মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সর্ববৃহৎ বামন্দী নিশিপুর পশুহাটে শেষ মুহুর্তে কোরবানির পশু বিক্রি করে বেপারীদের মতোই ক্রেতারাও স্বস্তি পেতে চেয়েছিল। কিন্তু দফায় দফায় বৃষ্টিতে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে কোরবানি পশু বেচাকেনার জন্য আসা ক্রেতা ও বিক্রেতাদের। তবে তূলনামূলক কম দামে কোরবানির পশু কিনতে পেরে ভোগান্তির মধ্যেই খানিকটা খুশী ছিলো ক্রেতারা।
বামন্দী নিশিপুর পশুহাটের ইজারাদারের তথ্য অনুযায়ী (২৬শে জুন) সোমবার ছিলো ঈদের পূর্বে কোরবানির পশু বেচাকেনার শেষ হাট। বামন্দীতে প্রতি শুক্রবার ও সোমবার সাপ্তাহিক পশুহাট বসে। স্বাভাবিক বেচাকেনার সাথে প্রতি ঈদের সময় ব্যাপকভাবে পশু বেচাকেনা যোগ হয়। সোমবার সকল থেকে বিকেল পর্যন্ত দেড় হাজার গরু ও দুই হাজার ছাগল ক্রয়বিক্রয় হয়েছে বলে জানান ওই হাটের ইজারাদার আমিরুল ইসলাম শেখ।
কোরবানির পশু গরু বিক্রি করতে আসা শোলমারি গ্রামের হাবিবুর রহমান বলেন, আমি পারিবারিক ভাবে একটি গরু পালন করেছিলাম। গরুটির দাম ধরেছিলাম দেড় লাখ টাকা কিন্তু বৃষ্টি আর বেপারী স্বল্পতায় গরুটি বিক্রি করতে হয়েছে এক লাখের কিছু বেশি টাকাতে। আজকে ঈদের আগে শেষ হাট তাই কিছুটা কমদামে গরুটি বিক্রি করতে হয়েছে। লোকসান না হলেও আশানুরূপ লাভ হয়নি।
তেতুলবাড়িয়া গ্রামের গরুর বেপারী আবুল সরদার বলেন, ঈদের আগে দুটি হাটেই আমাদের ভালো লাভ হয়নি। কিছুই করার নেই বৃষ্টির জন্য অল্প দামে ছেড়ে দিতে হয়েছে।
আরেকজন গরু বিক্রেতা সহড়াতলা গ্রামের আব্দুল আওয়াল বলেন, আজকে বিক্রেতা কম থাকায় গরুর দাম অনেকটা কমে গেছে। তারপর আবার দফায় দফায় বৃষ্টিতে হাটে মানুষ দাড়াতে পারেনি। তবে খুব একটা বেশি লাভ হয়নি বেপারীদের।
কোরবানির পশু গরু কিনতে আসা তেরাইল গ্রামের কাফিরুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টির ভোগান্তি থাকলেও কম দামেই গরু কিনতে পেরেছি। এলাকার বাইরের গরু কেন পার্টি আজ খুব কম ছিলো তাই এই সুবিধা পেয়েছি আমরা।
কোরবানির পশু কিনতে আসা আরেকজন মেহেরপুর সদর উপজেলার মোনাখালি গ্রামের আইয়ুব আলী বলেন, কোরবানি দেওয়ার জন্য একটা ছাগল আর একটা গরু কিনলাম; গরু কম দামেই কিনতে পেরেছি কিন্তু ছাগলের বাজার চড়া থাকাই কম দামে কিনতে পারিনি। আর বৃষ্টিতে কাঁদা-গোবর লেগে পোশাকের অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে।