মেহেরপুর ট্রেজারি শাখা পরিদর্শন করলেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট

মেহেরপুর ট্রেজারি শাখা পরিদর্শন করলেন মেহেরপুর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম।

আজ রবিবার সকালে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম ট্রেজারি শাখা পরিদর্শন করেন।

জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম ট্রেজারি শাখায় এসে পৌঁছালে ট্রেজারি শাখায় কর্মরত পুলিশের একটি চৌকস দল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম সালাম গ্রহণ করেন।

পরিদর্শন কালে সাথে ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক লিংকন বিশ্বাস, নিউজা-উল জান্নাহ, আব্দুল কাদির মিয়া, গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজিয়া সিদ্দিকা সেতু, মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস, আরডিসি মোছা: রনী খাতুন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল বাকী, এনডিসি গোলাম রাব্বানী সোহেল প্রমুখ।




গাংনীতে কোরবানি পশু হিসেবে ছাগলের চাহিদা দ্বিগুণ

মাত্র কয়েক দিন বাদেই আসছে ঈদুল আজহা।ঈদকে ঘিরে গাংনীতে কোরবানির পশু কেনাবেচায় ব্যস্ত ক্রেতা-বিক্রেতারা। পশুর হাটগুলোতে ছাগল, গরু, ভেড়া, মহিষ নিয়ে আসছেন বেপারীরা কেনার জন্য ভীড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। কোরবানিযোগ্য পশু হিসেবে ছাগল ও গরুর চাহিদা সবসময় বেশি। তবে গাংনীর বাজারে কোরবানির পশু হিসেবে গরুর চেয়ে দ্বিগুণ চাহিদা রয়েছে ছাগলের। পশু হাটগুলোতে ছাগলের আমদানি এবং কেনাবেচাও বেশি।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাবমতে কোরবানিযোগ্য পশু হিসেবে গাংনী উপজেলায় ৯৩ হাজার ৯১৪টি ছাগল রয়েছে। যা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকার কোরবানি পশুর চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

নিরাপদ ও প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে পশু উৎপাদন করা হয় গাংনীতে। তাই এ উপজেলার ছাগল ও গরুর প্রচুর চাহিদা দেশের বাজারে রয়েছে। স্থানীয় হাটগুলোতে কোরবানিযোগ্য একেকটি ছাগল বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত। দাম নাগালের মধ্যে হওয়ায় ছাগলের দিকেই ঝুঁকছেন ক্রেতারা। এ অঞ্চলের ছাগল স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে চলে যাচ্ছে রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে।

সাধারণত যারা কম টাকার মধ্যে কোরবানির পশু কিনতে চান এবং ছোট পরিবারে কোরবানি দেন তাদের পছন্দ তালিকায় শীর্ষে থাকে ছাগল। এছাড়াও ঈদের সময়ে ঔষধ কিংবা ইনজেকশনের মাধ্যমে গরু মোটাতাজা করার আশঙ্কা থেকেও অনেকেই কোরবানির পশু হিসেবে ছাগল বেছে নেয়।

গাংনী উপজেলার রামনগর গ্রামের আব্দুল হামিদ পারিবারিক ভাবে ৫টি ছাগল লালনপালন করেছেন কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য। তিনি বলেন, আমি গতবছর থেকে এবারের কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য ছাগলগুলো লালনপালন করেছি; সম্পুর্ন নিরাপদ ও প্রাকৃতিক খাদ্য খাইয়েছি। কাঁচা ঘাস, বিচালি, ভুট্টা ও ছোলা মিশিয়ে প্রতিদিন খাওয়াতাম। এখন একেকটা ছাগলের দাম চেয়েছি ১৭ হাজার করে। আরেকটা বড় ব্ল্যাক বেঙ্গল জাতের ছাগল রয়েছে যার দাম চেয়েছি ২৬ হাজার টাকা।

একই উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের শামীম রেজা বলেন, আমি লেখাপড়ার পাশাপাশি প্রতিবছর ২টি করে ছাগল পালন করি। ঈদ সামনে বিক্রি করি। এবারের ঈদ সামনে একটি ছাগল বিক্রি করেছি ২৩ হাজার টাকায়। আরেকটা ছাগলের দাম চেয়েছি ৩৪ হাজার টাকা। আশানুরূপ দাম পেলেই বিক্রি করে দিবো।

হাড়াভাঙ্গা গ্রামের ছাগলের বেপারী সাহারুল ইসলাম বলেন, সারাবছর টুকটাক ছাগল বেচাকেনা হয়। স্থানীয় বামন্দী পশুহাটে নিয়ে গিয়ে আমরা বিক্রি করি। তবে ঈদ সামনে ছাগলের সবচেয়ে বেশি বেচাকেনা হয়। গত দুই হাটে প্রচুর ছাগল আমদানি ছিলো এবং বেচাকেনা খুব ভালো হয়েছে।

বালিয়াঘাট গ্রামের ছাগলের বেপারী সৈকত আলী বলেন, হাটে গরুর চেয়ে ছাগলের দিকে মানুষের ঝুঁকি বেশি। গ্রামঞ্চলে অধিকাংশ মানুষ অল্প টাকার মধ্যে কোরবানি দেয় সেজন্য ছাগলের চাহিদা বেশি। দেখা যাচ্ছে একটা গরু কিনতে সর্বনিম্ন ৪০থেকে৫০ হাজার টাকা লাগবে কিন্তু ১০থেকে১৫ হাজার টাকার মধ্যে একটা ভালো ছাগল কেনা হয়ে যায়।




মেহেরপুুুুুুুুুর ও গাংনী থানা পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার-৫

মেহেরপুর সদর থানা ও গাংনী থানা পুলিশের ১২ ঘন্টার নিয়মিত অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৫ জন আসামি গ্রেফতার হয়েছেন।

এদের মধ্যে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশের অভিযানে আদালতের পরোয়ানাভূক্ত ২ জন ও গাংনী থানা পুলিশের অভিযানে ৩ আসামি রয়েছে।

শনিবার দিবাগত রাতের বিভিন্ন সময়ে দুই থানা পুলিশের পৃথক টিম অভিযান চালিয়ে এসব আসামিদের গ্রেফতার করেন।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের টিম অভিযানে অংশ নেন।
সংশ্লিষ্ট দুটি থানার জরুরী বিভাগ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেফতারকৃতদের আজ রবিবার (২৫ জুন) সকালের দিকে আদালতের মাধ্যমে মেহেরপুর জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন।




মেহেরপুরে র‌্যাবের অভিযানে সোয়া ৭ কেজি গাঁজাসহ এক ব্যক্তি আটক

সোয়া ৭ কেজি গাঁজাসহ মোঃ মারফত মন্ডল(৪০) নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১২) একটি টিম।

আটক মো: মারফত মন্ডল গাংনী উপজেলার গাঁড়াডোব গ্রামের মাঠপাড়া এলাকার মৃত এমাজ উদ্দীনের ছেলে।
র‌্যাব-১২, সিপিসি-মেহেরপুর ক্যাম্পের কমান্ডার, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ গোলাম ফারুক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আজ রবিবার (২৫ জুন) সকাল ১০ টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিপিসি-মেহেরপুর, ক্যাম্পের একটি দল গাংনী পৌরসভার ০৬ নং ওয়ার্ড ঈদগাহপাড়া কাঁচাবাজার সংলগ্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গাঁজাসহ তাকে আটক করেন। এ সময় তার কাছ থেকে মাদক-ক্রয় বিক্রির কাজে ব্যবহৃত ১টি ব্যাটারী চালিত ভ্যান, চপ২’.১টি মোবাইল ফোন এবং নগদ এক হাজার ছয়’শ টাকা জব্দ করা হয়েছে।

এঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে আসামিকে গাংনী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।




গাংনীতে জিআর প্রকল্পের চাউল বিতরণ

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় হতদরিদ্রের মাঝে জিআর( প্রাকৃতিক দুর্যোগ খরা ও অনাবৃষ্টি) প্রকল্পের বিশেষ বরাদ্দকৃত চাউল বিতরণ করা হয়েছে।

গতকাল শনিবার দুপুর ১২ টায় গাংনী উপজেলার ভাটপাড়া আশ্রয়ন প্রকল্পে ৯০টি পরিবারসহ বিভিন্ন গ্রামে দুস্থদের মাঝে চাউল বিতরণ করা হয়। গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া সিদ্দিকা সেতু, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাদির হোসেন শামীম, উপজেলা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিরঞ্জন চক্রবর্তী, সাহারবাটী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান, ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা ( তহশিলদার) নুরুল হুদা উপস্থিত ছিলেন।

পরে মটমুড়া ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের ৭ জন তাঁত শিল্পীদের মাঝে জিয়ার প্রকল্পের চাল বিতরণ করেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া সিদ্দিকা সেতু।

প্রতিটি পরিবারের জন্য যার প্রকল্পের ৩০ কেজি করে চাউল প্রদান করা হয়। এ সময় সাজিয়া সিদ্দিকা সেতু জানান, আমার আবেদনের ভিত্তিতে প্রাপ্ত জিয়ার প্রকল্পের চাউল বিতরণ করা হয়েছে। এবং এ চাউল বিতরণ কাজ অব্যাহত রয়েছে। প্রথম দিনে ২৯৬ জনের মাঝে উক্ত প্রকল্পের চাউল বিতরণ করা হয়।
আসন্ন ইদুল আযহা উপলক্ষে চাউল পেয়ে আনন্দে উল্লাসিত হয়ে পড়েন উপকারভোগীরা।




দামুডহুদার কার্পাসডাঙ্গায় আদ্ দ্বীনের চক্ষু ও ডায়বেটিস ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা হাইস্কুল মাঠে গতকাল শনিবার ১১টার দিকে আদ্ দ্বীন ফেয়ার উদ্দোগে চক্ষু ও ডায়াবেটিকস ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কার্পাসডাঙ্গা ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা জুলফিকার আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান উপজেলা মাহফুজুর রহমান মঞ্জু।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা, দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম,দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) শফিউল আলম কার্পাসডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস দামুড়হুদা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সাকী সালাম,দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মখলেছুর রহমান মামুন কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই মোসলেম উদ্দীন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আদ্ দ্বীন আই কেয়ার প্রজেক্ট অফিসার রবিউল হক। আকিজ গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজ এর চেয়ারম্যান ও নির্বাহী পরিচালক ডাক্তার শেখ মহিউদ্দিন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আদ্ দ্বীন ওয়েলফেয়ার সেন্টারের রিজিওনাল ম্যানেজার এস এম হান্নান। অনুষ্ঠান শেষে অতিথিবৃন্দ গ্রামীণ চক্ষুনিবেশ ছানি বাছাইয়ের উদ্বোধন করেন




গাংনীতে আবেগঘন পরিবেশে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে বিদায়

আবেগঘন পরিবেশে গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মীর হাবিবুল বাসারকে (অবসর জনিত) বিদায়ী সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।

গতকাল শনিবার সকাল ১০ টার সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসারর সভাকক্ষে বিদায়ী সংবর্ধনার আয়োজন করেন মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকরা।

গাংনী পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক আফজাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, করমদী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কাজিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মু. আলম হুসাইন, হাড়াভাঙ্গা ডিএস ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক, হিজলবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামানসহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

উল্লেখ্য, মীর হাবিবুল বাশার ২০১৫ সালে গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হিসেবে যোগদান করে সুনামের সাথে তার কর্মময় জীবন শেষ করেন। এসময় তার পত্নি উপস্থিত ছিলেন।




এসএসসি পাসে নিয়োগ দেবে মেরি স্টোপস

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে মেরি স্টোপস বাংলাদেশ। প্রতিষ্ঠানটিতে কেয়ারটেকার – (পুরুষ) পদে নিয়োগ দেবে।আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমেও আবেদন করতে পারেন।

পদের নাম

কেয়ারটেকার – (পুরুষ)।

যোগ্যতা

প্রার্থীকে ন্যূনতম এসএসসি পাস হতে হবে। অভিজ্ঞ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিলযোগ্য। পুরুষ প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। ক্লিনিকের নিরাপত্তা, অফিসের দৈনন্দিন পরিচ্ছন্নতা, রক্ষণাবেক্ষণ, চিঠি/নথি-পত্র আদান-প্রদান ইত্যাদি কাজে এ ক থেকে দুই বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা সম্পন্ন প্রার্থীদেরকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

অন্যান্য যোগ্যতা

প্রার্থীকে ক্লায়েন্টদের প্রতি যত্নবান এবং দলে কাজ করার মানসিকতা থাকতে হবে। প্রার্থীকে কর্মঠ, সুস্বাস্থ্যের অধিকারী এবং মার্জিত ও সৎ স্বভাবের হতে হবে।

কর্মস্থল

ঢাকা (ধানমণ্ডি )।

বেতন-ভাতা

১০,০০০ টাকা + অন্যান্য সুবিধা।

আবেদনের প্রক্রিয়া

আগ্রহী প্রার্থীরা বিডিজবস অনলাইনের মাধ্যমেও আবেদন করতে পারেন।

আবেদনের শেষ তারিখ

৫জুলাই, ২০২৩

সূত্র : বিডিজবস




‘সুড়ঙ্গ’র মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গে যাবে আফরান নিশো

দেশের গণ্ডি পেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গেও ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন ছোট পর্দার অভিনেতা আফরান নিশো। তার অভিনীত নাটক, ওয়েব সিরিজগুলো ব্যাপক দর্শকপ্রিয় হয়ে উঠেছে ওপার বাংলায়। সেসকল দর্শকের কথা মাথায় রেখে বাংলাদেশের পাশাপাশি নিশো অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘সুড়ঙ্গ’ মুক্তি পাবে পশ্চিমবঙ্গের প্রেক্ষাগৃহেও।

ইতোমধ্যে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পশ্চিমবঙ্গের খ্যাতিমান প্রযোজনা ও পরিবেশক প্রতিষ্ঠান শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস (এসভিএফ)। সিনেমার একটি পোস্টার প্রকাশ করে এসভিএফ কর্তৃপক্ষ ফেসবুকে লিখেছে, শিগগিরই বড় পর্দায় আফরান নিশো আসছে রায়হান রাফীর সবচেয়ে প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘সুড়ঙ্গ’ নিয়ে। দেখা হবে সিনেমা হলে।

জানা গেছে, ভারতের সিনেমা বাংলাদেশে মুক্তি দিতে চাইলে সাফটা চুক্তি অনুযায়ী আমদানি করতে হয়। কিন্তু বাংলাদেশের কোনো সিনেমা ভারতে মুক্তি দিতে রাষ্ট্রীয় বা আইনি কোনো জটিলতা নেই। তাই ভারতের পরিবেশকেরা চাইলে বাংলাদেশের যে কোনো সিনেমা নিজদেশে মুক্তি দিতে পারেন। এ কারণে কোনো জটিলতা ছাড়াই ওপার বাংলার দর্শক আফরান নিশো অভিনীত এই সিনেমাটি দেখার সুযোগ পাবেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নির্মাতা রায়হান রাফী বলেন, এটা সত্যিই ভীষণ আনন্দের খবর। ‘সুড়ঙ্গ’ কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের প্রেক্ষাগৃহগুলোতেও দেখা যাবে। আমরা আশা করছি সেখানে ভালো সাড়া পাব।

উল্লেখ্য, পর্দায় ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমায় নিশোর বিপরীতে দেখা যাবে তমা মির্জাকে। চরকি ও আলফা আইয়ের যৌথ প্রযোজনায় সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন রায়হান রাফী। সেই সঙ্গে যৌথভাবে চিত্রনাট্য লিখেছেন নাজিম উদ দৌলা ও রায়হান রাফী।




চুয়াডাঙ্গার নাস্তিপুর গ্রামে শিশু ধর্ষণ মামলার আসামী গ্রেফতার

চুয়াডাঙ্গা দর্শনা থানাধীন নাস্তিপুর গ্রামস্থ আসামী মোঃ তানভির হোসেন কাকনের বসতঘরের শয়ন কক্ষে ছয় বছরের শিশুকে কৌশলে ডেকে নিয়ে ঘরের ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে দিয়ে মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। শিশুটি রক্তাক্ত অবস্থায় ঘটনার বিষয়ে তার পরিবারকে জানালে আত্মীয়-স্বজন চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসাপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। ঘটনার বিষয়ে ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে দর্শনা থানার মামলা নং-১৯, ২৬শে জুন ধারা- ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধীত ২০০৩) এর ৯(১) রুজু করেন।

চুয়াডাঙ্গা জেলার পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুনের দিকনির্দেশনায় দামুড়হুদা সার্কেল এএসপি জাকিয়া সুলতানার সহযোগিতায় এবং অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফেরদৌস ওয়াহিদ ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এস. এম. আমান উল্লাহর নেতৃত্বে ধর্ষণ মামলার রহস্য উদঘাটন ও আসামী গ্রেফতারের লক্ষ্যে দর্শনা থানা এবং চুয়াডাঙ্গা ডিবি পুলিশের একাধিক টিম তাৎক্ষণিকভাবে মাঠে নামে।

মামলা রুজুর ২৪ ঘন্টা পার হতেই দর্শনা থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার বিভিন্ন পারিপার্শ্বিকতা ও স্বাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার সাথে জড়িত আসামী মোঃ তানভির হোসেন কাকন (২১)-কে ঝিনাইদহ জেলার ঝিনাইদহ বাস টার্মিনাল হতে শনিবার সকাল সাড়ে পাঁচটার সময় গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ধর্ষনের কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করে।

আসামী ঘটনার দিন ২২শে জুন বেলা বারোটার সময় ছয় বছরের শিশু ভিকটিমকে মোবাইলে গেমস্ দেখানোর নাম করে আসামীর বসতঘরের শয়ন কক্ষে নিয়ে ঘরের ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে দিয়ে মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শনিবার সকাল দশ টার সময় চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন এই সকল তথ্য নিশ্চিত করেন ।