গাংনীতে স্বামীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনায় মামলায় স্ত্রী গ্রেফতার, জেল হাজতে প্রেরণ

স্বামীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দায়ের করা মামলায় স্ত্রী জেসমিনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন পুলিশ।

আজ বুধবার (২১ জুন) দুপুরের দিকে গাংনী থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) জহির রায়হান সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করেন।

গ্রেফতার জেসমিন গাংনী উপজেলার জালশুকা গ্রামের মৃতু আলতাব হোসেনের স্ত্রী।

জানা গেছে, গত ১৯ জুন সন্ধ্যায় তার স্বামী আলতাব হোসেনকে ফেলে রেখে চুয়াডাঙ্গায় এক আত্মীয়র বাড়িতে বেড়াতে যায়। ওই দিন সন্ধ্যায় আলতাব হোসেন তার নিজ ঘরে আড়ার সাথে গলাই ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

এঘটনায় আলতাব হোসেনের পরিবারের লোকজন অভিযোগ করেন, তার স্ত্রীর পরোকীয়ার কারনে আলতাব হোসেন আত্মহত্যা করেছেন। পরে আলতাব হোসেনের ভাই হাসানুজ্জামান বাদী হয়ে ভাবী জেসমিন ও তার পরোকীয়া প্রেমিক খড়মপুর গ্রামের মহির উদ্দীনের ছেলে আব্দুল মালেককে আসামি করে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে প্যানাল কোড ৩০৬/৩৪ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ৩৩, তারিখ ১৯/০৬/২০২৩ ইং। মামলার প্রধান আসামি আলতাব হোসেনের স্ত্রী জেসমিন খাতুনকে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেন। তার কথিত প্রেমিক আব্দুল মালেককেও গ্রেফতারে জোর প্রচেষ্টা চলছে।

মামলার আইও জহির রায়হান জানান, আলতাব হোসেনের দুই ছেলে মেয়ের মধ্যে মেয়ে বিয়ে হয়ে শশুর বাড়ি ও ছেলেটি প্রবাসী। আলতাব হোসেনের বাড়ি আলমডাঙ্গা উপজেলার শালিকা উত্তরপাড়াতে হলেও প্রায় ২০ বছর আগে সে গাংনী উপজেলার জালশুকা গ্রামে তার শশুরবাড়ির পাশে জমি কিনে বাড়ি ঘর তৈরী করেছেন। তবে, জমিটি তার স্ত্রী জেসমিন খাতুনের নামে। স্বামী বিদেশ থাকার কারনে, জেসমিন আব্দুল মালেকের সাথে পরোকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। স্বামী বাড়ি আসার কারনে ক্ষিপ্ত হয়ে সব সময় দূর্ব্যবহার করে আসছে। স্ত্রীর দুর্ব্যবহার সহ্য করতে না পেরে অবশেষে আত্মহত্যার পথ বেচে নেন আলতাব হোসেন।




দর্শনায় প্রবীণ জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচি সম্মাননা ও পুরস্কার বিতরণ

দর্শনায় প্রবীণ জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচি সম্মাননা ও বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্টান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বুধবার বিকাল ৪ টার দিকে দর্শনা পৌরসভার হলরুমে এ সভা অনুষ্টিত হয়। এ অনুষ্টানে দর্শনা কলেজের সাবেক উপধাক্ষ ও প্রবীণ কমিটির সভাপতি মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে ।

এ বার্ষিক পুরস্কার বিতরনে প্রধান অতিথী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন দর্শনা পৌরসভার মেয়র আতিয়ার রহমান হাবু,বিশেষ অতিথী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন দর্শনা দর্শনা প্রবীণ কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ও ড্রাগ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানির সাবেক ডিজিএম খালেকুজ্জামান, ওয়েভ ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পরিষদের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ফজলুল হক,চুয়াডাঙ্গা চুয়াডাঙ্গা জেলা কমিউনিস্ট পার্টি সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মজনুর রহমান,ওয়েভ ফাউন্ডেশনের সিনিয়র সমন্বয়কারী কামরুজ্জামান যুদ্ধ।

এ সময় অতিথীরা শ্রেষ্ঠ সন্তান, শ্রেষ্ঠ প্রবীণ ও শ্রেষ্ঠ নারী নির্বাচনে প্রথমে প্রবীণ কমিটির প্রতিটি ওয়ার্ড পর্যায়ে নেতৃবৃন্দ ৩ জন করে ৫৪ জনকে মনোনীত করে। পরে মনোনীত ব্যক্তিদের বাড়ির আশেপাশে সরজমিন খোঁজখবর নিয়ে তদন্ত করেন তারা।পরে প্রবীণ কমিটির ২০ জন সদস্যের মতামতে ভিত্তিতে ৫ জন শ্রেষ্ঠ সন্তান, ৫ জন শ্রেষ্ঠ প্রবীণ ও ১জন শ্রেষ্ঠ নারী নির্বাচিত করা হয়।

নির্বাচিত হলেন শ্রেষ্ঠ সন্তান দৈনিক যুগান্তর দামুড়হুদা প্রতিনিধি ও মাই টিভি চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি ইকরামুল হক পিপুল,সাংস্কৃতি কর্মী শাহজাহান সাজু, কামাল হোসেন, আফরোজা খাতুন মোস্তাফিজুর রহমান। শ্রেষ্ঠ প্রবীণ সাবেক কেরুজ কর্মকর্তা আমির হোসেন,বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মজনুর রহমান, মোছাঃ নুরজাহান, হাবিবুল্লা বিশ্বাস, মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন, আব্দুল হান্নান। শ্রেষ্ঠ নারী হিসেবে নির্বাচিত করা হয় সাবেক দর্শনা পৌর মেয়র মরহুম মতিয়ার রহমানের স্ত্রী রোজি রহমান।

অনুষ্টানটি পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন পিকেএসএফের সহযোগিতায় পৌর প্রবীণ কমিটি ও ওয়েভ ফাউন্ডেশন আয়োজনে অনুষ্টিত হয়। অনুষ্টানটি পরিচালনা করেন দর্শনা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক হানিফ মন্ডল।




জীবননগরে ইমাম খতিব ও আলেমদের সাথে সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ আলোচনা

জীবননগর সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ ও সামাজিক সমস্যা নিরসনে ইমাম খতিব ও আলেমদের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার সময় জীবননগর ইসলামী ফাউন্ডেশনের আয়োজনে উপজেলা অডিটোরিয়ামে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

জীবননগর উপজেলা নিবাহী অফিসার মোঃ রোকনুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মোঃ হাফিজুর রহমান।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন,জীবননগর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সুলতানা লাকি, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ দ্বীন ইসলাম, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ আইয়ুব হোসেন খান প্রমুখ।




জীবননগরে সড়ক দুর্ঘটনায় যুবকের মৃত্যু

জীবননগরে সড়ক দূর্ঘটনায় যুবকের মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার বেলা ১২ টার সময় জীবননগর উপজেলার সন্তোসপুর বাসস্ট্যান্ডের নিকট এ দূর্ঘটনা ঘটে।

নিহত রিয়াজ হোসেন (২১)দর্শনা থানার দক্ষিণ চাঁদপুর গ্রামের নওশের আলীর ছেলে ও উথলী ডিগ্রি কলেজের ২য় বর্ষের মানবিক বিভাগের ছাত্র।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বুধবার বেলা ১২ টার দিকে মোটরসাইকেলযোগে দর্শনা থেকে খালার বাড়ি জীবননগর উপজেলার কাশিপুর গ্রামে যাচ্ছিলেন রিয়াজ। সে আন্দুলবাড়ীয়া সড়কের সন্তোসপুর বাসস্ট্যান্ডের অদূরে পৌছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সাথে তার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সে ছিটকে রাস্তার ওপর পড়ে গুরুতর আহত হয়।

স্থানীয়রা মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর রেফার্ড করেন। যশোর নেওয়ার পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয়।

জীবননগর থানার অফিসার ইনচাজ(ওসি) মোঃ নাসির উদ্দিন মৃধা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,সড়ক দুঘটনায় নিহতর বিষয় ট্রাকটি আটক করা হয়েছে এবং মামলা প্রক্রিয়াধীন ।




জীবননগর থানা পুলিশের সচেতনামূলক কমকান্ড নো-হেলমেট নো ফুয়েল

দুঘটনা এড়াতে জীবননগর থানা পুলিশের সচেতনামূলক কমকান্ড নো-হেলমেট নো ফুয়েল এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জীবননগর উপজেলার প্রতিটি তেল পাম্পে একটি করে ব্যানার স্থাপন করা হয়।

আজ বুধবার বিকাল ৪টার সময় জীবননগর থানা পুলিশের আয়োজনে উপজেলার ৫টি তেল পাম্পে এ সচেতনামূলক ব্যানার স্থাপন করা হয়।

এ সময় উপস্থিত জীবননগর থানার অফিসার ইনচাজ (ওসি) মোঃ নাসির উদ্দিন মৃধা,জীবননগর থানার ওসি (তদন্ত) আবু সাঈদ,এস আই নাহিরুল ইসলাম,এস আই রায়হান উদ্দিন,এস আই গোপাল,এ এসআই শামিনুর রহমান,ইউনুস আলী প্রমুখ।

জীবননগর থানার অফিসার ইনচাজ (ওসি) নাসির উদ্দিন মৃধা বলেন,হেলমেট একজন মোটরসাইকেল চালকের জন্য নিরাপত্তা । হেলমেট মাথায় থাকলে অনেক দুঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। সামনে কোরবানীর ঈদ এই ঈদকে সামনে রেখে অনেক তরুন যুবকরা আছে যারা দুরত্ব গতিতে গাড়ি চালিয়ে থাকে তাদের বিরুদ্ধেও আমরা ব্যবস্থা গ্রহন করবো ।

চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ সুপার স্যারের নিদেশে আমরা জীবননগর উপজেলার প্রতিটি তেল পাম্পে সচেতনামূলক ব্যানার টাঙ্গিয়ে দিয়েছি এবং তেল পাম্পের ম্যানেজারদের সতক করে দেওয়া হয়েছে যদি হেলমেট বাদে কাউকে তেল দেওয়া হয় তা হলে পাম্প কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




মুজিবনগরে গুডনেইবার্সের উদ্যোগে শিশুদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ এবং খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

মুজিবনগরে গুডনেইবারর্স বাংলাদেশ মেহেরপুর সিডিপি এর স্পনসর শিশুদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ এবং খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

আজ বুধবার বিকেলে গুডনেইবারস বাংলাদেশ মেহেরপুর সিডিপি বল্লভপুর প্রজেক্ট অফিস প্রাঙ্গনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ সকল সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

গুডনেইবারর্স মেহেরপুর সিডিপি এর সিনিয়র অফিসার (প্রোগ্রাম) রিফাত আল মাহমুদ এর সঞ্চালনায়,মেহেরপুর সিডিপি ম্যানেজার বিভব দেওয়ানের সভাপতিত্বে শিশুদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদ ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মি: বাবুল মল্লিক।

অনুষ্ঠানে ২২০ জন স্পন্সর শিশুকে ২৫ কেজি করে চাউল সাড়ে ৫ লিটার সরিষার তেল ১ কেজি গুড়া দুধ এবং ৮ টি খাতা ও ১৬ টি কলম প্রদান করা হয়।




আলমডাঙ্গার বলিয়ারপুর ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট সহ দু’জন গ্রেপ্তার

আলমডাঙ্গা ঘোলদাড়ি ফাঁড়িপুলিশ মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে ৫৯ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট সহ দুই জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে।

আজ বুধবার বেলা ১২ টার দিকে নাগদাহ ইউনিয়নের বলিয়ারপুর বাজার প্রাঙ্গণ থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটকৃতরা হলেন, উপজেলা নাগদাহ ইউনিয়নের ফিল্ডপাড়া আব্দুল ওয়াদুদ বিশ্বাসের ছেলে সজিব বিশ্বাস (২৪), বলিয়ারপুর ঘোষপাড়ার মুজিবর রহমান ছেলে ঝন্টু সরদার (৩৭)।

ঘোলদাড়ি ফাঁড়িপুলিশ সূত্রে জানাযায়, উপজেলার নাগদাহ ইউনিয়নের বলিয়ারপুর গ্রামের দুই যুবক সজিব ও ঝন্টু বিশ্বাস। দীর্ঘদিন মাদকদ্রব্য ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট সেবনের পাশাপাশি বিক্রি করে আসছে। এতে স্থানীয় যুবকেরা মাদক সেবনের উপর গ্রাস করছে। বিভিন্ন সময় পুলিশ অভিযান চালালেও তারা ধরাছোয়ার বাইরে থাকে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঘোলদাড়ি ফাঁড়িপুলিশ আজ বুধবার দুপুরে বলিয়ারপুর বাজারে মাদকদ্রব্য অভিযান পরিচালনা করে। এসময় সজিব ও ঝন্টু বিশ্বাসকে আটক করে পুলিশ। দুজনের শরীর তল্লাশী করে ৫৯ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট উদ্ধার করে।

আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।




মেহেরপুর হাসপাতালে ওয়ার্ডমাস্টারের হাতে চিকিৎসক লাঞ্ছিত!

মেহেরপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আউটসোর্সিং এ নিয়োগপ্রাপ্ত ওয়ার্ডমাস্টার সজল ইসলামের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন মেডিক্যাল অফিসার ফরহাদ পারভেজ।
গতকাল বুধবার সকাল ১১ টার দিকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের সিঁড়ির নিচে এ লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ওয়ার্ডমাস্টার সজল শহরের বোসপাড়ার শাবান আলীর ছেলে। নিরাপত্তার অভাবে লাঞ্ছিত হয়েও বিষয়টি নিয়ে নিশ্চুপ ছিলেন ওই চিকিৎসক। পরে তিনি মেহেরপুর সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হাসপাতালের ডাক্তার ও বাইরের একজন লোক সিঁড়ি থেকে নামতেই ওই ওয়ার্ডমাস্টার সজল ডাক্তারকে পেছন থেকে জামা ধরে টানাটানি ও গালি দিচ্ছিলেন। এসময় মেডিকেল অফিসার ছুটে পালানোর চেষ্টা করছিলেন। তবে কি নিয়ে এ লাঞ্ছিতের ঘটনা ঘটেছে তা কেউ জানাতে পারেননি।
তবে, চিকিৎসক ফরহাদ পারভেজের কথা বলতে চাইলে তিনি লাঞ্ছিত হওয়ার কথা স্বীকার করলেও বেশি কথা বলতে চাননি।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মকলেছুর রহমান বলেন, চিকিৎসক ফরহাদ পারভেজ মেইল ওয়ার্ডে চিকিৎসা সেবা দিয়ে ওষুধ কোম্পানীর একজন প্রতিনিধিসহ সিঁড়ি দিয়ে নামছিলেন। এসময় পেছন থেকে টেনে ধরে লাঞ্ছিত করেন ওয়ার্ডমাস্টার সজল। তিনি আরও বলেন, হাসপাতালের তত্বাবধায়ক খুলনাতে একটা মিটিংএ গেছেন। তত্বাবধায়ক ফিরলেই এই বিষয়টি নিয়ে বসা হবে।
মেহেরপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. জামির মোহাম্মদ হাসিবুস সাত্তার বলেন, এই বিষয় শুনে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। হাসপাতালের আরএমও মেহেদী হাসান চার্জে রয়েছেন। লাঞ্ছিত চিকিৎসক ফরহাদ পারভেজকে থানায় গিয়ে জিডি বা মামলা করার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া আমি মৌখিকভাবে মেহেরপুর পুলিশ সুপার ও বিভাগীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। তারা আমাদের সকল বিষয়ে পাশে থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ওয়ার্ডমাস্টার সজলের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তাকে হাসপাতাল চত্তরে পাওয়া যায়নি। পরে মেহেরপুর প্রতিদিন অনলাইন পোর্টালে সংবাদ প্রকাশিত হলে তিনি মেহেরপুর প্রতিদিনকে ফোনে জানান, তিনি ভুল করে রিপ্রেজেন্টেটিভ ভেবে ডাক্তারের সাথে এ ধরণের আচরণ করেছেন। তিনি আত্মগোপনে ছিলেন না এবং ডাক্তারকে গালাগালিও করেননি।




‘বনায়ন’ মেহেরপুরের উদ্যোগে বিনামূল্যে গাছের চারা বিতরণ

ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যোকোর মেহেরপুর আঞ্চলিক অফিসের সামনে বনায়ন মেহেরপুরের উদ্যোগে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা বিতরণ শুরু হয়েছে।

৫ই জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবসে এই কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করা হয় । বিনামূল্যে গাছের চারা বিতরণ এর উদ্বোধন করেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ শঙ্কর কুমার মজুমদার।

বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে একাত্ততা প্রকাশ করে বেসরকারিখাতের সবচেয়ে বড় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ‘বনায়ন’ তার ৪৩তম বছরে পদার্পন করে ৫০ লাখ গাছের চারা বিতরণ শুরু করেছে।

বাংলাদেশ সরকারের বৃক্ষরোপণের আহ্বানের সঙ্গে একাত্ম হয়ে ১৯৮০ সালে ‘বনায়ন’ তার যাত্রা শুরু করে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাস্তুতন্ত্র পুনঃস্থাপনের লক্ষ্য নিয়ে এই পর্যন্ত সাড়ে ১১ কোটির বেশি বনজ, ফলজ, ও ঔষধি জাতীয় গাছের চারা বিনামূল্যে বিতরণ এবং দেশব্যাপী ১১৯টি জীব-বৈচিত্র্য কেন্দ্র স্থাপন করেছে ‘বনায়ন’।

‘বনায়ন’ এর এই কার্যক্রম সরাসরি জাতিসংঘ প্রণীত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি-১৩) ‘ক্লাইমেট অ্যাকশন’ এবং (এসডিজি-১৫) ‘লাইফ অন ল্যান্ড’ অর্জনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের সহযোগী হিসেবে কাজ করছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর বি এ টির রিজিওনাল ম্যানেজার সাজ্জাদ তালুকদার, এরিয়া ম্যানেজার কৃষিবিদ এ এস এম কামাল এছাড়াও বিএটির সকল অফিসার উপস্থিত ছিলেন।

এরিয়া ম্যানেজার কৃষিবিদ এ এস এম কামাল বলেন, পুরো জুলাই মাস জুড়ে এই স্টল থেকে বনজ,ফলজ ও ঔষধি গাছের চারা সর্বসাধারণের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে। এখানে নিম, মেহেগুনি, অর্জুন, সজিনা ,আমলকি ,বেল ,লেবু, কাঁঠাল, জাম সহ বিভিন্ন প্রজাতির চারা বিতরণ করা হচ্ছে। তিনি সকলকে বিনামূল্যে গাছের চারা নেওয়ার জন্য আহবান করেন।




ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল থেকে দালাল চক্র আটক, ১মাসের কারাদন্ড

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল থেকে নারীসহ ৯ দালালকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে প্রত্যেককে কারাদন্ড দেওয়া হয়।

আজ বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ডিবি পুলিশ ও জেলা প্রশাসন এ অভিযান পরিচালনা করেন।

জেলা প্রশাসক এস এম রফিকুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন ধরে সদর হাসপাতালে দালালচক্র সাধারণ রোগীদের সাথে প্রতারণা করে বাইরের ক্লিনিক ও প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলো। এমন সংবাদ জানতে পেরে জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা মোতাবেক আজ বুধবার সকালে ডিবি পুলিশ ও জেলা প্রশাসন যৌথ অভিযান পরিচালনা করে ৫ জন নারী ও ৪ জন পুরুষ দালালকে আটক করে।

পরে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এস.এম নুরুন্নবী ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে প্রত্যেককে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড, নারীদের ১০০ টাকা ও পুরুষদের ২০০ টাকা করে জরিমানা করেন।