মেহেরপুরে কোরবানির ঈদ বাজারে দেশীয় অস্ত্রের দামবৃদ্ধি
ঈদুল আজহা আমাদের দোরগোড়ায়। ঈদকে ঘিরে বেশ ভীড় জমছে দেশীয় অস্ত্র বিক্রির দোকানগুলোতে। কোরবানির পশু জবাই এবং মাংস কাটার জন্য ব্যবহৃত হবে চাপাতি, হাঁসুয়া, চাকু, বটি, ছুরি, ছোট’দা সহ বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র। ক্রেতাদের ভীড়ের মধ্যে দেশীয় অস্ত্রগুলোর দামও দ্বিগুন বৃদ্ধি পেয়েছে।
গ্রামের কামারশালায় এখন আর তেমন একটা ভীড় নেই। বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হচ্ছে লোহার তৈরি দেশীয় অস্ত্র। স্বল্প সময়ে ঝামেলা ছাড়াই এসব দেশীয় অস্ত্র ক্রয় করছেন ক্রেতারা। কোরবানির পশু জবাই ও মাংস কাটার জন্য ছোট’দা, চাপাতি, হাঁসুয়া, চাকু, বটি, ছুরি প্রস্তুত করে বাজারে বিক্রি করতে এসেছেন অসংখ্য ব্যবসায়ী।
এসব লোহার তৈরি দেশীয় অস্ত্র সামগ্রী স্বাভাবিক বাজারের চেয়ে ঈদ বাজারে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে দ্বিগুন। ছোট’দা এখন বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা মূল্য যা স্বাভাবিক বাজারে ৩২০ টাকা মূল্য বিক্রি হয়। চাপাতি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩৫০ টাকা মূল্য যা স্বাভাবিক বাজারে বিক্রি হয় ১৮০-২৫০ টাকা মূল্য। ছুরি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-২৫০ টাকা পর্যন্ত যা স্বাভাবিক বাজারে বিক্রি হয় ৭০-১২০ টাকা মূল্যেতে।
কামারশাল থেকে প্রস্তুত করে লোহার তৈরি দেশীয় অস্ত্রগুলো ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করছেন। তবে তারা বলছেন লোহার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে তাই এসমস্ত দেশীয় অস্ত্র সামগ্রীর দাম বাড়ানো হয়েছে।
গত (২৬জুন) সোমবার জেলার সর্ববৃহৎ বাণিজ্যখ্যাত বাজার বামন্দীতে সাপ্তাহিক হাটের দিন দেখা মিলে প্রায় ১০-১২ জন ব্যবসায়ীর। যারা লোহা ক্রয় করে কামারশালা থেকে দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র তৈরি করে বাজারে বিক্রি করে সংসারে জীবিকা নির্বাহ করেন।
লোহার তৈরি দেশীয় অস্ত্র কামারশালা থেকে প্রস্তুত করে বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বালিয়াঘাট গ্রামের আব্দুল গফুর। তিনি বলেন, ঈদকে সামনে রেখে বর্তমানে এসমস্ত দেশীয় অস্ত্র সামগ্রী স্বাভাবিক বাজারের চেয়ে একটু বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। স্বাভাবিক বাজারের চেয়ে এখন চাহিদা বেশি তাই দাম বাড়ানো হয়েছে।
ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী বলেন, এসমস্ত দেশীয় অস্ত্র সামগ্রী তৈরি করতে লোহার পাশাপাশি কামারশালয় কয়লার দরকার হয়। এখন লোহার দাম বেড়েছে; তাছাড়া এখন কয়লার দাম বেশি সেজন্য স্বাভাবিক ভাবে দাম বেড়েছে তবে ঈদের জন্য সামান্য কিছু বাড়তি দাম ধরা হচ্ছে।
আরেকজন ব্যবসায়ী কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়া গ্রামের মাসুদুর রহমান বলেন, অন্য হাটের চেয়ে ঈদের সিজনের হাট বলে মালামাল বেশি বিক্রি হচ্ছে, বামন্দী বাজারে বেচাকেনা বেশি হয় বলে আমি দূর থেকে প্রতি সপ্তাহে বামন্দী হাটে আসি। এখানে সিজন-অফসিজন সবসময়ই কমবেশি হয়।
কোরবানির পশু জবাইয়ের জন্য ছুড়ি কিনতে আসা ওয়াসিউল ইসলাম বলেন, দাম বেশি হলেও প্রয়োজনের তাগিদে কিনতে হবে। তাছাড়া কামারশাল থেকে তৈরি করতে বাড়তি ঝামেলা পোহাতে হবে। সেজন্য এখান থেকে কিনলাম।