মেহেরপুরে ভৈরবপাড়ে তালের বীজ বপন

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার গাড়াবাড়িয়া থেকে সদর উপজেলার কুলবাড়িয়া গ্রাম পর্যন্ত ভৈরব নদের পাড় দিয়ে ২৫০টি তালের বীজ বপন করেছে স্থানীয় পাঁচ যুবক।

গতকাল শুক্রবার মেহেরপুর প্রতিদিনের ছড়াকার নাসিম আহমেদ, সোহেল, মাসুম, সবুজ, নাইম এই পাঁচ যুবকের ব্যক্তি উদ্যোগে বজ্রপাত প্রতিরোধক এসকল তালের বীজ বপন করা হয়।




সাবেক সাংসদ প্রফেসর আবদুল মান্নানের পক্ষে গণসংযোগ

মেহেরপুর -১ আসনের আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে সাবেক সংসদ সদস্য প্রফেসর আব্দুল মান্নানের পক্ষে গণসংযোগ করেছেন তার অনুসারীরা।

জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালেদুজ্জামান খান ডালিমের নেতৃত্বে মুজিবনগর, কেদারগঞ্জ বাজার, শিবপুর, সাহেবপুর, টেংরামারি, ইসলামপুর, যতারপুর, নুরপুর,আমদহসহ বিভিন্ন স্থানে সাধারণ জনগণের সাথে সরকারের জনকল্যাণমুখী বিভিন্ন উন্নয়ন তুলে ধরেন।

গনসংযোগকালে বিভিন্ন স্থানে স্থানীয় ব্যাক্তিবর্গ ও নেতাকর্মীদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

গণসংযোগে মির্জা গালিব উজ্জ্বল, মোঃ সাজেদুর রহমান সাজু , আবু তালহা বীন হাবিব জুয়েল –,আব্বাস উদ্দীন, মোঃ খোকন শেখ, শেখ কায়সার হামিদ বুলবুল, রবিউল ইসলাম, রাজু আহমেদ , ইকবাল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।




কৃষি ও কৃষকের পাশে শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে এখন প্রথমবারের মত হাঁস-মুরগী, কবুতর ও গরু পালন হচ্ছে। পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ধান, শাক-সবজি, ফুল-ফল, মধু ও মাছ চাষও হচ্ছে। আর সব কিছুর তদারক করছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণমাধ্যমে তিনি বলেছেন, দেশের প্রতিটি পরিবারকে কৃষিতে উৎসাহ দিতে তাঁর এই উদ্যোগ। তিল-সরিষার মতো পেঁয়াজের মত ফসলের চাষ করেছেন মাটি ও মানুষের কন্যা শেখ হাসিনা।

এরইমধ্যে শেখ হাসিনা দেশের প্রতি ইঞ্চি জমির সদ্ব্যবহারের আহবান জানিয়েছেন। আগেই তাঁর বিশেষ উদ্যোগ ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পে সারাদেশে প্রায় ১ কোটি ৬৫ লাখ দরিদ্র ও অতিদরিদ্র মানুষ উপকৃত হচ্ছে।

চা এলো সমতলে

সিলেট অঞ্চলের টিলায় চায়ের চাষ দেখে অভ্যস্ত বাংলাদেশের মানুষ। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর প্রথম সমতলে চা চাষের যাত্রা শুরু হয়। প্রথমে পঞ্চগড়ে। পাহাড়ি অঞ্চলের পাশাপাশি সমতল ভূমিতে চা চাষের এই যাত্রা শেখ হাসিনার কৃষি বান্ধব কর্মসূচির একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় আসার পর চা উৎপাদন শুরু হয় পঞ্চগড়ের পাশের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে। বর্তমানে এ জেলার ১ হাজার ৪৫৭ একর জমিতে চা চাষ হচ্ছে, এতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৩ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।

২০২২ সালের ২৭ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী চা শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম মজুরি ১২০ থেকে বাড়িয়ে ১৭০ টাকায় উন্নীত করেন। ভর্তুকি মূল্যে রেশন সুবিধা বাড়ানো হয়। এছাড়া চিকিৎসাসুবিধা, অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকদের পেনশন, শ্রমিক পরিবারের ছেলেমেয়েদের শিক্ষা, আবাসনসহ নানামুখী কর্মসূচির পরিকল্পনা করা হয়। সবকিছু মিলিয়ে এখন তাদের দৈনিক মজুরি আসবে সাড়ে চার শ থেকে পাঁচ শ টাকার মতো ।

কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার

বর্তমান সরকার কৃষি যান্ত্রিকীকরণে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। ফলে দেশে কৃষি জমি চাষে ৯০%, আগাছা দমনে ৬৫%, কীটনাশক প্রয়োগে ৮০%, সেচকার্যে ৯৫% এবং ফসল মাড়াইয়ের কাজে ৭০% যান্ত্রিকীকরণ সম্ভব হয়েছে। বর্তমান সরকারের আরেকটি বড় সাফল্য হলো কৃষি গবেষণাকে অগ্রাধিকার দেয়া। এর ফলে প্রতিটি কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে ল্যাব উন্নয়নসহ নানামুখী গবেষণা পরিচালনা করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। দেশে প্রথমবারের মতো ডিজিটাল কৃষি তথা ‘ই-কৃষি’র প্রবর্তন করা হয়েছে । মোট ৪৯৯টি কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্র, কৃষি কল সেন্টার-১৬১২৩, কৃষি কমিউনিটি রেডিও, কৃষি তথ্য বাতায়ন তৈরি করা হয়েছে। ফলে দেশের প্রান্তিক কৃষকসমাজ সহজেই কৃষিখাতের আধুনিকায়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারছেন।

শেখ হাসিনার সরকার কৃষককে মাত্র ১০ টাকায় ব্যাংক হিসাব খোলার সুযোগ করে দেওয়ায় ১ কোটি ১ লাখ ১৯ হাজার ৫৪৮টি ব্যাংক হিসাব খোলা সম্ভব হয়েছে, যেখানে বর্তমান স্থিতি প্রায় ২৮২ কোটি টাকা। দেশের মানুষ শতভাগ বিদ্যুতের আওয়ায় আসায় সেচ ব্যবস্থা নিয়মিত হয়েছে। সেচ মৌসুমে প্রান্তিক অঞ্চলে বিদ্যুতের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহে সরকারের পক্ষ থেকে মনিটরিং সেল খোলা হয়েছে।

কৃষিপণ্যের আন্তর্জাতিক বাজার সৃষ্টি

বাংলাদেশ থেকে কৃষিপণ্যের রপ্তানি আয় ১০ বছর আগেও ছিল মাত্র ৪০ কোটি ডলার। গত ৫ বছর ধরে এই খাতে রপ্তানি বাড়ছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে খাতটি ঘুরে দাঁড়ায় এবং রপ্তানি আয় ১৯ শতাংশ বাড়ে। কারণ সরকার কৃষিপণ্য রপ্তানির জন্য ২০ শতাংশ প্রণোদনা দেয়া শুরু করে। কৃষি মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে পূর্বাচলে একটি অ্যাক্রিডিয়েটেড ল্যাবরেটরি নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে।

বাংলাদেশ থেকে যেসব দেশে শাকসবজি রপ্তানি হয় তার মধ্যে অন্যতম হলো- সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, কাতার, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, কুয়েত, সিঙ্গাপুর, শ্রীলংকা ও নেপাল। যেসব দেশে ফল রপ্তানি হচ্ছে তার মধ্যে অন্যতম হলো- কাতার, ভারত, ভিয়েতনাম, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কুয়েত, সৌদি আরব ও অস্ট্রেলিয়া।

বাংলাদেশ থেকে নানাবিধ কৃষিপণ্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে, পাট ও পাটজাত দ্রব্য, চা পাতা, আম, কাঁঠাল, লেবু, লিচু, লটকন, আমড়া, পেয়ারা। এছাড়া আলু, কচু, পটোল, মুখীকচু, লাউ, পেঁপে, শিম, করলা, কাকরুল, চিচিঙ্গা, মিষ্টি কুমড়া, গুঁড়া মসলা, কালিজিরা, হলুদের গুঁড়া, মরিচের গুঁড়া, শুকনা মরিচ, বিরিয়ানির মসলা, কারি মসলা, ড্রিংকস, বিস্কুট, চানাচুর, সেমাই, পটেটো ফ্লেকস, নুডলস, ড্রাই কেক, মুড়ি চিড়া শুকনা বরই এবং হিমায়িত সবজিও রপ্তানি হচ্ছে।

উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থায় কৃষি পেয়েছে নতুন মাত্রা

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকায় দেশের যোগাযোগব্যবস্থায় দুর্দান্ত উন্নয়ন হয়েছে। যা কৃষি উন্নয়নে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। ফসল পরিবহন সহজ হয়েছে। ফলে ক্ষৃক তার উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন। ২০২২ সালের ৭ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৫ জেলায় একযোগে ১০০ সেতু উদ্ভোধন করেন। একই বছরের ২১ ডিসেম্বর ৫০ জেলায় ১০০ সড়ক-মহাসড়ক উদ্ভোধন করেন।

কৃষিখাতে প্রণোদনা ও প্রশিক্ষণ

শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশের যুব সমাজকে কৃষিতে উৎসাহিত করতে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের অধীনে কৃষি বিষয়ক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ন্যূনতম ৮ম শ্রেণি পাশ যেকোন যুবক এ প্রশিক্ষণে অংশ নিতে পেরেছেন। অংশগ্রহণকারীদের প্রত্যেককে মাসিক চার হাজার পাঁচশত টাকা প্রশিক্ষণ ভাতা দেয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। প্রশিক্ষিতদের আত্মকর্মসংস্থানের জন্যে ৬০ হাজার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেয়া হয়। কৃষি উৎপাদন বাড়াতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কৃষকদের জন্য ৩৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। আওয়ামী লীগ ক্ষমতা নেওয়ার ১৩ বছরে সরকার কৃষি খাতে ৯৭ হাজার ৮৭৩ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকা ভর্তুকি দিয়েছে । এর মধ্যে সারে ভর্তুকি ছিল ৯৫ হাজার ১৬১ কোটি ৫ লাখ এবং বিদ্যুতে এক হাজার ৯৬২ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

করোনা মোকাবেলায় কৃষকের পাশে সরকার

করোনা দুর্যোগে কৃষকদের পাশে ছিল শেখ হাসিনার সরকার। করোনায় শ্রমিক সংকটে থাকা কৃষকদের জমির পাকা ধান যাতে ঘরে তুলতে সমস্যা না হয়, সে জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সারাদেশে আওয়ামী লীগ ও এর সব সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা স্বেচ্ছাশ্রমে কৃষকদের ধান কাটতে সহায়তা দেন। কৃষকদের জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ তহবিল থেকে সহজ শর্তে ৪ শতাংশ সুদে ঋণ নিতে পেরেছিলেন কৃষক। করোনার সময়ে সারের ভর্তুকি বাবদ ৯ হাজার কোটি টাকা, কৃষি যান্ত্রিকীকরণের জন্য ১০০ কোটি টাকা, বীজের জন্য ১৫০ কোটি টাকা এবং কৃষকদের জন্য আরও ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল।




আলমডাঙ্গায় ৬ চোরাই মোটরসাইকেলসহ গ্রেপ্তার ২

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় ৬টি চোরাই মোটরসাইকেলসহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার জামজামি বাজার এলাকায় অভিযান করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের নিকট থেকে দুটি ও তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী শুক্রবার ভোরে কুষ্টিয়া জেলার পৌর এলাকার একটি গ্যারেজ থেকে আরো ৪টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কুষ্টিয়া জেলার ইবি থানার ঝাউদিয়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে সোহেল রানা(২০) ও ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু থানার তৈলটুপি গ্রামের তাইজান মন্ডলের ছেলে রতন আলী (২০)। দুজনই আন্তঃজেলার মোটরসাইকেল চোরচক্রের সদস্য।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে আলমডাঙ্গা থানাপুলিশের আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিং এ তথ্য জানানো হয়। প্রেস ব্রিফিং এর লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান থানার পরিদর্শক (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ।

বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার জামজামি বাজার এলাকায় পুলিশ অভিযান চালায়। ওই সময় দুটি চোরাই মোটরসাইকেলসহ তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী শুক্রবার ভোররাতে কুষ্টিয়া জেলা শহরের পৌর এলাকার পেয়ারা তলার একটি গ্যারেজ থেকে আরো ৪ টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করে পুলিশ।

তিনি আরো বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা সংঘবদ্ধ মোটরসাইকেল চোর চক্রের সদস্য। চক্রের আরও কয়েক সদস্যের নাম জানা গেছে। তাদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।




জীবননগরে অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধার পাশে এমপি টগর

জীবননগরে অসুস্থ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ সাহাবুদ্দিনের বাড়িতে যেয়ে চিকিৎসার সাবিক খোজখবর নিলেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মোঃ আলী আজগার টগর।

গত বৃহস্পতিবার রাতে স্বশরীরে জীবননগর পৌর সভার হাইস্কুল পাড়ায় অসুস্থ বীর মুকিযোদ্ধা মোঃ সাহাবুদ্দিনের বাড়িতে গিয়ে খোজ খবরনেন এমপি টগর।

এ সময় সাংবাদিকদের তিনি জানান, নিজের জীবন বাজি রেখে যারা দেশের জন্য কাজ করেছেন সেই সমস্থ সূয সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধার পাশে দাড়ানো আমার নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য। আমি আমার দায়িত্ববোধ থেকেই অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধার পাশে দাড়িয়েছি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা বাংলাদেশের সফল প্রধান মন্ত্রী জননেন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য যে কাজ করেছেন এমন কাজ দেশের আর কোন প্রধানমন্ত্রী এ যাবৎ করেনি আশা করি আর কোন দিন করবেও না । আমি শেখ হাসিনার একজন ক্ষুদ্র কমি হিসাবে অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধাসহ প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতাকমি ও সাধারন মানুষের পাশে যে ভাবে আছি আগামিতেও থাকবো।

এ সময় সফর সঙ্গী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, জীবননগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি গোলাম মোতুজা,জীবননগর পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।




সত্যবাদী কে? বিএনপি নাকি গণতন্ত্র মঞ্চ?

বর্তমান সরকারের পতনের এক দফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনের শরিক গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাদের সাথে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়েছে। গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলছেন, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া একদফার আন্দোলন চালিয়ে নিতে বলেছেন। অথচ বিএনপির মহাসচি এই দাবি প্রত্যাখান করেছেন। বলেছেন, খালেদা জিয়া কোনো নির্দেশনা দেননা। মির্জা ফখরুলের এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি। দুই শরিক দলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে রীতিমত দ্বিধাদন্ধে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। তারা বলছেন- খালেদা জিয়ার ঘোষণা নিয়ে কেন সত্য বলছেন আর কে মিথ্যা বলছেন? এর উত্তর খুঁজছেন তারা।

গত মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে যান জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম।

খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ শেষে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না সাংবাদিকদের বলেন, ‘খালেদা জিয়া বলেছেন আপনারা যারা বাইরে আছেন তারা সবাই মিলে আন্দোলন করেন। আমি দেখতে চাই আপনার আন্দোলন করছেন, আন্দোলন করতে হবে। আমাদের এই আন্দোলনে ওনার সমর্থন আছে। আমাদের একজন নেতা বলেছেন সরকার একটা নির্বাচনের জাল বিছানোর চেষ্টা করছে। উনি বলেছেন, কোনো অবস্থায় এই সরকারের অধীনে নির্বাচনী ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না।’

চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এখন দলীয় কোনও নির্দেশনা দেন না বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়া আন্দোলনের কোনো নির্দেশনা দেন না। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আছেন, স্ট্যান্ডিং কমিটি আছে- সেভাবেই দলের সিদ্ধান্ত হয়। চেয়ারপারসন অসুস্থ। তিনি কোনো দলীয় নির্দেশনা দেন না। তাকে নিয়ে এসব কাজ করবেন না।’

এবিষয়ে জানতে চাইলে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘আমি সেদিনই বলেছি, খালেদা জিয়া রাজনৈতিক বক্তব্য দেওয়ার পরিস্থিতিতে নেই। আমরা তার কাছে পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি কিছু কথা বলেছেন। বলেছেন, আন্দোলন বিশেষ কোন দলের না। দেশে যেনো আর কোনদিন এরকম পরিস্থিতি না আসে সেটার জন্য আন্দোলন।’বিএনপির মহাসচিব তাহলে  খালেদা জিয়া কোন সিদ্ধান্ত দেন না বলে সাংবাদিকদের কাছে দাবি করলেন কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘হয়তো ডে-টু-ডে সিদ্ধান্ত গ্রহণে তিনি নেই বলে একথা বলেছেন।’

বিশেষ সুবিধা ভোগের জন্য সরকারের বিরুদ্ধে এক দফা আন্দোলন করলেও বিএনপি ও গণতন্ত্র মঞ্চের  নেতাদের মুখোশ জনগণের সামনে উন্মোচন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য নূহ উল আলম লেনিন। তিনি বলেন, ‘ওদের সিদ্ধান্ত আসে লন্ডন থেকে। খালেদা জিয়া যদি বলে থাকেন যে এই সরকারের অধীনে নির্বাচন নয়- তবে সেটা তিনি কতটুকু জেনে বলেছেন তা বিবেচনার বিষয়। কেননা তিনি ততটুকুই জানেন, যতটুকু তার নেতারা তাকে জানায়। একেক নেতা একেক জায়গায় ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দিয়ে নিজেদের বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট করছেন, তাদের নিজেদের মধ্যেকার দূরত্ব জনগণের সামনে উন্মোচিত হচ্ছে ‘

গত ৯ই আগস্ট শারীরিক অসুস্থতার কারণে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বেগম খালেদা জিয়াকে। এরপর থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। ৭৮ বছর বয়সী বিএনপি নেত্রী লিভার সিরোসিস, আর্থাইটিস, রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্রে জটিলতা, ফুসফুস, চোখ ও দাঁতের নানা সমস্যায় ভুগছেন। এছাড়া তার মেরুদণ্ড, ঘাড়, হাত ও হাঁটুতে বাতের সমস্যাসহ আরও কিছু শারীরিক জটিলতা রয়েছে।

দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে খালেদা জিয়া ২০০৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদন্যতায় ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তাকে সাময়িক মুক্তি দেওয়া হয়। এরপর থেকে খালেদা জিয়া তার গুলশানের বাসায় অবস্থান করছেন। আর রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।




মুজিবনগরের বল্লবপুরে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা

মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড বল্লবপুরে আওয়ামী লীগের  বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ।

শুক্রবার বিকেলে বাগোয়ান ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও প্যানেল চেয়ারম্যান বাবুল মল্লিকের সার্বিক সহযোগীতায় বল্লভপুর গ্রামবাসির আয়োজনে এ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি থিউফিল মল্লিকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম তোতা।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, বাগোয়ান ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মারিও সুসিত মন্ডল গনা, সাধারণ সম্পাদক মাইকেল মন্ডল টুইস, বল্লভপুর মিশন হাসপাতালে এডমিন বিনিময় বিশ্বাস, ইয়ং বাংলা ফিচার লিডারের সভাপতি হাসানুজ্জামান লালটু।

বক্তারা বলেন, সামনে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন, এই নির্বাচনকে সামনে রেখে আপনাদের সক্রিয়ভাবে কাজ করতে হবে। আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নকে তুলে ধরতে হবে এবং সাধারণ জনগণকে বোঝাতে হবে যে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আছে বলেই আমরা এত ভালো আছি । সারা বাংলাদেশের শহর থেকে শুরু করে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে আওয়ামী লীগ সরকার ব্যাপক উন্নয়ন করেছে রাস্তাঘাট , ব্রিজ কালভার্ট ,ড্রেন নির্মাণ , মাঠের রাস্তা  পাকা করন, সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নসহ বিভিন্ন উন্নয়ন করে যাচ্ছে তাই এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং ভালো থাকতে হলে বর্তমান প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কে ক্ষমতায় আনতে হবে এবং নৌকার পক্ষে কাজ করতে হবে। নৌকায় ভোট দিয়ে আবারো জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে হবে সেই লক্ষ্যে আমাদের কাজ করে যেতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন , ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউপি সদস্য সিবাস্তিন মল্লিক ঝড়ু, বীর মুক্তিযোদ্ধা ভিনসেন্ট মন্ডল, আওয়ামী লীগ নেতা লুক হরেন্দ্র বিশ্বাস রিঠু , সমর বিশ্বাস, বল্লভপুর সার্বিক যুব উন্নয়ন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান খানসহ ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা।

বর্ধিত সভায়  সঞ্চালনায় ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা বিকাশ বিশ্বাস।




জীবননগরে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ব্রীজের সাথে ধাক্কা নিহত ২, আহত ১

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ব্রীজের সাথে ধাক্কায় সেলিম উদ্দিন ও স্বপন আলী নামে দুই যুবক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন।

আজ শুক্রবার দুপুর ২ টার দিকে জীবননগর উপজেলার উথলী-বেগমপুর সড়কের ছোটপোল নামক স্থানে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সেলিম উদ্দিন দামুড়হুদা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে। নিহত স্বপন আলী একই গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে

আহত হলেন- একই গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের ছেলে রুবেল হোসেন (২৪) ।

জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম জাবীদ হাসান জানান, দুপুরে মোটরসাইকেলযোগে বেগমপুর থেকে উথলীর দিকে আসছিল তিন যুবক। এসময় মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উথলী-বেগমপুর সড়কের ছোটপোল নামক স্থানে পৌছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ব্রীজের সাথে ধাক্কা দেয়। এতে সড়কের উপর ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন মোটরসাইকেলের ৩ আরোহী। তাদের উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক সেলিম উদ্দিনকে মৃত ঘোষনা করেন। বাকী দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় আর একজনের মৃত্যু হয়।

ওসি আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে আধা বোতল বাংলা মদ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই তিন যুবক নেশাগ্রস্থ অবস্থায় মোটরসাইকেল চালাচ্ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। ওই ঘটনায় আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।




বাংলাদেশ আ.লীগ কোন মনোনয়ন তালিকা প্রকাশ করেনি

‘৯৭ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিশ্চিত যাদের’ এমন চটকদার শিরোনামে বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
এসকল সংবাদ নিয়ে ভুয়া মনোনয়ন প্রাপ্তদের অনুসারীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনন্দন জানিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে এবং দলের মধ্যে বিভ্রান্ত ছড়াচ্ছে।
এসকল সংবাদকে গুজব ও বিভ্রান্তিকর নিউজ উল্লেখ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এ নিয়ে প্রতিবাদ করা হয়েছে এবং তাদের সম্পর্কে ইমেইলে নোটিশ করতে বলা হয়েছে।
পেজটিতে বলা হয়েছে:
গুজব ও বিভ্রান্তিকর নিউজ
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এধরণের কোন তালিকা প্রকাশ করেনি।
যারা বার বার এধরণের তালিকা বা মনোনয়ন নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, তাদের উদ্দেশ্য অসৎ। এসব গুজব দেখলেই পেজে ইনবক্স করুন অথবা মেইল করুন info@albd.org এই ইমেইলে।



সাংবাদিক মনির হায়দারের পিতার ইন্তেকাল

বাংলাভিশন টেলিভিশনের নিউইয়র্ক প্রতিনিধি সিনিয়র সাংবাদিক মনির হায়দারের পিতা মেহেরপুর সদর ‍উপজেলার ইসলামনগর কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম হোসাইন আহমেদ বার্ধক্যজনিত কারণে ইন্তেকাল করেছেন ( ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।

গতকাল বৃৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৯৫ বছর। তিনি ৬ পুত্র ও ৩ কন্যা সন্তানের জনক ছিলেন।

মরহুমের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আজ শুক্রবার বাদ আসর ইসলামনগর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানের জানাযা নামায অনুষ্ঠিত হবে। জানাযা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হবে।

সাংবাদিক মনির হায়দারের পিতার মৃত্যুতে সমবেদনা জানিয়ে শোক প্রকাশ করেন মেহেরপুর প্রতিদিনের সম্পাদক ইয়াদুল মোমিন, মেহেরপুর জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি তোজাম্মেল আযম, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব চান্দু, মেহেরপুর প্রতিদিনের বার্তা সম্পাদক জুলফিকার আলী কানন, অনলাইন ডেস্ক ইনচার্জ খান মাহমুদ আল রাফি, স্টাফ রিপোর্টার শহিদুল ইসলামসহ মেহেরপুর সাংবাদিক মহল।