ঝিনাইদহে  ১০ গ্রেডে বেতনের দাবীতে ডিপ্লোমা সার্ভেয়ারদের কর্মবিরতি

১০ম গ্রেডে বেতনের দাবীতে কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছেন বৈষম্যবিরোধী সার্ভে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ছাত্র-পেশাজীবী অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ। আজ বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সকালে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ কর্মবিরতি পালন করেন তারা।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, ১০ গ্রেডে বেতনের দাবীতে ৬৪ জেলার সকল ডিপ্লোমা সার্ভেয়াররা কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করছেন বৈষম্যবিরোধী সার্ভে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ছাত্র-পেশাজীবী অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ।

এর ধারাবাহিকতায় ঝিনাইদহের বৈষম্যবিরোধী সার্ভে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ছাত্র-পেশাজীবী অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদও কর্মসুচী পালন করেন। আজ সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত ৩ য় দিনের মতো ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ কর্মবিরতি পালন করেন তারা।

আন্দোলনকারীরা বলেন, উচ্চ আদালতের আদেশ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সুপারিশ এবং গেজেটের আলোকে সার্ভে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের পদটিকে দ্বিতীয় শ্রেণীর মর্যাদায় উন্নীত করে ১০ম গ্রেডে বেতন বাস্তবায়নের দাবী তাদের। এ দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন কর্মসুচী থেকে।

কর্মসূচিতে ছিলেন, ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কর্মরত সার্ভেয়ার আ: রহিম, কোটচাঁদপুর ভূমি অফিসের মরতুজ আলী, মনিরুল হক, উন্নয়ন বোর্ডের সার্ভেয়ার আ: বাতেন, এলজিইডির সার্ভেয়ার আতিকুর রহমান, সড়ক বিভাগের সার্ভেয়ার সোহেল রানা, সার্ভয়ার ইজাজুল ইসলাম, নাজমুল হাসান সোহেল, রিয়াজুল ইসলাম, সাজ্জাদ হোসাইন শুভ, সজিব আহমেদ, পানিখাইরুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল মামুন।

গেল ১ অক্টোবর থেকে আন্দোলনকারী এ কর্মসুচী পালন করে আসছেন। একই দাবীতে বাংলাদেশের ৬৪ টি জেলায় এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।




চুয়াডাঙ্গায় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতিসহ ৭৭ জন নামে সদর থানায় মামলা

চুয়াডাঙ্গায় ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী হাসনা জাহান খুশবু বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

এ মামলায় চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিককে প্রধান আসামি করে ৭৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও অজ্ঞাত আরও ১৪০-১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে অন্যতম আসামিদের মধ্যে রয়েছেন-চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জানিফ, সাবেক সহ-সভাপতি শাহাবুল হক, চুয়াডাঙ্গা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহবায়ক ও সাবেক পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু, সাবেক পৌর কাউন্সিলর মাফিজুর রহমান মাফি, ছাত্রলীগ নেতা সোয়েন রিগান, ইমদাদুল হক আকাশ ও চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি আফরোজা পারভিন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে গত ৪ আগস্ট চুয়াডাঙ্গায় আন্দোলনে নামে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।

এসময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা দেশীয় ধারালো অস্ত্র রাম দা, হাতকুড়াল, হকিস্টিক ও জিআই পাইপ দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। ওই সময় তাদের আঘাতে তিন নারী শিক্ষার্থী মারাত্মকভাবে জখম হন। পরে তারা ককটেল বিষ্ফোরণ করে চলে যায়। এ ঘটনার প্রায় দুই মাস পর চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মামলা দায়ের করলেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হাসনা জাহান খুশবু।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় একটি মামলা রেকর্ড হয়েছে। দ্রুতই আসামিদের গ্রেফতার করা হবে বলে তিনি জানান।




মিঞা জিন্নাহ আলম কলেজের সাবেক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আবারও তদন্তের নির্দেশ

ঝিনাইদহের শৈলকুপার মিঞা জিন্নাহ আলম ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে আবারও তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক। কলেজের ইংরেজির প্রভাষক কোহিনুর আক্তারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২৪ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার নওশীনা আরিফ স্বাক্ষরিত এক পত্রে এই নির্দেশ দেওয়া হয়।

প্রভাষক কোহিনুর আক্তারের অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, ২০১৪ সালের ৭ আগস্ট তাকে কলেজের বিএম শাখায় ইংরেজি প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এসময় কলেজের উন্নয়ন ফান্ডে দেওয়ার কথা বলে কোহিনুর আক্তারের কাছ থেকে ৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকা নেন অধ্যক্ষ তরিকুল ইসলাম। যার মধ্যে ৭৫ হাজার টাকা, অধ্যক্ষ নিজের একাউন্টে নেন। ২০১৫ সালে বিএম শাখা থেকে সাধারণ শাখায় স্থানান্তর করার জন্য ৫ লাখ ও কলেজ জাতীয়করণের নাম করে আরও ২ লাখ টাকা নেন অধ্যক্ষ তরিকুল ইসলাম।

ব্যাক ডেটের রেজুলেশন ও কাগজপত্র তৈরি করে ২০২১ সালে মোটা টাকার বিনিময়ে কোহিনুর আক্তারকে বাদ দিয়ে ইংরেজির প্রভাষকসহ ৩ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয় । এই ঘটনায় শৈলকুপা সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা করেন কোহিনুর আক্তার। আদালত অধ্যক্ষ তরিকুল ইসলামের বেতন-ভাতা তোলায় নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন। কোহিনুর আক্তারের দায়ের করা হাইকোর্টের একটি মামলায় এই তিন শিক্ষকের নিয়োগ অবৈধ বলে ঘোষিত হয়। এর পর তরিকুল ইসলাম কোহিনুর আক্তারকে স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে প্রাণ নাশের হুমকি দিতে থাকে। এদিকে সিআর ৩৮৮/২১ মামলায় তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হলে শিক্ষানীতি মালা অনুযায়ী তরিকুল ইসলামকে বরখাস্ত করার নিয়ম থাকলেও সভাপতি মেরিনা খাতুন তাকে বরখাস্ত করেননি।

বিভিন্ন মামলায় অধ্যক্ষ তরিকুল ইসলাম দোষি সাব্যস্ত হওয়ার ভয়ে দ্রুত কল্যাণ ভাতা ও অবসর ভাতা উত্তোলনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাকে সহযোগিতা করছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ভরত কুমার লস্কার ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি। এদিকে আরও অভিযোগ রয়েছে, ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলেও উমেদপুর ইউপির চেয়ারম্যান সাব্দার হোসেন মোল্লা মিথ্যা তথ্য দিয়ে এই কলেজের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন এই অধ্যক্ষ তরিকুল ইসলামের যোগসাজসে।

সাব্দার হোসেন মোল্লা ও তার পরিবার এবং অধ্যক্ষ মিলে এই কলেজের বিভিন্ন খাত থেকে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি করেছেন। এলাকাবাসী তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছেন।




দর্শনায় প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দীনের বিরুদ্ধে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা আত্নসাতের অভিযোগ

চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা মেমনগর বিডি মাধ্যামিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দীনের বিরুদ্ধে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা আত্নসাতের অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলি তদন্ত ও নিরিক্ষা করে শাস্তি মৃলক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি তুলেছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

উল্লেখিত অভিযোগের মধ্যে রয়েছে মেমনগর বিডি মাধ্যামিক বিদ্যালয়ের সভাপতি এমপি আলী আজগার টগরের সহোদর সাবেক দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবুর যোগসাজশে এসব দূর্নীতি করেছে বলে অনুলিপি দিয়েছে ৫ জায়গায়। এ সব দূর্নীতির মধ্যে রয়েছে নগদ প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকাসহ বিভিন্ন খাত থেকে লাখ লাখ টাকা আত্নসাতের অভিযোগ। অভিযোগে আরও বলা হয়েছে বিদ্যালয়ের কেনা কাটায় অধিক মৃল্য বাড়িয়ে বিল ভাউচার তৈরি করে এবং বিদ্যালয়ের ৪ তলা ভবন নির্মানকালে ৬৪টি সিসি ক্যামেরা ক্রয় শতবর্ষ উৎযাপন উপলক্ষে খরচসহ লক্ষ লক্ষ টাকা আত্নসাত করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এছাড়াও প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দীন আহম্মেদ স্কুলের কম্পিউটার আত্মসাৎ করেছে। প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দিন আহম্মেদ তৎকালীন চুয়াডাঙ্গা ২ আসনের আওয়ামীলীগের সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগার টগরের সহপাটি পরিচয়ে প্রধান শিক্ষক হিসাবে নিয়েগ পায় এবং ঐদ্ধত্যপৃর্ন আচারন করে শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করে।

এ সব অর্থ আত্নসাতের ঘটনায় গতকাল বুধবার সকাল ১১ টার দিকে ছাত্র ছাত্রীরা মানববন্ধন করেছে। এ মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দীনের পদত্যাগ দৃর্নীতিবাজ শিক্ষককে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি তদন্ত পৃর্বক দীর্ঘদিনের দৃর্নিতির তদন্ত করে প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দীনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জোর দাবি তোলা হয়েছে।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দীনের সাথে যোগাযোগ করা হলে মোবাইল ফোনটি দুইদিন ধরে বন্ধ পাওয়া যায়।




বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

পর্দা উঠলো নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের। উদ্বোধনী ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশের মেয়েরা। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজায় টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন টাইগ্রেস অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।

এবারের আসরটি বাংলাদেশে হওয়ার কথা থাকলেও দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরিবর্তন করা হয় ভেন্যু। যার কারণে টুর্নামেন্টটি অনুষ্ঠিত হবে সংযুক্ত আবর আমিরাতে।

২০১৪ সালের পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জয়শূন্য বাংলাদেশের মেয়েরা। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে সেই জয়খরা কাটাতে চায় টাইগ্রেসরা। ম্যাচের আগে অধিনায়ক জ্যোতি বলেছিলেন, ‘আমরা যতগুলো বিশ্বকাপ খেলেছি, নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০১৪ ছাড়া বলার মতো তেমন বলার কিছু করতে পারিনি। আমাদের জন্য এটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এজন্য যে, আমরা চাই যেন এই বিশ্বকাপটা মনে রাখার মতো হয়। এটা খুবই হতাশাজনক। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, এই দুঃখ এবার ঘোচাতে পারব। যেন আমাদের এই দুঃখ আর না থাকে। শুরুটা করতে চাই স্কটল্যান্ডের ম্যাচ দিয়েই।’

বাংলাদেশ একাদশ: নিগার সুলতানা জ্যোতি (অধিনায়ক), মারুফা আক্তার, সাথী রানী, মুর্শিদা খাতুন, রিতু মণি, নাহিদা আক্তার, তাজ নিহার , সুবহানা মোস্তারি, ফাহিমা খাতুন, স্বর্না আক্তার, রাবেয়া খান।

সূত্র: ইত্তেফাক




দর্শনায় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি সোলায়মান গ্রেফতার

দর্শনা থানা পুলিশ ঝটিকা অভিযান চালিয়ে এজাহার ভুক্ত আসামী ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি সোলায়মানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

আজ বৃহস্পতিবার ভোরে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার সাহার নেতৃত্বে, অভিযান চলায় দর্শনা পৌরসভার রামনগর গ্রামে।

এ সময় পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে দর্শনা পৌরসভার রামনগর গ্রামের ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি এজাহার ভুক্ত আসামি আফছার আলীর ছেলে সোলায়মানকে (৫২) গ্রেফতার করে।

উল্লেখ্য গত ২৬ আগষ্ট দর্শনা পরানপুর গ্রামের জহির উদ্দিনের ছেলে রবিউল ইসলাম রবি বাদি হয়ে দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবুসহ আওয়ামীলীগের ৬৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। এ মামলায় এজাহার ভুক্ত আসামী সোলায়মানকে গ্রেফতার করে।

আজ বৃহস্পতিবার তাকে এ মামলায় চুয়াডাঙ্গা কোর্ট হাজতে প্রেরন করেছে।




দর্শনায় কেরুজ শ্রমিকদের মানববন্ধন

বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন (বিএসএফআইসি) রাষ্ট্রয়ত্ত চিনিকল সমৃহকে যুগোপযোগী করতে চিনি শিল্পের কৃষি বিভাগকে রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে দর্শনা কেরুজ শ্রমিকরা মানববন্ধন করেছে।

আজ বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সকাল ১১ টার দিকে দর্শনা কেরুজ জেনারেল অফিসের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়। এ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে কেরু এ্যান্ড কোম্পানীর জি এম কৃষি আশরাফুল আলম ভৃইয়া, ডি জি এম সম্প্রসারণ মাহবুবুর রহমান, কেরুজ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি তৈয়ব আলী, সাবেক সাধারন সম্পাদক মনিরুল ইসলাম পিন্স সিডিএদের সমন্বয়ক সাহেব আলী শিকদার, সিডি এ এ এস এম কবির, সাইফ উদ্দীন, মাঈন উদ্দীন আহম্মেদ, সাকী মাহমুদ, আঃ কাদের, মইনুর রহমান শাওন, শরিফুল ইসলাম, সোহেল রানা, আরিফুর রহমান, জুলফিকার আলী, সাইফুল্লাহ, মুকুল হোসেন, আসাদুজ্জামান, দেলোয়ার হোসেন, মাহবুবুর রহমান, ফরহাদ খান, জাহাঙ্গীর হোসেন।

এ মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, চিনিশিল্পকে লাভবান খাতে নিয়ে যেতে হলে কৃষি বিভাগকে রাজস্ব খাতে নিয়ে যেতে হবে। এ দাবি আমাদের যৌতিক দাবি। এ দাবি না মানলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবো।বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের অধীনস্থ চিনিকল সমূহের কৃষি বিভাগকে রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। কৃষি বিভাগকে শিল্প মন্ত্রণালয় হতে স্থানান্তর করে কৃষি মন্ত্রণালয়ে আওতাভুক্ত করতে হবে। কৃষি বিভাগকে কর্মরত কৃষিবিদ ডিপ্লোমাসহ সকল ইক্ষু উন্নয়ন সহকারী সিডিএ সি আইসিদের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অন্তর্ভুক্ত করে ইক্ষু সম্প্রসারণ উইং গঠন করতে হবে।এ মানববন্ধন অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা ও সমাপ্তি করেন সমন্বয়ক ও সিডিএ হারিজুল মেম্বার।




মুজিবনগরে চাঁদাবাজি মামলায় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতিসহ ৫ জন আটক

মুজিবনগরে চাঁদাবাজি মামলায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতিসহ ৫ জনকে আটক করেছে মুজিবনগর থানা পুলিশ।

আজ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মুজিবনগর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে খোরশেদ আলমের দায়েরকৃত চাঁদাবাজি মামলায় আসামীদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন, মুজিবনগর উপজেলা ছাত্রলীগের (সাবেক) সভাপতি মহাজনপুর গ্রামের আ:সাত্তারের ছেলে হেলাল উদ্দীন লাভলু, বিশ্বনাথপুর গ্রামের আইয়ুব আলী ছেলে আব্দুস সালাম,  একই গ্রামের মৃত মকছেদ মন্ডলের ছেলে বাহালুল ইসলাম, দারিয়াপুর গ্রামের মৃত আমিন উদ্দিনের ছেলে জিয়ারুল ইসলাম এবং কোমরপুর গ্রামের আলিহিম মন্ডলের ছেলে আজিজুল হক ভটু।

ভুক্তভোগী খোরশেদ আলম ২৭ জনের নাম উল্লেখসহ আরো অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনকে আসামি করে ২ তারিখ বুধবার দিবাগত রাতে মুজিবনগর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গোপালপুর গ্রামের খোরশেদ আলমের বামনপাড়া বাজারে রফিক কার ওয়াশ ও ভলকানাইজিং ওয়ার্কসপ ছিল। টাকার প্রয়োজনে ওয়ার্কসপটি গত এপ্রিল মাসের ২৫ তারিখে খোরশেদ আলম বামন পাড়া গ্রামের মৃত মোকসেদ মির এর ছেলে মারুর নিকট ১৮ লাখ টাকায় বিক্রি করে। এই বিষয়টি আসামিগণ জানতে পেরে গত এপ্রিল মাসে ৩০ তারিখ আনুমাসিক রাত আটটার দিকে মামলায় উল্লেখিত আসামিগণ সহ আরো ২০-২৫ জন অজ্ঞাতনামা লোক বিভিন্ন দেশিও অস্ত্র ও অবৈধ আগ্নেয় অস্ত্র সহ খোরশেদ আলমের বাড়িতে ঢুকে তাকে ঘিরেধরে হত্যার হুমকি দিয়ে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে। প্রাণ ভয়ে খরশেদ আলম ঘরে থাকা ৫ লক্ষ টাকা আসামিদের দিয়ে দেয়। ৫ লক্ষ্য টাকা পেয়ে আসামিগণ এক সপ্তাহের মধ্যে বাকি ৫ লক্ষ টাকা পরিশোধ না করলে তাকে খুন করা হবে বলে হুমকি প্রদান করে চলে আসে। সেই সময় ঘটনার বিষয়ে খোরশেদ আলম মুজিবনগর থানায় এটি অভিযোগ দায়ের করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ অজ্ঞাত কারণে অভিযোগটি গ্রহণ করেনি। একথা জানতে পেরে পুনরায় আসামিগণ খোরশেদ আলম কে হত্যার হুমকি দিলে তিনি প্রান ভয়ে আদালতেও মামলা করেনি। বর্তমানে রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হওয়ার কারণে ন্যায় বিচার পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় তিনি এই মামলা দায়ের করেন বলে তিনি প্রতিবেদক কে জানান।

এ বিষয়ে মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল আলম জানান, খোরশেদ আলমের দায়েরকিত মামলায় অভিযান চালিয়ে এজাহার ভুক্ত আসামীদের গ্রেফতার করে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।




চার ব্যবসায়ীকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা, বিভিন্ন মেয়াদে সাজা

মেহেরপুরে ভেজাল গুড় বিক্রির অভিযোগে চার গুড় ব্যবসায়ীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও জরিমানা করেছে বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত।

আজ বুধবার (২ অক্টোবর) বিকালের দিকে মেহেরপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক বেগম শারমিন নাহার এই রায় দেন।

এরা হলেন, গাংনী উপজেলার বামন্দী বাজার এলাকার আবু বক্করের ছেলে ও মের্সাস ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকার হাবিবুর রহমান, আলিমুদ্দিনের ছেলে আবু বক্কর, গাংনী উপজেলার রামনগর গ্রামের আবু মণ্ডলের ছেলে দুলাল হোসেন ও কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা দৌলতখালী গ্রামের হেরেজ মন্ডলের ছেলে জিয়াউর রহমান জিয়া।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেহেরপুর সদর উপজেলা স্যানেটারি ইন্সপেক্টর তারিকুল ইসলামের নেতৃত্বে মেহেরপুর শহরের ওয়াবদা সড়কে ও শহরের স্টেডিয়ামপাড়া এলাকার গুড়ের আড়তে পৃথক অভিযান চালিয়ে উৎপাদনের তারিখ ও মেয়াদবিহীন ৪০ টিন গুড জব্দ করেন। পরে এ ঘটনায় ওই সময়ে বিশুদ্ধ খাদ্য আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়, এবং জব্দকৃত গুড় রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।ঢাকাতে পরীক্ষা নিরীক্ষা পর ওই গুড়ে ভেজাল প্রমাণিত হয়েছে।

এঘটনায় বিজ্ঞ আদালত বিশুদ্ধ খাদ্য আইন ২০১৩ এর ৩/৪ এর ২৬ ধারায় দোষ স্বীকার করায় গুড় ব্যবসায়ী আবু বক্করকে ১ বছর কারাদণ্ড এবং ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা, অনাদায় আরো ১ বছরের কারাদণ্ড ও একই আইনের ৪১ ধারায় ১ লক্ষ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের জেল, হাবিবুর রহমানকে ২/২৪ এর ২৬ ধারায় ১ বছরের জেল, ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা, অনাদায় আরো ১ বছরের জেল ও ৪১ ধারায় ১ লক্ষ টাকা জরিমানা, অনাদায় আরো ৬ মাসের জেল, আবু বক্করকে ৩ লক্ষ টাকা জরিমান, অনাদায়ে ১ বছরের জেল ও ৪১ ধারায় ১ লক্ষ টাকা জরিমানা, অনাদাযে আরো ৬ মাসের জেল এবং দুলালকে ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১ বছরে জেল ও ৪১ ধারায় ১ লক্ষ টাকা জরিমানা ৬ মাসের জেল দেওয়া হয়।

এছাড়া অপর আসামি জিয়াউর রহমান জিয়াকে একই আইনের ২৬ ধারায় ৩ লক্ষ টাকা জরিমান, অনাদায়ে ১ বছরের জেল ও ৪৩ ধারায় ১ লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসে জেল দেওয়া হয়েছে।
এসময় মেহেরপুর সদর উপজেলা স্যানেটারী অফিসার তরিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।




গাংনীতে আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস পালিত

“সংঘাত নয় ঐক্যের বাংলাদেশ গড়ি” শ্লোগান নিয়ে গাংনীতে আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস-২০২৪ উপলক্ষ্যে মানববন্ধন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বুধবার সকাল ১০ টার সময় মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের গাংনী উপজেলা পরিষদ গেটের সামনে দি হাঙ্গার প্রজেক্টের গাংনী এরিয়া অফিসের সহায়তায় পিস ফ্যাসিলেটর গ্রুপ (পিএফজি) এই মানববন্ধন ও সমাাবেশের আয়োজনে।

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন পিএফজির গাংনী উপজেলার শাখার সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক।

পিএফজির সদস্য ও করমদি ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম পল্টুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে জাতীয় কন্যা শিশু এ্যাডভোকেসী ফোরামের মেহেরপুর জেলা শাখার সভাপতি শিক্ষাবিদ সিরাজুল ইসলাম, গাংনী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা জুলফিকার আলী ভুট্টো, জাতীয় পাটির গাংনী উপজেলা শাখার সভাপতি কিতাব আলী বিএসসি, গাংনী প্রেসক্লাবের সভাপতি তৌহিদ উদ দৌলা রেজা, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলম, দি হাঙ্গার প্রজেক্টের গাংনী এরিয়া সমন্বয়কারী হেলাল উদ্দীন।

মানববন্ধনে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন), পিএফজি ও ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গারের সদস্যসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পিস ফ্যাসিলেটর গ্রুপ (পিএফজি)’র সমন্বয়কারী সাংবাদিক রফিকুল আলম বকুল।

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ১৫-ই জুন জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ২ অক্টোবর কে বিশ্বে, শান্তি, সহিষ্ণুতা, সহানুভূতিশীলতা এবং অহিংসার সংস্কৃতি সুরক্ষিত করতে আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস হিসেবে ঘোষনা করা হয়। এরপর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দিবসটি উৎযাপিত হয়ে আসছে। “সংঘাত নয় ঐক্যের বাংলাদেশ গড়ি ” শ্লোগানকে সামনে রেখে ২০১৭ সাল থেকে পিস ফ্যাসিলেটর গ্রুপ (পিএফজি)’র মাধ্যমে সারাদেশে আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস পালন করে আসছে দি হাঙ্গার প্রজেক্ট। এরই ধারাবাহিকতায় পিএফজি, সুজন ও ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গারসহ বিভিন্ন সংগঠনের অংশগ্রহণে মানববন্ধন ও শান্তি পদযাত্রাসহ বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে এ বছর দেশব্যাপী উৎযাপিত হচ্ছে।