাত্রছাত্রীরা।

উল্লেখ্য, দর্শনা পৌর বিশেষ শিক্ষা (প্রতিবন্ধী) বিদ্যালয় ১৮০ জন বিশেষ শিক্ষার্থী শিক্ষার্থী রয়েছে এবং শিক্ষক- শিক্ষীকা ১৪ জন সহ ২৫ জন কর্মরত প্রতিষ্ঠানটিতে রয়েছে।




দামুড়হুদায় পাখি ভ্যান থেকে পড়ে তিন বছরের শিশুর মৃত্যু

দামুড়হুদা উপজেলার নাপিতখালি গ্রামে পাখি ভ্যান যোগে বেড়াতে যাওয়ার সময় মায়ের কোল থেকে পড়ে তাশরিপের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যু তাশরিপ (৩) নাপিতখালি গ্রামের রহিদুল ইসলামের ছেলে।

গতকাল রবিবার বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে মোক্তারপুর গ্রামের জনৈক আবু তালেব এর বসত বাড়ীর পাশে পাকা রাস্তার উপর পড়ে এই দূর্ঘটনার ঘটে।

ঘটনার বিবারণে জানাযায়,দামুড়হুদা উপজেলার নাপিতখালি গ্রামের রহিদুলের স্ত্রী রেহেনা বেগম (৩৫) ছেলে তাশরিপ(৩) ও ভাই রাফিজ পাখি ভ্যান যোগে চারুলিয়া নানার বাড়ি যাচ্ছিল। এমন সময় মোক্তারপুর গ্রামে জনৈক আবু তালেব এর বসত বাড়ীর পাশে পৌয়ছালে মায়ের কোলে থাকা তাশরিপ অসাবধানতায় পাকা রাস্তার উপর পড়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।

দামুড়হুদা মডেল থানার এস আইন মোঃ খসরু আলম ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করেন। দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন,এ বিষয়ে কারো কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।




মেহেরপুর সরকারি শিশু পরিবার (বালক) এর মাঝে মেধাবৃত্তির চেক বিতরণ

মেহেরপুরে সরকারি শিশু পরিবার (বালক) এর নিবাশীদের মাঝে মেধাবৃত্তির চেক বিতরণের আয়োজন করা হয়। গতকাল রবিবার দুপুরে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে চেক বিতরণের আয়োজন করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম।

অন্যদের মধ্যেও উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের (ভারপ্রাপ্ত) উপ-পরিচালক কাজী কাদের মোহাম্মদ ফজলে রাব্বি।

মেহেরপুর সরকারি শিশু পরিবার (বালক) মাধ্যমিক পর্যায়ে ৯ জনকে ১২ হাজার টাকার চেক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের ৭ জনকে ৩০ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়। মোট ৩ লক্ষ ১৮ হাজার টাকার চেক।




কেন্দ্রীয় মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষে মুজিবনগরে বিএনপির গণসংযোগ

২৭ শে জুলাই বিএনপির মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষে মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে গণসংযোগ করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।

আজ বিকালে মেহেরপুর জেলা বিএনপির সহসভাপতি আলমগীর খান ছাতু নেতৃত্বে মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে গণসংযোগকালে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সহসভাপতি ওমর ফারুক লিটন, যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক ফয়েজ মোহাম্মদ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মিজান মেনন,জেলা যুবদলের সহসভাপতি আনিসুর রহমান লাবলু, যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল ইসলাম, জেলা জিয়া মঞ্চের আহবায়ক এ্যাডঃ নজরুল ইসলাম, সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম মনি, জিয়া প্রজন্ম দলের সদস্য সচিব ইসমাইল হোসেন, ছাত্রদল নেতা ইয়াসিন, বাছিম প্রমুখ।




আলমডাঙ্গার খাসকররায় বালতির পানিতে ঢুবে শিশুর মৃত্যু

আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা গ্রামে মাছ ভর্তি বালতির পানিতে পড়ে ইয়াসিন নামের আটমাস বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

আজ রবিবার বিকেল ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আটমাসের শিশু ইয়াসিন খাসকররা গ্রামে দক্ষিণ পাড়ার কৃষক আলমগীর হোসেন ও মনিকা খাতুন দম্পতির ছোট ছেলে।

শিশুটির মা মনিকা খাতুনের কথা বলা সম্ভব হয়নি। তিনি বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন। আর জ্ঞান ফিরলেই প্রলাপ বকছেন।

নিহত শিশু ইয়াসিনের পিতা আলমগীর হোসেন বলেন, আমি কাজের বাড়ির বাইরে ছিলাম। ছোট ছেলে ইয়াসিনকে নিয়ে আমার স্ত্রী ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। বড় ছেলে খেলা করছিল। ঘুমন্ত অবস্থায় খাটের সাথে রাখা মাছ ভর্তি বালতির পানিতে খাট থেকে গড়াতে গড়াতে এসে পড়ে যায় আমার ছেলে। আমরা পরে টের পেয়ে প্রথমে গ্রাম্য ডাক্তারের কাছে নিলে তিনি দ্রুত হাসপাতালে নিতে পরামর্শ দেন। আমরা আমার ছেলেকে নিয়ে দ্রুত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আসলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ইয়াসিনকে মৃত ঘোষণা করেন। এ কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন আলমগীর হোসেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. খালিদ হাসান বলেন, পরিক্ষা-নিরিক্ষার পর ইয়াসিনকে মৃত ঘোষনা করা হয়। হাসপাতালে আসার আগেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।




মেহেরপুরের নবাগত জেলা প্রশাসককে বরন করলো মেহেরপুরের ক্লাব ৯৩

রবিবার (২৩ জুলাই) বিকাল ছয়টায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্প মাল্য অর্পণ করেন মেহেরপুরের নবাগত জেলা প্রশাসক শামীম হাসান।

এরপর তিনি এসএসসি -১৯৯৩ ব্যাচের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচছা গ্রহন করেন। ক্লাব ৯৩ মেহেরপুরের সভাপতি ও মুজিবনগর খবর ডটকম এর উপদেষ্টা সম্পাদক আসফারুল হাসান সুমনের নেতৃত্বে ক্লাব ৯৩ এর প্রতিনিধিরা এসময় নবাগত জেলা প্রশাসককে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।




প্রবাস ফেরতের বাড়িতে চুরি করতে গিয়ে দামুড়হুদার আলামিন ধরাশয়ি

মেহেরপুর সদর উপজেলার চাঁদবীল গ্রামে প্রবাস ফেরতের বাড়িতে চুরি করতে গিয়ে জনতার পিটুণী খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে আলামিন হোসেন (৩৫) নামের এক চোর।

লামিন হোসেন চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার রামনগর গ্রামের ইলিয়াছ হোসেনের ছেলে।

আজ রবিবার বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে চাঁদবীল গ্রামের মালেশিয়া প্রবাস ফেরত খোকনের বাড়িতে চুরি করতে গিয়ে জনতার হাতে ধরা পড়ে আলামিন। পরে তাকে বেদম উত্তম মাধ্যম দিয়ে সদর থানা পুলিশের হাতে তুলে দেন।

মেহেরপুর সদর থানা পুলিশ তাকে নিয়ে এসে মেহেরপুর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়।

হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক মাসুদ জানান, তার মাথা ফেটে গেছে। এছাড়া শরীরের অসংখ্য স্থানে ফোলা জখম রয়েছে। তাকে পুলিশী প্রহরায় ভর্তি রাখা হয়েছে।

মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় গ্রামবাসি তাকে চুরির অপরাধে ধরে গণপিটুনী দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে। তাকে আহতাবস্থায় মেহেরপুর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সুস্থ্য হয়ে উঠলে আইনি প্রক্রিয়া শুরু হবে।

সম্প্রতি সময়ে একই গ্রামের ওমর আলীর ও আমিনুল ইসলামের বাড়িতে চুরি সংঘটিত হয়েছে।

উল্লেখ্য, চোর আলামিন হোসেন মোটরসাইকেলে চড়ে বিভিন্ন এলাকায় চুরি করে বেড়াই বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে।




মেহেরপুরে কাঁঠাল গাছের পাতা কাটতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আহত

ছাগলের জন্য কাঁঠাল গাছের পাতা কাটতে গিয়ে বিদ্যুস্পৃষ্ট হয়ে নাইম হোসেন (১৩) এখন হাসপাতালে। নাইম হোসেন মেহেরপুর সদর উপজেলার দীঘিরপাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে।

নাইম হোসেনে মা ময়না খাতুন বলেন, আজ রবিবার বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে স্থানীয় গোরস্থানের পাশে কাঁঠাল গাছের পাতা কাটতে গিয়ে বিদ্যুস্পৃষ্ট হয়। তার পা এবং হাতে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে। গাছের মাথার উপর দিয়ে ১১ হাজার ভোল্টের মেইন লাইন গিয়েছে। তারের সাথে গাছের ডাল বেধে বিদ্যুৎ হয়ে গেছে গাছটি। নাইম গাছের উপর উঠে ওই ডালটিতে দাঁড়াতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় সে। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা এখন আশংকামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।




মেহেরপুর জেলার মানুষের ভালোবাসা আমি চিরকাল মনে রাখব-বিদায়ী ডিসি

বিদায়ী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম বলেন, মেহেরপুর জেলার মানুষের ভালোবাসা আমি চিরকাল মনে রাখব। আমি যেখানেই থাকি এ জেলার সার্বিক উন্নয়নে আমার সহযোগিতা থাকবে। মেহেরপুর জেলায় আমি যা কিছুই করেছি তা সবই ছিল আমার রুটিন ওয়ার্ক, বাকিটা মেহেরপুরবাসীর ভালোবাসা।

আজ রবিবার বিকালে মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এভাবেই মনের অভিব্যক্তি প্রকাশন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম।

উপপরিচালক স্থানীয় সরকার মো: শামীম হোসেনের সভাপতিত্বে ও বিদায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক লিংকন বিশ্বাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মহা: আব্দুস সালাম, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম, মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের মেহেরপুর জেলা শাখার সভাপতি প্রফেসর হাসানুজ্জামান মালেক, মেহেরপুর জজকোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট পল্লব ভট্টাচার্য, মেহেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সাইদুর রহমান, মেহেরপুর সাহিত্য পরিষদের সভাপতি নুরুল আহমেদ, বিএমএর সভাপতি ডাক্তার আবুল বাশার, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিম, মেহেরপুর চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি আরিফুল এনাম বকুল, মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ফারুক হোসেন প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিদায়ী জেলা প্রশাসক আজিজুল ইসলাম আরও বলেন, তিন মাস বা তিন বছর নয়, কাজের মনোভাব থাকলে তিন দিনেও অনেক কাজ করা যায়। সরকার যখন যেভাবে মনে করবে যে কোনো যায়গায় পদায়ন করবে। সেখানেই যেতে হবে। এটা আমরা যারা সরকারের কর্মচারী তারা মনে প্রানে ধারণ করি।

তিনি বলেন, আমি মাত্র তিন মাস এই জেলায় কাজ করতে গিয়ে যার কাছে সহযোগীতা চেয়েছি আমাকে তারাই সহযোগীতা করেছেন। এজন্য আমি জেলাবাসির কাছে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ।

তিনি বলেন, এই জেলার মানুষ অত্যন্ত ভাল। এখানকার মানুষ যেটা চাই সেটা মন থেকেই চাই। জেলার উন্নয়নে সুশীল সমাজ থেকে শুরু করে জেলার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সবাই পজেটিভ।

আজিজুল ইসলাম বলেন, মানুষের সাথে মেশা আমার ছাত্র জীবন থেকেই। মানুষ না আসলে আমার ভাল লাগেনা। আমার বদলির কথা শুনে আমাকে অনেক মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ কল করেছেন। আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমার কাছে কেউ কোনো কাজে আসলে আমি চেষ্টা করেছি সেটা করার। না পারলেও তাকে সন্তোষ করে ফিরিয়ে দিয়েছি।

মেহেরপুর জেলায় শেষ বিকালের কিছু সময় সকল স্তুরের মানুষের সাথে দেখা করতেই এই আনুষ্ঠানিকতার আয়োজন। এর মধ্য দিয়েই মেহেরপুর থেকে বিদায় নিয়েছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম। গত সোমবার (১০ জুলাই) সরকারি আদেশে তার বদলি হয়। তিনি গত এপ্রিল মাসে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগদান করেছিলেন।

এদিকে ডিসি আজিজুল ইসলামের বিদায়ে চোখ ভিজেছে জেলার সকল শ্রেণি পেশার মানুষের। অশ্রু ধরে রাখতে পারেননি তিনি নিজেও। ২৩ জুলাই ছেড়ে যাওয়ার মুহূর্তে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়। জেলাবাসী ছাড়াও চোখের জলে বিদায় জানান তার সহকর্মীরাও।

মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক হিসেবে গত বছরের এপ্রিলে যোগদান করেন। স্বল্প কার্যকালে জেলার সব মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছিলেন আলোচিত এই জেলা প্রশাসক। নানা কাজের জন্য প্রশংসা কুড়িয়েছেন জেলবাসির কাছে।

এসময় বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বিদায়ী জেলা প্রশাসকের হাতে ক্রেষ্ট তুলে দেন স্ব স্ব সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।