মেহেরপুরে আটলান্টিকা হোটেল কাণ্ড মামলায় সাংবাদিক তুহিন আরন্য জেলে

মেহেরপুরে চাঞ্চল্যকর আটলান্টিকা হোটেল কাণ্ড মামলায় বাংলািভশেনর বিশেষ প্রতিনিধি, দেশ রুপান্তর ও বিডিনিউজ২৪ এর মেহেরপুর প্রতিনিধি মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন ওরফে তুহিন আরন্যকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে আদালত।

মঙ্গলবার বিকাল ৩ টার দিকে মেহেরপুরের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আবু বকর সিদ্দিকের আদালতে জামিন আবেদন করে আত্মসমর্পণ করলে বিজ্ঞ বিচারক তার জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। তুহিন আরন্য এর আগে প্রথম আলো, এনটিভি ও নিউজ ২৪ চ্যানেলের মেহেরপুর প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি মেহেরপুর প্রেস ক্লাবের উপদেষ্টা ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন।

মামলায় আসামির পক্ষে মারুফ আহমেদ বিজনের নেতৃত্বে একদল আইনজীবী  এবং সরকারি পক্ষে কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক কৌসুলির দায়িত্ব পালন করেন।

এর আগে একই আদালত একই মামলায় ডিবিসির মেহেরপুর প্রতিনিধি আবু আক্তার করণ, দেশটিভির প্রতিনিধি রেক্সোনা আরা, ও কথিত সমাজকর্মী নিলুফার ইয়াসমিন রুপাকেও জেল হাজতে পাঠায় আদালত।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, বাংলাভিশনের সাংবাদিক তুহিন আরন্য, ডিবিসি চ্যানেলের সাংবাদিক আবু আক্তার করণ, দেশ টিভির সাংবাদিক রেক্সোনা আরা, ও নিলুফার ইয়াসমিন রুপাসহ ১৭ আসামিকে অভিযুক্ত করে হোটেল আটলান্টিকা কাণ্ড মামলায় পুলিশ আদালতে চার্জশিট দেয়।

এরপর তারা উচ্চ আদালতে চার্জশিটের তথ্য গোপন করে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিনে ছিলেন। উচ্চ আদালতের জামিনাদেশ শেষ হলে বৃহস্পতিবার ওই তিনজন এবং মঙ্গলবার তুহিন আরন্যকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন মেহেরপুরের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আবু বকর সিদ্দিক।

এর আগে গত ১১ এপ্রিল মেহেরপুরের চার সাংবাদিকসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ৪১৭/৩৮৫/৩৮৬/৫০৬ ধারাসহ ২০১২ সালের পর্নোগ্রাফী নিয়ন্ত্রণ আইনের ৮(১),৮(২), ৮(৩), ৮(৪) ধারায় অপরাধ প্রাথমিকভাবে সত্য বলে প্রমানিত হওয়ায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

চার্জশিটে অভিযুক্তরা হলেন- বাংলাভিশনের মেহেরপুর প্রতিনিধি মুস্তাফিজুর রহমান ওরফে তুহিন আরন্য, ডিবিসি টেলিভিশনের মেহেরপুর প্রতিনিধি আবু আক্তার করন, দেশ টিভির প্রতিনিধি রোকসানা আরা, এশিয়ান টিভির প্রতিনিধি মিজানুর রহমান জনি, কথিত সাংবাদিক নাজনিন খান প্রিয়া, ছন্দা খাতুন, আটলান্টিক হোটেল মালিক মতিয়ার রহমান, তার ছেলে মামুন জোয়ার্দার, আব্দুস সালাম, হাসিবুল হক জয়, নেহাল আল মুকিত, শাহাজান আলী, মোছা. রুপা, নুসরাত, বর্ষা, সুমন রহমান বিমান ও বিপাশা।

এদের মধ্যে মিজানুর রহমান জনি, নাজনিন খান প্রিয়া, ছন্দা খাতুন, মতিয়ার রহমান, মামুন জোয়ার্দার, হাসিবুল হক জয়, শাহাজান আলী, নেহাল আল মুকিত পুলিশের হাতে আটক হয়ে হাজতবাস করেছেন। বর্তমানের তারা জামিনে আছেন। বাকিরা উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। এদের মধ্যে চারজন পৃথক দিনে মেহেরপুর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে বিজ্ঞ বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।

পুলিশের চার্জশিট থেকে জানা যায়, একটি নারী চক্র গড়ে তুলে মেহেরপুর শহরের আভিজাত শ্রেনীর হোটেল আটলান্টিকার মালিক মতিয়ার রহমান ও তার ছেলে মামুন বিভিন্ন ব্যবসায়ী, সরকারি কর্মকর্তা বা অভিজাত শ্রেনীর মানুষকে সুন্দরী নারী দিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে তা ভিডিও ধারণ করেন। এবং সেই ভিডিও দিয়ে ব্লাকমেইল করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছিল। এই চক্রে বিভিন্ন এলাকার প্রায় ডজ্জনখানেক সুন্দরী নারী জড়িত ছিলো। তাদের পৃষ্ঠপোষক করতো অভিযুক্ত মেহেরপুরের চার সাংবাদিকও।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২২ নভেম্বর মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি গ্রামের মনোয়ার হোসেন নামের এক এনজিও কর্মী সদর থানায় নারী চক্রের প্রধান হোতা প্রিয়া খানকে আসামি করে দণ্ডবিধির ৪১৭/৩৮৫/৩৮৬/৫০৬ ধারায় একটি মামলা করেন।




গাংনীতে জমিজমা সংক্রান্ত মারামারিতে দুই নারীসহ আহত-৭

মেহেরপুরের গাংনীর নিত্যানন্দনপুর গ্রামে সরকারি খাস জমি দখল নিয়ে বিরোধে সৃষ্ট সংঘর্ষে উভয় পক্ষের নারীসহ মোট ৭জন আহত হয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার সময় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহত হলেন হাফিজুল ইসলামের স্ত্রী আনজিরা খাতুন(৩৫) আজিজুলের স্ত্রী রুপালী খাতুন (৪২) আব্দুর রহমানের ছেলে আজিজুল ইসলাম(৪৫) আব্দুল গণির ছেলে হাফিজুল ইসলাম(৩৫),মসলেম এর ছেলে তৌহিদুল ইসলামস(৩৮)এবং আসলামের ছেলে দেলোয়া হোসেন(৩০)।

আহতের মধ্যে তৌহিদুল ইসলামের অবস্থা আশংক জনক হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। বাকীদের গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও মেহেরপুর জেলারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয়সুত্রে জানাগেছে, আব্দুর রহামানের ছেলে আজিজুল ইসলাম তার পুরাতন বসত বাড়ি ভেঙ্গে ২৪ শতক জমিতে নতুন বাড়ি নির্মাণ করছিল। ওই জমির মধ্যে সরকারি তিন শতক খাস জমি রয়েছে বলে দখল দাবী করেন স্থানীয় প্রতিবেশি এলাহি বকসের ছেলে সাহাবুদ্দিন । খাস জমির মধ্যে এক শতক জমি পাওয়া যাবে বলে দাবী করলে তখনই দুপক্ষের কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের সাথে মারামারি শুরু হয়। উভয় পক্ষয় দেশিয় অস্ত্রস্স্ত্র দিয়ে মারারিতে অন্তত দুই নারী সহ ৭জন আহত হয়।

স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক এমদাদুল হক আহত তৌহিদুল ইসলামের অবস্থা আশংকা জেনে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন,বাকীদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেন।

গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেলে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে উভয় পক্ষকে শান্ত করা হয়েছে। কারো পক্ষে এখনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।




গাংনীতে গাঁজাসহ যুবক আটক

১০০ গ্রাম গাঁজাসহ আশিক হাসান মুন্না (২১) নামের এক যুবককে আটক করেছে গাংনীর ভবানীপুর পুলিশ ক্যাম্পের একটি দল।
আশিক হাসান গাংনী উপজেলার কাজিপুর গ্রামের হকছেদ আলীর ছেলে।

সোমবার দিবাগত রাতে গাংনীর ভবানীপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই আবুল কালাম আযাদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে তার বাড়িতে অভিযান তাকে আটক করেন।

আটক মুন্নার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে গাংনী থানায় মামলা দিয়ে আজ মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।




গাংনীতে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

গাংনীর পল্লী জালশুকা গ্রামে আলতাব হোসেন (৫২) নামের এক ঝুলন্ত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আলতাব হোসেন জালশুকা গ্রামের বালিয়াপাড়া এলাকার হোসেন আলীর ছেলে।

সোমবার দিবাগত রাতে তার নিজ ঘরের আড়ার সাথে তার মরদেহ ঝুলতে দেখেন তার স্ত্রী। পরে গাংনী থানা পুলিশকে খবর দিলে রাত ১০ টার দিকে গাংনী থানা পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেন।

পারিবারিক সূত্রের বরাত দিয়ে গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, তার স্ত্রী চুয়াডাঙ্গার এক আত্মীয়র বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। বাড়ি ফিরে এসে তার মরদেহ ঝুলতে দেখেন। তবে, কি কারনে সে আত্মহত্যা করেছে কিছুই বলতে পারেনি তার পরিবার। আলতাব হোসেন পেশায় একজন কৃষক।
মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে।




বাগোয়ান ইউনিয়ন একাদশকে ৪-১ গোলে হারিয়ে এফসিবি ফাইনালে

মেহেরপুর প্রতিদিন ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমি ফাইনালে বাগোয়ান ইউনিয়ন একাদশকে ৪-১ গোলে হারিয়ে ফাস্ট ক্যাপিটাল অব বাংলাদেশ (এফসিবি) ফাইনাল খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে।

আজ সোমবার বিকালে মেহেরপুর সরকারি ফুটবল মাঠে চরম উত্তেজনাপূর্ণ খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে ফুটবল মাঠের চারপাশে কানায় কানায় দর্শকদের বাধ ভাঙ্গা উচ্ছাস ছিল।

মেহেরপুর প্রতিদিন ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩ এ অনুষ্ঠিত ফুটবল টুর্নামেন্ট এ টানটান উত্তেজনাপূর্ণ খেলায় ৪ গোল করে বিজয়ী হয়ে টুর্নামেন্ট ফাইনাল খেলায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে ফাস্ট ক্যাপিট্যাল অব বাংলাদেশ (এফসিবি)। গতকার সোমবার মেহেরপুর সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত সেমিফাইনাল খেলায় নির্ধারিত সময়ের প্রথমার্ধের ১২ মিনিটের সময় এফসিবি’র ফরোয়ার্ড রুমন একটি গোল করে তার দলকে এগিয়ে নেন। এরপর ১৪ মিনিটের সময় সাইক আরও একটি গোল করে এফসিবিকে ২-০ গোলে এগিয়ে থাকে। পরে বাগোয়ান ইউনিয়ন একাদশের পক্ষে ২৫ মিনিটের সময় ফরোয়ার্ড সবুজ একটি দৃষ্টিনন্দন গোল করে নিজ দলকে কিছুটা এগিয়ে নেন। খেলার দ্বিতীয়ার্ধের ১৩ মিনিটের সময় এফসিবি’র রুমন আরও একটি গোল করেন। পরে অতিরিক্ত টাইমের শেষ মিনিটে এফসিবি’র তানিন সরকার আরও একটি গোল করে তাদের ঝুলিতে ৪ টি গোল যুক্ত করেন।

খেলায় বাগোয়ান ইউনিয়ন একাদশ ৩ টি গোল করার সুযোগ পেলেও গোল দিতে ব্যার্থ হন।

খেলায় এফসিবি’র অধিনায়ক শাকিল বিচারকদের বিবেচনায় শাকিল ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হওয়ায় টুর্নামেন্টের পক্ষ থেকে একটি জার্সি উপহার দেওয়া হয়। এছাড়া খেলায় এফসিবির পক্ষে রুমন দুটি গোল দেওয়ায় লালন শাহ বালি ভান্ডারের পক্ষ থেকে একটি জার্সি উপহার দেওয়া হয়।

মেহেরপুর প্রতিদিন ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩ এর উপদেষ্টা মেহেরপুর সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত ক্রীড়া শিক্ষক মো: রমজান আলী, সাবেক মেয়র ও কৃতি ফুটবলার আব্দুর রহমান, বিএম স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক ও প্রাক্তন কৃতি ফুটবলার আব্দুর রহমান, জনতা ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত এজিএম ও প্রাক্তন কৃতি ফুটবলার আব্দুস সামাদ, সাবেক ফুটবলার আমিরুল ইসলাম অল্ডাম ও খেলার সদস্য সচিব মাহাবুব চান্দু ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ শাকিলের হাতে জার্সি তুলে দেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, মেহেরপুর প্রতিদিন ফুটবল টুনার্মেন্টের আহবায়ক এমদাদুল হক, প্রাক্তন ফুটবলার আব্দুস সালাম, মাসুদ করিম ধলস, শামীম হোসেন, আজমাইন হক, সামসুজ্জামান শামীম, মনিরুল ইসলাম মনি, আনোয়ারুল হক কালু, শামীম জাহাঙ্গীর সেন্টু, জাহাঙ্গীর আলম, ইয়ারুল ইসলাম।

আগামীকালকের খেলা দ্বিতীয় সেমি ফাইনাল গাংনী উপজেলার বাওট শাপলা ক্লাব ও মোনাখালি ইউনিয়ন একাদশ।

খেলাটি এক যোগে প্রচারিত হবে, রাজধানী টিভি, রেডিও পায়রা, মেহেরপুর প্রতিদিন ফেসবুক পেইজ।




মেহেরপুরের বুড়িপোতা গ্রামে গার্মেন্টস দোকানে আগুন, ৬ লক্ষাধিক টাকা ক্ষয়ক্ষতি

রাতে দোকানে তালা দিয়ে বাড়ি ফিরে সকালে গিয়ে দেখেন সব শেষ। আশিক ট্রেডার্স নামের ওই গার্মেন্টসের দোকানে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড ঘটে প্রায় ৬ লক্ষাধিক টাকার গার্মেন্টস মালামাল পুড়ে ভস্মিভূত হয়েছে।

সোমবার দিবাগত মধ্যরাতে সদর উপজেলার বুড়িপোতা গ্রামে আশিক ট্রেডার্স নামের ওই গার্মেন্টসের দোকানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

দোকান মালিক আশিকুর রহমান জানান, পূবের্র রাত এগারোটার দিকে তার দোকান বন্ধ করে বাড়ি চলে যায়। এরপর মধ্যরাতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষ দর্শি বুড়িপোতা গ্রামের অটোচালক আব্দুল মজিদ জানান দোকান থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখে দোকান মালিকসহ আশপাশের লোকজনকে খবর দেন। এসময় প্রতিবেশীরা এসে আগুন নেভানোর পূর্বেই দোকানের সমস্ত মালামাল পড়ে যায়।
এসময় ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলেও তারা ঘটনাস্থলে না পৌছানোতে এলাকার মানুষ বিরুপ মন্তব্য প্রকাশ করেছেন। তবে, ফায়ার সার্ভিস থেকে জানানো হয়েছে আমরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছিলাম। পথের মধ্যে খবর আসে আগুন নিভে গেছে। তাই আবার ফিরে আসি।
রহস্যজনক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি বলে অনেকেই মন্তব্য করেন। অশিকের দাবী কেউ শত্রুতা করে দোকানের তালা ভেঙে ভিতরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।




মেহেরপুরে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার-৭

মেহেরপুর সদর ও গাংনী থানা পুলিশের পৃথক অভিযানে বিভিন্ন মামলা ও আদালতের পরোয়ানাভূক্ত ৭ আসামি গ্রেফতার হয়েছে।
এদের মধ্যে সদর থানা পুলিশের অভিযানে ৩ ও গাংনী থানা পুলিশের অভিযানে ৪ আসামি গ্রেফতার হয়েছে।
সদর থানা পুলিশের অভিযানে নিয়মিত মামলায় ১, আদালতের পরোয়ানাভূক্ত জিআর মামলায় ১ ও অন্যান্য মামলায় ১ আসামি রয়েছে। গাংনী থানা পুলিশের অভিযানে মাদক মামলায় ৪ আসামি গ্রেফতার হয়েছে।
রবিবার দিবাগত রাতে পৃথক সময়ে গাংনী ও সদর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে এসব আসামি গ্রেফতার করেন।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম গ্রেফতার অভিযানে নেতৃত্ব দেন।
আজ সোমবার সকালের দিকে আদালতের মাধ্যমে মেহেরপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।




হঠাৎ বুকে ব্যথা হলে করণীয়

প্রত্যেকেই কখনো না কখনো বুকে সামান্য ব্যথা অনুভব করে থাকি। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বুকের ব্যথাকে অ্যাসিডিটির সমস্যা মনে করে অ্যান্টাসিড জাতীয় ওষুধ খেয়ে নিশ্চিন্ত হই। কিন্তু অনুমানের ওপর ভিত্তি করে বুকের ব্যথার সহজ প্রতিকার নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। হঠাৎ বুকে ব্যথা হলে করণীয় সম্পর্কে আমাদের ধারণা না থাকায় হার্ট অ্যাটাকের মতো ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার হতে হয় অনেককে।

আপনার বুকে যদি কখনো ব্যথা অনুভূত হয় তাহলে এর কারণ প্রথমে শনাক্ত করতে হবে। হ্যাঁ, কারণ বুকে ব্যথা হওয়ার অসংখ্য কারণ রয়েছে। আর একেক ক্ষেত্রে একেক ধরনের চিকিৎসাপদ্ধতি অনুসরণ করতে হয়। যত দিন যাচ্ছে ততই আমাদের শারীরিক জটিলতা বাড়ছে। বিশেষত হৃদরোগের ঝুঁকি বর্তমান সময়ে সবচেয়ে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।

তাই যদি কখনো বুকে ব্যথা হয় তাহলে অ্যাসিডিটির সমস্যা না ভেবে একটু সময় নিয়ে পর্যবেক্ষণ করুন। সেলফ মেডিকেশনের চর্চা আমাদের দেশে একটু বেশি। বিশেষত কিছু শারীরিক সমস্যা সম্পর্কে আমাদের গৎবাঁধা কিছু ধারণাও রয়েছে। বুকের ব্যথার ক্ষেত্রেও এমন একটি ধারণা রয়েছে। প্রথমেই বলেছি, অনেকে মনে করেন অ্যাসিডিটির সমস্যার কারণে বুকে ব্যথা হয়। মূলত অ্যাসিডিটির কারণে বুকে প্রদাহজনিত সমস্যা হতে পারে–এমন ধারণা অমূলক নয়। কিন্তু বুকে যদি চিনচিনে ব্যথা অনুভূত হয় তাহলে অবহেলা করা যাবে না।

বুকে ব্যথার অনেক কারণ থাকতে পারে। কিন্তু বুকে ব্যথার ফলাফল হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয়। কদিন আগে বিশ্ব হৃৎপিণ্ড দিবসে বলা হয়েছিল, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়েছে। আবহাওয়া পরিবর্তন আমাদের শরীরে ব্যাপক স্ট্রেস ফেলে বলে রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্ত হওয়া, শরীরে অক্সিজেন প্রবাহ কমে যাওয়া এবং ইত্যাদি জটিলতা দেখা দেয়। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে।

বুকে ব্যথা থেকে হার্ট অ্যাটাকে নিকট অতীতেই গায়ক কেকে মারা গিয়েছিলেন। একথাও আমাদের জানা। বুকের ব্যথাকে যথেষ্ট গুরুত্ব না দেওয়ার কারণে মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে। অথচ সঠিক সময়ে চিকিৎসা করালে এই ঝুঁকি হ্রাস করা সম্ভব। যখনই বুকের ব্যথা অস্বাভাবিক মনে হবে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ১২ ঘণ্টার মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। যদি আপনি দেরি করেন তাহলে এর ফলাফল আপনাকেই ভুগতে হতে পারে।

বুকে ব্যথার কারণ
বুকে ব্যথার কিছু কিছু কারণ সরাসরি হৃদরোগের ঝুঁকিকে নির্দেশ করে। কি সেসব কারণ? আসুন জেনে নেওয়া যাক:
মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন: হার্টে রক্তপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়।
মায়োকার্ডাইটিস: হৃদযন্ত্রের পেশিতে প্রদাহ হয়।
পেরিকার্ডাইটিস: হার্টের থলিতে প্রদাহজনিত ব্যথা তীব্র।
করোনারি আর্টারি ডিজিজ: একে এনজাইনাও বলা হয়। হৃদপিণ্ডে রক্তনালীর ব্লকেজের কারণে এমন হয়।
মাইট্রাল ভালভ প্রল্যাপস: হৃদপিণ্ডে অবস্থিত মাইট্রাল ভালভ সঠিকভাবে বন্ধ হয় না।
এওর্টিক বিচ্ছেদ: বিরল রোগ। মূলত হৃদপিন্ডের এওর্টা ছিড়ে গেলে হয়।
ব্রঙ্কোস্পাজম: হাঁপানি ও ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি) রোগীদের মধ্যে দেখা যায়।
অ্যাসিড রিফ্লাক্স: বাংলায় অনেকে বলেন অম্বল। ঝাল ঢেকুর গলা পর্যন্ত উঠে আসে এবং বুকে প্রদাহজনিত ব্যথা শুরু হয়।
পালমোনারি এমবোলিজম: ফুসফুসে রক্ত জমাট বেধে এই সমস্যা তৈরি হয়।

এও সত্য, বুকে ব্যথা হওয়া মানেই হৃদরোগ নয়। প্রথমেই বলেছি, বুকে ব্যথার একাধিক কারণ রয়েছে। আর চিকিৎসকরা দেখেছেন, বুকে ব্যথা মানেই হৃদরোগ নয়। এজন্য যখনই বুকে ব্যথা হয় তখন আপনার শরীরে কিছু সমস্যা চিহ্নিত করে একটি অনুমান করতে হবে। তারপর চিকিৎসকের কাছে গিয়ে তা খোলাখুলি বলতে হবে। আসুন জেনে নেওয়া যাক হৃদরোগ বাদেও যেসব কারণে বুকে ব্যথা হতে পারে:

অ্যাসিডিটি হলে: প্রচুর তেল ও মশলাজাতীয় খাবার কিংবা ভাজাভুজি খাওয়ার পর সাধারণত অ্যাসিডিটি হয়ে থাকে। তখন বুকে প্রদাহজনিত ব্যথা বা বুকে জ্বলুনি হয়ে থাকে। এ ধরনের ব্যথা সচরাচর কয়েক ঘণ্টা স্থায়ী হয়। বুকে জ্বলুনি ও যদি ঢেঁকুর উঠে তাহলে অ্যান্টাসিড জাতীয় ওষুধ সেবন করুন।
খাদ্যনালীর সমস্যা: অনেকের খাদ্যনালীর মধ্যে কিছু সমস্যা থাকে। বিশেষত খাবার খাওয়ার সময় গিলতে অসুবিধা হয় এবং বুকে ব্যথা করে। এ ধরনের সমস্যায় নাইট্রোগ্লিসারিন জাতীয় ওষুধ মুখে দিলে সুস্থ হওয়া যায়।
এফর্ট এনজাইনা (Effort angina): চিকিৎসাবিজ্ঞানে বুকে ব্যথার একটি কারণ রয়েছে। মূলত প্রচণ্ড স্ট্রেস নিয়ে কাজ করার সময় অনেকে বুকে ব্যথা অনুভব করেন। তখন অনেকে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ভাবেন হার্ট অ্যাটাক হবে কি-না। সচরাচর এই সময় বিশ্রাম নিলেই সুস্থ হওয়া যায়।

বুকের অন্যান্য সমস্যা: বুকে নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। আপনার ফুসফুসে সংক্রমণ হলে বুকে ব্যথা হয়। বিশেষত বর্ষায় যখন ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রকোপ বাড়তে শুরু করে তখন অনেকেরই বুকে ব্যথা হয়। এছাড়া বুকের মাংসপেশির বা পাঁজরের হাড়ের কোনো সমস্যা, বুকে আঘাত পাওয়া, কোনো ব্যথার ওষুধ খেলে বুকে ব্যথা হতে পারে।
ভয় পেলে বা দুশ্চিন্তা: যাদের প্যানিক ডিজর্ডার (Panic Disorder) রয়েছে তাদেরও বুক ধড়ফড় ও ব্যথা অনুভূত হতে পারে। এ বিষয়ে একাধিক গবেষণা হয়েছে। ব্যক্তিগত জীবনে যারা হতাশা কিংবা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে থাকেন তাদের এই সমস্যায় নিয়মিত ভুগতে হয়। এর বিরূপ প্রভাব মনেও পড়ে।

বুকে ব্যথার লক্ষণ
বুকে ব্যথার কারণগুলো তো বলা হলো। হৃদরোগ ছাড়া যেসব কারণে বুকে ব্যথা হয় সেগুলো যদি আপনার থাকে তাহলে কিছুটা নিশ্চিন্ত হতে পারেন। কিন্তু কিভাবে বুঝবেন বুকের ব্যথা থেকে হৃদরোগের ঝুঁকি রয়েছে। সেজন্য বুকে ব্যথার কিছু লক্ষণ ও বৈশিষ্ট্য ঠান্ডা মাথায় খেয়াল করতে হবে এবং দ্রুত হাসপাতালে যেতে হবে। এবার তাহলে বুকে ব্যথার লক্ষণগুলো একবার দেখে নেওয়া যাক:

বুকে আচমকা টান বা ভয়াবহ চাপ অনুভব করছেন। ব্যথা আপনাকে প্রায় কাবু করে ফেলে।
বুকে ব্যথার ধরনটা আপনাকে বুঝতে হবে। বুকে জ্বলুনি হচ্ছে, নাকি প্রচণ্ড ব্যথা করছে, চিনচিনে ব্যথা হচ্ছে নাকি হাঁসফাঁস করছেন নিঃশ্বাস নিতে। বুকে জ্বলুনি বাদে প্রচণ্ড ব্যথা, চিনচিনে ব্যথা এবং নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হলেই হাসপাতালের পথে রওয়ানা দিন।
ব্রেস্টবোন এলাকায় এক ধরনের চাপা অনুভূতি না চিনচিনে ব্যথা হয়। কিন্তু হাত বুলালে মনে হয় ব্যথাটা ঠিক ওখানে নয়।
বুকের ব্যথা প্রথমে হাত, তারপর চোয়াল এবং অবশেষে পিঠে ছড়িয়ে পড়ে।
বুকে ব্যথার পাশাপাশি মাথা ঘোরায়। ভীষণ দুর্বল লাগে তখন নিজেকে।
হার্টরেট বা রক্তচাপ কমতে শুরু করে। অনেক সময় আপনি হয়তো বুঝতে পারবেন না। আশপাশের কাউকে ডেকে পরীক্ষা করিয়ে নিতে পারেন।
এসময় কাশি বা জোরে শ্বাস নেয়ার সময় ব্যথাটা পিঠে চাপ দেয়।
মুখে টক স্বাদ চলে আসে।
প্রচণ্ড ক্লান্তি কাজ করে। মনে হয়না আর হাঁটার ক্ষমতা আছে আপনার।
এই কয়েকটি লক্ষণ দেখলেই বুঝবেন আপনার হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি রয়েছে। যদি এসব লক্ষণের কোনো একটি দেখতে পান দ্রুত হাসপাতালে চলে যান। অবহেলা করবেন না।

হঠাৎ বুকে ব্যথা হলে কি করবেন?
হঠাৎ বুকে ব্যথা হলে তার লক্ষণ ও কারণ শনাক্ত করে সঠিক মেডিকেশন খুঁজে নিতে হবে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, বুকে ব্যথা শুরু হওয়ার পর প্রাথমিকভাবে একজন ব্যক্তি কি কি সতর্কতা অবলম্বন করবেন? কারণ বুকের ব্যথা হলে তার হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

আপনি যেন একদম প্রথম থেকেই এ ব্যাপারে সতর্ক অবস্থানে যেতে পারেন তাই আমরা বুকে ব্যথার কারণের খুঁটিনাটি প্রথমে উপস্থাপন করেছি। এবার চলুন দেখা যাক হঠাৎ বুকে ব্যথা হলে হাসপাতালে পৌছার আগে প্রাথমিক কি কি করনীয় রয়েছে:

ব্যথা
ডিসপিরিন জাতীয় ওষুধ: যদি হৃদপিন্ডের চিনচিনে ব্যথা আপনাকে খুব একটা কাবু না করে তাহলে আপনি কিছুটা স্বস্তিতে থাকতে পারেন। যদি ব্যথাটা হার্ট থেকেই হচ্ছে নিশ্চিত হোন তাহলে ৩০০ মিলিগ্রাম এসপিরিন বা ডিসপিরিন জাতীয় ওষুধ খাওয়া যেতে পারে।
নাইট্রোগ্লিসারিন স্প্রে: আপনার যদি হার্টের কারণে বুকে ব্যথা ঘন ঘন হয় তাহলে নাইট্রোগ্লিসারিন স্প্রে রাখুন। যদিও হৃদরোগীদেরই ঘন ঘন বুকে ব্যথা হয় এমন নয়। কাজ করার সময় স্ট্রেস হরমোন নির্গত হওয়ার ফলে অনেক সময় বুকে ব্যথা হয়। এটা হার্টের ওপরও প্রভাব ফেলে। তাই নাইট্রোগ্লিসারিন স্প্রে যদি ঐ সময় বসা অবস্থায় মুখের ভেতর স্প্রে করা হয় তাহলে আরাম পাওয়া যাবে।
কোল্ড প্যাক: অনেক সময় বুকে টান পড়লে মারাত্মক ব্যথা হয়। এ সময় আইস প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। বুকের যেখানে ব্যথা করছে সেখানে প্যাক দিয়ে সেঁক দিলে ব্যথা কমে আসে।
শুয়ে থাকুন: বুকে ব্যথা থেকে প্রচণ্ড ক্লান্তি কাজ করছে। এ সময় বেশি নড়াচড়া না করে কিছুক্ষণ শুয়ে থাকা নিরাপদ। অস্বস্তিবোধটা দূর হওয়ার আগ পর্যন্ত মাথা সামান্য উঁচু করে শুয়ে থাকুন। এক্ষেত্রে দুটো বালিশ মাথার নিচে দিন তবে খেয়াল রাখবেন ঘাড়ে যেন চাপ না পড়ে। এভাবে বুকের ব্যথা আস্তে আস্তে কমে আসবে।
পরীক্ষা করান: চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার আগে আপনি চাইলে ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রাম (ইসিজি), বুকের এক্স – রে, রক্ত পরীক্ষা, এমআরআই, ইকোকার্ডিওগ্রাম, পীড়ন পরীক্ষা, এঞ্জিওগ্রাম করিয়ে নিতে পারেন। যদিও প্রথমে চিকিৎসকের কাছে গেলে তারা আপনার কথা শুনে একটি পরীক্ষা পদ্ধতি বাতলে দেন। আর সাময়িক সময়ের জন্য কিছু ওষুধ দেন। এই সময় অনেকে ব্যথা থেকে মুক্তি পেয়ে আর পরীক্ষা করান না। এমনটি করা যাবে না।
ধূমপান নয়: বুকে চিনচিনে ব্যথা শুরু হলে যত কষ্টই হোক ধূমপান করা যাবে না। কারণ ধূমপানে বুকের ব্যথা আরো বেড়ে যেতে পারে।
কাউকে নিজের অবস্থা জানান: বুকে ব্যথা হলে নিজে নিজে অনেক সময় সিদ্ধান্ত নেয়া কঠিন হয়। তাই এ সময় কারো সঙ্গে পরামর্শ করুন। তাদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে একটি সিদ্ধান্তে আসা সহজ হবে।

পরিশেষে
বুকে ব্যথা হলে যদি তা হার্ট থেকে হয়ে থাকে তাহলে হাসপাতালে সঠিক চিকিৎসার জন্য যেতে হবে। হার্ট অ্যাটাক হলে মৃত্যুর ঝুঁকি যেমন আছে তেমনি সারাজীবন পক্ষাঘাতগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।
যদি হাসপাতালে গিয়ে নিজের হৃদরোগের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে যান তাহলে লাইফস্টাইলে বদল আনতেই হবে। খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন, ডায়াবেটিস থাকলে তা নিয়ন্ত্রণ এবং অবশ্যই ধূমপান থেকে নিজেকে বিরত রাখা।
এমন এক সময় আমরা রয়েছি যখন হৃদরোগের সংক্রমণই সবচেয়ে বড় আতঙ্ক। তাই বুকে ব্যথা হলে অবহেলা করবেন না।

সূত্র: হেলথইন




পাকিস্তান-ভারত আগুনঝরা ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে সাফ

ভারতের বেঙ্গালুরুতে আর এক দিন পর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। এরই মধ্যে সাফের শহর বেঙ্গালুরুতে তাঁবু গেড়েছে বাংলাদেশ। এসেছে মালদ্বীপ। বাংলাদেশ ফুটবল দল শুক্রবার রাতে এক হোটেলে ওঠে, গতকাল আরেক হোটেলে উঠেছে। এখানে বাংলাদেশ ছাড়াও স্বাগতিক ভারত, কুয়েত এবং ভুটান ফুটবল দল থাকবে।

আট দেশের লড়াই। উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ের মঞ্চে নতুন দল কুয়েত এবং লেবানন। লেবানন আরো সপ্তাহখানেক আগেই ভারতে এসেছে। তারা ভারতের ভুবনেশ্বরে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে খেলছে। গতকাল রাতে ফাইনালে ভারত-লেবানন মুখোমুখি হয়। সেখান থেকেই এই দুই দল বেঙ্গালুরু যাবে।

সাফের উদ্বোধনী খেলায় মুখোমুখি হবে ভারত-পাকিস্তান। আগুনঝরা ম্যাচ দিয়ে এবারের সাফের উদ্বোধন হয়। ২০১৮ সালে শেষবার বাংলাদেশে সাফ খেলে গেছে পাকিস্তান। কিন্তু ফিফার নিষেধাজ্ঞা থাকায় মালদ্বীপের সাফে খেলতে পারেনি। সেই পাকিস্তান এবার শক্তপোক্ত হয়েই সাফ খেলতে প্রস্তুতি নিয়েছে। তারা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আশায় প্রবাসী ৯ ফুটবলারকে দলে ডেকে এনেছে। মরিশাসে চারজাতির টুর্নামেন্ট খেলে গতকাল রবিবার সকালে বেঙ্গালুরুতে পৌছানোর কথা ছিল পাকিস্তানের। কিন্তু ভিসা জটিলতায় আটকে আছে পাকিস্তান। আরো আগেই ভারত সরকার থেকে সবুজ সংকেত পেয়েছে পাকিস্তান। সাফে খেলতে আসার জন্য সবুজ সংকতে দেওয়া হয়েছে।

এক দিন পর টুর্নামেন্ট। পাকিস্তানের অংশগ্রহণ নিয়ে সাফের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। গতকাল তিনি জানিয়েছেন, এখনো পাকিস্তানের ভিসা হয়নি। হেলাল বলেন, ‘পাকিস্তান এখনো ভিসা পায়নি। কী করব বুঝতে পারছি না। ভারত-পাকিস্তান উদ্বোধনী দিনে ম্যাচ খেলবে। হাতে সময় কম। আশা করছি ভিসা হয়ে যাবে। এ বিষয়ে আমরা যোগাযোগ রাখছি অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে।’

ফিফা প্রীতি ম্যাচে নিজ দেশে কম্বোডিয়াকে হারিয়ে সেখান থেকেই বাংলাদেশ দল ভারতে গেছে। গতকাল বিকালে বেঙ্গালুরুতে অনুশীলন করেছেন জামাল ভুঁইয়ারা। কর্ণাটক ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ফুটবল স্টেডিয়ামের টার্ফের মাঠে অনুশীলন করেছেন। বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ সাফের দ্বিতীয় দিন। লেবাননের বিপক্ষে খেলবে। প্রথম ম্যাচেই কঠিন লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিলেও বাংলাদেশের রক্ষণ নিয়ে দুশ্চিন্তা আরো বেড়েছে। কম্বোডিয়ার বিপক্ষে খেলার শেষ মুহূর্তে গিয়ে দ্বিতীয় হলুদ কার্ডে লালকার্ড পেয়েছিলেন তারিক কাজী। তার এই লালকার্ডের হিসাবটা কি পরের ম্যাচেই ধরা হবে, নাকি অন্য আরেকটি প্রীতি ম্যাচ গণ্য হবে, সেটি নিয়ে দলের ম্যানেজার আমের খান জানিয়েছেন, তারা এখনো নিশ্চিত হতে পারেননি।

আমেরের প্রশ্ন হচ্ছে প্রীতি ম্যাচের কার্ড নিয়ে কেনই বা ফিফার কাছে জানতে চাইতে হবে। আইনের পাতায় কী লেখা রয়েছে সেটি দেখলেই তো পরিষ্কার হয়ে যায়।’

সাফের সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল জানিয়েছেন, ফিফার সঙ্গে কথা হয়েছে। আশা করছি কোনো সমস্যা হবে না। তারিক কাজী সাফের প্রথম ম্যাচই খেলতে পারবেন। এটা আমি মনে করছি। ফ্রেন্ডলি ম্যাচের কার্ড পরবর্তী ফ্রেন্ডলি ম্যাচে ধরা হবে। তারপরও আমি ম্যাচ কমিশনারের সঙ্গে আরো একবার কথা বলব।’

সূত্র: ইত্তেফাক




কোটচাঁদপুরের ২৪ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী রেজাউল দামুড়হুদা থানায় আটক

২৪ বছরের সাজপ্রাপ্ত আসামী কোটচাঁদপুরের রেজাউল ইসলাম (পাঠান) দামুড়হুদা থানায় আটক। রবিবার সকালে কোটচাঁদপুর থানা পুলিশে হস্তান্তর করেন তারা।

জানা যায়, কোটচাদপুর পৌর এলাকার আদর্শপাড়ার মৃত মোমিন পাঠানের ছেলে রেজাউল ইসলাম পাঠান। সে ২৪ বছরের কারাদণ্ড প্রাপ্ত মামলার আসামি। পালিয়ে জীবন যাপন করছিল।

রবিবার রাতে সে চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা থানার টহল পুলিশের হাতে আটক হন। খবরটি নিশ্চিত করেছেন ওই থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মোঃ সাইফুল ইসলাম।

তিনি বলেন, গত রাতে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শেখর চন্দ্র ও সালাহউদ্দিন সড়কে টহল দিচ্ছিল। এ সময় মটর সাইকেলে দেখতে পান তাদেরকে। তারা তাদেরকে গতিরোধ করে জিজ্ঞাসাবাদ করায় তার পরিচয় জানতে পারেন। খোঁজ পান তাঁর নামে থাকা মামলার। এ সময় হাতে হাতকড়া পরিয়ে রেজাউলকে থানায় আনা হয়। খবর পেয়ে রবিবার সকালে কোটচাঁদপুর থানা পুলিশ তাকে হেফাজতে নেন। পরে তাকে কোটচাঁদপুর থানার একটি ওয়ারেন্টের মামলায় আদালতে সোপর্দ করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোটচাঁদপুর থানার ডিউটিরত উপপরিদর্শক (এসআই) গৌরাঙ্গ হরি। তিনি বলেন,আমাদের থানার ওয়ারেন্ট ভূক্ত আসামি রেজাউল ইসলাম (পাঠান)। সে ওই এলাকায় থাকছিল। আমরা খোজ দেয়ার পর দামুড়হুদা থানা পুলিশ তাকে আটক করেন। পরে আমরা হেফাজতে নিয়ে আদালত পাঠিয়ে দিয়েছি।