টি-টোয়েন্টিতে টাইগারদের পুনর্জাগরণের চাবিকাঠি সাকিবের নেতৃত্ব

দেরিতে হলেও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে উন্নতির পথ খুঁজে পেয়েছে বাংলাদেশ। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে আগ্রাসন এবং দক্ষতার অভাবে নিয়মিতভাবে ম্যাচ জিততে না পারার কারণে এক সময় সকলেই বাংলাদেশকে বাতিলের খাতায় ফেলে দিয়েছিলো ক্রিকেট বোদ্ধারা।

এছাড়াও পার্থক্য গড়ে দেওয়ার মত পাওয়ার হিটারের অভাব ছিল বাংলাদেশের। বিশ্বের প্রতিটি দলে অন্তত একজন পাওয়ার হিটার আছে। যিনি দলকে চিন্তামুক্ত রাখে। কিন্তু বাংলাদেশ দলে এমন কেউ না থাকাতেই তাদের বাতিলের খাতায় ফেলে দেওয়াটা সহজ ছিল।

গত বছর অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর সাকিব আল হাসান স্পষ্ট করেছিলেন, টি-টোয়েন্টি দল হিসেবে গড়ে তুলতে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা এবং নিজেদের সংস্কৃতির সাথে মানানসই ক্রিকেট খেলার লক্ষ্য ছিলো তার। শারীরিকভাবে বাংলাদেশিরা খুব বেশি শক্তিশালী নয়। এজন্য এটি খুব স্বাভাবিক যে, আন্দ্রে রাসেল বা ক্রিস গেইলের মতো পাওয়ার হিটার খুঁজে পাবে না বাংলাদেশ।

প্রতিপক্ষের উপর চাপ সৃষ্টি করতে স্কিল হিটিং এবং আগ্রাসনের উপর জোর দিবে বলে নিশ্চিত করেন সাকিব ও প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এশিয়া কাপ এবং নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজের সব ম্যাচ হেরে যাওয়ার পর দলের দায়িত্ব নেয় সাকিব। সাকিব দায়িত্ব নেওয়ার পর দ্রুতই সাফল্য পায়নি বাংলাাদেশ।

কিন্তু প্রতিটি ম্যাচেই খেলোয়াড়দের মধ্যে আগ্রাসন লক্ষ্য করা গেছে। প্রথম বল থেকেই প্রতিপক্ষের উপর আগ্রাসী হওয়ার চেষ্টা করেন তারা। যদিও দুর্ভাগ্যবশত, ভুল পথেই হেটেছেন তারা।

যে প্রক্রিয়ার কারণে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সাফল্য আসলেও শক্তিশালী দলকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। কিন্তু নেদারল্যান্ডস এবং জিম্বাবুয়েকে হারানোর পাশাপাশি ভারতের বিপক্ষে জয়ের অবস্থায় পাওয়া যায় টাইগারদের।
যদিও এখনও অনেকেই মনে করেন, বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স বিপর্যয়কর ছিলো। তবে সাকিব বলেছেন, তাদের মিশন সফল হয়েছে। আসলে সাকিব বোঝাতে চেয়েছিলেন, দলের প্রক্রিয়া সঠিক ছিল এবং তিনিও শেষ পর্যন্ত সঠিক ছিলেন।

বিশ্বকাপের পর প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছিলো বাংলাদেশ। ওয়ানডে ফরম্যাটে ইংল্যান্ডের কাছে ২-১ ব্যবধানে হারের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে নামে টাইগাররা। কয়েক মাস আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয় করা ইংল্যান্ডকে তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ।

নিজ মাঠে বাংলাদেশ এর আগে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছে। তবে সে সময়কার মন্থর গতির পিচে এ জয়গুলো খুব বেশি একটা হিসেবে ধরা হয়নি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে স্পোর্টিং পিচে খেলা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পিচগুলো টি-টোয়েন্টির জন্য যথার্থ। অনেক পাওয়ার হিটার ও আক্রমণাত্মক বোলার নিয়ে দল গঠন করা সত্ত্বেও বাংলাদেশের স্মার্ট ক্রিকেটের কাছে কঠিন সমস্যায় পড়তে হয়েছে ইংল্যান্ডকে।

ফলাফলের দিকে না তাকিয়ে বাংলাদেশ নিজেদের স্বাভাবিক ও আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলেছে এবং এ কারণেই সাফল্য পেয়েছে। এরপর তুলনামূলক দুর্বল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একটি ম্যাচ হারলেও টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। তবে একই ধারচের ক্রিকেট খেলেছে টাইগাররা।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং বিষয় ছিল রশিদ খানের নেতৃত্বাধীন স্পিন আক্রমন মোকাবেলা। এ বিষয়ে সাকিব স্পষ্ট করেই জানিয়েছেন, বোলার যেই হোক না কেন তাদেও একই অ্যাপ্রোচ থাকবে। সাকিব এমন একজন অধিনায়ক যিনি পাওয়ার প্লেতেই দল তিন-চার উইকেট পড়ে গেলেও কখনো বিচলিত হন না। তবে সব সময়ই তার চাওয়া একই ধরনের অ্যাপ্রোচ ও আগ্রাসন অব্যাহত থাকুক।

আফগানিস্তানের করা ৭ উইকেটে ১৫৪ রানের জবাবে টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় ৩৯ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। টপ অর্ডারের এমন অ্যাপ্রোচে এ সময় সাকিবকে বেশ রাগান্বিত দেখা গেছে। মূলত সাহসী পদ্ধতি কিংবা আগ্রাসনের করণে এই টপ অর্ডারটি ছিলো দলের সাফল্যেও মূল চাবিকাঠি। এরপর সাকিব দায়িত্ব নিয়ে ইনিংস বেগবান করেন। অধিনায়ক নিজে মাত্র ১৯ রানে আউট হলেও কিভাবে ব্যাটিং করতে হবে, তাওহীদ হৃদয় ও শামিম পাটোয়ারিকে সেটা দেখিয়েছেন। এমন ধরনের বাজে শুরুর পর বাংলাদেশ খুব কম ম্যাচেই জিততে পেরেছে। তবে ফলাফলের চিন্তা না করে ইতিবাচক ক্রিকেট খেলেছে হৃদয় ও শামিম।
হৃদয় বা শামিমের কেউই স্বাভাবিক পাওয়ার হিটার হিসেবে খুব বেশি অভিজ্ঞ নয়। তবে সাকিব ও কোচ হাথুরুর চাওয়া ঠিকই পূরণ করেছে তারা।

সূত্র: ইত্তেফাক




ফ্ল্যাটের তালা ভেঙে অভিনেতার মরদেহ উদ্ধার

মারাঠি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির কিংবদন্তি অভিনেতা এবং পরিচালক রবীন্দ্র মহাজানির রহস্য জনক ভাবে মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (১৪ জুলাই) পুনের তালেগাঁওর জারবিয়া সোসাইটির একটি ফ্ল্যাটের তালা ভেঙে তার মরদেহ উদ্ধার হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর।

ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুণের তালেগাওর জারবিয়া সোসাইটির একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন অভিনেতা। গত কয়েক দিন ধরে তার ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ বেরোচ্ছিল। এরপর পুলিশে খবর দেন প্রতিবেশীরা। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে অভিনেতার মরদেহ উদ্ধার করে।

পুলিশের ধারণা, দুই-তিনদিন আগেই নাকি মৃত্যু হয়েছে অভিনেতার। যদিও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কোনও কিছুই বলতে পারছে না পুলিশ। স্বাভাবিকভাবেই অভিনেতার মৃত্যুর কারণ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।

মারাঠির পাশাপাশি হিন্দি এবং গুজরাটি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে রবীন্দ্রর উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। তার মৃত্যুর খবরে শোকস্তব্ধ লাখো ভক্ত। টুইটারে শোকপ্রকাশ করেছেন অনেকেই।

এক সময় মুম্বাইয়ে ট্যাক্সি চালাতেন রবীন্দ্র মহাজানি। দু-চোখে ছিল অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন। নিজের লক্ষ্যে অবিচল ছিলেন তিনি। ‘সাত হিন্দুস্তানি’তে পুলিশ ইন্সপেক্টরের ভূমিকায় প্রথম অভিনয় শুরু করেছিলেন। এরপর ভাগ্যের চাকা ঘুরে যায়। মরাঠি ছবির জনপ্রিয় তারকা হলেও হিন্দি ও গুজরাটি ছবিতেও কাজ করেছেন তিনি। রবীন্দ্র মহাজনী টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেতা গশমীর মহাজনীর।

সত্তরের দশক থেকে অভিনয় জগতে যাত্রা শুরু করেন রবীন্দ্র। অসংখ্য ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। যার মধ্যে অন্যতম ‘দেবতা’, ‘মুম্বাইচা ফৌজদার’, ‘কলত নাকালত’, ‘উনাদ ময়না’, ‘জুঞ্জ’। শেষ বার তাকে বড় পর্দায় দেখা গিয়েছিল ২০১৯ সালে আশুতোষ গোয়ারিকরের ‘পানিপথ’ ছবিতে।




আফ্রিকাতে নিহত শফিকুলের মরদেহ গাংনীতে পৌছেছে

দক্ষিণ আফ্রিকাতে নিহত গাংনী উপজেলার কাষ্টদহ গ্রামের শফিকুল ইসলামের (৪৫)মরদেহ আজ রবিবার সকাল সাড়ে ৮ টার সময় নিজ গ্রামে এসে পৌছেছে।

শফিকুল ইসলাম কাষ্টদহ গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে।

শফিকুল ইসলাম ১৩ বছর কাতারে থাকার পর বাড়ি ফিরে আসেন। এর পর আবারো দক্ষিণ আফ্রিকাতে যান। সেখানে প্রায় ১২ বছর অবস্থান করছেন।

নিহত শফিকুল ইসলামের বোন জানান, দক্ষিণ আফ্রিকার কিছু সন্ত্রাসীদের সাথে গ্যানজাম হওয়ার কারনে তাকে গলাই তার জড়িয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে শুনেছি। গত ৯ জুলাই এই ঘটনা ঘটে। মরদেহ আসার পর আমরাও দেখেছি তার গলায় তার জড়ানো দাগ রয়েছে।




মেহেরপুরে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার-১৩ আসামি

মেহেরপুর পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলা ও আদালতের পরোয়ানাভূক্ত ১৩ আসামি গ্রেফতার হয়েছে।

এদের মধ্যে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশের অভিযানে আদালতের পরোয়ানাভূক্ত ৩ ও নিয়মিত মামলার ১ জন, গাংনী থানা পুলিশের অভিযানে নিয়মিত মামলার ৩ ও অন্যান্যা মামলায় ২ জন এবং মুজিবনগর থানা পুলিশের অভিযানে নিয়মিত মামলার ৪ আসামি গ্রেফতার হয়েছে।

শনিবার দিবাগত রাতভর জেলার বিভিন্ন স্থানে পুলিশের পৃথক টিম অভিযান চালিয়ে এসব আসামি গ্রেফতার করে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম, গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক ও মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী রাসেলের নেতৃত্বে পুলিশের একাধিক টিম অভিযানে অংশ নেন।

গ্রেফতারকৃতদের আজ রবিবার (১৬ জুলাই) বেলা ১১ টার দিকে আদালতের মাধ্যমে মেহেরপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।




দর্শনায় চোরাকারবারীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে দুই বিজিবি সদস্য রক্তাক্ত জখম আটক-১ 

দর্শনার নাস্তিপুর সীমান্তে শরিফুল ইসলাম নামের এক স্বর্ণ চোরাচালানীকে স্বর্ণ সহ আটক করে বিজিবি। স্বর্ণ সহ আসামি আটকের ঘটনায় চোরাচালানীরা সঙ্গবদ্ধ হয়ে দেশীয় ধারালো অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বিজিবির উপর হামলা চালায় চোরাচালানীরা।

এ হামলায় চোরাচালানী মালামাল স্বর্ণ সহ আসামি ছিনিয়ে নেওয়া সহ চোরাকারবারীদের হামলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রক্তাক্ত জখম হয়ে আহত হয় বিজিবির নায়েক আব্দুল হাকিম ও সিপাহী মেহেদী হাসান নামের এক বিজিবি সদস্য। আহত বিজিবি সদস্যদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।গত শুক্রবার (১৪ জুলাই) দুপুর ২ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানাধীন পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের নাস্তিপুর গ্রামের কবরস্থানের নিকট এ ঘটনা ঘটে।

আহত বিজিবির নায়েক আব্দুল হাকিম ও সিপাহী মেহেদী হাসান চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ সুলতানপুর সীমান্ত বিওপি ক্যাম্পে কর্মরত রয়েছে। পরে অভিযান চালিয়ে হামলার প্রধান আসামি নবীউল ইসলাম ওরফে নবীনকে (৩৬) আটক করে বিজিবি। আটক নবীন ও চোরাকারবারী শরিফুল উপজেলার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের নাস্তিপুর গ্রামের স্কুলপাড়ার আব্দুল করিম ওরফে করিম মৌলবীর ছেলে। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে হামলাকারী নবীনকে দর্শনা থানায় সোপর্দ করে ৭ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত আরও ৫/৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে বিজিবি। পরে দর্শনা থানা পুলিশ মামলার আসামি নবীনকে
চুয়াডাঙ্গা আদালতে প্রেরণ করেছে।

এলাকাবাসি ও পুলিশ সূত্রে জানাগেছে,গত শুক্রবার বিকাল ২ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটেলিয়ানের অধিনস্থ সুলতানপুর সীমান্ত বিওপি ক্যাম্পের বিজিবি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে সীমান্ত দিয়ে স্বর্ণের একটি বড় চালান ভারতে পাচার হবে। এমন

খবরের ভিত্তিতে সুলতানপুর সীমান্ত বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েক সুবেদার দুলাল হকের নেতৃত্বে নায়েক আব্দুল হাকিম ও সিপাহী মেহেদী হাসান সীমান্তের নাস্তিপুর কবরস্থানের সামনের পাকা রাস্তায় অবস্থান নেয়। এসময় পারকৃষ্ণপুর অভিমুখ হতে ১ জন ব্যক্তি স্বর্ণ চোরাচালানের উদ্দেশ্যে মোটরসাইকেলযোগে নাস্তিপুর সীমান্তের দিকে আসে। বিজিবি ওই মোটরসাইকেলের পথ গতিরোধ করে শরিফুল ইসলাম নামের এক চোরাকারবারীকে স্বর্ণসহ আটক করে। আটকের পর দেশীয় ধারালো অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সজ্জিত নাস্তিপুর গ্রামের

স্কুলপড়ার মৃত আব্দুল করিমের ছেলে নবীউল ইসলাম ওরফে নবীন (৩৫), মৃত আবু বক্করের ছেলে এনামুল হক (২৫), মৃত আব্দুল করিমের ছেলে শরিফুল ইসলাম (৪২), শরিফুল ইসলামের স্ত্রী মিষ্টি খাতুন (২৬), মৃত বদু মিয়ার স্ত্রী সুন্দরী বেগম (৫৫), মৃত আব্দুর করিমের মেয়ে মিম আক্তার (২০), একই ইউনিয়নের ঝাঝাডাঙ্গা গ্রামের আব্দুর রউফের ছেলে সাগর হোসেন (২৫) সহ অজ্ঞাত ৫/৬ জন বিজিবির উপর হামলা চালায়। এতে রক্তাক্ত আহত হয় সুলতানপুর বিজিবি ক্যাম্পের নায়েক আব্দুল হাকিম (৩৪) ও মেহেদী হাসান (২৭)। পরে বিজিবি অভিযান চালিয়ে রবিউল ইসলাম ওরফে নবীনকে আটক করে। রাত সাড়ে ১২ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সুলতানপুর ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েক সুবেদার দুলাল হক বাদী হয়ে দর্শনা থানায় হামলাকারী নবীন সহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় মামলা দায়ের করে।

এ বিষয়ে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নাস্তিপুর সীমান্তে স্বর্ণের চোরাচালান আটকের সময় দু’জন বিজিবি সদস্যকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় হামলাকারী নবীন সহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে নারী ও পুরুষ অজ্ঞাত ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে বিজিবি। আটকৃত আসামি শনিবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা বিজ্ঞ আদালতে চালান করা হয়েছে। অন্যান্য আসামদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এ ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।




দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের ৫জন কে বহিষ্কার

দামুড়হুদা প্রেসক্লাবে জরুরি সভায় গঠনতন্ত্র বহিভূত কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ৫জন সদস্যকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আজি শনিবার দুপুর ১২টার দিকে দামুড়হুদা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

দামুড়হুদা প্রেসক্লাব সভাপতি এম নুরুন্নবীর সভাপতিত্বে ও প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হবির সঞ্চালনায় জরুরি সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি হাফিজুর রহমান কাজল, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মিরাজুল ইসলাম মিরাজ, মেহেদী হাসান মিলন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক বিল্লাল হোসেন, নির্বাহী সদস্য শামসুজ্জোহা পলাশ, জাহিদুর রহমান মুকুল, আব্দুস সালাম, সিনিয়র সদস্য তাছির আহমেদ, মোজাম্মেল শিশির, এসএম সুজন, সালাউদ্দিন, শাহজালাল বাবু, রাসেল আহমেদ, মশিউর রহমান প্রমুখ।

জরুরি সভায় প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র বহিভূত কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সদস্য বখতিয়ার হোসেন বকুল, আব্দুল লতিফ, রতন বিশ্বাস, শরিফ উদ্দীন, মোমিনুল হক কে সর্ব সিদ্ধান্তনুযায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। আগামীতে তাদের কোনো আইনবহির্ভূত কর্মকাণ্ডের বিষয়ে দামুড়হুদা প্রেসক্লাব দায়বদ্ধ থাকবে না।




আলমডাঙ্গায় মহিলা অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপে বন্ধ হলো বাল্যবিবাহ

আলমডাঙ্গা উপজেলায় মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপে নবম শ্রেণি ছাত্রীর বিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে উপজেলার বাড়াদী ইউনিয়নের এনায়েতপুর গ্রামে এ বিয়ের আয়োজন করা হয়।

উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা মাকসুরা জান্নাত জানান, গতকাল শনিবার দুপুরে বাড়াদী ইউনিয়নে নবম শ্রেণিতে পড়া এক ছাত্রীর বিয়ের আয়োজন চলছে এমন খবর পান তাঁরা। খবর পেয়ে অধিদপ্তরের জেন্ডার প্রমোটর সানজিদা আক্তারের নেতৃত্বে কিশোর-কিশোরী ক্লাবের আবৃত্তি শিক্ষক রাজিব কুমার বেদকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। তাঁরা সেখানে গিয়ে বাল্যবিবাহ আয়োজনের বিষয়টি নিশ্চিত হন।

মাকসুরা জান্নাত বলেন, তিনি বিষয়টি থানা-পুলিশকে জানালে স্থানীয় মুন্সিগঞ্জ পুলিশ ক্যাম্পের উপপরিদর্শক ইউসুফ আলীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ সদস্যরা যাওয়ার পর জেন্ডার প্রমোটর সানজিদা আক্তার কনের জন্মসনদ দেখে নিশ্চিত হন তার বয়স ১৫। তিনি বিয়ে বন্ধ করে দিয়ে রবিবার সকালে কনেসহ কনের মাবাবাকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে হাজির হতে বলেন এবং মেয়ের বয়স ১৮ না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেন না মর্মে মুচলেকা নেন।




দামুড়হুদা সরকারি পাইলট হাই স্কুলের ৯২ ব্যচ প্রথম পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠিত

সারাদিন বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে এই ১ম পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠান পালন করেন। বন্ধুত্বের বন্ধন আজীবন এই স্লোগানকে সামনে রেখে সকল সদস্যর এক ক্লালারে টি শার্ট পরিহিত অবস্থায় দামুড়হুদা সরকারি পাইলট হাই স্কুলের গেট থেকে র্যালি বের হয়ে বাসস্টান্ড এলাকা ঘুরে ১ম পূর্ণমিলনী জানান দেন। পরে কোরআন তেলোয়াতের মধ্য দিয়ে পরিচয় পর্ব শেষে আলোচলা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় দামুড়হুদা সরকারি পাইলট হাই স্কুলের ৯২ ব্যাচের ছাত্র আব্দুল হালিমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলি মুনছুর বাবু।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা, দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি সাইফুল ইসলাম, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল কবীর ইউসুফ, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলি, দামুড়হুদা সরকারি পাইলট হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানটি সার্বিকভাবে পরিচালনা করেন আব্দুল হালিম ভুট্ট, নির্বাহী সদস্য, মোঃ গিয়াস উদ্দীন ডেলিস, সহ-সভাপতি, মোঃ আশাদুর রহমান বাদশা, মোঃ মাহফুজুর রহমান বেল্টু, সহ-সম্পাদক একরামুল হক, আব্দুল খালেক, মোমিনুর রহমান, সাইদুর রহমান, প্রচার সম্পাদক আব্দুল মোমিন,মোঃ নুরুল ইসলাম বাপ্পি,গিয়াস উদ্দীন, এ ছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য নাসির উদ্দীন আবুল হাসান মোঃ এনায়েত করিম, মসিউর রহমান, একরামুল হক,আব্দুল খালেক,একরামুল হক, মাহফুজুর রহমান মোঃ সাইফুদ্দিন, আব্দুল খালেক মাহফুজুর রহমান,মোমিনুর রহমান।অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আব্দুল খালেক মাষ্টার।




দামুড়হুদায় জেলা প্রশাসক ও তাঁর পত্নীর বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

বদলিজনিত বিদায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাক ও বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খাঁন ও তারত্নী জেলা লেডিস ক্লাবের ম্যাচ মেহনাজ খাঁ বাঁধনের বিদায় সংবর্ধনা বৃদ্ধি করা হয়েছে।

আজ শনিবার বিকাল ৪টার সময় উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের উত্তরে ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে কক্ষ বিবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।

তিনি ২০২২ সালের ১৩ জানুয়ারি চুয়াঙ্গা জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগদান করেন। বদলিজনিত কারনে তিনি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিদায় নিয়ে মন্ত্রনানালয়ে যোগদান করবেন। বিবর্ধনা উপজেলা পরিষদের ফুলঝুরি সংকলন আলি আলি বাবু ও উপজেলা পরিষদের মুনাছু জয় রোকসানা মিতা।

দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের আলী মুহম্মদ আলী মুহম্মদ বাবুর সভাপতিত্বে সংসদ সদস্য প্রধান প্রধান চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিন ইসলামুল খাঁন। বিদায়ী প্রধান প্রধান ব্যক্তিকে উদ্দেশ্য করে তিনি গুরুত্বপূর্ণ শেখুর রহমান ও তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। সকল প্রচারের প্রতি তিনি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। তাদের বিস্তারে আজ আমরা স্বাধীন সার্বভৌমত্ত বাংলাদেশ আত্মঘাতী।

তিনি বলেন, চুয়াডাঙ্গা নেটওয়ার্ক মানুষ হ্যাসিং পরায় ও আন্তরিক। কর্মকর্তা মানুষ খুব সহজ এবং সরল। চুয়াডাঙ্গা সুবিধার মধ্যে দামুহুদা উপজেলায় সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রয়েছে। আমি এই চুডাঙ্গা জেলা প্রশাসন বছরের কার্যক্রম চালু করেছি। এই জিনিষের মধ্যে আমার সুন্দর কর্মীরা বা আমার ব্যাবহারে যদি কেউ কষ্ট পায় তাহলে তা নিশ্চিত করতে পারবে। আমাদের পরবর্তী নরনারেশনকে আদর্শ করে গড়ে তুলতে হবে এবং তার জন্য শিক্ষা। সন্তান ছেলেদের শিক্ষার উপর গুরুত্ব, শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। যে জাতি যত শিগগির সে জাতিগতভাবে উন্নত। আমাদের এই প্রজন্মকেশিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে, আদর্শের আদর্শকে বুকে লালন করতে হবে, ইতিহাস জানতে হবে, শিক হতে হবে, তা হলে এই প্রজন্মের মধ্যে দেশপ্রেমের ঘাঁট হবে, দেশ প্রেম হবে না। মাননীয় উন্নয়ন শেখ উদাহরণ শান্তি মানুষের ভাগ্য উন্নয়নকে নিরালসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

ছাত্রনেতা সাধারণ নির্বাচনে সাজু আহাম্মদ রিংকু সহ সকল দপ্তরের কর্মকর্তা বৃন্দ স্থানীয় জনপ্রতিনিবৃন্দ ও সাংবাদিক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সকালটি সঞ্চালনা উপজেলা সমবায় জয় হারুন অর রসি।




মুজিবনগরে যুবদল ও ছাত্রদলের লিফলেট বিতরণ

“দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও” এখনই সময়, জেগে ওঠো তরুণ, হাতে হাত রাখো, তোমার তারুণ্যদীপ্ত কণ্ঠে ধ্বনিত হোক, গণতন্ত্র মুক্তির শ্লোগান এই স্লোগানকে সামনে রেখে দেশ বাঁচাতে ১৭ জুলাই খুলনা মহানগরীতে তারুণ্যের সমাবেশ সফল করতে লিফলেট বিতরণ করেছেন মুজিবনগর উপজেলা জাতীয়তাবাদী যুবদল।

শনিবার বিকেলে দারিয়াপুর বাজারে উপজেলা জাতীয়তাবাদী যুবদলের আহ্বায়ক আবুল হাসান এবং সদস্য সচিব আনোয়ারুল ইসলামের নেতৃত্বে এই লিফলেট বিতরণ করা হয়। এ সময় জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহদী হাসান রোকনসহ উপজেলা যে যুবদলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে দুপুর ১ টার দিকে মুজিবনগর উপজেলা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেদারগঞ্জ বাজারে খুলনা মহানগরীতে তারুণ্যের সমাবেশ সফল করতে লিফলেট বিতরণ করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রশিদ, মেহেরপুর পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক মিনহাজ আহমেদ প্রিন্স, মেহেরপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নাজমুল হোসেন, সেক্রেটারি আলমগীর হোসেন, মুজিবনগর উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আকিব জাভেদ সেনজির, সদস্য সচিব আফিরুল ইসলাম সহ ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ।