৪৩ বছরের ছোট বান্ধবীর সঙ্গে বাগদান সারলেন মিক জ্যাগার

৭৯ বছর বয়সে বাগদান সারলেন ‘দ্য রোলিং স্টোনস’ তারকা মিক জ্যাগার। যদিও এই রকস্টারের বান্ধবী মেলানি হ্যামরিকের বয়স মাত্র ৩৬।

গত নয় বছর ধরে প্রেম করছেন মিক ও মেলানি। অবশেষে নিজেদের সম্পর্কের পরবর্তী অধ্যায়ে সূচনা করলেন যুগল। মিক-মেলানির এমন সিদ্ধান্তে খুশি তাদের পরিবারও।

২০১৪ সাল থেকে মিক জ্যাগারের সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন মেলানি। ২০১৬ সালে মেলানির অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর সামনে এসেছিল। অষ্টমবার বাবা হয়েছিলেন মিক। আশ্চর্যের কথা হলো, মিকের প্রথম ও অষ্টম সন্তানের বয়সের ব্যবধান ৪৫ বছর।

মিক জ্যাগারের প্রথম সন্তানের নাম ক্যারিস হ্যান্ট। তার বয়স এখন ৫৩ বছর, জ্যাগারের বড় মেয়ে জেডের বয়স এখন ৫২ বছর! তবে সম্পর্কের মারপ্যাঁচে কোনোদিনই হারিয়ে যাননি মিক, বরং নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করেছেন। প্রেমিকা মেলানি ও তাদের ছয় বছর বয়সি সন্তান ডেভেরাক্স নিয়েই সুখেই কাটছিল দিন, এবার সম্পর্ককে আরও একধাপ এগিয়ে নিলেন শিল্পী।

সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে মেলানির হাতে কোটি টাকার হিরার আংটি জ্বলজ্বল করতে দেখা গিয়েছে। ঘনিষ্ঠমহলে এনগেজমেন্টের ঘোষণাও সেরে ফেলেছেন মেলানি।

জুটির এক ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, ‘তারা বাগদান সেরে ফেলেছেন। এখন তারা হবু বর-বউ। ওদের পরিবারও এই সম্পর্কে সম্মতি দিয়েছে।’

সূত্র: যুগান্তর




ভিসেল কোবেকে বিদায় জানাতে গিয়ে কাঁদলেন ইনিয়েস্তা

স্পেন জাতীয় দল বা ক্লাব বার্সেলোনাকে বিদায় জানানোর সময়ও আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা। তবে এতটা নয়, যতটা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন গত পরশু জাপানি ক্লাব ভিসেল কোবেকে বিদায় জানাতে গিয়ে! জাপানি ক্লাবটির হয়ে শেষ ম্যাচটি খেলার পর সমর্থকদের বিদায় জানাতে গিয়ে কেঁদেই ফেলেন স্পেনের ২০১০ বিশ্বকাপ ও ২০০৮ ও ২০১২ ইউরোজয়ী মিডফিল্ডার।

বিদায়ের ঘোষণাটা আগেই দিয়ে রেখেছিলেন ইনিয়েস্তা। ফলে ক্লাব ইতিহাসের সবচেয়ে বড় তারকাকে বিদায় জানাতে ভিসেল কোবের সমর্থকেরা হুমড়ি খেয়ে পড়েছিল স্টেডিয়ামে। ম্যাচের শুরু থেকেই করতালি আর স্লোগানের মাধ্যমে বিদায় নায়ককে অভিনন্দন জানাতে থাকেন দর্শক-সমর্থকরা। ভিসেল কোবের কোচ তাকাইওকি ইওশিদা শুরুর একাদশেই নামান ইনিয়েস্তাকে। তবে ৩৯ বছর বয়সী ইনিয়েস্তাকে পুরো ম্যাচ তিনি খেলাননি। ৫৭ মিনিটের সময় তুলে নেন।

মাঠ ছাড়ার সময় ইনিয়েস্তা দুই হাত নেড়ে বিদায় জানান জাপানিদের। গ্যালারির দর্শকেরাও আসন ছেড়ে দাঁড়িয়ে বিদায়ী অভ্যর্থনা জানান তাকে। স্টেডিয়ামের পরিবেশ তখন এতটাই গম্ভীর হয়ে উঠেছিল যে, বার্সেলোনার সাবেক কিংবদন্তি নিজের চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি। কান্নাভেজা কণ্ঠে শুধু একটুকুই বলেন, ‘শেষের দিকের কয়েকটা মাস আমার এবং আমার পরিবারের জন্য খুবই কঠিন ছিল। সবাইকে ধন্যবাদ।’

বয়স ৩৯ হয়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছিলো, ভিসেল কোবের হয়ে বিদায় ম্যাচ খেলেই হয়তো নিজের খেলোয়াড়ী ক্যারিয়ারের ইতি টানতেন তিনি। কিন্তু না, ইনিয়েস্তা ভিসেল কোবে থেকে বিদায় নিলেও ক্যারিয়ারের বিদায়ঘণ্টা বাজিয়ে দেননি। সেই সিদ্ধান্তের বিষয়টি ঝুলিয়ে রেখেছেন ভবিষ্যতের জন্য, ‘মাঠ থেকেই বিদায় নেওয়া এবং ক্যারিয়ারের ইতি টানার ইচ্ছা ছিল। আশা করি, এই আবেগ নিয়েই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব আমি।’

সেই সিদ্ধান্তটা কী হবে? তিনি কি আরো কিছুদিন খেলে যেতে চান? খেলে যেতে চাইলে, সেটা কোন ক্লাবের হয়ে? ভিসেল কোবের ক্যারিয়ারের যতি টানলেও ইনিয়েস্তা নতুন কোনো ক্লাবের সঙ্গে এখনো চুক্তি করেননি। কোনো ক্লাবের সঙ্গে তার চুক্তির কথাবার্তা হচ্ছে বলেও শোনা যাচ্ছে না। ২০১৮ সালে বার্সেলোনা ছেড়ে ভিসেল কোবেতে যোগ দেন তিনি। সেই থেকে দীর্ঘ পাঁচটি মৌসুম জাপানে কাটিয়ে দিলেন তিনি। এই সময়ে ক্লাবটির হয়ে ১৩৪টি ম্যাচ খেলেছেন, গোলও করেছেন ২৬টি। পাশাপাশি ভিসেল কোবেকে দুটি শিরোপাও জিতিয়েছেন।




ঝিনাইদহের শৈলকুপায় শোবার ঘরে মিলল গোখরা সাপের ২০ বাচ্চা

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় চায়ের দোকানদার মুকুল হোসেনের শোবার ঘর থেকে গোখরা সাপের ২০টি জ্যান্ত বাচ্চা উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার (৩ জুলাই) সকালে শৈলকুপা পৌরসভার মালিপাড়া থেকে মাটি খুঁড়ে একে একে সাপের বাচ্চাগুলো বের করে আনা হয়।

স্থানীয় ব্যক্তি চঞ্চল মাহমুদ জানান, খবর পেয়ে মুকুল হোসেনের বাড়িতে যাই। গিয়ে দেখি, মুকুলের টিন দিয়ে বানানো ও মেঝে মাটি দিয়ে তৈরি ঘর খনন চলছে। আর একে একে বের হচ্চে জ্যান্ত সব সাপের বাচ্চা।

চা দোকানি মুকুল হোসেন জানান, বেশ কয়েকদিন ধরে মাঝে-মধ্যে বাড়ির মেয়েরা সাপের বাচ্চা দেখতে পায়। এখানে সেখানে কিল-বিল করে বেড়ায় বাচ্চাগুলো। আবার খুব দ্রুতই কোথায় যেন হারিয়ে যায়। পর পর কয়েকবার এমন ঘটনা ঘটলে আমাদের সন্দেহ হয়। এরপর আজ সকালে থেকেই ঘরের দুই পাশের টিন খুলে মাটির মেঝে খুড়তে শুরু করি। একপর্যায়ে সাপের বাচ্চা বের হতে থাকে। তারপর শেষ পর্যন্ত ২০টি জ্যান্ত বাচ্চা পাওয়া যায়। তবে বড় কোনো সাপ পাওয়া যায়নি। এগুলোকে একটি প্লাস্টিকের বয়মে ভরে রাখা হয়েছে। পরে এলাকার ওঝা চিত্ত দাশকে খবর দেওয়া হয়। তিনি এসে জানান, এগুলো গোখরা সাপের বাচ্চা। যা খুবই বিষধর সাপ।

ওঝা চিত্ত দাশ জানান, এগুলো গোখরো সাপের বাচ্চা। বয়স কমপক্ষে ১০ দিনের মতো হবে। এগুলো আমরা এখন নিয়ে যাবো। তবে যেহেতু এদের মাকে পাওয়া যায়নি এবং বাচ্চাগুলোও খুব ছোট সেকারণে বেশিরভাগই মারা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কয়েকটা বাচ্চা বেশ বড় এরা বাঁচতে পারে। তবে মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে এগুলো যেখানে সেখানে ছাড়া যাবে না। আর আমাদের এখানে এদের ছেড়ে দেওয়ার মতো কোনো জায়গাও নেই।




ঝিনাইদহে পাটক্ষেত থেকে গলাকাটা লাশ উদ্ধার

ঝিনাইদহে পাটক্ষেত থেকে অজ্ঞাত (৩০) এক যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে সদর থানা পুলিশ।

সোমবার (৩ জুলাই) সকাল ১১টার সময় সদর উপজেলার আড়ুয়াকান্দি এলাকার রবি মিয়ার পাটক্ষেত থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহতের নাম পরিচয় মেলেনি।

ঝিনাইদহ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান বলেন, অজ্ঞাত এক ব্যক্তির গলাকাটা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কালো রঙের গেঞ্জি ও জিন্সের ফুলপ্যান্ট পরিহিত ব্যক্তির গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে এটি হত্যাকাণ্ড হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে। নিহতের নাম পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে। লাশটি আনুমানিক দুই তিন দিনের আগের হতে পারে। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের শনাক্ত করতেও কাজ শুরু হয়েছে।




গাংনীতে পারিবারিক কলহ, গৃহবধুর বিষপান

পারিবারিক কলহের জের ধরে শিমা আক্তার (২০) নামের এক গৃহবধু বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন। শিমা আক্তার গাংনী উপজেলার সাহারবাটি গ্রামের শরিফুল ইসলামের স্ত্রী।

শিমা আক্তার বর্তমানে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

স্থানীয়রা জানান, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে আজ সোমবার সকাল ৮ টার দিকে বিষপান করে ওই গৃহবধু। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক মাসুদ জানান, শিমা আক্তারের অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তার অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে।




গাংনীতে প্রেমিকার আত্মহত্যার খবরে প্রেমিকেরও বিষপান

প্রেমিকা রুবিনার আত্মহত্যার খবর শুনে প্রেমিক রিংকুও বিষপান করে হাজির হলেন মৃত প্রেমিকার বাড়িতে। প্রেমিক রিংকুকে পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে প্রথমে বামন্দীর স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ও পরে সেখান থেকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। তার অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে।

আজ সোমবার (৩ জুলাই) সকাল ৯ টার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে গাংনী উপজেলার ব্রজপুর গ্রামের ঈদগাঁহ পাড়ায়।
রুবিনা খাতুন গাংনী উপজেলার কাজিপুর ইউনিয়নের ব্রজপুর গ্রামের ঈদগাঁহ পাড়ার রবিউল ইসলামের মেয়ে। রিংকু একই উপজেলার দেবিপুর গ্রামের ফইমদ্দিনের ছেলে। সে একজন গার্মেন্টস ব্যবসায়ী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঈদুল আযহার আগের দিন রুবিনা খাতুনের বিয়ে হয় কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার নাটনাপাড়া গ্রামের সৈকত আলীর ছেলে সবুজের সাথে।
ঈদের পর দিন স্বামী সহ রুবিনা খাতুন মায়ের বাড়িতে অষ্টমঙ্গলে আসে। বিয়ের ৫ দিনের মাথায় আজ সোমবার সকালে রুবিনা নিজ কক্ষের আড়ের সঙ্গে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে।

রুবিনার আত্মহত্যার খবর শুনে দেবিপুর গ্রামের ফইমদ্দিনের ছেলে রিংকুও বিষপান করে রুবিনার বাড়িতে এসে হাজির হন।
জানা গেছে, রুবিনা তার নানা বাড়ি দেবিপুর গ্রামে থেকে লেখাপড়া করতো। রিংকুর কাছে প্রাইভেট পড়ার সূত্র ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি জানা জানি হলে রুবিনার পরিবারের লোকজন তাকে নিয়ে জোর করে বিয়ে দেন। বিয়ে মেনে না নিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানান স্থানীয়রা।

তবে রুবিনার মা সুমাইয়া খাতুন বলেন, আমার মেয়ে হঠাৎ করেই আত্মহত্যা করেছে। রিংকুর সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল কিনা আমরা আমরা কিছুই জানিনা।

খবর পেয়ে ভবানীপুর পুলিশ ক্যাম্পের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।




আলমডাঙ্গার পাঁচলিয়ায় গলাঁয় ফাঁস লাগিয়ে নারীর আত্ন*হত্যা

আলমডাঙ্গার পাঁচলিয়া গ্রামে ডলি খাতুন (৪২) নামের এক গৃহবধু গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। প্রচন্ড অনলাইন জুয়ায় আসক্ত ছেলেকে শাসন না করায় স্বামীর উপর অভিমান করে গৃহবধু আত্মহত্যা করেছেন বলে গ্রামবাসী জানিয়েছেন।

আজ রবিবার দুপুরের দিকে জামজামি ইউনিয়নের বিল পাঁচলিয়া গ্রামের এ ঘটনা ঘটে। নিহত ডলি খাতুন পাঁচলিয়া গ্রামের গোলাম রসুলের স্ত্রী ও দুই সন্তানের জননী।

স্থানীয়রা জানান, গোলাম রসুলের স্ত্রী ডলি খাতুনের দীর্ঘদিন সাংসারিক ঝামেলা চলে আসছে। স্বামী ঢাকায় থাকেন। বাপের অবর্তমানে একমাত্র ছেলে বখে যায়। নেশাসক্ত ও অনলাইন জুয়ায় আসক্ত হয়ে পড়ে। স্বামী ঈদে বাড়ি আসলে এ নিয়ে বিতন্ডা হয় স্বামী স্ত্রীর মধ্যে। ছেলেকে শাসন না করে গোলাম রসুল ঢাকাতে ফিরতে চাইলে স্ত্রীর সাথে বিরোধ বাঁধে। বিরোধ নিয়েই শনিবার দিনগত রাতে স্বামী স্ত্রীতে বেডে যান। ভোর রাতে কোন এক সময় স্ত্রী ঘর থেকে বের হয়ে পুকুর পাড়ে অবস্থিত মুরগির সেডে গিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।

দুপুরে মাঠ থেকে ফেরার সময় গ্রামের কয়েকজন ডলি খাতুনের লাশ ঝুলতে দেখেন।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশে পৌছে সুরতহাল রিপোর্ট সংগ্রহ করে। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।




চারুলিয়া শেখপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেলিম খান লাভলুর বিদায়ী সংবর্ধনা

টানা ৩১ বছরের মায়া মমতা ছিন্ন করে বিদায় সংবর্ধনা গ্রহণ করলেন দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদহ ইউনিয়নের চারুলিয়া শেখপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেলিম খান লাভলু(৬৫)। তিনি চারুলিয়া গ্রামের মৃত লুৎফর রহমানের ছেলে। জানা গেছে আজ বিকাল ৪ টার দিকে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে এ বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নুর আলম মনির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাটুদহ ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফির বক্তব্য বলেন এ বিদায় সে বিদায় নয় হয়তো ভালো কিছু পাবার আশায় এ বিদায় নিতে হয়। দীর্ঘদিন একসাথে চলাফেরার পথে অনেক ভালোবাসার জন্ম হয়। সেসব ভালোবাসা ছিন্ন করে বিদায় লগনে কষ্টের সামিল হতে হয়। আরও বলেন ১৯৯২ সালে স্থপতি কাল থেকে তিল তিল করে সৌন্দর্যের প্রতীক হিসেবে গড়ে তুলেছে বিদ্যালয়টি।

বিদায়ী প্রধান শিক্ষক সেলিম খান লাভলু জানান, ৩১ বছর দায়িত্বরত জীবনে আমার হাত দিয়ে মানুষের মতো মানুষ বানিয়েছি অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী। তার পাশাপাশি বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক শিক্ষিকাদের মায়া ত্যাগ করে বিদায় নিতে অনেকটাই কষ্ট হচ্ছে।

আরও বলেন নতুন প্রধান শিক্ষক নিয়োগ না হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করবেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হারুনর রশিদ খান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়টির সাবেক সভাপতি আবুল কাশেম, সহকারী শিক্ষক মাহফুজুর রহমান খান, কাজী মাসুদ হক, মুসলিমা খাতুন, কানিজ ফাতেমা,সাবেক ছাত্র মুফতি ইকরামুল হক সুজন, লিজন খান সহ গোটা গ্রামবাসী। বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনায় ছিলেন পরাণ শেখ।




দামুড়হুদায় আদর্শ কৃষক সমবায় সমিতির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি আদর্শ কৃষক সমবায় সমিতির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। আজ বিকাল ৫টার দিকে কুড়ুলগাছি ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে একাধিক বার স্বর্ণপদক প্রাপ্ত কুড়ুলগাছি আদর্শ কৃষক সমবায় সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কুড়ুলগাছির কৃতি সন্তান, উক্ত সমিতির প্রধান উপদেষ্টা কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ নেতা, দৈনিক আমার সংবাদ ও ডেইলি পোস্ট পত্রিকার সম্পাদক হাশেম রেজা।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, আমার শরীরে একবিন্দু রক্ত থাকতে এই ঐতিহ্যবাহী কৃষক সমিতির কোন ক্ষতি হতে দিবো না। ঋণে জর্জরিত সমিতির সকল সদস্যদের দেনা পাওনা আমি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে পরিশোধ করে, হাজার হাজার কৃষকের মুখে হাসি ফুটাবো, আমি এই মাটির সন্তান, আমি এলাকার প্রতিটি মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে আছি থাকবো আজীবন। আমি চাই প্রায় অর্ধশত বছরের পুরনো এই কৃষক সমিতি আবারো রাষ্ট্রিয় স্বর্ণপদক প্রাপ্ত সমিতির মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখুক।

অল্প খরচে সেচ ব্যবস্থার মাধ্যমে চাষীরা জমিতে ফসল ফলিয়ে সোনালী ফসল ঘরে তুলুক, আমি কৃষকদের মুখে হাসি ফুটাতে চাই, এটাই আমার জীবনের বড় প্রাপ্তি ও তৃপ্তি হয়ে থাকবে।

উক্ত সাধারণ সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাকিম, আবু হানিফ, উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য মিন্টু তরফদার, নাসির উদ্দীন সহ স্থানীয় সুধী জন, সমিতির নির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, সাধারণ সদস্য, বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার সাংবাদিক প্রমুখ।

উল্লেখ্য প্রায় অর্ধশত বছরের পুরনো কুড়ুলগাছি আদর্শ কৃষক সমবায় সমিতিটি কয়েক বছর ধরে একটি দুষ্ট চক্রের কবলে পরে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা লোকসানের কবলে পরে সমিতিটিতে নানান অনিয়ম ও দূর্নীতির কবলে পরলে বর্তমান কমিটি হাশেম রেজাকে প্রধান উপদেষ্টা করার পর পরই নিজের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে অর্থ সহযোগিতা করেন, এবং সমিতি সফলতার দিকে এগুতে থাকে। কিন্তু একটি দুষ্ট চক্র সকল সময় বিভিন্ন ভাবে চক্রান্ত চায়িয়ে যাচ্ছে জানান সমিতির সভাপতি সহ একাধিক সদস্য। অপরদিকে সমিতির সাধারণ সভা পন্ড করতে কয়েকবার উক্ত দুষ্ট চক্রটি হামলা চালাতে গেলেও হাশেম রেজার দৃঢ় মনোবল ও জনসমর্থনের রোষানলে পরে সভাস্থল ত্যাগ করেন।

সভা শেষে কুড়ুলগাছি আদর্শ কৃষক সমবায় সমিতির সকল সদস্যের মাঝে নগদ ১০০০/ (এক হাজার) টাকা করে দেন উক্ত সমিতির প্রধান উপদেষ্টা হাশেম রেজা।




আলমডাঙ্গায় একদিনের ব্যবধানে কাঁচামরিচের দাম কমেছে ১২০ টাকা

ঈদের ছুটি শেষ হতেই কাঁচা মরিচের দাম খুচরা বাজারে কমতে শুরু করেছে। একদিনের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম বাজারে প্রতি কেজিতে ১২০ টাকা কমেছে। একদিন আগেও শনিবার প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ পাইকারি ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হয়।

আজ রবিবার দাম কমে ৩৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিন দুপুরে আলমডাঙ্গা পৌর কাঁচাবাজার ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে।

স্থানীয়রা জানায়, গত ১ সপ্তাহ হু-হু করে বেড়েই চলেছে কাঁচা মরিচের দাম। গত সপ্তাহের বুধবার ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয় কাঁচা মরিচ। ঈদের ছুটি ও চাহিদা বাড়ায় প্রত্যেক দিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ে দাম । বাজার মনিটরিয়ের কোন ব্যবস্থা না থাকায় এমন ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে ক্রেতাদের । শনিবার পর্যন্ত আলমডাঙ্গা পৌর কাঁচামালের দোকান গুলোতে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ৫০০ টাকা কেজি। একদিনের মধ্যেই রবিবার ১২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ টাকায়।

পৌর শহরের কাঁচা-মাল বিক্রেতা আনোয়ার হোসেন বলেন, ঈদুল আজহার দুদিন আগেই হঠাৎ কাঁচামরিচের চাহিদা বেড়ে যায়। অনেক কৃষক গবাদিপশু বিক্রিতে ব্যস্ত থাকায় উৎপাদন কম হয়। একারণে আকাশ চুম্বী দাম পৌছাই কাঁচামরিচের।

বিক্রেতা নায়েব আলী জানান, ঈদের ছুটি শেষ হতেই কাঁচা ঝাঁলের দাম কমতে শুরু করেছে। বাজারে স্থানীয় কৃষকের উৎপাদিত সবজি ও কাঁচামরিচ মিলছে। শনিবারের তুলনায় অনেকটা দাম কমেছে। তবে, আগামি দিনগুলোতে কাঁচামরিচ সহ সবজির দাম আরো কমার আশা করছে ব্যবসায়ীরা।

বাড়াদী ইউনিয়নের অনুপনগর গ্রামের কৃষক আজগার আলী জানান, এবছর ১ বিঘা জমিতে ঝাঁল চাষ করছি। অনাবৃষ্টি ও তীব্র দাবদহে ১০ কাঠা জমির ঝাঁল গাছ মারা গেছে। কোরবানির পশু নিয়ে ব্যস্ততায় কেউ ফসলের খোঁজ রাখতে পারেনি। ঝাঁলের দাম বেড়েছে ১০ গুন। এঅঞ্চলের সকল কৃষকই গাছ থেকে এখন ঝাঁল সংগ্রহ করছে।

আলমডাঙ্গার বৃহত্তর ব্যবসায়ী সংগঠন বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন জানান, নিয়মিত কাঁচা-বাজার আড়ৎদার ও ব্যবসায়ীদের সাথে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। ঝাঁল সহ উর্ধমূখী সবজির দাম নিয়ন্ত্রণ রাখতে কাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বর্তমানে চাহিদার তুলনায় বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঝাঁল ওসবজি সরবরাহ রয়েছে। এতেই দাম নিম্নমূখী।

আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহি অফিসার স্নিগ্ধা দাস বলেন, কাঁচামরিচ সংকটের কারণে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হবে। সরকারের পক্ষ থেকে ঝাঁল আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে। আশানুরূপ দ্রুত বাজার দর স্বাভাবিক হয়ে আসবে।