মেহেরপুরে সাংবাদিক আবু আক্তার, রেক্সোনাসহ ৩ জন কারাগারে

মেহেরপুরে আলোচিত আটলান্টিকা হোটেল কাণ্ড মামলায় ডিবিসি টেলিভিশনের মেহেরপুর প্রতিনিধি আবু আক্তার করণ, দেশ টিভির মেহেরপুর প্রতিনিধি রেক্সোনা আরা ও নিলুফার ইয়াসমিন রুপাকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে আদালত।

বৃহস্পতিবার দুপুরে মেহেরপুরের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিকের আদালতে জামিন আবেদন করে আত্মসমর্পণ করলে বিজ্ঞ বিচারক তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ডিবিসি চ্যানেলের সাংবাদিক আবু আক্তার করণ, দেশ টিভির সাংবাদিক রেক্সোনা আরা, ও নিলুফার ইয়াসমিন রুপাসহ ১৭ আসামিকে অভিযুক্ত করে হোটেল আটলান্টিকা কাণ্ড মামলায় পুলিশ আদালতে চার্জশিট দেয়। এরপর তারা উচ্চ আদালতে চার্জশিটের তথ্য গোপন করে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিনে ছিলেন। উচ্চ আদালতের জামিনাদেশ শেষ হলে বৃহস্পতিবার তারা মেহেরপুরের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলায় আসামিদের পক্ষে মিয়াজান আলী, মারুফ আহমেদ বিজন ও মিনা পাল এবং সরকারি পক্ষে কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক কৌসুলির দায়িত্ব পালন করেন।

এর আগে গত ১১ এপ্রিল মেহেরপুরের চার সাংবাদিকসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ৪১৭/৩৮৫/৩৮৬/৫০৬ ধারাসহ ২০১২ সালের পর্নোগ্রাফী নিয়ন্ত্রণ আইনের ৮(১),৮(২), ৮(৩), ৮(৪) ধারায় অপরাধ প্রাথমিকভাবে সত্য বলে প্রমানিত হওয়ায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

চার্জশিটে অভিযুক্তরা হলেন- বাংলাভিশনের মেহেরপুর প্রতিনিধি মুস্তাফিজুর রহমান ওরফে তুহিন আরন্য, ডিবিসি টেলিভিশনের মেহেরপুর প্রতিনিধি আবু আক্তার করন, দেশ টিভির প্রতিনিধি রোকসানা আরা, এশিয়ান টিভির প্রতিনিধি মিজানুর রহমান জনি, কথিত সাংবাদিক নাজনিন খান প্রিয়া, ছন্দা খাতুন, আটলান্টিক হোটেল মালিক মতিয়ার রহমান, তার ছেলে মামুন জোয়ার্দার, আব্দুস সালাম, হাসিবুল হক জয়, নেহাল আল মুকিত, শাহাজান আলী, মোছা. রুপা, নুসরাত, বর্ষা, সুমন রহমান বিমান ও বিপাশা।

এদের মধ্যে মিজানুর রহমান জনি, নাজনিন খান প্রিয়া, ছন্দা খাতুন, মতিয়ার রহমান, মামুন জোয়ার্দার, হাসিবুল হক জয়, শাহাজান আলী, নেহাল আল মুকিত পুলিশের হাতে আটক হয়ে হাজতবাস করেছেন। বর্তমানের তারা জামিনে আছেন। বাকিরা উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। এদের মধ্যে এই তিনজন আজ মেহেরপুর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে বিজ্ঞ বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।

পুলিশের চার্জশিট থেকে জানা যায়, একটি নারী চক্র গড়ে তুলে মেহেরপুর শহরের আভিজাত শ্রেনীর হোটেল আটলান্টিকার মালিক মতিয়ার রহমান ও তার ছেলে মামুন বিভিন্ন ব্যবসায়ী, সরকারি কর্মকর্তা বা অভিজাত শ্রেনীর মানুষকে সুন্দরী নারী দিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে তা ভিডিও ধারণ করেন। এবং সেই ভিডিও দিয়ে ব্লাকমেইল করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছিল। এই চক্রে বিভিন্ন এলাকার প্রায় ডজ্জনখানেক সুন্দরী নারী জড়িত ছিলো। তাদের পৃষ্ঠপোষক করতো অভিযুক্ত মেহেরপুরের চার সাংবাদিকও।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২২ নভেম্বর মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি গ্রামের মনোয়ার হোসেন নামের এক এনজিও কর্মী সদর থানায় নারী চক্রের প্রধান হোতা প্রিয়া খানকে আসামি করে দণ্ডবিধির ৪১৭/৩৮৫/৩৮৬/৫০৬ ধারায় একটি মামলা করেন।




মেহেরপুর শ্যামপুর কলোনীপাড়া মাঠে বালি উত্তোলনের মহাউৎসব

মেহেরপুর সদর উপজেলার শ্যামপুর কলোনীপাড়ার মাঠে কোন রকম অনুমোতি না নিয়ে তিন ফসলি জমিতে পুকুর খননের নামে চলছে বালি উত্তোলনের মহা উৎসব। অতিরিক্তি মাত্রায় গভির করে বালি উত্তোলনের ফলে হুমকির মুখে রয়েছে পার্শ¦বর্তী ফসলি জমি। বর্ষা হলেই ভেঙ্গে পড়বে পার্শ্ববর্তী জমি এমন অভিযোগ অনেকের। তবে পুকুর মালিকরা প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ মুখ খলতে সাহস পাচ্ছেনা। বালি উত্তোলন বন্ধে জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা।

জানাগেছে, মেহেরপুর সদর উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে কাজল,শোহরাব হোসেন ও জাহাঙ্গীর তিন ফসলি জমিতে সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে পুকুর খনন করে ইট ভাটায় মাটি বিক্রি করেন। সে সময় পার্শবর্তী জমির মালিকরা তাদের কৃষি জমি রক্ষায় পুকুর খনন করতে নিষেধ করে। তাদের নিষেধ অমান্য করে বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিয়ে পুকুর খনন করেন জাহাঙ্গীর,কাজল ও সোহরাব হোসেন। পরে কয়েকদিনের বৃষ্টিতে পুকুরের পাড় ভেঙ্গে পড়ে। এবছর আবারও ওইসব পুকুরে বালি উত্তোলনের কাজ শুরু করেন পুকুর মালিকরা। প্রতিদিন সকাল থেকে শুরু করে বিকাল পর্যন্ত চলে বালি উত্তোলন ও বহনের কাজ। পরপর চারটি পুকুরে অন্ততঃ ২০ থেকে ৩০ ফুট গভির করে বালি উত্তোলন করা হচ্ছে একই সাথে চারটি পুকুরে।

স্থানীয়দের পার্শ্ববর্তী কৃষকদের অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে দেখা গেছে, স্কেবিটর মেশিন দিয়ে বালি উত্তোলনের কাজ চলছে দেদারছে। পরপর দু’টি পুকুরে বালি উত্তোলনের কাজ ইতোমধ্যে শেষ হলেও আরও একটি পুকুর থেকে বালি উত্তোলনের কাজ করা হচ্ছে। পুকুর গুলি অন্ততঃ ২০ থেকে ৩০ ফুট গুভর হয়ে পড়েছে। হুমকির মধ্যে রয়েছে পার্শবর্তী কৃষি জমি। সরেজমিনে গিয়ে দেখা হয় আরিফ নামের এক যুবকের সাথে। তিনি জানান, বালির গাড়ি গণনার কাজে তিনি নিয়োজিত রয়েছেন। তবে বালি কে উত্তোলন করছেন এমন প্রশ্নের জবাব তিনি দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পার্শ্ববর্তী জমিরএকাধিক মাীলকগণ জানান, বালি বিক্রির লোভে তিন ফসলি জমি কেটে এমন ভঅবে গভির করা হচ্ছে যেন আইন কানুন কিছুই নেই। আমাদের বর্ষা হলেই পাড় ভেঙ্গে আমাদের জমি পুকুরে পড়বে। ফলে নিরুপাই হয়ে ফসলি জমি বাধ্য হয়ে আমাদের পুকুর কাটতে হবে। তারা আরও জানান, পুকুর খনন বা বালি উত্তোলনের ক্ষেত্রে প্রশাসনের অনুমোতি লাগে শূনেছি কিন্তু এদের তো কিছুই নেই,তবে কিভাবে এরা পুকুর খনন করলো আবার কিভাবে বালি উত্তোলন করছে? দ্রত বালি উত্তোলন বন্ধে জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে পার্শবর্তী জমির মালিকরা।

মেহেরপুর সদর উপজেলা ভুমি কর্মকর্তা(সহকারি কমিশনার ভুমি) আব্দুল্লাহ আল বাকী জানান, যাদের সমস্যা হচ্ছে তারা একটি লিখিত অভিযোগ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।




কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ২ জন নিহত

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে গরু পাট খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ভ্যালোশ মালিথা (৪০) ও বজলু মালিথা (৪২) নামের দু’জন নিহত হয়েছেন।

এ ঘটনায় উভয়পক্ষের আহত হয়েছে আরও ১০ জন। আহতদেরকে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কুষ্টিয়া সদর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরমধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

গতকাল বুধবার বিকেলে উপজেলার ভুরকাপাড়া হাটখোলাপাড়া এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের ফলে হাটখোলাপাড়া বাজার এলাকায় ঘণ্টাব্যাপী রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

নিহত ভ্যালোশ মালিথা দৌলতপুর উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের হাটখোলা গ্রামের রহমত মালিথার ছেলে এবং বজলু মালিথা একই এলাকার গেদু মালিথার ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গতকাল মঙ্গলবার গরু পাট ক্ষেতে খাওয়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় উজ্জল সর্দ্দার ও বজলু মালিথার মধ্যে বাগবিতণ্ড হয়।

এনিয়ে গতকাল বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মরিচা ইউনিয়নের হাটখোলা মসজিদের সামনে দুই পক্ষের মধ্যে আবারো বাগবিতণ্ডর এক পর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে বজলুর রশিদ গ্রুপের বজলু ও ভ্যালোশ মালিথা ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবর রহমান জানান, গরু পাট খাওয়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় উজ্জল সর্দ্দার ও বজলু গ্রুপের মধ্যে বাগবিতণ্ডার জের ধরে পুনরায় তাদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষে দু’জন নিহত হন। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।

এদিকে সংঘর্ষের ঘটনার জের ধরে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।




নানা সমস্যায় জর্জরিত ঝিনাইদহ মর্গ হাউজ

নানা সমস্যায় জর্জরিত ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মর্গ হাউজ। জেলার একমাত্র এই মর্গে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মরদেহ কাটা হয়। ময়নাতদন্তের ফল নির্ভর করে দক্ষ চিকিৎসক ও সূক্ষ্ম যন্ত্রপাতির উপর। কিন্তু এই মর্গ হাউজের মান্ধাতা আমলের যন্ত্রপাতিই ভরসা।

জানা গেছে, মরদেহ পরিবহনের পর্যাপ্ত ট্রলি, বেওয়ারিশ মরদেহ সংরক্ষণের মরচুয়ারি, কুলার, সূক্ষ্ণ আঘাত চিহ্নিত করতে পোর্টেবল এক্স-রে মেশিন এবং গুলিবিদ্ধ, বোমাহত, কীটনাশক পানকারী, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ও ধর্ষণের শিকার মরদেহের বিভিন্নভাবে ছবি তোলার জন্য উন্নতমানের ক্যামেরা, ফোকাসিং লাইট,ইলেকট্রিক করাত, স্টেইনলেস স্টীল ছুরিসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক কিছুই নেই জেলার একমাত্র এই মর্গ হাউজে।

মর্গে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে রাখার নেই কোন আধুনিক ব্যবস্থা। প্লাস্টিকের কোটায় নমুনা সংগ্রহ করে রাখা হয় যত্রতত্র।

মর্গের জন্য মাত্র একজন অস্থায়ী স্টাফ থাকায় এসব সমস্যা দিন দিন বাড়ছে বলে জানা যায়। মরদেহ কাটার ঘরে আলো না থাকায়, অনেক মৃত্যুর কারণ চিহ্নিত করতে হিমশিম খেতে হয় চিকিৎসককে। বিশেষ করে মরদেহের গায়ে থাকা আলামতগুলো চিহ্নিত করা কঠিন হয়। এছাড়া মর্গের নিজস্ব কোন ল্যারেটরি না থাকায় মরদেহের বিভিন্ন নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়। ফলে মাসের পর মাস অপেক্ষা করতে হয় রিপোর্টের জন্য। অস্বাভাবিক মৃত্যুর কারণ নির্নয়ে ময়না তদন্তের রিপোর্ট তাৎক্ষণিক দেওয়ার নিয়ম থাকলেও তা হয় না ল্যাবরেটরীর অভাবে। নানা ধরনের পরীক্ষার জন্য নমুনা পাঠাতে হয় মর্গের বাইরে।এতে করে অপেক্ষা করতে হয় মাসের পর মাস।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ঝিনাইদহ মর্গ হাউজের মরদেহ বহন করা ট্রলির বেহাল দশা। যেকোন সময় মরদেহ বহনের সময় ভেঙে পড়তে পারে। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা নেই। মরদেহ সংরক্ষণের ফ্রীজটি দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট হয়ে আছে। মরদেহ কাটা হচ্ছে পুরাতন ছুরি ও কাপড় কাটার কাটার কাঁচি দিয়ে।মরদেহের সাথে আগত স্বজনদের বসার কোন ব্যবস্থা নেই। রুমে কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই।

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মেডিকেল অফিসার জানান, জনবলের অভাবই মর্গের প্রধান সমস্যা। একজন পরিছন্ন কর্মী ও মরদেহ কাটছেড়া করার জন্য সহযোগীর প্রয়োজন। স্থায়ী জনবল ছাড়া পরিষ্কার পরিছন্ন রাখা সম্ভব না।

এ বিষয়ে জানতে ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডা: শুভ্রা রানী দেবনাথকে তাঁর ব্যক্তিগত মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।




দামুড়হুদায় ১৮ পিচ ইয়াবাসহ দশমী পাড়ার জহিরুল ইসলাম গ্রেফতার

দামুড়হুদায় মাদকবিরোধী অভিযানে ১৮ পিচ ইয়াবাসহ একজন গ্রেফতার। গত মঙ্গলবার দিবাগত-রাত ১১ টার দিকে দামুড়হুদা চৌরাস্তার মোড় স্মৃতি ওয়াজ এন্ড চশমা হাউজের সামনে পাকা রাস্তার উপর থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকবিরোধী অভিযানে একজনকে গ্রেফতার করে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ।

গ্রেফতারকৃত হলো দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নের দশমী পাড়ার বাসিন্দা মৃত আবুল কালাম এর ছেলে জহিরুল ইসলাম (৩৪)।

দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি সাইফুল ইসলাম এর সার্বিক দিকনির্দেশনায় এসআই মনজুরুল ইসলাম, এএসআই বিপ্লব দাস সঙ্গীয় ফোর্সসহ মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানে দামুড়হুদা সদর দশমী পাড়ার মৃত আবুল কালাম এর ছেলে জহিরুল ইসলাম (৩৪) কে দামুড়হুদা চৌরাস্তার মোড় স্মৃতি ওয়াজ এন্ড চশমা হাউজের সামনে পাকা রাস্তার উপর থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকবিরোধী অভিযানে ১৮ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে দামুড়হুদা মডেল থানায় মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের হয়েছে।

এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।




বর্তমান সরকারের আমলে দেশের সর্বত্র ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে : ডা: আমিনুল হক রতন

বর্তমান সরকারের উন্নয়ন এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য উঠান বৈঠক ও মতবিনিময় করেছেন কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও বিএমএ কুষ্টিয়ার শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. এ এফ এম আমিনুল হক রতন।

গতকাল কুষ্টিয়া শহরের বটতৈল ইউনিয়ন এলাকায় ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বর্তমান সরকারের নানান উন্নয়নচিত্র তুলে ধরেন এবং সুধীজনদের সাথে নৌকার পক্ষে জনসংযোগ ও মতবিনিময় করেন।

উঠান বৈঠকে কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ডা. এ এফ এম আমিনুল হক রতন বলেন, ‘বর্তমান সরকারের আমলে দেশের সর্বত্র ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এসব উন্নয়নের কথা দেশের মানুুষের কাছে গিয়ে বলতে হবে। দেশটাকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনেক আশা, অনেক স্বপ্ন। তাঁর স্বপ্নগুলোকে দেশের সাধারণ মানুষের কাছে পেঁৗঁছে দিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর আজীবনের সংগ্রাম ও ত্যাগের মাধ্যমে অনেক রক্তের বিনিময়ে আমাদেরকে জাতীয় সংগীত, জাতীয় পতাকা ও একটি ভূখন্ড দিয়ে গেছেন। আমরা বাংলাদেশ পেয়েছি। বাঙ্গালী হিসেবে বিশ্ব দরবারে পরিচয় দিতে পারছি। বঙ্গবন্ধুর অকাল মৃত্যুতে অনেক স্বপ্ন অসাপ্ত রয়েছে। তাঁর সে স্বপ্নগুলো বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করছেন তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বটতৈল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান মিজান।

বটতৈল ইউনয়িনের ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা জামাল মৃধা মেম্বারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোসাব মন্ডল, ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কেরু বিশ্বাস, মোহাম্মদ মোজাহিদুন নবী, আনসার মৃধা, রনি আহমেদ, সাংবাদিক সুজন মাহামুদ প্রমুখসহ অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও জনসেবার বার্তা জনগনের দোড়গোড়ায় পৌছে দিতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে গনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন ডা: আমিনুল হক রতন।




গাংনী জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের উদ্বোধন

গাংনীতে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে উপজেলা স্ব্স্থ্য কমপ্লেক্স হলরুমে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথী ছিলেন গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ খালেক।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা সুপ্রভা রাণীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথী ছিলেন গাংনী থানার ওসি (তদন্ত) মনোজিৎ কুমার নন্দী ও সমাজ সেবা অফিসার আরশাদ আলী।

আসাদুল ইসলাম লিটনের সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী ও সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।




গাংনীতে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে অবহিতকরণ ও পরিকল্পনা সভা

মেহেরপুরের গাংনীতে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন (২য় রাউন্ড) উপলক্ষে অবহিতকরণ ও পরিকল্পনা সভা করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হলরুমে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথী ছিলেন গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ খালেক।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা সুপ্রভা রাণীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এ প্লঅস ক্যাম্পেইনের সমস্ত তথ্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন এমওডিসি আদিলা আজহার আরশী। বক্তব্য রাখেন আবাসিক মেডিকেল অফিসার আব্দুল্লাহ আল মারুফ ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীগণ।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী ও সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন। ৬ থেকে ১১ মাস বয়সি ৩৯৫১জন শিশু ও ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সি ৩০৩১২জন শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। আগামী ১৮জুন থেকে শুরু হবে জাতীয ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন এর কার্যক্রম।




মোনাখালি ইউনিয়ন একাদশ সেমিফাইনালে

মেহেরপুর প্রতিদিন ফুটবল টুর্নামেন্ট২০২৩ এর দ্বিতীয় রাউন্ডের দ্বিতীয় খেলায় শালিকা টাইগার ক্লাবকে ১-০ গোলে হারিয়ে মোনাথালি ইউনিয়ন একাদশ সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে।

আজ বুধবার বিকালে অনুষ্ঠিত উত্তেজনাপূর্ণ খেলাটিতে প্রথমার্ধের ১৫ মিনিটের সময় মোনাখালি ইউনিয়ন একাদশের রক্ষণভাগের খেলোয়াড় রুমন একটি গোল করে তার দলকে এগিয়ে নেন। এরপর উভয় দলই মরিয়া হয়ে ওঠেন গোল দিতে। কিন্তু আর কেউ কোনো গোল দিতে পারেনি। তবে, উভয় দলই বারবার গোল দেওয়ার সুযোগ তৈরী করতে পারলেও গোল পোষ্টে বল প্রবেশ করাতে পারেনি। খেলায় মোনাখালি ইউনিয়ন একাদশের ফরোয়ার্ড রুমনকে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত করা হয়।

রুমনের হাতে সেরা খেলোয়াড়ের পুরুস্কার তুলে দেন খেলা পরিচালনা কমিটির আহবায়ক সাবেক কৃতি ফুটবলার এমদাদুল হক, সদস্য শামীম জাহাঙ্গীর সেন্টু, আমিরুল ইসলাম অল্ডাম ও ধারাভাষ্যকার রুহুল আমিন।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর প্রতিদিন ফুটবল টুর্নামেন্টের আহবায়ক সদস্য সচিব মাহাবুব চান্দু, মেহেরপুর প্রতিদিনের সম্পাদক ইয়াদুল মোমীন, আহবায়ক কমিটির সদস্য হাসানুজজামান বাবু, সেলিম রেজা, জাহাঙ্গীর আলম, মাহাবুব হাসান ডালিম প্রমুখ।

রেফরি হিসাবে মাঠে খেলা পরিচালনা করেন মাহাবুবুর রহমান, সহকারি রেফারি ছিলেন, আব্বাছ উদ্দীন ও সোহেল রানা। চতুর্থ রেফরি ছিলেন টুটুল আহমেদ।

ধারাভাষ্যে ছিলেন আমুঝুপি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন।




স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ভূমিকা” শীর্ষক কর্মশালা

“স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ভূমিকা” শীর্ষক কর্মশালা মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বুধবার সকাল ১০ টার দিকে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) লিংকন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন মেহেরপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম।

কর্মশালায় মূল প্রতিপাদ্যের উপর বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোছা: রনী খাতুন।
বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর সরকারী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর রফিকুল ইসলাম, মেহেরপুর জেলার ভারপ্রাপ্ত নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা সজীব পাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাসেম, সাংবাদিক দিলরুবা খাতুন প্রমুখ।
কর্মশালায় শিক্ষক, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।