ঝিনাইদহে বিএনপি নেতার পক্ষ থেকে নারীদের সেলাই মেশিন বিতরণ

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঝিনাইদহে ১৪৪ জন নারীর মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ করেছেন জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এমএ মজিদ।

সোমবার সকালে ঝিনাইদহ শহরের ফজর আলী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে এই উপহার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেনÑসাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা, সহ-সভাপতি মুন্সি কামাল আজাদ পান্নু, সিনিয়র সহ-সভাপতি আক্তারুজ্জামান, সহ-সভাপতি এনামুল কবির মুকুল, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ বিশ্বাস, মহিলা দলের সভাপতি কামরুন্নাহার লিজি, যুগ্ম সম্পাদক এম শাহজাহান, যুবদলের সভাপতি আহসান হাবীব রনক, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম পিন্টু এবং সহ-দপ্তর সম্পাদক সাকিব আহমেদ বাপ্পি প্রমুখ।

বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সদর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও সদর পৌরসভার ১৪৪ জন নারীর মাঝে এই সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়েছে। পুরো কার্যক্রমটি জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এমএ মজিদের ব্যক্তিগত অর্থায়নে বাস্তবায়িত হয়েছে।

অ্যাডভোকেট এমএ মজিদ বলেন, “নারীদের স্বাবলম্বী করে তোলাই আমাদের এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য। একটি সেলাই মেশিন একটি পরিবারের জীবনে পরিবর্তন আনতে পারে। আমি বিশ্বাস করি, এই উপহারের মাধ্যমে ১৪৪টি পরিবারে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে এবং পরিবারগুলোর স্বচ্ছলতা আসবে।”

তিনি আরও বলেন, “সমাজের প্রত্যেকের উচিত নিজ নিজ জায়গা থেকে মানবতার কল্যাণে এগিয়ে আসা। এই উদ্যোগ নারীদের আত্মকর্মসংস্থানের পথে একটি ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”




মেহেরপুরে ভোক্তা অধিকারের অভিযান, ৬১ হাজার টাকা জরিমানা

মেহেরপুরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে ঔষধ, গ্যাস-সার ও প্রসাধনীর দোকানে ৬১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

সোমবার (২৪ মার্চ) দুপুরে মেহেরপুর শহরের কোট রোড ও চাঁদবিল এলাকায় জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সহকারী পরিচালক মামুনুল হাসানের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানে মেসার্স সোহেলা মেডিকেলে ৪০ হাজার, মেসার্স আলমগীর ট্রেডার্স এন্ড বীজ ভান্ডারকে ২০ হাজার এবং সেন্টু স্টোরকে ১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

অভিযান চলাকালে উপস্থিত ছিলেন জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা রিয়াজ মাহমুদ, কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মোঃ তারিকুল ইসলাম ও জেলা পুলিশের একটি টিম।

জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মামুনুল হাসান জানান, ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুসারে মেয়াদ উত্তীর্ণ ও মূল্যহীন ঔষধ রাখা, লাইসেন্স বিহীন গ্যাস ব্যবসা পরিচালনা ও মেয়াদ উত্তীর্ণ কীটনাশক বিক্রয় এবং মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় তাদের বিরুদ্ধে এ জরিমানা করা হয়।




চুয়াডাঙ্গায় যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশের পাশে রোভার স্কাউট

চুয়াডাঙ্গায় যানজট নিরসন ও সাধারণ মানুষের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি কাজ করছে রোভার স্কাউটের সদস্যরা। সোমবার সকাল থেকে দিনব্যাপী এ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ রোভার স্কাউট গ্রুপ।

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের চাপে চুয়াডাঙ্গা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে যানজট বেড়ে গেছে। চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার, কোর্ট মোড় ও একাডেমি মোড়সহ বিভিন্ন স্থানে যানজটে নাকাল জনসাধারণ। জেলা ও জেলার বাইরে থেকে আগত ইজিবাইক, চার্জার ভ্যানসহ বিভিন্ন ছোট যানবাহনের কারণে যানজট আরও প্রকট হয়ে উঠেছে। যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি রোভার স্কাউটের সদস্যরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ রোভার স্কাউট গ্রুপের সিনিয়র রোভার মেট আল মুতাকাব্বির সাকিব বলেন, “যানজট জনজীবনের জন্য বড় সমস্যা। ঈদের আগে চুয়াডাঙ্গার কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় যানজট প্রকট আকার ধারণ করে। সাধারণ মানুষের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে আমরা কাজ করছি। চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ রোভার স্কাউট গ্রুপের গ্রুপ সম্পাদক জাহিদুল হাসান স্যারের নির্দেশনায় আমাদের এই কার্যক্রম চলছে।”

তিনি আরও জানান, ২৫ রমজান থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীদের সেবা ও নিরাপত্তা রক্ষায় রোভার স্কাউট সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।

এই কার্যক্রমে অংশ নেওয়া রোভার স্কাউট সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাদ হাকিম, সালমান ফার্সি, সৌরভ হোসেন, কামাল হোসেন, মাহিন বিল্লা, রাব্বি, ইকবাল, নাফিজ, সাইদুর, মুজাহিদ, রাজসহ আরও অনেকে। এছাড়া গার্ল ইন রোভার সদস্যরাও এ কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন।




প্রবীণ শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক খান (মেগা) আর নেই

মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আব্দুর রাজ্জাক খান (মেগা) আজ সোমবার দুপুর ২ টা ৪৫ মিনিটে নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

আব্দুর রাজ্জাক খান মেহেরপুর সরকারি বালক বিদ্যালয় ও সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করে ২০০২ সালে অবসরে যান। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি মেহেরপুরের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন ভৈরব সাংস্কৃতিক চত্বরের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন এবং সংগঠনটির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তার অসামান্য অবদানের জন্য সংগঠনটি তার প্রতি চির কৃতজ্ঞ থাকবে।

তার ছেলে রাফসান খান (তনন) ইংল্যান্ডের এক বিমানবন্দরে কর্মরত এবং ছেলের বউ মৌসুমী আক্তার ব্রিটেনের একটি ‘ল’ ফার্মে কাজ করেন। মেয়ে রশি মনি মেহেরপুর কৃষি ব্যাংকে কর্মরত এবং জামাতা একজন ব্যাংকার। তিনি মেহেরপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বোস পাড়ায় পরিবারসহ বসবাস করতেন।

পারিবারিক জীবনে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গেছেন।




আমার বয়স নিয়ে নায়িকার সমস্যা না হলে আপনার কেন সমস্যা: সালমান

লরেন্স বিষ্ণোইয়ের হত্যার হুমকি সত্ত্বেও বহু চড়াই-উতরাইয়ে শুটিং শেষে ঈদে মুক্তি পাচ্ছে ‘সিকান্দার’। বলিউডের ভাইজানখ্যাত অভিনেতা সালমান খান সিকান্দার সিনেমার শুটিং চলাকালীন বিষ্ণোই গংদের হত্যার হুমকি পান। তা সত্ত্বেও দেশের বিভিন্ন স্থানে শুটিং করেন ভাইজান।

এ নিয়ে ইতোমধ্যে দর্শকদের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে। কারণ লরেন্স বিষ্ণোইয়ের খুনের হুমকি সত্ত্বেও কখনো শুটিং বন্ধ রাখেননি সালমান। অবশেষে ঈদে মুক্তি পাচ্ছে ‘সিকান্দার’।

যেখানে তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন দক্ষিণী জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাশমিকা মান্দানা। প্রথমবারের মতো জুটি বেঁধে পর্দায় কাজ করলেন এ দুই তারকা।

সালমান খানের বয়স যেখানে ৫৯ বছর, সেখানে রাশমিকার বয়স মাত্র ২৮ বছর। ৩১ বছরের এই লম্বা বয়সের ফারাক বহু দর্শককে অস্বস্তিতে ফেলেছে। সিকান্দারের প্রথম ঝলক মুক্তির পর থেকেই নিন্দুকসহ নেটপাড়ার একটি বড় অংশ এ বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য শুরু করেছেন। কেউ কেউ তাদের জুটিকে অসম বলেও মন্তব্য করেন।

সম্প্রতি ‘সিকান্দার’-এর ঝলক মুক্তির অনুষ্ঠানেও বয়সের পার্থক্য নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হন সালমান খান। যেখানে ভাইজানের জবাব শুনে হাসির রোল পড়ে যায় সামাজিক মাধ্যমে। মঞ্চে তখন ‘সিকান্দার’-এর পরিচালক ও প্রযোজক থেকে শুরু করে ছবির কলাকুশলীরা দাঁড়িয়ে। তাদের মধ্যমণি হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন সালমান। পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন রাশমিকা।

প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরু হতেই এক সাংবাদিক সালমানকে তার ও রাশমিকার বয়সের পার্থক্য নিয়ে প্রশ্ন করে বসেন। জবাবে মজার সুরে ভাইজান বলেন, যখন আমার সঙ্গে এই বয়সের পার্থক্য নিয়ে নায়িকার নিজের কোনো সমস্যা হচ্ছে না, তখন আপনার কেন এত সমস্যা হচ্ছে, বলুন তো?

এরপর অভিনেতা বলেন, আর একটা কথা— যখন রাশমিকা বিয়ে করবে, তার সন্তান হবে, সেই মেয়ের বিপরীতেও আমি পর্দায় অভিনয় করব। আমি নিশ্চিত মেয়ের মায়ের অনুমতি পেয়ে যাব।

সালমানের কথা শেষ হতেই সবাই হাসিতে ফেটে পড়েন। সাংবাদিকও লজ্জায় হাসতে থাকেন। সালমান ও রাশমিকা ছাড়াও এ সিনেমায় গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে আছেন কাজল আগরওয়াল, সত্যরাজ, সুনীল শেঠি, শরমন জোশী ও প্রতীক বাবর। অঞ্জিনী ধাওয়ান (বরুণ ধাওয়ানের ভাগ্নি) রয়েছেন ছবিতে।

সূত্র: যুগান্তর




চুয়াডাঙ্গায় মহান স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজের প্রস্তুতি মহড়া

চুয়াডাঙ্গায় মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক কুচকাওয়াজের মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার সকাল নয়টার সময় চুয়াডাঙ্গা পুরাতন স্টেডিয়ামে এই কুচকাওয়াজের মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। প্রস্তুতি মূলক কুচকাওয়াজ মহড়ায় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) সাইফুল ইসলাম সাইফ।

প্রস্তুতিমূলক কুচকাওয়াজ মহড়ায় মার্চ পাস্ট করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ, আনসার ভিডিবি, বিএনসিসি, রোভার স্কাউট, গার্লস গাইডস সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার নাঈম আব্দুল্লাহ, সহকারী কমিশনার শহিদুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার ফাহাদ চৌধুরী।

আগামী ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা পুরাতন স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসনের আয়োজন কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে অনুষ্ঠিত হবে। কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার সহ জেলার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও কর্মকর্তা বৃন্দ।




গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা ভেবেছিলেন তামিম

বুকে ব্যথা শুরু হয়েছিল সকালেই। অস্বস্তি বোধ করাতে তামিম ইকবাল ফিজিও ও ট্রেইনারকে জানান। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের অধিনায়ক ভেবেছিলেন গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা। তাই ওষুধও খান। কিন্তু খানিকক্ষণ পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন। জানা গেছে, তামিমের ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল। ব্লক ধরা পড়েছে, বসানো হয়েছে একটি রিং।

বিকেএসপিতে ডিপিএলে ম্যাচ খেলার মাঝে অসুস্থ হয়ে পড়া তামিককে লাইফ সাপোর্ট থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে। অবস্থারও উন্নতি হয়েছে। আপাতত সিসিউ’তে আছেন পর্যবেক্ষণে। তবে শারিরীক অবস্থা হেলিকপ্টারে ফ্লাই করার উপযোগী নয় বলে এখনও ঢাকায় আনার সিদ্ধান্ত হয়নি।

আজ বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে চলছিল ডিপিএলের অষ্টম রাউন্ডের ম্যাচ। শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ম্যাচে মাঠেই হার্ট অ্যাটাক করেন তামিম। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের অধিনায়ককে দ্রুতই হাসপাতালে নেওয়া হয়। লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। এখন অবশ্য সেখান থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে।

এরআগে, অসুস্থ হয়ে পড়লে তামিমকে নিতে হেলিকপ্টার আসে। কিন্তু পরিস্থিতি ভালো না হওয়ায় পাশেই থাকা কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয় তামিমকে। সেখানেই চলছে তার চিকিৎসা। মোহামেডানের ফিল্ডিংয়ের সময় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক বিকেএসপির মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। পরে নেওয়া হয় হাসপাতালে। মোহামেডানের কর্মকর্তারা তামিমের সঙ্গেই আছেন। বিসিবির কর্তারাও যাচ্ছেন তামিমকে দেখতে।

জানা গেছে, বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও এনজিওগ্রামের পর তামিমের হার্টে ব্লক ধরা পড়েছে। এরই মধ্যে হার্টে পরানো হয়েছে একটি রিং। তামিমের ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল। চিকিৎসক জানিয়েছেন, ১০০ শতাংশ ব্লক থাকায় তাকে ঢাকায় নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে তিনি এখন আশঙ্কামুক্ত।

সূত্র: যুগান্তর




মেহেরপুরে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ১০

মেহেরপুরে পুলিশের ২৪ ঘন্টার অভিযানে জিআর মামলার আসামিসহ বিভিন্ন মামলার ১০ আসামি জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদের মধ্যে গাংনী থানা পুলিশের অভিযানে ১ জন ও সদর থানা পুলিশের অভিযানে ৯ জন রয়েছে।

গতকাল রবিবার দিবাগত রাত থেকে আজ সোমবার ভোররাত পর্যন্ত জেলার তিনটি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এসব আসামি গ্রেফতার করা হয়।

মেহেরপুর সদর থানা পুলিশের অভিযানে গ্রেফতারকৃত হলো, পিরোজপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মৃত নূর মোহাম্মদের ছেলে হামিদুল (হাফি) (৩৮), হরিরামপুর গ্রামের মোঃ তারা মিয়ার ছেলে মোঃ পাপ্পু (২২), মোঃ খোরশেদের ছেলে মোঃ তারা মিয়া, পোষ্ট অফিস পাড়ার মোঃ আমিরের ছেলে মোঃ রুবেল হোসেন (৪২), কুতুবপুর মধ্যপাড়ার মৃত কাশেম চৌকিদারের ছেলে মোঃ সোহেল (৩৯), শহরের উত্তর খাঁন পাড়ার আঃ হামিলের স্ত্রী মোছাঃ কাইফা খাতুন, আঃ হালিমের ছেলে মোঃ সাব্বির হোসেন, তাঁতী পাড়ার আমির আলীর ছেলে মোঃ আঃ হালিম, উজলপুরের উসমান গনির ছেলে মোঃ সজিব এবং গাংনী উপজেলার গ্রেফতারকৃত হলেন কুষ্টিয়া মিরপুরের মোঃ নুরুল ইসলামের ছেলে মোঃ মফিজুল ইসলাম (টুটুল)।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মেসবাহ উদ্দিন ও গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল অভিযানের নেতৃত্ব দেন।

গ্রেফতারকৃতদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। জেলার সর্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং বিভিন্ন অপরাধের অপরাধীদের গ্রেফতার করতে বিশেষ অভিযান চলমান থাকবে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।




কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এমপি আফজাল হোসেন মেহেরপুর থেকে গ্রেপ্তার

কিশোরগঞ্জ-৫ (বাজিতপুর-নিকলী) আসনে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি মো. আফজাল হোসেনকে মেহেরপুর শহর থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার ভোরে মেহেরপুর শহরের তাহের ক্লিনিকপাড়ার স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা ইবনে মামুনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সেইসঙ্গে আশ্রয়দাতা ইবনে মামুনকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে মেহেরপুর সদর থানায় নিয়েছে পুলিশ। মেহেরপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক নেতা ইবনে মামুনের ভাইয়েরা জুতার ব্যবসা করেন।

সাবেক এমপি আফজাল হোসেনের মালিকানাধীন ‘আফজাল সুজ’ কম্পানির সঙ্গে ইবনে মামুনের ভাইদের ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে। সে সূত্রেই এমপি আফজাল হোসেন ওই নেতার বাসায় আশ্রিত ছিলেন বলে জানা গেছে।

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে সাবেক এই এমপির অবস্থান শনাক্ত করে পুলিশ।

স্থানীয় একাধিক সূত্রের তথ্যমতে, মেহেরপুর তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, সোমবার ভোরের দিকে জেলার মুজিবনগর উপজেলার সোনাপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি ছিল তার।

এ জন্য সীমান্তের একটি চক্রের সঙ্গে মোটা অঙ্কের টাকায় চুক্তিও করেছিলেন বলে অসমর্থিত সূত্রগুলো জানায়।

মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন সাবেক এমপি মো. আফজাল হোসেনের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশের একটি টিম মেহেরপুরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। বিকাল নাগাদ পুলিশের টিম মেহেরপুর পৌঁছালে তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হবে।

তবে মেহেরপুর জেলার পুলিশ সুপার মাকসুদা আক্তার খানম জানান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) রিক্যুইজিশনের (অধিযাচন) ভিত্তিতে সোমবার কিশোরগঞ্জ-৫ (বাজিতপুর-নিকলী) আসনের সাবেক এমপি মো. আফজাল হোসেনকে মেহেরপুর সদর থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

এদিকে কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর থানার ওসি মো. মুরাদ হোসেন জানান, বাজিতপুর থানায় সাবেক এমপি মো. আফজাল হোসেনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলাসহ কমপক্ষে সাতটি মামলা রয়েছে। এগুলোর বেশিরভাগই ৪ আগস্টের ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা হয়।




আইনজীবী পরিবর্তন করায় নথি থেকে জমির দলিল গায়েব !

২৩ বছর আগে একটি দেওয়ানী মামলা করে এখন বিপাকে পড়েছেন মুজিবনগরের ভুক্তভোগী ভূমি মালিক ইন্নাল শেখ। দীর্ঘ দিন আদালতের বারান্দায় ঘুরে ঘুরে তৃতীয় দফার একতরফা শুনানী ও রায়ের দিন জানতে পারলেন প্রাক্তন উকিলের মহুরির দ্বারা জমির দলিল গায়েব হয়েছে।

মামলার বাদীর সাথে কথা বলে ও নথি ঘেঁটে দেখা যায়, দীর্ঘ ২৩ বছর আগে ২০০২ সালের ৩১ মার্চ তারিখে মেহেরপুরের সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে বিবাদী মোঃ মিন্টু জোয়ারদারের বিরুদ্ধে দেওয়ানি মামলাটি দায়ের করেন ইন্নাল শেখ। মামলা নম্বর ৯৩/০২। সমন জারি ও জবাব দাখিলে বিবাদী পক্ষের অনুপস্থিতিতে বছরের পর বছর চলে যায়। দীর্ঘদিন মামলা চলাকালীন সময়ে আদালতে বিবাদীপক্ষের অনুপস্থিতির কারণে আদালত ইন্নাল শেখের অনুকূলে একতরফা রায় দেন। এরপর আবার বিবাদী পক্ষ যুগ্ন জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আপিল করে। এরপর আবারো যথারীতি অনুপস্থিত থাকলে আপিলেও একতরফা রায় পান ইন্নাল শেখ। এরপর আবারও বিবাদী পক্ষের অনুপস্থিতির কারণ দেখিয়ে একটি মিস কেস করেন করেন মোঃ মিন্টু জোয়ারদার। এরপর থেকে আদালতে যথারীতি অনুপস্থিত থাকতে শুরু করেন।

দেওয়ানী মামলাটি দীর্ঘদিন ধরে আদালতে নিষ্পত্তি না হওয়াতে বাদীপক্ষ পরিবর্তন করেন আইনজীবী। যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া মেনে জেলা আইনজীবী সমিতির এনওসি’র মাধ্যমে ২০২৪ সালের ৭ অক্টোবর আইনজীবী পরিবর্তন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। এরপরেই বাধে বিপত্তি। আদালতে পুনরায় মামলাটির একতরফা শুনানির সময় দেখা যায় মামলার মূল নথিতে জমির দলিলটি নেই। অথচ ইতিপূর্বে দু দুইবার সেই দলিলের সূত্র ধরেই আদালত ইন্নাল শেখের পক্ষে এক তরফা রায় দিয়েছিলেন।

মামলার বাদি ইন্নাল শেখ বলেন, ‘আমার বৈধ সম্পত্তি নিয়ে বিবাদী পক্ষ আমাকে বিগত ২৩ বছর যাবৎ আদালতের বারান্দায় রেখেছে। অথচ বিবাদী পক্ষ কখনো আদালত না এসে আদালত অবমাননা করে চলেছে। আমার মামলার প্রাক্তন আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল জব্বারের মুহুরী নুরুলের সাথে বিবাদী পক্ষের আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে। মুহুরির সাথে আত্মীয়তা ও বিবাদীর পয়সায় মামলার কাগজ পত্র হারানোর মত ঘটনা ঘটছে। কারণ এনওসির মাধ্যমে আইনজীবী পরিবর্তন করার পরেও ২২ মার্চ থেকে অ্যাডভোকেট আব্দুল জব্বার ও তার মুহুরী বারবার আমার মোবাইলে কল দিয়ে একতরফা সাক্ষী ও রায় হবে জানিয়ে টাকা সহ যোগাযোগ করতে বলে।’

আইনজীবী পরিবর্তনের পরেও প্রাক্তন আইনজীবী ও তার মুহুরীর এ ধরনের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কে। ঘটনা শুনে আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মারুফ আহমেদ বলেন,’এই মুহূর্তে আমি জরুরী কাজে ঢাকাতে আছি। মেহেরপুরে ফেরার পর বিষয়টি আমি দেখব।

আর আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রাজ্জাক টোটন বলেন, ‘ভুক্তভোগী বিষয়টি নিয়ে আইনজীবী সমিতিতে অভিযোগ দিলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইন্নাল শেখের ছেলে মুজাহিদুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, ‘আমরা মামলার নথি সমূহ তুলে বেশ কয়েকজন অ্যাডভোকেটকে দেখায়। এটা জানার জন্য, আমাদের মামলার গ্রাউন্ড কি। যেহেতু দীর্ঘদিন যাবত আমার বাবা মামলা পরিচালনা করে আসছেন। তাই সেটা জানার পর ২৩ সালের ৩০ মে আদালতের যেই দিন ছিল, ওদিন নুরুল মুহুরীর কাছে নথি (জমির মূল দলিলপত্র) দিয়েছি কোর্টে জমা করার জন্য। কোর্টের নিচ তলায় উনি বললেন, আমার হাতে দাও আমি জমা করে দিবো। এর কয়েক মাস পরে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, নথি জমা দিয়েছি। আদৌতে তিনি সেই নথি জমা দেননি। আজকে যখন জানতে পারলাম যে নথি কোর্টে জমা হয়নি। তখন বার বার নুরুল মুহুরীকে কল দিলে তিনি অ্যাডভোকেট আব্দুল জব্বারের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। ‘

মুজাহিদুল ইসলাম আরো বলেন, ‘আমরা বাদি পক্ষ মনে করছি, অ্যাডভোকেট আব্দুল জব্বারের কাছ থেকে মামলা সরিয়ে অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফার কাছে আইনগতভাবে হস্তান্তর করায় তিনি মুহুরীকে নিয়ে বাদী পক্ষের সঙ্গে যোগসাজশে আমাদের মামলার নথি সমূহ গায়েব করেছেন। আমরা কোর্ট ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তাদের কাছে অনুরোধ করবো বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত করে আমাদের ন্যায় বিচার পেতে সহায়তা প্রদান করার জন্য।’

এ বিষয়ে মুঠোফোন নুরুল মুহুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে প্রথমে তিনি বলেন ‘আজ সকালে আমি আদালতের মূল নথিতে দলিলটি জমা করেছি।’ মুহুরীর এই কথোপকথনের অডিও কালবেলার কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।

পরবর্তীতে আদালত জমির দলিল মামলার নথিতে না পেয়ে পরবর্তী তারিখে জমির দলিল দাখিল করার নির্দেশ দিলে, আবারো যোগাযোগ করা হয় মুহুরীর সাথে। এ সময় তিনি কোন কথা বলতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে তিনি অ্যাডভোকেট আব্দুল জব্বারের সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন।

উল্লেখ্য, ভূমি বা জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মানুষকে বিচিত্র ভোগান্তি পোহাতে হয়। অনেকে বলেন, দেওয়ানি মামলার শুরু আছে কিন্তু শেষ নেই। প্রযুক্তির যুগেও সমন জারি ও জবাব দাখিলে বছরের পর বছর চলে যায়। একপক্ষের গরহাজিরায় মামলা একতরফা নিষ্পত্তি হয়। অন্যপক্ষ এসে আবার মামলা পুনরুজ্জীবিত করে। আপিল শুনানি ও শেষ হওয়ার পরও একই অবস্থা হয়। ফৌজদারি বিচারে কত দিনের মধ্যে অভিযোগপত্র, বিচার করতে হবে সেটি বলা আছে। কিন্তু দেওয়ানি মামলার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা নেই।

এছাড়াও এক ব্যক্তির জমি অন্যের নামে নামজারি করা, উত্তরাধিকার সম্পত্তির নামজারিতে জটিলতা, বেঁধে দেওয়া সময়ে নামজারি সম্পন্ন না হওয়া, ভূমি জরিপের ক্ষেত্রে নানারকম নয়-ছয় করা ইত্যাদি সাধারণ ঘটনা। ভূমি অফিসের একশ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারী ও দালালের যোগসাজশে নানা দুর্নীতি, ঘুষ ও আর্থিক কেলেঙ্কারি তো আছেই। সবমিলিয়ে সাধারণ মানুষের জন্য ভূমির মালিকানা অর্জনের চেয়ে ভূমিরক্ষা করাটাই যেন কঠিন। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত অধস্তন আদালতে ১৫ লাখ, হাইকোর্টে ৮৯ হাজার এবং আপিল বিভাগে ১১ হাজারের বেশি দেওয়ানি মামলা বিচারাধীন ছিলো।