প্রথম পৃষ্ঠা




দুদিনের সফরে ঢাকায় আসছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রো

নির্বাচনী ডামাডোল শুরুর আগে আগে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সবচেয়ে প্রভাবশালী দেশ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রো ঢাকায় আসছেন। তার ঢাকা আসাকে কেন্দ্র করে বেশকিছু নতুন আগ্রহের জায়গা উন্মোচিত হতে চলেছে।

গত তিন দশকের মধ্যে এই প্রথমবার বাংলাদেশ সফরে আসছেন ফ্রান্সের কোন প্রেসিডেন্ট। ভারতে অনুষ্ঠিতব্য দু’দিনের জি—২০ সম্মেলনে অংশগ্রহণ শেষে ১০ সেপ্টেম্বর তিনি বাংলাদেশে আসবেন। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের সফরসঙ্গী হিসেবে বাংলাদেশে আসছেন ফ্রান্সের ইউরোপ ও ফরেন এফেয়ার্স মিনিস্টার ক্যাথেরিন কলোনা।

এরই মধ্যে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের দপ্তর থেকে বাংলাদেশ সফরের বিষয়ে বিবৃতিও দেওয়া হয়। যেখানে বলা হয়েছে, “বাংলাদেশ এমন একটি দেশ, যেটি দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং তার অংশীদারিত্বে বৈচিত্র্য আনতে চাইছে।“ এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ও ফ্রান্স দু’দেশই বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দারুণ একতা দেখায়। বিশেষ করে, প্যারিস এজেন্ডা ফর পিপলস অ্যান্ড দ্য প্ল্যানেট—এর পরিকাঠামোর মধ্যে এই ঐক্য প্রতিফলিত হয়।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোর আসন্ন বাংলাদেশ সফরকালে মহাকাশে আরও একটি নতুন স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের চুক্তি সই হবে। ফ্রান্সের সহায়তায় এবার যে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হবে তার নাম বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট—২। এটি একটি ‘আর্থ অবজারভেটরি’ ভূ—উপগ্রহ কেন্দ্র। এর মাধ্যমে পৃথিবী তথা বাংলাদেশের স্থলভাগ ও জলভাগ পর্যবেক্ষণ করা হবে।

এখন প্রশ্ন হলো, ফ্রান্স কেন বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের আগ মুহূর্তের এই সফর কূটনীতিতে বাংলাদেশ সরকারকে এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। কারণ ফ্রান্সের কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক প্রভাব বৈশ্বিক বিষয়গুলো গতিপথকে প্রভাবিত করে।

এদিকে ফ্রান্স বিশ্ব রাজনীতি ও অর্থনীতিতে প্রধানতম খেলোয়াড়দের একটি, যারা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য ইউরোপীয় ইউনিয়নে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে। আন্তর্জাতিক কূটনীতি ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় ফ্রান্স উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে। এছাড়া বাংলাদেশের রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাকের বড় অংশ যায় ফ্রান্সে। বাংলাদেশেল পোশাক রপ্তানির অন্যতম ভালো বাজার ফ্রান্স। যেখানে বার্ষিক রপ্তানি প্রায় আড়াই বিলিয়ন ডলারের বেশি। ২০২১—২২ এর তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রায় ১.৩৮০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি করেছে ফ্রান্সে, বিপরীতে ফ্রান্স থেকে আমদানী হয়েছে প্রায় ১০৯ মিলিয়ন ডলারের পণ্য।

বাংলাদেশ এবং ফ্রান্স উভয়ই জলবায়ু পরিবর্তন সমস্যা মোকাবিলায় সক্রিয়ভাবে জড়িত। ফ্রান্স নবায়নযোগ্য শক্তি এবং জলবায়ু অভিযোজন—সম্পর্কিত প্রকল্পসহ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশের কিছু প্রচেষ্টাকে সমর্থন করেছে।

আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সংকট বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায়, আগামীতে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক সংকটের ঝুঁকিতে রয়েছে ফ্রান্স। তাই ফ্রান্সের দরকার নতুন ব্যবসায়িক গন্তব্য। আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, জি—২০ সম্মেলনে ফ্রান্সের যোগ দেওয়ার মূল উদ্দেশ্য হলো, এ অঞ্চলে বাণিজ্যের বিস্তার ঘটানো। ফলে, ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলে পশ্চিমাদের প্রভাব বৃদ্ধির জন্য আরো অনেক দেশের মতো ফ্রান্সও বাংলাদেশকে বাণিজ্যিক বন্ধু হিসাবে বিবেচনা করছে। প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম থেকে শুরু করে সামরিক অস্ত্রের জন্য ফ্রান্স বাংলাদেশকে ক্রেতা হিসাবে পেতে চাইবে।

তিন দশক পরে সর্বোচ্চ পর্যায়ের বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের এই সফর দীর্ঘমেয়াদি সম্ভাবনার নতুন নতুন ক্ষেত্র উন্মোচন করবে। এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা।




বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের এক দাবির মাঝে যুক্ত হচ্ছে লেজ

সরকার পতনের এক দফা দাবিতে যুগপৎ কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে গণমিছিল করেছে বিএনপি। সরকারের পদত্যাগসহ নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার এক দফা দাবি আদায়ের কথা বললেও বিএনপি প্রায়শ একটা দুটো দাবি লেজ আকারে জুড়ে দিচ্ছে। বিএনপির সব নেতার সাথে বসে সিদ্ধান্ত না নিয়ে হুট করে নতুন দাবি তোলা দলটির অভ্যন্তরীণ মন কাষাকষির কারণে হচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে শরিক দলগুলোর একাধিক দায়িত্বশীল নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ২৯ জুলাই ঢাকার চার প্রবেশমুখে বিএনপির সমন্বয়হীন অবস্থান কর্মসূচি নিয়ে বারবার নিজেদের মধ্যে কথা হচ্ছে। ২৮ জুলাইয়ের কর্মসূচিতে হুট করে ঘোষণা করে দেওয়া হয় এই কর্মসূচি। এই আন্দোলন নিয়ে আগাম কোনো আলাপ আলোচনা যুগপৎ এর মধ্যে হয়নি। এধরনের সমন্বয়হীনতার বিষয় বিএনপির নেতারা বারবারই করছেন। যুগপৎ এর নেতারা বলছেন, বিএনপি এরকম করছে এবং সামনের দিনে এ বিষয়ে সতর্ক হওয়ার আশ্বাস দেন। এ ছাড়া শরিক দলগুলোর কোনো কোনোটির কাছ থেকে ভবিষ্যতে আন্দোলনের বিশেষ মুহূর্তে কর্মসূচির সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ শরিকদের যুক্ত করা বা সময়মতো অবহিত করার পরামর্শ এসেছে।

সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনে যায় বিএনপিসহ ৩৬ রাজনৈতিক দল। গত জুলাই মাসে এসব দলে যারা যুক্ত হয় তাদের অধিকাংশ বিএনপির সমমনা দল। যুক্ত হয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ও গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য। এর পরেই এক দফা আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

সেসময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গণমাধ্যমকে বলেন, ‘শিগগিরই আমরা এক দফা আন্দোলন শুরু করব। অর্থাৎ বিএনপির ১০ দফা ও যুগপৎ আন্দোলনে থাকা অন্যান্য রাজনৈতিক দলের দফাগুলো মিলিয়ে এক দফা করা হয়েছে। অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং বর্তমান নির্বাচন কমিশন বাতিল করে নতুন কমিশনের অধীনে নির্বাচন। এখন এসব দাবি নিয়ে একটা জায়গায় আমরা এসেছি। সেটা মূলতই এই অবৈধ সরকারের পদত্যাগের দাবি’।

সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন, যদি সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একদফা দাবিতেই লাগে তাহলে বিএনপি একেক সময় একেকটি দাবি যুগপৎ এর কর্মসূচিতে কীভাবে যুক্ত করে? যুগপৎ আন্দোলনের শরিক বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, “আমরা এখন যারা যুগপৎ আন্দোলনে আছি তারা লিয়াজো কমিটির মাধ্যমে কাজ করছি। বিক্ষোভ, অবরোধ, ঘেরাও ও হরতালসহ সব কর্মসূচিই আমাদের বিবেচনায় আছে। আমাদের দাবি একটা। এর সাথে পৃথক দাবি যার যার দলের থাকতে পারে। যুগপৎ কর্মসূচির বাইরেও আমাদের নিজস্ব কর্মসূচি থাকবে।” যদিও বিএনপি নেতা রিজভী বারবারই যুগপৎ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করতে গিয়ে একাধিক দাবি ঘোষণা দিয়ে দেন।

আরেকটি বিষয়েও যুগপৎ এর সঙ্গে তথ্যগত লুকোচুরি করছে বিএনপি। যুগপৎকে না জানিয়ে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার অভিযোগ উঠেছে বিএনপির বিরুদ্ধে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জামায়াতে ইসলামীর এক সিনিয়র নেতা জানান, ‘আমরা সাথে আছি বলছি না। কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত চূড়ান্ত আন্দোলনে নেতাকর্মীদের মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশনা দেওয়া আছে। সবগুলো দল নামনে তখন আমরাও মাঠে থাকবো।




আলমডাঙ্গায় বধ্যভূমি পার্ক উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনে এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার

চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন আলমডাঙ্গা বধ্যভূমি পার্কের উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করেন।

তিনি আজ শনিবার বেলা ১১ টার দিকে বধ্যভূমিতে এসে কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন। পরে তিনি দলীয় নেতা কর্মিদের সাথে মত বিনিময় করেন। মত বিনিময়কালে এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার বলেন,মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতেই বধ্যভূমির এই পার্ক নির্মিত হচ্ছে। স্বাধীনতা বিরোধীরা ক্ষতমা দখল করে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করতে চেয়েছে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর জাতির নিকট সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে কাজ করছে। ৭১ স্মৃতিস্তম্ভ গুলো সংররক্ষণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এই দেশ আজ বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এসব দেখে বিএনপি -জামায়াত দিশেহারা হয়ে পড়েছে। ক্ষমতার মসনদে বসার জন্য বিদেশীদের কাছে ধর্না দিচ্ছে। কোন লাভ হবেনা। কেউ আপনাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দিতে পারবে না। নির্বাচনে আসেন জনগণ ভোট দিলে ক্ষমতায় যাবেন। দলের নেতাকর্মিরা ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

মতবিনিময়কালে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, মাসুদুজ্জামান লিটু, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম খান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু মুছা, সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাস্টার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবাসায়ী আলহাজ্ব লিয়াকত আলী লিপু মোল্লা, পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান ফারুক, যুগ্ম সম্পাদক সাইফুর রহমান পিন্টু, পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আলম হোসেন, সাবেক প্রচার সম্পাদক মাসুদ রানা তুহিন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এডভোকেট খন্দকার সালমান আহমেদ ডন, পৌর আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক মাসুদ সালেহীন উৎপল, কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আশরাফুল ইসলাম, সাবেক প্রচার সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল হোসাইন বাদশা, কুমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ পিন্টু, হারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশিকুজ্জামান ওল্টু, বেলগাছি ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান চঞ্চল, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মালেক, কুমারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, আওয়ামীলীগ নেতা জয়নাল আবেদীন, কামরুজ্জামান শামীম, বীর মুক্তিযোদ্ধা দিদার আলী, আমিনুল ইসলাম অপু মোল্লা, উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক আহসানউল্লাহ, কুমারী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান টুটুল, সাবেক যুবলীগের সভাপতি আবু সিদ্দিক টগর, যুবলীগ নেতা সৈকত খান, ছাত্রলীগ নেতা সজীব, দিপু,সাদী সিফাত, শোয়েব রকি, শাকিব, সজিব, অটল, প্রমুখ।




আগে বাংলাদেশ দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হত এখন উন্নয়নে চ্যাম্পিয়ন হচ্ছে মোনালিসা ইসলাম

বিএনপির আমলে বাংলাদেশ দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হতো আর এখন শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশ উন্নয়নে চ্যাম্পিয়ন হচ্ছে।

সারা বাংলাদেশের মধ্যে মেহেরপুর মুজিবনগরে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে, সেই উন্নয়নের যে, জোয়ার সারা বাংলাদেশে বইছে সেই উন্নয়নে জোয়ারে ভাসছে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাজধানী মেহেরপুর মুজিবনগর। এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে আবারো দরকার শেখ হাসিনা সরকার। তাই আগামী নির্বাচনে দলমত নির্বিশেষে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে হবে।

আজ শনিবার বিকেলে মোনাখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে মোনাখালী ইউনিয়ন যুব মহিলা লীগ আয়োজনে উঠান বৈঠকে এসব কথা বলেন কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দা মোনালিসা ইসলাম। তিনি আরো বলেন, স্যালুট জানাই মানবতার নেত্রিশ শান্তির নেত্রী যিনি বাংলাদেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন আমাদের বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। মেহেরপুর মুজিবনগর এর উন্নয়নে আপনাদের ভাই আপনাদের সন্তান মাননীয় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী রাত দিন ২৪ ঘন্টা চিন্তা করেন মেহেরপুরের মানুষকে কিভাবে ভালো রাখবেন। মেহেরপুরকে আরো কিভাবে উন্নয়ন করা যায়। জননেত্রী শেখ হাসিনার সততা ও আদর্শকে তিনি বুকে ধারণ করে মেহেরপুর কে একটি উন্নয়নশীল জনপদ হিসেবে গড়ে তুলছেন।

শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা পৌঁছে দিতে মোনাখালী ইউনিয়ন যুব মহিলা লীগের উদ্যোগে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকেলে মোনাখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ মেহেরপুর শাখার সাধারণ সম্পাদিকা সম্পাদিকা রুথ শোভা মন্ডলের সঞ্চালনায় মোনাখালী ইউনিয়ন যুব মহিলা লীগের সভাপতি শিমুল রেজার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপির সহধর্মিনী কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দা মোনালিসা ইসলাম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোনাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা যুবমহিলা লীগের সভানেত্রী সামিউল বাসিরা পলি, মুজিবনগর উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি তকলিমা খাতুন সম্পাদক তহমিনা খাতুন সহ মোনাখালী ইউনিয়ন যুব মহিলা লীগের বিপুল সংখ্যাক নেতা কর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় যুব মহিলা লীগের উঠান বৈঠক ও গণসংযোগ

উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য আবারো নৌকা মার্কায় ভোট চাইলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ও আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী একমাত্র মহিলা নেত্রী আফরোজা পারভীন।

আজ শনিবার বিকাল সাড়ে চারটার সময় চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদাহ ইউনিয়ন যুব মহিলা লীগের সভাপতি ফুলসুরাতন এর বাড়িতে নির্বাচনী উঠান বৈঠক ও গণসংযোগ করে এই কথা বলেন তিনি।

এ সময় তিনি আরও বলেন শেখ হাসিনা সরকার উন্নয়নের সরকার। জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রেখে যাওয়া সোনার বাংলাদেশ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের গ্রাম থেকে শহর সকল পর্যায়ে উন্নয়ন হচ্ছে। এই উন্নয়নের ধারা যদি অব্যাহত রাখতে হয় তাহলে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারো শেখ হাসিনা ও নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগের সহ-সভপতি পূর্ণিমা হালদার,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলিজা খাতুন ,সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি-কাজলী আক্তার , সাংগঠনিক সম্পাদক সপ্না খাতুন চিনি, দামুড়হুদা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহেদা খাতুন ,আলমডাঙ্গা উপজেলার যুব মহিলা লীগের সভাপতি মনিরা খাতুন,সাধারণ সম্পাদক জাহানারা খাতুন, চুয়াডাঙ্গা পৌর ৯নং ওয়ার্ড সভাপতি-আরজিনা খাতুন, সাধারণ সম্পাদক বেবি, সাংগাঠনিক সম্পাদক মিতা রানী, ৬ নং ওয়ার্ড সভাপতি রুপালি, সাধারণ সম্পাদক ফাহিমা, ২নং ওয়ার্ড কমিটির অর্থ সম্পাদক শিউলি খাতুন, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতৃবৃন্দ রাতুল, শেখ, মাহফুজ, আকাশ,কুতুব, রিপন,শাওন, সিফাত,জিরান,সেজান ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ সহ চুয়াডাঙ্গা জেলা ও আলমডাঙ্গা উপজেলা যুব মহিলা লীগের নেতৃবৃন্দ




জিততে ২৫৮ রান প্রয়োজন বাংলাদেশের

শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে এশিয়া কাপ শুরু করেছিলো বাংলাদেশ। সেই লঙ্কানদের বিপক্ষে সুপার ফোরে বাঁচা-মরার ম্যাচে মাঠে নামে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৫৭ রান সংগ্রহ করেছে শ্রীলঙ্কা। টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখতে ২৫৮ রান করতে হবে বাংলাদেশকে।

শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) পাল্লেকেলেতে টস জিতে লঙ্কানদের ব্যাটিংয়ে পাঠান অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কাকে ভালো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ও দ্বিমুথ করুণারত্নে। উদ্বোধনী জুটিতে ৩৪ রান সংগ্রহ করেন এই দুই ব্যাটার। এরপর প্রথম সাফল্যের দেখা পায় বাংলাদেশ। ১৭ বলে ১৮ রান করা করুণারত্নেকে সাজঘরে ফেরান পেসার হাসান মাহমুদ। তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন কুশল মেন্ডিস।

নিশাঙ্কাকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন মেন্ডিস। রান তোলার গতি সচল রেখে দেখেশুনে খেলতে থাকেন এই দুই ব্যাটার। এরপর মাঝে দুই ক্যাচ মিস করেন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। তবে দলীয় ১০৮ রানে বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দেন শরিফুল। ৬০ বলে ৪০ রান করা নিশাঙ্কাকে আউট করেন তিনি। এরপর অর্ধশতক পূরণ করা মেন্ডিসকে সাজঘরে পাঠান শরিফুল।

এরপর ক্রিজে আসেন চারিথ আসালঙ্কা। সাদিরা সামাবিক্রমাকে সঙ্গে নিয়ে খেলতে থাকেন আসালাঙ্কা। তবে দলীয় ১৪৪ রানে ২৩ বলে ১০ রান করা আসালাঙ্কাকে আউট করেন তাসকিন আহমেদ। এরপর ক্রিজে আসা ধানাঞ্জয়া ডি সিলভাকে আউট করেন হাসান। সামাবিক্রমাকে সঙ্গে নিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন দাসুন শানাকা। দুজন মিলে ছষ্ঠ উইকেট জুটিতে ৬০ রান যোগ করেন।

সাবলীল ব্যাটিংয়ে অর্ধশতক তুলে নেন সামাবিক্রমা। তবে দলীয় ২২৪ রানে ৩২ বলে ২৪ রান করে আউট হন শানাকা। তাকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান হাসান। শানাকার বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন দুনিথ ওয়েল্লালাগে।

একপ্রান্তে উইকেট হারালেও অন্যপ্রান্তে আগ্রাসী ব্যাটিং চালিয়ে যান সামাবিক্রমা। দলীয় ২৪৩ রানে রান আউটের শিকার হন ওয়েল্লালাগে। ৩ বলে ৩ রান করে ফিরে যান তিনি। এরপর ক্রিজে আসা থিকসানাকে দ্রুতই আউট করেন তাসকিন। ইনিংসের শেষ বলে তাসকিনের বলে আউট হওয়ার আগে ৭২ বলে ৯৩ রান করেন সামাবিক্রমা। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৫৭ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা।




দামুড়হুদা উপজেলা ছাত্রলীগের সম্পাদক ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হাসপাতালে ভর্তি

দামুড়হুদা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক সাজু আহাম্মেদ রিংকু ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। আজ শনিবার সকালে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসা দেওয়া নিয়ে টালবাহানা করার অভিযোগ মেডিকেল অফিসার ডাঃ হিরার বিরুদ্ধে।

জানাগেছে, কয়েক দিন ধরে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক সাজু আহাম্মেদ রিংকু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বাড়ীতে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। হঠাৎ শনিবার সকালে অবস্থার অবনতি হলে সকালে তাকে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে পরীক্ষা নিরিক্ষা শেষে তার ডেঙ্গেু পজেটিভ ধরাপড়ে। এসময় রোগীর পরিবারের লোকজন স্বাস্থ্য বিভাগের বহির্বিভাগের কর্মরত চিকিৎসক হীরা খাতুনের নিকট ব্যবস্থা পত্র দেখাতে গেলে তিনি ব্যবস্থা পত্র না দেখে ছুড়ে ফেলে দেন বলে অভিযোগ করছেন পরিবারের লোকজনসহ স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে মেডিকেল অফিসার ডাঃ হীরা খাতুন বলেন, চিকিৎসাপত্র ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়নি। আমি ওটা সাইডে সরিয়ে রাখছিলাম। এছাড়া ও আজ শনিবার এই রোগী দেখার দায়ীত্ব আমার না। স্থানীয় লোকজন জানান, ডা: আচারন খারাপ হয়েগেছে। শুধু আজ এমন ঘটনা ঘটেছে তা নয় এর আগেও রুগীদের প্রতি অবহেলা সহ অসদআচরন করা হয়েছে। খবর ছড়িয়ে পড়লে খুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন পরিবারের লোকজন, স্থানীয়রা সহ ছাত্রলীগের সদস্যরা চিকিৎকের অপসারনসহ দৃষ্টান্ত মুলক সাস্তির জন্য মানব বন্ধন করবে বলে জানিয়েছেন।

স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মরত অনেকে তার বিরুদ্ধে খারাপ আচারন করার অভিযোগ তোলেন।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডা. হেলেনা আক্তার নিপা বলেন, বিষয় টি দুঃখ জনক রোগী দেখার দায়ীত্ব সকল চিকিৎসকের। আমি আগামি কালের মধ্যে হীরাকে ওখান থেকে সরানোর ব্যবস্থা করবো।




ঐতিহ্যবাহী ঝাপান খেলা; চুয়াডাঙ্গায় দর্শক মাতালেন সাপুড়েরা

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ঠাকুরপুর গ্রামে ঐতিহ্যবাহী ঝাপান খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল নয়টার থেকে বিকাল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত চলে এই ঝাপান খেলা।

চুয়াডাঙ্গা সদরের ঠাকুরপুর গ্রামের সাপুড়ে ইউসুফ আলীর আয়োজনে চলে সাপ নিয়ে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি দিয়ে সাপের খেলা।
ঝাপান খেলায় চুয়াডাঙ্গা সদরের দুইটি দল অংশগ্রহণ করে গাইদঘাটের সাপুড়ে ওলিউর রহমানের টিম ও ঠাকুরপুরের সাপুড়ে ইউসুফ আলীর টিম। মোট ২৫ টি সাপ নিয়ে চলে দুই দলের সাপের ঐতিহ্যবাহী ঝাপান খেলার সাপ নিয়ে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি দিয়ে নাচ গান।

এ সময় সাপুড়ে ইউসুফ আলী বলেন, এই সাপ খেলা দেখতে বিভিন্ন গ্রাম থেকে লোকের আগমন হয়েছে। আমরা দেশের বিভিন্ন স্থানে সাপ খেলা করে থাকি। আমরা এই খেলাটি দেখাতে পারলে নিজেদের আনন্দ লাগে। এই খেলাটি সব সময় না হওয়ার কারণে এই খেলাটি বিলুপ্তির পথে চলে যাচ্ছে। আমরা যারা সাপুরে আছি তারা প্রতিনিয়ত চাই এই খেলাটি বিভিন্ন গ্রাম এবং জেলাতে প্রতিনিয়ত আয়োজন করা হোক।

ঠাকুরপুর গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার শিশু থেকে বৃদ্ধা শ্রেণীর মানুষ এই খেলা দেখতে ভিড় করে এবং বৃদ্ধা শ্রেণীর মানুষের কাছে এটি পরিচিত হলেও শিশু ও যুবকদের কাছে অনেক অপরিচিত। তারা এই আয়োজন পরবর্তী সময়েও দেখতে চাই। স্কুল শিক্ষার্থীরা বলে ঝাপান খেলার কথা আব্বু আম্মুর কাছে শুনেছি কিন্তু আজ এখানে হচ্ছে শুনে আমরা সকল বন্ধুরা একসাথে এসেছি। এ সময় তারা সাপের ফণা তুলে খেলা দেখে আনন্দ পেয়েছে।

সাপুড়েদের ভিতরে উপস্থিত ছিলো সাপুড়ে রাজু আহমেদ, রওসন,রহমান সহ অনেকে।




গাংনীর বেতবাড়িয়া গ্রামে কৃষকের দুই বিঘা জমির তুলাক্ষেত কেটে তছরুপ

গাংনী উপজেলার বেতবাড়িয়া গ্রামের সাহাবুদ্দিন ও তুজাম্মেল হক নামের দুই কৃষকের প্রায় দুই বিঘা জমির তুলা ক্ষেত কেটে তছরুপ করেছে দুর্বৃত্তরা্ । আবাদের ওপর দিয়ে মাটি বহনকারি গাড়ি যেতে না দেয়ায় তুলাক্ষেত কেটে দিয়েছে আলেহিম ও তার লোকজন এমন অভিযোগ করেন ক্ষেত মালিক। গতকার শুক্রবার( ০৮ সেপ্টেম্বর) দিবাগত মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে । তবে গ্রাম্য বিরোধের জের ধরে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর জন্য নিজের তুলাক্ষেত কেটে অন্যের মাথায় দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় আলেহিম ও তার লোকজন।

ক্ষতিগ্রস্থ তুলাক্ষেত মালিক সাহাবুদ্দিন জানান, বেতবাড়িয়া গ্রামের হাঙ্গরের মাঠে আশা মোল্লার একটি জমি কেটে ,মাটি ও বালি বিক্রির কাজ করছিলেন বেতবাড়িয়া গ্রামের আজিজুলের ছেলে আলেহিম ও মিজানুর রহমানের ছেলে আরিফ হোসেন। মাটি বহনকারি ট্রলি ওই মাঠের বিভিন্ন ফসলের জমি নষ্ট করে , মাটি বহন করায় স্থানীয় কৃষকরা ফুঁসে ওঠেন এবং ট্রলি যেতে নিষেধ করেন। এতে রাগান্মিত হয় আলেহিম ও আরিফ হোসেন। ক্ষেত মালিকদের দেখে নেয়ার হুমকি দেয় আলেহিম ও তার লোকজন।  আজ শনিবার সকালে অন্যান্য কৃষকরা মোবাইলে জানায় আমাদের তুলা ক্ষেত কেটে দিয়েছে। আমরা বিষয়টি জানতে পেরে জমিতে গিয়ে দেখি আমার এক বিঘা ও আমার প্রতিবেশি তুজাম্মেলের ১৫ কাঠা জমির তুলাক্ষেত পুরোটাই কেটে দিয়েছে। এতে আমাদের কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। বিষয়টি ভবানিপুর পুলিশ ক্যাম্পে সংবাদ দিলে ক্যম্পের এসআই মহম্মদ আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এবিষয়ে গাংনী থানায় একটি মামলার প্রস্ততি চলছে বলেও জানান ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক সাহাবুদ্দিন ও তুজাম্মেল হক।

স্থানীয় ইউপি সদস্য সাইদুর রহমান জানান, আলেহিম ও তার লোকজন রাতের আধারে বালি ও মাটি কেটে ইট ভাটায় বিক্রি করছেন। এতে স্থানী কুষকদের আবাদ নষ্ট হচ্ছে। কৃষকরা তা প্রতিহত করলে আলেহিম ও তার লাকজন দুই কৃষকের তুলাক্ষেত কেটে তছরুপ করেছে। এঘটনায় তিব্র নিন্দাসহ দোষীদের শাস্তির দাবী জানান তিনি।

এবিষয়ে আলেহিম জানান, আমার সাথে সাইদুর মেম্বারের রাজনেতিক প্রতিদ্বন্দিতা রয়েছে। তার প্রতিপক্ষ হয়ে আমি নির্বাচন করে ৭৮ ভোটে ফেল করি। সেই থেকে সাইদুর মেম্বার আমাকে নানা ভাবে হয়রনি করার চেষ্টা করে আসছে। কৃষকদেরকে দিয়ে তাদের আবাদ নষ্ট করে আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসাতে চাইছে। তবে সঠিক তদন্ত করার দাবী জানান তিনি। আরিফ হোসেন বলেন, আমি স্কেবিটর নিয়ে যাওয়ার জন্য রাস্তা পাচ্ছিলামনা আলেহিমকে বিষয়টি জানানো হলে তিনি আমার গাড়ি যাওয়ার জন্য রাস্তা চাই। তারা রাস্তা না দিলে আমি সেখান থেকে মাটি কাটা শুরু হওয়ার আগেই গাড়ি সরিয়ে নিয়ে আসি। আমাদের নামে মিথ্যা বদনাম দিচ্ছে সাইদুর মেম্বার ও তার লোকজন।

গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, ক্ষেত নষ্ট করার বিষয়ে জানতে পেরে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিঙেযাগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থঅ নেয়া হবে।