মেহেরপুরে ইউপি চেয়ারম্যান অপসারণ প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলন

মেহেরপুর সদর উপজেলার ১ নম্বর কুতুবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেলিম রেজার অপসারণ প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলন করেছে মেহেরপুর জেলা বিএনপির একাংশ‌।

আজ শনিবার ( ১৪ সেপ্টেম্বর ) বেলা ১ টার দিকে জেলা বিএনপি’র বড় বাজার অফিসে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

মেহেরপুর জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিজান মেননের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ফয়েজ মোহাম্মদ।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ১৮ তারিখে কুতুবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেলিম রেজার অপসারণের দাবীতে ইউনিয়নের সংক্ষুব্ধ জনগন চেয়ারম্যান সেলিমের রুমে তালাবদ্ধ করে।

মেহেরপুরের উপজেলা ও জেলা প্রশাসনকে বিষয়টি অবগত করা হলেও মেহেরপুর জেলা বিএনপির একটি পক্ষ দ্বারা প্রভাবিত হয়ে দীর্ঘদিন সময় ক্ষেপন করেও যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি।

এমতাবস্থায় কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শহিদুল আলম, জেলা বিএনপির মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক রায়হানুল কবির, জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আলি ভূট্টো, কুতুবপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি শামীম ও সাধারণ সম্পাদক গ্যাস বাবুসহ আওয়ামী লীগের অবৈধ চেয়ারম্যানের রুমের তালা ভেঙ্গে চেয়ারম্যান সেলিমকে তার কর্যক্রম পরিচালনা করার সুযোগ করে দেয় এবং বিএনপি’র আওয়ামী পন্থী দালাল নেতারা মিস্টি বিতরন করে।

তিনি আরো বলেন, আমরা জেলা বিএনপি’র নেতাকর্মী যারা ১/১১ পরবর্তী বিএনপি’র সংস্কারপন্থী দালালদের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে আসছি তারাই এখানে উপস্থিত আছি। গত ১৫ বছর আওয়ামী অত্যাচারে দেশের বিএনপি সহ সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা জীবন বাজি রেখে লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে আসছি। গত ৫ই আগষ্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে হাসিনার পতন হয়েছে। কিন্তু মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র বেশ কিছু দালাল নেতারা আওয়ামী লীগ কে রক্ষার জন্য তৎপর হয়ে উঠেছে। তারই ফলস্বরুপ এই ঘটনা কুতুবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে স্বপদে বসিয়ে দেয়।

আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং এই ঘটনায় জড়িতদের বিএনপি থেকে বহিস্কার এর জোরদাবী জানাচ্ছি।

এসময় জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ওমর ফারুক, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি আনিসুর রহমান লাবলু, যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম লাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হক, জেলা জিয়া মঞ্চের সদস্য সচিব ও জেলা যুবদলের সদস্য মনিরুল ইসলাম মনি, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি নাহিদ মাহবুব সানিসহ জেলার বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




দামুড়হুদায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় চালক নিহত আহত -৩

দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর কাঠালতলা নামক স্থানে মোটরসাইকেলের সাথে পথচারিকে ধাক্কা মেরে মোটরসাইকেল চালক বাদশা নামের একজন নিহত হয়েছে। নিহত বাদশা (২৭) চুয়াডাঙ্গা আলোকদিয়া গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে ও আহত আলাউদ্দিন (৩৫) জয়রামপুর হাজীপাড়ার মৃত হাশেমের ছেলে, সোহান(১৮) পিতা আক্তার হোসেন আলোকদিয়া চকপাড়ার ও এখলাছ উদ্দীন (২৩) একই গ্রামের নাসির উদ্দিনের ছেলে। আজ রাত ৯ টার দিকে কাঠালতলা নামক স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা জেলার আলোকদিয়া চকপারার সাইফুল ইসলামের ছেলে বাদশা, সোহান ও নাসির ছেলে এখলাছ একটি অ্যাপাচি ফোর ভি মোটরসাইকেল( যার রেজিস্ট্রেশন নম্বর চুয়াডাঙ্গা – ল, ১২- ৮৫৩৯) দর্শনা দিক থেকে আসার পথে জয়রামপুর কাঠালতলা নামক স্থানে পৌঁছালে জয়রামপুর গ্রামের মৃত হাশেম আলীর ছেলে আলাউদ্দিন রাস্তা পার হওয়ার সময় সরাসরি ধাক্কা মারে। এতে চারজন রক্তাক্ত জখম হয়ে মেইন রাস্তায় ছিটকে পড়ে।

পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কতব্যরত চিকিৎসক আলোকদিয়া চকপাড়ার সাইফুল ইসলামের ছেলে বাদশাকে মৃত ঘোষণা করে। অপরদিকে আলাউদ্দিন, সোহান ও এখলাছকে ভর্তি করে। আলাউদ্দিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রাজশাহী রেফার্ড করা হয়। দামুড়হুদা মডেল থানার পুলিশ খবর পেয়ে মোটরসাইকেলটি থানা হেফাজতে নেন।

দামুড়হুদা মডেল থানার এসআই বাকী বিল্লাহ সততা নিশ্চিত করে জানান কাঠালতলা নামক স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত হয়েছে এবং তিনজন আহত হয়েছে নিহতর মোটরসাইকেলটি থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। কেউ কোন অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।




গাংনীতে বিএনপি নেতার দোকানের সামনে বোমা সাদৃশ্য বস্তু ও কাফনের কাপড় রেখে প্রাণনাশের হুমকি

গাংনীর গোপালনগর গ্রামের বিএনপি নেতার দোকানের সামনে থেকে দুইটি বোমা সদৃশ্য বস্তু, কাফনের কাপড়ের টুকরো ও প্রাণনাশের হুমকি সম্বলিত চিরকুট উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আজ শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে গাংনী উপজেলার গোপালনগর গ্রামের বটতলা মোড় থেকে থানা পুলিশ এগুলো উদ্ধার করে।

জানা গেছে, রাইপুর ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলামের মুদি দোকানের সামনে একটি বাজারকরা ব্যাগের মধ্যে দুটি বোমা, কাফনের কাপড়ের টুকরো ও একটি চিরকুট রেখে যায় দূর্বৃত্তরা। হাতে লেখা চিরকুটে বিএনপি নেতা রবিউল ইসলামকে উদ্দেশ্য করে লেখা ‘‘রবিল/মরার জন, তৌরি হয়। বোমা ও কাপন, পাঠালাম।‘‘ নিচে তিনটি দাগের মধ্যে দুই বার ‘লাল’ ‘লাল’ লেখা রয়েছে।

সকালে পাশের চা দোকানী আরশাদ আলী প্রথমে এগুলো দেখতে পান। পরে গাংনী থানা পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে গাংনী থানার এসআই শিমুল হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে এগুলো উদ্ধার করেন।

স্থানীয়রা জানান, আরশাদ আলীর দোকানের পাশেই রাইপুর ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলামের মুদি দোকান।

এব্যাপারে গাংনীর রাইপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচন করা নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সাথে দ্বন্দের জেরে এগুলো রাখা হতে পারে।

গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পলিশ পাঠিয়ে বোমা সাদৃশ্য বস্তু দুটি পানিতে চুবিয়ে নিষ্ক্রিয় করে থানায় নেওয়া হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




মেহেরপুরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

মেহেরপুর জেলা জামায়াতের উদ্যোগে ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬ টার সময় মেহেরপুর জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা তাজউদ্দীন খানের নেতৃত্বে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নর অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার জমির মোহাম্মদ হাসিব।

এছাড়াও এসময় অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আর এম ও ডাঃ জাহিদ বিশ্বাস, জেলা নায়েবে আমীর মাওলানা মাহবুব উল আলম, জামায়াতে জেলা সেক্রেটারি মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন, সদর উপজেলা আমীর মাওলানা সোহেল রানা, সেক্রেটারি মাস্টার জাব্বারুল ইসলাম, পৌর আমীর ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক পৌর কমিশনার সোহেল রানা (ডলার), পৌর সেক্রেটারি মোঃ মনিরুজ্জামান প্রমুখ।

এসময় উপজেলা জামায়াতের বিভিন্ন ইউনিট থেকে আশা নেতাকর্মীরা ও ছাত্র শিবিরের দায়িত্বশীলরা এই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতায় অংশগ্রহণ করেন।




গাংনীতে ব্র্যাক পরিচালিত কার্যক্রম পরিদর্শন করলেন ইউএনও

ব্র্যাক যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচীর আওতায় শিক্ষকদের ওরিয়েন্টেশন কার্যক্রম পরিদর্শন করলেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা।

গাংনীর ৩ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১৫ জন শিক্ষকের অংশগ্রহণে টিবি, ম্যালেরিয়া, এইচআইভি, এইডস, ডেঙ্গু, ডায়রিয়া ও জলবায়ু পরিবর্তন জনিত রোগের বিজ্জর রোধে করনীয় বিষয়ক ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন টিবি কনট্রোল প্রোগ্রামের আওতায় গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দিনব্যাপী গাংনী উপজেলায় এ ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী প্রীতম সাহা।

এসময় তিনিসকল অংশগ্রহণকারীদের বিদ্যালয় পরিচ্ছন্ন রাখা ও শিক্ষার্থীদের যক্ষ্মা, ডেঙ্গু সহ অন্যান্য রোগ বিষয়ে সচেতন করে তোলার পাশাপাশি তাদের এসাইনমেন্ট প্রদান করে বিদ্যালয়ের মনিটরিং এর মাধ্যমে কারো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়াও শিক্ষকদের এবিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান।

ওরয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে মূখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মেহেদী হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ হোসেন মোবারক।

ওরিয়েন্টেশনে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন প্রোগ্রাম অফিসার ব্রাক টিবি কন্ট্রোল প্রোগ্রাম আক্তার হোসেন। বিস্তারিত তুলে ধরেন ব্র্যাক জেলা ব্যবস্থাপক, টিবি কনট্রোল প্রেগ্রাম অচিন্ত কুমার বোস।
ওরিয়েন্টেশন সঞ্চালনা করেন মেহেরপুর জেলা ব্র্যাক সমন্বয়ক শেখ মনিরুল হুদা।




মেহেরপুরে ভৈরব নদে ডুবে শিশুর মৃত্যু

ভৈরব নদে গোসল করতে গিয়ে পানির নিচে তলিয়ে রোকেয়া খাতুন (৮) নামের এক শিশু মারা গেছে। নিহত রোকেয়া খাতুন মেহেরপুর সদর উপজেলার বন্দর গ্রামের ছোটন আলীর মেয়ে ও স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্রী।

আজ শুক্রবার (১৩ সেপ্টম্বর) বিকেলে এই ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কনি মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বিকেলের দিকে রোকেয়া খাতুন বাড়ির পাশে ভৈরব নদে গোসল করতে য়ায়। গোসল করার কোনো এক সময় পানির নিচে তলিয়ে যায়। পরে লাশ ভেসে উঠলে স্থানীয়রা তার মরদেহ উদ্ধার করেন।




মুজিবনগরের বালি ও মাটি খেকো জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে নানা অপকর্মের অভিযোগ

মেহেরপুরের মুজিবনগরের বালি ও মাটি খেকো জাহাঙ্গিরের বিরুদ্ধে নানা অপকর্মের অভিযোগ উঠেছে। অবৈধ বালি উত্তোলন ও বিক্রি, বিভিন্ন জায়গার মাটি জোর পূর্বক কাটা, অন্য মাটি ও বালি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়সহ ইটভাটা মালিকদের কাছে সুদের বিনিময়ে টাকা দেয়াসহ নানা অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। সম্প্রতি এক ফল ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদাবাজীর অভিযোগে মামলাও হয়েছে তার বিরুদ্ধে। গত ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর গা ঢাকা দিয়েছে বলে এলাকায় গুঞ্জন। তবে অন্তারালে থেকে অবৈধ মাটি ও বালির ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানাগেছে।

অনুসন্ধানে জানাগেছে, সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রীর সুদৃষ্টি থাকায় মুজিবনগরে অবৈধ মাটি ও বালি উত্তোলন ও বিক্রির একচ্ছত্র আদিপাত্য ছিল জাহাঙ্গিরের। মুজিবনগর উপজেলার দারিয়াপুর গ্রামের বাসিন্দা হলেও তার আদিপাত্য ছিল পুরো উপজেলা জুড়ে। জাহাঙ্গীরের অনুসারিদের নিয়ে সে গড়ে তোলে সিন্ডিকেট। তার আর্শিবাদ ছাড়া কেউই মাটি ও বালির ব্যবসা করতে পারিনি। পুরো উপজেলায় যেখানেই এইচবি রাস্তা নির্মান হোক না কেন, মাটি ও বালি জাহাঙ্গীরের কাছ থেকেই নিতে হবে। তা না হলে প্রতি গাড়িতে ১শ টাকা চাদা দিতে হবে, এটা ছিল জাহাঙ্গীরের আইন।

জান মোহাম্মদ নামের একজন জানান, জাহাঙ্গীর অন্য বৈধ ব্যবসাীদের সে জিম্মি করে ফেলেছে। তার অনুমতি ব্যতীত কেউই ব্যবসা করতে পারবে না বলে নির্দেশ দেই সে। এছাড়াও অনেকেই তার নির্যাতনের শিকার হয়ে পথে বসেছে।

ফিরোজ নামের একজন জানান, মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান, আনন্দবাস, স্বরসতিখাল ও বিশ^নাথপুর ঘাটের মাটি ও বালি সে ক্ষমতার দাপটে তুলে বিক্রি করেছে। একই এলাকার মোসারফ নামের আরেক জন জানান, আমি ৮০০শ গাড়ি মাটি সরকারি রাস্তার ধার দিয়েছি। প্রতি গাড়িতে ১শ টাকা করে জাহাঙ্গীরকে চাদা দিতে হয়েছে।

রাস্তার এইচবি করার জন্য নির্ধারিত কিছু পিআসি ও স্থানীয় ইউপি সদস্য জানান, গোটা উপজেলায় যেখানেই এইচবি করণ আর পাকা রাস্তা নির্মান করা হোক না কেন, জাহাঙ্গীরের সাথে ইট, বালি ও মাটি নিতে হবে। তা না পিআইসি বাতিল না হয় কাজে বাধা দিতো।

শুধু তাই নয় স্থানীয় বেশ কিছু ইটভাটা মালিকও জাহাঙ্গীরের কাছে জিম্মি ছিল। প্রতি সিজনে দাম যাই হোক দুই নাম্বার ইট দিতে হবে ১১ হাজার টাকাই। এবং সেই ইট বিভিন্ন ঠিকাদার ও পিআইসির কাছে বিক্রি করে ১৪ হাজারে।

তার এসব অপকের্মর ব্যাপরে জানতে উপজেলা প্রশাসনের কাছে জানতে চাইলে অফিসিয়ালি কেউই মুখ খুলতে চাইনি। তবে কয়েকজন জানান, সাবেক মন্ত্রীর ভয়ে জাহাঙ্গীরের অপকর্মের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে জাহাঙ্গীরের সাথে যোগাযোগ করা তিনি বিএনপি ও জামায়ত নেতাদের নাম করে সাংবাদিকদের নিউজ না করতে চাপ দেন। সেই সাথে সকল অভিযোগের কথা অস্বিকার করে।




দর্শনার দোস্ত গ্রামে বাড়িসহ জোর পৃর্বক জমি দখল, ১১ মাস পরে মামলা

চুয়াডাঙ্গা সদরের দোস্ত গ্রামে বাড়িসহ জমি দখল করে নিয়েছে রাজু আহম্মেদ ও জলিল মোল্লা। এ ঘটনায়ে আজ শুক্রবার দর্শনা থানায় একটি মামলা হয়েছে।

মামলার বিবরনে জানাগেছে,২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে চুয়াডাঙ্গার সদরের দোস্ত মৌজায় নিকট হতে ১৫নং খতিয়ান নং- আর, এস ৬৩০, দাগে ৩২৪ এর ৫.৬৮ শতক জমি ক্রয় করে মিজানুর রহমান। পরে মিজানুর রহমান দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের হাউলী গ্রামের মহাসিন আলীর কাছে বিক্রি করে। মহাসিন ঐ বাড়িতে বসবাস করা অবস্থায় চুয়কডাঙ্গা ২ আসনের সাবেক এমপি আলী আজগার টগরের নির্দেশে রাজু আহম্মেদ ও জলিল মোল্লা ঐ বাড়ি জোর পৃর্বক দখল করে মহাসিনকে জোর পৃর্বক তাড়িয়ে দেয়।

দীর্ঘ ১১ মাস পর দর্শনা থানা পুলিশ মামলা গ্রগন করে। গত বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে মহাসিন (৪৩) মিজানুর রহমান (৩৩)ও বাদলসহ বাড়িতে উঠতে গেলে তাদের ৩ জনকে বেধড়ক মরপিট করে মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। এ ঘটনায় দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের পুরাতন হাউলী পাড়ার মৃত্য ফকির মোহাম্মদের ছেলে বাদি হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদরের দোস্ত মোল্লা পাড়ার কাদের মোল্লার ছেলে, রাজু আহম্মেদ (৩৬) জলিল মোল্লা (৫২),বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও জোর পৃর্বক বাড়িসহ জমি দখলের একটি মামলা করে।

মামলা সুত্রে জানাগেছে, আমি উক্ত বিষয় নিয়ে ইতিপূর্বে বিজ্ঞ আদালতে দেওয়ানী মামলা করি বিবাদীদ্বয়ও বাদী হয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা করেন। উভয় পক্ষের মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন আছে। আমি নিজ নামে থাকা জমি দখল নিতে গেলে বিবাদীদ্বয় আওয়ামীলীগ সৈরাচার সরকার এর স্থানীয় নেতাদের সাহসে হুমকি ধামকি প্রদান করে উক্ত জমি ভোগ দখল হতে দূরে রাখে। পরবর্তীতে আমি আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তি তাদের নিকট হতে দখল নিতে চাইলে বিবাদীদ্বয় আমার নিকট হতে ১০ লক্ষ টাকা দাবী করে। আমি তাদেরকে ১০ লক্ষ টাকা দিলে তারা আমার সম্পত্তি ছেড়ে দিবে। আমি তাদেরকে বিভিন্ন সময় নগদ ৪ লক্ষ টাকা বিভিন্ন সময় প্রদান করি। তারপরও আমাকে বাড়িতে উঠতে দেয়নি।

এ বিষয়ে দর্শনা থানার ওসি তদন্ত শফিকুল ইসলামকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। তিনি আরও বলেন আমরা তদন্ত করে আসামীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করবো।




কুষ্টিয়া সীমান্তে সোনার বারসহ আটক ২

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্ত থেকে সাতটি দ্বিখণ্ডিত সোনার বারসহ দুজনকে আটক করেছে বিজিবি।

আটককৃতরা হলেন, উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের মরারপাড়া এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে নজরুল ইসলাম (২০) ও কাজল বিশ্বাসের ছেলে সেলিম রেজা (২২)।

আজ শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিজিবির কুষ্টিয়া ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মাহাবুব মুর্শেদ রহমান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আটকদের কাছ থেকে এক কেজি ৩৭৩ গ্রাম ওজনের সাতটি দ্বিখণ্ডিত সোনার বার জব্দ করা হয়। এছাড়া দুটি মোটরসাইকেল, দুটি স্মার্টফোন, নগদ এক হাজার ২২০ টাকা জব্দ করা হয়। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে দৌলতপুর উপজেলা সীমান্তবর্তী চিলমারী ইউনিয়নের সুকারঘাট এলাকা থেকে তাদের আটক ও সোনার বারগুলো জব্দ করে চিলমারী বিওপি।




ঝিনাইদহ-১ আসনের সাবেক এমপি নায়েব আলী ৪ দিনের রিমান্ডে

ঝিনাইদহ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নায়েব আলী জোয়ার্দারকে দুটি মামলায় চারদিন করে রিমান্ড মিঞ্জুর করেছে আদালত।

আজ শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাকে হাজির করা হয়। সেসময় আদালতের বিচারক রুমানা আফরোজ এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে শহরের আরাপপুর জামতলা এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্ত্ার করে এবং। রাতেই তাকে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।

র‌্যাব-৬ ঝিনাইদহ ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর নাঈম আহমেদ জানান, জেলা বিএনপির দলীয় কার্য্যালয় ও দলের সভাপতির বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ১৯ ও ২৪ আগস্ট সদর থানায় দুটি নাশকতার মামলা হয়। সেই মামলায় এক নম্বর আসামি নায়েব আলী জোয়ারদার।

ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন উদ্দিন জানান, আমরা সকালে সাবেক সংসদ সদস্য নায়েব আলী জোয়ারদারকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়েছিলাম। কিন্তু আদালত দুই মামলায় চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তবে পৃথকভাবে চারদিনের পরিবর্তে একই সঙ্গে চারদিন জিজ্ঞাসাবাদ চলবে।