চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের এমপি টগরের মায়ের ইন্তেকাল

চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগার টগর (এমপি) এর মা শখের বাণু (৮৪) ইন্তেকাল করেছেন।

গতকাল মঙ্গলবার রাত পৌনে ১১ টার দিকে ব্যার্ধক্ষ জনিত কারণে দামুড়হুদার রুঘুনাথপুর গ্রামের বাড়িতে ইন্তেকাল করেন। তিনি

চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য, বিদ্যুৎ ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কমিটির সদস্য হাজী আলী আজগার টগর (এমপি) এর মা ও মৃত আব্দুল ওহাব এর স্ত্রী। তিনি ১১ ছেলে ও ৩ মেয়ের জননী মৃত্যুকালে পুত্র-কন্যা, নাতি-নাতনী সহ অসংখ্য আত্মিয়-স্বজন রেখে গেছেন।

তিনার মৃত্যুতে জেলার প্রশাসনিক, রাজনৈতীক নের্তৃবৃন্দ সহ বিভিন্ন মহল শোক প্রকাশ করেছেন। আজ বুধবার বেলা ১১ টার দিকে

রঘুনাথপুর গ্রামে জানাযা শেষে গ্রামের কবরস্থানে দাফনকার্য সম্পন্ন করা হবে বলে পরিবার সূত্রে জানাযায়।




আলমডাঙ্গায় বর্ষায় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ছাতা প্রদান ও মতবিনিময় সভা

চুয়াডাঙ্গা এলাকায় বহমান তাপপ্রবাহ ও আসন্ন বর্ষায় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ছাতা প্রদান উপলক্ষে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

তারাদেবী ফাউন্ডেশনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন তারাদেবী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটির সদস্য, ডায়মন্ড ওয়াল্ডের স্বত্বাধিকারী দিলিপ কুমার আগরওয়ালা। বিকেলে আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা কলেজ মাঠে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জনাকীর্ণ এ মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি বলেন, আপনাদের খাসকররা ইউনিয়ন একটি ঐতিহ্যবাহী ইউনিয়ন। এই ইউনিয়নে বাংলাদেশ কৃষকলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম ব্যারিষ্টার বাদল রশীদের জন্ম। এই অঞ্চলের মানুষ তার হাতধরে আওয়ামীলীগের রাজনীতি করেছেন। আমি তাকে স্মরণ করে এই মতবিনিময় সভা আপনাদের খাসকররায় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যার নানা সাফল্যগাঁথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশের এ বিস্ময়কর অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে আওয়ামীলীগের পতাকাতলে সকলকে সমবেত হতে হবে। এ সময় তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে ব্যারিস্টার বাদল রশীদের অনন্যসাধারণ ভূমিকার কথা বার বার কৃতজ্ঞতা চিত্তে স্মরণ করেন। তিনি উপস্থিতিদের উদ্দ্যেশে বলেন, সামনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনে যিনিই নৌকা প্রতিক পাবেন আপনারা সবাই তারপক্ষে একযোগে কাজ করবেন। নৌকায় ভোট দিবেন। তিনি আরও বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে কথা হলে তিনি আমাকে এলাকায় আপনাদেরকে সাথে নিয়ে কাজ করার অনুমতি দিয়েছেন।

ইতোপূর্বে দিলিপ কুমার আগরওয়ালা আলমডাঙ্গায় পৌঁছলে তাকে কেন্দ্র করে বিরাট মোটরসাইকেল বহরেরের কারণে শহরে রীতিমত যানজটের সৃষ্টি হয়।

মতবিনিময় সভায় আনোয়ার হোসেন মাস্টারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক জানিফ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিফাত, ইউনিয় আওয়ামীলীগের সদস্য রুহুল আমীন, মোয়াজ্জেম হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক তরিকুল ইসলাম টুকুল, আলমডাঙ্গা পৌর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মিলন হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হোসাইন, চুয়াডাঙ্গা পৌর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী মাহমুদুল হক সজল, তারাদেবী ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আলমগীর কবীর শিপলু।




চুয়াডাঙ্গা দর্শনা ও জীবনগর ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলছে সড়ক সম্প্রসারণ 

চুয়াডাঙ্গায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে সড়ক সম্প্রসারণের কাজ চলায় যে কোন মূহুর্তে ঘটতেপারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। সেই সঙ্গে চলছে দায়সারা গোছের সড়ক সংস্কার।

চুয়াডাঙ্গা হতে জীবননগর সড়কের ডুগডুগি বাজার থেকে লোকনাথপুর পর্যন্ত ধীর গতিতে এ কাজ চলছে। নওগাঁ জেলার একজন ঠিকাদারের কাজ এ জেলার একজন অনভিজ্ঞ ঠিকাদার দায়সারাভাবে করায় কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি অর্থ বছরে চুয়াডাঙ্গা হতে দর্শনা, জীবননগর সড়কের ডুগডুগি বাজার থেকে লোকনাথপুর পর্যন্ত কার্পেটিং সিলিকেট কাজ পায় নওগাঁ জেলার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স আমিনুল হক (প্রাঃ) লি.। ৮৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ৭৫০ মিটার একাজ স্হানীয়ভাবে বাস্তবায়ন করছে ওই প্রতিষ্ঠানের পক্ষে একজন অনভিজ্ঞ ঠিকাদার।

সরেজমিনে দেখা যায়, কোন রকম প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা না রেখেই সারাদিন রাত শত শত যানবাহন চলাচলকারী এ সড়কের দু’ধারে গর্ত খুঁড়ে রাখা হয়েছে। প্রতিরোধক হিসেবে গর্তের ধারে চারটি করে ইট ব্যবহার করা হচ্ছে। সতর্ক করার জন্য বাঁশের লাঠির মাথায় লালটেপ জড়িয়ে কয়েক জায়গায় পুঁতে রাখা হয়েছে। তবে সড়কের কিছু অংশ ইটবালী মিশিয়ে ভরাট করলেও অন্য অংশে গর্ত রয়েই গেছে। রাতে সড়ক বাতি না থাকায় পুরো সড়ক অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকছে। বৃষ্টি আর কাদাঁ ও সড়কের দু’ধারের গর্তে কারনে এ সড়ক দিয়ে চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। যে কোন মূহুর্তে দ্রুতগতির যানবাহন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গর্তে পড়ে গিয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। লোকনাথপুর বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, বড় বড় গর্ত খুঁড়ে রাখায় সড়ক পার হয়ে খদ্দের আসতে না পারায় তারা ক্ষতিগ্রস্হ হচ্ছে। তাছাড়া গর্তের কারনে আবাসিক এলাকার বাসিন্দারা অন্ধকারে নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারছেনা।

এছাড়া সড়ক সংস্কারের চলছে যথেষ্ট অনিয়ম। সড়কের ওপর হালকা পিচের প্রলেপ দিয়ে কাজ শেষ করা হয়েছে। রোলার দেয়ার পরও সড়ক রয়েছে উঁচুনিঁচু। মনেই হচ্ছে না সড়কটি সংস্কার করা হয়েছে। দায়সারা গোছের কাজের কারনে সংস্কারের মান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

দর্শনা বাসস্ট্যান্ডের ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান, আবু সাঈদ, একরামুল ও স্হানীয় বাসিন্দা মতিয়ার অভিন্ন ভাষায় বলেন, সড়ক সংস্কারে যথেষ্ট অনিয়ম হয়েছে। সড়কে সামান্য পিচের প্রলেপ দিয়ে কাজ শেষ করা হয়েছে। এ কাজে সরকারের টাকার তছরুপ করা ঠিক হয়নি। চোখের সামনে আমাদের দূর্নীতি দেখে সহ্য করতে হচ্ছে, যা কষ্টদায়ক।

চুয়াডাঙ্গা সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী কাজী আজিজুর রহমান বলেন, কাজটিতে শ্রমিক বাড়ীয়ে দ্রুত করার তাগিদ দেয়া হয়েছে। রাতে চুয়াডাঙ্গায় ফেরার সময় তারও গাড়ী কাঁদায় আটকে গিয়েছিল বলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ মঞ্জুরুল করিম জানান, কাজটিতে তদারকি বাড়াতে হবে। এখানে দায়সারা কাজের কোন সুযোগ নেই। এটা গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হবে।




আলমডাঙ্গায় আওয়ামী লীগের ত্যাগী অবহেলিত নেতাকর্মিদের ব্যানারে নৌকা মঞ্চ গঠন

” আলমডাঙ্গা-চুয়াডাঙ্গার বঙ্গবন্ধু আদর্শে অনুপ্রাণিত তৃণমূল পর্যায়ের ত্যাগী, অবহেলিত নেতাকর্মী বৃন্দ”র ব্যানারে অনুষ্ঠিত এ মত বিনিময় সভায় আওয়ামীলীগের নৌকা মঞ্চ গঠন করা হয়।

গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় আলমডাঙ্গার থানাপাড়া কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় গঠিত কমিটিতে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ও সাবেক ভাংবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান কাউসার আহমেদ বাবলুকে আহ্ববায়ক ও জেলা যুবলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানকে সদস্য সচিব করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট এ মঞ্চ গঠন করা হয় ।

কমিটির যুগ্ন আহ্বায়ক করা হয়েছে পদ্মবিলা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহের বিশ্বাস, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দার, কুতুবপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন টাইগার, ইউপি আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক রকিবুল হাসান, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম মন্ডল।

কাউসার আহমেদ বাবলুর সভাপতিত্ব এ মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন কালিদাসপুর ইউপির সাবেক সভাপতি জালাল হোসেন, বেলগাছি ইউপির সাবেক সেক্রেটারি নজরুল ইসলাম, অগ্নিসেনাখ্যাত বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মইন উদ্দীন আহমেদ, বাবুলাল দোবে,লাভলুর,ফজলুর রহমান,
খন্দকার বজলুর করিম,আবু তালেবসহ অনেকেই বক্তব্য রাখেন।

মতবিনিময় সভায় বক্তাগণ বলেন, দুই হাজার আট সালে আওয়ামীলগকে ক্ষমতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য আপনারাই প্রত্যেকটা ইউনিয়নে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আজকে আপনারাই দলের কাছে সবচেয়ে উপেক্ষিত। দুর্দিনের যারা নেতাকর্মি, তাদের কোথাও জায়গা নেই। যারা বিগত দিনে নৌকার বিরুদ্ধে ছিল, আজকে তাদেরকে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এমনকি দলের পদ পদবী পাচ্ছে তারা।

চুয়াডাঙ্গায় আওয়ামী লীগের রাজনীতি পকেটে পুরে করা হচ্ছে। ইচ্ছামত দল পরিচালনা করছেন।
বিগত দিনে আমরা দেখলাম জননেত্রী শেখ হাসিনা উপজেলা নির্বাচনে জিল্লুর রহমানকে নৌকা প্রতিক দিলো,জেলা থেকে বলা হলো এ নৌকা কাগজের নৌকা। নৌকাকে হারিয়ে দেওয়া হলো। সেই নির্বাচনে আমরা নৌকার পক্ষে ভোট করেছিলাম। আমাদের অপরাধ আমরা নৌকার ভোট করেছি বলে আজ আমরা অবহেলিত। নির্যাতিত নিপীড়িত। বিভিন্ন ইউনিয়নে কমিটি গঠন করা হয়েছে, আমাদের একটা সদস্য পদও দেওয়া হয়নি।

যেহেতু আমরা আওয়ামী লীগ করি,এই অবস্থায় আমরা আর বসে থাকতে পারিনা। প্রয়োজনে আমরা দলের কান্ডারি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে দেখা করবো।দলের এই অবস্থার কথা তুলে ধরবো।




আলমডাঙ্গা পৌরবাসীয় সাপ্লাই সুপেয় পানির উদ্বোধন

স্বল্প মূল্যে সারা বছর নিরবিচ্ছিন্ন সুপেয় পানি পাচ্ছে আলমডাঙ্গা পৌরবাসী। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় এক যোগে তিনটি পানির পাম্প উদ্বোধন করেন মেয়র হাসান কাদির গনু। দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর সুপেয় সাপ্লাই পানি পেয়ে খুশি এলাকাবাসী।

উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানাযায়, ১০ কোটি টাকা ব্যায়ে পাম্প বসানো, পাম্প হাউজ নির্মাণ, সংযোগ লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরের বরাদ্দকৃত অর্থের মাধ্যমে পৌর এলাকার ৪১ কিলোমিটার পাইপলাইন স্থাপন শেষ হয়। এছাড়াও প্রথম পর্যায়ে ৩ হাজার বাসিন্দাদের সাপ্লাই পানির আওতাধীন সংযোগ দিয়েছে পৌরকতৃপক্ষ।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এক যোগে তিনটি পাম্প হাউজের উদ্বোধন করেন মেয়র হাসান কাদির গনু। এই সুপেয় পানি প্রথম পর্যায়ে ৮ টি ওয়ার্ডের বাসিন্দারা সুবিধা ভোগ করলেও পর্যায়ক্রমে বন্ডবিল ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জনগণ পরবর্তীতে সুপেয় পানির আওতাধীন আসবে বলে জানান পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু। বসতবাড়িতে সুপেয় পানির সংযোগ লাইনে মিটার করা হয়েছে । পানির ব্যবহার অনুযায়ী অনলাইনের মাধ্যমে বিল পরিশোধ করতে পারবে ভুক্তভোগীরা।

পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা আজিরণ বেগম বলেন, পৌরসভা স্থাপনের প্রায় ৩০ বছর পর সুপেয় পানি পাচ্ছি। বেলা ১২ টার দিকে হঠাৎ বাড়ির পাইপ দিয়ে পানি বের হচ্ছে।

৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আলি আজগার জানান, দুপুর থেকে সহজেই মিলছে সুপেয় পানি। গভীর নলকূপের পানি অনেকটা শীতল। সাপ্লাই পানি পেয়ে আমরা খুবই আনন্দিত।

পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু জানান, পানি সরবরাহ চালুর কারণে পৌরবাসীদের ব্যক্তিগত মোটরে পানি তোলায় বিদ্যুৎ বিলের অতিরিক্ত খরচ কমে যাবে। অনলাইনের মাধ্যমে পানির বিল পরিশোধ করা যাবে।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তা শেখ ফরিদ আহমেদ, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কর্মকর্তা হাবিবুল্লাহ, পৌর নির্বাহি কর্মকর্তা রকিবুল ইসলাম, পৌর প্যানেল মেয়র মজিবুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্নসাধারণ সাধারণ সম্পাদক কাজি রবিউল হক, পৌর উপ-সহকারী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান, সিএ হাফিজুর রহমান, আওয়ামীলীগ নেতা হাজি ঠান্ডুর রহমান, কাউন্সিলর আলাল উদ্দিন,আশরাফুল ইসলাম বাবু, বাপ্পি হোসেন, জহুরুল ইসলাম স্বপন, আব্দুল গাফ্ফার প্রমূখ।




কোটচাঁদপুর কৃষি জমি থেকে মাটি কেটে বিক্রির অভিযোগ ;এক লাখ টাকা জরিমানা

কৃষি জমি থেকে মাটি কেটে বিক্রির অভিযোগে তোয়াক্কেল হোসেন কে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্টেট নিরুপমা রায়। গতকাল মঙ্গলবার কোটচাঁদপুরের মুরুটিয়ার ঘোষের মাঠে এ জরিমানা করেন তিনি।

কোটচাঁদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইউনুচ আলী বলেন, কোটচাঁদপুরের বলুহর ইউনিয়ন পরিষদের মুরুটিয়া গ্রামের ঘোষের মাঠ থেকে কৃষি জমি থেকে মাটি কেটে বিক্রি করছিল তোয়াক্কেল হোসেন। এমন খবর পেয়ে ওই স্থানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন, সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্টেট নিরুপমা রায়।

এদিকে অভিযানের খবরে ভেকু ফেলে পালিয়ে যান ভেকু ড্রাইভার, হেলফার আর ট্র্যাক্টর ড্রাইভাররা। পরে তিনি ভেকুর ব্যাটারি জব্দ করেন। ভেকুটি জিম্মায় দিয়ে আসেন ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফারুক হোসেনের।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন,বলুহর ভূমি অফিসের নায়েব হারুন অর রশিদ।




কোটচাঁদপুরের পল্লীতে বর্জ্যপাতে এক যুবকের মৃত

বর্জ্যপাতে সাজিদ উদ্দিন (৪৭) নামে এক যুবকের মৃত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে কোটচাঁদপুরের দয়ারামপুর গ্রামে। সে ওই গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান কাবিল উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে।

পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সাজিদ উদ্দিন দয়ারামপুর মাঠে কাজ করছিল। এ সময় বর্জ্যপাতের ঘটনা ঘটে। এতে করে সে গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।

এ সময় কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক সুমন ঘোষ,তাকে দেখে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, বর্জ্যপাত ঘটে, সে ঘটনাস্থলে মারা যান। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আমরা তাকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি।

সাজিদ উদ্দিন কোটচাঁদপুর উপজেলার দয়ারামপুর গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান কাবিল উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে।
এ দিকে তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে,কান্নার রোল পড়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে। ভারি হয়ে ওঠে বাতাস। খবর পেয়ে কোটচাঁদপুর থানার ডিউটিরত উপপরিদর্শক (এসআই) ইদ্রিস আলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। মৃত দেহের সুরতহাল হাল করে,মৃত দেহটি স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেন। তিনি বলেন,এটা তো অপমৃত্যু। থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হবে।




তদন্ত কর্মকর্তাকে আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দাখিলের নির্দেশ

মেহেরপুর সদর উপজেলার রাজনগর গ্রামের আশুরা খাতুনের দায়ের করা মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মফিজকে আদালতে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে আত্মসমর্পনমুলক লিখিত ব্যাখ্যা দাখিলের নির্দেশ, মামলার তদন্ত অফিসার পরিবর্তন করতে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ ও অত্র মামলার সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী কর্মকর্তার উক্তরুপ কার্যকলাপ তদন্তপূর্বক আগামী ১৬/০৭/২০২৩ ইং তারিখের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সার্কেলকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মেহেরপুর সদর আমলী আদালতের ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রথম শ্রেনীর ম্যাজিস্ট্রেট মো: তরিকুল ইসলাম।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরের দিকে মেহেরপুর সদর আমলী আদালতের ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রথম শ্রেনীর ম্যাজেস্ট্রিট মো: তরিকুল ইসলাম এই নির্দেশ দেন।

আদেশে আরও বলা হয়েছে, মামলার বাদী মোছা: আশুরা খাতুন তার মামলায় উল্লেখ করেছেন, রাজনগর গ্রামের মৃত আদম আলীর ছেলে মুক্তি (৫০) নারী লোভী সন্ত্রাসী ও দলীয় প্রভাবশালী লোক। আসামি ইতোপূর্বে জোরপূর্বক একাধিক নারী ধর্ষণের সময়ে জনগনের নিকট ধরা পড়েছে। আমি তার বিরুদ্ধে ক্যাম্পে ও থানায় একাধিকবার অভিযোগ দায়ের করতে ব্যার্থ হয়েছি।

অবশেষে বিগত ১১/০৬/২৩ তারিখে বিজ্ঞ আদালতে পিটিশন দায়ের করি।বিজ্ঞ আদালত এই পিটিশন আমলে নিয়ে মেহেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জকে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়ে ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। আসামি দূর্দান্ত, দুধর্ষ ও দলীয় প্রভাবশালী হওয়ায় তদন্তকারী কর্মকর্তা ভয়ভীতির উর্দ্ধে উঠে স্বাক্ষীদের সাথে ও আমার কোনো বক্তব্য যথাযথভাবে শ্রবণ করেনি। এছাড়া আসামি তদন্তকারী কর্মকর্তাকে সাথে নিয়ে গত ১৭/০৬/২৩ তারিখ সকাল ৯ টার সময় আমার ভাই জামায়াতুল ইসলামের বাড়ি উপস্থিত হয়ে তার গলায় গামছা পেছিয়ে শ্বাসরোধ করে জোর করে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়।

আসামি মুক্তি আমার আত্মীয় স্বজনকেও নানাভাবে হুমকী ধামকী দিচ্ছে মামলা যাতে আমি উঠিয়ে নিই। আশুরা খাতুন আরও উল্লেখ করেছে ২০১৫ সাল থেকে আমাকে শারীরিক ও মানুষিকভাবে নির্যাতন চালিয়ে আসছে। তার অত্যাচার নির্যাতনের হাত থেকে বাচতে ও মান সম্মানের ভয়ে আমি মেহেরপুর শহরে চলে আসি। এই মামলার এক নং আসামি মুক্তি, দুই নম্বর আসামি কালু ও তিন নম্বর আসামি ওমর আলী স্বাক্ষীদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। এছাড়া আশুরার স্বামী জয়নাল আবেদীনকে একাধিকবার শারীরিক নির্যাতন করে পঙ্গুপ্রায় করেছে। প্রধান আসামি মুক্তি দলীয় প্রভাবশালী হওয়ায় সাধারণ জনগণ ও প্রশাসন তার কথা মত চলতে বাধ্য হচ্ছেন। আমার সাংসারিক জীবন প্রধান আসামির জন্য দুর্র্বিষহ হয়ে উঠেছে।

উল্লেখ্য যে, মেহেরপুর সদর উপজেলার রাজনগর গ্রাম আওয়ামীলীগ নেতা ও সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মুক্তি একই গ্রামের জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী আশুরা খাতুনকে ২০১৫ সাল থেকে কু প্রস্তাব দিয়ে আসছে। তার কথা মেনে না নেওয়ায় আশুরার স্বামী জয়নাল আবেদীনের উপর নানাভাবে নির্যাতন ও অত্যাচার করে পঙ্গুপ্রায় করে রেখেছে। সম্প্রতি আশুরা খাতুন তার নিজ বাড়ি গেলে একা পেয়ে কালু ও ওমর আলীর সহযোগীতায় মুক্তি আশুরাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। পরে চিৎকার দিয়ে উঠলে মুক্তি সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে পালিয়ে যায়।এই ঘটনায় আশুরা খাতুন বাদী হয়ে মেহেরপুরের বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল একটি পিটিশন মামলা করেন। যার পিটিশন নং ৯০/২৩, তারিখ ৬/৬/২৩ইং।

মেহেরপুর সদর থানার মামলা নং ২০, তারিখ ১২/০৬/২৩ ইং, ধারা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) এর ৯(৪)(খ)/৩০।




মেহেরপুরের রাজনগরের আ. লীগ নেতা মুক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টার মামলা

মেহেরপুর সদর উপজেলার রাজনগর গ্রামে আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেছে একই গ্রামের মোছা: আশুরা খাতুন নামের এক নারী।

মামলার প্রধান আসামি মুক্তি গ্রাম আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, মামলার প্রধান আসামি মুক্তি বিভিন্ন সময়ে মোছা: আশুরা খাতুনকে কু প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। এছাড়া তিনি ওই গ্রামের বিভিন্ন নারীদের চাল, গম, টাকা পয়সা বা ভাতা করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অবৈধ অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে থাকেন। কোনো নারী তার কথায় রাজি না হলে বিভিন্ন কৌশলে ফাঁদে ফেলে তাকে ধর্ষণ করেন। ইতোপূর্বে গ্রামের এক কিশোরীকে ধর্ষণ করা অবস্থায় লোকজন তাকে হাতে নাতে ধরে ফেলে। পরে স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে তা মিমাংসা করা হয়।

মামলায় আরো বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন যাবৎ কু প্রস্তাব দিয়ে ব্যার্থ হন মুক্তি।পরে গত ০১/০৬/২৩ তারিখ দিবাগত রাত আনুমানিক রাত সাড়ে ৮ টার সময় ঘরে প্রবেশ করে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক আমার স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। স্পর্শকাতর স্থানে সে কামড়িয়ে ও হাঁচড়িয়ে জখম করেছে। পরে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে চিৎকার দিয়ে উঠে। এসময় প্রতিবেশীরা ছুটে এসে বাইরে থেকে দরজার শিকল তুলে দেন। সে হাতে নাতে ধরা পড়ে। পরে স্থানীয়রা এসে বিচারের আশ্বাস দিয়ে তাকে ঘর থেকে বের করে নিয়ে যায়।

মামলার বাদী আশুরা খাতুন বলেন, ছোট বেলা থেকেই মুক্তি আমাকে নানাভাবে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছে। তার কথায় আমি রাজি না হওয়ায় আমার স্বামী জয়নাল আবেদীনকে বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে তাকে দফায় দফায় মারপিট করে পঙ্গু করে দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস নেই এলাকার মানুষের। সবাই তাকে ভয় পায়। আশুরা আরও বলেন, আমি কয়েক বছর হলো মুক্তির অত্যাচার থেকে বাঁচতেই মেহেরপুর শহরে এসে ঘর ভাড়া করে থাকি। মাঝে মধ্যে গ্রামে গেলেও চুরি করে যায়। আবার গোপনে ফিরে আসি। সে এলাকার অনেক নারীকেই ধর্ষণ করেছে। ভাতা কার্ড, টিসিবি কার্ডসহ বিভিন্ন অনুদান পাইয়ে দেওয়ার নাম করে মেয়েদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলে ধর্ষণ করে থাকে। তিনি বলেন, আমি তার হাত থেকে বাঁচতে চাই। আমি আমার বাড়িতে নিরাপত্তার সাথে থাকতে চাই।

প্রতিবেশী তাসলিমা খাতুন বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তি এলাকার বহু নারীর কাছে জোর করে যাওয়ার প্রমাণ আছে। এলাকার নারীদের বিভিন্ন জিনিস দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সে অনৈতিক কাজ করে থাকেন। তার বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহষ নেই। অনেক মেয়ে মুখ বুঝে এই মুক্তির অত্যাচার সহ্য করছেন।

এদিকে মামলার প্রধান আসামি মেহেরপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মুক্তি জানান, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। আমি তাকে ধর্ষণ করতে যায়নি। জমি নিয়ে প্রতিবেশীর সাথে আশুরার গ্যানজাম চলছে। আমি সেই সালিশ বৈঠকের বিচারক ছিলাম। আমার সাথে শত্রুতা করে সে এই মামলা দিয়েছে। তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, সে এবার গ্রামে আসুক। তারপর তার বিচার হবে।




এফসিবি’র প্রতিপক্ষ মোনাখালি ইউনিয়ন একাদশ

মেহেরপুর প্রতিদিন ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩ এর সেমিফাইনাল খেলায় বাওট শাপলা ক্লাবকে ২-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে মোনাখালি ইউনিয়ন একাদশ।

গতকাল মঙ্গলবার বিকালে মেহেরপুর সরকারি কলেজ মাঠে এই উত্তেজনাপূর্ণ খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়।

উত্তেজনাপূর্ণ খেলার প্রথম অর্ধের ১৩ মিনিটের সময় মোনাখালি ইউনিয়ন একাদশের পক্ষে দলীয় স্ট্রাইকার গাফ্ফারের দৃষ্টিনন্দন গোলে এগিয়ে যায় দলটি। এরপর দ্বিতীয় অর্ধের ২৮ মিনিটের সময় আরেকটি গোল দেন মোনাখালি ইউনিয়ন একাদশের ফরোয়াড শোভন।

তবে উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচটিতে উভয় দলই একাধিক করে গোল সুযোগ হারান।

খেলায় বিচারকদের দৃষ্টিতে সেরা খেলোয়াড়ের হিসেবে নির্বাচিত হন মোনাখালি ইউনিয়ন ফুটবল একাদশের পক্ষে ফরোয়াড আব্দুল গাফ্ফারকে। তাকে টুর্নামেন্টের পক্ষ থেকে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত করা হয়।

তার হাতে সেরা খেলোয়াড়ের পুরুস্কার তুলে দেন মেহেরপুর প্রতিদিন ফুটবল টুর্নামেন্টের পরিচালনা কমিটির সভাপতি এমদাদুল হক, মেহেরপুর সকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত শারীরিক শিক্ষক ও প্রাক্তন খেলোয়াড় রমজান আলী, অবসরপ্রাপ্ত কৃতি ফুটবলার ও মেহেরপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুর রহমান, অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা ও প্রাক্তন খেলোয়া আব্দুস সালাম, মেহেরপুর প্রতিদিন ফুটবল টুর্নামেন্টের সদস্য সচিব মাহাবুব চান্দু, প্রাক্তন খেলোয়াড় আমিরুল ইসলাম অল্ডাম।

এসময় মেহেরপুর ফুটবল টুর্নামেন্টের আহবায়ক সাবেক কৃতি ফুটবলার এমদাদুল হক, মেহেরপুর প্রতিদিনের সম্পাদক ইয়াদুল মোমিন, খেলা পরিচালনা কমিটির নির্বাহী সদস্য, মনিরুজ্জামান মনি, মুস্তারুল ইসলাম মঞ্জা, শামীম জাহাঙ্গীর সেন্টু, সেলিম রেজা, হাসানুজ্জামান বাবু, জাহাঙ্গীর আলম, শামসুজ্জামান শামীম, মাহাবুব হাসান ডালিম ।

রেফারি হিসেবে মাঠে খেলা পরিচালনা করেন সোহেল রানা। তাকে সহযোগীতা করেন আব্বাছ উদ্দীন ও মনিরুল ইসলাম। চতুর্থ রেফারি হিসেবে ছিলেন ইয়ারুল ইসলাম। খেলার ধারাভাষ্যে ছিলেন আমঝুপি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন। উত্তেজনাপূর্ণ খেলাটি দেখতে এলাকার ফুটবল প্রেমি দর্শকরা উপস্থিত ছিলেন।

আগামীকাল ১ জুলাই ফাইনাল খেলা একই মাঠে মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালি ইউনিয়ন একাদশ ও ফাস্ট ক্যাপিট্যাল আব বাংলাদেশ (এফসিবি) মধ্যে লড়াই হবে।