আলমডাঙ্গা জেহালা ইউপি চেয়ারম্যান সিলনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

আলমডাঙ্গা উপজেলার জেহালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও যুবলীগের সভাপতি মকলেছুর রহমান সিলনের বিরুদ্ধে প্রাণ নাশের হুমকির অভিযোগ এনেছেন যুবলীগ কর্মী মো. কামাল হোসেন।

সংবাদ সম্মেলনে ইউনিয়ন যুবলীগ কর্মী কামাল হোসেন গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। চেয়ারম্যানের মাদক ব্যবসা না করায় বিভিন্ন ভাবে তার ওপর হামলা চালিয়ে জীবন নাশের হুমকি দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। এছাড়াও তার বাড়িতে রাত-দিনে পুলিশ পাঠিয়ে হয়রাণীর শিকার হচ্ছেন।

সংবাদ সম্মেলনে কামাল হোসেন বলেন, গত ২০২১ সালে জেহালা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মকলেছুর রহমান সিলন বিজয়ী হন। তিনি জেহালা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্বপালন করছেন। চেয়ারম্যান সিলন নির্বাচনে বিজয়ী হবার পর থেকে মাদকব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। কিন্তু আমি কৃষি কাজ করে পরিবারের সংসার চালায়। সে আমাকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে চলাচল করতে বলে।

জোরপূর্বক ২০২২ সালে গোপনে মোটরসাইকেলে মাদক পাঠিয়ে কেদারনগর গ্রামে পৌঁছে দিতে বলেন। আগেই র্যাবের উপস্থিত রাখেন চেয়ারম্যান সিলন। র্যাব খুঁজছে ও মামলার হুমকি দিয়ে একপর্যায়ে সিলনের নির্দেশে চুয়াডাঙ্গা কোর্টে আত্নসমর্পন করি। সে নিজেই কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজত থেকে জামিন করে। জেল থেকে বেরিয়ে তার মাদকব্যবসার সাথে জড়িয়ে ফেলে। এছাড়াও সে আমার বিরুদ্ধে কোন মামলা হবে না বলে প্রতিশ্রুতি দেয়।

তিনি আরো বলেন, গত দেড় বছর যাবৎ মাদকব্যবসার পাশাপাশি তার অন্যান্য অপরাধ মূলক কাজে জড়িয়ে পড়ি। ইতোমধ্যে পুলিশি অভিযান চলার কারণে আমি পরিবার ও সমাজের চাপে মাদক ব্যবসা থেকে বেরিয়ে আসি। কিন্তু চেয়ারম্যান জোরপূর্বক মাদক ব্যবসা করতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছে। চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে দিনে-রাতে অপরিচিত ব্যাক্তি বাড়িতে গিয়ে প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে। আমি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্শন করছি। আমি স্বাভাবিক জিবনে ফিরে আসা সহ প্রশাসনের মাধ্যমে জানমালের নিরাপত্তা কামণা করছি।




হাসেম রেজার বিরুদ্ধে দর্শনায় মানববন্ধন

প্রকাশ্যে পুলিশের সামনে জনগনের উপস্থিতিতে সাংবাদিকের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে হত্যার চেষ্টা সহ চাঁদাবাজি মামলাবাজ ঘরবাড়ি লুণ্ঠন জোর করে জমি জায়গা দখল সহ অসংখ্য মানুষকে মেরে আহত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন কুড়ালগাছি ইউনিয়নের জনগণ।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে দর্শনা প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন করেন কুড়ালগাছি ইউনিয়নের জনগণ।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কুড়ুলগাছি ইউনিয়ন আ.লীগের সহ-সভাপতি কাফিউদ্দিন টুটুল, সাংবাদিক শিমুল রেজা, মাসুদ রানা, কফিল উদ্দিন,তারা বলেস, হাসেম রেজা নব্য আ’লীগের তার পরিবারের লোকজন এখনো জামাতপন্থী। তিনি রাতারাতি অবৈধ অর্থ মালিক হয়ে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের সাথে নিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃস্টি মাধ্যমে নিরীহ জনগণের উপর হামলা মামলা করে চলেছেন। আমাদের দেয়ালে পিঠ গেছে।হাসেম রেজাকে যতক্ষণ পর্যন্ত গ্রেফতার করা না হবে আমাদের এই আন্দোলন চলতে থাকবে। পুলিশের ভূমিকা রহস্যজনক।

পুলিশের সামনে হাসেম রেজা সাংবাদিক শিমুল রেজার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে হত্যার চেস্টা করলেও পুলিশ কোন ভূমিকা রাখে নাই। আমরা বারবার মামলা করতে গেলে মামলা গ্রহণ না করে বিভিন্ন তালবাহানা করেই চলেছে। এখনো পর্যন্ত আমাদের গ্রামের দুইজন আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছে। স্থানীয় সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সহ এমপি মহোদয় মামলা গ্রহণের কথা বললেও রহস্যজনক কারণে মামলা গ্রহণ করছে না। পুলিশ যদি মামলা গ্রহন না করে আমরা এসপি অফিসের সামনে অবস্থান ধর্ম ঘাটে যাব। অতিদ্রুত মামলা গ্রহন করে হাসেম রেজা গ্রেফতারে দাবি জানাচ্ছি।

সাংবাদিক শিমুল রেজার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান আমরা দুই বন্ধু কার্পাসডাঙ্গা বাজারে বসে ছিলাম। কিছু বুঝে ওঠার আগেই হাশেম রেজা ও তার দুই ছেলে সৈকত (২১) ও শুভ (২২), মোক্তারপুরের আকরাম (২৮), কার্পাসডাঙ্গার মধু (৪২) সহ অজ্ঞাতনামা আরও ২/৩ জনকে সাথে নিয়ে প্রাইভেটযোগে হাজির হয়। তিনি গাড়ি থেকে নেমেই আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি শুরু করেন। একপর্যায়ে আমাকে জোরপূর্বক টেনে হেঁচড়ে প্রাইভেটে তুলে নেয় এবং একটি সারের গোডাউনে নিয়ে হাত-পা বেঁধে আটকে রাখে। খবর পেয়ে দর্শনা থানা পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে।

উল্লেখ্য সংবাদ প্রকাশের জের ধরে হাশেম রেজা সম্প্রতি শিমুল রেজা নামের এক সাংবাদিককে কার্পাসডাঙ্গা বাজার থেকে জোরপূর্বক অপহরণ করে প্রাইভেটযোগে তুলে নেয় এবং একটি পরিত্যক্ত সারের গোডাউনে নিয়ে হাত-পা বেঁধে শারীরিক নির্যাতন চালান সাংবাদিক শিমুল রেজা উপর।

অপহরণের বিষয়টি পুলিশকে জানালে দর্শনা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে উদ্ধারের করেন। আওয়ামী লীগ নেতা হাশেম রেজা ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের সামনেই সাংবাদিক শিমুল রেজাকে চড়-থাপ্পড় মারেন এবং মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে হত্যার হুমকি দেয়। পুলিশের সামনেই সাংবাদিকের মাথায় পিস্তল ঠেকানোর ঘটনায় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন পুলিশ কর্মকর্তা দর্শনা থানার পরিদর্শক (অপারেশন) নিরব হোসেন ও এসআই টিপু সুলতান। তিনি হাশেম রেজাকে মাথা গরম করতে নিষেধ করেন।

এবিষয়ে হাসেম রেজা জানান, অপহরণের কোন ঘটনা ঘটেনি। আমাদের উভয় পক্ষের মামলাগুলো মিমাংসা করার জন্য কার্পাসডাঙ্গা বাজার থেকে আমার গাড়িতে করে কুড়ালগাছি বাজারে নিয়ে আসি। এলাকার মানুষদের সাথে নিয়ে মীমাংসা করার কথা ছিল কিন্তু কে/বা কারা শিমুলকে অপহরন করা হয়েছে মিথ্যা গুজব ছড়াতে থাকে। পুলিশ এসে শিমুলকে রাস্তার পাশে বসা অবস্থা পায়। পরে শিমুল তার দাদার সাথে বাড়িতে চলে যায়।




আওয়ামী লীগ সৃষ্টির মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সৃষ্টির মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। সর্বশেষ তিনি জাতীর শ্রেষ্ঠ অর্জন আমাদের স্বাধীনতা উপহার দিয়েছেন। আমরা স্বাধীন সার্বভোম বাংলাদেশে বাস করছি।

আজ বৃহস্পতিবার বিকালে বাংলাদেশ আওয়ামী মহিলা যুবলীগের ২১ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের সাবেক সদস্য সৈয়দা মোনালিসা ইসলাম। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি সামিউন বাশিরা পলি, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুথ শোভা মন্ডল, সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি লতিফন নেছা লতা, সাধারণ সম্পাদক রোজিনা খাতুন, মুজিবনগর উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি তকলিমা খাতুন, সাধারণ সম্পাদক তহমিনা খাতুন, আমদহ ইউনিয়ন যুব মহিলা লীগের সভাপতি রেহেনা খাতুন ও সাধারণ সম্পাদক আরিফা খাতুনসহ অন্যান্যরা।

তিনি আরও বলেন, আমরা এখন জাতীর জনকের কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ভাল আছি, নিরাপদে আছি। প্রতি মূহূর্তে আমরা উন্নয়নের দিকে যাচ্ছি। নারীদের সংগঠণ যুব মহিলা লীগ শক্তিশালীভাবে কাজ করছেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফরহাদ হোসেন আরও বলেন, সারা বাংলাদেশে যুব মহিলা লীগ চমৎকার সুসংগঠিত একটি সংগঠণ। এই সংগঠণটি প্রধান মন্ত্রীর আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কাছেও দলটি ইশর্^নিয় সংগঠণ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। দলটির প্রতিটি ওয়ার্ডে সব বয়সী নারীরা কমিমিতে রয়েছে। তারা প্রধান মন্ত্রীর উন্নয়ন চিত্র সকলের মধ্যে তুলে ধরছেন।

জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে একটি র‌্যালী শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ফরহাদ হোসেনের বাড়ির সামনে কেক কাটেন।




চুয়াডাঙ্গাসহ ৫ জেলায় কম্পিউটার প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সার্টিফিকেট বিতরণ

চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুরসহ ৫ জেলায় কম্পিউটার প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সার্টিফিকেট বিতরণ করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে সার্টিফিকেট বিতরণের উদ্বোধন করেন মাগুরা ১ আসনের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর। তিনি বলেন পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে মূল ধারায় নিয়ে আসায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য। সেই লক্ষেই বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এই কারনে পিছিয়ে পড়া

জনগোষ্ঠীকে কম্পিউটার ও ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে। যাতে তারা নিজেদের পায়ে দাড়াতে পারেন। তোমরা যারা আজ সার্টিফিকেট পাচ্ছো এর সদ ব্যবহার করবে।

বহুমুখী মানব কল্যাণ সংস্থার নির্বাহী চেয়ারম্যান সিনিয়র সাংবাদিক আহমেদ পিপুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. সাইফুল্লাহ রাসেল।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গায় সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ পরিচালক সিদ্দিকী সোহেলী রশীদ, মাগুরা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ পরিচালক আসাদুল ইসলাম, ঝিনাইদহ সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ পরিচালক আব্দুল লতিফ শেখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ও সিনিয়র সাংবাদিক বিপুল আশরাফ।

বহুমুখী মানব কল্যাণ সংস্থার চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ ও মাগুরা জেলা কার্যালয় থেকে একযোগে সার্টিফিকেট বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। ইতিমধ্যে বহুমুখী মানব কল্যাণ সংস্থা থেকে বিভিন্ন সময়ে ২ মাসের কম্পিউটার অফিস অ্যাপ্লিকেশন কোর্স সম্পন্ন করেছেন প্রায় দুই হাজার আটশত শিক্ষার্থী। এর মধ্যে চলতি বছরের ৬ জানুয়ারিতে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষায় অংশ নেয় ৯০৮ শিক্ষার্থী। পাশ করেছে ৭৪০ জন। পাসের হার ৮০ ভাগ। কম্পিউটার ও ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ নিয়ে অনেকেই চাকুরী করছেন। আবার কেউবা দোকান দিয়ে ব্যবসা করছেন। প্রশিক্ষন নিয়ে যারা এখনো বেকার বসে আছেন তাদেরকে চাকরি দেওয়ার ব্যবস্হা করছেন বলে জানালেন সংস্থার নির্বাহী চেয়ারম্যান আহমেদ পিপুল। এদিকে যারা ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ নিয়ে বিআরটিএ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন তাদের হাতে স্মার্ট কার্ড তুলে দেয়া হয়।

“দুস্হ, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্ত ও হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীকে প্রশিক্ষনের মাধ্যমে আর্থ সামাজিক অবস্হার উন্নয়ন” প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সমাজসেবা অধিদপ্তর এবং বহুমুখী মানব কল্যাণ সংস্থা।




মুজিবনগরের মোনাখালী গ্রামে ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন উপলক্ষে আলোচনা সভা

মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী ইউনিয়নের মোনাখালী গ্রামে এক বিরাট ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন উপলক্ষে গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে মোনাখালী ফুটবল খেলার মাঠে।

মোনাখালী ইউনিয়ন পরিষদের ০১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোনাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান।

উক্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে অনন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা জসীমউদ্দীন,উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সেলিম রেজা মিঠু ,উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক মানিক ,মোনাখালী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আব্দুল খালেক। ইট ভাটা মালিক ফারুক হোসেন ও চপল , আবদার আলী, লাভলু ,আহাসান উল্লাহ , মনসুর আলী রোকনুজ্জামান, সেলিম রেজা, চান্দ আলী, ফকিরসহ আরো অনেকে।

আলোচনা সভা থেকে খেলা পরিচালনা কমিটি চূড়ান্ত করা হয়েছে। এই টুর্নামেন্টে মোট ৩২ টি দল অংশগ্রহণ করবে এবং প্রত্যেককেই নকআউট পর্ব হিসেবে খেলবে বলে নিশ্চিত করেছে খেলা পরিচালনা কমিটি।

ফাইনাল খেলায় বিজয়ী কে মোনাখালী ফুটবল টুর্নামেন্টের স্মরণকালের সবচেয়ে আকর্ষণীয় পুরস্কার প্রদান করবে বলে জানিয়েছে খেলা পরিচালনা কমিটি।




টেলিগ্রামে চালু হচ্ছে স্টোরি ফিচার

প্রায় সব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই স্টোরি ফিচারটি যুক্ত হচ্ছে। কারো সঙ্গে আলোচনার উপলক্ষ গড়ার জন্য স্টোরি ফিচারটি কাজের। সম্ভবত সেকথা ভেবেই টেলিগ্রামেও স্টোরি ফিচার চালু হতে চলেছে। টেলিগ্রামের সিইও পাভেল দুরভ অন্তত একথাই জানিয়েছেন।

পাভেল দুরভ জানান, ‘প্রথমে আমরা স্টোরি ফিচার যুক্ত করার বিরুদ্ধে ছিলাম। কিন্তু টেলিগ্রাম ব্যবহারকারীরাই বহুদিন ধরে এই ফিচারের দাবি জানিয়ে আসছে। আমরা চাইনি কারণ স্টোরি ফিচার অন্য সবখানেই আছে। টেলিগ্রাম তো টেলিগ্রাম হতো না যদি ব্যবহারকারীদের দাবি পূরণ করতে না পারতো।’

অর্থাৎ ব্যবহারকারীদের কথা মাথায় রেখেই তারা নতুন ফিচারটি চালু করছে। নতুন এই ফিচার সম্পর্কে আরও তথ্য দিয়েছেন তিনি। এখন আরও নিখুঁতভাবে কারা কারা স্টোরি দেখতে পারবে তা নির্ধারণ করা যাবে। আর স্টোরি একটা বাড়তি অংশে দেওয়া হবে। ফলে টেলিগ্রামে কোনো বাড়তি জায়গা দখল না করেও স্বাভাবিকভাবে স্টোরি দেখা যাবে। এমনকি হিডেন লিস্টে স্টোরি নিয়ে গেলে কোনো কন্টাক্ট যাতে স্টোরি দেখতে না পারে তাও নিশ্চিত করা যাবে।

টেলিগ্রামের স্টোরিতে অনেকগুলো সুবিধা থাকবে। ভিডিও বা ছবি পোস্ট করা যাবে। সেগুলোতে ক্যাপশন দেয়া যাবে৷ সবচেয়ে মজার বিষয় এসব স্টোরি কতদিন নাগাদ দেখা যাবে তাও ব্যবহারকারীরা নির্ধারণ করতে পারবেন। ১২, ২৪, ৪৮ ঘণ্টা এভাবে সময় সেট করা যাবে। টেলিগ্রামের স্টোরি সেভ করে রাখা যাবে। পাভেল দুরভের মতে, ‘টেলিগ্রাম স্টোরিজ যখন প্রোফাইলে সেট করে রাখতে পারবেন তখন আপনার প্রোফাইল আরও বর্ণিল ও সুন্দর হবে। ফলে পরিচিত কন্টাক্টের বাইরেও আপনি আরও এক্সপ্লোর করতে পারবেন।’

সূত্র: লাইভমিন্ট




বর্ষায় বাড়ে হেপাটাইটিস-এ এর শঙ্কা

হেপাটাইটিস বি নিয়ে সবার মনে যত আতঙ্ক হেপাটাইটিস এ নিয়ে অতটা নয়। তবে বর্ষার সময় হেপাটাইটিস-এ এর মতো রোগের শঙ্কা অনেক বেড়ে যায়।

হেপাটাইটিস-এ আসলে কি?

হেপাটাইটিস-এ একটি ছোঁয়াচে রোগ। তবে এই রোগ হেপাটাইটিস-বি এর মতো দীর্ঘমেয়াদী কোনো সমস্যা তৈরি করে না। এক সপ্তাহ কিংবা মাস-খানেকের মধ্যে রোগ নিরাময় হয় ও রোগীর সুস্থতা দ্রুতই হয়।

ডেঙ্গুর যেসব উপসর্গ দেখলেই হাসপাতালে যাবেনডেঙ্গুর যেসব উপসর্গ দেখলেই হাসপাতালে যাবেন
কাদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি?
এই ভাইরাসের ভ্যাকসিন নেওয়া না থাকলে আর আগে যদি কখনো আক্রান্ত না হয়ে থাকেন তাহলে হেপাটাইটিস-এ আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা আছে। আজকাল এমন ভ্যাকসিনও আছে যা একইসঙ্গে হেপাটাইটিস-এ ও হেপাটাইটিস-বি প্রতিরোধে সাহায্য করে। মূলত দূষিত পানির মাধ্যমে আমাদের ইমিউনিটি ক্ষতিগ্রস্ত করে এই ভাইরাস। বর্ষায় রাস্তায় বৃষ্টিতে ময়লা পানির সংস্পর্শে আসলে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।

হেপাটাইটিস-এ রোগের লক্ষণ

হেপাটাইটিস-এ রোগের লক্ষণগুলো সাধারণ। মৌসুমি জ্বরের সঙ্গে অনেকে তুলনা করে ফেলেন। হেপাটাইটিস-এ রোগের লক্ষণগুলো হলো:

.জ্বর আসার পাশাপাশি বমি হওয়া।
.পেটে তীব্র ব্যথা।
.চুলকানি বাড়া ও ক্লান্তি ভর করে।
.জন্ডিস হতে পারে তবে রোগের শেষ পর্যায়ে। আর জন্ডিস হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
.চুলকানির সঙ্গে সঙ্গে প্রদাহজনিত সমস্যাও বাড়ে।
.অধিকাংশ রোগী নিজে নিজেই সুস্থ হয়ে যান। তবে জন্ডিস হলে লিভারের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই গাফিলতি করা যায় না।

হেপাটাইটিস-এ সন্দেহে করণীয়

সন্দেহ হচ্ছে আপনার হেপাটাইটিস-এ? তাহলে এই পরামর্শগুলো মেনে চলুন:

.হেপাটাইটিস এ রোগের সুনির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই তবে আপনি একটু আরামের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে যাবেন।
.এই সময় স্বাস্থ্য সতর্কতা মেনে চলতে হবে ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। এক সপ্তাহ বা মাসেই সুস্থ হবেন।
.নিজে নিজে জ্বরের বা চুলকানির ওষুধ খাবেন না।
.ধূমপান বা মদ্যপান এসময় ত্যাগ করতে হবে।
.প্রচুর পানি পান করুন।
.নিয়মিত হাত ধোবেন, বাইরে থেকে বাড়িতে ফিরে হাত-পা ধোবেন।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস




ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সুযোগ লাভ করা সুমির পাশে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ লাভ করা এক হতদরিদ্র মেয়ের পাশে দাঁড়ালেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পদ্মবিলা ইউনিয়নের হায়দারপুর গ্রামের মোঃ আলামিন শেখ ও মোছাঃ রুজিনা বেগম দম্পতির মেয়ে মোছাঃ সুমি খাতুন ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সি-ইউনিট এ মেধা তালিকায় ২১২তম স্থান অর্জন করে।

দরিদ্র পরিবারের মেয়ে সুমি অর্থাভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেয়েও ভর্তি হতে পারবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। সে খবর শোনামাত্র চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান সুমিকে ১৫০০০/- অর্থ সহায়তা প্রদান করেন এবং ভবিষ্যতে পাশে থাকবেন বলে আশ্বস্ত করেন । একইসাথে ভালোভাবে পড়াশোনা করে দেশ,জাতি ও সমাজের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সেভাবে নিজেকে যোগ্য করে তোলার পরামর্শ প্রদান করেন।




লাভ নয় নিজের ‘লাস্ট স্টোরি’ শোনালেন বিদ্যা বালান

অভিনেত্রী বিদ্যা বালান বলিউডের প্রযোজক সিদ্ধার্থ রায় কাপুরের সঙ্গে প্রেম করেই গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন। পেশাগত জীবন নিয়ে যতটা খোলামেলা বিদ্যা, ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সাধারণত জনসমক্ষে আলোচনা এড়িয়েই যান বিদ্যা। কিন্তু এতদিন পর অভিনেত্রী নিজেই ফাঁস করলেন সিদ্ধার্থের সঙ্গে তার প্রেমকাহিনি নাকি আদপে ‘লাভ স্টোরি’ নয়, ‘লাস্ট স্টোরি’! সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সিদ্ধার্থ ও বিদ্যার রসায়নের এমন খবরে হইচই শুরু হয়েছে সিনেমা পাড়ায়।

ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিদ্যা জানান, সিদ্ধার্থ রায় কাপূরের সঙ্গে প্রথম দেখায় তিনি প্রেমে পড়ে যাননি বিদ্যা। সিদ্ধার্থের সঙ্গে তার প্রেমের গল্প বরং অনেকটা ‘লাস্ট স্টোরি’র মতো। বিদ্যা জানান, ‘সিদ্ধার্থের ব্যাপারে আমার মানসিক সংযোগ ছিল। তবে এটি একটি শারীরিক আকর্ষণ দিয়ে শুরু হয়। তিনি দেখতে খুবই আকর্ষণীয়। আমার চোখে সবচেয়ে সুন্দর পুরুষ সিদ্ধার্থ। সবাই তার জীবনসঙ্গীর মাঝে মা-বাবাকে খুঁজেন। সিদ্ধার্থ ঠিক তেমনই একজন মানুষ। তিনি খুব কেয়ারিং। তার এই বিষয়টি আমাকে সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করেছিল’।

সম্প্রতি হিউম্যানস অব বোম্বেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিদ্যা বলেছিলেন, ‘আমি আর সিদ্ধার্থ, করণের বাড়িতে একসাথে একটি পার্টিতে গিয়েছিলাম। আমাদের সম্পর্কে মধ্যে করণ কিউপিডের ভূমিকা পালন করেছেন। করণ আমাদের তার বাড়িতে একটি পার্টিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। এরপর আমি তার বাড়িতে গেলাম। সে সময় আমি একটু লাজুক প্রকৃতির ছিলাম। কিছুক্ষণ পর সিদ্ধার্থও আসল। আমরা তখন একসাথে আড্ডা দিলাম। এভাবেই আমাদের পরিচয় হয়ে গেল’।

বলিউডের অন্যতম শক্তিশালী অভিনেত্রী বিদ্যা। ‘দ্য ডার্টি পিকচার’, ‘কাহানি’, ‘জলসা’, ‘শেরনি’-র মতো সিনেমায় রয়েছে তার অভিনয় দক্ষতার ছাপ। বলিউডে নারীকেন্দ্রিক সিনেমার জোয়ার আসার অনেক আগে থেকেই বলিষ্ঠ নারীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন বিদ্যা বালান। পেশাগত জীবনে তার সিনেমা নির্বাচন নিয়েও একাধিক বার প্রশ্ন উঠেছে। ‘দ্য ডার্টি পিকচার’ সিনেমার সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে তাকে। সহজাত ভঙ্গিতে সব সমালোচনার উত্তরও দিয়েছেন বিদ্যা।

‘ইউটিভি মোশন পিকচার্স’-এর কর্তা সিদ্ধার্থের সঙ্গে ইতিমধ্যেই এক দশকের বেশি সংসার করে ফেলেছেন বিদ্যা। সিদ্ধার্থকে বিয়ে করার পরে ব্যক্তিগত জীবনে অনেক বেশি গোছানো অভিনেত্রী। পেশাদার জীবনেও এই মুহূর্তে বেশ আত্মবিশ্বাসী অভিনেত্রী। চলতি মাসেই ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেতে চলেছে তার আগামী সিনেমা ‘নিয়ত’।

সূত্র: ইত্তেফাক




কোনো চাপ কি তোকে বাধ্য করেছে, তামিমকে প্রশ্ন মাশরাফির

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন তামিম ইকবাল। আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে হতাশাজনক হারের পর আচমকা ব্যক্তিগত সংবাদ সম্মেলন ডেকেছিলেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক। সেই সংবাদ সম্মেলনেই অশ্রুসিক্ত নয়নে ১৬ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ের ইতি টানেন তামিম। তামিমের এমন সিদ্ধান্তে হতবাক হয়েছেন অনেকেই। তবে সিরিজের মাঝপথে হুট করে কেনো এমন সিদ্ধান্ত নিলেন তামিম। কোনো চাপে এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন কিনা তামিমকে এমন প্রশ্ন করেছেন বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।

আজ বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) দুপুর দেড়টায় চট্টগ্রামের হোটেল টাওয়ার ইনে সংবাদ সম্মেলনে তামিম তার অবসরের ঘোষণা দেন। নিজের ঘরের মাঠেই ক্যারিয়ারের ক্যারিয়ারের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচটি খেলে ফেলেছেন বলে জানান চট্টলার বিখ্যাত খান পরিবারের সন্তান। তামিম বলেন, ‘আজ এই মুহূর্ত থেকে আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিচ্ছি।’

তামিমের অবসরের ঘোষণার পর নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে মাশরাফি লিখেছেন, ‘তামিম, তোর সিদ্ধান্ত অবশ্যই একান্তই তোর। এটা কারও ভালো লাগলেও তোর, ভালো না লাগলেও তোর। পক্ষে-বিপক্ষে অনেক কথাই হবে। তবে সবচেয়ে ভালো কোনটা, সেটা তুই ছাড়া কেউই ভালো বুঝবে না। তাই তোর এই সিদ্ধান্তকে আমি ব্যক্তিগতভাবে শতভাগ সম্মান জানাই। তবে কিছু কথা জানতে মন চায়, মাত্র ৩৪ বছর ১০৮ দিনেই বিদায় কেন! আসলেই কি চালিয়ে যেতে পারছিস না? না কি কোনো চাপ তোকে বাধ্য করেছে! তোর অনেক ভক্ত হয়তো খুঁজে ফিরবে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর। আজ খুঁজবে, এমনকি ভবিষ্যতও আরও অনেকদিন খুঁজবে।’

তামিমকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করে তিনি আরও লিখেন, ‘তোকে প্রথম দেখেছি চট্টগ্রামে তোদের বাসায়, হাফ প্যান্ট পরে খেলছিলি। তোর ভাই, আমার বন্ধু নাফিস ইকবাল তোকে আমার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিল। পরের বার দেখলাম জাতীয় লীগে ওপেন করতে, খুলনার মাঠে। তারপর ২০০৭ বিশ্বকাপ থেকে একসঙ্গে পথ চলতে চলতে তুই হয়ে গেলি বন্ধুর মতো। কত দিন কত রাত এক সঙ্গে সময় কাটিয়েছি, একসঙ্গে খেতে যাওয়া, ঘণ্টার পর ঘণ্টা আড্ডা, দুষ্টুমি, মজা, তর্ক, খেলা নিয়ে কত কত আলোচনা করেছি, সেসবের কোনও হদিস নেই।’

বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক আরও লিখেন, ‘যখন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ছিলাম, তখন তুই ছিল আমার অন্যতম ‘স্নাইপার।’ সেটা তুই নিজেও খুব ভালো করেই জানিস। যেদিন দল থেকে বের হয়ে এলাম, সেদিন তুই আমাকে কাঁধে তুলে নিয়েছিলি। পরে সারারাত একসঙ্গে আড্ডা দিয়েছিলাম। যে কোনও সিরিজ বা সফরে তুই ছিলি আমার রুমে আড্ডার অবধারিত সঙ্গী। আরও কত শত স্মৃতি এখন মনে পড়ছে!’

তামিমের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে মাশরাফি লিখেন, ‘তোকে যতটুকু চিনি, তাতে তোর এই সিদ্ধান্তকে আমি অনায়াসে পোস্টমর্টেম করতে পারতাম। কিন্তু তা করব না, কারণ ওই যে, তোর নিজস্ব সিদ্ধান্তকে অবশ্যই সম্মান জানানো উচিত। তোর মানসিক অবস্থা আমি বুঝতে পারছি, সেই সঙ্গে এটাও বলছি যে, তুই বাংলাদেশের ক্রিকেটকে যা কিছু দিয়েছিস, তা আমরা আজীবন মনে রাখব। একজন তামিম হয়ে উঠতে কতটা পরিশ্রম, কতটা সময়, কতটা মেধা আর কত ত্যাগ থাকতে হয়, তা সময় সব কিছু বুঝিয়ে দেবে।’

সবশেষে তামিমকে শুভকামনা জানিয়ে মাশরাফি আরও লিখেন, ‘তোর প্রতি রইল অফুরন্ত ভালোবাসা। পরবর্তী জীবন পরিবার নিয়ে দারুণ কাটাবি, সেই আশাই করছি। আর একটা কথা, দলের ভেতর নানা পরিসংখ্যান নিয়ে বিশ্লেষণ নির্ভর আলোচনা এখন কে করবে, ঠিক জানি না। হয়তো কেউ করবে। তবে তুই এই জায়গায় সবসময়ই থাকবি সেরাদের সেরা। গুড বাই মি. তামিম ইকবাল খান। একজন কিংবদন্তির বিদায়। বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য শুভ কামনা, এগিয়ে চলুক দুর্বার গতিতে। আমাদের এখন সামনে এগিয়ে যাওয়ার সময়।’

সূত্র: ইত্তেফাক