রোমানিয়ায় গিয়ে প্রতারনার শিকার মুজিবনগরে দুই যুবক; থানায় অভিযোগ

মেহেরপুরের মুজিবনগরে ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে ইউরোপের দেশ রোমানিয়ায় গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন সজিব মোল্লা ও দেলোয়ার হোসেন নামের দুই যুবক। ভালো বেতনের কাজের আশায় গিয়ে ৩ মাসের মধ্যে সব কিছু খুইয়ে নিঃস হয়ে বাড়ি ফিরেছেন তারা।

এ ঘটনায় মুজিবনগর উপজেলার দারিয়াপুর গ্রামের সাদ্দাস হোসেন নামের এক দালালের বিরুদ্ধে মুজিবনগর থানায় আলাদা আলাদা অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।

প্রতারণার শিকার মুজিবনগর উপজেলার আনন্দবাস গ্রামের হজরত আলীর ছেলে দেলোয়ার হোসেন তার লিখিত অভিযোগে বলেন, উপজেলার দারিয়াপুর গ্রামের আত্তাব উদ্দীনের ছেলে সাদ্দাম হোসেন দুর্ধর্ষ ও প্রতারক। প্রতারক সাদ্দাম হোসেন নিজেকে আদম ব্যবসায়ী হিসেবে দাবি করে বিভিন্ন দেশে চাকরি দিয়ে থাকেন। ৬০ হাজার বাংলা টাকা বা ২৫৫০ লেই এর বেতনে ফ্যাক্টরিতে শ্রমিকের কাজ দেবো। তার সরল কথায় বিশ্বাস করে সহায় সম্বল বিক্রি করে ৭ লাখ ৭০ হাজার টাকায় চুক্তি করি। পরে রোমানিয়া গেলে কোন দায়িত্ব না নিয়ে সে দেশের একটি ৯তলা বিল্ডিংএর একটি কক্ষে তালা মেরে রেখে দিতো। পরে হাতে পায়ে ধরে দেশে পাঠিয়ে দেয়ার অনুরোধ করি সাদ্দামকে। কিছুদিন পর বিভিন্ন কাগজপাতিতে সাক্ষর করে ও দেশে আমার বাবা-মার লোক মারফতে সাক্ষর নিয়ে আমাকে দেশে পাঠিয়ে দেয়। সেই সাথে ৫ লাখ টাকা ফেরত দেবার আশ^াস দেয়। পরে দেশে এসে সে টাকা চাইলে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। দেলোয়ার হোসেন আরও বলেন, আমার সাথে যখন তার চুক্তি হয় তখন সে দেশেই নিজ বাড়িতে ছিল। এখন সে ইতালিতে আছে।

একই অভিযোগ করেন উপজেলার রামনগর গ্রামের আসলাম মোল্লার ছেলে সজিব মোল্লা। তিনি বলেন, রোমানিয়াতে যাওয়ার ১০ দিনের মধ্যে আমার ভিসা বাতিল হয়ে যায়। পরে সাদ্দাম আমার কাছে আরও ৪ লাখ টাকা চাই, ইতালিতে পাঠিয়ে দেবার কথা বলে। কিন্তু আমার কাছে টাকা না থাকায় দিতে অপরাগতা প্রকশ করি। তখন সে আমাকে একটি বদ্ধ ঘরে তালা মেরে রেখে দিতো। পরে আমি সুযোগ বুঝে খাবার কেনার নাম করে পালিয়ে সে দেশের পুলিশের আশ্রয় নিই। কিছুদিন পর আমাকে দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
এ বিষয়ে দালাল সাদ্দামের সাথে ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, যারা দেশে ফিরে গেছে তারা নিজ দায়িত্বে ফিরে গেছে। আমার কাছে লিখিত প্রমান আছে।

এ বিষয়ে মুজিবনগর থানার ওসি মেহেদি রাসেল জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে। শেষ হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।




জীবননগরে মশা নিধন কাযক্রমের উদ্বোধন

দেশব্যাপী ডেঙ্গু প্রতিরোধের অংশ হিসেবে গতকাল বৃহস্পতিবার জীবননগর পৌর সভা প্রাঙ্গণে এডিস মশা নিধন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জীবননগর পৌর সভার মেয়র মোঃ রফিকুল ইসলাম ।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জীবননগর পৌর সভার কাউন্সিলার মোঃ জয়নাল আবেদীন, খোকন মিয়া, আপিল উদ্দিন, আবুল কাশেমসহ জীবননগর পৌর সভার, কর্মকর্তা, কর্মচারীগন উপস্থিত ছিলেন।

এডিস মশা নিধন কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে জীবননগর পৌর সভার মেয়র মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গু, এডিস মশাবাহিত একটি রোগ। এডিস মশার জন্ম হয় জমে থাকা পানিতে। মাঠ বা ভবনে জমে থাকা পানি প্রতিদিন অন্তর সরিয়ে ফেলতে হবে। বাড়ির বা অফিসের সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য রাখা ফুলের টব নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে। বাড়ি, অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মার্কেট প্লেসসহ মানুষ থাকে এমন জায়গার আশ পাশ নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে। আমাদের সবার সচেতনতাই ডেঙ্গু, থেকে সবাইকে পরিত্রাণ দিতে পারে।




কার্পাসডাঙ্গায় আলমসাধু সহ ৩ চোর আটক

দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ক্যাম্পের অভিযানে আলমাসাধু সহ ৩ চোর আটক। গতকাল বৃহস্পতিবার কার্পাসডাঙ্গা কবরস্থান মোড়ে শেরজান আলীর স’মিল সন্নিকটে আমবাগানের মধ্যে একদল চোর আলমসাধু নিয়ে লুকিয়ে আছে।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ক্যাম্পের এস আই ইমরান হোসেন ও এ এস আই মোসলেম উদ্দিন সহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে এই চোরদের পুলিশ ধাওয়া করলে ৩ জন চোরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ ।

গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন গাংনী থানার (১) মো: হাবিবুর রহমান (১৯) পিতা মো: লোকমান গ্রাম মিনাপাড়া থানা গাংনী জেলা মেহেরপুর, (০২) মো : জনি ইসলাম (১৮) পিতা মো মিনারুল ইসলাম গ্রাম মিনাপাড়া থানা গাংনী জেলা মেহেরপুর, (০৩) মো: জাহিদুল ইসলাম পিতা সিরাজুল ইসলাম গ্রাম কার্পাসডাঙ্গা থানা দামুড়হুদা জেলা চুয়াডাঙ্গা।

বর্তমানে আসামীরা কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ক্যাম্পের হেফাজতে আছে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ক্যাম্পের এ এস আই মোসলেম উদ্দিনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে জানা যায় তিনি বলেন এই আলমসাধুর মালিক গাংনী থানার অন্তর্ভুক্ত, তার সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে আলমসাধুর মালিক গাংনী থানায় মামলা করে এই আলমসাধু সহ আসামিদের পুলিশ হেফাজতে গাংনী থানায় হস্তান্তর করা হবে।

এই সফল অভিযানে অত্র এলাকাবাসী কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ক্যাম্প’কে সাধুবাদ জানিয়েছেন।




দর্শনা সীমান্তে সাড়ে ১৭ কেজি ভারতীয় তৈরী রুপার গহনাসহ মোটরসাইকেল উদ্ধার

দর্শনা সীমান্তে বিজিবির চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে। আটক করতে পারেনী চোরাচালনানীকে। এ অভিযানে স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো ১৫টি প্যাকেটে সাড়ে ১৭ কেজি ভারতীয় তৈরী রুপার গহনা আটক করেছে। এসময় চোরাকারবারীর ফেলে যাওয়া একটি মোটরসাইকেল জব্দ করেছে বিজিবি।

এ ঘটনায় বিজিবি বাদী হয়ে দর্শনা থানায় মামলা দায়ের করে আটককৃত ভারতীয় তৈরীকৃত রুপাগুলি চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারী অফিসে জমার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

বিজিবি জানায়, চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা থানার অন্তর্গত সুলতানপুর সীমান্ত দিয়ে ভারত হতে বাংলাদেশে রুপার গহনা চোরাচালান যাচ্ছে এ মর্মে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান, পিএসসি এর নেতৃত্বে সুলতানপুর বিওপির টহল কমান্ডার নায়েক রবিউল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সীমান্ত মেইন পিলার ৭৮ হতে আনুমানিক ৪শ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ছয়ঘরিয়া পাঁকারাস্তার পাশে এ্যাম্বুশ করে। অবস্থানের একপর্যায় আনুমানিক দুপুর ৩ টার দিকে সীমান্তের শূণ্য লাইন হতে দর্শনা অভিমুখে অজ্ঞাত একজন ব্যক্তিকে মোটরসাইকেল যোগে যেতে দেখলে টহলদল তাকে ধাওয়া করে। তখন উক্ত অজ্ঞাত ব্যক্তি টহলদলের উপস্থিতি টের পেয়ে মোটরসাইকেলটি ফেলে দৌড়ে মাঠের মধ্যে পালিয়ে গেলে চোরাকারবারীদের ফেলে যাওয়া মোটরসাইকেলটি জব্দ করে বিজিবি।

পরে টহলদল জব্দকৃত মোটরসাইকেলটি তল্লাশী করে মোটরসাইকেলের তেলের ট্যাংকির মধ্যে অভিনব কায়দায় স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো ১৫ টি প্যাকেট হতে ১৭ কেজি ৫০০ গ্রাম ওজনের ভারতীয় তৈরীকৃত রুপার গহনা এবং ১টি মোটরসাইকেল আটক করতে সক্ষম হয়। এ ব্যাপারে সুলতানপুর বিজিবি ক্যাম্পের নায়েক রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে দর্শনা থানায় একটি মামলা দায়ের করে আটককৃত ভারতীয় তৈরীকৃত রুপাগুলি চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারী অফিসে জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।




চুয়াডাঙ্গায় আন্দোলনকারীদের অনশন ভাঙ্গালেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ২৫০ শর্য্যা বেডের পূর্ণাঙ্গ চালুর দাবি মেনে নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের অনশন ভাঙ্গালেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক পুলিশ সুপার ও সিভিল সার্জন সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে এগারোটা সময় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট সকলের উপস্থিতিতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ২৫০ শর্য্যা পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম চালুর দাবীতে চলমান আমরণ অনশন ভাঙ্গলেন আন্দোলনকারীরা।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের পুরাতন বিল্ডিংয়ের সামনে হাসপাতালের ২৫০ শর্য্যা পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম চালু, প্রয়োজনীয় ডাক্তার-নার্স ও পরিচ্ছন্নকর্মীর দাবীতে গত ১৮ ই জুলাই মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটা থেকে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কমান্ড কাউন্সিল, চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার উদ্যোগে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল চত্বরে এই অনশন কার্যক্রম চালাতে থাকে আন্দোলনকারীরা। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ও চুয়াডাঙ্গা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কমান্ডেন আহবায়ক গরীব রুহানি মাসুমের নেতৃত্বে আমরণ অনশন কর্মসূচি চলমান ছিল।

উল্লেখ যে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ২৫০ শর্য্যা পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম চালুর দাবীতে চলমান আমরণ অনশনের বিষয়টি আমলে নিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান, চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন, চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন সাজ্জাৎ হোসেন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শামিম ভুঁইয়া, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আতাউর রহমান, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ফাতেহ্ আকরাম দোলন এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিতিতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সামনে অনশনরত সদস্যদের আশ্বস্ত করেন যে, আগামী ০২ (দুই) মাসের মধ্যে তাদের যৌক্তিক সকল দাবি বাস্তবায়ন করা হবে। জেলার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে অনশনরত সদস্যরা সন্তুষ্ট হয়ে পানি পানের মধ্য দিয়ে আমরন অনশন ভাঙ্গেন।

উক্ত আমরণ অনশন কর্মসূচিতে আরও নেতৃত্বে ছিলেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সদস্য সচিব বখতিয়ার হোসেন জোয়ার্দার, যুগ্ন আহবায়ক আবু হাশেম, যুগ্ন আহবায়ক জাকির হোসেন, যুগ্ন আহবায়ক বায়েজিদ রহমান জোয়ার্দার, যুগ্ন আহবায়ক ববিন মোস্তাফিজ, যুগ্ন আহবায়ক আলিফ জোয়ার্দার, জেলা শাখা সদস্য দারুল ইসলাম খুশি খাতুন সহ সদর উপজেলার আহবায়ক আকরামুল হক কামাল, সদর উপজেলা সদস্য সচিব শাহাজান আলী, যুগ্ম আহবায়ক আয়নাল হোসেন, চুয়াডাঙ্গা পৌর আহবায়ক সোহেল রানা, পৌর সদস্য সচিব জসিম উদ্দিন নিয়তি পৌর যুগ্ম আহবায়ক আরশাফুল আলম, পদ্মবিলা ইউনিয়ন সদস্য সচিব আলী হোসেন, যুগ্ম আহবায়ক আজাদ আলী, যুগ্ম আহবায়ক হাতেম আলী, কুতুবপুর ইউনিয়ন আহবায়ক আঃ হান্নান, মাখালডাঙ্গা ইউনিয়ন আহবায়ক বিশারত আলী, যুগ্ম আহবায়ক ইসাহাক আলী, সদস্য জান্টু, শংকরচন্দ ইউনিয়ন যুগ্ম আহবায়ক কামাল হোসেন, সদস্য লাভলু মিয়া, আশরাফুল ইসলাম, আলুকদিয়া ইউনিয়ন আহবায়ক ঝন্টু মিয়া সহ জেলার সাধারণ মানুষ।




চুয়াডাঙ্গায় কিশোর কিশোরী ক্লাবের বৃক্ষরোপণ কর্মসুচি পালন

“গাছ লাগান, পরিবেশ বাঁচান ” এই স্লোগানকে সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কিশোর কিশোরী ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ আকাশের নেতৃত্বে গাছ লাগানো কর্মসুচি পালন করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকাল চারটায় চুয়াডাঙ্গা রাহেলা খাতুন গার্লস একাডেমির মাঠ প্রাঙ্গনে গাছ লাগানো হয়। গাছ লাগানো কর্মসুচি শুভ উদ্বোধন করেন, চুয়াডাঙ্গা পৌর ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাফিজুর রহমান মাফি। ফলজ, ঐষধি, বনজ গাছ।

এই কর্মসুচিতে এই গাছগুলো লাগানো হয়। কৈশোর কর্মসুচির আওতায় আয়োজনে ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কিশোর কিশোরী ক্লাব ও ওয়েভ ফাউন্ডেশন।

বৃক্ষরোপন কর্মসুচিতে উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কিশোর কিশোরী ক্লাবের উপদেষ্টা শেখ লিটন, প্রচার প্রকাশনা সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, মেন্টর শুভ, রাতুল, রিয়া, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক মায়মুনা, প্রমুখ।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, ওয়েভ ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম অফিসার কানিজ সুলতানা, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কিশোর কিশোরী ক্লাবের সদস্যবৃন্দ।




গাংনীতে খাস জমি নিয়ে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের আহত ১১

গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নের জালশুকা গ্রামে খাস জমি দখল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সৃষ্ট সংঘর্ষে উভয়পক্ষের নারী সহ ১১ জন আহত হয়েছেন।

আহতদের গাংনী উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে আজ বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) মাগরিবের নামাজের পরে।

আহতরা হলেন, আসাদুল ইসলামের ছেলে রিপন (২৬), হাইয়াত আলীর ছেলে মিনারুল (৫০) শাহিনের স্ত্রী শিল্পী খাতুন (২৫), আমির উদ্দিনের ছেলে তোমছেল (৬০), আজগর আলীর ছেলে ইকরাম (৩৫), মনিরুদ্দিনের ছেলে টুটুল (৩৮) অপরপক্ষে আহত রা হলেন, আব্দুর রহমানের ছেলে মোবারক (৩৫), স্ত্রী জাহানারা (৫০), নজরুল ইসলামের স্ত্রী মহিলা (৫০), মফিজ উদ্দিনের ছেলে আরমান (৫০) ও সাহাবুল (৩৫)।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় উভয় পক্ষই মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।




মেহেরপুরের কথিত সাংবাদিক আতাউরের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা

মেহেরপুরের কথিত সাংবাদিক, আত্মস্বীকৃত বঙ্গবন্ধুর গবেষক আতাউর রহমানসহ দুজনের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আপর আসামি হলেন রফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি।

আজ বৃহস্পতিবার মেহেরপুরের ডায়মন্ড অটোমেটিক রাইস মিলের ম্যানেজার মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মেহেরপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। যার মামলা নং ৫১৪/২০২৩, ধারা ৪৪৭/৪৪৮/৩২৩/৩৮৫/৩৮০/৫০৬ প্যানাল কোড। মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেসন (পিবিআই) কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মামলার ২নং আসামি আতাউর রহমান একজন মুখোশধারি সাংবাদিক। ১ নং আসামির প্রত্যক্ষ মদদে ও অন্যান্য সন্ত্রাসীদের ব্যবহারে আসামিদ্বয় দীর্ঘদিন যাবৎ বাদির নিকট থেকে ১৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছেন। চাঁদা না দিলে আসামিরা বাদির প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে এই প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি সাধণ করবে। এছাড়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দিবে। বাদি তাদের এই হুমকিতে পাত্তা না দিলে বিগত ৯ জুলাই বিকাল ৫টার দিকে দেশীয় অস্ত্রসহ রাইসমিলে প্রবেশ করে। পরে ম্যানেজারকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মারধর করে ১ নং আসামি রফিকুল ইসলাম ক্যাশ বাক্সে থাকা নগদ ৩ লাখ ৮২ হাজার ৭২০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। ২ নং আসামি আতাউর রহমান অস্ত্র ধরে প্রকাশ্যে ১২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এসময় বাদি অপারগতা প্রকাশ করলে আসামিরা মিলের গেটে তালা লাগিয়ে দেন এবং মিল বন্ধ করার ঘোষণা দেন। পরে বাদি ৯৯৯ কল দিলে পুলিশ গিয়ে মিলের তালা খুলে দেন। পুলিশ আসার আগেই তারা পালিয়ে যায় বলে উল্লেখ করেছেন মামলার বাদি মোস্তাফিজুর রহমান।

স্থানীয়রা জানান, কথিত সাংবাদিক আতাউর রহমান নিজেকে বিভিন্ন অখ্যাত ও নাম সর্বস্ব পত্রিকা ও অনলাইনের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে থাকেন। নিজেকে কখনো কখনো বঙ্গবন্ধুর গবেষক পরিচয় দিয়ে থাকেন।




মুজিবনগরে চেয়ারম্যান আয়ূব হোসেনের একযুগ পূর্তি উপলক্ষে আলোচনা সভা

মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের তিন মেয়াদে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেনের দায়িত্ব পালনের একযুগ পূর্তি উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ইউনিয়নবাসী।

আজ বৃহস্পপতিবার বিকেলে ইউনিয়ন ব্যাপী মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা, পুষ্পমাল্য অর্পণ, কেককাটা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিনটি স্মরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে ইউনিয়নব্যাপী মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করে মুজিবননগর স্মৃতিসৌধ পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এরপরে মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্সে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন।

বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদ চত্ত্বরে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ইউপি চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস।

বিশেষ অতিথি ছিলেন মেহেরপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাড. আব্দুস সালাম, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. ইব্রাহীম শাহীন, মুজিবনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদী রাসেল, মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম, মহাজনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমাম হোমেন মিলু, উপজেলা যুব মহিলা লীগ সভাপতি তকলিমা খাতুন, সাধারণ সম্পাদক তহমিনা খাতুন, বাগোয়ান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মজিবুর রহমান মধু বিশ্বাস, সাবেক প্রধান শিক্ষক প্রশাস্ত মন্ডল। উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়নের পরিষদের সকল ইউপি সদস্যবৃন্দ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দসহ গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।

সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মঞ্চ মাতায স্থানীয় ও অন্য জেলা থেকে আগত শিল্পীবৃন্দ। অনুষ্ঠানের শেষে আতশ বাজি ফাটিয়ে আকাশ রাঙানো হয়।

১২ বছরের দীর্ঘ মেয়াদে পরিষদ পরিচালনা ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব প্রদানের অভিজ্ঞতার আলোকে চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন বলেন আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ভুল ভ্রান্তি ভুলে সকলকে এক ঐক্যের মাধ্যমে শক্তিশালী সংগঠনিক অবস্থানের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনাকে পুনর্বার বাংলাদেশে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব এনে দিতে হবে।




কৃষকদল নেতা হত্যার প্রতিবাদে মেহেরপুরে বিএনপির শোক র‌্যালি

বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত শান্তিপূর্ণ পদযাত্রায় লক্ষিপুরে কৃষক দল নেতা সজীব হত্যার প্রতিবাদে মেহেরপুর জেলা বিএনপির উদ্যোগে শোক র‌্যালি ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) বিকালে মেহেরপুর কাথুলী বাসস্ট্যান্ড এই প্রতিবাদ সভা ও শোক র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়।

শোক র‌্যালিটি কাথুলী বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়।

শোক র‌্যালিতে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি মাসুদ অরুন, সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন, মেহেরপুর পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, গাংনী উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল হক, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু, মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আমিরুল ইসলাম, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আওয়াল, সাংগাঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আলী ভূট্টোসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।