এসএসসি পাসে নিয়োগ দেবে এনা ট্রান্সপোর্ট

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে এনা ট্রান্সপোর্ট প্রাইভেট লিমিটেড । প্রতিষ্ঠানটিতে স্পেশাল চেকার পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে সহজে আবেদন পারবেন।

পদের নাম

স্পেশাল চেকার।

শিক্ষাগত যোগ্যতা

প্রার্থীকে এসএসসি পাস হতে হবে। প্রার্থীর বয়স ৩০ থেকে ৩৫ বছর হতে হবে। পুরুষ প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

কর্মস্থল

বাংলাদেশের যেকোনো স্থানে।

বেতন

১৩,০০০/- (মাসিক)।

আবেদনের পদ্ধতি

আগ্রহী প্রার্থীরা জীবনবৃত্তান্ত যেখানে পাঠাবেন

hr.enatransport@gmail.com

আবেদনের শেষ তারিখ

২০ জুলাই, ২০২৩।

সূত্র : বিডিজবস




মেহেরপুরে এশিয়ান টিভির সাংবাদিক জনি আর নেই

এশিয়ান টিভির মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি মিজানুর রহমান জনি (৪০) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে মেহেরপুর আদালতে একটি মামলায় হাজিরা দিতে গিয়ে আদালত চত্বরে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। মিজানুর রহমান জনি মেহেরপুর সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বর্তমান জেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য ।

মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা (আরএমও) মোখলেছুর রহমান পলাশ বলেন, মিজানুর রহমান জনি মাইয়ো কার্ডিয়াক ইনফেকশনে ( সিভিআর -হার্ট এ্যাটাক) আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাকে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তিনি মারা গেছেন।




১১ বছর বয়সেই বিজ্ঞাপনের মডেল হয়ে কোটি টাকা আয়!

রে বিপুল অর্থ উপার্জন করা যায়। তবে এত অল্প বয়সে বিশাল অংকের পারিশ্রমিক! এমনটি বোধহয় আর কখনই শোনা যায়নি।

স্কুলে পড়ার বয়সেই কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ কামাই করছে খুদে মডেল সিতারা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে তার অনুসারীর সংখ্যা ১ কোটি ৩০ লাখ। সম্প্রতি একটি জুয়েলারি হাউসের বিজ্ঞাপনের জন্য এক কোটি টাকা নিয়ে নতুন রেকর্ডও গড়েছে সে। তার নামেই লঞ্চ করেছে তাদের নতুন কালেকশন।

জি ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুয়েলারি হাউসের গহনার নতুন কালেকশনের নাম ‘সিতারা কালেকশন’। সেই গহনার কালেকশনের বিজ্ঞাপনের মডেলও শুট করেছে সিতারা।

জানা যায়, সিতারাই প্রথম মডেল, যে মাত্র ১১ বছর বয়সে স্থান পেয়েছে টাইমস স্কোয়ারের বিলবোর্ডে। মেয়ের এই সাফল্যে আনন্দে আত্মহারা সুপারস্টার বাবা ও অভিনেত্রী মা।

প্রসঙ্গত, সিতারা হলো দক্ষিণের সুপারস্টার মহেশ বাবু ও নব্বইয়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী নম্রতা শিরোদকরের মেয়ে। মেয়ের সাফল্যগাঁথা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন গর্বিত বাবা-মা।




টি-টোয়েন্টিতে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ

প্রথম দুই ম্যাচের বাজে পারফরম্যান্সকে পেছনে ফেলে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ৭ উইকেটের জয় শুধুমাত্র হোয়াইটওয়াশ এড়াতেই সহায়তা করেনি, দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে আত্মবিশ্বাসী করেছে বাংলাদেশকে।

আগামী ১৪ এবং ১৬ জুলাই সিলেটে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজটি অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যেই সিলেট পৌঁছেছে সাকিব-লিটনরা।

সংক্ষিপ্ত ভার্সনে নিঃসন্দেহে আফগানিস্তান বিশ্বের অন্যতম সেরা দল। পরিসংখ্যানে এই ফরম্যাটে বাংলাদেশের চেয়ে আফগানিস্তান অনেক এগিয়ে রয়েছে। যেখানে নয়বারের মোকাবেলায় আফগানদের জয় ৬টিতে এবং বাংলাদেশের ৩টিতে। সবগুলোতেই সহজ জয় পেয়েছে আফগানিস্তান। অন্যদিকে জয় পেতে ঘাম ঝরাতে হয়েছে বাংলাদেশকে।

বাংলাদেশের বিপক্ষে শেষ দুই ম্যাচে সহজভাবেই যথাক্রমে ৮ এবং ৭ উইকেটে জিতেছে আফগানিস্তান। কিন্তু শেষ পাঁচ লড়াইয়ের মধ্যে দুটিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। অর্থাৎ, আফগানদের বিপক্ষে মোট তিনটি জয়ের মধ্যে দু’টিই সাম্প্রতিক সময়ে পেয়েছে টাইগাররা।

সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে এই ফরম্যাটে বাংলাদেশ ধীরে ধীরে উন্নতি করছে। ২-১ ব্যবধানে হারা ওয়ানডে সিরিজে শেষ দুই ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দেন লিটন দাস।, শেষ ওয়ানডের জয় আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবারের মত টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিততে আত্মবিশ্বাস জোগাবে বলেই আশা করছেন লিটন।

২০২২ সালে সর্বশেষ বাংলাদেশ-আফগানিস্তানের মধ্যকার দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ হয়েছিলো।

তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ৭ উইকেটে জয়ের পর লিটন বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে শেষ ওয়ানডের জয় টনিক হিসেবে কাজ করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ছেলেরা ভালো পারফরম্যান্স করেছে। শরিফুল ও তাসকিন নতুন বলের সুবিধা কাজে লাগিয়েছে। মাঝের ওভারগুলোতে ভালো করেছে স্পিনাররা। পুরো কৃতিত্ব বোলারদের। নিশ্চিতভাবেই আত্মবিশ্বাসী হয়ে আমরা টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে নামবো।’

সিরিজে প্রথমবার খেলতে নেমে ২১ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেন শরিফুল। তার বোলিং নৈপুণ্যে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বৃষ্টি আইনে প্রথম ম্যাচ ১৭ রানে এবং দ্বিতীয়টি ১৪২ রানে হেরে চাপে থাকা বাংলাদেশ।

শরিফুল বলেন, ‘ এই জায়গায় আসতে আমি কঠোর পরিশ্রম করেছি। আয়ারল্যান্ড সিরিজের পর আমাকে কিছু কাজ দিয়েছিলন হাথুরুসিংহে ও ডোনাল্ড। আমি সেগুলো করেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘বোলিং জুটি যখন ভালো হয়, তখন ছন্দেরও উন্নতি হয়। তাসকিন খুব ভালো বোলিং করছিল যা আমার জন্য সহজ হয়ে গিয়েছে।’

সূত্র: ইত্তেফাক




গাংনী থানা পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার-৬

গাংনী থানা পুলিশের ১২ ঘন্টার নিয়মিত অভিযানে বিভিন্ন মামলা ও আদালতের পরোয়ানাভূক্ত ৬ আসামি গ্রেফতার হয়েছে।
বুধবার দিবাগত রাতের ভিন্ন সময়ে পুলিশের পৃথক টিম উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে অভিযান চালিয়ে এইসব আসামি গ্রেফতার করেন।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদে খবর পেয়ে গাংনী থানার পৃথক টিম বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৬ আসামি গ্রেফতার করেছেন।
আসামিদের মধ্যে নিয়মিত মামলার ৪ ও আদালতের পরোয়ানাভূক্ত জিআর মামলার ২ জন।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সকাল ১০ টার দিকে গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে মেহেরপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।




গাংনীতে নিরাপদ সবজি বিক্রয় কেন্দ্রের উদ্বোধন

‘‘উত্তম কৃষি চর্চা’’ অনুসরণে উৎপাদিত কীটনাশকের বিষক্রিয়ামুক্ত নিরাপদ সবজি বিক্রয়ের লেেক্ষ নিরাপদ সবজি বিক্রয় কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হয়েছে।

আজ বুধবার বিকেলে মেহেরপুরের গাংনী সবজি বাজারের কিফাত সবজি ঘরে নিরাপদ সবজি বিক্রয় কেন্দ্র উদ্বোধন করা হয়। গাংনী উপজেলা কৃষি অফিস ও পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি(পিএসকেএস) এর তত্বাবধানে ও পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন(পিকেএসএফ) এর কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় নিরাপদ সবজি বিক্রয় কেন্দ্রটি পরিচালিত হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন,গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ ইমরান হোসেন, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ আবব্দুর রউফ, পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতির উপ পরিচালক কামরুল আলম, সহকারি পরিচালক Ñ(প্রশিক্ষণ) আশরাফুল আলম মন্ডল, পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতির কৃষি ইউনিটের কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ তরিকুল ইসলাম, গাংনী বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম প্রমুখঃ

‘নিরাপদ সবজি গ্রহন করুন,সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করুন,এ প্রতিপাদ্যে গাংনী উপজেলা শহরে দ’ুটি নিরাপদ সবজি বিক্রয় কেন্দ্র চালু করলো পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি।

উদবোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, উচ্চ মাত্রায় ক্ষকির রাসায়নিক বালাইনাশক ও সার ব্যবহার করে উৎপাদিত সাক-সবজি পাওয়ার কারনে মানবদেহে চর্মরোগ, প্রতিবন্ধকতা, বন্ধাত্ব, ক্যান্সার, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপসহ আরও অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়। এসব দিক বিবেচনা করে জৈব সার, জৈব বালাইনাশক, ফেরোমন ফাঁদ, রঙিন ফাঁদ বিষটোপ, পরিচ্ছন্ন চাষাবাদের মাধ্যমে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার কমিয়ে যে সবজি উৎপাদিত হয় এগুলোকে নিরাপদ সবজি বিক্রয় কেন্দ্রে বিক্রয় উপযোগী হবে। এতে গাংনীসহ আশপাশের এলাকার মানুষ নিরাপদ সবজি পেতে সহায়ক হবে। গেল বছরেও গাংনী হাসপাতাল বাজারের ওসমান সবজি ঘরে আরও একটি নিরাপদ সবজি বিক্রয় কেন্দ্র চালু করে পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি।




মুজিবনগর ইউএনও’র নাজির কাম ক্যাশিয়ার সাগরের বিরুদ্ধে মামলা

মুজিবনগর উপজেলা ভূমি অফিসের নাজির কাম ক্যাশিয়ার রবিউল ইসলাম সাগরের বিরুদ্ধে এবার আদালতের মামলা দায়ের করেছে মেহেরপুর শহরের গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ফরহাদ মল্লিক।

মেহেরপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। যার মামলা নং সিআর ৪৮৭/২০২৩, তারিখ ১০/০৭/২০২৩।

আসামি রবিউল ইসলাম সাগর মেহেরপুর শহরের মুখার্জিপাড়ার মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে।

মামলার বিবরনে জানা গেছে, মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার দুস্থ্যদের মধ্যে তৈরী পোশাক বিতরনের কথা বলে ফরহাদ মল্লিকের গার্মেন্টস দোকান থেকে রবিউল ইসলাম সাগর ৫০ হাজার টাকার তৈরী পোশাক কেনেন। টাকা পরিশোধের জন্য চলতি বছরের ১২ জানুয়ারী আসামির নামীয় জনতা ব্যাংক লি: মেহেরপুর শাখায় ৫০ হাজার টাকার একটি চেক প্রদান করেন। যার চেক নং ৮৭০৩৭২৪, হিসাব নং ১৬২৩৫। ব্যাংক থেকে টাকা উঠাতে গেলে ওই একাউন্টে কোনো টাকা নেই বলে ব্যাংক জানায়। পরে ২২/০৫/২৩ তারিখে ডিসঅনার সনদ প্রদান করে।

এঘটনার পর মামলার বাদী ফরহাদ মল্লিক আসামি রবিউল ইসলাম সাগরকে টাকা প্রদানের জন্য লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। লিগ্যাল নোটিশ পাওয়ার পর আসামি বিভিন্নভাবে প্রশাসনিক ভয়ভীতি দেখায়। জেল খাটানোর ভয়ভীতিও প্রদর্শন করেন। ফলে বাদ্য হয়ে বাদী ফরহাদ হোসেন আদালতের আশ্রয় নিয়ে তার বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেন। ১৮৮১ এর ১৩৮ ধারায় অপরাধ করার অভিযোগ এনে এই মামলাটি দায়ের করেন বাদী।




দুদকের মামলায় গুলশান থানার ওসি মেহেরপুরের ফিরোজ কবির ও তার স্ত্রীর সাজা

বেতনের চেয়ে বহুগুণ বেশি অর্থের সন্ধান মিলেছিল ব্যাংকে, সেই অর্থের বৈধ কোনো উৎস না মেলায় রাজধানীর গুলশান থানার সাবেক ওসি ফিরোজ কবির ও তার স্ত্রীকে যেতে হচ্ছে জেলে।

ফিরোজ কবির মেহেরপুর সদর উপজেলার সিংহাটি পশ্চিমপাড়ার ওলি মোহাম্মদের ছেলে। তার অপর ভাই আজিজুল ইসলাম বারাদী বাজারের একজন সার ব্যবসায়ী।

দুদকের দায়ের করা মামলার রায়ে ফিরোজ কবিরকে ৬ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং তার স্ত্রী সাবরিনা আহমেদ ইভাকে ৪ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান আজ বুধবার আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের পর ওই দম্পতিকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

ফিরোজ কবিরকে কারাদণ্ডের পাশাপাশি অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির দ্বিগুণ, অর্থাৎ এক কোটি ৭৪ লাখ ৩৪ হাজার ৩৮৮ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ঘোষিত আয়ের বাইরে যে ৮৭ লাখ ১৭ হাজার ১৯৪ টাকা তার অ্যাকাউন্টে পাওয়া গেছে, তা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
রায়ের দিন থেকে ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে ফিরোজ কবিরকে ওই অর্থদণ্ডের টাকা পরিশোধ করতে হবে। তা দিতে না পারলে দণ্ডবিধির ৩৮৬ ধারা অনুযায়ী তা আদায়ের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান এ আদালতের বেঞ্চ সহকারী সাইফুল ইসলাম।

দুদকের সহকারী পরিচালক সৈয়দ আতাউল কবির ২০১৭ সালের ৩ অক্টোবর গুলশান থানায় ওই দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলাটি তদন্তের পর ২০১৯ সালে অভিযোগপত্র জমা পড়ে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০১৬ সালের ৩১ মে র্পযন্ত সময়ে এবি ব্যাংক, ডাচ বাংলা ব্যাংক, এনআরবি কর্মাশিয়াল ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক এবং ব্র্যাক ব্যাংকে ফিরোজ কবিরের নামে এবং ডাচ বাংলা ব্যাংকে তার স্ত্রী সাবরিনা আহমেদ ইভার অ্যাকাউন্টে মোট ৩ কোটি ৯ লাখ টাকা জমা করেন।
রায়ে বলা হয়, অধিকাংশ হিসাব খোলার সময় ফিরোজ কবির অর্থের উৎস চাকরি দেখিয়েছেন। কিন্তু যে ধরনের ও যে অংকের লেনদেন হয়েছে, তা তার বেতন-ভাতার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। অর্থের উৎস সম্পর্কে কোনো সন্তোষজনক ব্যাখ্যা বা প্রমাণও তারা দাখিল করতে পারেননি।

“এতে প্রমাণিত হয় যে, জমাকৃত উক্ত অর্থ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে দুর্নীতি ও ঘুষ সংক্রান্ত সম্পৃক্ত অপরাধলব্ধ।”




গাংনীতে ফেসবুকের ফেক আইডির বিরুদ্ধে অভিযোগ

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ফেক আইডি তৈরি করে এনটিভির সাংবাদিক রেজ আন উল বাসার তাপসকে নিয়ে কুরুচিকর ও বিভ্রান্তিমূলক প্রচার করায় অপরাধ বার্তা নামের একটি আইডির বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

গতকাল রাতে গাংনী থানায় বাদী রেজ আন উল বাসার তাপস স্বশরিরে হাজির হয়ে এ অভিযোগ দাখিল করেন।
বাদীর অভিযোগ, গত ৭ জুলাই দিবা গত রাত্র ১২.১৮ মিনিট এর সময় অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জন আসামীরা ‘অপরাধ বার্তা’ নামক ফেসবুক আইডির মাধ্যমে তথ্য ও প্রযুক্তি অনলাইন ব্যবহার করে আমার ফেসবুক প্রোফাইল আইডির ছবি আমার অনুমতি বিহীন সংগ্রহ করিয়া লেখালেখি করিয়া বলে যে, “এনটিভির” মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি মোহাঃ রেজ- আন-উল-বাসার তাপস এর গাঁজা সেবন। এমন আরো ভিডিও পেতে আমাদের সাথেই থাকুন বলিয়া অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন আসামীরা তাহাদের সঠিক পরিচয় গোপন করিয়া এহেন অন্যায় কর্মকান্ড করিয়া আমাকে সমাজের চোখে হেও প্রতিপন্নসহ আমার মান সম্মানের ক্ষতি করেছেন।

এমনকি অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন আসামীরা ঘটনার তারিখ ও সময়ে তাহাদের ফেইক ফেসবুক আইডির অনলাইন ব্যবহার করিয়া রাত্র অনুমান ৯.৪৯ মিনিটের সময় আমার কন্ঠ সুপার এডিট করিয়া অপপ্রচার করেন যে, পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাকে” এনটিভির মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি মোহাঃ রেজ-আন-উল-বাসার তাপসের অশালীন ভাষায় গালী “এহেন মিথ্যা জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করিয়া সমাজের চোখে আমাকে হেও প্রতিপন্ন করিয়া আমার অনুমতি বিহীন উপরোক্ত কর্মকান্ড করিয়া অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন আসামীরা আমার কোটি টাকার উর্দ্ধে মান সম্মান হানী করিয়াছে। উপরোক্ত ঘটনার কারনে আমার পদ- পদবীসহ সমাজের মানুষের চোখে আমার প্রতি বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে এবং মান সম্মানের হানি ঘটেছে।

গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এনটিভির সাংবাদিক রেজ আন উল বাসার তাপসের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




মেহেরপুরে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু

সরকারিভাবে প্রচার প্রচারনা না থাকায় মেহেরপুর জেলায় বাড়ছে ডেঙ্গু আশংকা। জেলায় এ বছর এই পর্যন্ত সরকারিভাবে মোট নয় জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৫ জন মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। আর ৪ জন বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন। বর্তমানে সবাই সুস্থ্য হয়েছেন। যারা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের অধিকাংশই প্রাইভেট চিকিৎসকদের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে বাড়িতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।

ক্ষেত্রবিশেষে অতিথি চিকিৎসকরা চেম্বার থেকেই রোগীকে অন্যান্য চিকিৎসাকেন্দ্রে রেফার্ড করে দেন, ফলে মেহেরপুরে প্রকৃত ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কত এর সঠিক তথ্য জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে নেই।

মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জমির মোহাম্মদ হাসিবুস সাত্তার জানিয়েছেন ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবেলায় মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি আছে।

মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জমির মোহাম্মদ হাসিবুস সাত্তার বলেন,’ সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে একটি ডেঙ্গু কর্নার ও ৫ শয্যা বিশিষ্ট একটি ডেঙ্গু ওয়ার্ড খোলা হয়েছে। প্রয়োজনে ডেঙ্গু ওয়ার্ডে শয্যা সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। হাসপাতালে যেকোনো জ্বরের রোগী আসলেই তাদের আগে ডেঙ্গু কর্ণারে নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে। পরে জরুরি বিভাগ ও অন্যান্য বিভাগে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হচ্ছে।

বর্তমানে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের আই সি ইউ তে তুষার নামের একজন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ১০ জুলাই একজন রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এর বাইরে মেহেরপুরের তাহের ক্লিনিকে একজন চিকিৎসাধীন আছেন। অন্যরা নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন থেকে সুস্থ হয়েছেন। তিনি বলেন, বর্তমানে মেহেরপুর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে ডেঙ্গুর সকল পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে সরকারি হাসপাতালে এখন থেকে বিনামূল্যে ডেঙ্গুর পরীক্ষা করা হবে। তবে প্রজ্ঞাপনজারির পর থেকে এই সুবিধাটি কার্যকর করা হবে।’

মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ডেঙ্গু কর্নারে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. তাসমেরী খাইরুন নাহার বলেন, ‘জ্বর হলেই ব্যথার ওষুধ খাওয়া যাবেনা কারণ ডেঙ্গুতে ব্যথার ওষুধ দেয়া যায় না। তাই আমার পরামর্শ জ্বর হলেই আপনারা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখান অথবা মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য চলে আসুন, এখানে সুচিকিৎসার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা আছে।’

সিভিল সার্জন মেহেরপুর জওয়াহেরুল আনাম সিদ্দিকী বলেন,’এখন পর্যন্ত জেলার ডেঙ্গু পরিস্থিতি সামগ্রিকভাবে ভালো। মেহেরপুর জেলাতে এ বছর এখন পর্যন্ত মোট নয়জন ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত হয়েছেন, তারা সকলেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। বর্তমানে একজন রোগী সদর হাসপাতালের আইসিইউ এ ভর্তি আছেন। সার্বিক ভাবে জেলার ডেঙ্গু পরিস্থিতি সন্তোষ জনক বলে জানান তিনি।’