ঝিনাইদহে ১ হাজার ১২ বোতল ফেন্সিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে বিপুল পরিমাণ ফেন্সিডিলসহ বাদশা সোলায়মান (২৯) নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‌্যাব-৬।

আজ বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে উপজেলার কাঁঠালবাগান গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত বাদশা সোলায়মান ঐ উপজেলার কাঁঠালবাগান গ্রামের মৃত শাহাবুদ্দিনের ছেলে।

ঝিনাইদহ র‌্যাবের মেজর নাঈম আহমেদ জানান, কালীগঞ্জের কাঠালবাগান গ্রামে মাদক ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে আজ বুধবার ভোররাতে অভিযান চালায় ঝিনাইদহ র‌্যাব। র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে অন্যরা পালিয়ে গেলেও ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয় ওই গ্রামের বাদশা সোলায়মানকে। পরে তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ১ হাজার ১২ বোতল ফেন্সিডিল।

এ ঘটনায় র‌্যাবের পক্ষ থেকে মাদক আইনে মামলা দায়ের করে আসামীকে কালীগঞ্জ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।




ঝিনাইদহ থেকে সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলসহ ৫ জন আটক 

ঝিনাইদহ হয়ে ভারতে পালানোর সময় সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলসহ ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

আটককৃতরা হলেন, সুপ্রিম কোর্টের সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মো: মেহেদী হাসান চৌধুরী (৫৪), গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য, ভাওয়াল বদ্রে আলম সরকারী কলেজ ছাত্র লীগের সাবেক সহসভাপতি ও মেট্রো চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক রিয়াজ মাহমুদ আয়নাল (৫৩), তার চাচা শশুর গাজীপুর জয়দেবপুরের মুদি দোকানদার সানোয়ার হোসেন (৫৪), মানিকগঞ্জ জেলা যুব লীগের সদস্য, মাদকদ্রব্য নিরাময় কেন্দ্রের প্রষ্ঠিাতা ও বিশিষ্ট ঠিকাদার সৌমিত্র সরকার ওরফে মনা (৪৬) ও প্রাইভেট চালক ধামরাইয়ের রুবেল দেওয়ান (৩৮)।

গতকাল  মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ঝিনাইদহ শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে পুলিশ তাদেরকে আটক করে। পুলিশ তাদের সম্পর্কে যাচাই বাছাই শেষে নিশ্চিত হয়ে রাত ৯টার পরে আটকের খবর জানায়।

আজ বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তাদের মধ্যে প্রাইভেটকার চালক বাদে ৪জনকে ঝিনাইদহ আদালতে সোপর্দ্দ করা হয়েছে।

জানা গেছে, আটককৃত ব্যক্তিরা ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালানোর উদ্যেশ্যে একটি ভাড়াকরা প্রাইভেটকারযোগে ঢাকা থেকে রওনা দেন। তারা সীমান্তের ‘ধুড়’ পাচার চক্রের সদস্য জনৈক আকরাম হোসেনের সাথে যোগাযোগ করেন। আকরাম হোসেনের সাথে তাদের ভারতে পৌঁছে দেয়ার চুক্তি হয়।

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শাহীন উদ্দিন জানান, গোপন সংবাদে খবর পেয়ে মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মশিউর রহমান শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় চেকপোষ্ট বসিয়ে একটি প্রাইভেট কার থেকে সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান চৌধুরী, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য রিয়াজ মাহমুদ আইনাল, সরোয়ার হোসেন, মানিকগঞ্জের সৌমিত্র সরকার ও প্রাইভেট চালক ধামরাইয়ের রুবলে দেওয়ানসহ ৫ জনকে আটক করেন।

আটককৃতদের মধ্যে সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান চৌধুরীর নামে ঢাকা আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলাসহ দু’টি মামলা রয়েছে। তাদের মধ্যে প্রাইভেটকার চালক বাদে ৪ জনকে ঝিনাইদহ আদালতে সোপর্দ্দ করা হয়েছে।




কুষ্টিয়ায় বেশি দামে সার বিক্রি, ডিলারকে জরিমানা

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বেশি দামে সার বিক্রি, নিয়মিত দোকান না খোলা ও প্রাপ্ত সারের সঠিক হিসাব না থাকায় এক ডিলারকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

আজ বুধবার দুপুরে কুমারখালী স্টেশন বাজার এলাকার মেসার্স হাজী এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটর মো. কামরুজ্জামান রতনকে এ জরিমানা করা হয়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন কুষ্টিয়া জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সুচন্দন মণ্ডল। এসময় কুমারখালী কৃষি কর্মকর্তা দেবাশীষ কুমার দাস, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ফারুক হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়, বিসিআইসির নিয়ম অনুযায়ী একজন ডিলারকে নিয়মিত দোকান খুলতে হবে এবং ন্যায্য মূল্যে সার বিক্রি করতে হবে। কিন্তু মেসার্স হাজী এন্টারপ্রাইজ দীর্ঘদিন ধরে নিয়ম ভেঙে অধিকাংশ সময় দোকান বন্ধ রাখে। এছাড়া বিভিন্ন নামে ভুয়া ভাউচার তৈরি করে বেশি দামে সার বিক্রি করে আসছে।

ভুক্তভোগীদের এসব অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার অভিযান চালায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অভিযানে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ডিলার মো. কামরুজ্জামান রতনকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

কুষ্টিয়া জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সুচন্দন মণ্ডল বলেন, বিভিন্ন নামে ভুয়া ভাউচার তৈরি করে বেশি দামে সার বিক্রি, নিয়মিত দোকান না খোলা ও প্রাপ্ত সারের সঠিক হিসাব না থাকার অপরাধে মেসার্স হাজী এন্টারপ্রাইজের ডিলারকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও নিয়ম কানুন মেনে চলতে কঠোর সতর্কীকরণ করা হয়েছে।




ম্যানেজার পদে নিয়োগ দিবে এসিআই মোটরস

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে এসিআই মোটরস লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির রিটেল অ্যান্ড ডিজিটাল ফাইন্যান্সিং বিভাগ ম্যানেজার পদে একাধিক জনবল নিয়োগের জন্য এ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে।

গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকেই আবেদন নেওয়া শুরু হয়েছে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত প্রার্থীরা মাসিক বেতন ছাড়াও প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী আরো বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম : এসিআই মোটরস লিমিটেড পদের নাম : ম্যানেজার বিভাগ : রিটেল অ্যান্ড ডিজিটাল ফাইন্যান্সিং পদসংখ্যা : নির্ধারিত নয়

শিক্ষাগত যোগ্যতা : অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে বিবিএ/ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিংয়ে বিবিএ/এমবিএ অন্যান্য যোগ্যতা : ব্যাংক, বিমা, বিনিয়োগ/মার্চেন্ট ব্যাংকিং, ডাইরেক্ট সেলিং/মার্কেটিং সার্ভিস কোম্পানিতে কাজের দক্ষতা । অভিজ্ঞতা : কমপক্ষে ৫ থেকে ৬ বছর

চাকরির ধরন : ফুলটাইম কর্মক্ষেত্র : অফিসে প্রার্থীর ধরন : নারী-পুরুষ (উভয়) বয়সসীমা : ৩০ থেকে ৩৫ বছর

কর্মস্থল : ঢাকা (তেজগাঁও শিল্প এলাকা) বেতন : আলোচনা সাপেক্ষে অন্যান্য সুবিধা : প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী

আবেদন করবেন যেভাবে : আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন। আবেদনের শেষ সময় : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সূত্র: কালবেলা




গাংনীতে কলেজ ছাত্রকে খুর চালিয়ে হত্যার চেষ্টা

পূর্ব শত্রুতার জের ধরে খুর মেরে কলেজ ছাত্র মোঃ আরাফাত হোসেন (১৯) কে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে গাংনী উপজেলা শহরের লাভলু হোসেন ও তার ছেলে রাজুসহ কয়েকজনে।

আহত মোঃ আরাফাত হোসেন গাংনী পৌরসভার নয় নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক এনামুল হকের ছেলে ও সে মেহেরপুর সরকারি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষে অধ্যয়নরত। ঘটনাটি গত ৯ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১১ টার সময় গাংনী উপজেলা শহরের জেলা পরিষদ মার্কেটে লাভলুর সেলুনের দোকানের সামনে ঘটে।

আহত আরাফাত হোসেন গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এঘটনায় লাভলু তার ছেলে রাজুসহ ৫/৬ জনকে আসামি করে গাংনী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, ঘটনার সময় আরাফাত হোসেন মোটরসাইকেল লাভলু হোসেনের সেলুনের সামনে রাখায় তার ছেলে রাজু অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করেন। এর প্রতিবাদ করাই সেলুনের ভিতর থেকে লাভলু এসে খুর দিয়ে গলা বরাবর পোস দেই। এসময় গলা সরিয়ে নিলে আরাফাত হোসেনের নিচের ঠোঁট থেকে গলা পর্যন্ত কেটে যায়। তার শরীরে তিনটি স্থানে গুরুতর জখম হয়। এসময় স্থানীয়রা ছুটে এলে লাভলু হোসেন ও তার লোকজন পালিয়ে যায়।

গাংনী পৌরসভার সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র ও উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ইনসারুল হক ইনসু বলেন, পূর্ব পরিকল্পনায় তুচ্ছ ঘটনায় ভাতিজা আরাফাত হোসেনকে হত্যার প্রচেষ্টা করেছে। এই ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

কলেজ ছাত্র আরাফাতের পিতা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক এনামুল হক জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে আমার ছেলেকে হত্যার প্রচেষ্টা চালিয়েছে। আমি এই ঘটনার ন্যায্য বিচার চাই।

এদিকে তুচ্ছ ঘটনায় কলেজ ছাত্রকে খুর চালিয়ে হত্যা চেষ্টার অপরাধে বিক্ষুব্ধ জনতা তার সেলুনের দোকানে হামলা চালায়।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, আসামিদের গ্রেফতার করতে অভিযান চালানো হচ্ছে।




মেহেরপুরে ভোক্তা অধিকারের অভিযানে দুই ব্যবসায়ীর জরিমানা

মেহেরপুরের কোট রোড পন্ডের ঘাটে ইসমাইল ট্রেডার্স এবং হোটেল বাজারের মতিন হার্ডওয়ারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

আজ বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পন্ডের ঘাটের ইসমাইল ট্রেডার্স এবং হোটেল বাজারে মতিন হার্ডওয়ারে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

আদালত পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মেহেরপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ।

এসময় জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা রিয়াজ মাহমুদ, জেলা স্যানিটারি ইনসপেক্টর তারিকুল ইসলাম ও পুলিশ লাইনের এক দল পুলিশ অংশ নেয়।

ফেবিকোল কোম্পানির নামে নকল আঠা বিক্রির অপরাধে দোকান মালিক মোঃ সোহেল রানাকে ৩০ হাজার এবং মতিন হার্ডওয়ারের স্বত্বাধিকারী আব্দুল মতিনের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

অভিযান সূত্রে জানা গেছে, কোট রোড পন্ডের ঘাটে ইসমাইল ট্রেডার্সের বিরুদ্ধে নকল আঠা বিক্রিয়ের অভিযোগ ছিল। দোকান মালিক সোহেল রানাকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৭ ও ৪৫ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ৩০ হাজার এবং মতিন হার্ডওয়ারের মালিক আব্দুল মতিনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।




দেবের সঙ্গে সিনেমায় জুটি বাঁধা হলো না ফারিণের

অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণের কলকাতার একটি সিনেমায় দেবের বিপরীতে অভিনয় করার কথা ছিল। নির্মাতা অভিজিৎ সেনের পরিচালনায় আগামী নভেম্বর মাসে কলকাতা ও যুক্তরাজ্যে শুটিং শুরুর কথা ছিল। কিন্তু সিনেমাটিতে আর থাকছেন না ফারিণ।

বিষয়টি সম্পর্কে ফারিণ বলেন, ‘নানা অনিশ্চয়তার কারণেই সিনেমাটি থেকে সরে এসেছি। ছবির প্রযোজক অতনু রায় চৌধুরীর সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে আলাপ করার পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আপাতত সিনেমাটিও হচ্ছে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী সরকার পতনের পর বাংলাদেশ থেকে ভারতের ভিসা জটিলতা তৈরি হয়েছে। ভিসা পেতে সময় লাগছে। নির্ধারিত নভেম্বর মাসে শুটিং শুরু করা না গেলে সমস্যা। কিন্তু সঠিক সময়ে বাংলাদেশ থেকে ভিসা পাওয়াও অনিশ্চিত। এসব কারণে ছবিটিতে কাজ করা হচ্ছে না।’

এর আগে ‘পাত্রী চাই’ নামে কলকাতার আরেকটি ছবিতে কাজের কথা ছিল ফারিণের। সেটিও গত বছর বাতিল হয়েছে। পরপর দুটি ছবিতে কাজ বাতিল হওয়াকে কাকতালীয় বলছেন ফারিণ।
সূত্র: ইত্তেফাক




জাতপাতহীন জাতীয় সংগীত

এ দেশে ‘জাতীয়’ শব্দটি গোড়াগুড়িই বালখিল্যতার পর্যায়ে রয়ে গেছে। ধারণাগত সংকট থেকে উত্তোরিত না হতে পারাই শব্দটির যথার্থ প্রায়োগ হয়নি। “তুমি কে আমি কে বাঙালি বাঙালি” শ্লোগানটি জাতীয় সংহতি সৃষ্টিতে ব্যর্থ হয়েছে। বহুভাষী নানা সংস্কৃতির সাথে বাঙালির মেলবন্ধন গড়ে না ওঠা এর কারণ। সংখ্যাঘনিষ্ঠতার ভিত্তিতে দেশ গড়ে তুলতে চাইলে জাতীয়তাবাদও ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্রের মতোই আগ্রাসী প্রতিবেশ তৈরি করে, করেছেও তাই।

আদর্শ উদার মানবিক রাষ্ট্র বিনির্মাণে এখানে সবপক্ষ সুবিধাজনকভাবে নির্বিকার থেকেছেন। খুব শক্তিশালী প্রগতিশীল চিন্তাকাঠামোর দীনতা, রাজনীতিকদের দ্বিধাবিভক্তি এবং জনগণের অযোগ্যতা জাতীয় ঐক্য গঠনে বিপত্তির প্রধান কারণ।
জাতীয় ফল কাঁঠাল কয়জনের ভালো লাগে কিংবা জাতীয় ফুল শাপলা কাদের ভালো লাগে তা জানা নেই। তবে এটা জানা যে, যা সুলভ এবং সৌন্দর্যসুষমায় পরিপুষ্ট তা-ই জাতীয় জীবনর অংশ হয়ে ওঠে। কিন্তু জাতীয় মাছ ইলিশ নিয়ে আমরা কথা বলিনা। সন্দেহ নেই ইলিশ স্বাদে-গন্ধে অতুল কিন্তু সুলভ কি? প্রাপ্তির তীব্রতা সত্ত্বেও জাতীয় এই অধিকার থেকে মানুষকে বঞ্চিত রাখা হয়েছে।

জাতীয় এমন নানা বিষয়ে আমরা দ্বিধান্বিত, প্রতিটি গর্বদীপ্ত আন্দোলন সংগ্রামের ক্ষেত্রে দ্বিধান্বিত, ঐতিহাসিক মুজিবনগর নিয়ে দ্বিধান্বিত, স্বাধীনতার ঘোষক বিতর্কে দ্বিধান্বিত, জাতীয় নেতা ও কবি মান্যতায় দ্বিধান্বিত, জাতীয় সংগীতের ক্ষেত্রেও দ্বিধান্বিত। যেটি এই সময়ের নানা সংটের একটি। জাতীয় সংগীত নিয়ে বলার আগে জাতীয় কবি নিয়ে জমে থাকা প্রশ্নপীড়নের উপশম চেষ্টা প্রাসঙ্গিক হবে। কাজী নজরুল ইসলাম কেন আমাদের জাতীয় কবি? এমন সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে কোন বিবেচনাগুলো প্রাধান্য পেয়েছে তা ভাবা দরকার। কবি জন্মসূত্রে ভারতীয়। একজন ভারতীয় কীভাবে একটি স্বাধীন দেশের জাতীয় কবি হন। তর্কশর্তে ধরে নিলাম তাঁকে সম্মান জানিয়ে নাগরিকত্ব দেয়া হয়েছে। যদিও তাঁর নাগরিকত্ব প্রক্রিয়া নিয়েও রয়েছে বিতর্ক। অনেকে বলতে পারেন, তাঁর সংগীত কবিতা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণা, মুক্তিযুদ্ধে রবীন্দ্রনাথের গানওতো আমাদের প্রেরণার একটি প্রবাহ , প্রেরণা দিয়েছে সলিল চৌধুরী অসংখ্য গানও। তাহলে কোন বিবেচনায় নজরুল জাতীয় কবি? নজরুল সাহিত্যের কোন পর্ব আমাদের জাতীয় জীবনকে প্রভাবিত করে? হামদ নাত গজল পর্ব, শ্যামা সংগীত পর্ব, খৃস্টানদের জন লিখিত দীর্ঘ প্রার্থনা পর্ব, মানবতা পর্ব, নাস্তিক্যবাদী পর্ব? নাকি সামগ্রিক নজরুল আমাদের জাতীয় জীবনের প্রভাবক?

দাঁড়াবার জাতীয় ঐক্য পাটাতন তৈরি না করে জাতীয় কবি নির্বাচন রাজনৈতিক দুর্বলতা। নজরুলকে জাতীয় কবির মর্যাদা দানে কার লাভ হয়েছে জানা নেই, তবে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন নজরুল ইসলাম। যে নজরুল গাইতে পারেন, “মোর অন্তরের হেরা গুহায় আজো তোমার ডাক শোনা যায় ” সেই নজরুল দ্বিধাহীনভাবে গাইছেন, ” গাহ নাম অবিরাম কৃষ্ণনাম কৃষ্ণনাম মহাকাল যে নামের করেন প্রাণায়াম। “

আরোহ -অবরোহের উচ্ছলতায় কাজী নজরুলের সৃষ্টি কোনো বিশেষ গোত্রগাঁথা নয় বরং মানুষের অনুভূতি বয়ানের প্রতিনিধিত্ব করেছ। মানুষ নজরুল এখানে মূখ্য।

সেই সাথে আমরা জাতি হিসেবে নজরুলকে মানুষ নজরুল, রবীন্দ্রনাথকে মানুষ রবীন্দ্রনাথ ভাবতে পারছি কিনা সেটাও বিবেচ্য।

জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের দাবি এই সময়ের নানা সংকটের একটি। পরিবর্তনের প্রস্তাব প্রথম আসে’৭৫ এর ১৫ আগস্ট শেখ মুজিব হত্যাকাণ্ড পরবর্তী খন্দকার মোশতাক আহমেদের শাসনকালে, শাহ আজিজুর রহমানের প্রস্তাবনায় ১৯৭৯সালে জিয়াউর রহমান যখন রাষ্ট্রপতি। ২০০২ সালে জামায়াত নেতা গোলাম আযম ও আলি আহসান মুজাহিদের প্রস্তাবনায়। সবশেষ ২০২৪ এর ছাত্র – জনতার গণ অভ্যুত্থানে হাসিনার পতনের পর।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি” গানটির বিকল্প ভাবছেন কয়েকটি পক্ষ – তারা সোনার বাংলার বিকল্প হিসেবে ভাবতে শুরু করেছেন দীজেন্দ্রলাল রায়ের “ধন ধান্যে পুস্পে ভরা ” গীতিকার মনিরুজ্জামান মনিরের ” প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ ” আর মুহিব খানের “ইঞ্চি ইঞ্চি মাটি সোনার চাইতে খাঁটি “। আরও কয়েকটির প্রস্তাবনাও শোনা যাচ্ছে। পরিবর্তনের পক্ষে তারা ইরাক জার্মানি পাকিস্তান নেপালের নজির টানছেন। আপাতচিন্তায় আমার সোনার বাংলা কেনো পরিবর্তিত হওয়া উচিত তার আলোচনাও চলছে। বলা হচ্ছে , যেহেতু বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের বহুপূর্বে বঙ্গভঙ্গ রদকে কেন্দ্র করে রচিত তাই এটি বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে না। এবং এটিতে দুই বাংলার একত্র হবার ভয়ানক লক্ষণ রয়েছে। গানটিতে কোথাও বাংলাদেশ শব্দের ব্যবহার নেই আছে বাংলা শব্দের । সনাতনীরা তাদের দেবীকে যেমন “মা” বলে সম্বোধন করে থাকে। এখানেও ” মা তোর বদনখানি মলিন হলে” চরণটিতে সেরকমই পৌত্তলিকতার স্পষ্ট প্রতিচ্ছবি ফুটে ওঠে।

এমন কিছু অসার অযৌক্তিক উদ্দেশ্যপীড়িত বয়ান হাজির করেছেন তারা, যা কুতর্ক ছাড়া কিছু নয়। দেশকে মা ডাকা আর মাতৃভূমি বলার মধ্যে কোনো ভিন্নতা আছে কি?

বঙ্গভঙ্গ বাঙালির অশ্রুকুমকুম দু:খগাঁথা। ধর্মজালে সৃষ্টি হওয়া পাকিস্তান ২৩ বছরের দু:শাসনে দু:স্বপ্নে বঙ্গভঙ্গের অভিশাপকেই কেবল উসকে দিয়েছে।

অনেকের দাবি বাংলাদেশের কোনো লেখক কবির লেখা গানই হোক জাতীয় সংগীত। তাদের জেনে রাখা উচিত বাংলাদেশ মানেই ১৯৭১ পরবর্তী বাংলাদেশ নয়। ৭১ একটি চূড়ান্ত আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। তারও অনেক আগে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ বিনির্মাণের কর্মসূচি। পলকে পলকে বাংলাদেশ তৈরির স্বপ্নকল্প, পর্বে পর্বে এসেছে বাঙালির গর্বদীপ্ত উদ্ভাসন।

আমরা কি ভুলে যাব পাল রাজাদের দৌরাত্মে ফুঁসে ওঠা চর্যাপদের বৌদ্ধভিক্ষু বাঙালি কবিদের? যারা শাসকের ভয়ে ছাড়েননি মাতৃভাষা বাংলাকে। আমরা কি ভুলে যাবো মুকুন্দরাম আলাওল বিদ্যাপতি আবদুল হাকিম সুভাষচন্দ্র বসু শেরে বাংলা ভাসানী জগদীশচন্দ্র বসু তিতুমীর শেখ মুজিব রবীন্দ্রনাথ বা নজরুলকে? যারা আমাদের প্রেরণার বাতিঘর, চিন্তার মানচিত্রের কারিগর।

১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ২১ দফা, ৬ দফা বাঙালির চরিত্র গঠনের নীতিমালা, বাংলাদেশ তৈরির রূপকল্প।

প্রস্তাবিত যে তিনটি গানের কথা বিশেষভাবে আলোচিত হচ্ছে আপাতদৃষ্টিতে সেগুলো দেখে নেয়া যাক। ” ইঞ্চি ইঞ্চি মাটি সোনার চাইতে খাঁটি ” সামান্য নন্দন তাত্ত্বিক জ্ঞানসম্পন্ন যে কেউ ভীষণ হোঁচট খাবেন প্রথম লাইনেই। না আছে শব্দ চয়নের মুন্সিয়ানা, না আছে বাক্যবিন্যাসের নিজস্বতা। গানটিতে ব্যবহৃত সুজলা সুফলা শব্দদ্বয় বঙ্কিমচন্দ্র সৃষ্ট শব্দসৌকর্য। শুধু শব্দ নয় রয়েছে আলোচিত – সমালোচিত ব্যক্তিদের উপস্থিতি। স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত কর্মকাণ্ডের জন্য শেখ মুজিব সমালোচিত। জিয়াউর রহমানও তাঁর শাসনকাল নিয়ে সমালোচিত, প্রশ্নপীড়িত।
জাতীয় সংগীতে ব্যক্তি উপস্তিতি সমালোচনার জন্ম দেয়, ভবিষ্যতে আরো ব্যক্তি সন্নিবেশের দাবি ওঠার সম্ভাবনা তৈরি করে। সাধারণত ব্যক্তি উপস্তিতি ঘটানো হয়ে থাকে রাজনৈতিক বা ধর্মীয় বা গোষ্ঠীগত ভারসাম্য বিবেচনায়, যা ক্ষতিকর। এবার দেখা যাক “প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ ” গানটি। এটি দেশপ্রীতির এক শুদ্ধতম নমুনা, প্রবাহিত হয়েছে কথা ও সুরের অনন্য প্রস্রবণ। কিন্তু গানটিতে হৃদয়ের বিগলনের চেয়ে ফল্গুউচ্ছ্বাস প্রকাশ পেয়েছে বেশি। আমার সোনার বাংলা মানুষের হৃদকম্পের সাথে অনায়াসে মিশে যায়। প্রকৃতি নির্ভর জাতির বিশুদ্ধ বয়ান দেশমাতার প্রতি বিনম্র নিবেদনে নতজানু হয়। প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশে তা সম্ভব নয়।

তৃতীয় যে প্রস্তাবনা, “ধনধান্যে পুস্পে ভরা ” এটি একটি অহমিকা ঠাসা আগ্রাসী গান, “সকল দেশের রাণী সে যে আমার জন্মভূমি” এই একটি লাইন বাঙালিকে দীর্ঘদিন তৃপ্তি যুগিয়ে এলেও আসলেই কি আমার দেশ সকল দেশের রাণী? প্রশ্ন থেকেই যায় তার সক্ষমতা নিয়ে। অতিরঞ্জন সত্ত্বেও গানটি গায়কী উচ্ছলতা তৈরি করে।

আমাদের জাতীয় সংগীত কেমন হবে তা নির্ধারিত হবে আমরা জাতি হিসেবে কোন অবস্থানে নিজেদের দেখতে চাই, কোন মাত্রায় নিজেদের নিয়ে যেতে চাই। প্রতিটি সভ্য জাতির থাকে ইতিহাস ঐতিহ্যে মিলিত গতিপ্রবাহী এক সুনির্দিষ্ট গন্তব্য যাত্রা। যখন আমাদের সকল ইতিহাস ঐতিহ্য জাতপাতের ঊর্ধ্বে রেখে সুন্দর আগামীর যাত্রায় সকলে সমস্বরে গেয়ে উঠবে , ” আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি “। কেবল তখনই জাতীয় সংগীত নয়, বাংলাদেশ হয়ে উঠবে জাতপাতহীন বিশ্বের প্রতিনিধি।

লেখক: শিক্ষক, কবি ও উপস্থাপক




সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন।

বুধবার দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ বিটিভি, বিটিভি ওয়ার্ল্ড ও বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্র থেকে একযোগে সম্প্রচার করা হবে।

উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের টানা আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। এরপর ৬ আগস্ট বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধান ও ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের বৈঠকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এরপর গত ৯ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন ড. ইউনূস।

শপথ নেওয়ার পর জাতির উদ্দেশে ভাষণে ড. ইউনূস বলেন, ‘প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ও তার সদস্যরা নিজ নিজ কর্তব্য পালন করার মাধ্যমে দ্বিতীয় স্বাধীনতাকে উপভোগ করবেন। দেশকে গৌরবের শীর্ষে নিয়ে যাবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘নিষ্ঠুর স্বৈরাচারী সরকার দূর হয়ে গেছে। কাল সূর্য ‍উদয়ের সঙ্গে সঙ্গে গণতন্ত্রের, সুবিচারের, মানবাধিকারের, নির্ভয়ে মতপ্রকাশের পূর্ণ স্বাধীনতা দল-মত নির্বিশেষ সবাই উপভোগ করবে- এটাই আমাদের লক্ষ্য।’

সূত্র: কালবেলা




মৈত্রী সফরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি দল

আজ বুধবার চুয়াডাঙ্গায় ছাত্র-জনতা মৈত্রী সফরে আসছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১০ সদস্যের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করবে চুয়াডাঙ্গার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।

জানাগেছে, জনমত গঠনসহ স্থানীয় ছাত্র-জনতার কথা শোনার জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সেই ধারাবাহিকতায় জেলা সফরে যাচ্ছে প্রতিনিধি দল। খুলনা বিভাগের ১০জনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে খুলনা বিভাগের দশ জেলায় প্রতিনিধিরা একদিন করে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করবেন।

এরমধ্যে, স্থানীয় সমন্বয়কদের সাথে মতবিনিময়, শহীদ পরিবার ও গুরুতর আহতদের সাথে সাক্ষাৎ, স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনের সাথে মতবিনিময় উল্লেখ যোগ্য কর্মসূচী বলে জানা গেছে। ছাত্র-জনতার মৈত্রী সফরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্যাডে খুলনা বিভাগের দায়িত্ব দেয়া ১০জন হলেন, ওয়াহেদ উজ্জামান, আকরাম হোসাইন রাজ, আশরেফা খাতুন, আবু বকর খান, ফারহানা ফারিনা, মুইনুল ইসলাম, বিশ্বজিৎ দত্ত, তৌহিদ ইসলাম শুভ, মো. বাবু খান ও জান্নাত।

চুয়াডাঙ্গায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম শিক্ষার্থীরা বলেন, ছাত্র-জনতার মৈত্রী সফর উপলক্ষে আমাদের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে। আজ বুধবার বিকেল ২টায় চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল মাঠে একটি জনসভা ও একটি ইনডোর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে। জন সভায় শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ অংশ নেবেন। মতবিনিময় সভায় রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গ, নেতৃত্বস্থানীয় ও সুধিজনেরা উপস্থিত থাকবেন।