১০ অক্টোবর শুরু এনসিএল

আগামী ১০ অক্টোবর থেকে শুরু হবে বাংলাদেশের দু’টি প্রথম শ্রেণির টুর্নামেন্টের একটি জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল)। ইতোমধ্যেই আসন্ন মৌসুমের ঘরোয়া ক্যালেন্ডার চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

দ্বি-স্তর বিশিষ্ঠ চার দিনের এই টুর্নামেন্টে সাতটি বিভাগ এবং ঢাকা মেট্রো অংশ নিবে। ১৭ নভেম্বর শেষ হবে এনসিএল। এরপর ২৬ নভেম্বর থেকে শুরু হবে দেশের প্রথম শ্রেণির শীর্ষ টুর্নামেন্ট হিসাবে বিবেচিত বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ (বিসিএল)।

এনসিএলের পারফরমেন্সের ভিত্তিতে বিসিএলের চারটি দলে জায়গা করে নেবেন ক্রিকেটাররা। বিসিএল শেষ হবে ১৯ ডিসেম্বর। ওয়ানডে ফরম্যাটের বিসিএল চলবে ২২ থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

আগামী বছরের ১০ জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার কথা থাকলেও জাতীয় নির্বাচনের জন্য সময়সূচিতে পরিবর্তন হতে পারে।

আগামী বছরের ১২ মার্চ থেকে শুরু হবে ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ওয়ানডে প্রতিযোগিতা ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল)।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে শান্তিপূর্ণভাবে বিএনপির পদযাত্রা অনুষ্ঠিত

এক দফা দাবি আদায়ে বিএনপির পদযাত্রা মেহেরপুর শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। বুধবার (১৯ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে এই পদযাত্রা কর্মসূচি শুরু হয়।

পদযাত্রা কর্মসূচির উদ্বোধন করেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মাসুদ অরুন। এসময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন, সহসভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন, আলমগীর খান ছাতু, গাংনী উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল হক, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু।

এদিকে কর্মসূচি সফল করতে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নানা বয়সী মানুষকে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।

পদযাত্রাটি বিটিসি থেকে শুরু হয়ে মেহেরপুর কলেজ মোড়, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড, হোটেল বাজার, বড় বাজার, কাথুলি মোড় থেকে ছহি উদ্দীন ডিগ্রী কলেজে গিয়ে শেষ হয়।

এর আগে, বুধবার (১৯ জুলাই) সকাল থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে বিটিসি’র সামনে গিয়ে অবস্থান নেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। তাদের সবার হাতে ব্যানার, প্ল্যাকার্ড ফেস্টুন দেখা গেছে। অনেকেই ধানের ছড়া হাতে পদযাত্রা কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন।

এদিকে বিএনপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে শহরের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি দেখা গেছে। পোশাকে, সাদা পোশকে নজরদারি করছেন পুলিশের গোয়েন্দা সদস্যরা।




ভারপ্রাপ্তের ভারে ন্যুজ মোনাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়েই দেড় বছর চলছে মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম। ফলে দিন দিন কমছে বিদ্যালয়টির শিক্ষার মান। এতে প্রতিষ্ঠানে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমও ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের।

এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন ধরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে পরিচালিত হলেও নিয়োগের কোনো ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তবে অন্যান্য তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর নিয়োগ যথারীতি চলছে। ইতোমধ্যে দুই জন তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে মোটা অংকের বানিজ্য হলেও ওই বিদ্যালয়ের উন্নয়নে একটি টাকা পাওয়া যায়নি বলেও জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাদেক আলী।

সভাপতি রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে দেড় বছর ধরে প্রধান শিক্ষকের পদটি ঝুলিয়ে রেখেছেন বলে একটি সূত্র দাবী করেছেন। সভাপতির নিজের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতেই প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক নিয়োগে বাধাগ্রস্ত করছেন। এক্ষেত্রে একবারও প্রতিষ্ঠান প্রধান নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়নি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন অভিভাবক বলেন ‘দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠান প্রধানের পদ ফাঁকা থাকলে শিক্ষা কার্যক্রমের ব্যাঘাত ঘটবে এটাই স্বাভাবিক। অন্য পদে নিয়োগ চলছে অথচ যেটা জরুরি সেই প্রধান শিক্ষকের নিয়োগ হচ্ছে না। এমন পরিবেশে আমরা আমাদের ছেলে-মেয়েদের শিক্ষা গ্রহণ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় আছি।’

স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, একজন প্রতিষ্ঠান প্রধানকে কেন্দ্র করেই সে প্রতিষ্ঠানের সাফল্য রচিত হয়। অথচ কিছু মানুষ নিজেদের সুবিধা আদায়ে ও নিয়োগ বাণিজ্য করতে বছরের বছর ধরে এসব স্কুল ও কলেজে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বাধাগ্রস্ত করেন।

এব্যাপারে মোনাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা পরিষদের সভাপতি শাহাবুদ্দীন জানান, পরস্পর জানা শোনার মধ্য দিয়ে একজন প্রধান শিক্ষক খোঁজা হচ্ছে। এধরনের চেনা জানা প্রধান শিক্ষক পাওয়া যায়নি বলে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। তাছাড়া গ্রামের স্কুল এজন্য সার্কোলারও দেওয়া হয়নি। চেনা জানা প্রধান শিক্ষক পাওয়া গেলে পত্রিকায় সার্কোলার দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে মেহেরপুর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্বাছ উদ্দীন বলেন, বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটির উপর নির্ভর করে। পূর্নাঙ্গ কমিটি না থাকলে সেখানে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব নয়। তবে অতি দ্রুত যাতে নিয়োগ দেওয়া যায়, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ।




মেহেরপুরের খোকসাতে সরকারি জমির মাটি কেটে বিক্রয়

মেহেরপুর সদর উপজেলা আমঝুপি ইউনিয়নে খোকসা গ্রামে রাতের আঁধারে সরকারি জমিতে অবৈধভাবে মাটি কেটে বিক্রয় করেছেন মনজুরুল ইসলাম এক ব্যক্তি। মাটি খেকো মঞ্জুরুল ইসলাম আমঝুপি গ্রামের কালুর ছেলে।

খোকসাা গ্রামের তাসিরুল ইসলামের বাড়ির পাশে মাঠে যাওয়া রাস্তার মাটি রাতের আধারে কেটে সাঁবাড় করে দিচ্ছেন। মাটি কিনছেন একই গ্রামের সিরারুল ইসলাম।

খোকশা গ্রামের সাদিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন, শুধু সরকারি জমির মাটিই নয়, গায়ের জোরে ওই জমির পাশে আমার জমির মাটিও কেটে অন্য জায়গায় বিক্রয় করেছেন মুঞ্জুরুল ইসলাম। এভাবে এলাকার অনেক মানুষের জমি কেটে বিক্রয় করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

তিনি আরো বলেন, যেখান থেকে মাটি কেটেছে সেখানে একটি রাস্তা ছিল সে রাস্তা দিয়ে মাঠের ফসল নিয়ে যাতায়াত করতো কৃষকগণ।

কৃষকদের যাতায়াতের রাস্তাটির মাটি কাটার ফলে বর্তমান সে রাস্তাটি হারিয়ে যাচ্ছে। ফলে কৃষকরা ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা বলেন, মঞ্জুরুল ইসলামের মুল ব্যবসা অবৈধভাবে মাটি কাটা। ভয়ে তাকে কেউ কিছু বলতে পারেনা। মুঞ্জুরুল ইসলাম গর্ব করে বলে বেড়ান ডিসি,এসপি থানা সবকিছু তার হাতের মধ্যে।

সরকারি জমির পাশের জমির মালিক সাদিকুল ইসলাম বলেন, মুঞ্জুরুল ইসলাম রাতের আঁধারে অবৈধভাবে সরকারের জমিতে মাটি কেটেছে। ওই জমির পাশে আমার জমি ছিল। সে আমার জমি থেকে মাটি কেটে বিক্রি করে দেন অন্য জায়গায় এই নিয়ে আমি একটি মামলা করব বলে জানায়। তিনি আরও বলেন, অল্প গভীর করলে সেখান দিয়ে যাওয়া যেতো। পাশেই আমার জমি। ওই জমির উপর দিয়ে আমার জমিতে যেতে হয়। গভীর করে মাটি কেটে নেওয়ায় এখন আমার জমিতে যাওয়া পথ বন্ধ হয়ে গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় ব্যক্তি জানান, মুঞ্জুরুল সরকারি জমির মাটি কেটে নিয়ে বিক্রি করছে। এটা এলাকার সবাই জানে। সে আওয়ামীলীগ নেতা তাকে কিছু বলে মার খাবো। এ বিষয়ে ফেসবুকেও লাইভ হয়েছে। তবে, এই মাটি খেকোর বিচার হওয়া দরকার।

এ ব্যাপারে মুঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, আমার বিরুদ্ধে যা বলেছে সব মিথ্যা বলেছে। আমি আজগর আলীর জমির মাটি কেটেছি। ওই জমির পাশে খাস জমি আছে। ওখানে ইটের ভাটা থাকায় ইটের কুচি রয়েছে। সেই কুচি সরানো হয়েছে। সেখান থেকে কিছু মাটি নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন আমি যুবলীগের আমুঝুপি ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের সেক্রেটারী, সেই সাথে মসজিদ কমিটিরও সেক্রেটারী। আমার হাত দিয়ে অন্যায় কিছু হবেনা। এছাড়া আমি মাটির ব্যবসা করি বলে মেহেরপুরের অনেক সাংবাদিকের সাথেই আমার ভাল সম্পর্ক রয়েছে। তাদের সাথে আমার নিয়মিত কথা চলে।

এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কাজী নাজিব হোসেন বলেন, আমি নতুন এসেছি। তারপরও এ বিষয়ে নিয়ে খোঁজ খবর নিয়ে আইননুনো ব্যবস্থা নেবো।




আলমডাঙ্গায় পুলিশের অভিযানে ট্যাপেন্টাসহ দুইজন আটক

আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ সাইফুল ইসলাম (২৯) ও রাসেল (২৫) নামের দুইজনকে আটক করেছে।

আজ মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে বাবুপাড়া থেকে তাদেরকে ৫০পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ আটক করে পুলিশ।

আটক সাইফুল ইসলাম কালিদাসপুর স্কুলপাড়ার সাদেক আলী মালিতার ছেলে ও রাসেল গোবিন্দপুর গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে।

জানাগেছে, কালিদাসপুর স্কুলপাড়ার সাইফুল ইসলাম গোবিন্দপুর স্কুলপাড়ার রাসেল দীর্ঘদিন ধরে পুর্লিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে মাদক দ্রব্য ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট বিক্রি করে আসছিল। মঙ্গলবার রাতে আলমডাঙ্গার বাবুপাড়ায় ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট বিক্রি হচ্ছে বলে পুলিশের কাছে সংবাদ আসে। সংবাদের ভিত্তিতে আলমডাঙ্গা থানার এসআই হাদীউজ্জামান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে তাদের দুজনকে আটক করে পুলিশ। আটকের পর তাদের কাছ থেকে ৫০ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে আলমডাঙ্গা থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।




আলমডাঙ্গায় জেলা প্রশাসকের বদলিজনিত বিদায় সংবর্ধনা

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খানঁ ও জেলা প্রশাসক পত্নী মেহনাজ খাঁন বাঁধনকে আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ এবং উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বদলিজনিত বিদায় সংবর্ধনা জানানো হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় উপজেলা পরিষদ হলরুমে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন এবং বিদায়ী জেলা প্রশাসকের দৃষ্টিনন্দিত কর্মের স্মৃতিচারণ করে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা দাস।

উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাকটর আনারুল ইসলামের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিদায়ী জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খাঁন। তার আগেই বিদায়ী বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক পত্নী মেহনাজ খাঁন বাঁধন। জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খাঁন চুয়াডাঙ্গা জেলায় দায়িত্ব পালনকালে নানামুখী উন্নয়ন, দক্ষতা ও সফলতার কথা তুলে ধরে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন।

আরও বক্তব্য রাখেন আলমডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র হাসান কাদির গনু, সহকারী কমিশনার ভুমি রেজওয়ানা নাহিদ, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সোহেল রানা, প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা আব্দুল্লাহিল কাফি, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এনামুল হক, উপজেলা জনস্বাস্থ্য বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী হাসিবুজ্জামান, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাকসুরা জান্নাত, তথ্য আপা স্নিগ্ধা দাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা মইনুদ্দিন পারভেজ, আইলহাঁস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দীন, নাগদাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিপুল জোয়াদ্দার, ভাঙবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান, জেহালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মকলেছুর রহমান সিলন, কালিদাসপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশাদুল হক মিকা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ সহ স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীগণ। বিদায় অনুষ্ঠান শেষে উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসককে ভালোবাসার নিদর্শন স্বরূপ পৃথক পৃথকভাবে সম্মাননা স্মারক ও ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করা হয়।




আলমডাঙ্গায় বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ অনুর্ধ্ব-১৭ ফুটবলের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত

আলমডাঙ্গা উপজেলায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবলের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুর্ধ্ব ১৭ এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে নাগদাহ ইউনিয়ন পরিষদ একাদশকে ৩-২ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে গাংনী ইউনিয়ন পরিষদ একাদশ।

আজ মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় আলমডাঙ্গা এটিম মাঠে ফাইনালে দুই দল মুখোমুখি হয়। মাঠে প্রধান অতিথী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রসাশক আমিনুল ইসলাম খাঁন। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আলমডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আয়ুব হোসেন, উপজেলার নির্বাহি অফিসার স্নিগ্ধা দাস এবং পৌর মেয়র আলহাজ্ব হাসান কাদির গনু।

গত ১০ জুলাই এই টুর্নামেন্ট শুরু হয়। নক আউট ভিত্তিতে হওয়া এই টুর্নামেন্টে ১৬ টি দল অংশ নেয়। তার মধ্যে ১৫ দলের দায়িত্ব নেন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বৃন্দ। একটি দলের দায়িত্বে ছিলেন পৌরসভার মেয়র। খেলা পরিচালনা করেন আলমডাঙ্গা উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জিহাদি জুলফিকার টুটুল ।

ফাইনাল খেলায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের ভাইসচেয়ারম্যান সালমুন আহম্মেদ ডন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি রেজওয়ানা নাহিদ, প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা আব্দুল্লাহীল কাফি, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জিয়াউল হক, উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাকটর জামাল হোসেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এনামুল হক, ফুড ইন্সপেক্টর লিটন কুমার বিশ্বাস, উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী জনস্বাস্থ্য হাসিবুজ্জামান, আনসার ভিডিপির অফিসার আজিজুল হাকিম প্রমূখ।




আলমডাঙ্গায় ভোক্তা অধিকারের অভিযান, ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

আলমডাঙ্গা উপজেলায় বিভিন্ন অপরাধে ৩ প্রতিষ্ঠানকে ১৪ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে খাদেমপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার বেকারি ও মুদি দোকানে অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করা হয়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গা জেলার সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ।

জরিমানাকৃত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- উপজেলার খাদেমপুর ইউনিয়নের বটিয়াপাড়া গ্রামের মুদি ব্যবসায়ী মেসার্স ইসমাইল স্টোর থেকে ফ্রিজ ও র‌্যাক থেকে প্রচুর মেয়াদ উত্তীর্ণ পানীয়, বিস্কুট, শিশুখাদ্য ও অন্যান্য পণ্য জব্দ করা হয়। এছাড়া মেয়াদ মুল্য বিহীন পণ্য ও নিম্নমানের শিশুখাদ্য বিক্রয়, পণ্যের মুল্য তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে দোকান মালিক ইসমাইলকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এছাড়াও, খাদেমপুর বটতলা এলাকার মেসার্স ফারুক স্টোরের মালিক মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য ও মেয়াদ বিহীন পণ্য সংরক্ষণ করে বিক্রয় ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মুল্যতালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে মো: ফারুক হোসেনকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরবর্তীতে, শিয়ালমারি গ্রামে মেসার্স রহমত ফুড বেকারিতে অস্বাস্থ্যকরভাবে বেকারি পণ্য তৈরির অপরাধে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।




বনায়ন মেহেরপুরের উদ্যোগে ঔষধি বাগানের উদ্বোধন

“বনায়ন”মেহেরপুরের উদ্যোগে মেহেরপুর সার্কিট হাউসে একটি ঔষধি বাগানের উদ্বোধন করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে একটি করবি গাছ লাগিয়ে উক্ত ঔষধি বাগানের উদ্বোধন করেন মেহেরপুর জেলা প্রশাসক আজিজুল ইসলাম।

এসময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক শামীম হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক লিংকন বিশ্বাস এবং ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো মেহেরপুরের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক সাজ্জাদ তালুকদার।

ঔষধি বাগানে নানা প্রজাতির প্রায় ১০০ টি বিলুপ্তপ্রায় ঔষধি গাছ রোপন করা হয়। এছাড়াও জেলা সার্কিট হাউজ এলাকায় সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য বিভিন্ন প্রজাতির দৃষ্টি নন্দন গাছের চারা রোপন করা হয়।




মোনাখালী ফুটবল টুর্নামেন্টের ৫ম ম্যাচ অনুষ্ঠিত

আজ মঙ্গলবার বিকেলে মোনাখালী ফুটবল টুর্নামেন্টের পঞ্চম ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে সুবিদপুর ফুটবল একাদশ ও বাঁশবাড়িয়া ফুটবল একাদশের মধ্যে।

সুবিদপুর একাদশ দুর্দান্ত খেলা উপহারের দেয় । ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত করে বাঁশবাড়িয়া একাদশ কে।

খেলাটি পরিচালনা করেন সোহেল আহমেদ। তাকে সহযোগিতা করেন কায়েস এবং শরিফুল ইসলাম।

টুর্নামেন্টের ষষ্ঠ ম্যাচটি আগামীকাল বুধবার বিকেলে অনুষ্ঠিত হবে চন্দ্রবাস ফুটবল একাদশ ও কেশবপুর ইয়াং স্টার ক্লাবের মধ্যে।