শুধুমাত্র অটোবাইক ছিনতাইয়ের কারনে নৃশংস খুন হতে পারে না

শুধুমাত্র অটোবাইক ছিনতাইয়ের কারনে নৃশংস খুন হতে পারে না। এই ঘটনার আড়ালে কিংবা অদৃশ্য শক্তি কারা, তা খুঁজে বের করতে হবে।কি এমন ঘটেছিল যে তাকে এভাবে নির্মমভাবে খুন করতে হয়েছে? সার্বিক বিষয় নিয়ে আমাদের মুল সন্দেহ হোটেল মালিক। হোটেল মালিকের কারণেই এই হত্যাকান্ড। সে যদি নির্দোষ হয় তাহলে তার হোটেলে কেনো এই নির্মম হত্যাকান্ড ঘটলো। আটকদের রিমান্ডে নিয়ে এসে শক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। এই ঘটনার নেপথ্যে কারা আছে, অদৃশ্য শক্তি কারা আছে বিষয়গুলো তদন্তের মাধ্যমে বের হবে। রিমান্ডে নিয়ে প্রকৃত যারা দোষী তাদের সনাক্ত করে এই হত্যাকান্ডের সাথে যারা জড়িত তাদের ফাঁসি দিতে হবে। আমরা সঠিক তদন্ত দেখতে চাই, সঠিক বিচার চাই। দোষীদের সর্ব্বোচ্চ শাস্তি চাই। নিহত আব্দুর রহমান হত্যাকান্ডের সঠিক বিচার ও আসামিদের রিমান্ডে এনে প্রকৃত দোষীদের খুজে বের করার দাবীতে সাংবাদিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন নিহত আব্দুর রহমানের ভাগ্নে মো:সাইদুর রহমান।

আজ শনিবার (২৪ জুন) সকালের দিকে মেহেরপুর জেলা প্রেসক্লাবে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এসব দাবী করেন তারা।

এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, অপর ভাগ্নে আনোয়ার হোসেন, ভাই মজিবর রহমান, তার স্ত্রী রেহেনা খাতুন, বোন নুরজাহান খাতুন, মেয়ে রিনা খাতুন, মেহেরপুর ইজিবাইক চালক ও মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মফলেউর রহমান।
মেহেরপুর জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি তোজাম্মেল আযম, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব চান্দু, মেহেরপুর প্রতিদিনের সম্পাদক ইয়াদুল মোমিনসহ প্রেসক্লাবের অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ, মেহেরপুরে হোটেল ইজাজ প্লাজা নামের অনুমোদনহীন একটি আবাসিক হোটেল থেকে অটোচালক আব্দুর রহমান (৫৫) এর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। গলাকাটা মরদেহটি অর্ধগলিত ছিল।

আব্দুর রহমান মেহেরপুর সদর উপজেলার ভারতীয় সীমান্তবর্তী শোলমারী গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে। তিনি পেশায় ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের চালক।

এঘটনায় ওই দিনই হোটেল ইজাজ প্লাজার মালিক ঝন্টু মিয়াকে আটক করেন। এর একদিন পরে ১২ জুন জুন ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জ উপজেলাার বুদরাজপুর গ্রামের দীনবন্ধু বিশ্বাসের ছেলে বিপ্লব কুমার বিশ্বাস ও একই উপজেলার গোপালপুর গ্রামের মজদেত আলীর ছেলে রাজু শেখকে গ্রেফতার করা হয় ও ছিনতাইকৃত ইজিবাইকি উদ্ধার করা হয়। এরপর ২০ জুন বিকালে মেহেরপুর শহরের কলেজগেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি সদর উপজেলার উজুলপুর গ্রামের আলমগীর বাদশার ছেলে নাহিদ হোসেনকে গ্রেফতার করেন। এসময় হত্যার কাজে ব্যবহৃত চাকুটিও উদ্ধার করা হয়।

এর তিনদিন ৮ জুন রাতে নাহিদ চুয়াডাঙ্গা যাওয়ার নাম করে আব্দুর রহমানকে বাড়ি থেকে অটোবাইক সহ নিয়ে আসেন। তারপর থেকে নিখোঁজ হন আব্দুর রহমান।




জমির ক্ষেত দেখেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন কৃষক আজিজুল

জমির ক্ষেত দেখেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন মুজিবনগরের কোমরপুর গ্রামের কৃষক আজিজুল হক ভুটো। প্রায় দুই বিঘা জমির কলা বাগানের সব কাঁধি কেটে তসরুপাত করেছে দূর্বৃত্তরা।
বর্গা চাষী ভুটোর প্রায় ৯ শতাধিক কলার গাছে কাঁধি কেটে তসরুপ করায় তার প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে।
শুক্রবার দিবাগত রাতের কোন এক সময় কলার কাঁদি কেটে তসরুপাত করার এই ঘটনা ঘটে।
কৃষক আজিজুল হক ভূটো জানান নিজের কোনো যায়গা জিরাত নেই। তাই কোমরপুর গ্রামের বকুল বিশ্বাসের কাছ থেকে জমি লিজ নিয়ে কলার আবাদ করেছেন তিনি। চাষ করতে গিয়ে ইতোমধ্যে অনেক ধার দেনা হয়েছে। আর কয়েকটা দিন পরই কলা বিক্রি শুরু হবে। ধার দেনা পরিশোধ করবেন।
ভুটো বলেন, দুই বিঘা জমিতে প্রায় ৯ শতাধিক কলার গাছ রোপন করা হয়েছিল। প্রতিটি কলা গাছে কলার কাঁধি এসেছে। কলা মোটা তাজা হতে শুরু করেছে। ঠিক সেই মুহূর্তে রাতের আধারে দুর্বৃত্তরা ৯ শতাধিক কলার কাঁদি কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলে রেখে গেছে।

শনিবার সকালে কলার মাঠে গিয়ে এই দৃশ্য থেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
আজিজুল হক জানান ৯ শতাধিক কলার গাছে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে। খবর পেয়ে কোমরপুর পুলিশ ক্যাম্পের আইসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।




আসছে ক্রোমের নতুন আপডেট

ক্রোম অনেকদিন ধরেই নিজেদের আরও নিখুঁত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু আইফোনে ক্রোম আরও বেশকিছু বড় সুবিধা যুক্ত করছে।

এখন থেকে আইফোনের ম্যাপে কোনো লিংক ক্রিয়েট করলে ক্রোম সরাসরি গুগল ম্যাপে পাঠিয়ে দেবে না। এখন আর গুগল অ্যাপ ইচ্ছেমত ডাউনলোড করতে হচ্ছে না। গুগল সামনে আইফোনের ক্রোমে গুগল লেন্সও যুক্ত করতে চলেছে।

শুধু তাই নয়, আইফোনে ক্রোম ব্যবহার করেই অনুবাদ ও অন্যান্য কাজ করা যাবে। ক্যামেরা লেন্স ব্যবহার করে সহজেই ডকুমেন্ট বা অন্যান্য সার্চের কাজ করা যাবে। আইওএসে ব্যবহারের অভিজ্ঞতাই বদলে যাচ্ছে ক্রোমে।




ম্যাজিশিয়ান মেসির জন্মদিন আজ

ফুটবল বিশ্বের বিস্ময়ের এক নাম লিওনেল মেসি। যার ফুটবল শৈলীতে মুগ্ধ পুরো ফুটবল বিশ্ব। ক্লাব কিংবা জাতীয় দল, সব জায়গা দেখিয়েছেন ফুটবলের মুন্সিয়ানা। আর্জেন্টাইন জাদুকরের আজ ৩৬তম জন্মদিন।

লিওনেল মেসি, বাঁ পায়ের জাদুতে মন্ত্রমুগ্ধ করেছেন কোটি ভক্তকে। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন সর্বকালের অন্যতম সেরাদের একজন হিসেবে। শুধু তাই নয়, অনেকের কাছে তিনিই সর্বকালের সেরা। ফুটবলে একজন ফুটবলারের পক্ষে যা যা অর্জন করা সম্ভব তার সব অর্জন করেছেন এই ফুটবলার।

২৪ জুন, ১৯৮৭। আর্জেন্টিনার রোজারিওর এক গ্রামে জন্ম নেন মেসি। শৈশবে হরমোনজনিত সমস্যায় ভুগলেও সৃষ্টিকর্তা হয়তো চাননি এমন প্রতিভার বিকাশে কোনো কিছু বাধা হয়ে দাঁড়াক। এক টিস্যু পেপারে চুক্তি স্বাক্ষর করে তাকে স্পেনে নিয়ে আসে বার্সেলোনা ক্লাব কর্তৃপক্ষ। বাকিটুকু ইতিহাস। বার্সাকে সব ধরণের সাফল্য এনে দিয়েছেন মেসি। বার্সেলোনার গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্ব ফুটবলের সেরার সিংহাসন দখল করেছেন তিনি।

ক্যারিয়ারে টানা চারবার ও সর্বমোট সাতবার জিতেছেন ব্যালন ডি’অর। ফিফার বর্ষসেরার পুরস্কারও আছে তার ঝুলিতে। ব্যক্তিগত অর্জনে সমৃদ্ধ মেসির ক্যারিয়ার। খেলোয়াড়ি জীবনের সায়াহ্নে চলে এলেও জয়ের ক্ষুধা এতটুকু কমেনি মেসির। বার্সার সঙ্গে দীর্ঘ পথচলা ছিন্ন করে, পিএসজিতে যোগ দিয়েও জিতেছেন লিগ শিরোপা। তবে জাতীয় দলের জার্সিতে কোপা আমেরিকার পর জিতেছেন ফিনালিসিমার ট্রফি।

আর সর্বশেষ ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের শিরোপা জিতে নিজের ক্যারিয়ারকে করেছেন পরিপূর্ণ। কেননা এই একটা শিরোপা খুব করে চাই ছিলেন এই ক্ষুধে জাদুকর। আর তাই ক্যারিয়ারের গোধলী লগ্নে এসে তাকে খালি হাতে ফেরাননি ফুটবল বিধাতা। ছুঁয়ে দেখেছেন সেই সোনালি ট্রফি। বিশ্বকাপের শিরোপা জেতার পর অনেকে ভেবেছিলেন অবসরে যাবেন মেসি। তবে ফুটবল জাদুকর জানিয়েছেন, সময় এখন শুধুই উপভোগের।

সূত্র: ইত্তেফাক




হাটে পশু বেশি, ক্রেতা কম

মেহেরপুরে চাহিদার দ্বিগুণ কোরবানির পশু প্রস্তুত করেছে খামারিরা। ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে জেলার প্রতিটি বাড়ি খামারে পরিণত হয়েছে। অধিকাংশ গ্রামগুলোর এমন কোন বাড়ি নেই, যেখানে কোরবানী উপযোগ্য দু একটি পশু নেই। কৃষি নির্ভর এ জেলায় পশুখাদ্য সহজলোভ্য হওয়ায় সখের বশেও এখান মানুষ গরু, ছাগল পালন করে থাকেন। কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে যে সকল পশু বিক্রির তোরজোড় থাকে তাদের মাঝে। কোরবানির শেষ সে সকল পশু পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারিরা।

মেহেরপুর জেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের তথ্যমতে, জেলায় ২৯ হাজার ৪৩০টি বানিজ্যিক খামার ও প্রতিটি বাড়িতে গরু ছাগল পালন করা হয়। এসব খামার ও পারিবারিক খামার থেকে কোরবানিযোগ্য পশু উৎপাদন হয়েছে ১ লাখ ৯০ হাজার ৫২০টি। কোরবানির জন্য মেহেরপুর জেলার চাহিদা রয়েছে ৯০ হাজার ১১২ টি পশু। বাকি প্রায় এক লাখ কোরবানিযোগ্য পশু ঢাকা, চিটাগাং, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছেন খামারীরা।

জেলার প্রতিটি কৃষকের বাড়িতে দু-একটি করে গরু, ছাগল লালন-পালন হয়ে থাকে। প্রতিটি বাড়ির ব্যক্তিগত খামারে গরু-ছাগল-ভেড়া রয়েছে। মেহেরপুরে বেশ কয়েকটি ছাগল ও ভেড়ার বাণিজ্যিক খামার থাকলেও পারিবারিক খামারে অসংখ্য ছাগল ও ভেড়া পালিত হচ্ছে। কোরবানির ্ঈদকে লক্ষ রেখে বসতবাড়িতে দু-একটি গরু পালন করা প্রধান কাজ।

জেলার গরু খামারে দেশীয় জাতের পাশাপাশি নেপালী, অস্ট্রেলিয়ান, ফিজিয়ান, হরিয়ানাসহ নানা জাতের গরু মোটাতাজা করা হয়েছে।

গাংনী উপজেলার মালশাদহ গ্রামের গরু খামারি মনজুরুল ইসলাম বলেন, আমার খামারে ২৭টি গরু পালছি। ৪০ লাখ টাকার গরু বিক্রি করেছি। আমার খামারে এবছর পাকিস্তানী সাওয়াল ও দেশী গরু ছিল। গরু বিক্রিতে আমি ভাল দাম পেয়েছি। গরুকে দেশী ঘাস, সুষম খাবার ও খুদ কুড়া খাওয়ানো হয়েছে।

গাংনী উপজেলার বানিয়াপুকুর গ্রামের গরু খামারী জোয়াদ আলী। এলাকার সব চেয়ে বড় খামারী হিসেবেই পরিচিত জোয়াদ আলী। তার খামারে এখন পর্যন্ত অর্ধশতাধিক গরু রয়েছে।

জোয়াদ আলী বলেন, এই বছর গরুতে আমার লস হবে। এখন পর্যন্ত তার খামারের মাত্র ২ টা গরু বিক্রি হয়েছে। ৪৮ টি গরু খামারে রয়েছে। তিনি বলেন, অন্য বছরে ঢাকা কুমিল্লা বা দেশের অন্যান্য স্থান থেকে গরু কিনতে সোজা চলে আসতেন। তারা আমাদের কাছে সরাসরি গরু কিনতেন। কিন্তু এবছরে তারা গরু কিনতে আসেনি। আমার গরুও বিক্রি হয়নি। তিনি বলেন, আমার খামারে অনেক বড় বড় গরু তাই ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছেনা সহজে।

বাওট গ্রামের সাবেক মেম্বর আশরাফুল ইসলাম কালু বলেন, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বাওট গ্রামে প্রতিটি বাড়ি বাড়ি দু একটি গরু ও ছাগল পালন করেন। ঈদের আগেই সেই পশুগুলো বিক্রি করেন তারা।

এদিক, গতকাল শুক্রবার মেহেরপুরে বামন্দী পশু হাটের প্রচুর পরিমানের পশু আমাদানী হলেও সে পরিমাণে ক্রেতার দেখা মেলেনি। শুক্রবারে বামন্দীতে বড় হাট থাকায় মেহেরপুর পশু হাটে তেমন গরুর আমদানী দেখা যায়নি। আগামী মঙ্গলবার মেহেরপুর পশু হাটে অধিক পরিমানে পশু আমদানি হবে ধারণা করছেন ব্যবসায়ীরা।

বামন্দী পশু হাটে গিয়ে দেখা যায় ক্রেতার চেয়ে বিক্রেতা বেশি। শেষ পর্যন্ত কোরবানির পশুর দামও অনেকটা কমেছে। গেল কয়েক সপ্তাহের হাটগুলোতে বিক্রেতারা অতিরিক্ত দাম হাঁকার কারণে ক্রেতারা বিমুখ হয়। শেষ সময়ে এসে ক্রেতারা এখন গত কয়েক হাটের দামের চেয়ে তূলনামূলক অনেক কম দামেই পশু কিনতে পারছেন। ক্রেতা সংকটে কেউ অতিরিক্ত দাম হাঁকাচ্ছে না। ১০ দিন আগে ১শ’ কেজি মাংস হবে এমন গরুর দাম ছিল অন্তত ৮০-৯০ হাজার টাকা। তবে এখন সেসব গরু কেনা-বেচা হচ্ছে ৬০-৬৫ হাজার টাকায়।

প্রান্তিক খামারিরা প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করে হাটে নিয়ে এসেছেন। হাটে বড় গরুর তুলনায় মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি রয়েছে।

গরু বিক্রেতা আব্দুল আওয়াল বলেন, গত দুই হাটে গরুর দাম ভালো ছিলো কিন্তু আজকে বিক্রেতা কম থাকায় গরুর দাম অনেকটা কমে গেছে। তবে আশানুরূপ লাভ হচ্ছে বেপারীদের।

আরেকজন গরু বিক্রেতা শাহিন আলম বলেন, গত সোমবারের হাটে ৩টা গরু এনেছিলাম। ২টা গরু ভালো দামেই বেঁচেছি আর একটা গরু ফেরত নিয়ে গিয়েছিলাম। ১শ’ কেজি গোস্ত হবে এমন ওজন গরুটির। সেদিন হাটে দাম বলেছিল ৮০ হাজার টাকা। আর আজকের হাটে দাম বলছে ৬০-৬৫ হাজার টাকা।

বামন্দী পশুহাটে ঢাকা থেকে গরু ক্রয় করতে এসেছেন হাজী আবু সাইদ। তিনি বলেন, পর্যাপ্ত গরু রয়েছে। পছন্দ মতো গরু কম দামেই কিনতে পেরেছি। আমি প্রতি বছর এই পশুহাট থেকে কোরবানির পশু কিনে নিয়ে যায়। আমারা চার ভাই চারটি গরু কিনেছি তবে খুব একটা বড় না, মাঝারি গরু কিনেছি।

বামন্দী পশুহাটের ইজারাদার আমিরুল ইসলাম শেখ বলেন, আমরা সার্বিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছি। পুলিশের টিম রয়েছে। যাতে করে কোন বেপারী ও খামারিদের কোন হয়রানি না হয় সেজন্য আমরা সতর্ক রয়েছি। আর রাজধানী ঢাকা থেকে অনেক ক্রেতা এসেছিল তবে আজ খুব কম ক্রেতা রয়েছে জেলার বাইরের। তারা গত হাটে তাদের পছন্দ মতো গরু কিনে চলে গেছে অনেকেই।

মেহেরপুর জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা (ডিএলও) সাইদুর রহমান বলেন, জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাবমতে কোরবানিযোগ্য পশু হিসেবে ষাড়-বলদ-গাভী মিলিয়ে ৫৮ হাজার ৮৬৬টি গরু, ৫৯৫টি মহিষ, ১ লাখ ২৮ হাজার ১৬৯টি ছাগল এবং ২ হাজার ৮৯০টি ভেড়া রয়েছে। যা জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকার কোরবানি পশুর চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এবার জেলায় কোরবানির উদ্বৃত্ত পশুর সংখ্যা ১ লাখ ৪০৮টি। অর্থাৎ চাহিদার চেয়ে দ্বিগুনেরও বেশি পশুর যোগান রয়েছে মেহেরপুরে।




বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখে পরাশক্তি পর্যন্ত মহাষড়যন্ত্র করছে——-জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

মেহেরপুরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালী জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের নেতৃত্বে তার বাড়ির সামনে থেকে বের হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
বর্ণাঢ্য র‌্যালী শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি।
সভাপতির বক্তব্যে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন এমপি বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখে পরাশক্তি পর্যন্ত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মহাষড়যন্ত্র করছে। সকল ষড়যন্ত্র দুর করে আওয়ামীলীগ বিশাল ভোটের ব্যবধানে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হবে। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ৭৪তম জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ খালেক।
অন্যান্যদের মধ্যে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বারাদি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বুড়িপোতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: শাহজাহান, মেহেরপুর জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও পিরোজপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, মেহেরপুর জেলা যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান হিরন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে শুক্রবার সকালের দিকে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেনের বাসভবনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও পিরোজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস।
পরে মেহেরপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বোরহান উদ্দিন আহমেদ চুন্নু, শহর আওয়ামী লীগের পক্ষে শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকবাল হোসেন বুলবুল, জেলা যুবলীগের পক্ষে জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি সাজ্জদুল আনাম, মেহেরপুর জেলা যুব মহিলা লীগের পক্ষে সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগে সভানেত্রী লতিফুন নেছা লতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৪ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিকেলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের করা হয়। প্রতিমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
মিছিলে অন্যদের মধ্যে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক, সহ-সভাপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস, এম এ হালিম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল ইসলাম, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হোসেন, বুড়িপোতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ জামান, কুতুপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সেলিম রেজা, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুর সালাম বাঁধন প্রমুখন মিছিলে অংশগ্রহণ করেন।




উড়ে এসে জুড়ে বসা কোনো এমপি মেহেরপুরবাসি চায় না

জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট মিয়াজান আলী বলেন, আওয়ামীলীগের প্রকৃত নেতা কর্মীদের মুল্যায় হচ্ছেনা। হাইব্রীড নেতারা মনে করছেন তারাই সব কিছু। এক সময় যারা মেহেরপুরে মিটিং মিছিল করেছেন আগামীতে তারাই থাকবে। হাইব্রীড নেতারা থাকবে না। তারা ভোট করবেনা। এইসব ত্যাগী নেতা কর্মীরাই ভোট করবে। তাই এসব ত্যাগী নেতা কর্মীদের মুল্যায়ন করতে হবে। প্রধান মন্ত্রী, দলের সেক্রেটারী ওবায়দুল কাদের ও কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন তৃণমুলের ত্যাগী নেতা কর্মীদের মুল্যায়ন করতে হবে।
জেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ৭৪তম জন্মবার্ষিকীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
শুক্রবার বিকালে মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মেহেরপুর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব গোলাম রসুল বলেন, আজকের মঞ্চে চমক দেখেন । আরও চমক আছে, ঈদের পরে আরও চমক দেখানো হবে। সামসুজ্জোহা পার্কে সেই চমক দেখাতে পাবেন। যারা জেল খেটেছেন, বোমা খেয়েছেন, দিনে তিনবার হরতাল মিছিল করেছেন তাদের মুল্য নেই। আজকে যারা উড়ে এসে জুড়ে বসেছেন, চারটি হাইব্রীড নিয়ে মন্ত্রী তার এমপিত্ব ফলাচ্ছেন। এজন্য তৃণমুলের কারো মুল্য নেই। সামনে নির্বাচন আসছে। মুল্য আছে কিনা তখন দেখা যাবে, কাদের মুল্য আছে। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলেন, আপনাকে ক্ষমতায় বসতে হবে। উড়ে এসে জুড়ে বসা ওই এমপিকে মেহেরপুরবাসি দেখতে চাইনা। তিনি বলেন নেত্রীর কাছে আমরা যাবো। তাকে বলবো, আমাদের একটাই দাবী, মেহেরপুরে একজনকে বাদ দিয়ে কলাগাছকে নোমিনেশন দিলেও আমরা নৌকাকে জিতিয়ে আপনাকে উপহার দেবো। প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনকে উদ্যেশ্যে করে তিনি বলেন ওই একজনকে দিলে এখান থেকে নৌকা জিতবেনা।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মেহেরপুর জেলা যুবলীগের সভাপতি ও মেহেরপুর পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন বলেন, আওয়ামীলীগ কে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ৭১ এর পরাজিত সৈনিকরা যুদ্ধে পরাজিত হয়ে তারা ঘাপটি মেরে বসেছিল। তারা দেশের ভিতরে এবং বাইরে থেকে বঙ্গবন্ধুর তিলে তিলে গড়া বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বানাতে চাই। কোনো ক্যান্টুমেন্ট থেকে আওয়ামীলীগের জন্ম হয়নি। রাজপথ থেকে এই দলের জন্ম। সেই আওয়ামীলীগকে হুমকী দেখানো হচ্ছে। আওয়ামীলীগকে আন্দোলনের ভয় দেখানো হচ্ছে।আওয়ামীলীগ হুমকী ও ভয় দেখানোকে ভয় পাইনা। আওয়ামীলীগের জন্মই হয়েছে রাজপথ থেকে।
তিনি বলেন, দল ও শেখ হাসিনা থাকলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশের উন্নয়ন হবে। সেটা আমরা বিশ্বাস করি। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকলে আমরা বীরের বেশে বেঁচে থাকবো। যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিশ্বাস করেনি, মুক্তিযুদ্ধকে মেনে নিতে পারেনি, লাল সবুজের পতাকা বিশ্বাস করেনি সেই পরাজিত সৈনিকরা আবারো ষড়যন্ত্র করছে।তাই মেহেরপুরের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
রিটন বলেন, কোন পৈত্রিক সূত্রে নয়, যারা মেহেরপুরের প্রকৃত আওয়ামীলীগ তাদের মধ্যে থেকে মনোনয়ন দিতে হবে।জেলা পর্যায়ের তৃণমুলের নেতা কর্মীদের মূল্যায়ন করতে হবে। যারা দলকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে, যারা দলকে ভাঙ্গিয়ে রাতারাতি কোটিপতি হচ্ছে আঙুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে আগামিতে আমরা তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবো। যারা দলের মধ্যে বিশৃংখলা করছে আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দকে মুল্যায়ন করছেনা। তাদের বিরুদ্ধে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবো।
আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপদেষ্টা আসকার আলী, মুজিবনগর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, মহজমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজানুর রহমান নান্নু, মুজিবনগর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান কামরুল হাসান চাঁদু, আওয়ামী লীগের নেতা আব্দুর রেজা, যুবলীগ নেতা নিশান সাবের, পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার কাউন্সিলর আল মামুন, জেলা ছাত্র লীগের সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক জুয়েলরানা, জেলা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি সোভন সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা, বিল্পব হোসনে।
এর আগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৪ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এডভোকেট ইয়ারুল ইসলামের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।
পরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৪ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে একটি মিছিল বের করা হয়। জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এডভোকেট ইয়ারুল ইসলামের নেতৃত্বে সদর উপজেলা পরিষদ থেকে শুরু করে প্রধান সড়ক হয়ে জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সামনে গিয়ে মিছিলটি শেষ হয়। র‌্যালী শেষে কেক কাটা হয়।




দর্শনার নাস্তিপুরে মোবাইলে গেমস খেলার লোভ দেখিয়ে শিশুকে ধর্ষণ

চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলা দর্শনার সীমান্তবর্তী নাস্তিপুর গ্রামে মোবাইল ফোনের গেমস খেলার লোভ দেখিয়ে তার চাচাতো ভাই নিজ বাড়িতে ডেকে ৬ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ করেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টার দিকে পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের নাস্তিপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয় পরিবারের সদস্যরা। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে কর্তব্যরত ডাক্তাররা তাকে অপারেশন থিয়েটার চিকিৎসা দিয়েছে। অভিযুক্ত ধর্ষক শিশুটির চাচাতো ভাই উপজেলা নাস্তিপুর গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে তানভীর (১৯)।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে খবর পেয়ে হাসপাতালে দেখতে যাই চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল-মামুন। ঘটনার পরই ধর্ষক তানভীরকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রেখেছে বলে জানিয়েছেন দর্শনা থানা পুলিশ।

দর্শনা থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহেদ জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার নাস্তিপুর বেলে মাঠপাড়ায় বৃষ্টি হচ্ছিল। এ সময় দর্শনা থানাধীন সীমান্তবর্তী নাস্তিপুর গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে তানভীর তার চাচাতো বোন শিশু (৬)কে মোবাইল ফোনে গেম খেলার লোভ দেখিয়ে তার বাড়িতে ডেকে ঘরের খাটের উপরে নেয়।এরপর ঘরের দরজা বন্ধ করে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। তার চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে ধর্ষক পালিয়ে যায়। পরে শিশুটির মা রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

এদিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আর এম ও ডাক্তার ফতেহ্ আকরাম জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ৩ টার দিকে শিশুটির মা তাকে চুয়াডাঙ্গা হাসপাতালে শিশুটিকে নিয়ে আসে। তখন তার প্রচন্ড ব্লেডিং হচ্ছিল। এ সময় সদর হাসপাতালে গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আকলিমা খাতুন,গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাক্তার শাপলা খাতুন ও সার্জিক্যাল সার্জন ডাক্তার এহসানুল হক তনময় সমন্বয়ে গঠিত একটি টিম গঠন করা হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের তার অবস্থা গুরুতর ও আশঙ্কাজনক হওয়ায় দ্রুত অপারেশন থিয়েটারে নেন। তার শরীরের অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জন্য রক্ত দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, শিশুটি ধর্ষণ হয়েছে। প্রচুর ব্লিডিং হচ্ছে তার অবস্থা আশঙ্কা জনক। তবে অপারেশন করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা চলছে।

এদিকে বিকালে খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ছুটে আসেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লহ আল মামুন। দর্শনা থানার অফিসার্স ইনচার্জ ওসি ফেরদৌস ওয়াহেদ জানান, ধর্ষক আসামি তনভির কে ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনায় দর্শনা থানায় ধর্ষনের একটি মামলা হয়েছে।




কোটচাঁদপুরে দরবেশ মাস্টার ফান্ডেশনের শিক্ষা বৃত্তি প্রদান

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গরীব মেধাবি শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তি দিয়েছেন,দরবেশ মাস্টার স্কলারশিপ ফান্ডেশন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এ বৃত্তি দেয়া হয় শিক্ষার্থীদের।

জানা যায়, প্রতি বছরের ন্যায় ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গরীব মেধাবি শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তি দিয়েছেন,দরবেশ মাস্টার স্কলারশিপ ফান্ডেশন।

এ বছর বিদ্যালয়ের ১৯ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে বৃত্তি প্রদান করেন ফাউন্ডেশন। বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইসাহাক আলী। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য মোমেন আল আরাফাত।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য মঈন উদ্দিন খান, সাইফুর রহমান ও মফিজুল ইসলাম। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন, বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক এস, এম হুমায়ুন কবির।




ঝিনাইদহে শিশু ধর্ষণ চেষ্টা মামলার পলাতক আসামী গ্রেপ্তার

ঝিনাইদহে চাঞ্চল্যকর চার বছরের শিশু ধর্ষণ চেষ্টা মামলার আসামি মোঃ সাহেব আলী (৫০) কে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

আজ বৃহস্পতিবার র‌্যাব-৬, ঝিনাইদহ ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, শিশু ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামী ঝিনাইদহ জেলার সদর থানার পোড়াহাটি বাজার এলাকায় আত্মগোপন করে আছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে আভিযানিক দলটি রাত সাড়ে ১২টার দিকে উক্ত বাজার এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মামলার প্রধান পলাতক আসামী মোঃ সাহেব আলী (৫০)কে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন।

উল্লেখ, গত ২১ জুন ২০২৩ ইং তারিখ শিশুটি বাড়ীর পাশে খেলা করা অবস্থায় মিষ্টি খেতে দেওয়ার কথা বলে আসামী নিজের ফাঁকা বসত বাড়ীতে ডেকে নেয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে নিজ বসত ঘরের মধ্যে নিয়ে শিশু ভিকটিমকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। অতপর ভিকটিমের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে ধৃত আসামী দরজা খুলে পালিয়ে যায়।

বিষয়টি নিয়ে শিশুটির পিতা বাদী হয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। ঘটনাটি জানতে পেরে র‌্যাব-৬ ঝিনাইদহ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং ধর্ষককারীকে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে অভিযান অব্যাহত রাখে।

গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে ঝিনাইদহ জেলার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।