মেহেরপুরে চোরাচালান প্রতিরোধ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

মেহেরপুরে চোরাচালান প্রতিরোধ জেলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা প্রশাসক শামীম হাসানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. আব্দুস সালাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল আহসান, মেহেরপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র শাহিনুর রহমান রিটন, পিপি পল্লব ভট্টাচার্য, জেল সুপার মোখলেসুর রহমান, উপ-পরিচালক পরিবার পরিকল্পনা মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, মেহেরপুর জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শিরিন নাহার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক এ জে এম সিরাজুম মুনীর, মেহেরপুর জেলা বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সভাপতি প্রফেসর হাসানুজ্জামান মালেক, মেহেরপুর জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নীলা হাফিয়া, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অলোক কুমার দাস প্রমূখ।




বিয়ের পর নারীদের ওজন বাড়ে যেসব কারণে

বিয়ের পর অনেকেরই ওজন বেড়ে যাওয়ার সমস্যা তৈরি হয়। বিশেষ করে মেয়েদের ওজন তো কম বেশি বাড়েই। বিয়ের আগে নিজেকে বিয়ের পোশাকে মানানসই দেখতে চায় সবাই। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। কিন্তু বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ফিটনেস রুটিন ভেঙে যায়। সেই কারণে ওজন বেড়ে যায়।

‘অনলি মাই হেলথ’–এর এক গবেষণা জানিয়েছে, বিয়ের পর আপনি সুখী হোন বা অসুখী দুই ক্ষেত্রেই ওজন বাড়ার ব্যাপক সম্ভাবনা আছে। নারী–পুরুষ উভয়েরই ওজন বাড়ে। তবে পুরুষের তুলনায় নারীর ওজন বাড়ার সম্ভাবনা আড়াই গুণেরও বেশি। কেননা নারী শারীরিক, মানসিক, পারিপার্শ্বিক যত পরিবর্তনের ভেতর দিয়ে যান, পুরুষের জীবনে তত পরিবর্তন আসে না। বিয়ের পরে ওজন বৃদ্ধির বিষয়টিকে ইংরেজিতে ‘লাভ ওয়েট’ বলা হয়।

‘লাভ ওয়েট’ নিয়ে গবেষকরা নানা রকম গবেষণা ও সমীক্ষাও চালিয়েছেন। ঠিক কী কারণে বিয়ের পর ওজন বেড়ে যায়। বিয়ের প্রথম বছরে গড়ে নারীর ওজন বাড়ে পাঁচ পাউন্ড বা দুই কেজির একটু বেশি। অনেকের ধারণা বিয়ের পর নিয়মিত শারীরিক মিলনই ওজন বৃদ্ধির কারণ। এই ধারণা মোটেও ঠিক নয়। বেশিরভাগ চিকিৎসকই জানিয়েছেন নিয়মিত শারীরিক সম্পর্কের কারণে নারীর ওজন বাড়ে না। কারণ অনেক সময় শরীরে কিছু হরমোনের পরিবর্তন হয়, যা ওজনে প্রভাব ফেলতে পারে। শুধু নারী নয় পুরুষেরও ওজন বাড়ে। তবে ওজন বাড়ার সঙ্গে দৈনন্দিন শারীরিক মিলনের কোনো সম্পর্ক নেই। আসুন জেনে নেই বিয়ের পরে কেন ওজন বাড়ে-

বিয়ের আগে অনেক মেয়েই ওজন নিয়ে বেশ সচেতন থাকেন। খাওয়া-দাওয়া নিয়ন্ত্রণে রাখেন ও শরীরচর্চাও শুরু করেন কেউ কেউ। তবে বিয়ের পর সেটা পুরোপুরি চলে না গেলেও, বেশির ভাগের ক্ষেত্রে তা কিছুটা কমে যায়। জীবনসঙ্গী পাওয়ার পরে তারা নিজের যত্ন নেওয়া কমিয়ে দেন। কেউ আবার সময়ের অভাবে শরীরের প্রতি যত্ন নিতে পারেন না। ফলে ওজন বেড়ে যায়।

মানুষ ভালোবাসা পেলে নিরাপদ বোধ করে ও সুখী হয়। তখন তার খাবারের প্রতি আকর্ষণ বেড়ে যায়। বিশেষ করে মিষ্টি ও পনিরজাতীয় খাবারের প্রতি চাহিদা বাড়ে।

বিয়ের পর মেয়েদের খাদ্যাভ্যাসে বড় বদল আসে। বিশেষ করে বাংলাদেশ ও ভারতের মতো দেশে বিয়ের পর আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে দাওয়াতের হিড়িক পড়ে যায়। প্রায় এক বছর পর্যন্ত চলতে থাকে নানা আয়োজন। আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতে রোজ রোজ নানা ধরণের মজাদার খাবার খাওয়া হয় তাই ওজন বেড়ে যাওয়া স্বাভাবিক।

বিয়ের পরে নতুন কয়েকটি দায়িত্ব এসে পড়ে। সংসারের পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রটিও সমান দক্ষতায় সামাল দিতে হয়। ফলে মানসিক চাপ বাড়ে ঘুম কমে যায়। এছাড়া নতুন পরিবেশে মানিয়ে নিতে সময় লাগে। অচেনা পরিবেশেও অনেকের ঘুম আসতে সমস্যা হয়। ঘুমের অনিয়মও ওজন বাড়িয়ে দেয়।

প্রথম কিছুদিন বিয়ের যাবতীয় অনুষ্ঠানের কারণে ঠিকমতো খাওয়া হয় না। তবুও মিষ্টি, কেক, কোক খাওয়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। সেই কারণেও শরীরের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়।

বিয়ের পর খাওয়া-দাওয়ার ধরণ, খাওয়ার পরিমাণ ও সময় সবকিছুই বদলে যায়। সেই কারণেও ওজন বাড়তে পারে। নারীদের ক্ষেত্রে দেখা যায় বাবার বাড়িতে যে ধরনের খাবারে অভ্যস্ত ছিলেন শ্বশুরবাড়িতে সেটার ভিন্নতা থাকে। এতে ইনটেসটাইনের ওপর চাপ পড়ে। ভিটামিন বি স্টোরেজের অবস্থা একেবারে শেষপ্রান্তে এসে পড়ে। শারীরিকভাবে তো বটেই, মানসিকভাবেও অশান্তি হয়। ফলে ওজন বাড়তে পারে।

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, বিয়ের পর নারীদের ওজন বেড়ে যাওয়ার পেছনে জিনগত কারণও রয়েছে। দেখা গেছে, যে নারীদের মায়ের ওজন বিয়ের পর বেড়েছে, তাদের মেয়েদের মধ্যেও অনেক ক্ষেত্রে সেই প্রবণতা চোখে পড়েছে। স্বাস্থ্যকর ও পরিমিত খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত শরীরচর্চা করলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

সূত্র: ইত্তেফাক




ছেলের বয়স ৫৭, মায়ের ৩৮!

শিরোনাম দেখে অবাক হওয়ারই কথা। মায়ের চেয়ে ছেলের বয়স বেশি এটা কীভাবে সম্ভব! কিন্তু পর্দায় এই অসম্ভবকে ‘সম্ভব’ করেছেন দক্ষিণী পরিচালক অ্যাটলি কুমার। এখানে ৫৭ বছরের ছেলে হলেন শাহরুখ খান এবং ৩৮ বছরের মা ঋদ্ধি ডোগড়া।

সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ‘জাওয়ান’ সিনেমায় শাহরুখের মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন ছোট পর্দার অভিনেত্রী ঋদ্ধি ডোগড়া। ২০০৮ সাল থেকে অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও সবার নজরে এসেছেন এই সিনেমা দিয়ে। সিনেমায় কাবেরি চরিত্রে তার অভিনয় আলাদা করে পরিচয় এনে দিয়েছে ঋদ্ধিকে। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

ছোট পর্দার এই অভিনেত্রী শুরু থেকেই হাসিখুশি তরুণীর চরিত্রে অভিনয় করতেন। তবুও তার আক্ষেপ ছিল। কেননা তিনি চাইতেন সব ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে। কিন্ত পরিচালকরা বলতেন, তিনি নাকি অন্য ধরনের চরিত্রের জন্য উপযুক্ত না।

সেই আক্ষেপ এবার ঘুচেছে ঋদ্ধির। ‘জাওয়ান’ সিনেমায় কাবেরি হয়ে তিনি অভিনয় করেছেন বেশি বয়সী নারীর চরিত্রে। সিনেমায় অভিনয়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে ঋদ্ধি বলেন, ‘শাহরুখের সঙ্গে সিনেমা করব শুনেই লাফিয়ে উঠেছিলাম। ছবিতে চরিত্রটিও ছিল অন্য রকম। আমাকে বেশি বয়সী নারীর চরিত্র করতে হয়েছে। দারুণ অভিজ্ঞতা ছিল।’

যদিও মা-ছেলের বয়স নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে জোর আলোচনা। ছড়িয়ে পরেছে একাধিক মিম। কিন্ত সব ছাপিয়ে ঋদ্ধি দেখালেন তিনিও পারেন। পরিশ্রম করলে যে কোনো চরিত্রে মানিয়ে নিতে পারবেন তিনি।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ১৫

মেহেরপুর ও গাংনী থানা পুলিশের ১২ ঘন্টার নিয়মিত অভিযানে বিভিন্ন মামলা ও আদালতের পরোয়ানাভূক্ত ১৫ আসামি গ্রেফতার হয়েছে।

এদের মধ্যে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশ ১০ জন আসামি ও গাংনী থানা পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার হয়েছে ৫ জন আসামি।
গতকাল শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগতরাতে মেহেরপুর সদর থানার সহকারি উপপরিদর্শক (এএ্সআই) শাকিল খান ও গাংনী থানা পুলিশের পৃথক টিম অভিযান চালিয়ে এসব আসামি গ্রেফতার করেন।

মেহেরপুর সদর থানায় গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সিআর ৪১৫/১২ নং মামলায় ১ বছরের সাজাপ্রাপ্ত রাজনগর গ্রামের ইমদাদুল হকের ছেলে সাজেদুর রহমান (৩৫), জিআর ৯৩/১৯ নং মামলার আসামি কুতুবপুর গ্রামের মহাম্মদ আলীর ছেলে সবুজ (৪০), নারী ও শিশু নির্যাতন ৯৯/১৯ নং মামলার আসামি ময়ামারি গ্রামের মিরু মালিথার ছেলে জমির উদ্দিন (৪৫), একই মামলার আসামি আব্দুল মালেকের ছেলে আরিফ হোসেন (৩০), সিআর ২৩৭/২৩ নং মামলার আসামি কোলা গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে আল আমিন (৩২), সিআর ৩৮২/২৩ নং মামলার আসামি মেহেরপুর শহরের বাসস্ট্যান্ডপাড়ার রিফাজের ছেলে মো: খুরশিদ (৩৪), মহি উদ্দিনের স্ত্রী শাহিনা খাতুন (৫০), ছেলে ইলিয়াস হোসেন (৩০), সিআর ৮৪৪/২৩ মামলার আসামি শহরের মল্লিকপাড়া এলাকার মৃত মজিদের ছেলে মহিউদ্দীন (৫০) ও শহরের নতুনপাড়ার বাবর আলীর ছেলে ডাবলু হোসেন (৩৬)।

এছাড়া গাংনী থানা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৫ আসামিদের মধ্যে রয়েছে সিআর ৩৮৩/২৩ নং মামলার আসামি গাঁড়াডোব গ্রামের সাহিন আলীর স্ত্রী বৃষ্টি খাতুন সিআর পারিবারিক ৪০/২০ নং মামলার আসামি বাওট গ্রামের ইয়ারুল ইসলামের ছেলে খাইরুল ইসলাম, ঝিনাইদহ কোর্টের সিআর ১৯৭/২৩ নং মামলার আসামি কুমারীডাঙ্গা গ্রামের নবিছুদ্দিনের ছেলে আনোয়ার হোসেন, জিআর ১৪৭/২৩ নং মামলার আসামি গাড়াডোব কাছারীপাড়া এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে সাহাবুদ্দিন (৩৪) ও ফসল তছরুপ করার অভিযোগে গাংনী থানার ১৪(৯)২৩ মামলার আসামি বেতবাড়িয়া গ্রামের আজিজুল ইসলামের ছেলে আলাইহিম হোসেন (৪৫)।

মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ও গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আব্দুর রাজ্জাক এসব গ্রেফতার অভিযানের নেতৃত্ব দেন। সংশ্লিষ্ট থানা এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

আজ রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টার দিকে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে নিলে তাদের জামিন না দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন বিজ্ঞ বিচারক।




১৯ সেপ্টেম্বর দেশে আবারও সাইবার হামলার সঙ্কা

আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর দেশের সাইবার স্পেসে ফের সাইবার হামলার হুমকি দিয়েছে ‘ইন্ডিয়ান সাইবার ফোর্স’ নামের একটি হ্যাকার গ্রুপ।

বাংলাদেশ ছাড়াও ২৬ নভেম্বর চীন এবং পাকিস্তান, ১১ ডিসেম্বর ইন্দোনেশিয়া এবং পাকিস্তান এবং ২৬ জানুয়ারি ২০২৪ একসাথে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া এবং চীনে হামলার তালিকা প্রকাশ করেছে।

এ বিষয়ে বিজিডি ই-গভ সার্টের প্রজেক্ট পরিচালক ইঞ্জি. সাইফুল আলম খান জানিয়েছেন, বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে আমরা এরইমধ্যে সিআইআই ভুক্ত প্রতিষ্ঠান ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্কতা মূলক চিঠি পাঠানো হয়েছে।

এর আগে ১৫ আগস্ট গ্রুপটি বাংলাদেশে সাইবার হামলার হুমকি দিয়েছিল। সরকারি হিসাবে সেদিন ১০টির বেশি ওয়েবসাইটে ডিডস হামলা চালায় হ্যাকাররা। সে সময় বিভিন্ন ব্যাংক সহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তথ্য বেহাতের দাবি জানায় গ্রুপটি।

সূত্র: ইত্তেফাক




চুয়াডাঙ্গায় ড্রাইভার শ্রমিকদের মানবন্ধন

ড্রাইভিং লাইসেন্স জন্মতারিখ সংশোধনের দাবিতে কয়েক জেলার ভুক্তভোগি ড্রাইভার শ্রমিকদের নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় মানবন্ধন করেছে।

আজ রোববার সকাল সাড়ে দশটার সময় চুয়াডাঙ্গা বড়বাজার শহীদ হাসান চত্বরে এই মানবন্ধন হয়। মানবন্ধনে বিভিন্ন দাবি নিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা সড়ক পরিবহন ও জেলার সকল শ্রমিক ইউনিয়নের আয়োজনে এই মানবন্ধনে অংশগ্রহণ করেন জেলার সকল শ্রমিকের ইউনিয়নের নেতা কর্মিরা ও পেশাদার গাড়ি চালকরা।

মানবন্ধনে তাদের দাবি ছিল , ভোটার আইডি কার্ড অনুযায়ি ড্রায়ভিং লাইন্সেস জন্মতারিখ সংশোধন করতে হবে। ড্রাইভিং লাইন্সেস এর নথিভুক্ত ও ছাড়পত্রের কার্যক্রম দ্রুত কার্যকর করতে হবে। শ্রেণি সংযোজন ড্রাইভিং লাইন্সেস বারকোর্ড লার্নারের পরিক্ষার তিন ফিঙ্গারের সময় পূর্বের ড্রাইভিং লাইন্সেস সংযোজন করে ছবি তোলার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ভোটার আইডি কার্ডে মোহাম্মদ, ফুলস্টপ ড্রাইভিং লাইসেন্সে মোহাম্মদেও পরে স্পেস এই কারণে টাকা দেওয়ার সমস্যা। ড্রাইভিং লাইন্সেস এর শ্রেণি পরিবর্তনের সময় কার্যক্রম দ্রুত করতে হবে।

এসময় মানবন্ধনে উপস্থিত বক্তারা বলেন, ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নের আবেদন ফাইল বিআরটিএ অফিসে কয়েক বৎসর ধরে পড়ে থাকা আবেদন পত্রের নবায়নের কোন সুরাহা হচ্ছে না। জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী জন্ম তারিখ সংশোধন করে ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করার জন্য বিগত ৪ (চার) মাস আগে একটি মানববন্ধন করা হয়েছে। একজন পেশাদার ড্রাইভার ৪/৫ বার নবায়ন করা স্মার্ট কার্ড পাওয়ার পরে বর্তমানে জন্ম তারিখ ভুলের কারণে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর নবায়ন হচ্ছে না। এদের অধিকাংশ ড্রাইভারেরই স্মার্ট কার্ড ২/৩ বার নবায়ন হয়েছে এবং ৪৭৭ নং স্মারকে ২০০১ সালে জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য একটি প্রজ্ঞাপন হয়েছিল। এই প্রজ্ঞাপনের পরে জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য আরো একটি প্রজ্ঞাপন ২০১৬ সালে জানা মতে হয়েছিল। বর্তমান প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ভলিউম সঠিক থাকা ড্রাইভারদের জন্ম তারিখ সংশোধন পূর্বক নবায়নের সুযোগ এবং নন-স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স-এ সিথিলতা করে দ্রুত স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করার ব্যবস্থা করা একান্ত প্রয়োজন। অনেক ড্রাইভারদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়ার পরও জন্ম তারিখের জটিলতার কারণে তারা লাইসেন্স পাচ্ছে না।

বক্ত্যারা আরো বলেন, সারা দেশে বৈধ ড্রাইভারদের সংখ্যা অনুযায়ী গাড়ীর সংখ্যা অনেক বেশি। এই অবস্থায় জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য সারা বাংলাদেশে ৪০/৫০ হাজার পেশাদার/অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল হলে এই সকল ড্রাইভারদের পরিবারের পরিজনদেরকে নিয়ে রাস্তা বসা ছাড়া কোন উপায় থাকবে না। ড্রাইভাররা তাদের পূর্বের লাইসেন্স ও নবায়নের স্লিপ নিয়ে ২/৩ বৎসর যাবৎ রাস্তায় গাড়ি চালাতে পারছে না। রাস্তায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্মকর্তারা স্লিপ এবং পূর্বের লাইসেন্স মানতে রাজি হচ্ছে না। ড্রাইভারদের জরিমানা প্রদানের জন্য এবং মামলা নিষ্পত্তির জন্য বিভিন্ন দূরের জেলায় যেতে হচ্ছে। এদিকে গাড়ির মালিকরা ড্রাইভারদের ছুটি দিতে কোন মতেই রাজি হচ্ছে না। আমাদের বাংলাদেশে বৈধ ড্রাইভারের থেকে গাড়ীর সংখ্যা বেশি। তারপরও যদি জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য ৪০/৫০ হাজার ড্রাইভারদের লাইসেন্স বাতিল হয়ে যায়। এই কারণে লাইসেন্স বাতিল হয় তাহলে অবৈধ ড্রাইভারদের সংখ্যা আরো বেড়ে যাবে। যাদের বৈধ রেকর্ড ও ভলিউম আছে তাদের জন্য একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে জন্ম তারিখ দ্রুত সংশোধনের ব্যবস্থা গ্রহণ করিলে উক্ত ৪০/৫০ হাজার ড্রাইভারদের লাইসেন্স প্রাপ্ত ও পরিবার বেঁচে যাবে। দেশের সাথে থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা সফল ও স্বার্থক করিবার উদ্দেশ্যে এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নের জন্ম তারিখ সংশোধন হওয়া একান্ত আবশ্যক বলে মনে করেন মানবন্ধনের বক্তারা।

এসময় মানবন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা বাস মিনিবাস মাইক্রবাস সড়ক পরিবহনের সভাপতি এম.জেনারেল ও সাধারণ সম্পাদক রিপন মন্ডল, আন্তজেলা ট্রাক ট্র্যাংকুলারি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মামুন অর-রশিদ, আন্তজেলা ট্রাক ট্র্যাংকুলারি কার্ভাডভ্যানের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, জেলার মাইক্রবাসের সভাপতি মিল্টু জমিদার, প্রমুখ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলার পেশাদার সকল গাড়ি চালকরা।




কে এগিয়ে; ফরহাদ নাকি ইমন ?

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে মেহেরপুর-১ (সদর ও মুজিবনগর) আসনের সংসদীয় এলাকায় শুরু হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা। দ্বাদশ নির্বাচনে কে পাচ্ছেন মেহেরপুর-১ আসনের নৌকার বৈঠা। এখন কেন্দ্র থেকে জেলা সর্বত্রই এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।

মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে কে শতভাগ দলের অনুগত সৈনিক হিসেবে বেশি পরীক্ষিত? এই প্রশ্নটিও সামনে চলে আসছে।

দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত বিনা প্রশ্নে কে সব সময় শতভাগ মেনে চলেন? কে এক-এগারোর সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দলের কর্মকাণ্ডে বেশি সক্রিয় ছিলেন? গত ১০ বছরেরও বেশি সময়ে কে বেশি মূল্যায়ন পেয়েছেন?

নির্বাচনের ৩ মাস বাকি থাকলেও মেহেরপুরের সাধারণ ভোটাররা প্রার্থী বাছাইয়ে এখন থেকেই নেমেছে চুল চেরা বিশ্লেষনে। প্রার্থীদের অতীত, বর্তমান, বেঁড়ে ওঠা, ছাত্র জীবন সব কিছু নিয়েই এখন ভোটারদের বিশ্লেষণ। সেক্ষেত্রে মেহেরপুর-১ আসনের যাদের নাম ঘুরে ফিরে আসছে তাদের মধ্যে রয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা এমএএস ইমন। এই দুই নেতাকে নিয়ে মেহেরপুরের সর্বত্রে চলছে আলোচনা সমালোচনা। শিক্ষা- দীক্ষা ও আচরণে কে এগিয়ে আছে এনিয়েও চলছে বিশ্লেষণ। তবে এ দু নেতার বাইরেও প্রায় দশ জন নেতা মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে গণসংযোগ অব্যহত রেখেছেন।

জানা গেছে, বর্তমান এমপি ফরহাদ হোসেন ১৯৮৭ সালে খুলনার মুহসিন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। ১৯৮৯ সালে সরকারি ব্রজলাল (বিএল) মহাবিদ্যালয় থেকে এইসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হন। পরে ঢাকার সিটি কলেজ থেকে ব্যাচেলার অব আর্টস বিভাগে ১৯৯১ সালে বিএ পাশ করেন। পরে ইংলিশ ভাষার উপর ১৯৯৪ সালে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় বিভাগে প্রিলিমিনারিসহ মাস্টার অব আর্টস ডিগ্রি অর্জন করেন। কর্মজীবনে তিনি ঢাকা সিটি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে অধ্যাপনা করছেন।

শিক্ষা জীবনে রাজনীতির সাথে সরাসরি জড়িত না থাকলেও তার বাবার রাজনৈতিক কারনে সর্বশেষ তিনি স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে এমপি নির্বাচিত হন। এমপি নির্বাচিত হওয়ার পরে ২০১৫ সালে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠিত হলে সরাসরি তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে মনোনীত হন। পরবর্তিতে ২০২২ সালের সম্মেলনেও ফরহাদ হোসেন দ্বিতীয় বারের মত সভাপতি মনোনীত হন। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে ফরহাদ হোসেন তার পিতার রাজনৈতিক উত্তরসরি এবং স্ত্রীর পক্ষ থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তৎকালিন প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বোন জামাই হিসেবেই রাজনীতিতে বেশি সুবিধা পেয়েছেন।

অপরদিকে, আব্দুস শুকুর ইমন (এম এ এস ইমন) মেহেরপুর জেলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মানবিক বিভাগে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। ওই বছরে এমএএস ইমন জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ ফলাফল অর্জন করেন। ১৯৯৩ সালে মেহেরপুর কলেজ থেকে মানবিক বিভাগে এইচএসসিতে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজ বিজ্ঞান বিভাগে বিএসএস (সম্মান) ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৯১ সালে মেহেরপুর সরকারি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক অধ্যায়ন অবস্থায় তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন। পরবর্তিতে ১৯৯৫ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের এস এম হল ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক, ১৯৯৮ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সমাজ সেবা সম্পাদক এবং ২০০৫ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে ছাত্ররাজনীতির ইতি টানেন। পরে ২০১৫ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত কেন্দ্রীয় উপপ্রচার কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় কমিটির উপসম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তার ৩২ বছরের রাজনৈতিক জীবনে ছাত্র জীবনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সরাসরি জড়িত। পেশাগত জীবনে তিনি প্রিন্টিং প্রেস ব্যবসার সাথে জড়িত। তার মালিকানাধীন আনিশা প্রিন্টিং প্রেস থেকে সরকার ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কাজ সম্পাদন করা হয়। তিনি পেট্রোবাংলার অধিনস্ত রুপান্তরিত গ্যাস কোম্পানী লি. এর পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি মেহেরপুর প্রতিদিনের প্রকাশক, আইপি টিভি রাজধানী টিভির চেয়ারম্যান হিসেবে বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন।

রাজনীতির পাশাপাশি এম এ এস ইমন মেহেরপুর স্থল বন্দরের বাস্তবায়ন আন্দোলনে মুখপাত্র হিসেবে স্থলবন্দর বাস্তবায়নে মূখ্যভুমিকা পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজ করে যা্েচ্ছন।
একটি সূত্র জানায়, বিগত সময়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের এই নেতা (এমএএস ইমন) আন্দোলন, সংগ্রামে পরিচিত মুখ। বিশেষ করে বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের জুলুম নির্যাতন ও এক-এগারোর সময়ে দলের দুঃসময়ে এই নেতা সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে সব আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে মাঠে ছিলেন।

মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র বলছে, পৈতৃক সূত্র ধরে ফরহাদ হোসেনকে কেন্দ্র যথেষ্ট মূল্যায়ন করেছে। এর জন্য তৃণমূলের নেতাকর্মীরা দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের ওপরে খুশি। কিন্তু একাধিকবার এমপি নির্বাচিত হওয়ায় পর আওয়ামী লীগ নেতাদের অবমুল্যায়নে তারা দল থেকে অনেকটাই ছিটকে পড়েছেন। নেতারা জানান, দীর্ঘদিন জেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব পাওয়া যেমন ফরহাদ হোসেনের জন্য বড় পাওয়া। পাশাপাশি তাঁকে ১০ বছরের বেশি সময় মেহেরপুর-১ আসনের এমপি’র পদও দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছে। তবে, তাকে নিয়ে এখন আড়ালে-আবডালে শোনা যাচ্ছে নানা কথা।

আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে প্রায় ৮ বছর কাটিয়ে দেওয়া ফরহাদ হোসেন দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে পারেননি। বরং নিজেই জড়িয়ে পড়েছেন গ্রুপিংয়ে। একটি পক্ষের নেতা হিসেবে কম যোগ্যদের নেতৃত্বের কাতারে উঠিয়ে আনার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে আছে। এসব কারনে তার পরিবারের মধ্যেকার লোক ছাড়া এখন আর কাউকে তার পাশেও পাওয়া যাচ্ছেনা।

সূত্রগুলো জানায়, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করা এমএএস ইমনকে মেহেরপুর-১ আসনের এমপি পদে চাইছেন জেলার স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা। এমএএস ইমনকে অধিকতর কর্মীবান্ধব মনে করেন দলের বেশিরভাগ নেতাকর্মী। আর এসব বিবেচনায় তাঁকেই বেছে নেওয়ার অনুরোধ মেহেরপুর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের।




শেষ পৃষ্ঠা




তৃতীয় পৃষ্ঠা




দ্বিতীয় পৃষ্ঠা