চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি করার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের প্রেস বিজ্ঞপ্তি

চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের উদ্দেশ্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। গতকাল রবিবার রাত নয়টার সময় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান সাক্ষরিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্যাডে এই প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার উদ্দেশ্য এই প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে ছাত্রসমাজ ও তরুণ প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধ করতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সাংগঠনিক গতিশীলতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে নতুন কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। উক্ত কমিটিতে পদ প্রত্যাশী ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দকে আগামী সাত দিনের ভিতরে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কার্যালয় জীবন বৃত্তান্ত প্রদান করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়।




মেহেরপুরে আইনশৃঙ্খলা, চোরাচালান ও মানবপাচার প্রতিরোধ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

মেহেরপুরে পৃথকভাবে জেলার মাসিক আইন শৃঙ্খলা, চোরাচালান ও মানবপাচার প্রতিরোধ কমিটির সভা আজ রবিবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর পুলিশ সুপার মোঃ রাফিউল আলম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট লিউজা-উল জান্নাহ, জেলা আনসার কমান্ড্যান্ট সাহাদাত হোসেন, মেহেরপুর-২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক জমির মোহাম্মদ হাসিবুস সাত্তার,জেল সুপার মনির হোসেন,জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজিয়া সিদ্দিকা সেতু, মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক এ জে এম সিরাজুম মুনীর,জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর উপ-পরিচালক কাজী কাদের মোহাম্মদ ফজলে রাব্বি, মেহেরপুর জজকোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট পল্লব ভট্টাচার্য, মেহেরপুর জেলা বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সভাপতি প্রফেসর হাসানুজ্জামান মালেক, মেহেরপুর সরকারি কলেজের উপাধক্ষ্য প্রফেসর আব্দুর রাজ্জাক, মেহেরপুর জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নীলা হাফিয়া মেহেরপুর পৌরসভার কাউন্সিলর রোকসানা কামাল রুন প্রমূখ।

মাসিক আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় মাদক নিয়ন্ত্রনে কঠোর আইন প্রয়োগ, বাল্য বিবাহ ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধ, যানজট নিরসন ও পুলিশ সদস্যদের নিয়মিত টহল আরো জোরদার সহ নানা দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়।




ইউটিউবে এক ‘তেরে বিন’এর আয় শত কোটি

বর্তমান সময়ে বিনোদন জগতের অন্যতম প্রধান আয়ের উৎস হয়ে উঠেছে ইউটিউব। ওটিটির (ওভার দ্য টপ) রমরমা যুগেও দাপিয়ে রাজত্ব করছে ভিডিও শেয়ারিং সাইট ইউটিউব। সব দেশের মত পাকিস্তানের নাটক নির্মাতাদের কাছেও অন্যতম পছন্দের জায়গা ইউটিউব। সম্প্রতি দেশটির জনপ্রিয় ধারাবাহিক নাটক ‘তেরে বিন’-এর ইউটিউব থেকে আয়ের তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।

স্টার্টআপ পাকিস্তানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘তেরে বিন’ প্রতিটি পর্বে লাখ লাখ ভিউ পেয়েছে। শুধু এই নাটক থেকেই এর ইউটিউব চ্যানেল আয় করেছে এক বিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি। এটি চ্যানেলের আয়ে ব্যাপক অবদান রেখেছে।

পাকিস্তানের জিও টিভিতে প্রচারিত একটি রোমান্টিক সিরিজ ছিল ‘তেরে বিন’। এটি সেভেন্থ স্কাই এন্টারটেইনমেন্টের ব্যানারে প্রযোজনা করেন আবদুল্লাহ কাদওয়ানি ও আসাদ কুরেশি। গত ৬ জুলাই মুর্তসিম ও মেরুবের মিলনের মধ্য দিয়ে নাটকটির প্রচার শেষ হয়।

জনপ্রিয় এই ধারাবাহিক নাটকটি মোট ৫৮টি পর্বে নির্মিত হয়েছে। নুরান মাখদুমের লেখা গল্পে অভিনয় করেছেন ইউমনা জাইদি ও ওয়াহাজ আলী।




চুয়াডাঙ্গা জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গা জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে রবিবার সকাল সাড়ে দশটার সময় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান এর সভাপতিত্বে জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় সম্পত্তি সংক্রান্ত অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, সন্ত্রাস ও নাশকতামূলক কার্যক্রম পর্যালোচনা, মাদকদ্রব্য ও চোরাচালান নিরোধ, অনিষ্পন্ন চোরাচালান মামলার নিষ্পত্তি ত্বরান্বিতকরণ, সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ, মানব পাচার প্রতিরোধ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা, সড়কের শৃঙ্খলা, ফুটপাত হকারমুক্ত ও দখলমুক্ত, দ্রব্যমূল্য সহনশীল, সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার উপর বিস্তারিত আলোচনা হয়।

উক্ত সভায় আরোও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল মামুন, চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন সাজ্জাৎ হোসেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মঞ্জু, চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক, চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা আইসিটি) কবির হোসেন, চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বৃন্দ সহ জেলার বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধিবৃন্দ, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ এবং মিডিয়া ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।




থ্রেড অ্যাকাউন্টের প্রথম সমস্যা

মেটা সম্প্রতি চালু করেছে থ্রেডস। এটি মূলত টুইটারের মতো মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম। অ্যাপ ভিত্তিক এই পরিষেবা চালুর সঙ্গে সঙ্গে ১ কোটিরও বেশি ব্যবহারকারীর এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। বিশ্বের ১০০টি দেশ লগইন হয়েছে থ্রেডস। এই অ্যাপটি যেহেতু প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে, তাই তাতে কিছু সমস্যা তো রয়েছেই। থ্রেডস অ্যাপে এখন সবথেকে বড় সমস্যা হল, গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট ডেটা ডিলিট করা।

থ্রেডস অ্যাপে আপনার অ্যাকাউন্ট ডিলিট করতে গেলে আপনাকে ইনস্টা অ্যাকাউন্টও মুছে ফেলতে হবে। খুব সহজ ভাষায় বলতে গেলে আপনার থ্রেডস অ্যাকাউন্টের সব ডেটা মুছে ফেলতে আপনাকে প্রকৃতপক্ষে ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টটা ডিলিট করতে হবে। এটা অবশ্যই একটা বড় সমস্যা।

থ্রেডস ব্যবহার করতে গেলে এখন সবথেকে সমস্যার বিষয়টাই হল গ্রাহকের নিরাপত্তা। প্রাইভেসি সচেতন গ্রাহকদের কাছে যা বড়ই চিন্তার বিষয়। নতুন অ্যাপটির এফএকিউ (FAQ) পেজে লেখা হচ্ছে, ‘পৃথক পোস্ট আপনি সবসময়ই মুছে ফেলতে পারেন। তবে আপনার থ্রেড প্রোফাইল এবং ডেটা মুছে ফেলতে আপনাকে ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টটাই মুছতে হবে।’

আসলে এটি তো ইনস্টাগ্রামের ডেভেলপরাদের তৈরি। তাই এর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ইনস্টাগ্রামের হাতে থাকাটাই স্বাভাবিক। আপনার থ্রেডস প্রোফাইলটি যদি ডিঅ্যাক্টিভেট করতে যান, তাহলে আপনার সেই প্রোফাইল থেকে করা সমস্ত পোস্ট, ইন্টার‌্যাকশন, কমেন্ট ইত্যাদি অদৃশ্য হয়ে যাবে। তবে তার মানে এই নয় যে, আপনার থ্রেডস ডেটা ডিলিট হয়ে যাবে। তা কিন্তু একেবারেই নয়। আপনার ডেটা ইনট্যাক্ট থাকবে ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে এর কোনও প্রভাব পড়বে না।

আপনি যখন থ্রেডস প্ল্যাটফর্মে অ্যাকাউন্ট খুলছেন, তখন তা নিজে নিজেই ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের সঙ্গে লিংক হয়ে যাবে লগইনের জন্য। মেটার প্রাইভেসি পলিসি অনুযায়ী, আপনার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের সেই তথ্য বিভিন্ন কাজে লাগানো হয়। তার মধ্যে যেমন আপনার প্রোফাইল ইনফো থ্রেডসে ইম্পোর্ট করার বিষয় রয়েছে, তেমনই আবার আপনার পছন্দ অনুসারে ফিড টেলর করার ব্যাপারও।

সূত্র: দ্য ভার্জ




বাফুফের ৫০ লাখ টাকা পুরষ্কার পেলো জামালরা

দীর্ঘ ১৪ বছর পর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে উঠেছিলো বাংলাদেশ। প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি দিয়েই ফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনাও তৈরি করেছিলো জামাল-মোরাসালিনরা। সাফের এই দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পুরষ্কারস্বরূপ বাংলাদেশ দলকে এবার ৫০ লাখ টাকা পুরষ্কার দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ।

আজ রোববার (৯ জুলাই) বাফুফে ভবনে কাজী সালাউদ্দিন দলের সদস্যদের কাছে পুরষ্কারের এই অর্থ তুলে দেন। দলীয় পুরষ্কারের সঙ্গে তিন ফুটবলারকে দেওয়া হয়েছে বিশেষ বোনাস।

সাফের স্কোয়াডে থাকা ২৩ খেলোয়াড়ের প্রত্যেকে পেয়েছেন দেড় লাখ টাকা করে। এর বাইরে আনিসুর রহমান জিকো, শেখ মোরসালিন, বিশ্বনাথ ঘোষ।

বিশেষ বোনাস পাওয়া এই তিনজন সাফে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছেন। বিশ্বনাথ ঘোষ পেয়েছেন পাঁচ লাখ টাকা আর মোরসালিন ও জিকো পেয়েছেন এক লাখ টাকা করে।

সাফে চার ম্যাচই ধারাবাহিকভাবে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন ডিফেন্ডার বিশ্বনাথ ঘোষ। তার খেলার পাশাপাশি টিম স্পিরিটের প্রশংসা করে সালাউদ্দিন বলেন, ‘বিশ্বনাথ নিজেই ঘোষণা দিয়েছিল দল সেমিফাইনালে জিতলে সে পাঁচ লাখ টাকা দিবে। এটা স্পিরিটের অংশ। এ রকম খেলোয়াড়ই আমার দরকার। তাকেও আমার পক্ষ থেকে সামান্য অর্থ পুরস্কার।’

পুরো সাফজুড়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স উপহার দিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছিলো বাংলাদেশ। শেষ চারের লড়াইয়েও কুয়েতকে প্রায় আটকেই দিয়েছিলো। অতিরিক্ত সময়ের খেলায় শেষমেশ ১-০ গোলে হারতে হয় বাংলাদেশকে। সেমিফাইনালে পুরো ম্যাচজুড়ে বাংলাদেশকে যেন এক হাতেই বাঁচিয়ে গেছেন গোলরক্ষক জিকো। তার বিশ্বস্ত গ্লাভসজোড়া যেন হয়ে উঠেছিলো বাংলাদেশের দেওয়াল। সাফের সেরা গোলরক্ষকের পুরষ্কারও পেয়েছেন জিকো।

সূত্র: ইত্তেফাক




সামান্য বৃষ্টিপাতেই হাটু পানি

একটু বৃষ্টি হলেই মেহেরপুর পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের রাস্তায় রাস্তায় হাঁটুসমান পানি জমে যাচ্ছে। কোথাও কোথাও জলাবদ্ধতা দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে দিনের পর দিন। এতে চলাচলের ক্ষেত্রে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডবাসী। পানিতে ডুবে থাকা সড়কের গর্তে পড়ে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।

৫ নং ওয়ার্ডটিতে আজও গড়ে ওঠেনি ডে্েরনজ ব্যবস্থা। যে কারনে এই দুর্ভোগের সৃষ্টি হচ্ছে বলে মন্তব্য করছেন নাগরিকরা। অন্যদিকে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের চিত্র প্রকট আকার ধারণ করলেও পয়ঃনিষ্কাশনব্যবস্থার উন্নয়নের বদলে পৌর কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কেবল নির্মাণ ও ব্যয়মূলক প্রকল্পের দিকে।

জলাবদ্ধতায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়ছেন পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। সামান্য বৃষ্টিতেই এখানে হাঁটুসমান পানি জমে যায়। জলাবদ্ধতায় তাদের দুর্ভোগ সবচেয়ে বেশি। এমন দুর্ভোগের বিষয়ে স্থানীয় দোকানদার আক্তারুল ইসলাম নামের এক বাসিন্দা বলেন, বৃষ্টির পর চার/পাঁচ ঘণ্টা সময় লাগে সড়ক থেকে পানি নামতে। সড়কে আজও ড্রেনেজ ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। ড্রেনেজব্যবস্থা না করায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। আর পয়ঃনিষ্কাশনের জন্য পৌর কর্তৃপক্ষের কোনো মাথাব্যথা নেই। এজন্য সামান্য বৃষ্টিতে এই রাস্তা খালে পরিণত হচ্ছে। ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

সরেজমিন খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, পৌর এলাকার ৫ নং ওয়ার্ডের সব যায়গার জলাবদ্ধতার চিত্র একই রকম। বৃষ্টির পর জলাবদ্ধতার কারণে ওয়ার্ডের সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। জমে থাকা পানি কখনো কখনো ঢুকে পড়ছে রাস্তার পাশের বাড়ি ঘরে। এতে ওইসব বাড়িগুলো ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।

পৌরসভার বাসিন্দাদের অভিযোগ, পৌরসভার কার্যকর ড্রেনেজব্যবস্থার অভাবে প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে এই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের।

জলাবদ্ধতায় চরম ভোগান্তির স্বীকার ওয়ার্ডের বাসিন্দা নারগীছ খাতুন ও মঞ্জুয়ারা খাতুন বলেন, সামান্য বৃষ্টিতেই তলিয়ে যাচ্ছে এই ওয়ার্ডের অলিগলি ও প্রধান সড়ক। সজিব আহম্দে বলেন, এই ওয়ার্ডের সড়ক সংস্কার ও ড্রেনেজব্যবস্থার গড়ে না ওঠার কারণে সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে।

৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোস্তাকিম বলেন, আমার ওয়ার্ডের সব যায়গার অবস্থা খারাপ। এই ওয়ার্ডটিতে এখনও রাস্তা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। যে কারনে সামান্য বৃষ্টি হলেই হাটু পানি জমে যায়। আমি রাস্তা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার জন্য প্রকল্প দিয়েছি। কিন্তু সেখানে অনেক টাকা লাগবে এজন্য হচ্ছেনা। তবে মেয়র সাহেব আশ্বাস দিয়েছেন। আগামীবার যে প্রকল্প নেওয়া হবে সেই প্রকল্পে চক্রপাড়া ও হঠাৎপাড়ার রাস্তা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে।

জলাবদ্ধতা নিরসন ও নাগরিকদের দুর্ভোগ লাঘবে পৌরসভার কোনো উদ্যোগ আছে কি না জানতে চাইলে মেহেরপুর পৌরসভার মেহেরপুর পৌর সভার প্যানেল মেয়র শাহিনুর রহমান রিটন বলেন, পৌর সভার বিভিন্ন এলাকায় বর্তমানে ৮৩ টি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলমান। পরবর্তিতে এলজিএসপির আওতায় যে প্রকল্পগুলো রয়েছে সেই প্রকল্পে চক্রপাড়া ও হঠাৎপাড়ার ব্যাপক উন্নয়ন রাখা হয়েছে।




আলমডাঙ্গা পৌরসভায় বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই ড্রেন নির্মাণ, ক্ষোভ এলাকাবাসীর

আলমডাঙ্গা পৌর শহরে সড়কের নালা (ড্রেন) নির্মাণকাজে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। খুঁটি অপসারণ না করেই নালা নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।

এভাবে নালা নির্মাণ করা হলে পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যদিও বিদ্যুতের খুঁটি দ্রুত অপসারণের জন্য পৌর কর্তৃপক্ষ ওয়েস্ট জোন পাওয়ার কোম্পানিকে (ওজোপাডিকো) বারবার অনুরোধ করেছে। বিদ্যুতের খুঁটি অপসারণ না করায় স্লাব দেয়াও সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, পোল উত্তোলনে কোন চিঠি কিংবা যোগাযোগ করেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ইতোমধ্যে গত ৫ জুলাই বৈদ্যুতিক খুঁটির গোড়াই স্লাব না থাকায় ড্রেনের পানিতে ডুবে ৩ বছরের শিশুর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু শিশু মৃত্যুর গত ৩দিন অতিক্রম হলেও এখন পর্যন্ত খুঁটি অপসারণ ও স্লাব দেবার কোনো উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ । এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, পৌর এলাকার কলেজপাড়া সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে দুর্ভোগে পরিণত হয়েছে। একই সঙ্গে চলতি বর্ষায় পানি নিষ্কাশনের জন্য উন্নত কোনো ব্যবস্থা নেই। যে কারণে আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজে আগত শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ ওই এলাকার মানুষকে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। বড় বড় খানাখন্দ, উঁচু-নিচু গর্ত আর সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এরশাদপুর চাতাল মোড় থেকে শহরের প্রধান সড়ক পর্যন্ত বিস্তৃত। এ সড়কের পাশে রয়েছে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও ওজোপাডিকো ভবন।

পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, জলাবদ্ধতা নিরসনে পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নতিকল্পে জনস্বাস্থ্য অধিদফতরের উদ্যোগে কলেজপাড়া ও এরশাদপুর সড়কে আরসিসি পয়োনালা নির্মাণ প্রকল্প খাতে ৯ কোটি টাকা ব্যয়ের ৫ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণের কাজ চলমান। ইতিমধ্যে ৩ কিলোমিটার কাজ শেষ হয়েছে। তারা আশাবাদী, দ্রুত সময়ের মধ্যে বাকি কাজ সম্পন্ন হবে। ইতিমধ্যেই কলেজপাড়া সড়কের টেন্ডার ও ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হয়েছে।

কাজের ঠিকাদার মো. মোজাহিদুর রহমান লোটাস জোয়াদ্দার বলেন, এই বিদ্যুৎ পোল অপসারণের জন্য কাজ শুরুর সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ বিভাগকে চিঠি দেওয়া হয়। তারা কিছু পোল অপসারণ করে অন্যত্রস্থানে স্থাপন করেছে। কিন্তু কলেজপাড়া ও এরশাদপুর গ্রামে ড্রেনে পোল অপসারণে তেমন গুরুত্ব না দেওয়ায় নালা (ড্রেন) নির্মাণকাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। কাজের ধারাবাহিকতা নষ্ট হচ্ছে এই বিদ্যুৎ পোলের জন্য। এখন ঠিকাদার মাঠপর্যায়ে এসে পোল অপসারণ করলেই ড্রেনের কাজ আবারও পুরোদমে শুরু করা হবে। দীর্ঘ নালার বাকি কাজ বিদ্যুতের খুঁটি অপসারণের মাধ্যমে শিগগিরই ড্রেনের উপরে স্লাব নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হবে বলে তিনি জানান।

ড্রেন থেকে বিদ্যুতের খুঁটি সরানোর বিষয়ে ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহিনুর রহমান বলেন, পোল সরানোর বিষয়ে আমরা কোন চিঠি পায়নি। কিন্তু শুধু চিঠি পেলে তো হবে না। পোল সরানোর খরচের বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে।




আলমডাঙ্গার আইলহাঁসে পুকুরে ভেসে উঠলো কিশোরের রক্তাক্ত লাশ; আটক ২

আলমডাঙ্গা উপজেলার আইলহাঁস গ্রামের পুকুরে গোসল করতে নেমে জীবন কুমার বদি (১৩) নামে এক কিশোরের মাথায় আঘাত করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শিশুটির মাথা ফেটে রক্তাক্ত জখম হয়েছে।

গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১১ টায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে স্থানীয়রা জানান। জীবন কুমার বদি চৌগাছা উপজেলার পুড়পাড়া গ্রামের শ্রী বিকাশ কুমারের ছেলে। সে পুরোপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্র। কিশোর জীবন হত্যার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ।

আটকৃত দুই কিশোর রায়লক্ষীপুর গ্রামের বশির উদ্দীনের ছেলে শাকিল (১৫) ও সমির হোসেনের ছেলে সিয়াম (১৪)।

পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানাযায়, ঈদের ছুটিতে জীবন কুমার বদি উপজেলা আইলহাঁস ইউনিয়নের রায়লক্ষীপুর গ্রামের মাসি সুচরিতার বাড়িতে বেড়াতে আসে। শনিবার সকালে মুশলধারায় বৃষ্টি হওয়ায় মাসির ছেলে সৌরভের সাথে ফুটবল খেলতে যায় শিশু জীবন। খেলা শেষে এলাকার ছেলেদের সাথে আইলহাঁস-রায়লক্ষীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পুকুরে গোসল করতে নামে তারা। জীবনের ভাসমান লাশের খবর পেয়ে মাসি সুচরিতা সহ পরিবারের লোকজন ছুটে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। পুকুর থেকে তুলে তার মাথায় রক্তাক্ত জখম দেখে।

স্থানীয়রা জানান, গতকাল শনিবার সকালে বৃষ্টির পানিতে আইলহাঁস গ্রামের কয়েকজন ছেলে ওই গ্রামের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ফুটবল খেলছিলো। খেলা শেষে পাশের পুকুরের গোসল করতে যায়। হঠাৎ দুর থেকে দুর্বৃত্তরা ইট ছুড়লে কিশোর জীবনের মাথায় লাগলে সে পানিতে রক্তক্ষরণ হয়ে মারা যায়। গোসল করে অন্যান্য ছেলেরা উপরে উঠলে জীবনের মৃত ভাসমান লাশ দেখতে পায় তারা।

প্রত্যক্ষদর্শী নিহত জীবনের মাসির ছেলে সৌরভ জানায়, আইলহাঁস-রায়লক্ষীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্য থেকে ইট জাতিয় বস্তু তার মাথার উপরে পড়ে। পড়তেই সে পানিতে ডুবে যায়। আমরা পানি থেকে উপরে উঠতেই জীবনের ভাসমান লাশ দেখি।

আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, কয়েকজন বাচ্চারা পুকুরের পানিতে গোসল করছিল। এসময় জীবন কুমার নামে শিশুটি অনেকক্ষন পানি থেকে না উঠলে খোজাখুজি করা হয়। এরপর শিশুটির মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। শিশুটির মাথায় আঘাতের চিহ্ন আছে। পুকুরের পানির মধ্যে কিছু আছে নাকি কারোর কোন আঘাতের মৃত্যু হয়েছে এটা নিশ্চিত বলা যাচ্ছেনা। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলেই বলা যাবে। এঘটনায় কয়েকজন শিশুকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।




চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী বাবু দিলীপ কুমার আগরওয়ালা পথসভা

আগামী সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী বাবু দিলীপ কুমার আগরওয়ালা আলমডাঙ্গায় পথসভা করেছেন।

 আজ শনিবার বিকেলে শহরের আল তায়েবা মোড়ে তিনি পথসভা করেন। এতে তার অনুগত নেতাকর্মীরা অংশ নেন। এর আগে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক আবুল কামাল আজাদের নেতৃত্বে বিশাল মোটরসাইকেল শোডাউন নিয়ে বন্ডবিল রেলগেট থেকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য, তারাদেবী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বাবু দিলীপ কুমার আগরওয়ালা সাথে নিয়ে আলমডাঙ্গা শহর প্রদক্ষিণ করেন।

পথসভায় দীলিপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার দেশের উন্নয়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের উন্নয়ন ঈর্শনীয় পর্যায়ে পৌছে গেছে। আজ বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। এর পেছনে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়চেতা নেতৃত্বের কারণে সম্ভব হয়েছে।

উন্নয়নের এই ধারাকে এগিয়ে নিতে আগামী নির্বাচনে আবারো নৌকা বিজয়ী করতে হবে। তিনি বলেন, আলমডাঙ্গার সাথে আমার নাড়ির সম্পর্ক রয়েছে। আমি এই শহরে অনেকদিন কাটিয়েছি। এখনও আমি আপনাদের সাথেই আছি। আপনাদের সেবা করার ব্রত নিয়ে আপনাদের মাঝে এসেছি। আপনারা নৌকাকে ভোট দিবেন।

উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বলেন, কেউই একমাত্র নেতা নন। বিকল্প নেতা আছে। আগামী নির্বাচনে নেতার পরিবর্তন করে চুয়াডাঙ্গাবাসীকে দেখিয়ে দিতে আমরা মাঠে নেমেছি।

পথসভায় আলমডাঙ্গা সাবেক উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে ও আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুবুর রহমানের উপস্থাপনায় আরো উপস্থিত ছিলেন পবিত্র কুমার আগরওয়ালা, নিরঞ্জন কুমার আগরওয়ালা, চুয়াডাঙ্গা পৌর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ায়েচ কুরুনী টিটু, তারাদেবী ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আলমগীর শিপলু, জামজামি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বাবলু চৌধুরী, আনিসুজ্জামান জম, আওয়ামীলীগ নেতা মাহবুুবুর রহমান, আবু তালেব, কুতুব আলী, ড. জনি, আবু জাফর, রুহুল আমীন, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য তপন কুমার বিশ্বাস, হারদী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক আশরাফুল হক, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাইকা, তামিম, সম্রাট, সাব্বির আহমেদ, ইউপি সদস্য জনি, সাবেক ইউপি সদস্য হীরা লাল, রবিউল ইসলাম, মিরাজসহ কয়েকশ নেতাকর্মি।