বাংলার ছায়াসঙ্গী শেখ রেহানা

“বাংলাদেশের বাঙালিরা আমার বাবাকে মারবে, এটা আমাদের ধারণারও বাইরে ছিল”। ‘হাসিনা: আ ডটার’স টেল’ ছবিতে, ১০টি শব্দের আর্তনাদ ভরা একটি বাক্যটি বলেছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানা। ১৫ আগস্ট রাতে বাবা-মা-ভাই-স্বজনদের হারানোর ভয়ার্ত কলঙ্কিত ইতিহাস উঠে এসেছে ওই বাক্যে। প্রতিটি শব্দ আর কষ্ঠস্বরে ছিল প্রিয়জন হারানোর বেদনা। শেখ রেহানার এই ১০ শব্দের বাক্য, আমাদেরও প্রতি মুহূর্ত প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে রাখে। যে পিতা আমাদের মুক্তি দিয়েছিলেন, তাঁকেই আমরা বাঁচাতে পারেনি- এই অপরাধবোধ বাঙালিদের বইয়ে বেড়াতে হবে অনন্তকাল।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যখন দেশের সবকিছু নিয়ন্ত্রণ ঘাতকের হাতে। তখন দেশের মানুষ তো বটেই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও বাংলাদেশের প্রকৃত খবর জানতো না। আর বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ বা বিচার চাওয়া ছিল দুঃস্বপ্ন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে জাতির পিতার হত্যার প্রথম বিচারের দাবি জানিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা। ১৯৭৯ সালে সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা খুনিদের বিচারের দাবি উত্থাপন করেন তিনি। এটি ছিল বিশ্বদরবারে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচারের প্রথম আহ্বান।

আন্তর্জাতিক খ্যতিসম্পন্ন ব্রিটিশ আইনজীবীর স্যার টমাস উইলিয়ামসের সম্মতি নেয়ার জন্য ১৯৮০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝিতে ‘হাউস অব কমন্সে’ গিয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন শেখ রেহানা ও তার স্বামী ড. শফিক আহমেদ সিদ্দিক। তিনি এই প্রস্তাব সানন্দে গ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধুর পঞ্চম শাহাদাতবার্ষিকী পালন উপলক্ষে ১৬ আগস্ট ১৯৮০ পূর্ব লন্ডনের মাইল্যান্ড ইয়র্ক হলে যুক্তরাজ্য প্রবাসী বাঙালিদের এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি এবং স্যার টমাস উইলিয়ামস কিউসি এমপি প্রধান বক্তা ছিলেন। বঙ্গবন্ধু ও চার জাতীয় নেতার হত্যা সম্পর্কে তদন্ত করার জন্য বিশ্বখ্যাত আইনজ্ঞদের নিয়ে ১৯৮০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর লন্ডনে একটি আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়। ১৯৮২ সালের ২০ মার্চ আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশন বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারবর্গ এবং চার জাতীয় নেতার হত্যা সম্পর্কে প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করে।

বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচারের দাবিতে দৃঢ় ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালের আবার ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। শুরু হয় আইনি প্রক্রিয়া। ওই বছরের ১২ নভেম্বর জাতীয় সংসদে কুখ্যাত ‘ইনডেমনিটি’ অধ্যাদেশ বাতিল করা হয়। ১৯৯৭ সালের ১২ মার্চ বিচার শুরু হয়। ১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর বিচারক কাজী গোলাম রসুল মামলার রায়ে ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।

১৯৭৯ সালে সুইডেনে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের যে দাবি তুলেছিলেন শেখ রেহানা, তা বাস্তবায়ন হয় ৩১ বছর পর। যদিও সব আসামিকে এখনও ফাঁসিতে ঝোলানো যায়নি। পলাতক আসামিদের দেশে ফিরেয়ে এনে আদালতের রায় কাযকর হলে বাঙালি জাতি হিসেবে আমরাও কলঙ্কমুক্ত হবো।

জাতির পিতাকে হত্যার বিচারের দাবিতে আন্দোলন করে সফল হওয়া শেখ রাহানার ৬৯তম জন্মদিন আজ (১৩ সেপ্টেম্বর)। ১৯৫৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বঙ্গবন্ধু পরিবারের কনিষ্ঠ মেয়ে রেহানার নাম রাখা হয়, মায়ের ডাক নাম রেণুর প্রথম অক্ষর আর বড় বোন হাসিনার শেষের অক্ষর অক্ষুণ্ণ রেখে। পারিবারিক পদবি যুক্ত হয়ে পরিপূর্ণ নাম হয় শেখ রেহানা। অতি আদরের ছোট ভাই রাসেলের কাছে যিনি ছিলেন ‘দেনা’ আপা।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকরা যখন বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করে, তখন তিনি বড় বোন শেখ হাসিনার সঙ্গে জার্মানির কার্লসরুইয়ে অবস্থান করায় প্রাণে বেঁচে যান। কিন্তু তাদের অনেক চড়াই-উৎরাই পাড়ি দিতে হয়েছে। মাথা গোঁজার ঠাঁই করে নেন আরেক বাঙালি পরিবারের সঙ্গে রুম ভাগাভাগি করে। আর্থিক অনটনের কারণে চাইলেই একক বাড়ি ভাড়া করে থাকার সামর্থ্য তাদের ছিল না। তাই শেখ রেহানাও বিভিন্ন জায়গায় চাকরির চেষ্টা করছিলেন। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিনেও কর্মখালি দেখে চেষ্টা করেছেন কিন্তু শেষ পর্যন্ত হয়নি। লন্ডনে মেট্রো ও বাসে যাতায়াত করতে হয়েছে তাঁকে।

শেখ রেহানা নিজেই লিখেছেন- “লন্ডনে আসার পর চাকরির জন্য যখন রাস্তায় রাস্তায় ঘুরি, তখন কত পরিচিতজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়, সবাই এড়িয়ে যেতে চায়। চাকরি নিলাম একটি লাইব্রেরি ও পাবলিশার্স কোম্পানিতে। এর পর তো অনেক পথ পাড়ি দিলাম। আমাদের বাসায় রাত-দিন আসা-যাওয়া করত এমন ব্যক্তিও রাস্তায় দেখা হলে চোখ ফিরিয়ে নিত। অবশ্য কেউ কেউ সাহায্যও করেছে।”

ঘাতকরা অস্ত্র দিয়ে ভয় দেখিয়েছিল ঠিকই কিন্তু বাংলার সাধারণ মানুষ কখনও বঙ্গবন্ধুকে ভুলে যায়নি। অনেক লড়াই সংগ্রামের পর ১৯৯৬ সালে আবারও ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। গত ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ টানা ক্ষমতায় কিন্তু কখনই সরকার বা রাজনীতিতে দেখা যায়নি শেখ রেহানাকে। তবে মানুষের কল্যাণে বড় বোন শেখ হাসিনার পাশে সব সময়ই পাশে রয়েছেন শেখ রেহানা। এই বিষয়ে শেখ রেহানা নিজেই বলেছেন- “আমরা দুবোন একে অপরের পাশে আছি। দুজন দুজনকে সাহায্য করি। খুব ভালোবাসি।” আর বড় বোন শেখ হাসিনাও অকপটে বলে থাকেন- “রেহানা ছাড়া তিনি পরিপূর্ণ নন। রেহানার মাঝে তিনি তার মায়ের ছায়া দেখতে পান। সুযোগ্য মায়ের যোগ্য উত্তরসূরি শেখ রেহানা।”

অতি সাধারণ মানুষের মতোই জীবনযাপন করেন শেখ রেহানা। আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের কাছে ‘ছোট আপা’ হিসেবে পরিচিত তিনি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন-সংগ্রামে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাসহ দলের পাশে থেকে অনুপ্রেরণা, সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন শেখ রেহানা। ২০২২ সালের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে শেখ রেহানা শিশুদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমার বোন শেখ হাসিনা প্রবাস থেকে মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলেন দেশে ফিরবেন সিংহের মতো। ঘাতকদের ভয় করলে চলবে না। তাই আমি তাকে সিংহ বলেই ডাকি।’ ১/১১ এর সময় শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারের পর যখন আওয়ামী লীগকে ভাঙার চেষ্টা হয়, শেখ হাসিনাকে মাইনাস করার ষড়যন্ত্র হয়। তখন পর্দার আড়ালে থেকে দৃঢ় অবস্থান নিয়ে সেই সংকট থেকে জাতিকে উদ্ধারে বড় ভূমিকা রাখেন শেখ রেহানা।

শেখ রেহানা একজন ‘রত্নগর্ভা মা’। সন্তানদের তিনি গড়ে তুলেছেন মায়ের শিক্ষা ও বাবার আদর্শে। মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটিশ পার্লামেন্টে একজন গুরুত্বপূর্ণ এমপি। ছেলে রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি একজন গবেষক এবং আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) ট্রাস্টি হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি দেখভাল করেন। ছোট মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক রুপন্তী মেধাবী শিক্ষার্থী হিসেবে পাশ্চাত্যে সাড়া ফেলেছেন।

নিরহংকারের অন্যতম উদাহরণ হলেন শেখ রেহানা। বড় বোন চারবারের প্রধানমন্ত্রী অথচ তার পথচলায় এর কোনো চিহ্ন নেই। সব সময় ভাবেন দেশের মানুষের কল্যাণ। বড় বোন শেখ হাসিনার সঙ্গে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক বাড়িটি স্মৃতি জাদুঘর করে দেশের জনগণের জন্য উৎসর্গ করে দিয়েছেন শেখ রেহানা। একইভাবে ধানমন্ডিতে তার নামে বরাদ্দ বাড়িটিও দান করে দিয়েছেন দেশের কাজে।

লেখক: গণমাধ্যমকর্মী।




নতুন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে তাকে এ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি সদ্য সাবেক প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করেছেন। এই নিয়োগ শপথগ্রহণের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।

এর আগে গতকাল সোমবার ওবায়দুল হাসানকে ভারপ্রাপ্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ১৯৫৯ সালের ১১ জানুয়ারি নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসএস, এমএসএস ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন।

বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের মধ্যে ১৯৮৬ সালে জেলা আদালতে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন ওবায়দুল হাসান। এরপর ১৯৮৮ সালে হাইকোর্ট বিভাগে এবং ২০০৫ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। তিনি ২০০৯ সালে হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান; এর দুই বছর পর ২০১১ সালে একই পদে স্থায়ী হন। একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ ২০১২ সালের ২৩ মার্চ তিনি সদস্য হিসেবে যোগ দেন। একই বছরের ১৩ ডিসেম্বর তিনি এ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হয়ে ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সেখানে দায়িত্ব পালন করেন। বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ২০২০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন।




চুয়াডাঙ্গায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার

চুয়াডাঙ্গায় হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার করেছে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ।

আজ মঙ্গলবার দুপুরের দিকে এই হত্যা মামলার আসামি ফজলু রহমান ফজলু(৪৫) কে তার শ্বশুর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুনের সার্বিক দিকনির্দেশনায় জেলার সকল থানা এলাকায় মাদক বিরোধী, ওয়ারেন্ট তামিলসহ বিভিন্ন অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় চুয়াডাঙ্গা বিজ্ঞ আদালত থেকে চুয়াডাঙ্গার সদর থানায় গ্রেফতারী পরোয়ানা প্রাপ্তির এই আসামি।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহাব্বুর রহমানের নেতৃত্বে এসআই(নিঃ) মাসুদ রানার সঙ্গীয় অফিসার এএসআই(নিঃ) আরাফাত শেখ তার সঙ্গীয় ফোর্সসহ আজ মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গা সদর পৌর হকপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে মৃত্যুদন্ডে দন্ডপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী চুয়াডাঙ্গার সদর হকপাড়ার ফজলুর রহমান ফজলু(৪৫) তার শ্বশুর সাহেব আলীর বাড়ী থেকে এই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত  আসামিকে চুয়াডাঙ্গা বিজ্ঞ আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে।




গাংনীর তেঁতুলবাড়ীয়াতে পিএসকেএস এর উদ্যোগে গাছের চারা বিতরণ

পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি (পিএসকেএস) এর উদ্যোগে, পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেমন (পিকেএসএফ) এর অর্থায়নে গাংনী উপজেলার তেঁতুলবাড়ীয়া ইউনিয়নে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মাঝে ৮০০ টি গাছের চারা বিতরন করা হয়েছে।

‘‘গাছ লাগিয়ে যত্ন করি, সুস্থ্য প্রজন্মের দেশ গড়ি” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আজ তেঁতুলবাড়ীয়া ইউনিয়নকে সবুজে সমৃদ্ধ করতে ইউনিয়নের ১৬ টি শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষার্থীদের মাঝে ৪০০ টি মেহগনি ও ৪০০ টি পেয়ারা গাছের চারা বিতরন করা হয়।

গাছের চারা বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, পিএসকেএস এর সম্মানিত সভাপতি জনাব মোঃ রমজান আলী, তেঁতুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের পলাশীপাড়া শাখার সমৃদ্ধি কর্মসূচি সমন্বয়কারী মোঃ জামিদুল ইসলাম, ইউনিয়ন প্রবীণ কমিটির সভাপতি জনাব মোঃ আব্দুল লতিফ, ইউপি সদস্য মোঃ পলাশ ইসলাম, সিবিও সভাপতি জনাব মোঃ শাখাওয়াত হোসেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক জনাব মোঃ রুহুল আমিন, সমাজ উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ রাকিবুল ইসলামসহ স্বাস্থ্য কর্মকর্তাগন।




ভুল সময়ে বিএনপির ভুল কর্মসূচি, নেতৃত্বে হতাশা

আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনিছুর রহমান। অক্টোবরে নির্বাচনী তফসিলও ঘোষণা হয়ে যাবে। এখন সময় নির্বাচনে কীভাবে অংশ নিবে এবং কারা সম্ভাব্য দলীয় প্রার্থী হবে তার হিসেব নিকেশের। সেখানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এখন এসে রোডমার্চের মতো কর্মসূচি দিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করার কথা ভাবছেন। সরকার পতনের একদফা দাবি আর এই রোডমার্চ এখন সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরের কর্মসূচি। সময়ের কাজ সময়ে না করার খেসারত এর আগেও দলটিকে দিতে হয়েছে বলে মন্তব্য তাদের।

সরকার পতনের একদফা দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই রাজপথে আন্দোলনে আছে বিএনপি ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো। দাবি আদায়ে সরকারকে বাধ্য করতে এবার টানা কর্মসূচি দিয়েছে। কিন্তু সংগঠিত হতে পারেনি। এবার অক্টোবরকে সামনে রেখে চূড়ান্ত আন্দোলনের আগে ওয়ার্মআপ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বিএনপির তিন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন। এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নে জেলার নেতাদের সর্বশক্তি নিয়োগের বার্তা দেয়া হবে রোডমার্চ থেকে।

পরিকল্পনা মোতাবেক বলা হচ্ছে, পাঁচ বিভাগের পর ঢাকা বিভাগে সর্বশেষ রোডমার্চ করবে। এসব রোডমার্চ বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দেবে বিএনপির তিন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। এনিয়ে নিজেদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির একাধিক নেতা। তারা বলছেন, আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে এসব এলাকাভিত্তিক রোডমার্চ এর কথা বলা হচ্ছে কিন্তু এখন আর বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সেই সামর্থ নেই যে টানা কর্মসূচি চালিয়ে যাবে।

বলা হচ্ছে, তারুণ্যের রোডমার্চের পর অক্টোবরের শুরুতেই ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা আসতে পারে। সেই মহাসমাবেশ থেকে তত্ত্বাবধায়কের অধীনে নির্বাচনের দাবি মেনে নিতে সরকারকে সময় বেধে দেয়া হতে পারে। যদিও তৃণমূলের নেতারা বলছেন, এর আগে বহুবার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছিল সরকারকে। সেসব কোন কাজেই আসেনি। ফলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং তৃণমূলের কর্মীদের কাছে নানাভাবে হেয় হতে হয়েছে নেতৃত্বদের। বিএনপির তৃণমূ্লের নেতারা বলছেন, আল্টিমেটাম দিয়ে এখন আর কোন কাজ হবে না। সে সময় পেরিয়ে গেছে। বিএনপিকে এমন কিছু করতে হতো গত একবছরে যাতে করে সরকার তাদেরকে ছাড়া নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত না নিতে পারে।

এখন আর এই কর্মসূচি কোন কাজেই আসবে না উল্লেখ করে খুলনা বিভাগের এক বিএনপি নেতা বলেন, এটা আরও একবছর আগের কর্মসূচি। তখন থেকে কর্মসূচিগুলো পালন করলে এখন এসে সেটা এমন একটা জায়গায় যেতো যে সরকার প্রতিদিন টেবিলে বসতে বাধ্য হতো সমঝোতার জন্য। ফলে এই কর্মসূচি নিয়ে আমরা খুব আশাবাদী নই।

এবিষয়ে জানতে চাইলে স্থায়ী কমিটির এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমরা এখন চাই আমাদের একদফা মেনে নিতে হবে। অক্টোবরে চূড়ান্ত আন্দোলন। তার আগে তৃণমূলকে এই চূড়ান্ত আন্দোলনের সাথী করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সময় চলে যায়নি, সময় শুরু। তবে আগামী মাসের মধ্যে বুঝা যাবে খেলা কোনদিকে এগুচ্ছে’।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কলাম লেখক সুভাষ সিংহ রায় বলেন, ‘বিএনপি কোনো রাজনৈতিক দল না, এটাকে আমি বলি বিরোধী মহল। এজন্য তারা দেশবিরোধী কাজ করবেই। যারা ক্ষমতা থেকে ১৭ বছর ধরে বাইরে আছে তারা যেকোনভাবে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে চেষ্টা করবে। ওদের কাছ থেকে এধরনের কর্মসূচি আসায় আমি বিস্মিত না। তবে আমি চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি, তারা যদি রাজনৈতিক সক্ষমতা দেখাতেই চায় তাহলে একইদিনে সব বিভাগে কর্মসূচি করে সক্ষমতা দেখাক। অন্য বিভাগ থেকে জেলা থেকে লোক জড়ো করে কর্মীদের উজ্জীবিত করার এটা অপচেষ্টা। আওয়ামীলীগ যখন বিরোধী অবস্থানে ছিলো তখন ২০০৪ সালে একইদিনে কর্মসূচি করে দেখিয়েছে। বিএনপির সেই শক্তি নেই। নির্বাচনের আগে সরকার যখন তার কাজগুলো গুছিয়ে নিয়ে এসে একের পর এক মেগা প্রজেক্ট উন্মোচন করছে তখন দেশকে অস্থিতিশীল করা বিএনপির অপরাজনীতি ছাড়া কিছু না ‘




গাংনীর নওপাড়াতে হেরোইন সহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

গাংনীর নওপাড়াতে ৩ গ্রাম হেরোইন সহ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে ধলা পুলিশ ক্যাম্প। আজ মঙ্গলবার সকালে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধলা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (এসআই) তৈৗহিদুল ইসলাম।

আজ মঙ্গলবার সকালে নওপাড়াতে ধলা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (এসআই) তৈৗহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে এ এস আই কালাম সহ সঙ্গিও ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। আটক কৃত হলেন, নওপাড়া গ্রামের মোঃ মোফাজ্জেল হকের ছেলে কামরুজ্জামান (কাবু) (৩০) কে আটক করা হয়।

সে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, প্রকাশ্যে হেরোইন বিক্রি করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নওপাড়া বিল পাড়াতে পাকুড় তলাতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টাকালে তাকে আটক করে, দেহ তল্লাশি করে ৩ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।

ধলা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (এসআই) তৈৗহিদুল ইসলাম জানান, মাদক বিক্রির সময় হাতে নাতে তাকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে গাংনী থানাতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।




চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে আফরোজা পারভীনের উঠান বৈঠক ও গণসংযোগ

চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগের পক্ষ থেকে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে পথসভা উঠান বৈঠক ও গণসংযোগ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে চারটার সময় চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা ইউনিয়নে ইউনিয়ন যুব মহিলা লীগের সভাপতি ইউপি সদস্য ফিরোজা খাতুন এর আয়োজনে এই নির্বাচনী উঠান বৈঠক ও গণসংযোগ করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ও আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশি আফরোজা পারভীন।

এ সময় তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে দিন-রাত কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা বিশ্বব্যাংককে চ্যালেঞ্জ করে নিজেদের অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে বাংলাদেশের সক্ষমতা দেখিয়ে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় বিশ্বে বাংলাদেশ আজ রোল মডেল। দেশকে উন্নয়নের স্বর্ণ শিখরে পৌঁছাতে আগামী দিনেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প নেই।

আগামী সংসদ নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনার সরকারকে আবারো ক্ষমতায় আনতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। গণসংযোগের সময় সরকারের উন্নয়ন কাজের চিত্র তুলে ধরে লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগের সহ-সভপতি পূর্ণিমা হালদার,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলিজা খাতুন ,সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি-কাজলী আক্তার , সাংগঠনিক সম্পাদক সপ্না খাতুন চিনি, দামুড়হুদা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহেদা খাতুন ,আলমডাঙ্গা উপজেলার যুব মহিলা লীগের সভাপতি মনিরা খাতুন,সাধারণ সম্পাদক জাহানারা খাতুন, চুয়াডাঙ্গা পৌর ৯নং ওয়ার্ড সভাপতি-আরজিনা খাতুন, সাধারণ সম্পাদক বেবি, সাংগাঠনিক সম্পাদক মিতা রানী, ৬ নং ওয়ার্ড সভাপতি রুপালি, সাধারণ সম্পাদক ফাহিমা, ২নং ওয়ার্ড কমিটির অর্থ সম্পাদক শিউলি খাতুন, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতৃবৃন্দ রাতুল, সাকিব শেখ , মাহফুজ, আকাশ,কুতুব, রিপন,শাওন, সিফাত,জিরান,সেজান ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ সহ চুয়াডাঙ্গা জেলা ও আলমডাঙ্গা উপজেলা যুব মহিলা লীগের নেতৃবৃন্দ




জীবননগর উপজেলা সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে ডিসির মতবিনিময়

চুয়াডাঙ্গার নবাগত জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমার সঙ্গে মতবিনিময় করছেন জীবননগর উপজেলার সরকারি কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক নেতা ও সাংবাদিকেরা।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে জীবননগর উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মোঃহাফিজুর রহমান বলেন, দৌলৎগঞ্জ-মাজদিয়া স্থলবন্দর ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত চালু ছিল। কর্মকর্তারা ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত এ স্থলবন্দরের নামে বেতন পেয়েছেন। স্থলবন্দরটি সঙ্গে ভারতীয় দূরত্ব বাংলাদেশের যেকোনো স্থলবন্দরের থেকে কম।

জীবননগর উপজেলা নিবাহী অফিসার হাসিনা মমতাজের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, চুয়াডাঙ্গা একটি সম্ভবনাময় জেলা। আমি জীবননগরসহ চুয়াডাঙ্গার চার উপজেলাকে সন্তানের মতো দেখি। আমি জীবননগরে আসার আগে ইউএনওকে দৌলৎগঞ্জ-মাজদিয়া স্থলবন্দরের বিষয়ে সরেজমিনে প্রতিবেদন দিতে বলেছিলাম। ইতিমধ্যে প্রতিবেদন পেয়েছি। আমি দৌলৎগঞ্জ-মাজদিয়া স্থলবন্দর চালুর বিষয়ে উর্ধতন কতৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করব। তবে এ বিষয়ে আমাদের বন্ধু রাস্ট্র ভারতের আগ্রহ কেমন সেটি জানতে হবে।

সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হাফিজুর রহমান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ঈসা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সুলতানা লাকী, জীবননগর উপজেলার সহকারী কমিশনার ভুমি তিথি মিত্, জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি গোলাম মোর্তুজা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম, সাধারণ মানুষের আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল।

এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রধানরা।




আলমডাঙ্গায় উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির গ্রেপ্তার

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা পুলিশের বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের করা নাশকতা মামলায় উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির সেলিম রেজাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮ টায় উপজেলার হাটবোয়ালিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত সেলিম রেজা (৬১) উপজেলার হাটবোয়ালিয়া গ্রামের মৃত মহিউদ্দিনের ছেলে।

পুলিশ জানায়, সেলিম রেজার বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা ছিল। দীর্ঘদিন যাবত তিনি আত্মগোপনে থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হচ্ছিল না। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ মঙ্গলবার রাতে হাটবোয়ালিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, নাশকতা মামলায় উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির সেলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে পলাতক থাকায় ইতোপূর্বে তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।




চুয়াডাঙ্গার বেগমপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধার ইন্তেকাল, রাষ্টীয় মর্যাদায় দাফন

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের ঝাঁঝরী গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা ইরশাদ আলী (৭৮),ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

জানাযায় আজ মঙ্গলবার দুপুর ১ টার দিকে নিজ বাড়িতে অসুস্থ অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। আজ বিকাল ৫ টার দিকে ঝাঁঝরী গ্রামের মাঠে গার্ড অফ অনার প্রদান করেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার ভৃমি মোঃ সাজ্জাদ হোসেন,দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার সাহা।

রাষ্টীয় মর্যাদায় গার্ড অফ অনার শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পর্ন করে।